#স্বামী (সিজন-২).❤️
#পর্ব –২৩
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
____________________________
“-বারান্দার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তিতিলের।চোখের পানিটা এবার শুকিয়ে এসেছে।
তিতিলের শেষ ভরসা টা শেষ হয়ে গেছে কিনা।
অন্ধকারে আলোর আশায় ছিলো তিতিল।তবে এত ঘন অন্ধকার ছিলো জীবন টা, আলোর দেখা মিললো না।
-জানা নেই কপালে আর কি লিখা।তবে যাই লিখা তা আজ থেকে হাসি মুখে বরন করবো। সুখের আশায় না হয় সবাই বাঁচে আমি না হয় দুখের জন্যে বাঁচব।
—চোখের পানি মুছে তিতিল নিজের ব্যাগটা শক্ত হাতে ধরেছে।
কারন রিদয়ের নিরবতা তিতিলের সকল জবাব দিয়ে দিয়েছে।
” আরিফ রহমান রিদয়কে জানালো তিতিলের প্রেগনেন্সির খবর।তিতিল এক মিথ্যা আশা বেধে ছিলো।হয়তো রিদয় তিতিলকে বুঝবে।হয়তো রাতের কথা তার মনে নেই।তবে এই তিতিল এমন কোন কাজ করতে পারে না, যাতে শুধু উনার নয় বরং কারো বিশ্বাস ভংঙ হবে। এটা তো মানতো।
— আরিফ রহমানের কথা শুনে কোন শব্দ ছারাই রিদয় ফোনটা কেটে দিয়েছে।এতেই বুঝা গেলো রিদয় কষ্ট পেয়েছে।তার ঘরের বৌ এর চরিত্র কতটা নূন্যতম।
“আর কিছু বলার আছে তর!
এই কথাটার উওর কি দিবে তিতিল আরিফ তো তিতিলের শেষ ভরসার চেহারাটা সামনে নিয়ে এসেছে।
” ভালোই হয়েছে বাবা উনার জবাব পাওয়া গেলো।নয়তো আমার শুধু শুধুই মনে একটা আশা রয়ে জেতো।
— আরিফ বেশ কষ্ট পেয়েছে,মেয়েটাকে কত ভালো জানতাম।
“তিতিল আজ মাথায় কাপর টানেনি।আচঁলটা মাটিতে পরে রয়েছে।
পাগল পাগল লাগছে। বাড়ির গেটের শেষ প্রান্তে এসে তিতিলের দির্ঘশ্বাস। বাড়িটা দেখে নিলো এই বারান্দা।ঐ ঘর গুলো।ফুলবাগানের বৌঠক খানাটা।
জুই ফুলকে দেখতে ইচ্ছা করছে। তবে সেটা তো হবে না। বড্ড মায়া হয় ফুলটার জন্যে।জুইটা যাই একটু বুদ্ধি আছে তবে ফুলটা বড্ড বোকা সোকা।
কে ওদের জাগিয়ে তুলে স্কুলে পাঠাবে।কে বাবাকে তার সময় মত চা করে দেবে।
আর উনি! উনার সব দরকারি জিনিস পত্র সকাল সকাল কে সামনে সাজিয়ে রাখবে!!
– না তিতিল এই মায়ার বাধন ছার।ওদের প্রয়োজন নিয়ে ভাবিস না।ওরা আগে যেমন ওদের প্রয়োজন মিটিয়েছে সেভাবেই মেটাবে।তবে তর প্রয়োজন এই বাড়িতে নেই তা ভালো করে বুঝে নে।
বাবা তো বললো মেয়ের মত দেখতো।তবে সত্যি কারের মেয়ে ভাবেনি ভাবলে মেয়ের সাথে এমনটা করতে পারত না।আমার বদলে যদি উনার মেয়ে এই পরিস্থিতে থাকত তাহলে কি পারত এভাবে বিনা দুষে অপমান লান্ছনা দিয়ে বাড়ি থেকে কুকুরের মত দূর দূর করে তারিয়ে দিতে!!
” বাধাই করা স্বামী আমার।নিজের সন্তানের খবরে তার অন্তর ফাটছে। এই আমার খর কুটোর ঘর! যা হালকা হাওয়ায় সব উরিয়ে নিলো।
..
