হবে কি আমার পর্ব -২৮

#হবে_কি_আমার(২)
#writer_Ruhi_mondal
#পর্ব _28

বিয়ে বাড়ীতে পৌঁছাতে রাত আটটা বেজে যায়, সৌরভদের নিজ বাড়ীতেই ছোট আয়োজন করে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে,বাড়ীর সামনে বড়ো ফাকা জায়গায় প্যান্ডেল হয়েছে, অনু অরিন্দম পাশাপাশি হাঁটছে আর অনু চারিদিকে দেখছে, কি সুন্দর সাজানো হয়েছে চারিপাশ ঠিক তার তনু দির বিয়ের দিনের মতো যেদিন ওদের ও বিয়ে হয়। অনু অরিন্দমের দিকে তাকিয়ে আফসোস করে বলল,
__”ইস্। আমারও খুব ইচ্ছে ছিল সারাদিন হলুদ মেখে সন্ধ্যায় সুন্দর করে সেজে মণ্ডপে তোমার সাথে শুভদৃষ্টি করে বিয়ে করবো।”

অরিন্দম মুচকি হেসে বলল,
__”আমাদের তো শুভদৃষ্টি করে বিয়ে হয়েছে বউ! ইনফ্যাক্ট আমার মনে হয়, আমাদের যখনই দৃষ্টি মিলিত হয় তখনই সেটা শুভদৃষ্টি হয়।”
___’আমি সেটা বলছি না! আমি বলছি সমস্ত নিয়মকানুন মেনে সকাল থেকে হলে ভালো হতো।’

__’তাহলে চলো আবার বিয়ে করা হক!”
অনু সিরিয়াস ফেস করে বলল,
___’না বাবা আবার বিয়ে করতে গেলে যদি মামী বলে আমাকে আর তোমাকে আলাদা থাকতে হবে, তখন কি হবে? তোমাকে না দেখে আমি থাকতে পারবো না!’

অরিন্দম তাকালো অনুর দিকে, মেয়েটা তাকে কতটা ভালোবাসে আর তা দেখে মাঝে মধ্যে নিজেই আশ্চর্য হয়ে যায়। অরিন্দম হেসে দিয়ে বলল,,”তাহলে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো! আর সামনে কি হচ্ছে দেখো।”

বাড়ীর ভিতরে আসতেই চন্দ্রানী দেবী অনুর হাত ধরে বললেন,
__’ আমার সাথে চলো সবাই তোমাকে দেখতে চাইছে।’
অনু মাথা নাড়িয়ে চন্দ্রানী দেবীর সাথে চলে যায়,আসা থেকে সবাই তাকে দেখে দেখে কালো করে দিচ্ছে,সে কোনোরুপ কথা না বাড়িয়ে হাসি মুখে এগিয়ে গেল। আর অরিন্দম নিজের বন্ধুদের কাছে।

এই হচ্ছে আমার বৌমা। দেখতো কত মিষ্টি হয়েছে, চন্দানী দেবী সামনে থাকা মহিলা গুলিকে অনু’কে দেখিয়ে বললেন।

তাদের মধ্যে দুটি মহিলা হেসে বললেন,,
__’ভারী মিষ্টি হয়েছে!’
__এই মেয়ের থেকে আমার মেয়ে “করুনা” হাজার গুণ ভালো! অরিন্দম কে কতবার বললাম আমার মেয়েকে বিয়ে করতে কিন্তু ও ছেলে বলে সে বিয়ে করবে না। কিন্তু দেখ বিয়ে ঠিক গোপনে করে নিয়েছে। পাশে থাকা এক ভদ্র মহিলা বললেন কথাটা।

অনুর চোখ চড়ক গাছ সে বিষ্ময় ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মহিলা তার সামনেই তাকে নিয়ে নিন্দা করেছে আবার তার বর কে
অনু কন্ঠে তেজ নিয়ে বলল,
__’এই যে আন্টি কি বলছেন আমার থেকে আপনার মেয়ে বেশি সুন্দরী, তার সাথে আমার বর কে বেশী মানাত?

মহিলাটি বললেন,, “আলবাদ মানাত!”

অনু কিছু বলতে যাবে চন্দ্রানী দেবী তাকে আটকে বললেন
__”করুনার মা তোমাকে কতবার বলবো আমার ছেলে তোমার মেয়ে কে কখন পছন্দ করেনি!”

__’তুমি ভুল জানো অরিন্দম আমার মেয়েকে বলেছিল সে তার কথা ভেবে দেখবে, কিন্তু..
অনু চোখে মুখে কাঠিন্য এনে বলল,
__”আপনি সত্যি বলছেন?”

