প্রেমময় প্রহর পর্ব ৬

#প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :৬

মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে জোরে বাতাস বইছে বারান্ধার উপর ছাদ না থাকায় বৃষ্টি পানিতে দুজন ভিজে যাচ্ছে ।বেশ জোরে বৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে প্রবল বেগে বাতাস ছেড়েছে !
সায়রা এখনো আরসালের বুকে মধ্যে মুখ লুকিয়ে কান্না করে যাচ্ছে ।সে কোথায় আছে কার বুকের মধ্যে মাথা রেখে কান্না করছে তা এখনো জানেনা নিজের শরীরের পুরোটা ভর তার উপর ছেড়ে দিয়েছে ।
এদিকে আরসালের বুকের মধ্যে ঝড় উঠছে মন উথাল পাথাল করছে সায়রা তার এতটা কাছাকাছি তার মাঝে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে ইচ্ছে করছে এই সময়টাকে এই ভাবে ধরে রাখতে সায়রাকে নিজের বুকের মাঝে এই ভাবেই সারাজীবনের জন্য ধরে রাখতে ।তাকে খুব ভালোবাসতে নিজের মন প্রান সব কিছু উজাড় করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে !
এভাবে আর কিছু সময় থাকলে আরসাল নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলবে এমন কিছু করে ফেলবে যা সায়রার মটেও পছন্দ হবে না ফলে আরসাল থেকে আরো দূরে চলে যাবে আর তাকে আরো ঘৃনা করবে তাই আরসাল সায়রার মাথায় হাত রেখে বলতে লাগে
-“সায়রা কি হয়েছে এইভাবে কান্না করছো কেন
কেউ তোমাকে কিছু বলেছে !”
হঠাৎ আরসালের কন্ঠ শুনে সায়রা মাথা তুলে উপরের দিকে তাকায় ।
দেখে সত্যিই আরসাল !
তার মানে এত সময় সে আরসালের বুকের মধ্যে মাথা রেখে এভাবে কান্না করে যাচ্ছিলো !
এইসব ভেবে তারাতারি করে সায়রা আরসাল থেকে দূরে সরে যায় ।কিছুসময় নিজের মুখ চেপে ধরে কান্না আটকানোর চেস্টা করছে কিন্তু কিছুতেই তা পারছেনা বার বার গলা ধরে আসছে কান্না চলে আসছে ।আরসাল শুধু গভীর ভাবে সায়রার প্রত্যেকটা কাজ লক্ষ করছে ।বেশ কিছু সময় চেস্টা করার পর সায়রার কান্না থামে আরসালের দিকে ‌অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলতে লাগে
-“আমাকে কেউ কিছু বলেনি !
আমার লাইফের সবচেয়ে বড় সমস্যা আপনি আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন ।আমি শুধুই আপনাকে ঘৃনা করি ।
শুধুই ঘৃনা !”
এই কয়েকটা শব্দই আরসালের ভয়ংকর রাগের জন্য যথেস্ট ছিলো ।রাগে আরসালের কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে আরসাল বার বার চেস্টা করছে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল ।অবশেষে নিজের রাগের উপর কন্ট্রোল এনে সায়রার দিকে এগিয়ে যেয়ে শীতল কন্ঠে বলে
-“খুব বেশি সময় ভিজতে অসুস্থ হয়ে যাবে রুমে গিয়ে চেন্জ করে নেও !”
আরসালের কথা সায়রা না শুনার মত করে সেখানেই দাড়িয়ে থাকে ।আরসাল আবার বলে
-“ভিতরে গিয়ে চেন্জ করে নেও !”
সায়রা সে সময়ও ঠায় আগের মত করে‌ই দাড়িয়ে থাকলো এবার আরসালের রাগ সিমানার অতিক্রম করে ।আরসাল সায়রার কাছে যেয়ে হুট করে সায়রাকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে যেতে যেতে বলতে লাগে
-“তুমি কখনোই ভালো কথার মানুষ নও !
তোমাকে সুন্দর ভাবে কোন কিছু বললে তা তুমি কখনোই করতে চাওনা ।তোমার সাথে এই জোরজবদস্তিই মানায় ।”
আরসালের এই কথা গুলো সায়রার আরো অভিমান বাড়িয়ে দিচ্ছে ।সায়রা ভিতরে ভিতরে রাগে ফুসতে লাগে ।আরসালও আর সায়রার দিকে তাকায়না রেগে সায়রাকে নিজের সাথে চেপে ধরে ওয়াশরুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগে ।

