#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড
#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_০৩
রাতে যে যার রুমে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়ে আর জারা নিজের কাঠেরঘরে ল্যাম্প জ্বালিয়ে বেডের মধ্যে বসে একটুকরো কাগজের মধ্যে লেখালেখি করছে। সে লেখছে কি লেখছে সে নিজেও জানে না কিন্তু তাও সে লেখছে!
লেখা শেষে সে কাগজের টুকরা ল্যাম্পের আলোর মাঝখান বরাবর উঠিয়ে দেখে। লেখাগুলো সে ঠোঁট নাড়িয়ে পড়ছে। কি যেনো লেখল! সে ছাড়া কেউই জানে না। পড়া শেষে কাগজের টুকরাটা নিজের বালিশের নিচে রেখে সেখানে মাথা রাখে।
জারা সামনের দিকে তাকিয়ে কাগজের লেখাগুলো ভাবতে থাকে। হঠাৎ একফুট অশ্রু তার চোখ থেকে ঝড়ে পড়ে। সে চোখ বন্ধ করে পাড়ি দে ঘুমের দেশে।
In Dhaka💥…..
—“সব রেডি ত? আজকের মধ্যেই ডিল ফাইনাল হয়ে যেতে হবে গট ইট?
লোকটা তার পিএ অরিতা কে বলে বলে কেবিনের দিকে যাচ্ছে। রাতের বারোটা বাজার আগে কাজ কম্পলিট করা তার মেইন কাজ।
পিএ তার বসের কথা মতো সব কথা নোটস করছে। সে উনার দিকে তাকিয়ে বলে।
—“স্যার আপনার কথা মত সব ডিটেলস নোট করে ফেলেছি।
—“হুম গুড জব ।
—জ্বীই আ…..আব। মুখ চেপে হাই তুলে। ঘুম তার চোখে যেনো ভর করছে কিন্তু চাকরিকে বাঁচার জন্যে নিজের ঘুমের বিসর্জন করেছে😪।
—“তুমি কি ঠিক আছো? ভ্রু কুঁচকে অরিতার দিকে তাকিয়ে বলল।
—“হ্যা স্যার আইম ফাইন। মিথ্যে বলে সে অন্যদিকে ফিরে আরেক দফা হাই মারে🥱।
—“হুম গুড এখন চলো মিটিং রুমে।
—“ইয়েস স্যার।
কেবিনের দিকে এগিয়ে আসে। তার গার্ডস স্যারকে দেখেই কেবিনের দরজা খুলে দে। সে মুখে হাসির রেখা টেনে কোর্টের মধ্যে থাকা পকেট থেকে সানগ্লাস বের করে পড়ে নিল। হ্যান্ডসাম লুক করে ভেতরে ঢুকে। মিটিং এ সবাই তাকে দেখে দাঁড়িয়ে ওয়েলকাম জানায়। কয়েকজন ফিমেইল কোম্পানির মালিক মানে লোকটার দিকে চোখজোড়া গোল গোল করে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু সেই ফিমেইল দের প্রতি কোনো ইন্টারেস্ট তার মধ্যে নেই। সে স্বাভাবিকভাবে পকেটে হাত গুজে সবার দিকে একনজর তাকিয়ে তার পিএ কে উদ্দেশ্য করে বলে।
—“স্টার্ট দ্যা মিটিং।
—“ওকে স্যার।
—“সো গাইস আজ আমাদের এই মিটিং এ প্রজেক্টর এর মাধ্যমে প্রতিটা বিদ্যুৎ এর পরিমাণ দেখানো হবে। সেই পরিমাণ গুলো যাচাই করে যুক্তি প্রদান করবেন আমাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রধান উদ্যোগকতা মিস্টার ফায়যান হাসান।
তার পিএ মানে অরিতা কথাগুলো বলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর সামনে থেকে সরে গেল। তার সরার পর ফায়যান সেখানে এসে দাঁড়ায়।
—“প্রজেক্টর শুরুর আগে কিছু কথা বলে দেই আপনারা এতো রাতে মিটিং এর জন্যে ওয়েট করেছেন তার জন্যে ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ আমার তিনটা বিষয় কেউ অমান্য করলে খুবই অসহ্য লাগে। যারা অমান্য করবে তাদেরকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে আমি এক সেকেন্ড টাইমও নেই না। সো বিষয়গুলো শুনে রাখেনঃ-
