তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-১৯
___________
কবিতা’টা পড়ে কপাল কিছু’টা কুঁচকে তাকিয়ে রইলো রুদ্র।এসব পাগলামি করে লাভ কী? রুদ্র অরূণীর রুমে গেল। রুমে গিয়ে দেখে অরূণীর চারপাশে জটলা পাকানো। রুদ্রের মা শাহাজান বেগম অরূণীর পাশে বসে কি যেন বলছে। রুদ্র গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “মা কী হয়েছে এখানে?”
শাহানাজ বেগম রুদ্রের কথা শুনলো না বোধ হয়।শাহানাজ বেগম অরূণী’কে জিজ্ঞেস করলো, “পায়ে ব্যথা কীভাবে পেয়েছো তুমি?”
অরূণী পায়ে ব্যথা পেয়েছে এই নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।বউয়ের বোন পায়ে ব্যথা পেয়েছে ব্যাপার’টা উদ্বেগের বটে।শাহানাজ বেগমের কথার প্রত্যুত্তরে সায়মা হুট করে বলে ওঠে, “অরূণীর রাতে ঘুমানোর মাঝে লাফালাফির অভ্যাস আছে।পুরো খাট ওঁর একার লাগে।ওঁর বাসায় তো ওঁর জন্য পনেরো হাত খাট বানিয়েছে। রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।ভয় পেয়ে উঠে দেখি অরূণী ফ্লোরে চিৎ হয়ে পড়ে আছে।”
অরূণীর মুখ ইস্পাতের মত কঠিন হয়ে গেল। ওঁর রোষারক্ত চাহনি’তে সায়মার দিকে। আর কোনো মিথ্যে কথা খুঁজে পেলো না?সবাই হেসে উঠলো। লজ্জায় অরূণীর কান লাল হয়ে যাচ্ছে। রুদ্র বলে ওঠল, “লাফালাফি, উঁকিঝুঁকি এসব খারাপ।”
অরূণী এতক্ষণ রুদ্র’কে দেখে নি। রুদ্র’কে দেখে লজ্জায় চোখ বুঁজে আসছে। তানভীর আর নিম্মিও আসলো অরূণীর কাছে।শাহানাজ বেগম রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল, “সামনের ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে আয় তো রুদ্র।”
শাহানাজ বেগমের কথা’টা শুনে রুদ্র অরূণীর দিকে তাকালো। চাহনি’তে বিদ্রুপ ছিলো। নিম্মি রুদ্র আর অরূণী দু’জনের দিকে তাকাচ্ছে। ঘটনাটা ঠিক বুঝতে পারছে না।সায়মা আর শুভ্রা মুখ এদিক-ওদিক ফিরিয়ে হাসছে। রুদ্র ঔষধ আনতে গেল। শাহানাজ বেগম অরূণীর জন্য রুমে নাস্তা দিয়ে যেতে বললো। রুম থেকে সবাই চলে যাওয়ার পর নিম্মি অরূণী’কে জিজ্ঞেস করল, “কীভাবে ব্যথা পেয়েছিস?সত্যি বল।”
শুভ্রা আর সায়মা হো হো করে হেসে উঠে। ওঁদের হাসি দেখে রাগে অরূণীর কান থেকে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে।নিম্মি ওঁদের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলল, “হাসছিস কেন তোরা?”
শুভ্রা ডান হাতের পৃষ্ঠ মুখে ঠেকিয়ে হাসি চাপানোর চেষ্টা করে বলল, “এমনি।”
নিম্মি সন্দিহান গলায় বলল, “তোদের হাবভাব ভালো ঠেকছে না।কী অঘটন ঘটিয়েছিস?”
সায়মা নিম্মি’কে উদ্দেশ্য করে বলল, “নিম্মি আপা নতুন বউদের এত কথা বলতে হয় না।যাও তো তুমি এখান থেকে। দুলাভাই রুমে ওয়েট করছে।”
নিম্মি কঠিন স্বরে তাকিয়ে চলে গেল।নিম্মি যাওয়ার পর সায়মা আর শুভ্রা হাসতে হাসতে খাটে শুয়ে পড়লো।অরূণীর শরীর রাগে চড়চড় করছে। চোখ লাল করে তাকিয়ে সিংহনাদ করে ওঠল, “খারাপ হচ্ছে বলে দিচ্ছি। এত হাসি কোথা থেকে আসে তোদের?সত্যি ভালো হচ্ছে না।”
শুভ্রার হাসতে হাসতে দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়।ছোট খাটো বিষয় নিয়ে হাসিতে লুটিয়ে পড়ে শুভ্রা। আর এত বড় মজার ব্যাপার নিয়ে ওঁর হাসি এত সহজে থামবে না। হাসতে হাসতে বলল, “হাসি আসা লাগে? দাঁত বের করে হিহি করলেই হাসি হয়ে যায়।”
শুভ্রা’কে সায়মা ধমক দিয়ে বলল, “হইছে!এখন থাম।”
অরূণী ক্ষুব্ধ হয়ে বলল, “থামবি কেন?আরো হাস।”
সায়মা বলল, “না আর হাসবো না।রাগ করিস না। এখন বল রাতে উঁকি দিয়ে কী দেখেছিস?”