আরসাল সায়রাকে ওয়াশরুমে এনে কোলের থেকে নিচে নামিয়ে দেয় সায়রা ঠায় আগের মতই রেগে আছে সে রাগে ভিতরে ভিতরে সাপের ফুসছে তাও আবার ভয়ংকর ভাবে মনে হচ্ছে এখনই কাউকে খুন করে দিবে ।আরসাল সায়রাকে বলতে লাগে
-“আমি কাবার্ড থেকে ড্রেস এনে দিচ্ছি ২ মিনিটে চেন্জ করে বাহিরে আসো !”
আরসালের এমন কথায় সায়রা ভিতরের রাগ জ্বেদ গুলো বের হয়ে আসতে লাগে চোখের গরম পানির ন্যায় ।যদিও এমন কথায় রাগার কথা না কিন্তু আরসালে হুটহাট এমন সায়রার প্রতি নিজের জোর খাটানো সায়রার রাগটাকে বাড়িয়ে দেয় ।সায়রার মনের রাগ জ্বিদ সব কষ্টগুলো আরসালের উপর ডালতে লাগে ।সায়রা আরসালের জামার কলার ধরে রেগে বলতে লাগে
-“কেন সবসময় আপানার কথায়ই কেন হবে ?
কেন আমি আপনার কথায় চলবো কোন অধিকারে আপনি এমন জোরজবোরদস্তি করেন হুম ?
স্বামীর অধিকারে ?
যদি তাই হয় তাহলে কেন অন্যমেয়েদের কাছে যান
কেন তাদের নিজের এতটা কাছে আসতে দেন !
আমার কাছে কেউ আসলে তা আপনার সয্য হয়না তাহলে কেন আপনি নিজের কাছে অন্যকাউকে আসতে দিন ?”
সায়রা কথা গুলো বলছিলো আর জোরে জোরে যাকাচ্ছিলো আরসালকে হঠাৎ ঢাক্কার কারনে শাওয়ার চালু হয়ে যায় আরসাল সায়রা পুরো পুরি ভিজে যায় সায়রা কান্না করতে করতে একসময় আরসালের পায়ের কাছে হাটুঁ ভেঙ্গে বসে কান্না করতে লাগে ।
আরসালকে বাকরূদ্ধ করে দিয়েছে সায়রার কান্না সে থ মেরে আছে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে তার !
নিজের সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষকে এভাবে কান্না করতে দেখে আরসাল নিজের শরীরের শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছে সে সায়রার সামনে বসে সায়রার দু গালে হাত রেখে তার মুখ উচুঁ করে ধরে সায়রা চোখ বন্ধ করে কান্না করে যাচ্ছে শাওয়ারের পানিতে দুজন ভিজে একাকার ।আরসাল সায়রার কপালে নিজের ঠোঁট ছুয়িঁয়ে নিজের বাহুডোরে সায়রাকে আবদ্ধ করে নেয় ।কারন এই মুহূর্তে তার মাঝে কিছু বলার মত শক্তিটুকু নেই সে পারবেনা সায়রার সামনে কিছু বলতে !
সায়রা আরসালকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে এই মুহূর্তে সায়রা নিজের মধ্যে নেই সে চাইছে আরসালের বুকের মধ্যে নিজেকে বন্ধ রাখতে যাতে সব কষ্টের জেলাসির অবশান ঘটে !
বেশ কিছুসময় এইভাবেই অতিবাহিত আরসালের বাহুডোরে এখনো সায়রা বদ্ধ দুজোনারই চোখ বন্ধ ।
আরসাল সায়রার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলে
-“ড্রেস চেন্জ করে নাও এতসময় ভিজলে সর্দি লেগে যাবে জ্বর হবে !
এখন চেন্জ করে বের হও তারপর না হয় বুকের মাঝে সারারাত জরিয়ে রাখবো “
কথাটা শুনতেই সায়রার শরীর শিরশিরিয়ে উঠে।সায়রার ধ্যান ফিরে !
লজ্জায় তারাতারি আরসালকে ছেড়ে তার থেকে দূরে সরে দাড়ায় ।আরসাল শুধু বাকা হেসে সেখান থেকে চলে যায় ।আর কিছু সময় থাকলে সত্যি সে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলবে কারন এক সায়রা ভিজা শরীরে তার উপর তার লজ্জামাখা ফেস এই দুটো জিনিস ইগনোর করা আরসালের কাছে খুবই কঠিন সে চাইলেও পরবর্তিতে নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেনা ।