১.মিথ্যে বলা।
২.ঠকানো এন্ড
৩.আমার মুখের উপর কথা বলা।
এই তিন বিষয় একদমই সহ্য করি না। ফায়যান এর কথা শুনে সবাই ভয়ে এক ঢোক গিল।
অরিতা সে বিষয়গুলো আগেই জানে। তাই সে স্বাভাবিক ভাবে মুচকি হাসল।
ফায়যান প্রজেক্টর ওপেন করতে গেলে তার হাত কলম এর সাথে লেগে নিচে পড়ে যায়। সে নিচে ঝুঁকে কলমটা নিয়ে টেবিলে রাখল। পরে লেপটপে “Open the multimedia projector”লেখা ফাইলে ক্লিক করে। সাথে সাথে দেওয়ালের স্বচ্ছ সাদা সিস্ক্রে প্রডাক্ট এর বিভিন্ন স্টেপ লেভেল চলে আসল।
ফায়যান দেশ-বিদেশ এ বিদ্যুৎ এর ব্যয়বহুল কেমন তা বলা শুরু করে।
–” বিশ্বের সব দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ইলেকট্রেসিটি। এর ব্যয়বহুলতা আজ বিশ্বব্যাপী।
এখন সবখান ভাবতে গেলে ত আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চলবে না ! তাই মেইন পয়েন্টগুলা খেয়াল করি যেগুলোর মাধ্যমে আমরা এক রাউন্ডে সব দেশের মানুষদের সাহায্য করতে পারি।
সো লেটস সি কোন পয়েন্টগুলা ইমফোন্টেট।
—“আমাদের দেশ মানে বাংলাদেশের ইলেকট্রেসিটি রেট প্রায় ৮.৯৯%। বাংলাদেশের কাছাকাছি যে দেশগুলো সেই দেশের পরিমাণও এই রেটের কাছাকাছি। যেমন ইন্ডিয়ায়র রেট ৯.৪৩%, সৌদি আরবের রেট ৫.৭৯% এরকম আরো দেশের রেট কাছাকাছি ধরেই চলছে। বলতে গেলে আমাদের দেশে পিছিয়ে নেই।
সবাই মিটিং টা মনযোগ দিয়ে দেখছে বুঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু সবার মাঝে এক লোক সামনে তাকিয়ে থেকে নিচে ফোনের মধ্যে ফায়যানের বলা কথাগুলো রেকর্ডিং করছে। এর মাঝে মাঝে তার কাছে মেসেজ আসছে। সে মেসেজগুলো ওপেন করতে পারছে না। কারণ পুরো রুমে সিসি ক্যামেরা সেট করা। এমনকি পুরো ইন্ডাস্ট্রির কোনো জায়গা বাদ নেই যেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো না । কোনো কোণা দিয়ে কুকুর ঘেউ ঘেউ করলেও তা দেখা যায় শুনা যায়।
লোকটা ভয়ে ভয়ে রেকর্ডিং করছে কেননা কোন সময় ফায়যান জেনে যায়। হঠাৎ রেকর্ডিং এর মাঝে কল চলে আসে। এতে তার ফোন ভাইব্রেট হতে থাকে। সে বন্ধ করতে গেলেই হাত পিছলে ফোন নিচে পড়ে যায়। লোকটা ফায়যান আর বাকি সবার দিকে একনজর তাকিয়ে ফোন উঠাতে নিজের মাথা ঝুকিয়ে নেন।
ঠাসসসসসসস…..লোকটার মাথা টেবিলের উপর নেতিয়ে পড়ল। অরিতা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু গার্ন এর সাউন্ড শুনে বেচারীর ঘুম সাগরের তলে ডুব মারল। ফায়যান লাশটার দিকে এখনো টার্গেট করে আছে।
—“বলেছিলাম ঠকানো আমি একদম পছন্দ করি নাহ। রাগে দাঁত কটমট করে ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলল।
সব ক্লাইন্টদের মধ্যে একজন ফিমেইল বলে—“তার মানে কি? একটু ঠকালেই আপনি তাকে মেরে ফেলবেন?
