#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড
#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_০৭
—“নাইয়াআআ আমি মানি না…জারা জট করে দরজা লাগিয়ে দে। জারার কান্ডে নায়েমান শুয়া থেকে উঠে তার কাছে আসল।
—“মা কি হলো কে আসছে দরজার বাহিরে?
—“কে…..কেউ না ত কেউ নেই ঐ তো গলির কুকুর এসে ঘেউ ঘেউ করতেছে…….টিং টং আবার ডোর বেল বেজে উঠল। জারার ভয়ে হাত কাঁপছে তাও সে দরজা লাগিয়ে আছে।
কিন্তু ডোর বেল প্রচুর পরিমাণে বেজেই যাচ্ছে। নায়েমান জারাকে বার বার দরজা খুলতে বলে। তাও জারা খুলে না।
—“মা এভাবে কোনো মেহমানকে দরজার বাহির থেকে বিনা কোনো কথা সংবধনা না করে ফিরিয়ে দেয়া ইসলামের বিরুদ্ধ। মহানবী(সাঃ) মেহমানদের সম্মান আর অতি আরাম-আবেশ দিতে বলেছেন।
চাচার কথায় জারা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে দরজার সামনে থেকে সরে আসে। নায়েমান দরজাটা জারাকে খুলতে বলে চলে যাচ্ছিল।
কিন্তু জারা বাহানা করে নায়েমান কে বলে।
—“চাচ্চু উপরে যেতে হবে! মেহরান এখনো টয়লেটে। যদি এখনই ওরে ট্রিট না দেই তাহলে তার ওইটা ফুটে যাবে।
—“গাল?? নায়েমান আশ্চর্য হয়ে জারাকে বলল।
—“না পেট। এখনই যায় কেমন ত…তুমি দরজাটা খুলে দেখো আর হ্যাঁ চাচ্চু যদি বাহিরের জন কেউ আমার কথা জিগ্গেস করলে বলিও যে এখানে তোমরা ছাড়া আর কেউ থাকে না।
নায়েমান জারার এসব কথা মেনে নিল কিন্তু তার এসব কথা বলার কারণটা কি এর আগামাথা কিছুই উনার মাথায় ঢুকল না। জারা চট করে কিচেনের পিছে গিয়ে দাঁড়ায়। নায়েমান ঠোঁট উল্টিয়ে চুল চুলকাতে চুলকাতে মেইন গেইট খুলে।
—“এক্সকিউজ মি তুমি…….ছেলেটাকে কথা বলে আবার স্টপ হতে দেখে নায়েমান বলে।
—“কি চাই বাবা?
—“বউ!
—“কি বললেন? আশ্চর্য হয়ে নায়েমান বলল।
—“না…ধ্যাত্ বলছি কি মিস দেরির সাথে কথা বলতে এসেছি।
—“মিস দেরি এটা আবার কি?
—“সেটাই আঙ্কেল এটাই বা কি? যার নাম বলেছি সে এই বাসার মধ্যেই থাকে। ছেলেটা নায়েমানের পিছে আড়চোখে তাকাতাকি করতে থাকে।
জারা নিজেকে আড়াল করে ফেলে। সে ভয়ে নিজের শরীরের আঁচল চেপে ধরে ভাবতে থাকে। কিই এমন করছি যার কারণে বাসায় এসে গেল? শুধু নামটাই বলি নি বলে এতো বড় এলাহি কান্ড করতে আসল! ওওওও মাই আল্লাহ আজ বাঁচব নইতো মরব এই এক্সিডেন্ট ওয়ালা বলডোজার এর হাতে।
—“আমার বাসায় মিস দেরি নামের কেউ থাকে না বাবা। মনে হয় তুমি ভুল এড্রেসে চলে আসছো।
—“আ….আরে আঙ্কেল না না সত্যি সে এখানেই থাকে এই কিছুক্ষণ আগে দরজা যে মেয়েটা খুলল। সেই মেয়েটার নামই মিস দেরি।
নায়েমান এবার বুঝতে পারল জারা কেন কথাগুলো বলেছিল। তিনি মনে মনে বুদ্ধি চেপে বলে।
—“আমার মামুনির উপর কুনজর দাঁড়া বাবা বুঝাছি তোকে।
—“আঙ্কেল ভেতরে আ…..আসি। ছেলেটা নায়েমানের পাশ দিয়ে ভেতরে ঢুকতে চাইলে তিনি ছেলেটাকে থামিয়ে দাঁড় করায়।
—“এ ভাই থামেন ! কে আপনি হুমমম?? রাগে সুরে তিনি ছেলেটাকে বলে। এক ত আমার ঘরের সামনে এসে হাঙ্গামা করতেছেন মিস দেরি মিস দেরি বলে বলে তার উপর দিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করতেছেন আমাকেই ইগনোর করে? অাপনার কি আমার বাসা চিড়িয়াখানা লাগছে যে হুট করে পশুপাখি দেখতে ঢুকে পড়বেন?