কাবার্ড থেকে সায়রার প্লাজু আর কুর্তি নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে দেয় সায়রার কাছে ।নিজেও এই ফাকে চেন্জ করে আবার সায়রার রুমে আসে ।
বেডে বসে মাথা নিচু করে কিছু একটা ভাবছে ।বার বার সায়রার অন্য মেয়ের কথা তুলা আরসালের মনে বেশ সন্দেহ জাগিয়ে দিয়েছে ।কি বলতে কি বোঝাতে চায় সায়রা ?
কি এমন জানে যাতে আরসালকে এতটা ঘৃনা করে এ‌ই ঘৃনার আড়ালে যে ভালোবাসা আছে তা একটু হলেও সে টের পায় কিন্তু সায়রার ঘৃনাটাই সব উলোট পালোট করে দেয় আরসালের রাগটাও সেদিক থেকে সমান ভাগিদার ।
আচ্ছা সায়রা কি তাহলে জেলাস নিহা কে নিয়ে ?
নিহা আসার কারনেই কি আজ একটু আগে এমন রিয়েক্ট করলো এমন হাজারো প্রশ্ন আরসালের মনে জাগছে ।

হঠাৎই নুপুর পরা একজোড়া পা দেখে মাথা তুলে উপরের দিকে তাকায় দেখে সায়রা দাড়িয়ে আছে চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝড়ছে চোখ গুলো লাল টকটকে হয়ে ফুলে আছে ।আরসালের ঘোর লাগানো দৃষ্টি সায়রার দিকে আরসাল মুগ্ধ হয় সায়রাকে দেখছে।
কেউ ঠি ক বলেছে মেয়েদের ভেজা চুলে সব চেয়ে বেশি রূপবতী লাগে ।
সায়রা আরসালের এমন দৃস্টিকে উপেক্ষা করে সেখান থেকে সরে যায় বেড বক্সের উপর থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ঢকঢক করে এক নিশ্বাসে শেষ করে ফেলে ।
আরসাল সায়রার পিছনে বলে তয়লা দিয়ে সায়রার চুল মুছে দিতে থাকে সায়রা সরে যেতে নিলে আরসাল শীতল কন্ঠে বলে
-“চুল ভালোভাবে না মুছলে সর্দি লেগে যাবে !”
সায়রা আর নড়চড় করে না চুপটি করে বসে থাকে ।
হঠাৎ সায়রা অভিমানি কন্ঠে বলে উঠে
-“আমাকে এতটা সময় দিতে হবেনা !
আপনার সাথে সময় কাটানোর মানুষ এসে গেছে তাকেই না হয় এই সময়টা দিন ।”
আরসাল সায়রার অভিমানটা বেশ বুঝতে পারছে আরসাল হালকা হেসে বললো
-“তুমি কি জেলাস ফিল করছো ?”
সায়রা ঠিকঠাক ভাবে বসে গলা ঝেড়ে বলে
-“একদম না !
আমি কেন জেলাস ফিল করতে যাবো ?”
আরসাল তয়লাটা বেডের উপর রেখে সায়রার পাশ থেকে বিনাজবাবে উঠে যায় ।এতে সায়রার মন ছোট হয়ে যায় ।সায়রা লাইট অফ করে বেডের কোলবালিশ জরিয়ে ধরে আরসালকে একাএকাই বকতে লাগে আর নিজের চোখের জল ফেলতে লাগে ।
বেশ কিছুসময় পর কেউ ঘরের লাইট জ্বালাতেই সায়রা চোখে আলো লাগায় কপাল কুচঁকিয়ে পিছনে ফিরে তাকায় ।তাকিয়ে দেখে আরসাল দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে হাতে খাবারের প্লেট ।সায়রা আরসালকে দেখে আবার উল্টো মুখ করে আগের মত শুয়ে পরে আরসাল বেশ বুঝতে পারছে তার রূপমোহিনী বেশ অভিমান করেছে তাই সে হালকা হেসে খাবারটা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় ।সায়রাকে বেশ কয়েকবার ডাকে কিন্তু সায়রা কোন সাড়া দেয় না ফলে আরসালকে বাদ্ধ হয়ে সায়রাকে টেনে তুলতে হয় ।সায়রাকে টেনে তুলে জোর করে খায়িয়ে দিতে লাগে সায়রা অবশ্য প্রথমদিকে একটু মোচড়া -মোচড়ি করেছে কিন্তু পরবর্তিতে আরসালের ধমকে একদম চুপ হয়ে ভদ্র মেয়েদের মত খেতে লাগে ।আরসাল সায়রাকে নিজ হাতে খাওয়াচ্ছে ।
আরসাল সায়রার মুখে খাবার তুলে দিতে দিতে বলে
-“আমার জীবনে তুমি ছাড়া অন্য কোন মেয়ের কোন অস্তিত্ব নেই ।
আমার জীবনে আমার হৃদয়ে শুধুই তুমি রয়েছো তেমার স্থান কখনো কেউ নিতে পারবেনা
না আমি কখনো কাউকে এই স্থান নিতে দিবো
তোমার যদি নিহা কে নিয়ে প্রবলেম হয় আমি ওকে কালকেই চলে যেতে বলবো আমার কাছে তুমি বেশি ইমপর্টেন্ট !
তুমি কোন কিছু নিয়ে ইনসিকিউর ফিল করবে আমি তা চাইনা ।”
সায়রা আরসালের প্রত্যেকটা কথা খুব মন দিয়ে শুনছে ইচ্ছে করছে আরসালের প্রত্যেকটা কথায় খুব করে বিশ্বাস করতে কিন্তু নিজের চোখে দেখা ও যে সে অবিশ্বাস করতে পারছেনা ।
সায়রা আরসালের কথার উত্তরে বলে
-“আমি মটেও কাউকে নিয়ে ইনসিকিউর না !
উনি বিয়েতে এসেছেন আমি চাইনা উনি চলে যাক আর কোন সিনক্রিয়েট হোক !”
আরসাল আর কোন কথা বাড়ায় না সায়রাকে খায়িয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে কপালে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে লাইট অফ করে রুম থেকে চলে যায় ।

