#সাহেব_বিবি_গোলাম
#নুশরাত_জেরিন
#পর্ব:১৫
,
,
রাগে আমার শরীর পুড়ে যাচ্ছে তারচেয়েও বেশি হচ্ছে অনু সুচনা। কেনো আমি শুভকে চিনলাম না,কেনো তাকে কষ্ট দিলাম?
মেসেন্জারে কথা বলার কিছুদিন পর থেকেই যখন তার ভেতর পরিবর্তন লক্ষ করছিলাম তখন কেনো বুঝতে পারলাম না?
নিজের মাথায় নিজের বারি মারতে ইচ্ছে হলো।এমন গাধা কেনো আমি?
তবে শুভই আমার সেই মানুষটা ভাবতেই ভিতরে অজানা এক শীতলতা বইতে লাগলো।
প্রিতম গালে হাত দিয়ে রক্ত চক্ষু করে তাকালো।দাঁতে দাঁত রেখে বললো,
—এটা তুমি একদম ঠিক করলে না পিহু,একদম ঠিক করলে না!
আমি আরেকটা গালেও আমার শক্তির প্রয়োগ করলাম।
ততক্ষণে ক্লাবের সবার নজর আমাদের দিকে পরেছে।ক্লাবের মাঝখানে কোন ছেলে একটা মেয়ের হাতে পটাপট চড় খাচ্ছে এমন দৃশ্য সচরাচর কোথায়ই বা দেখা যায়?
প্রিতম আরেক গালেও হাত রেখে দাড়ালো।মুখে তার রাগি ভাব।অথচ এখানে রাগার কথা একমাত্র আমার!সে কোন সাহসে রাগ করবে?কার উপর রাগ করবে?ঠকিয়েছে তো সেই!
আমি চিৎকার করে কলার চেপে ধরলাম।
—তোর জন্য আমি কি না করেছি,আর তুই আমাকে এভাবে বোকা বানালি?আমার জিবন নিয়ে খেললি?তোকে তো আমি…
শুভ এতক্ষণ নিরব দর্শকের মতো দাড়িয়ে ছিলো।এতো দ্রুত ঘটনাগুলে ঘটায় সে হয়তো কিছু বুঝে উঠতে পারছিলোনা।তবে এতক্ষণে তার হুশ ফিরলো।
চটজলদি পেছন থেকে আমায় জাপটে ধরে প্রিতমের কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।বললো,
—কি করছো পিহু,ছাড়ো ওকে।
—না ছাড়বো না আমি, এই শয়তানটাকে তো কিছুতেই ছাড়বো না।
ওর জন্য আমি আজ সব ছেড়ে বাড়ি থেকে পর্যন্ত পালিয়ে এসেছি,আর ও কিনা?
আমার কথায় শুভ থমকে দাড়ালো।আমিও চুপ হয়ে গেলাম।পালিয়ে আসার কথাটা বলাটা হয়তো ঠিক হয়নি।আঁড়চোখে শুভর দিকে তাকিয়ে দেখি তার মুখটা থমথমে।
এরমাঝেই প্রিতম ছাড়া পেয়ে কিছুক্ষণ খুকখুক করে কেশে উঠলো।
আমাকে পাশ কাটিয়ে হুড়মুড় করে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো,
—কাজটা ভালো করলে না তোমরা,দেখে নেবো তোমাদের!
আমি মুখ সরিয়ে নিলাম।ইচ্ছে করছিলো ওর মুখের ওপর থুতু ছিটাই।
শুভর দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও চুপ হয়ে গেছে।
কথাবার্তা কিছুই বলছেনা।
আমি আমতাআমতা করলাম।কি বলবো বুঝতে পারছিনা।এখন মনে হচ্ছে সত্যিই আমার এভাবে বাড়ি থেকে চলে আসাটা উচিৎ হয়নি।
কিন্তু এখন ভেবে আর কি লাভ?যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
শুভ আমার ভাবনার মাঝেই হনহন করে হেটে ক্লাব থেকে বেরিয়ে গেলো।
আশেপাশে একবার তাকানো তো দুর আমার কথাও একবার বললো না।আরে আমাকে না নিয়েই যাবে নাকি?আমি বাড়ি যাবোনা?আমি তাড়াতাড়ি পিছু পিছু দৌড়ালাম।
দৌড়ে গাড়ির দরজা খুলে সিটে বসে সিট বেল্ট বাধলাম।
শুভ আমার দিকে তাকালো না পর্যন্ত।
নিঃশব্দে গাড়ি স্টার্ট দিলো।আমি মুখ ফুলালাম।
না হয় একটু ভুলই করেছি,তাই বলে এমন করবে?কথাই বলবে না?
আমি উশখুশ করতে করতে বললাম,
—আপনারও কিন্তু কম দোষ নেই,সব দোষের ভাগীদার আমিই কেনো হবো?