__’হ্যাঁ সত্যি ওই দেখ ওই তো আমার করুনা মা কি সুন্দর লাগছে হলুদ শাড়ীতে আর অরিন্দম কে ও দেখ কত খুশি নিয়ে কথা বলছে কিন্তু এখন আর কি লাভ.. আমার মেয়েটাও জানে না যে অরিন্দম বিয়ে করে নিয়েছে,

অনু ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখল অরিন্দম ওই করুনার সাথে কথা বলছে তা দেখে অনুর মেজাজ বিগড়ে গেলো সে বড়বড় পা ফেলে অরিন্দম নিকট গিয়ে দাড়াল, অরিন্দম অনুকে দেখে হেসে বলল,,
__আরে তুমি আমি তো তোমাকে..
অনু অরিন্দমের বাহাত জড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
__’তোমাকে পরে দেখছি!’
অরিন্দমের ভ্রু কুঁচকে গেল সে আবার কি করলো?

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা করুনা নামের মেয়েটার মুখ অনুকে দেখে পাংসুটে হয়ে গেল। সে অরিন্দম কে বলল,,”অরিন্দম এটা কে?”

অনু দাঁত বের করে হেসে বলল,
__”আমি উনার বউ। আর তুমি উনাকে অরিন্দম কেন বলছ? তোমার বড় হয় সো দাদা বলবে!”

করুনা বিষ্ফোরিত নয়নে তাকাল,সে জানত না অরিন্দমের বিয়ে হয়ে গিয়েছে সে বিষ্ময় ভরা কন্ঠে বলল,
__”অরিন্দম তুমি বিয়ে করেছ?”
অরিন্দম কিছু বলতে যাবে অনু বলল,
__’কেন উনি বিয়ে করতে পারেন না বুঝি?

___’না কিন্তু..
__”কোনো কিন্তু না, আমরা আসছি, কিছু পার্সোনাল কথা আছে, বাই। বলে অনু অরিন্দমের হাত টেনে নিয়ে সাইডে গিয়ে দাঁড়াল অতঃপর সে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল। তার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে প্রচন্ড রাগ।
অরিন্দম কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনু তর্জনী আঙ্গুল উঁচিয়ে চোখ পাকিয়ে বলল,
__”তুমি ওকে বিয়ে করবে বলেছিলে?”

অরিন্দম শুকনো ঢক গিলল,সে দ্রুততার সঙ্গে বলল,
__”কক্ষনো না!”
__”তাহলে ওর মা বললেন কেন?”

অরিন্দম কি বলবে বুঝতে পারছে না। করুনা তাকে তিন বছর আগে প্রপোজাল দিয়েছিল সে যখন প্রায়ই গ্রামে আসত। কিন্তু অরিন্দম বারংবার তাকে ফিরিয়ে দিত, লাস্ট টাইম করুনা খুব কান্নাকাটি করছিল তাকে একসেপ্ট করতেই হবে এমন একটা ব্যাপার, অরিন্দম কোনরকম নিজেকে বাঁচাতে বলেছিল সে বিয়ে করবে না, সন্ন্যাসী হবে। বোকাসোকা করুনা তা বিশ্বাস করে বলেছিল তার যতদিন না বিয়ে হচ্ছে ততদিন যেন অরিন্দম বিয়ে না করে আর যদি করে তো তাকেই করতে হবে নতুবা না। করুনা অন্য কাউকে বিয়ে করলে তার পর যদি সে মত বদলায় তাহলে ঠিক আছে তার আগে না। অরিন্দম তাই ওর ভয়ে রাতে গ্রামে আসত ভোর রাতে চলে যেত। কিন্তু সে শুনেছে করুনা কোনো ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে তাও আবার দু বছরের বেশি তাই সে নির্ভয় গ্রামে এসেছিলো। কিন্তু অনু কে সে বোঝাবে কি করে?
অনু চিল্লিয়ে বলল,।
__”কি হলো বলো তুমি ওর সাথে প্রেম করতে?”

অরিন্দম দ্রুততার সঙ্গে আবার বলল,
__”দেখ বউ ও আমাকে তিন বছর আগে থেকে প্রোপোজ করে আসছে আমি অনেক বার বুঝিয়েছি শোনেনি কান্নাকাটি করত তাই ওকে বলেছিলাম আমি কখনো বিয়ে করব না কাউকে। ও কথাটা শুনে কান্না থামিয়ে ছিল।
অনু তেজ নিয়ে বলল,
___ ‘এই তুমি তো আমাকে ও বলেছিলেন যে তুমি বিয়ে করবে না..’