অরূণী বিরক্ত ভরা গলায় বলল, “তোদের কেন বলবো?”
সায়মা অনেকক্ষণ অনুরোধ করার পর অরূণী গম্ভীর মুখে বলল, “দেখছি গয়নাগাটি খুলছে নিম্মি আপা। চুলের ক্লিপ,জট খুলে দিচ্ছে ভাইয়া।”
শুভ্রার গলায় বিস্ময়, “হাউ রোমান্টিক!”
অরূণী ভীষণ ক্ষোভ নিয়ে শুভ্রা কে বলল, “তোর কপালে তেল ছাড়া ভাজি করা শাকের মত জামাই জুটবে।”
শুভ্রা হেসে ওঠল।হাসতে হাসতে আবার বলল, “রাতে রুদ্র ভাইয়ের কথা’টা শুনে হাসি আটকাতে আমার কি যে কষ্ট হয়েছে।”
অরূণী নিচু স্বরে বলল, “উনি না দেখলে আমি কিছু মনে করতাম না।উনি দেখেই সমস্যা’টা হলো।”
রুদ্র কি পড়েছে কবিতা’টা?ভালো লেগেছে রুদ্রের?শুভ্রা,সায়মা নাস্তা খেতে চলে গেল।এর ভিতর রুদ্র আসলো ঔষধ নিয়ে। রুদ্র’কে দেখে নিদারুণ অস্বস্তি’তে পড়লো অরূণী। রুদ্র আশেপাশে থাকলে ভালোলাগায় অরূণীর মন ছেয়ে যায়।বুকের মাঝে কেমন শিরশির অনুভূতি হয়।এই অনুভূতির ব্যাখ্যা অরূণীর কাছে নেই।যতক্ষণ রুদ্র আশেপাশে থাকে অরূণী মনে হয় ততক্ষন স্বপ্নলোকে থাকে। ক্রমাগত প্রখর এক অনুভূতি অরূণী’কে দিশেহারা করে দেয়। রুদ্র চেয়ার টেনে বসে ঔষধ গুলো বেড সাইডে রেখে বলল, “খেয়ে নেও।আর কারো বাসর দেখো না ভবিষ্যতে।”
অরূণীর লজ্জায় নাক-মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। রুদ্রের দিকে তাকাতে পারছে না। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেই বলল, “পানি এনে দেন।”
– “তোমার জন্য পানি আনবো আমি? তুমি কী ভেবেছো আমি সব ভুলে গেছি?তোমার সাংঘাতিক কু-বুদ্ধির কথা আজও ভুলিনি। ইঁচড়ে পাকা মেয়ে।”
অরূণী এবার লাজ-লজ্জা গিলে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল, “কবিতা’টা ভালোলাগে নি?”
– “হ্যাঁ ভালো লেগেছে।তবে প্রেমিক হিসেবে আমি নিষ্কলুষ ছিলাম না।তাই প্রেমিকা ছেড়ে চলে গেছে।”
অরূণী বিফল হলো। রুদ্র’কে কী এসব জিজ্ঞেস করেছে?না-কি এসব জানতে চেয়েছে?অরূণী সন্তপর্ণে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “আপনি আমার আবেগ, অনুভূতির মূল্য দিচ্ছেন না।সব বুঝেও না বোঝার ভান করে যাচ্ছেন।কেন আমায় ভালোবাসছেন না?”
রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “আচ্ছা অরূণী তুমি তো একটা মেয়ে মানুষ।এসব বলতে তোমার অস্বস্তি হয় না?আমি যে এসব উপেক্ষা করি,এটা তুমি বুঝেও কেন বার বার বলো?”
– “মেয়ে বলে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবো না?আগ বাড়িয়ে ভালোবাসতে পারবো না?”
