#Real_Love♥
#Oniya_Chowdhury
Part:11
.
.
সকাল সাড়ে আটটায় ঘুম ভাঙতেই পাশে তাকিয়ে দেখলাম আপু নেই।কিছুক্ষণ ওভাবেই শুয়ে রইলাম।পাশ ফিরে শুতেই দেখলাম শোফার উপর একটা শপিং ব্যাগ।
ওড়নাটা গায়ে দিয়ে তাড়াহুড়ো করে সোফায় গিয়ে বসে শপিং ব্যাগটার ভেতরের ব্যাগটা বের করলাম।ব্যাগের উপরের পার্টটা খুলতেই আমার চোখ কপালে উঠলো।একটা লাল শাড়ি!বেনারসি টাইপের বাট বেনারসি না!নাম কি এই শাড়ির?
শাড়িটার পাড়ে সোনালী কালারের মোটা বর্ডার দেওয়া!কি সুন্দর লাগছে দেখতে!
.
আমি ওড়নাটা সোফায় রেখে শাড়িটা নরমালভাবে পড়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে বিভিন্ন রকম পোজ দিচ্ছি!
.
হঠাৎ করে আপু রুমে ঢুকলো।আমি আপুর সামনে যেয়ে জিঙ্গেস করলাম,
– আপু শাড়িটা কার?অনেক সুন্দর তো!
আপু আমার মাথায় একটা গাড্ডি মেরে বললো,
– বুদ্ধু!এটা তোরই!সকালের দিকে ইফাজ এসেছিলো।ও দিয়ে গেছে।
.
সকালে উনি এসেছিলো শুনে আমি চমকে উঠলাম!আর এত্ত সুন্দর একটা শাড়ি উনি আমার জন্য কিনেছে সেটা ভেবে আরো চমকালাম!
আমি আপুর হাত ধরে বললাম,
– উনি এখন কই?
– নাস্তা করে একটু আগে বেড়িয়ে গেলো।যাওয়ার সময় বলে গেলো নয়টার দিকে আবার এসে তোকে নিয়ে যাবে।
.
উফ্!আপুর কথাগুলো শুনে বুকের ভেতর কেমন যেনো কাপঁছে।
আমি আপুর প্রতিত্তুরে শুধু “ওহ্” বলে বেডে বসে পরলাম।
.
আপু রুম থেকে আপুর ফোনটা নিয়ে চলে গেলো।যাওয়ার সময় বলে গেলো “তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে রেডি হ্।ওর আসার টাইম হয়ে গেছে।”
.
আমি শাড়িটা বেডের উপর রেখে বুকে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিশ্বাস নিলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে গেলাম।
.
ব্রেকফাস্ট টেবিলে চাচিআম্মু আর চাচ্চুর সেকি আদর!তাদের সাথে যোগ দিয়েছিলো আরো দুই চাচিআম্মু।শুধু কাজিনগুলোর সাথেই দেখা হলো না।সবগুলো একই স্কুলে পড়ে বলে একসাথেই সাড়ে সাতটায় স্কুলে চলে গেছে।
.
আমি দাদুর বাসায় বসে বসে আপুর জন্য অপেক্ষা করছি।কিছুক্ষণ পরই আপু আসলো।এসেই বললো,
– শাড়ি কই?তাড়াতাড়ি দে পরিয়ে দেই।দশটার দিকে ভার্সিটির ক্লাস আছে।
– মাত্র বাজে আটটা পয়চাল্লিশ।এখনো অনেক দেরি।ধীরে সুস্থে সুন্দর করে পরিয়ে দাও।তাড়াহুড়ো করবা না একদম।
– এহ্!আসছে!একজন যে আমার জন্য ভার্সিটিতে ওয়েট করে সেদিকে খেয়াল আছে?
– একদিন লেট হলে কিছু বলবে না ভাইয়া।
– তোমার উনি তোমাকে কিছু বলে না।বাট আমার উনি বলে।বুঝলা?
এইমুহূর্তে আপু এইরকম একটা কথা বলবে আমি ভাবতেও পারিনি।
.
আমি আপুকে আর কোনোকিছু বলার সুযোগ না দিয়ে শাড়িটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম,
– লেট হয়ে যাচ্ছে তো তোমার।কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি পরিয়ে দাও।
.
আপু আর কোনো কথা না বলে পরানো শুরু করলো।
.
দাদুর এই রুম থেকে মেইনডোরের পুরো অংশটুকু দেখা যায়।আমি আপুর শাড়ি পরানো দেখছিলাম।শাড়ি পরানো দেখতে দেখতেই আনমোনে মেইনডোরের দিকে চোখ গেলো।যেই দেখলাম ইফাজ মেইনডোর খুলে ভেতরে ঢুকলো।সাথে সাথেই অর্ধেক শাড়ি পরা অবস্থায়ই আমি দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলাম।আমার এরকম কান্ড দেখে আপু চমকে উঠে বললো,
– এই হিয়া?কি হলো?