অরিন্দম অনুর দুকাধে হাত দিয়ে বলল,
___’বউ নিজের সাথে অন্য কারোর তুলনা করবে না। আমি ওকে কখন ওই চোখে দেখিনি যে চোখে তোমাকে দেখেছি! আমার মনে তুমি ছাড়া অন্য কোনো নারী জায়গা করতে পারেনি কখন, তুমি আমার জীবনে প্রথম ও শেষ নারী, আমার অর্ধাঙ্গিনী। ওকে আমি কখনো পছন্দ করিনি। তোমাকে ফিরিয়ে দিতাম তবুও সবক্ষন তোমার মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে আসত। তোমার হাসি সবসময় শুনতে পেতাম, তুমি আমার কাছে স্পেশাল। যেটা কখনো কেউ আগে হয়নি।’

কথাগুলো শুনে হঠাৎ রাগ নিভে গেল যেন। ভর করলো অদ্ভুত লজ্জা আর ভালোলাগা। অনু অরিন্দমের পাঞ্জাবী মুঠো করে ধরে নতজানু হয়ে বলল,
___”তুমি সত্যি বলছো তো?”
অরিন্দম তার দুগালে হাত রেখে বলল,
__”তিন সত্যি!”
___’ঠিক আছে ওর সাথে কথা বলবে না! আমার সাথে থাক!’

অরিন্দম তাকে একহাতে জড়িয়ে বলল,
___’তোমার সাথে তো সারাজীবন থাকব, একটু সৌরভের কাছে যাই! বোন কে পিঁড়িতে বসিয়ে আনতে হবে মন্ডপে!’

অনু খুশি হয়ে বলল,
__”এক্ষুনি বিয়ে শুরু হবে, চল আমিও দেখব!”

অরিন্দম হেসে দিল এই মেয়ের মুড সুইং সেকেন্ডে সেকেন্ডে হয়।

অনু কাকিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ে দেখতে লাগলো। আর অরিন্দম সৌরভের সাথে কথা ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

রাত হতে অনুকে নিয়ে চন্দ্রানী দেবী বাড়ী নিয়ে চলে এসেছেন, কারন তার ওষুধের সময় হয়ে গিয়েছে, অরিন্দম আসেনি সে এক ঘন্টা পর আসবে। অরিন্দম চলে আসতে চেয়েছিল কিন্তু সৌরভ তাকে আসতে দেয়নি সে নিজেই অনুর কাছে এসে বলেছিল অরিন্দম কে আর এক ঘন্টা যেন তাদের কাছে ছাড়ে এক ঘন্টা পর অরিন্দম কে ওরা বাড়ী পাঠিয়ে দেবে। অনু আর কিছু বলতে পারেনি বন্ধু বলছে সে কিভাবে না করতে পারে। কিন্তু ওই করুনার জন্য মোটেও ভাল লাগছিল না তবুও বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছো। ঘড়িতে এখন রাত একটা ছুঁইছুঁই অনু রুমে পায়চারি করে চলেছে কারন এক ঘন্টার বেশি সময় হয়ে গিয়েছে অরিন্দমের কোনো পাত্তা নেই। ফোন করে চলেছে ফোন রিসিভ করছে না অরিন্দম। অনু রাগের চোটে ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখা টুলে লাথি মারলো আজ আসুক উচিত শিক্ষা দেবে। হঠাৎ দরজা ছিটকিনি লাগানোর শব্দে অনু পিছনে তাকিয়ে দেখল অরিন্দম ছিটকিনি দিচ্ছে অনু কটমট চোখে সেদিক পানে চেয়ে রইল। অরিন্দম তার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে একগাল হাসি উপহার দিলো,তা দেখে অনুর আরও রাগ হলো একে কত দেরি করে এসেছে তার ওপর এত হাসি দিয়ে তার গা জ্বালাচ্ছে। অনু বড়বড় পায়ের ধাপ ফেলে অরিন্দমের মুখোমুখি দাঁড়ায়। অরিন্দম এবার আরও হেসে দুহাতে অনুর কোমড় জড়িয়ে ধরে কাছে আনে। অনু অরিন্দমের কাছে যেতেই অরিন্দমের গা থেকে বিশ্রি স্মেল পেলো। সে চোখমুখ সিঁটকে মাথা পিছন দিকে ঠেলা বলল,
__” ইস্। ছিঃ। তুমি ড্রিঙ্ক করেছ?”