—“ওপ কোর্জ।
—“এটা কিন্তু অন্যায়।
—“কথা রেখে কথা ভঙ্গ করা আরো বড় অন্যায়।
মেয়েটা ফায়যানের কথা শুনে চোখ নামিয়ে ফেলে।
ফায়যান বাঁকা হেসে নিজের পকেটে গার্ন রেখে বলে—“আমি বলি কম,,করে দেখায় বেশি।
ফায়যান মিটিং এ মন দিল। ১১:২০ পিএম এ ফায়যান সবাইকে প্রডাক্ট সঠিক সুষ্ঠুভাবে প্রতিটি জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করানোর জন্যে ডিল ফাইনাল করার কথা বলে।
—“সো কারা আমাদের সাথে এই মহৎ কাজ করতে রাজি বলেন?
অনেকে একে অপরের সাথে কথা বলাবলি করতে লাগে। সে নিজের চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে সবার কথোপকথন দেখছে।
তাদের মধ্যে হঠাৎ একজন দাঁড়িয়ে যায় ফায়যান ভ্রু কুঁচকে তার দিকে জিগ্গেস এর ভঙ্গিতে তাকায়।
—“স্য….স্যার আমি একটু ওয়াশরুমে যাব। লোকটা আমতা আমতা করে বলে।
—“ওয়াই নোট ইউ ক্যান গো!
সম্মতি পেয়ে লোকটা কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়। ফায়যান লোকটার যাওয়ার দিকে ঘোরভাবে তাকিয়ে থাকে। কেবিনের দরজা যতক্ষণ নিজে অফ হয় নি ততক্ষণ লোকটাকে দেখা যাচ্ছিল। সে ওয়াশরুমে দিকে যাচ্ছে মাঝপথে পকেট থেকে টিস্যু বের করে নিজের কপালের ঘাম মুছছে।
—“স্যার আমরা সবাই রাজি ডিল ফাইনাল করে ফেলা যাক!
—“হুম….হুমম ওহ হ্যাঁ কংগ্রেস। একজন লোকের কথায় ফায়যান এর ধ্যান ফিরল। সে দাঁড়িয়ে সবার সাথে হাত মিলায়।
অরিতা রুমের সব ফাংশন সিস্টেম অফ করে দে মিটিং শেষ হয়ে যাওয়ায়।
ঐদিকে ওয়াশরুমে লোকটা ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দে। সে টয়লেটে বসে নিজের ফোন বের করে একটা নাম্বারে কল দে।
অপরপাশে কল রিনিং হওয়ায় লোকটা কল ধরে।
—“স্যার….স্যার আমি বলছি ওয়ালেদ। আপনি যে কাজটা দিয়েছিলেন আরহামকে করতে সে কাজটা আর হলো না।
—“ওয়াট??? কি বলছিস তুই? কেন হয় নাই!
—“জ্বী স্যার ঠিকই বলছি। কাজ শেষের পথেই ছিল কিন্তু কেমনে যেনো ফায়যান স্যার জেনে গেছে। আর তখনই…….