শুভর দিকে তাকিয়ে উত্তরের অপেক্ষা করেও কোন লাভ হলোনা,সে আমার কথা শুনেছে কিনা তা ই বুঝতে পারলাম না।তার দৃষ্টি সামনে।
আমি আবার বললাম,
—আপনি নিজেও তো আমায় বলতে পারতেন নাকি?যে আপনি আমার সাথে কথা বলতেন,প্রিতম আপনার আইডি হ্যাক করেছিলো?আমি যাকে আমার ভালবাসা ভেবেছি সে আসলে সঠিক মানুষটা নয়?
কেনো বলেননি আপনি?
শুভ সামনে চোখ রেখেই গম্ভীর গলায় বললো,
—আমি বললেই বিশ্বাস করতে?ঠক ভাবতে না?
আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম।সত্যিই আগে এসব বললে আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না,উল্টো ঠক বলে অপমান করতাম।নিজের কানে না শুনলে কখনো সত্যিটা সামনে আসতো কিনা কে জানে?হঠাৎ খুব করে কান্না পেলো আমার।
নিজের উপর রাগে দুঃখে ভেতরটা বারবার ক্ষত বিক্ষত হতে লাগলো।
কেনো যেনো পাশে বসা গম্ভীর মুখের মানুষটার বুকে মাথা রেখে হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে হলো।
কিন্তু পাশের মানুষটা তো রেগে আছে।রেগে বুম হয়ে আছে আমার উপর।
এখানে আমার দোষটাই বা কোথায়?সবতো প্রিতমের দোষ!
,,,,
বাড়ি ফিরেই শুভ নিজের রুমে ঢুকে গেলো।আমি ধীরপায়ে হেটে ড্রয়িংরুমের সোফায় গিয়ে বসলাম।ক্লান্ত লাগছে খুব।শরীরের ক্লান্তির চেয়ে মনের ক্লান্তিটা বেশি লাগছে।
এতোদিনের ভেবে আসা বিষয়গুলো হুট করে এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় কেমন অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। প্রিতমকে আরও কয়েকটা চড় মারার অদম্য ইচ্ছা মনে চাড়া দিয়ে উঠছে।কিন্তু সবচেয়ে আগে আমায় শুভর রাগ ভাঙাতে হবে।
কিকরে যে ভাঙাবো সেটাই আমার মাথায় আসছেনা।আমি কখনো কারও রাগ ভাঙাই নি।এ সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই নেই।
হঠাৎ পেছন থেকে আপা বলে উঠলো,
—কোথায় গিয়েছিলি পিহু?এতোরাতে দুজন একসাথে ফিরলি নাকি?কোন বিপদ আপদ হয়নি তো?
একবার বলে বেরোলে কি হতো?আমি তোকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেছি।
তিনি কথার মাঝে মাঝে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাঁপিয়ে গেছেন। নিশ্চয়ই সারাবাড়ি আমায় খুজে খুজে হাঁপিয়ে উঠেছেন।
আমার ভাবতেই কষ্ট হলো খুব!আমি কিনা ওই বিশ্বাসঘাতক ঠক লোকটার জন্য এমন ভালো মানুষগুলোকে কষ্ট দিলাম?তাদের চিন্তায় ফেললাম?
আমি আপার হাত ধরে টেনে ছোফায় বসিয়ে দিলাম।
কোলে ফটাফট মাথা রেখে শুয়ে পরলাম।হাত টেনে মাথায় বুলিয়ে দিতে ইশারা করে বললাম,
—এমন ভুল আর কক্ষনো করবোনা আপা,এখন থেকে তোমায় না বলে কোথাও যাবোনা।
আপা মৃদু হাসলেন।মাথায় যত্ন করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।
–তা হ্যা রে,তোরা গিয়েছিলি কোথায়?শুভকে দেখলাম রাগে বোম হয়ে ঘরে ঢুকলো?কি করেছিস টা কি?
আমি আদুরে গলায় উত্তর দিলাম,
—বিরাট বড় ভুল করে ফেলেছি আপা,কি করবো বলো তো!
—কি আবার করবি?স্বামীর মান ভাঙাবি!
—কিভাবে?
—সেটা তুই জানিস!সব কথা কি আমি বলে দেবো নাকি?তুই নিজে বুঝে নে!
বলেই চোখ টিপলেন তিনি।
আমি চমকে তাকালাম।পরক্ষনেই হেসে উঠলাম।আপা পারে ও বটে।তবে আইডিয়াটা কিন্তু মন্দ না!
মুখে না বললেও ইশারায় যে আইডিয়া দিলেন সেটা প্রয়োগ করে দেখিই না।কাজে লাগতেও তো পারে!
,
,
,চলবে…..