অরিন্দম ঠোঁট উল্টে দুদিকে মাথা নাড়িয়ে বলল,
__”কে ড্রিঙ্কস করেছে,কে করেছে? আমি মোটেও ড্রিঙ্কস করিনি! সৌরভ অভি আমাকে কোলড্রিংস দিয়েছে আমি সেটাই খেয়েছি বউ।”
অনু বুঝল, বন্ধু রা মিলে তাকে কি ড্রিঙ্কস দিয়েছে। তাই সে অরিন্দম কে কথা না শুনিয়ে বলল,
__”কি ড্রিঙ্কস সেটা কাল বুঝবে! আজ চুপ করে শুয়ে পরো!”

অরিন্দমের সেদিকে খেয়াল নেই সে অনুর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, কেমন অদ্ভুত ইচ্ছা হচ্ছে আজ ওর। সে অনুর কোমড় থেকে এক হাত সরিয়ে অনুর গালে রেখে আদুরে গলায় বলল,
___”বউ তুমি জানো তুমি কত সুন্দরী,আর কেমন সফ্ট তুলোর মতো। তুমি রেগে গেলে তোমার গাল দুটো লাল টমেটোর মতো হয়ে যায় মনে হয় টুপ করে খেয়ে ফেলি। তুমি এত সুন্দরী কেনো বউ?”

অনু কিংকর্তব্যবিমূঢ় সে অরিন্দমের কথায় হা হয়ে গিয়েছে এমন প্রশংসা সে এই প্রথম অরিন্দমের থেকে শুনলো। তার হাসি ও পাচ্ছে প্রচুর। অরিন্দম অনুর দিকে তাকিয়ে নালিশের সুরে বলল,
___”তোমার গাল তুলোর মতো নরম হলেও তোমার মন খুব পাষান!”
অনু চোখ গরম করে বলল,
__”কি আমার মন পাষান..”

অরিন্দম একি তালে বলল,
__”হ্যাঁ পাষান! তাই তো সবসময় আমার ওপর রাগ করো, একটু ভুল হলেই নিজের সাথে আমাকে কষ্ট দাও,জানো সেদিন আমি কত কাঁদছিলাম তোমাকে খুঁজে না পেয়ে! পাগল হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমাকে যখন মৃন্ময় দের ওখানে পেলাম তখন সব কষ্ট দূর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তুমি প্রমিস করো আর কখনো ওমন করবে না। আমার কষ্ট হয় তো!”

অরিন্দমের কথা শুনে অনুর মুখ মলিন হয়ে গেল সে এতটা অবুঝ মাঝেমাঝে হয়ে যায় কেন নিজেও জানে না। অনু অরিন্দমের দুগালে হাত রেখে বলল,,
___’আর কখনো তোমায় কষ্ট দেবো না! প্রমিস!”
__’আমার কিসি চাই!’

অরিন্দমের এহেন আবদারে অনু পিটপিট নেত্রে তাকালো। অরিন্দম আজ অনুর মতো ঠোঁট উল্টে বলল,
__”আমার এক্ষুনি কিসি চাই!”
অনু ফিক করে হেসে দিল অতঃপর সে পা উঁচিয়ে অরিন্দমের দুগালে চুমু দিয়ে বলল,
__’হয়েছ! এবার ঘুমাবে চল!’

অরিন্দম অনুকে দুহাতে জড়িয়ে বলল
__”আমি কিসি দেবো, অনেক!”

অনু হাসলো। অরিন্দম কে খুব কিউট লাগছে তার। সে মাথা নাড়াতে অরিন্দম অনু’র দুগালে চুমু দিল, ললাটে চুমু দিয়ে নাকে একটা বাইট দিতেই অনু সামান্য আর্তনাদ করে বলল,
__”এটা কি হলো?”
অরিন্দম অনুর নাকের ডগায় পুনরায় অধর স্পর্শ করলো,অনু মিহিহে গেল। অরিন্দম মিনমিন করে বলল,
__”মধুর ভান্ডার!”

অনু ক্ষিণ লজ্জা পেল, অরিন্দম তার অধরে চুমু দিলেই এই কথাটা বলে, সে সরে আসতে গেলে অরিন্দম তাকে টেনে অধরে অধর স্পর্শ করতেই অনু হঠাৎ স্পর্শে পিলে চমকে উঠে,কারন অরিন্দম কখনো তার কাছে এমন ভাবে আসেনি। অনু অরিন্দম কে সরাতে গেলে অরিন্দম আরও নিবিড় ভাবে তাকে কাছে টানে,ক্ষনিক সময় পার হতে অরিন্দম অনুকে কোলে তুলে নেয় অনু বাঁধা দিতে গিয়ে ও দিল না। সে লজ্জায় কুঁকড়ে অরিন্দমের বক্ষে মিশে গেলো অরিন্দম তাকে নিয়ে খাটের দিকে এগিয়ে যায়।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here