_________
“- পাগলের মত রাস্তায় হাটছে।এই মাএ নদীর ধার থেকে এসেছে তিতিল।
মরতে গিয়েছিলো। তবে যে আসছে তাকে মারার অধিকার তো পায়নি।যাই হক স্বামীর শেষ চিন্হ। না হয় একে আকরেই জীবন পার হবে।
” বাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে মন ভরে সব দেখতেও পারল না। আরিফ রহমান মুখ উল্টো দিক ঘুরিয়ে তিতিলকে জলদি বের হবার আদেশ দিলো। কারন ও সামনে থাকলে তার কষ্ট হচ্ছে ভিষন কষ্ট।
রিদয়ের রেখে যাওয়া টাকাটা নিয়ে তিতিল বের হয়েছিলো।ঐ টাকা দিয়ে বহু লম্বা পথ পারি দিতে হবে।
—–
“- বাড়িতে জুই ফুল এসে তাদের ভাবি মা কোথায় পশ্ন করতে করতে মাথা খেয়ে নিয়েছে।
সায়ন শুধু চুপচাপ অবাক হয়ে দেখছে।
যাবার বেলায় ছিলো আর একটু সময়ের মধ্যে ভাবি কোথায় গেলো?
“- সায়ন আর সাহস পেলো না, তার কাকাকে জিজ্ঞাসা করতে ভাবি কোথায়।
কারন আজকে জুই ফুলকে এত জোরেই ধমক দিয়েছে যে জন্মের পর কখনো দেয়নি।
এতটা রেগে আছে আরিফ রহমান।
মানুষ চিনতে কিনা শেষে ভুল করলাম!অন্যের হিসাব কষতে কষতে নিজের ছেলের জীবনের হিসাব গুলিয়ে ফেলেছি। আমার ছেলেটার কি হবে,ইয়া আল্লাহ কি করব!!
এসব শুনে হয়তো রিদয় ভেংঙে পরেছে।ফোনটা তুলছেনা অবদি।
রিদয়কে সামাল দিতে পারবে শুধু ওর ভালোবাসা।তাই আমায় জেতে হবে সেতুকে আনতে হবে।
-জুই ফুল রুমের দরজা বন্ধ করে চাপা কাঁন্না করছে।বাবা আজকে এভাবে ধমকালো!
ভাবিটাও নেই কোথায় গেছে!এখন ও অবদি আমাদের নাস্তা দিলো না।
জুই ফুলের মাথায় হাত বুলিয়ে নিজেই রান্না ঘরের দিকে পা বারালো।ফুল তো খিদে সইতেই পারেনা। ঝট পট কিছু একটা বানিয়ে খেতে দিই।
“—–সায়ন শুধু এদিক থেকে ওদিক।তিতিলকে দেখতে পারছেনা,কাকা এত রেগে জিজ্ঞাসাও করতে পারছিনা।
মাকেও ফোন দিয়ে কিছু জানালোনা।কারন রোকেয়া বেগমই তার ভাইয়ের চিন্তায় মরিয়া তার উপরে আরেক টেনশন দিয়ে লাভ নেই।
_______________
“- কিরে এত সকালে তুই!!
আরিফ রহমান গোল গোল চোখ করে অবাক নয়নে রিদয়ের পানে তাকিয়ে।চোখ কচলিয়ে আবার দেখেনিলো রিদয়ই কিনা।
রিদয়ের মুখে এমন এত সুন্দর মিষ্টি হাসি কেন,বহু দিন বাদ এমন হাসি..? হাতে এত খেলনা, ফল আচার চলা ফেরা একটা দোকান লাগছে।কাঁধে পুতুল গলায় কিছু ঝুলছে দুই হাতেও অভাব নেই।
“- দরজাটা খুলতেই হন হন করে রিদয় ভিতরে হাজির।
বাবা তিতিল কোথায়!!
