#নিশ্বাস
#পর্ব_১৪
#লেখক_Mohammad_Asad
ছাদিক বাড়ির কলিংবেল বাজিয়ে যাচ্ছে তবুও কেউ দরজা খুলছে না। তাই তিন্নি ভাবির ফোনে কল করে ছাদিক।
-হ্যালো ভাবি,
“তিন্নি ভাবি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে”
-হ্যাঁ ছাদিক বল,
-এতোক্ষণ থেকে কলিংবেল বাজিয়ে যাচ্ছি দরজা খুলছো না কেন?
-আম্মা দরজা খুলতে বারণ করেছে। আমি যদি দরজা খুলি তাহলে আমাকেও বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
-মানে?
-হ্যাঁ আম্মা বলেছে তুই আসলে যেন দরজা না খুলি। তোকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে আম্মা।
-“নিশ্চুপ”
-আচ্ছা বাই রে ভালো থাক।
-ভাবি এমন করে বলছো কেন, এইসময় কোথায় যাবো আমি?
-কেন তোর বন্ধুদের বাসায় যাবি।
-হুঁ তাই করতে হবে দেখছি।
-হুঁ তাই কর,
-ভাবি আম্মু কি সত্যি সত্যি বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে আমাকে?
-হ্যাঁ
-ওহ আচ্ছা,।
-আম্মা বলেছেন নিশাতের সঙ্গে বাড়িতে ফিরলে তোকে ঢুকতে দিবে না।
-হুম বুঝেছি। আম্মু বুড়ী হচ্ছে আর এইসব করছে। মাথা পাগল হয়ে গেছে আম্মুর।
-হ্যাঁ রে বাই, ভালো থাকিস!
-হুঁ বাই,
তিন্নি ভাবি ফোনটা কেঁটে দেয়। ছাদিক তিন্নি ভাবির সঙ্গে কথা বলে ফোনটা পেন্টের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছাদিকের দিকে।
-এই এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন?
-আমার জন্য এইসব হচ্ছে।
-পাগলীটা,
-আপনি আমাকে শুধু শুধু বাইরে নিয়ে গেলেন।
-আরে পাগলী আমি কি যানতাম আম্মু সত্যি সত্যি আমাকে ঘরে ঢুকতে দিবে না।
-হুঁ
-যানো আম্মু আমাকে অনেক ভালোবাসে। তবে এমন কেন করছে বুঝতে পারছি না। সেই ছোট কালে আমি যখন ক্রিকেট খেলে সন্ধ্যা করে ফিরতাম বাড়িতে আম্মু ঠিক এমন করেই দরজা বন্ধ করে দিতো। তবে তখন তো ছোট ছিলাম দরজা খুলে দিয়েছে। আজকে তো সারাজীবনের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
“নিশাত এবার হুঁহুঁ করে কেঁদে ওঠে”
-এই নিশাত কান্না করছো কেন?
-আমার জন্য আপনার এমন হয়েছে।
-আরে পাগলী না, আম্মুর একটু বয়স হয়েছে তাই এমন করছে।
.
.
ছাদিক এবং নিশাত দুজনে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির গেট থেকে যখন বের হয়ে যাবে ছাদিক এবং নিশাত তখন আব্বু কোথা থেকে যেন আসে।
-আরে ছাদিক, নিশাত মা তোমরা কোথায় যাচ্ছো?
“ছাদিক আব্বুর দিকে তাকিয়ে বলে”
-আব্বু আমরা বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি।
-মানে কি বলছিস?
-আম্মু তো আমাদের বাড়িতে ঢুকতেই দিচ্ছে না।
-ওহ আচ্ছা, চল আমি তোদের নিয়ে যাচ্ছি। আমি বজার থেকে ফিরলাম। তোর আম্মুটা না পারেও বটে।
-“নিশ্চুপ”
আব্বু বাড়ির কলিংবেল বাজালে আম্মু খুলে দেয় দরজাটা। তখন আব্বু হেঁসে হেঁসে বলে।
-আরে তুমি ছাদিক আর বউমাকে ঘরে ঢুকতে দেও নাই কেন?
“আম্মু রেগে দাঁত কটমট করে বলে”
-ছাদিক নামে কোন ছেলে আমার নেই। যে ছেলে আমার অবাদ্ধ হয়। আমাকে অপমান করে সে ছেলে আমার হতে পারে না। আমার একটি ছেলে রাইসুল।
ছাদিক নিশাতের হাত ধরে বাড়ির বাইরে চলে যায়। এদিকে আম্মুর সঙ্গে আব্বু তর্ক করে যাচ্ছে।
“চলবে?”