#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_13
#Writer_Nusrat
আদনানের এক ফ্রেন্ড জুবায়ের অনেক্ষন ধরে সামান্তাকে দেখছে৷ আর সেটা কেউ না ফলো না করলেও আদনান করছে৷ আদনান এগিয়ে গেলো জুবায়েরের দিকে৷
“হেই ব্রো ওদিকে কী দেখছিস?
.
“না আসলে,,আচ্ছা এই মেয়েটা কে রে ভাই? কী সুন্দর দেখতে৷ কী মায়াবী চেহারা৷ একটু পটিয়ে দেনা ভাই৷
.
“ওদিকে নজর দিস না৷ ওটা আমার জন্য বুক করা৷ তুই বরং অন্যদিকে নজর দে৷
.
“কীহ!!!ও তাহলে তোর,,
.
হ্যা যেটা বুঝেছিস সেটাই৷
.
কিছুক্ষন পর আয়েশা নিচে এলো৷এতো মানুষ দেখে তার চোখ ছানাবড়া৷
“এই যে তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো??
আয়েশার কথা শুনে সবাই আয়েশার দিকে তাকালো৷ আয়েশা মাথায় দুদিকে ঝুঁটি বেঁধেছে৷ মুখ ফুলিয়ে কোমড়ে দুই হাত দিয়ে কথাটা বললো সে৷
আদনানের ফ্রেন্ড মাহফুজ আয়েশার নমুনা দেখে দাঁত বেড় করে হেসে ফেললো৷
“এই যে দাঁত বেড় করছো কেনো?দাঁত ভেঙে দিবো৷
আয়েশার কথা শুনে মাহফুজ তারাতাড়ি তার মুখ বন্ধ করলো৷ আদনানের আরেকফ্রেন্ড আবির বলে উঠলো,,
“আরে ভাই দেখ দেখ কীরকম গরুর মতো শিং বেঁধেছে৷ পুরাই গরু লাগছে৷ একটা লেজ থাকলে আরও ভালো হতো৷
“আচ্ছা আমাকে মনে হয় গরুর মতো লাগছে আর তুমি যে কবুতরের মতো চুল খাঁড়া করেছো তাতে তোমায় বান্দরের মতো লাগছে৷ আয়েশার কথা শুনে আবির হেহে করে হেসে দিলো৷
“আচ্ছা খুকি জীবনেতো শুনিনি কবুতরের চুল আছে৷ তুমি কোথায় কবুতরের চুল দেখলে৷
.
“আমি দেখেছি বলেই বলেছি৷ এবার বলো তোমরা কী বিয়ে বাড়িতে এসেছো৷
.
না না আমরাতো বন্ধুর বাড়িতে এসেছি৷ বিয়ে বাড়ি কেনো আসবো৷
.
তাহলে চা খেয়ে চলে যাও৷বিয়ে বাড়িতে গেলে ভাত খেতে হয়৷
.
কেন গ তোমাদের বাড়িতে ভাত নেই৷ আমরাতো ভাত খেয়েই যাবো৷ তুম এতো কিপ্টু কেনো৷
.
ওটা কিপ্টু নয় কিপ্টা হবে৷
.
আরে আমিতো আদর করে কিপ্টু বললাম৷ আর তুমি তাহলে স্বীকার করছো যে তুমি কিপ্টা৷
.
আমি মোটেও কিপ্টা নই৷ তোমরা সবাই কিপ্টা৷ জানোনা কারও বাসায় গেলে চিপস, চকলেট নিয়ে যেতে হয়৷ এসব না নিয়েই খাম্বা গুলো চলে আসছে৷
.
ঠিকাছে এরপর তোমাদের বাসায় আসলে চিপস আর চকলেটের দোকান সহ নিয়ে আসবো৷ আর আমাদের যে ভাত খাওয়াবে ওটার জন্য খুঁটা দিয়ো না৷ তাহলে যে মনে অনেক বড় ধাক্কা লাগবে গ৷
.
আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে এতো করে যখন বলছো তাহলে আমি খুঁটা দিবোনা৷ কিন্তু হ্যা এটা মনে রাখবে যে আমি কত দয়ালু৷ তোমাদের মতো ভিখারিদের খাবার দিয়েছি৷ হুহ
.