গভীর রাতে হঠাৎ সায়রার ঘুম ভেঙ্গে যায় গাঁ ঘেমে আছে বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকে ।ভয়ংকর স্বপ্ন ছিলো যা সায়রার রূহ কেপেঁ উঠেছে ।সে ঢকঢক করে পানি খেয়ে বেড থেকে উঠে বারান্ধার দিকে পা বাড়ায় খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিতে হয়তো তার ভিতরের অস্তিরতা যাতে একটু কমে !
ঠান্ডা বাতাসে সায়রা চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস নিচ্ছে চোখ বন্ধ করে অনুভব করার চেষ্টা করছে ।ঝড়ের পর সব কিছু স্থব্দ হয়ে আছে পরিবেশ ও বেশ শান্ত ।
হঠাৎই তার কানে কারো গোংরানীর আওয়াজ আসে ।সায়রা সাথে সাথে চোখ খুলে আরসালের রুমের দিকে এগিয়ে যায় কারন শব্দটা ঐ দিক থেকেই আসছে ।
রুমে গিয়ে লাইট অন করে দেখে আরসাল চোখ বন্ধ গোংরাচ্ছে সায়রা তারাতারি করে আরসালের কাছে যেয়ে তার কপালে হাত রাখে ।সায়রা স্পর্শ করেই দেখে আরসালের শরীর জ্বরে আগুন হয়ে আছে ।সায়রা ঠি ক এই ভয়টাই পেয়েছিলো স্বপ্নও সে খুব খারাপ দেখেছে তখন থেকে তার কলিজা চিপ দিয়ে ছিলো ।
আর এখন আরসালের এই অবস্থা দেখে সে বেশ ঘাবড়িয়ে গেছে তারাতারি করে ওয়াশরুম থেকে পানির বালতি এনে আরসালের মাথায় পানি ঢেলে দিতে লাগে ।কারন জ্বর মাথায় উঠলে বেশ সমস্যা হয়ে যাবে !
আরসালের চোখ এখনও বন্ধ অচেতন হয়ে আছে সে ।সায়রা পানি ঢেলে আরসালের মাথা মুছে দিয়ে তাকে মেডিসিন খায়িয়ে দেয় ।
জ্বর একটু কমতেই আরসাল নিজের চোখ খুলে সায়রার কোলে নিজের মাথা রেখে সায়রার কমোড় জরিয়ে ধরে ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে
-“জাননননন মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেও না !”
সায়রা আরসালের মুখে “জান” শুনে পুরো শক খেয়ে বসে থাকে পরক্ষনেই নিজেকে সামলিয়ে নেয় ।আরসালের চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগে ।আরসাল আগের মত ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে
-“জানো কতটা শান্তি লাগছে ?
আচ্ছা তুমি পার্মানেন্টলি আমার কাছে আসবে কবে !
জানো তোমার এত কাছে থেকে এতটা দূরত্ব সয্য হয়না কবে তোমাকে নিজের করে পাবো
বলো না রূপমোহিনী !”
সায়রা মাথা নিচু করে আছে তার মধ্যে বেশ লজ্জাবোধ কাজ করছে ইচ্ছে করছে এখনই মাটিতে মিশে যেতে ।আরসাল আবার বলতে লাগে
-“জানো কত প্লান করেছি আমাদের ফিউচার নিয়ে ?
আমাদের ছোট ছোট বেবী হবে একদম তোমার মত কিউট আর তোমার মতই মিষ্টি !”
সায়রা এইসব কথা শুনে লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে গাল লাল হয়ে গেছে ।
আরসাল নিজের মত জ্বরের ঘোরে উল্টা – পাল্টা বলছে আর সায়রা ভিতর বার বার কেপেঁ উঠছে তার এসব কথায় ।জ্বর কমতেই সায়রা আরসালকে বলতে লাগে
-“আমি না হয় এখন আসি আপনি ঘুমান !”
আরসাল শক্ত করে কমোড় জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“না না একদম না আজ তুমি আমার সাথে এখানেই থাকবে !”
-“সবাই কি বলবে ?”
-“তুমি আমার বিয়ে করা বউ আইন আর ধর্ম মেনেই আমাদের বিয়ে হয়েছে তুমি আমার সাথেই থাকবে !
ব্যসসসস !”
-“কিন্তু আরসাল !”
-“তুমি এত ঠ্যাটা কেন !
সব সময় শুধু নিজের জ্বেদ দেখাও ।
অবশ্য রূপবতীর ৭ খুন মাফ তার সব কিছুই সয্য করা যায় এটা তো শুধু ঠ্যাটামী মেনে নেওয়াই যায় ।
তুমি এখানে থাকবে মানে এখানেই থাকবে !”
সায়রা আরসালের বাচ্চামো দেখে আর যেতে পারেনা শত হোক তার স্বামীতো আরসাল ।কোন এক সময় তাকে ভালোবাসতো তো !
তাকে এভাবে কি করে ছেড়ে যাবে ।
তাই সায়রা আর যায়না সেখানেই বেডে হেলান দিয়ে আরসালের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগে !
হাত বোলাতে বোলাতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় নিজের ও খেয়াল নেই ।