(ছোট পর্ব দেওয়ার জন্য দুঃখিত।ব্যস্ত থাকার কারনে লেখার সময় করে উঠতে পারিনি,তারপরও এতোটুকু লিখেছি।
ভুল ক্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ)
সাহেব_বিবি_গোলাম
#নুশরাত_জেরিন
#পর্ব:১৬
,
,
রাতে আমাকে ঘুমাতে হলো আপার সাথে।শুভ সেই যে বাড়ি ফিরে ঘর আটকে বসেছে তো আর খোলার নাম গন্ধই নেই।
আমি সকাল সকাল ঘুমিয়ে খুব ভোরে উঠে পরলাম।
নিচে নামতে নামতেই শুনি শুভ এই সাতসকালে অফিসে চলে গেছে।এতো সকালে তার অফিসে কি কাজ?তাছাড়া এখন কোন পাগলেই বা অফিস খুলে বসে থাকে?বেটা নির্ঘাত আমার উপর রাগ করে অফিসের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।যাতে আমার সামনে পরতে না হয়।
আমিও ভেঙে পরার মেয়ে না।যতোই ও আমায় এভয়েড করুক না কেনো,আমি তো তার রাগ ভাঙাবোই ভাঙাবো।
আগে যখন মেসেন্জারে কথা বলতাম তখন ও বলতো,
—আমাদের দুজনার বিয়ে হলে খুব মুশকিলে পরবো আমি জানো মায়াবতী!
আমি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করতাম,
—মুশকিলে পরবে?কেনো?
—তুমি কোন ভুল করলে তোমার উপর রাগ করে থাকতে যে পারবোনা।মায়াবতীর উপর কি রেগে থাকা যায়?রাগ আসে নাকি?আর যদিও কোন কারনে রাগ এসে যায়,তাহলে তুমি তো আছোই।শাড়ি পরে কপালে কালো টিপ একে আমার সামনে এসে দাড়াবা,নিমিষেই আমার রাগ গায়েব!
আমি হেসে কুটিকুটি হতাম তখন।তবে বুদ্ধিটা মন্দ না।
শুভর রাগ ভাঙানোর এর চেয়ে ভালো উপায় আর কি হতে পারে?
তবে যেহেতু শুভ বাড়ি নেই তাহলে ওর বাড়ি ফেরার অপেক্ষাই করা যাক।
আমি ফটাফট আপার কাছে গিয়ে দাড়ালাম।
আপা কিচেনে নাস্তা বানাচ্ছিলো।
তার হাতের রান্না খুবই ভালো।তাই সে কাজের লোক দিয়ে রান্না করায় না।
আমি পেছনে দাড়িয়ে মিনমিন করে বললাম,
—আপা!
আমার স্বর শুনেই আপা যা বোঝার বুঝে নিলেন।সামনে কাজ করতে করতেই বললেন,
—কি হয়েছে?শুভ চলে গেছে?
তোকে যে কাল বুদ্ধি দিলাম,সে বুদ্ধি খাটালি না কেনো?
—কিভাবে খাটাবো আপা,উনি তো দরজায় খোলেননি!
আপা কথার মর্মার্থ বুঝে মাথা নাড়লেন।হয়তো বুঝলেন,সত্যিইতো দরজা না খুললে আমি ভেতরে যাবো কিভাবে?আর তাকে জাপটে ধরে রাগ ভাঙাবোই বা কিভাবে?
—তো এখন কি করবি?কিছু ভেবেছিস?
আমি উচ্ছাসিত হয়ে সামনে এগোলাম।
—ভেবেছি তো।সেকথাই তো তোমায় বলতে এলাম!
—তাই?তো কি ভাবলি?
ওর পছন্দের রান্না করবি?আর কি?ওর মনের মতো সাজবি?
আমি অবাক হলাম খুব!আমার মনের কথা আপা কিভাবে বুঝে গেলেন?
—তুমি কিভাবে জানলে আপা?তুমি কি জাদু জানো নাকি?
—আরে নাহ,জাদু জানবো কিভাবে?আসলে আমার বিয়ের পর আমিও আমার স্বামীর রাগ এভাবেই ভাঙাতাম।
—সত্যি?দারুণ তো!দুলাভাই এখন কোথায় থাকে আপা?আমি এতোদিনেও দেখলাম নাতো?
হঠাৎ আপার মুখটা কঠোর হতে শুরু করলো।মুখ জুরে রাগের আভাস দেখা গেলো।অথচ চোখে তার টলমলে জল।
এমন অদ্ভুত রুপে কেউ কখনো কাউকে দেখেছে বুঝি?
আমি আপার হাত ঝাঁকালাম।
—কি হয়েছে আপা?কোন সমস্যা?
আপা হাত ছাড়িয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালেন।যেতে যেতে গম্ভীর গলায় বললেন,
—পরোটা টা উল্টিয়ে দিস পিহু!