রুদ্র বেশ সিরিয়াস গলায় বলল, “এতদিন বিষয়’টা হাসি-ঠাট্টার মাঝ দিয়ে গড়িয়ে চলেছে।আমি কখনো তোমার এসব কথা সিরিয়াসলি নিই নি, এখনো নিচ্ছি না।এসব তোমার বয়সের দোষ কিংবা খামখেয়ালি।আর আমার জীবনে একটা কষ্ট আছে। প্রেম-ভালোবাসার প্রতি অনীহা আছে। অনুভূতি গুলো ফ্যাকাশে, বিবর্ণ হয়ে গেছে।”
কথা গুলো বলে থামলো রুদ্র।অরূণী কি বলবে খুঁজে পেলো না। শুধু বুঝতে পারলো একটা কষ্টে ভিতর’টা কুঁকড়ে উঠছে ওঁর। উদাস গলায় বলল, “জীবনের সব অধ্যায় কষ্টের হয় না। সবাই আপনার অনূভুতি ফ্যাকাশে করবে না।কেউ কেউ আপনার অনুভূতিতে রং ঢেলে রঙ্গিন করে দিবে।সবাই আপনাকে ছেড়ে যাবে না।কেউ কেউ জীবনের শেষ অপরাহ্নে পর্যন্ত পাশে থাকবে।”
রুদ্র হেসে উঠলো।অরূণী তীব্র অবাক হলো।এটা কী হাসার মত কথা ছিলো?বলল, “আমি আমার সমস্ত আবেগ দিয়ে কথা গুলো বললাম আর আপনি হেসে উঠলেন?”
– “যখন উত্তর দেওয়ার কিছু না থাকে তখন হাসার শ্রেয়।”
রুদ্র এইটুকু বলে চেয়ার থেকে ওঠে রুমের আশেপাশে তাকালো। টেবিলের উপর রাখা জগ’টা খালি। রুদ্র খাবার রুমে গিয়ে পানি নিয়ে আসলো।অরূণীর চোখ তখন বেদনায় ছলছল। রুদ্র খাটের কাছে পানির গ্লাস রেখে বলল, “ঔষধ খেয়ে নেও।পায়ে ব্যথা পেয়েছো খুব?”
অরূণী মাথা নাড়িয়ে বলল, “উঁহু।”
বউ ভাতের অনুষ্ঠান।বাসায় ঢের কাজ। গলা ফাটিয়ে সবাই রুদ্র’কে ডাকছে। রুদ্র চলে গেল।অরূণী রুমে একা একা বসে আছে।সায়মা,শুভ্রা কাউকেই দেখছে না। রুদ্রের বলা কথা গুলো বুকের ভিতর কষ্ট হয়ে দলা পাকাচ্ছে। পায়ে ব্যথায় পা নাড়াতে পারছে না। সূর্য ফোন দিয়েছে। নিশ্চয়ই নিম্মি ফোন দিয়ে বলেছে অরূণী পায়ে ব্যথা পেয়েছে। ফোন রিসিভ করতেই সূর্য অস্থির গলায় বলল, “পায়ে খুব ব্যথা পেয়েছিস?আমি ডাক্তার নিয়ে আসবো? কীভাবে পেয়েছিস ব্যথা?”
অরূণী ঠাণ্ডা গলায় বলল, “দাদা এত অস্থির কেন হচ্ছো?বেশি ব্যথা পাই নি। আর তুমি এই বাড়ি ডাক্তার নিয়ে আসবে!”
অরূণী হেসে দিলো কথা’টা বলে। সূর্য বলল, “তুই বিছানা থেকে উঠতে পারছিস না অস্থির হবো না মানে?আম্মায় কান্নাকাটি শুরু করেছে।”
অরূণী বিরক্ত গলায় বলল, “দাদা ফোন রাখো তো। ঔষধ খেয়েছি।”
– “পা মচকে গেছে? আমরা তো একটু পর আসছি।”
– “হ্যাঁ,হ্যাঁ দাদা পা শুধু মচকায় নি,ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিলো। তারপর সুপারগ্লু দিয়ে জোড়া লাগিয়েছি।”
অরূণী ফোন’টা চট করে রেখে দিলো। রুদ্রের বলা কথা গুলো মস্তিষ্কে পীড়া দিচ্ছে ভীষণ ভাবে।একটা মানুষ এতটা কঠিন কীভাবে হয়?