তিতিল এই তিতিল মুখে কি সুন্দর হাসি আহা আজকে কি আনন্দের দিন।বাবা কালকে কি খবরটাই না শুনালো।শোনার ওপর থেকেই রিদয় আত্মহারা।
ফোনটা রেখেই তার ব্যাগ গুছিয়ে ক্যাম্পের কাউকে না জানিয়ে এক রকম পালিয়ে এসেছে। কারন এই মূহুর্ত্বটা তিতিলের সামনা সামনি হয়ে উপভুগ করতে চায়। বলে আসলে আসতে দিতো নাকি।
তিতিল কে ঐ দিনের ব্যাপারটা বুঝতে না দিলেও রিদয় সব বুঝতে পেরেছিলো। আর তিতিল লজ্জায় না পরে সেই কারনে রিদয় সব বলেনি। এমনিতেই সামনে আসতে চায়না, আর বললে তো ঘর থেকে বের হবে না।
তবে ঐ ভুল আজ ফুলে পরিনত হয়েছে।
” আরিফ রহমান রিদয়ের কান্ডে অবাক,চোখের চশমাটা খুলে চেয়ারে বসে পরেছে।কিছুই বুঝতে পারছে না।
কি হচ্ছে এসব……
রিদয় প্রথম তিতিল যে ঘরটায় থাকতো ওটায় গেলো, তিতিলকে না পেয়ে নিজের ঘরের দিকে চলছে।যাওয়ার সময় তো বলে গিয়েছিলাম আমার ঘরে থাকতে তাই হয়তো ঐ ঘরেই থাকা হয়।আমার কথার মান্য করেছে লক্ষী বৌ।
আজ থেকে এমন বৌ কে মাথায় রাখবো। আগেতো তিতিলের পেটে চুমু খাবে এখানে যে তার এক অংশ গরে উঠেছে।
“- সব নিয়েই নিজের ঘরে রিদয়।সেখানেও তিতিল নেই। মন টা খারাপ হয়ে গেলো। তিতিল তিতিল করে চেচাচ্ছে কানে যায়না নাকি। নাকি আমি এসেছে জেনে লজ্জায় কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।
আরিফ রহমান রিদয়ের চলার পথে সামনে হুট করে দারিয়ে গেলো।
-কি করছিস বল তো!
তিতিলকে কেন ডাকছিস!আর এসব কি! তুই কি কালকের কথা ভুলে গেছিস।
” বাবা তোমায় বয়স বাড়ছে না কমছে বুঝিনা। আরেহ ভুলিনি বলেই তো ছুটে এলাম, প্রথম প্রথম বাপ হব। হবু সন্তানের মায়ের মুখ দেখবো না।
এই দেখোনা কত কিছু এনেছি।
আঁচার. সব ধরনের আঁচার আছে। এই দেখো খেলনা কত খেলনা।
“- এত সকালে ঘুম ভাংঙলো এখনও ভালো করে ঘুমের রেশ কাটেনি আরিফ রহমানের।
তাই বুধহয় ভুলভাল সপ্ন দেখছে।দেখতে পাচ্ছে রিদয়ের উদ্ভট কান্ড।
প্রথম তো তাই ভাবছিলো তবে এবার সিউর হল এটা তো কোন সপ্নই নয়। রিদয়ের এই মাএ বলা কথায় আরিফ রহমানের হাত থেকে চশমাটা অজান্তেই ফ্লোরে পরেছে।
—প্রথম বার বাবা হবে।এর মানে কি? রিদয়ের উজ্জল মুখ টা একটু মেঘলা হয়ে এলো।
কারন আরিফ রহমানের চোখের পানি দেখে।
” বাবা কি হয়েছে?
বাবা!!
দুইবারের ডাকেও আরিফ চুপ।কানেতো সমস্যা নেই,সবই শুনতে পারছে আর শুনতে পারছে বলেই থমকে আছে।
ইচ্ছা করছে ঘরির কাটাটা উল্টো দিক ঘুরিয়ে দিয়ে কালকের সময়টা ফিরিয়ে আনি।
— রিদয় বিচলিত হয়ে গেছে তার বাবার চেহারা দেখে।সব রেখে তার বাবার এমন করুন মুখ হওয়া নিয়ে ভাবছে।
”
বাবা কি হয়েছে তুমি এমন ঘামছো কেন? এত ঘাবরে রয়েছো কেন?
বাবার সাথে কথা বলতে বলতে ওর চারিদিকটা চোখ বুলিয়ে নিলো।বাবা তিতিল কোথায়!!
আর তোমার শরিলটা কি ভালোনা!!
— উচ্চ শব্দ করে আরিফ রহমান কেঁদে উঠেছে। রিদয় আমি বড় ভুল করে ফেলেছি বাবা। আমায় মাফ করে দিস।সত্যি মানুষ চিনতে ভুল করে ফেলেছি।
” বেশ অস্থিরতা নিয়ে আরিফ হাপাচ্ছে আর কথা বলছে।
রিদয় দৌড়ে এক গ্লাস পানি এনে তার বাবার গলাটা ভিজিয়ে দিলো।
শান্ত শান্ত বাবা কি ভুল করেছো? আসার পর থেকে এমন করছ কেন?