আচ্ছা আচ্ছা মনে রাখবো৷ এখন তুমি আসতে পারো৷
আয়েশা চলে গেলো৷ আবির আদনানের দিকে তাকিয়ে বললো,,
ভাই তোর বোন শেষমেশ আমাদের ভিখারি বানিয়ে দিলো৷
আমি প্রত্যেকদিন ওর জ্বালানো সহ্য করি এবার তোরা একটু সহ্য কর৷ ও একটু বেশিই পাকনামি করে কিছু মনে করিসনা৷
★★★★★
আরুহি আর রিংকি সবাইকে ডেকে লাঞ্চ করার জন্য ডাইনিংয়ে নিয়ে গেলো৷ সামান্তা কিচেনেই দাঁড়িয়ে আছে৷ আরুহি ওকে আদনানদের সাথে বসতে বললো কিন্তু সামান্তা গেলোনা৷ চুলায় একটা পাতিল বসিয়ে দিয়ে পানি ঢাললো৷ নুডলস্ বানিয়ে খাবে সে৷
“একি সামান্তা তুমি ডাইনিংয়ে যাও লাঞ্চ করবেতো৷
.
না মামনী আমি লাঞ্চ করবোনা৷ আমার নুডলস্ খেতে খুব ইচ্ছে করছে তাই নুডলস্ই খাবো৷।
★
খাওয়ার মধ্যেই আদনানের মুঠোফোন বেজে উঠলো৷ জুই কল করেছে৷
“হ্যালো জুই৷
.
হ্যা আদনান তুমি একটু এয়ারপোর্টে আসতে পারবে৷
.
এয়ারপোর্টে!! কিন্তু কেনো৷
.
একচুয়েলি আমি বিডিতে চলে এসেছি৷ তুমিতো বলেছিলে আমাকে নিতে আসবে তাহলে আজ আসবেনা৷??
.
ঠিকাছে আমি আসছি৷
.
কী রে আদনান জুই কী বললো৷
.
ও বিডিতে চলে এসেছে৷ ওকে আনতে যেতে হবে৷ আমি খেয়েই চলে যাবো৷ বেশি সময় তো লাগেনা জাস্ট ২৫ মিনিট৷ তোরাও ওয়েট করিস ওকে দেখে তারপর যাবি৷
আদনান খাবারটা খেয়ে ওর বন্ধুদের রেখেই চলে গেলো৷সামান্তা কিচেন থেকে সব দেখছে৷ আর নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে৷
কে এই জুই যার জন্য ভাইয়া উনার বন্ধুদের ফেলেও চলে গেলো৷ সেদিন তো এই মেয়েকেই জানু বেবি বলেছিলো৷ আর এই মেয়েইতো আমাদের বাড়িতে থাকবে এখন থেকে৷ভাইয়ার কী সত্যি এই মেয়ের সাথে এফেয়ার আছে৷
★★★★
সামান্তা বিকেলে ছাঁদে ওর ফুল গাছে পানি দিচ্ছে৷ আদনান ফুলের টব গুলো সামান্তার জন্য এনেছিলো৷ অনেকদিন ধরে যত্ন নেওয়া হয়না তবে আজ একটু যত্ন নেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে তাই সে পানি দিচ্ছে৷ সামান্তা বার বার ছাঁদ থেকে নিচে উকিঁ দিয়ে দেখছে আদনান আসছে কী না৷ ১ ঘন্টা হতে চললো তবুও আসছেনা সে৷ সামান্তার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আদনান চলে এলো৷ সাথে জুইও আছে৷ সামান্তার চোখ ছলছল করছে৷
#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_14(Last part)
#Writer_Nusrat
সামান্তা আর নিচে গেলো না৷ ছাঁদেই একটা দোলনায় বসে পরলো৷
আদনান জুইকে নিয়ে সবার সাথে দেখা করালো৷ জুই শুধু একজনকেই খুঁজছে সেটা হলো রকি৷
আদনান রকি কোথায়?? ওকে তো দেখছিনা৷
.
তুমি হঠাৎ রকিকে খুঁজছো যে??৷
.
না মানে সবাই যখন এখানে তাহলে রকির ওতো থাকার কথা রাইট??
.
জানিনা ওকে তো আমি ফোন করেছিলাম বাট রিসিভ করেনি৷
.
আমিও ওকে অনেকদিন ধরে ফোন করছি বাট ফোন ধরছে না৷ ও কী জানেনা আমি ওকে কতটা মিস করছি৷
.
মানে মিস করছো মানে??
.
আসলে আদনান তোমাকে বলা হয়নি আমার আর রকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে৷ এফেয়ারে আছি আমরা৷ আমি বিডিতে আসলেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো বাট ওকে তো পাচ্ছিই না৷ প্লিজ আদনান তুমি কিছু একটা করো৷ দেখো কোথাও ওকে পাও কী না৷
.