.
আমি ওয়াশরুম থেকেই শুনতে পেলাম উনি রুমে ঢুকে আপুকে বলছে,
– ও কই?
উনাকে দেখে আপু মনে হয় বুঝতে পেরেছে আমার পালানোর কারনটা।
আপু বললো,
– ওহ্,আপনাকে দেখেই তাহলে হিয়া ওভাবে পালালো।
– মানে?
– ওকে আপনার দেওয়া শাড়িটা পরিয়ে দিচ্ছিলাম।আপনাকে ভেতরে আসতে দেখেই ও অর্ধেক শাড়ি পরা অবস্থায়ই দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো।
.
কিছুক্ষণ কারোর কোনো সাড়াশব্দ পেলাম না।চলে গেলো নাকি?
আমি ওয়াশরুমের দরজার সাথে কান লাগিয়ে কিছু একটা শোনার চেষ্টা করলাম।হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে ভয়ে আমি পেছনের দিকে সড়ে গেলাম।তারপর বুকে থুথু দিলাম।উফ্!এভাবে কেউ ভয় দেখায় নাকি?
.
উনি জোরে জোরে ওয়াশরুমের দরজার বাহির থেকেই বললেন,
– হিয়া,আমি ড্রইংরুমে ওয়েট করছি।তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে চলে এসো।
.
আমি তারপরও দরজা খুললাম না।কিছুক্ষণ পর দরজার বাহির থেকে আপু বলে উঠলো,
– হিয়া,ইফাজ ড্রইংরুমে।বের হ্।
আপুর কথা শুনে আমি দরজা আস্তে করে ফাঁকা করে দেখলাম সত্যিই উনি রুমে নেই।
.
আমি শাড়ির বাকি অংশটুকু ধরে আস্তে করে ওয়াশরুম থেকে বের হলাম।বের হয়েই আগে রুমের দরজাটা লাগিয়ে দিলাম।
.
সুন্দর করে শাড়িটা পরিয়ে দিয়ে আপু ড্রেসিংটেবিলের সামনে নিয়ে গিয়ে আমাকে দাড় করালো।
আমি আয়নার ভেতর দিয়ে একবার আমাকে দেখছি আর একবার শাড়ি পরা আমাকে দেখছি।কি সুন্দর লাগছে লাল শাড়িতে!এমনিতেই ফর্সা মানুষ তার উপর ব্রাইট লাল শাড়ি!মেকাপ করার কোনো দরকার নেই আজ!
.
আপুকে মেকাপ দিতে মানা করলাম।শুধু চোখের উপরের অংশে আইলানার আর নিচের অংশের সাইডের দিকে হালকা কাজল দিয়ে দিলো।ঠোঁটে হালকা করে লাল কালারের লিপস্টিক দিয়ে দিলো।বামহাত ভর্তি লাল কাচের চুড়ি পরিয়ে দিলো।
.
আপু হঠাৎ আমার গালের সাথে গাল লাগিয়ে একটা কিস করে বললো,
– ভীষণ সুন্দর লাগছে আমার বোনটাকে!
আপুর কথা শুনে আমি আপুর দিকে তাকিয়েই মিষ্টি করে একটা হাসি দিলাম।আপুও হাসলো।
.
তারপর আমার হাত ধরে টান দিয়ে আমাকে বসা থেকে উঠিয়ে বললো,
– চল তাড়াতাড়ি!আর বেশিক্ষণ রুমে থাকা যাবে না।ইফাজ হার্টএ্যাটাক করবে!
হঠাৎ আপুর এরকম একটা কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম।বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো।আচমোকা ই আমি আপুর হাতের তালু শক্ত করে ধরলাম!
আপু রুমের দরজা খুলে আমাকে নিয়ে বের হলো।আমি ভয়ে আর লজ্জায় আপুর হাত ধরেই আপুর সাথে একদম মিশে যাচ্ছি!
আমার শুধু ভয় হচ্ছে উনি আমাকে এই অবস্থায় দেখলে আপুর সামনেই কিছু করে বসবে নাতো!বুকের ভেতর প্রচন্ড জোরে জোরে ধুক ধুক করছে!
.
আপু হঠাৎ করে বলে উঠলো,
– ভাইয়া!এদিকে তাকান একবার!
আপুর কথাটা শুনে আমি চমকে উঠে আপুর হাত শক্ত করে ধরলাম।উনি ইংলিশ নিউজ দেখছিলেন টিভিতে।আপুর ডাকে উনি আমাদের দিকে কিছুটা অপ্রস্তুতভাবে তাকিয়ে আবার টিভির দিকে তাকাতে যেয়েও তাকাননি! চমকে উঠে আমার দিকে তাকালেন!