আরসাল সকালে ঘুম থেকে জাগতেই তার মাথা ভার ভার লাগছে অসয্য ব্যথা করছে ।মাথা তুলে বসে দেখে সে সায়রার কোলে ঘুমিয়ে আছে কিছু সময়ের জন্য সায়রাকে দেখে সে থ হয়ে বসে থাকে সব যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তার !
পরে রাতের কথা মনে পড়তেই তার ঠোঁটে কোনে হাসি ফুটে উঠে ।এমনই এক সকাল তো সে চেয়েছে যেখানে চোখ খুলেই সে সায়রাকে দেখবে ।
আরসাল সায়রাকে ঠি ক ভাবে শুয়িয়ে দিয়ে কপালে নিজের ঠোটেঁ স্পর্শ দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় !

সায়রার ঘুম ভেঙ্গতেই আরসালের রুম থেকে বের হতে নেয় এমন সময়ই হঠাৎ নিহার সাথে ঢাক্কা খায় আরসালের রুমের দিকেই সে আসছিলো ।
সায়রার দিকে তাকিয়ে নিহা রেগে বলতে লাগে
-“ইউ ডেম্বো চোখ কোথায় রেখে চলো ?
আর বায় দ্য ওয়ে তুমি সকাল সকাল এই রুমে কি করছিলে !”
সায়রা হালকা হেসে বলে
-“ও হো নেহা আপু ডেম্বো তো দেখছি আপনি !
আমার হাসবেন্ডের রুমে তো আমিই থাকবো তাই না ?
বায় দ্য রাস্তা ঘুমটা খুব ভালো হয়েছে ।”
সায়রা যেতে নেয় এমন সময়ই নিহা পিছন থেকে সায়রার হাত টেনে ধরে রেগে সায়রার গায়েঁ হাত উঠাতে নেয় সাথে সাথে সায়রা নেহার হাত ধরে ফেলে হাত মোচড় দিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“এমন ভুল একবার করেছেন দ্বিতীয়বার করলে আমিও চুপ থাকবোনা হাত আমারো আছে ।
আর ভালো করে শুনে রাখুন আপনার সাথে আরসালের যেই সম্পর্কই থাকনা কেন তা অবৈধ আমি তার বৈধ স্ত্রী তার উপর অবশ্যই আপনার থেকে আমার অধিকার বেশি তাই কিছু করার আগে ভেবে চিন্তে করবেন এবার আমিও কিন্তু ছাড়বোনা ।”
বলেই সায়রা চলে যায় নিহা রাগে ফুসতে লাগে ।

চলবে…….❤️

সরি আমি দুদিন দিতে পারিনি আমার ব্যক্তিগতভাবে একটু সমস্যায় ছিলো ।সরি এভরিওয়ান ❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here