অরূণীর রুমেই বসে থাকতে হয়েছে। রুদ্র’কে আর দেখা গেলো না। বিষণ্ণ হৃদয়ে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে। কী দরকার ছিলো অন্যের বাসর দেখতে যাওয়ার? তাই তো আজ এমন দুর্দশা। সাহেদ আহমেদ, সেলিনা আহমেদ বার বার ফোন দিতে লাগলো। শাহানাজ বেগম বার দুয়েক এসেছিলো অরূণী’কে দেখতে।শুভ্রা,সায়মা সবার সাথে আড্ডায় ব্যস্ত। অরূণীর কারো সাথেই তেমন কথা হয় নি।
_________
দুপুরের দিকে অরূণীর দের মামার বাসা থেকে সবাই আসলো মেয়ে নিতে। রুদ্র সেই যে সকালে গেল আর রুদ্রের দেখা পাওয়া যায় নি। সেলিনা আহমেদ এসেই অরূণীর কাছে আসলো। অরূণী বিরক্ত হয়ে বলল, “এগুলো কেমন অভদ্রতা আম্মা? তুমি এসেই সোজা এই রুমে? বদনাম হবে।”
– “রাখ তো ভদ্রতা।”
অরূণীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল, “আমার মেয়ে’টা পায়ে ব্যথা পেয়েছে।আর আমি আসবো না?কয়দিন আগে এক্সিডেন্ট করলি।সেই দাগ এখনো আছে মুখে।”
আহ্লাদে অরূণী গলে যেতে লাগলো।নিম্মি’কে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।অরূণী মচকানো পা নিয়ে রুম থেকেও বের হতে পারছে না,আর রুদ্রের সাথেও দেখা হচ্ছে না। ভারি অভিমানে অরূণীর মন পূর্ণ হয়ে গেল।যাওয়ার আগে রুদ্র’কে একবার ফোন দিলো। রুদ্র অরূণীর কাছে আসলো। চারপাশে মানুষ থাকার কারণে রুদ্র কিছু’টা শঙ্কিত হলো যেন।অরূণী কি বলে উঠে কে জানে। অরূণী আস্তে করে বলল, “আসলে আমিই ভুল। বাড়াবাড়ি রকমের পাগলামী করা আমার উচিত হয় নি। আমি মাফ চেয়ে নিচ্ছি। তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে আমি আপনায় খুব ভালোবাসে ফেলেছি।একতরফা ভালোবাসা প্রকাশের সমাপ্তি টেনে দিলাম।”
রুদ্র বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইল।বলল, “তুমি যদি আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকো আমিও দুঃখিত।কিন্তু সবারই নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন থাকে।আসলে প্রেম-ভালোবাসা একান্তই মনের ব্যাপার। এভাবে হয় না।”
অরূণী তীব্র ক্লেশে নীরস গলায় বলল, “হয়ত।”
আর কিছু বলতে পারলো না।গলা আটকে আসছে অরূণীর। রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ থাকলো। কিছুক্ষণ পর নিজ থেকেই বলল, “আমি সন্ধ্যার বাসে ঢাকা চলে যাবো।কালকে থেকে এক্সাম শুরু আমার।না এসেও উপায় ছিলো না। কিরণও এক্সামের জন্য আসে নি।”
প্রত্যুত্তরে অরূণী একটু হাসলো। বিষাদের ঢেউ ছিলো হাসিতে।দুই জনের মাঝে কথা আর দীর্ঘায়িত হলো না। সূর্য কোলে নিয়ে অরূণী’কে গাড়িতে উঠালো। পুরো রাস্তায় ব্যথিত মনে দগ্ধ হতে লাগলো অরূণী। বাসায় পৌঁছে চুপচাপ রুমে শুয়ে থাকলো। কিছুক্ষণ পর এক কাণ্ড ঘটে গেল। সূর্য জেনে গেছে সিফাজ অরূণী’কে পছন্দ করে। এই নিয়ে তর্কাতর্কি’তে পুরো বাসায় গরম হয়ে গেল। সূর্য রেগে আগুন। চোখে-মুখে রাগের ফুলকি। বিষয়’টা জেনে সাহেদ আহমেদও রেগে গেল। প্রচণ্ড ঝামেলা হলো এই নিয়ে। অরূণীর মেজো মামা সবাই’কে থামালো। নতুন জামাই বাসায়, এভাবে চেঁচামেচিতে রেগে গেল সে। সকালে অরূণী সূর্য কে বলল, “দাদা আমি ঢাকা চলে যাবো।এক্ষুণি যাবো। আমার লেখাপড়ায় ক্ষতি হচ্ছে।”
সূর্যেরও সিফাজের উপর মেজাজ খারাপ।সে রাগের সূত্র ধরে সূর্যও অরূণীর কথায় সায় দিলো। সেলিনা আহমেদের আরো কিছুদিন থাকার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু তা আর হলো কোথায়?বাসার সবাই থাকার জন্য অনুরোধ করতে লাগলো তাঁদের। সাহেদ আহমেদ অরূণী’কে জিজ্ঞেস করল, “এবার আর ট্রেনে যাবি না?”
অরূণী উন্মনা হয়ে বলল, “না আব্বা, আর কখনো ট্রেনে যাবো না।”
(চলবে)