উনার তাকানো দেখে আমি শেষ!আমি উনার দিক থেকে লজ্জায় চোখ সড়িয়ে নিয়ে
ফ্লোরের দিকে তাকালাম!এদিকে আপুর হাত ভয়ে এমনভাবে শক্ত করে ধরেছি যে কারোর ছাড়ানোর ক্ষমতা নেই!
.
উনি রিমোটটা রেখে সোফা থেকে উঠে দাড়ালেন!আস্তে আস্তে আমাদের কাছে আসলেন!একহাত দুরত্ব বজায় রেখে উনি থামলেন!আপু আমার হাত থেকে আপুর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না!আপু আমার দিকে বার বার চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ইশারায় বুঝাচ্ছে”হাতটা ছাড় হিয়া!”
আমি তারপরও ছাড়ছি না দেখে আপু হঠাৎ উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
– আমার ক্লাস আছে ভাইয়া।আমি তাহলে আজ আসি।
আপু চলে যাচ্ছে শুনে ভয়ে আমার বুক কেঁপে উঠলো!আমি মায়াভরা চোখে আপুর দিকে তাকিয়ে বুঝালাম”আপু, আর একটু থাকো না!”
আপু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে উনাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,
– হিয়া,হাতটা ছাড়।আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আপুর এরকম কান্ড দেখে আমি অসহায়ভাবে আপুর দিকে তাকালাম তবুও ছাড়লাম না।
.
উনি আস্তে করে আমাদের কাছে এসে আমার থেকে আপুর হাতটা আলাদা করে আপুকে বিদায় দিলো!আপুও চলে গেলো।উনার এরকম কান্ড দেখে আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকালাম।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
– একগ্লাস পানি আনো তো।গলা শুকিয়ে গেছে পানি খাবো।
উনার কথা শুনে আমি দ্রুত ডাইনিং এ আসলাম।গ্লাসে একবার পানি ঢেলে বেসিনে যেয়ে সেটা ফেলে দিচ্ছি ।আবার পানি ঢেলে সেটা আবার ফালাচ্ছি।উনার সামনে যাওয়ার সাহসটা পাচ্ছি না।
.
উনি এদিকে আসছে দেখে আমি তাড়াতাড়ি পানি নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে উনার সামনে ধরলাম।তারপর বললাম,
– নিন!
– দাড়িয়ে পানি খেতে হয় না,জানো না?
কথাটা বলেই উনি ডাইনিং এর একটা চেয়ার টেনে বসলো।আমাকে ইশারায় কাছে ডাকলো।আমি আস্তে আস্তে উনার কাছে গেলাম।আমার দিকে তাকিয়ে উনি বললেন,
– দাড়িয়ে আছো কেনো?তাড়াতাড়ি খাইয়ে দাও।
উনার কথাটা শুনে আমি চমকে উঠলাম!খাইয়ে দিতে বললো আমাকে!আমার হাত কাপঁছে,সাথে সাথে পানির গ্লাসও কাপঁছে!বুকের ভেতরটা ধুক ধুক করছে!লজ্জায় উনার দিকে তাকাতেও পারছি না!
হঠাৎ উনি উনার বাম হাতটা আমি যেই হাতে গ্লাস ধরে রেখেছি সেই হাতের উপর রাখলেন!উনার হাতের স্পর্শে আমার হাতকাঁপা দ্বিগুন হয়ে গেলো!
.
আচমোকা ই উনি উনার ডান হাতটা আমার কোমড়ে রেখে হালকা টান দিয়ে উনার কাছে নিয়ে গেলেন!তারপর আমার ডানহাতটা টেনে উনার মুখের কাছে নিয়ে পানি খেতে শুরু করলেন!
উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু একটু করে পানি খাচ্ছেন!এটাকে মোটেও পানি খাওয়া বলে না চা খাওয়া বলে!
উনার কান্ড দেখে আমি অন্যদিকে তাকালাম! হঠাৎ আমার কোমড় ধরে হালকা টান দিয়ে বললো,
– ওদিকে কি?আমার দিকে তাকাও!
আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
– একটু তাড়াতাড়ি শেষ করুন।বাবুকে দেখতে যাবো।
– মাত্র বাজে নয়টা।এখনও অনেক টাইম আছে।…..কথাটা বলেই উনি উনার দুইহাত দিয়ে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে একদম উনার কাছে নিয়ে গেলেন।
.
আমি ভয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
– আমি এখনই যাবো।
উনার সামনে এভাবে আর কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে আমি শেষ!
.
উনি আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
– তোমাকে কেমন কেমন যেনো লাগছে!
উনার কথা শুনে আমি ভ্রু কুচকে জিঙ্গেস করলাম,
– মানে?ভালো লাগছে না?