হুম আমি দেখছি কী করা যায়??
★★★★
আদনানের ফ্রেন্ডরা চলে গেলো৷ আদনানও কোথায় চলে গেছে৷ জুইর একা একা ভালো লাগছেনা তাই সে ছাঁদে গেছে৷ ছাঁদে গিয়ে দেখলো সামান্তা মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ জুই চিনতে পারলো না সামান্তাকে৷
হেই হু আর ইউ??
কারও কন্ঠ শুনে ধ্যান ভাঙলো সামান্তার৷ চেয়ে দেখলো জুই তাকে প্রশ্নটা করেছে৷
আমি সামান্তা৷
.
কীহ!!!তুমিই সেই সৌভাগ্যবতী সামান্তা৷ ওহ্ মাই গড৷
.
সৌভাগ্যবতী মানে৷???
.
মানে তুমি জানো তোমাকে আদনান কতটা ভালোবাসে৷ আমেরিকায় থাকতে যখন ওর কাছে যেতাম না তখন শুধু তোমার কথাই বলতো৷ আর তোমার ছবির দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে তাকতো৷ বাই দ্যা ওয়ে তোমার কী মন খারাপ?? নিচে ওতো গেলেনা৷
.
না এমনি৷
ছি ছি আদনান ভাইয়ার বিষয়ে এসব আমি কী ভাবছিলাম৷ ভাইয়া আবার আমায় ভুল প্রমানিত করলো৷ এই লোকটার কাছে কখনো জিততে পারিনি আমি৷ তবে আজকে যাই হয়ে যাক৷ আদনান ভাইয়ার মান আমি ভাঙাবোই ভাঙাবো৷ কিন্তু ভাইয়া কোথায় গেলো ভাইয়াকে তো দেখছিনা৷
★★★★
আদনান ওর বাংলোতে গেছে৷ রকি যে রুমে আছে সেই রুমের দরজা খুলে দেখলো রকি চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বুঝে আছে৷ ওর অবস্থা একেবারে করুন৷ না চাইতেও আদনানের চোখ ছলছল করে উঠলো৷ হাজার হলেও নিজের ফ্রেন্ড বলে কথা৷ আদনান আর দেড়ি নাা করে রকির হাত পায়োর বাধঁন খুলে দিলো৷ কারও স্পর্শ পেয়ে চোখ মেলে তাকালো রকি৷
আদনান ওর কাটা স্থানের দিকে তাকিয়ে দেখলো একে বারে ঘা হয়ে গেছে৷
চল আমার সাথে তোকে হসপিটালে নিয়ে যাবো৷
.
না আদনান আমি হসপিটালে যাবোনা৷ আমি যে অন্যায় করেছি সেটা ক্ষমার অযোগ্য৷ আমি এখানেই থাকবো তুই চলে যা৷ আমি তখন রাগের বশে দোষ গুন বিচার করিনি৷ তাই এমন অন্যায় করেছিলাম৷ তাই এখন আমায় প্রায়শ্চিত্তের করার সুযোগ দে৷
.
তুই তোর ভুল বুঝতে পেরেছিস এটাই অনেক৷ তাছাড়াও জুই বাংলাদেশে চলে এসেছে৷ তোকে খুব মিস করছে তাই এখন ভালোই ভালোই চলে আয়৷
.
কীহ্!!!!জুই চলে এসেছে???
.
হুম চল৷
আদনান রকিকে নিয়ে হসপিটালে গেলো৷
★★★★
রাতে সামান্তা আদনানের রুমে গেলো৷ আদনান তখন ল্যাপটপে কাজ করছে৷
সামান্তা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো…..
ভ,,ভাইয়া৷
আদনান মাথা তুলে তাকালো সামান্তার দিকে৷
তুই!তুই আমার রুমে কী করছিস??