—“হ্যালো হ্যালো……টুট টুট টুটু।
ওয়ালেদ এর কল কেটে যাওয়ায় অপর পাশে বসে থাকা লোকটা দাঁড়িয়ে টেবিলের উপর থেকে সব জিনিস ফেলে দিতে লাগে।
লোকটার কান্ড দেখে তার স্ত্রী মিসেস ফিহা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলে।
—“কি হয়েছে এভাবে ভাঙ্গচুর কেনো করতেছো?
—“ফায়যান জেনে যাবে জেনে যাবে সে ! তড়তড় করে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে কথাটা বলল।
—“কি জেনে যাবে? আমরা ত তার কোনো ধরনের ক্ষতি করে নি!
—“আমি তার প্রডাক্ট সেল নষ্ট করে দিতে চেয়ে ছিলাম। তার প্রডাক্ট এর সব কপি আমি ওয়ালেদ আর আরহামকে রেকর্ডিং করতে বলছিলাম। কিন্তু অকর্ম গুলা কাজ ত করতেই পারে নি উল্টা ফায়যানের হাতে ধরা খেল। যদি সে আমার কথা জেনে যায় তাহলে এতো বছরের লুকিয়ে থেকে তাকে মারার প্লেনিং টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
—“তাহলে কি করতে হবে এখন আরমান?
আরমান ভ্রু কুঁচকে জানালার দিকে দৃষ্টি দিয়ে বাঁকা হেসে বলে—“দূর্বলতায় হাত দিয়ে শেষ করে দেবো। শয়তানি হাসি দিয়ে জোরে ঘুষি দেই দেওয়ালে।
মিসেস ফিহা আরমান এর কথা বুঝতে পেরে সেও হাসতে লাগে।
_________________
ফায়যান বাসায় এসে হাত থেকে কোর্টটা নিয়ে কাবার্ডে সেট করে রেখে শার্টটা হোল্ড করে ওয়াশরুমে যায়।
ফায়যানের জন্যে স্পেশাল খাবার নিয়ে আসে তার বিশ্বস্ত সিকিউরিটি রাহুল। তার রুমে ট্রে করে বিক্সি,,মদের বোতল,,বরফ তিন টুকরা,,পিগস ছোট ছোট টুকরা দেখতে তেঁতুল এর মত। রাহুল সেগুলো সব ট্রের মধ্যে নিয়ে রুমে এসে নক করে।
ফায়যান ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে তাওয়াল পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল স্প্রে করছে।
তেলজাতীয় স্প্রে মাথায় হালকা মেরে শুকানোর জন্যে হেয়ার ড্রায়ার নিল। দরজায় নক পড়ায়। সে নিজের ট্রেজার ওয়াইট কালার শার্ট পড়ে দরজা খুলে দিল।
—“হ্যালো স্যার, গুড নাইট।
—“হুম আসো আর রাখো।(গম্ভীর গলায়)
—“অবশ্যই স্যার।
রাহুল ট্রে ট্রি টেবিলের মধ্যে রেখে চলে যায়। ফায়যান সোফায় বসে ফাস্টেই পিগস থেকে একটা টুকরো মুখে নিয়ে চাবাতে থাকে যতক্ষণ না পিগ এর বীজের থেকে রসালো স্বাদ তার ঠোঁটে লেগে না যায়।
যখন পুরো পিগ এর রস তার মুখে ভরে গেল তখন বীজটা রেখে ওয়াইন এর বোতলটা নিয়ে ড্রিংক করা শুরু করে।
এক বোতল ঢোক ঢোক করে খেয়ে ঠুস করে টেবিলে রাখে।
—“এই জীবনে সবাই স্বার্থপর না আছে কোনো ভালোবাসা,,না আছে কোনো বন্ধন। সবকিছুতে স্বার্থপরতা ছাড়া কিছুই নেই।