আমি হতবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।হঠাৎ হলোটা কি আপার?এমন অদ্ভুত ব্যবহারই বা কেনো করলেন?
,
,দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে এলো।আপাকে বলে কয়ে রুমে পাঠিয়েছি আমি।তাছাড়া আজ আপার মনটাও ভাল নেই।সেই সকাল থেকে কেমন অদ্ভুত ব্যবহার করছেন তিনি।
আমি এখন শুভর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
পরনে নীল সুতি শাড়ি।আপা কিনে দিয়েছে আমাকে।নীল শাড়িতে নাকি আমায় দারুণ লাগে।যদিও এটা আমার কথা না,আপার কথা।
সাতে কপালো ছোট কালো টিপ আর চোখে কাজল।ব্যাস, আমার সাজ শপষ।
এর চেয়ে বেশি আমি কখনোই সাজতে পারিনা। কেমন অস্বস্তি হয়।
মনে হয় মানুষের নির্মল সৌন্দর্যকে ঢাকা দেওয়ার কি দরকার?ভারী ভারী মেকআপ করে অতিরিক্ত সুন্দরী সেজে কি লাভ?মেকআপের নিচে যে আসল আমি টাই চাপা পরে যায়!
খাবার টেবিলে আরেকবার উঁকি দিলাম আমি।সব খাবার ঠিকঠাক আছে।আপার কাছ থেকে শুনে যত্ন করে নিজের হাতে সব খাবার রান্না করেছি আমি।
আমার হাতের রান্না খুব ভালো না হলেও একেবারে খারাপ ও না।
বাড়িতে প্রায়ই আমায় রান্না করতে হতো।একটু লবন বা ঝাল কম বেশি হলেই মামির প্রহার তো আছেই।
ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস বের হলো বুক চিরে।
না জানি মা ওখানে কেমন আছে?
মামা মামি নিশ্চয়ই তার সাথে ভালো ব্যবহার করছেনা।
কিছুদিন আগেই আপার ফোন থেকে কল করে মায়ের সাথে কথা বলেছিলাম।
মা মুখে হাসি ফুটিয়ে আমার সাথে কথা বলেছিলো।
কিন্তু আমি তো জানি,মায়ের হাসিটা নকল ছিলো।
ও বাড়িতে থাকলে আর যাই হোক মুখে হাসি অন্তত থাকে না।
আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম,মাকে মামার বাড়ি থেকে আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
কিন্তু তারজন্য আমার একটা চাকরী দরকার।শুভর সাহায্যে তো আর আমি মায়ের জন্য কিছু করতে পারবোনা।
নিজের আত্মসম্মানে লাগবে আমার।
ভাবনা চিন্তার মাঝেই কলিং বেল বেজে উঠলো।আমি শাড়িটা আরেকবার চেক করে দরজা খুলে দিলাম।
তবে ওপাশের দৃশ্য দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুুত ছিলাম না।
শুভকে কোন অন্যমেয়ে জাপটে ধরে আছে।শুভর মাথা এলিয়ে আছে তার কাধে।
মুখচোখ তার শুকনো।কেমন অসুস্থ অসুস্থ লাগছে তাকে!আমার বুকটা হঠাৎ ধক করে উঠলো।
সেটা অন্যকোন মেয়ের বাহুতে শুভকে দেখার জন্য নাকি শুভর শুকনো মুখ দেখার জন্য সেটা বুঝতে পারলাম না।
আমি এগিয়ে গিয়ে উদ্দিগ্ন হয়ে বললাম,
—কি হয়েছে ওর?
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করলো।বললো,
—ক্লাবে ছিলো,অতিরিক্ত নেশা করায় একা বাড়ি আসার মতো অবস্থা ছিলোনা,তাই আমি নিয়ে এলাম।
আমার খুব বলতে ইচ্ছে হলো,
–কেনো নিয়ে এলেন আপনি?কেনো আনতে গেলেন?বাড়িতে কি ফোন করে বলা যেতো না?আমি কি ওকে আনতে পারতাম না?
তবে মনের কথা মুখ অবদি এলোনা আমার।
চোখমুখ কুচকে মুখে হাসি টানার চেষ্টা করে বলে উঠলাম,
–আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।শুধু শুধু এতো কষ্ট করতে হলো আপনাকে।
ঠিক আছে এখন আমিই নিয়ে যেতে পারবো ওনাকে।
শুভকে ধরতে যেতেই সে সরে দাড়ালো।
অস্পষ্ট ভাবে বলে উঠলো,
—আমাকে তুই ঘরে দিয়ে আয় রুবি।
রুবি নামক মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।যেনো শুভর কথায় সে বিশ্বজয় করে ফেলেছে।
আমি কাঠ কাঠ গলায় বললাম,
—আসুন, ঘর ঐদিকে।
,
,
চলবে…..