ভাইয়া আসলে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি৷ প্লিজ ভাইয়া আমায় ক্ষমা করে দাও৷ আমাকে একটা সুযোগ দাও প্লিজ৷
এখান থেকে বেড়িয়ে যা৷
ভাইয়া প্লিজ আমায় মাফ করে দাও নইলে যে আমি মরে যাবো৷ তুমি কী চাও আমি মরে যাই৷??সেদিন আমার মাথায় কাজ করছিলো না৷ এক ভ্রমের মধ্যে ছিলাম আমি৷ কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কী ভুল করেছিলাম সেদিন৷ এই ভুল আমি আর দ্বিতীয় বার করবো না৷
আদনানও ভাবছে ক্ষমা করবে কী না৷ বিকেলে জুইও অনেক বুঝিয়েছে৷ অনেক তো মনমালিন্য হলো৷ কেউই তো কম কষ্ট পায়নি৷
সামান্তা এগিয়ে আসলো আদনানের দিকে৷ তারপর ওর পায়ের কাছে বসে পরলো৷
প্লিজ ভাইয়া এবারের মতে মাফ করে দাও৷ আমি আর তোমায় ভুল বুঝব না৷
কথাটা বলে সামান্তা ফুপিয়ে কেঁদে দিলো৷
আদনান সামান্তাকে দাঁড় করিয়ে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো৷
দুই বছর পর 🌷🌷🌷
আদনানের পরিবারের সবাই হসপিটালের করিডোরের দাঁড়িয়ে আছে৷ সামান্তাকে ওটিতে নিয়ে গেছে৷ আদনানের শরীর ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে৷ কারণ সামান্তার অবস্থা একেবারে ক্রিটিকাল৷
বেশ কিছুক্ষন পর বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনা গেলো৷ আদনান দৌঁড়ে ওটির সামনে চলে গেলো নার্স তোয়ালে পেছিয়ে দুটো বাচ্চা নিয়ে এলো৷
কংগ্রাচুলেশনস মিস্টার আদনান আপনি জমজ বাচ্চার বাবা হয়েছেন৷
আদনান সেদিকে কর্নপাত না করেই বললো,,
সামান্তা,আমার সামান্তা কেমন আছে??
নার্স মাথা নত করে নিলো৷
একি নার্স বলছেননা কেনো আমার সামান্তা কেমন আছে৷ (চিল্লিয়ে)
আদনান আপনার স্ত্রী আর নেই৷ উনি মারা গেছেন৷ দুটো বেবি কনসিভ করতে উনার খুব কষ্ট হয়েছে৷ আমরা বাচ্চাকে বাঁচাতে পেরেছি কিন্তু উনাকে শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারিনি৷ সব আল্লার হাতে৷
আদনান নার্সকে ঠেলে ওটিতে চলে গেলো৷ সেখানে সামান্তার নিথর দেহ পড়ে আছে৷ হাতে এখনো ক্যানেলার লাগানো৷ আদনান সামান্তাকে ডাকছে চিল্লিয়ে৷ কিন্তু সামান্তার কোনো রেসপন্স নেই৷
সামু প্লিজ উঠো দেখো আমাদের দুটো মেয়ে হয়েছে৷ প্লিজ সামু তুমি আমাদের এভাবে একা ফেলে চলে যেতে পারোনা৷ তুমি না বলতে তুমি ওদেরকে খুব ভালোভাবে মানুষ করবে৷ এটাই তোমার মানুষ করার নমুনা এভাবে ওদের ছেড়ে চলে গিয়ে
তিন বছর পর🌻🌻🌻🌻
ছাঁদে বসে আছে আদনান৷ সাথে ওর মেয়েরাও আছে৷ দুজন দুপাশে গালে হাত দিয়ে বসে আছে৷ আর আদনান স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দূর আকাশে৷
বাবা আমার মা কোথায়??ওই দূর আকাশে তাই না বাবা?? মা আসেনা কেনো৷ জানো মাকে না আমি খুব মিস করি৷ কিন্তু মা খুব পচাঁ আমাদের কাছে আসেনা৷ আমি মায়ের সাথে রাগ করেছি৷
আদনান তার মেয়েদের জড়িয়ে ধরলো৷
এভাবে বলেনা মা৷ তোমার মা শুনলে খুব কষ্ট পাবে৷ তোমার মা যে তোমাদের সব সময় দেখে৷
আদনান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো
সামান্তা আমাদের ছেড়ে থাকতে কী তোমার খুব ভালো লাগে৷ খুব না বলতে তোমার অসীম ভালোবাসা দেখাবে আমাকে৷ এটাই তোমার অসীম ভালোবাসা৷ আদনানের চোখ থেকে দু ফোটা জল গরিয়ে পরলো৷
_______________সমাপ্ত__________________
[ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ আমি হয়তো এতোটা ভালো লিখতে পারিনা তাই মাফ করবেন৷ সামান্তাকে কেনো মারলাম সেজন্য অনেকেই আমাকে কথা শুনাবে৷ আগের সিজনে তো হ্যাপি এন্ডিং দিলামই এবার এটায় না হয় সেড এন্ডিং দিলাম৷ আর ধন্যবাদ এতোদিন আমার পাশে থাকার কারণে৷ সবাইকে খুব মিস করবো ]
চলবে,,,,,