(রাগে দাঁত কটমট করতে লাগে)
যতই উপকার করি না কেনো পিঠপিছে ছুড়ি ঢুকানো যেনো সবার নিত্যদিনকার শখ। শখ মিটলে সব শেষ।
আবারও পিগস থেকে আরেক টুকরো পিগ নিয়ে চাবাতে থাকে। জ্বালে তার গাল লাল হয়ে গেছে। কারণ টক-ঝাল ছাড়া পিগ ফায়যান একদম পছন্দ করে নাহ।
(এখন আসেন ফায়যানের ব্যাপারে কিছু জেনে নেয়া যাক💥।
ফায়যান হাসান সে বিভিন্ন দেশের মধ্যে তার ইন্ডাস্ট্রির প্রডাক্ট পাঠায়। এই প্রডাক্টের জন্যে সে আজ বিশ্বে সেরা নাম অর্জন করেছে। তার ফলাফল বিভিন্ন চ্যানেলের মধ্যে সুনাম হিসেবে ছড়িয়ে আছে।
হ্যান্ডসাম,,কুল,,ডেশিং বিজনেসম্যান সে। তার চোখের মণি ডার্ক ব্রাউন কালার,,ঠোঁটজোড়া গোলাপী,,গায়ের রঙ হলুদেভাব,,সামনের চুলগুলি সাইড করে চোখের সামনে রাখে,,পিছের চুলে তেল মেখে স্পাইক করে রাখা তার শখ,,বাঁ চোখের পাশে কানের কিছুটা উপরে করে একটা ছোট কালো তিল,,জিম করে শুধু বাহুডোরা না শরীরও ফিট করেছে,,লম্বায় ৬’০ ইঞ্চি।
বিরাট বাংলো তার,,এমনকি পুরো বাংলোটা এলাকার মতো সেট করা। ফায়যানের এলাকায় একবার যে পা রাখবে তার অনুমতি ছাড়া বের হওয়া ইম্পসিবল। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরায় ভরা,,পালিত বিদেশি কুকুর দুইটা বড় আকারের শরীর সেই কুকুরগুলির।
এতো বড় বাংলো তার শর্তেও নেই কোনো আপনজন আছে শুধু শএুতে ভরা। সে উন্নতির পথে যতোই কষ্টে আসুক না কেনো সেই উন্নতির পথটায় আসতে ফায়যান অনেক ধরনের কাজে জড়িয়ে গিয়েছিল। বলতে গেলে অন্ধকার জগতের মধ্যে ডুবে থাকা সর্বপ্রথম নাম যার আসবে সে অন্যকেউ না ফায়যান হাসান হবে। সে নিজেই নিজের জীবনকে বিষাক্ত করে ফেলেছে। দিনে কাজ করার জন্যে নিজেকে সুস্থ রাখে ভালো খাবার খাই কিন্তু রাতের দিকে নিজের বুক ফাটা হাহাকার মিটাতে ওয়াইন,পিগ নেশা করতে থাকে।
আরো অজানা কথা অাছে তবে এখন এটুকুই জেনে রাখেন😌)
পিগস সব শেষ করে ওয়াইন দুই বোতল খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে বেডে হেলিয়ে পড়ে। ড্রিংক করায় চোখে ঘুম চশে আসে তার। সে চোখ বন্ধ করতেই ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে……
—“মাম্ম….. মাম্মা দে……খো….দেখো জারা কি করেছে! মেহরাব ঠোঁট উল্টিয়ে সামনে তাকিয়ে মিসেস রাহেলাকে ডাকতে থাকে।
—“কি করেছে মামুনি? মিসেস রাহেলা মেহরাবের চিল্লানি শুনে কিচেনে আসল।
কিচেনে এসে মেহরাব মিসেস রাহেলাকে হাত দিয়ে দেখায়।
তিনি সেদিকে তাকাতেই রাগে…….
………..চলবে………
[বিঃদ্র–“ভুলএুটি হলে ক্ষমা করবেন সবাই। হেপ্পি রিডিং]