“- রিদয় আমায় ভুল নয় বাবা পাপ করে ফেলেছি।তিতিল সন্তান সম্ভবা শুনে আমি বেশ উক্তেজীত হয়ে গিয়েছিলাম।
আর যা নয় তা বলেছি, ওর গর্ভে থাকা সন্তানকে অন্যের পাপ বলে আক্ষা করে বাড়ি থেকে কুকুরের মত তারিয়ে দিয়েছি। কোন কথাই শুনিনি। ওর বাবাকে নিয়ে বংশ পরিচয় নিয়েও কটু কথা বলেছি।
— হাতে থাকা গ্লাসটা অনায়াসে পরে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
এটা কি করে দিলো বাবা।আমার সন্তান কে পাপ বললো! নিজের বংশধর আসবে, আনন্দ না হয়ে,এর শাস্তি দিলো তাও এত বড় শাস্তি!!
“- আরিফ রিদয়ের পায়ে পরে গেছে, আমায় ক্ষমা কর বাবা, আমি যে কি করে দিলাম, সব শেষ করে দিলাম।মেয়েটার কোন কথা না শুনে কালকে বিকেলেই বের করে দিয়েছি।
আমি বুঝতে পারিনি আমারই বাড়ির চিরাগকে পাপ বলেছি বাবা।
ছি বাবা কি করছো এসব বাবা উঠো উঠো। বাবা একদিকে আরেক দিকে স্ত্রী।
—- রিদয়ের চোখ বন্ধ করে চোখে আসা পানিটা আটকে নিলো। বাবারই বা কি দুষ,আমাদের সম্পর্কটাই এমন ছিলো।
” বাবা আমাদের সম্পর্ক টা যেমনই ছিলো।তবে এটা ভাবলে কেমন করে তিতিল এমন একটা কাজ করবে? এই মেয়েটা কোন পাপ করতে পারেনা ওর মুখের দিকে তাকিয়েই দেখে নিতে ওর সরলতা।ওর নিশ্পাপ চোখ গুলো।
— ভুল হয়েছে আমার বড় ভুল।আর কালকে তো তর সাথে কথা হল।তুই তো বললি না। শোনে ফোনটা রেখে দিলি।তাই আমি আরো সিউর হয়েছিলাম,তিতিল চরিত্র হীনা, আর তাই তুই রাগে ফোন কেটে দিয়েছিস।
” চোখের পানি বহু কষ্টে আটকাতে চেয়েও পারছে না।রিদয়ের এই ছোট্ট ভুলটার জন্যে তার স্ত্রী ও তার গর্ভে থাকা অনাগত সন্তানকে নিজের বাড়ি ছারতে হয়েছে।
বাবা আমিতো ফোনটা কেটেছিলাম কারন এক মুহুর্ত আর ঐ খানে থাকতে চাইনি বলে।
সাথে সাথে সেখান থেকে পালিয়ে ছুটে এসেছিলাম স্ত্রী সন্তানের জন্যে।
তুমি কেমন করে ভাবলে আমার তিতিল নষ্টা?
— আমিতো তদের সম্পর্ক এত গভির তা জানতাম না।আর না তিতিল আমায় খুলা খুলি কিছু বলেছে।শুধু বলেছে এই সন্তান পাপ নয়।একবারও বলেনি এটা তর সন্তান।
” ওতো জানেনা বাবা এই সন্তানের বাবা আমি হব কিনা, বা আমার কিছু মনে আছে কিনা।তাই তোমায় কিছু বলেনি।তোমার অপবাদ মাথায় নিয়ে চুপ চাপ তোমার আদেশ পালন করেছে।
“মনে আছে নাকি মানে? বাবা হবে নাকি এসব কেমন কথা?ছেলের কথা বুঝলো না, তবে এত বড় একটা ভুল তা সুধরাতেই হবে।
পায়ে ধরে হলেও তিতিলকে তার ঘরে আনতেই হবে।যে কোন কিছুর মূল্যেই হক না কেন।
চল বাবা চল সব কথা পরে হবে।তিতিলকে আগে আনতে হবে। যা শাস্তি দেবে তাই মানব।পায়ে ধরে মাফ চাইবো। জলদি চল কোন ভুল কদম না উঠিয়ে ফেলে।
—— না বাবা তিতিল এমন কিছুই করবে না। ও আমার ভালোবাসাকে এভাবে শেষ করতে পারেনা।