ইফাজ ঠোটেঁ দুষ্টু হাসির রেখা টেনে বললো,
– তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে কাল তোমার বিয়ে হয়েছে।আর আজ সকাল সকাল নতুন বউ লাল টুকটুকে শাড়ি পরে বরের সাথে বসে বসে রোম্যান্স করছে!
উনার কথা শুনে আমি পানির গ্লাসটা রেখে উনার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললাম,
– আমি মোটেও রোম্যান্স করছি না।আপনিই করছেন রোম্যান্স!
– উফ্!নড়ছো কেনো এতো?
– প্লিজ!
– শাড়িটা পরে অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে!
– প্লিজ!ছাড়ুন না!অনেক লেট হয়ে যাচ্ছে!
– সেটা আমি বুঝবো!
উনার কথা শুনে আমি অসহায়ভাবে বললাম,
– তাহলে চলুন।
উনি আমার কথার পাত্তাই দিলেন না।আমি উনাকে সামান্য ধাক্কা দিয়ে বললাম,
– কি হলো?এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?চলুন না!
উনি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন,
– আজ সকালে তোমার শাড়ি কেনার জন্যই একটা শপিংমলে ঢুকেছিলাম।আমার টার্গেট ছিলো একটা কালো জামদানি কিনবো।কারন কাল যখন তোমাকে জামদানি শাড়িতে দেখেছিলাম আমার ভাবনার থেকেও বেশি সুন্দর লাগছিলো তোমাকে!কাল যখন তুমি গাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলে,আমি গাড়ি থামিয়ে আধাঘন্টার মতো তোমাকেই দেখছিলাম!তাও মন ভরছিলো না!তারজন্যই তো কাল ওতো রাত হলো ফিরতে ফিরতে!
আজ সকালে একটা শাড়ির শোরুমে ঢুকে জামদানি শাড়িই দেখছিলাম,দেখতে দেখতে হঠাৎ এই শাড়িটার দিকে চোখ পরলো!চোখ ফেরাতে পারছিলাম না!মনে মনে ভাবছিলাম আমার বউটাকে এই শাড়িতে একবার হলেও দেখতে চাই!আর ফার্স্ট শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছো বলে কথা!তাও আবার হাজবেন্ডের সাথে!লাল শাড়ি কেনাটাই বেটার মনে হলো!তাই কোনোকিছু না ভেবে কিনে ফেললাম!
.
উনার কথাগুলো শুনে আমি অবাক হলাম!কি বললেন এতক্ষণ উনি!কাল গাড়ি থামিয়ে আধাঘন্টা ভরা আমাকেই দেখেছেন!আমি তখন কি অবস্থায় ছিলাম?ঘুমালে তো আমার কোনো হুস থাকে না!লজ্জায় মাথাকাটা যাচ্ছে আমার!
.
হঠাৎ উনি ছেড়ে দেওয়ার ভান করে আবার ধরে ফেললেন!কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো এই বুঝি ছাড়া পেয়েছি!
.
উনি ভ্রু উপরে উঠিয়ে দুষ্টুহাসি দিয়ে বললেন,
– এতোই সহজ ছাড়া পাওয়া?
উনার কথা শুনে আমি মুখে অসহায়ত্ব ফুটিয়ে অন্যদিকে তাকালাম!আমাকে দেখে একটু হলেও যেনো মায়া জন্মে উনার!
হঠাৎ উনি আমার বামহাত ধরে হাতের উল্টোপিঠে চুমো দিয়ে বললেন,
– জানো,তুমি আজ যাবে বলে ইয়াসের সে কি আনন্দ!ও আসতে চেয়েছিলো অবশ্য আমিই আনি নি।ওকে প্রমিস করে এসেছি যে যত দ্রুত সম্ভব তোমাকে নিয়ে যাবো।
.
উনার কথা শুনে আমি উনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উনার হাত ধরে দাড় করিয়ে বললাম,
– আগে বলেন নি কেনো?তাড়াতাড়ি চলুন!আমি আর এক মুহূর্তও এখানে থাকবো না।
কথাটা বলেই আমি উনার হাত ধরে টেনে উনাকে সামনে আনতে যাবো উনি আমাকে উল্টো টান দিয়ে কোলে তুলে নিলেন!উনার কান্ড দেখে আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
– আর না,প্লিজ!এইসব পরেও করা যাবে!আগে চলুন না!প্লিজ!
কে শোনে কার কথা!উনি আমার কোনো কথার পাত্তা না দিয়ে আমাকে পাচঁকোল করে নিয়েই পুরো বাসা রাউন্ড দিচ্ছে!আমি অসহায়ের মতো উনার দিকে তাকিয়ে আছি।
.
.
(চলবে)