#মনের_গভীরে_তুমি❤
#পর্ব_১৪
#M_Marufa_Yasmin
আর্য অবাক হয়ে বলল
—“এই সব কি বলছিস তুই? মাথা ঠিক আছে তোর?কেয়ার দির খুন কে করবে?
ইশরা কাঁদতে কাঁদতে বলল
—“দা আমি জানি না এসব কি করে হলো তবে তুই আরাভ দা কে এসব বলিস না ও একেই ভাবি কে নিয়ে টেনশন এ আছে তুই পারলে বাড়িতে আয়।
—” ঠিক আছে আমি আসচ্ছি।
আর্য ফোনটা রেখে আরাভের কাছে গেলো আরাভের অবস্থা দেখা যাচ্ছে না কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ ফুলে গেছে চুল গুলো এলোমেলো।পাগলের মতো লাগছে।কিছুতেই ওকে সামলানো যাচ্ছে না।
সবাই ওকে সামলানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না ।ভালোবাসার মানুষের একটু কিছু হলে মনে হয়।তার কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচবো না।
কিছুক্ষন পর ডাক্তার বের হলো
আরাভ ডাক্তার কে দেখে পাগলের মতো জিজ্ঞেস করছে
—” ডাক্তার আমার স্ত্রী ঠিক আছে তো?
—” জ্বি উনি এখন সুস্থ আছেন?
—“আর আমার বাচ্চা ?
—” আপনার স্ত্রীর ভাগ্য অনেক ভালো যে উনি বেশি উচু থেকে পরেনি ।তাই আমরা বাচ্চা টাকে বাঁচাতে পেরেছি। আপনার মেয়ে হয়েছে ।
আরাভ কথাটা শুনে অনেক খুশি ।
—“thank you doctor
—“thank you আল্লাহ কে বলুন
—” ডাক্তার আমার স্ত্রী কে এখন দেখতে পাবো?
—” না এখন না ওনার জ্ঞান ফিরুক ।
—“ওকে ডাক্তার।
আরাভ বসে থাকতে থাকতে।ঘুমিয়ে গিয়েছে।একজন নার্স এসে বলল
—” এই যে শুনছেন
—“হু
—“আপনার স্ত্রী আপনাকে ডাকছে ।
আরাভ উঠে টিপের কাছে গেলো।
—“টিপ! !তুমি কেমন আছো এখন ?
—” আপনি কাঁদছিলেন?
—“কই না তো।
—” এই রকম অবস্থা কেন?
—“এসব ছাড়োএখন !আমাদের মেয়ে এটা ।
বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে।
টিপ আরাভ কে জিজ্ঞাসা করলো
—” আরাভ বাবা মা কই?
—“সবাই কে আমি বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।
—“ও ফোন করো মা কে ।
আরাভ ফোন করে
ইশরা ফোন তুলে বলল
—“হ্যালো দা বল?ভাবি কেমন আছে এখন?
—“তোর ভাবি ভালো আছে ।আমাদের মেয়ে হয়েছে ।
—“কিহ তাই নাকি ।কবে বাড়ি আসবে।
—“কালকে।
—“আজ তুই একবার আয়।
—“কেনো কিছু হয়েছে?
—“না তুই একবার বাড়ি আয় ।
—“ঠিক আছে কিন্তু টিপের কাছে কে থাকবে?
—” আমি যাচ্ছি দিয়ে তুই একবার বাড়ি আয় ।
আরাভ ফোনটা কেটে দেয়। কিছুক্ষন পর ইশরা আসে। আর আরাভ কে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
আরাভ বাড়ি গিয়ে দেখে সাদা কাপড়ে ঢাকা কেও শুয়ে আছে আর তার চারপাশে মা বাবা রনিত তার পরিবার মিলে ঘিরে বসে আছে।
আরাভ আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলো চোখ দিয়ে অশ্রু ধারা বয়ে যাচ্ছে ।তার আর বুঝতে বাকি নেয় এটা কেয়ার লাশ ।
আরাভ পাশে গিয়ে বসে
দিইইইইইইইইইই বলে চেঁচিয়ে উঠলো, ,,
যতই হোক বড়ো বোন।
আরাভ পাগলের মতো কান্না করতে লাগল ।
বাড়ির সকলেও কান্না করছে ।
কিছুক্ষন পর লাশটা কে গোসল করানো হল।
ছেলেরা সবাই লাশটা কে নিয়ে চলে গেলো ।
সন্ধ্যা বেলা
পুরো বাড়ি নিঃশব্দ।সবাই সোফায় বসে আছে।আরাভ সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলল
—” তোমাদের বলা হয়নি আমাদের মেয়ে হয়েছে।
সবাই শোনা মাত্র খুশি।কিন্তু বেশি না।
ইশরা গিয়ে টিপ কে সবচা বলে।টিপ জেদ করেছিল আসার কিন্তু ইশরা আসতে দেয়নি।
দশ দিন পর
টিপ আরাভ আর তাদের মেয়ে শুয়ে আছে।
আগের মতো কিছুই স্বাভাবিক হয়নি।পুলিশ তদন্ত করেছে কিন্তু কোনো ক্লু পাইনি।
আরাভ বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় যায়।টিপ আরাভ কে এই ভাবে চলে যেতে দেখে নিচে ও তার কাছে গেলো।আরাভের ঘাড়ে পেছন থেকে হাত দিয়ে বলল
—“আরাভ আমি জানি আপনার মনের অবস্থা কিন্তু কি করবেন আল্লাহ ইচ্ছা ছিলো এটা আল্লাহ চেয়েছে তাই।আমারা কেও কেয়া দি কে কোনোদিন ভুলতে পারবো না ।
আরাভ টিপের দিকে ঘুরে বলল
—“কিন্তু টিপ দি কে কেনো কেও খুন করলো?
—“সেটাই তো! !ঠিক আছে আপনি আসুন ঘুমাবেন।
টিপ আরাভ কে বিছানায় নিয়ে আসে।আরাভ টিপের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আরাভ দেখে টিপ নেয়।তাদের মেয়ে নিথি আরাভের পাশে।চোখ খুলে টিপ টিপ করে তাকিয়ে আছে।আরাভ নিথি কে কোলে নিয়ে।নিচে গেলো।নিচে ইশরাত চৌধুরী আর ইশরা রান্না করছে আরাভ গিয়ে নিথি কে ইশরার কোলে দিয়ে বলল
—” টিপ কই রে?
—” আমি তো দেখিনি ।সকাল থেকে ।
—” দেখিস নি মানে কোথায় গেলো?
—“জানি না ।
আরাভ টিপ কে খোঁজাখুঁজি করতে লাগল কিন্তু টিপ কোথাও নেয়।অবশেষে পুলিশ কে জানালো কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ পাইনি।
এভাবে দুই দিন কেটে গেল।আরাভ এর অবস্থা খারাপ। রুম থেকে বের হয় না ।
অন্য দিকে একটা বড়ো বাংলোতে অন্ধকার একটা রুমে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায় বসে আছে টিপ।মইন খান টিপের দুই গাল ধরে বসে আছে।আর বলছে
—“অনেক ভালোবাসি তোমাকে টিপ।
*
*
*
*
বাকি