” পা জেনো এগুতে চাইছে না।কেমন লাগছে রিদয়ের মাথা ঘুরছে।কিতে কি হল।আজকে আমার জন্যে তিতিলকে এমন দিনও দেখতে হল।
রিদয় দারিয়ে থাকিস না, অনেক টুকু পথ। জলদি চল বাবা। তিতিলের কাছে পৌছাতে হবে।যত তারাতারি সম্ভব তিতিলকে সমর্যাদা দিয়ে ঘরে আনবো,আজকে আবার বিয়ের আয়োজন হবে।আজকে আবার বাড়িতে সানাই বাজাবো নতুন করে বরন করব আমার বৌ মা আর তার গর্ভের সন্তান কে, এই সারা শহর দেখবে আজ চল বাবা।
–রিদয়ের মলিন মুখটা একটু হাসি টেনে বাবার কথায় সায় দিয়েছে।
তিতিল আজকে যা খুশি হবে।এই জেনে যে আমি সব জানি সব মনে আছে।আর ওকে মেনেও নিয়েছি।
সায়ন তাদের বারান্দায় দাড়িয়ে সব শুনলো।এতে যা বুঝার বুঝেছে।কাল কতটা কষ্টই না ভাবি পেয়েছে। ইস যদি আমি বাড়ি থাকতাম তাহলে ভাবিকে কিছুতেই বাড়ি ছারতে দিতাম না।
—
—বাপ ছেলে কোথায় চললে!!
“এই মুহুর্তে সেতুকে আশা করেনি কেউ।
কেমন জেনো দেখাচ্ছে সেতুকে।জেনো দোলনা ঝুলছে এমন লাগছে।
ও কি নেশা করে??
তুমি এত সকালে এখানে কেন?
খবর পেলাম তুমি আসছো, তাই সময় মত আমিও এলাম।
তা বাপ বেটা কি ঐ ছোট লোক ঘরের মেয়ে তিতিলকে আনতে যাচ্ছো।
–সেতুকি সব জেনে গেছে!
জানলে জানুক আজ কাউকে ভয় পায়না রিদয়।
আজ গলা ফাটিয়ে বলবে তিতিল তার স্ত্রী..
হ্যা আমার স্ত্রী কে আনতে যাচ্ছি।
“আহ রিদয় তারা কেন এত।
কালকের সিন টা ভালো ছিলো।তবে আজকেরটা মুটেই পছন্দ হল না।
-কি সিন সিন করছ।সামনে থেকে সরো আমাদের জেতে দাও।তেমার সাথে পরে কথা বলছি।
—-sry জানু।আমিতো কথা বলতে আসিনি।
তুমিতো জানো আমি যা চাই তাই পাই।যা পাইনা তা কাউকে পেতে দিই না।
” হ্যান্ড ব্যাগ থেকে পিস্তল বার করে রিদয়ের সামনে ধরেছে।
মাফ করে দিও জানু।তোমাকে ঐ তিতিলের সাথে আমি দেকতে পারবো না। সো টাটা ঐ পারে দেখা হবে।
কথাটা বলেই কাউকে কিছু বলার সোজগ দেয়নি।আরিফ বা রিদয় কিছু বলবে তার আগেই রিদয়ের বুকে একটা গুলি চালিয়েছে সেতু।
— রিদয়!!
” আরিফ ছেলেকে ধরবে না সেতুকে শেষ করবে? সায়ন ছুটে এসেছে এসেই সেতুর থেকে পিস্তলটা নিয়ে ওকে এক গুলি করে বসেছে।তবে তা হাতের বাহুতে ছুটে বেরিয়ে গেছে।
ডায়নি আমার ভাইকে গুলি করলি…
আরিফ ছেলেকে নিয়ে মাটিতে বসে পরেছে।রিদয় রিদয় বাপ আমার কি হয়ে গেলো।সায়ন জলদি আয় রিদয়কে হাসপাতালে নিতে হবে রে।
চোখের সামনে ছেলের কষ্ট আর সজৎ হচ্ছে না।সব শেষ হতে চলছে।এই কি সতী নারীকে পাপি বানানের শাস্তি।
বাবা… আমার সন্তান কি তার বাবার ছত্র ছায়া পাবেনা!!!
তিতিলকি কোন দিন স্বামীর ঘরে ফিরবে না..
রক্তে ভেসে গেছে তার শার্ট. এই. কথাটা বলেই
চোখ দুটো এবার নিভে এসেছে রিদয়ের।
(চলবে)