#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_1
#Writer_Nusrat
বিয়ে ছাড়াই বাসর করতে হবে কথাটা শুনে চমকে উঠলাম আমি৷ ভাইয়া”এসব কী বলছো তুমি বিয়ে ছাড়াই বাসর মানে৷??
“মানেটা সিম্পল বিয়ে হবেনা বাট বাসর হবে ঠিকই৷”
“ভাইয়া আমরা তো একে ওপরকে ভালোবাসি তাহলে আমরা কেন এই অবৈধ কাজ করবো৷ তার চেয়ে চলো বরং বিয়ে করে ফেলি৷”
“বিয়ে করবি ঠিকাছে৷ কাল রেডি থাকিস৷ কালই আমাদের বিয়ে হচ্ছে””
বিয়েরদিন,,,,,,,,,
কবুল বলতে যাবো ঠিক তখনি আদনান ভাইয়া বলে উঠলেন”” আমি সামান্তাকে বিয়ে করবোনা৷ ওকে আমি ভালোবাসি না ঘৃণা করি৷ আর যাকে ঘৃণা করি তাকে নিয়ে সারা জীবন কাটাবো কী করে৷ তাই আমি সময় থাকতে এই বিয়েটা ভেঙে দিচ্ছি৷””””কথাটি বলে আদনান ভাইয়া রেজিস্ট্রি পেপারটা ছিড়ে ফেলে দিয়ে হনহনিয়ে চলে গেলেন৷
আমি পাথরের মুর্তির মতো বসে আছি৷ আদনান ভাইয়া আমার সাথে এমনটা কেনো করলেন উনিতো আমায় ভালোবাসতেন৷ কাল রাতে ওতো আদনান ভাইয়া ছাদে বসে আমার কাধেঁ মাথা রেখে কতো গল্প করেছিলেন৷ আমরা কীভাবে সংসার করবো না করবো কয়টা বাচ্চা নিব না নিব এসব বলছিলেন আর আমি উনার এমন কথা বার্তা শুনে শুধু হাসছিলাম৷ আর আজ এই মুহুর্তে কী থেকে কী হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি৷ আমি কেন আম্মু,আব্বু, বড় আব্বু,মামনী কেউ ওই বুঝতে পারছেনা৷ আদনান ভাইয়ার জেদের বশেই উনারা আজ বিয়ে দিতে রাজী হয়েছিলেন৷আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা দৌড়ে নিজের রুমে চলে এলাম৷
রিংকি এগিয়ে আসলো আরুহির দিকে,,,
“তোর ছেলের জন্য যদি আমার আমার মেয়ে উল্টা পাল্টা কিছু করে তাহলে কিন্তু আমি কাওকে ছেড়ে দিবোনা বলে দিলাম৷”
আরুহি কিছু বলতে পারছেনা মাথা নিচু করে দাড়িঁয়ে আছে৷ আদনান একেবারে ওর বাবা আদিলের মতো হয়েছে৷
আহিলও এক কোনে স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একমাত্র মেয়ের এতো বড় অপমান কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা সে৷
🍀🍀🍀🍀🍀
বেশ কিছুক্ষন লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসলাম আমি৷ আমি কিন্তু অন্যদের মতো কেঁদে কেটে বুক ভাসিয়ে ফেলিনি৷ কেঁদে আর কী হবে এখন যথাসম্ভব নিজেকে শক্ত রাখতে হবে৷ আহিল খানের মেয়ে আমি৷ এতো সহজে কিছুতেই ভেঙে পরবোনা৷ আর আদনান খান আজ থেকে আপনি আপনার পথে আর আমি আমার পথে৷ আমি আর আপনার কোনো কথা শুনবোনা,মানবোনা আই হেট ইউ৷ আপনি আমার সাথে যে অন্যায় করেছেন তার শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে৷ আর কিছু না ভেবে শুয়ে পরলাম আমি৷
🏜️🏜️🏜️🏜️🏜️
সকালে ঘুম ভেঙে গেলো আমার৷ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৯টা বাজে৷ তারমানে ভার্সিটিতে যেতে পারবো৷ তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে একটা স্কার্ট আর টপ পরে নিলাম৷ গলায় ও একটা স্কার্ফ পেছিয়ে নিলাম৷ পিঠে ব্যাগ রাখতেই চোখ পরলো সোফায় পরে থাকা শাড়ির দিকে৷ একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে শাড়িটা হাতে নিলাম৷ এই শারিটা আদনান ভাইয়া আমায় গিফ্ট করেছিলেন৷ আমি আর না ভেবে নিচে চলে গেলাম৷
সবাই ব্রেকফাস্ট করার জন্য বসে আছে৷ আমি গেলেই স্টার্ট হবে৷ তাকিয়ে দেখলাম আদনান ভাইয়া খাওয়া শুরু করে দিয়েছে৷ যে ছেলেটা আমায় রেখে একটা বিস্কুট পর্যন্ত মুখে দিতোনা আজ সে ব্রেকফাস্ট ও করে নিচ্ছে৷
“একি তুমি এই শাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছো সামান্তা??
তাকিয়ে দেখলাম জিএম (গ্র্যান্ড মাদার)প্রশ্নটা করেছেন আমি আর কিছু না বলে কিচেন থেকে একটা দিয়াশলাই এনে শাড়িটা তে আগুন দড়িয়ে দিলাম৷ আদনান ভাইয়া আমার দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে৷ তাতে আমার কী আমি আর কারও স্মৃতি আমার কাছে রাখতে চাইনা৷
আদনান ভাইয়ার দিকে আবার তাকালাম আমি তাকিয়ে দেখলাম উনি এবার বিস্ফোরিত চোখে নয় অবাক চোখে তাকিয়ে আছে৷ বেশ ভালো বুঝতে পারছি এরকম তাকানোর মানে৷ অন্যদিন আমি ভার্সিটিতে গেলে তার কথা মতো লং থ্রি-পিস পরে যেতাম৷ বাট আজ টপ আর স্কার্ট পরেছি৷ আমি আর দেড়ি না করে ব্রেকফাস্ট করা শুরু করে দিলাম৷
“আজকে কী না গেলে হয়না৷??
“তুমি কী চাইছো বলতো আম্মু?? আমি সারাদিন রুমে বন্দি হয়ে বসে থাকি কান্না করি৷ আমি মোটেও এমন করবোনা৷
আমি আর কথা না বারিয়ে বেড়িয়ে পরলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে৷ এখন থেকে নিজের লাইফ নিজেই হ্যান্ডেল করবো৷ আমার লাইফে আমি আর কাউকে ইন্টারফেয়ার করতে দিবোনা ইভেন নিজের মা বাবাকে ও না৷
“আহিল তোর মেয়ে এক্কেবারে তোর মতোই হয়েছে”৷
“হুম আর তোমার ছেলেও তোমার মতো হয়েছে৷ আমার মেয়ে আমার মতোই শান্তশিষ্ট ৷ এটলিস্ট তোমার ছেলের মতো রাগী আর বদমেজাজী নয়৷ ”
আদনান সবার দিকে একবার তাকিয়ে খাবার রেখেই চলে গেলো৷
“বাপ কা বেটা”৷
“তা ও কি শুধু আমার ছেলেই তোমার ছেলে নয়”
“হ্যা আমার ছেলে বাট আমার কোনো গুনই ওর মধ্যে নেই৷ ওতো শুধু চিনে মেয়েদের মন নিয়ে খেলা করতে৷”
চলবে,,,,,,,,,,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ প্রথম পার্ট তাই ছোট করে দিলাম৷ রেসপন্স পেলে তবেই নেক্সট পার্ট দিবো)