সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ২১
সকালে দরজা নক করার শব্দ কানে আসতে আরাধ্যার ঘুম ভাংলো।
দরজার বাইরে থেকে রিধি বলল,
ভাবীইইইই আর কতোক্ষণ? আজকে তো রিসিপশন ভুলে গেছিস নাকি?
তাড়াতাড়ি আয় ব্রেকফাস্ট করেনে। আবার পার্লার থেকে মেয়েরা আসবে তোকে সাজাতে।
আরাধ্যাঃ হুম, আমি উঠছি।
ওয়েট দরজা খুলছি।
আরাধ্যা তাড়াতাড়ি আরিয়ানকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিল।
আরাধ্যাঃ স্যার,
খাটে গিয়ে ঘুমান, রিধি আসছে জাগাতে।
আরিয়ান গিয়ে খাটে শুয়ে পড়লো।
আরাধ্যা সোফার সব ঠিক করে রিধিকে দরজা খুলে দিল৷
রিধিঃ গুড মর্নিং ভাবীইইইইই।
আরাধ্যাঃ কিসের ভাবী? আমাকে আরু বলবি।
আমি তোর বেস্টু ছিলাম, আছি আর থাকবো।
রিধিঃ হুম, লাভ ইউ সোনা।
আরিয়ান লেপের থেকে মুখ বের করে বলে উঠলো,
হুহহহ আমার মা বোন সবাইকে হাত করে নিলে আরু? আজ কাল তো আমাকে কেউ চেনেই না।
রিধিঃ আরু চল।
ভাইয়া আমি আর আরু যাচ্ছি। তুই ফ্রেস হয়ে আয়।
.
.
.
টেবিলে বসে আছে বড়রা।
পাশের সোফায় আরু রিধি ও তাদের অনান্য ফ্রেন্ডরা আছে৷
প্রিয়াঃ কিরে আরাধ্যা,
কাল রাতে কি কি হলো হুম?
নিলাঃ এই তোরা চুপ কর তো, আরু আমাকে সব বলবে।
রিধিঃ আগে ওকে খেতে তো দে প্লিজ।
জয়াঃ ইসস ভাবীর জন্য কতো আদর।
আরাধ্যাঃ রাতে অনেক কিছু হইছে,
তবে কাউকে বলা যাবে না।
রিয়াঃ কিহহহহহ? কেন বলা যাবে না।
আরাধ্যাঃস্যার না করছে বলতে।
নিলাঃ তাই বলে বলবি না? (মন খারাপ করে)
আরাধ্যাঃ আরেহহহ এসব শুনার কি আছে?
ওগুলা ওগুলা আর কি।
রিধিঃ আচ্ছা থাক, বুঝছি আমরা।
এবার খেয়েনে।
.
এদিকে আরিয়ানের ফ্রেন্ডরা ও আরিয়ানকে একই প্রশ্ন করে আছে।
আরিয়ান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
রাতে কিচ্ছু হয়নি।
তারপর সব কিছু বলে। আর তার ফ্রেন্ডদের না করে দেয় কেউ যেন কিছু বুঝতে না পারে।
.
.
.
আরাধ্যা আজকে কালো একটা গাউন পরেছে,
আরিয়ান কালো শার্ট আর ব্লু জিন্স।
দুজনকে পাশাপাশি খুব মানিয়েছে, কারো নজর যেন না লাগে তোমাদের উপর।
পিছন থেকে বলে উঠলো ফাতেমা বেগম।
.
আম্মুউউউ ফাতেমা বেগমর উদ্দেশ্যে বলল আরাধ্যা। কাকে বেশি সুন্দর লাগছে?
ফাতেমা বেগমঃ তোকেই তো বেশি সুন্দর লাগে।
আরিয়ানঃ আম্মু তোমার ছেলে কিন্তু পাশে আছে।
ফাতেমা বেগমঃ আগে মেয়ে তারপর ছেলে।
আরিয়ানঃ ঠিক আছে, মনে থাকবে সব।
.
এভাবেই সারাদিন খাওয়া দাওয়া আর মজা করে কেটে গেল৷
রাতে আরাধ্যা সোফায় শুয়ে আছে, আরিয়ান খাটে।
কাল রাতে আমার সাথে কি হয়েছিল এসব?
নাকি আমার মনের ভুল? ভাবতে ভাবতে ঘুম এসে গেল আরাধ্যার।
আজ রাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটলো।
সকালে সব ঠিক শুধু রাতেই এমন হয় কেন আমার সাথে? কাউকে কিছু বলবো?
না না আমাকে পাগল ভাব্বে সবাই।
মনে মনে ভাবছে আরাধ্যা।
.
.
.
আবার আগের মতো কলেজ যাওয়া শুরু করলো আরাধ্যা। আরিয়ান অফিস যাওয়ার সময় রিধি আর আরাধ্যাকে কলেজে দিয়ে যায়,
আর দুপুরে বাসা থেকে গাড়ি এসে ওদের নিয়ে যায়।
নিবির নামের একটা ছেলে আরাধ্যাকে খুব ডির্স্টাব করতো। কিন্তু দুদিন থেকে ওকে কলেজেই দেখা যায় না। সবাই বলে ও নাকি গায়েব হয়ে গেছে। কিন্তু কিভাবে তা কেউ জানে না।
এদিকে আরিয়ান খুব কেয়ার করে আরাধ্যার।
আরাধ্যার আরিয়ানকে বেশ ভালো লাগতে লাগলো। রিধিরও রাজের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সব কিছু খুব ভালো চলছে।
.
একদিন আরাধ্যা রুম ক্লিন করতে করতে হঠাৎ আরাধ্যার হাতের সাথে ধাক্কা লেগে একটা দরজা খুলে গেল। যেটা দেখতে পুরোটা দেয়ালের মতো। আরাধ্যা তো এটাকে দেয়ালই ভেবেছে। রাতে এই দেয়ালের কাছে গেলেই ওই শব্দ গুলো জোরে জোরে শুনতে পেতো আরাধ্যা।
রুমের ভিতর ডুকে আরাধ্যা চমকে গেল,
তার মানে এসব করছে স্যার এতোদিন ধরে?
চলবে……