—“না না আঙ্কেল এটা কেন মনে হবে আপনাকে ত সম্মানিত পরিদর্শক উপদেষ্টা লাগছে। বাট বাই দ্যা ওয়ে ভালো কথা বলেছেন আমি কে? ছেলেটা রহস্যময় হাসি দিয়ে কথাটা বলে।
ত চলেন পরিচয়টা হয়ে যাক।
—“হুমম বলেন আপনি!
—“আ….আব…..(লজ্জামাখা ফেস করে)আঙ্কেল নিজের মুখ দিয়ে নিজের প্রশংসা আর কিই বা করব! বাট আপনি খবর দেখেন কি? গম্ভীরভাবে বলে।
—“জ্বী দেখি।
—“ফায়যান হাসান নামের কোনো ছেলের নাম শুনেছেন খবরে? ছেলেটা কথাটা বলে নিজের ঘড়ির মধ্যে টাইম দেখতে থাকে।
নায়েমান নামটা শুনে কিছুটা ভাবনায় পড়ে যায়
—“নামটা শুনছি শুনছি মনে হচ্ছে। আচ্ছা ফায়যান হাসান উনিই ত যিনি গতবছর গরীবদের জন্যে তাদের কুড়েঘর আলোকিত করার জন্যে বিদ্যুৎ প্রচলন করেছিল।
—“হুমম ঠিক তাই।
—“তার….ম…মানে আমার সামনে বাবা তুমি সেই ফায়যান? চোখজোড়া গোল করে নায়েমান ফায়যানকে বলে।
—“জ্বী আঙ্কেল আমি ফায়যান হাসান আর আপনি নায়েমান আঙ্কেল। হাত এগিয়ে দিয়ে ফায়যান মুচকি হাসল। নায়েমান এতো বড় ব্যবসায়ী ব্যক্তি কে নিজের সামনে পেয়ে বিশ্বাস করতে পারছেন না যে এটাই সেই ফায়যান। তিনি দুইহাত দিয়েই ফায়যানের সাথে হ্যান্ডসেক করে।
তিনি নিজে ফায়যানের ঘাড়ে হাত রেখে ভেতরে এনে বসান।
—“আহ বসেন আপনার জন্যে ভালো খাবারের আয়োজন করি।
—“হুমম মুচকি হেসে নিজের মাথা নাড়াল।
নায়েমান ফায়যানকে বসিয়ে ড্রয়িং রুমে এসে মেহরানের আম্মু আর মেহরানকে ডাকতে থাকে।
(আগের পার্টে মেহরানের নামে একটু মিসটেক ছিল মেহরাব লিখে ফেলেছিলাম সেটা হবে মেহরান। আশা করি বুঝছেন জারার চাচা নায়েমান,,চাচি রাহেলা আর চাচাতো বোন মেহরান। মিসটেক এর জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি।)
মেহরান শর্ট এক নাইট সুট অফ ড্রেস পড়ে নিচে আসে তার বাবার ডাকে। ফায়যান করিডোরের পাশে হাটাহাটি করছে। করিডোরের পাশে দেওয়ালের মধ্যে নায়েমান এর পরিবারের ছবি ঠাঙানো।
ফায়যান এক পা পিছে এসে হাতজোড়া বর্গ এর মত করে এক ফ্রেম কে কপি করে।
—“হুমম নায়েমান আঙ্কেল,,ইনি আন্টি,,এই মেয়ে কি দেরি হবে? নো নো দেরি ত দেখতে একদম আলাদা কিন্তুু এই মেয়ের রঙঢং অনেক বেশি ফ্রেমেই বুঝা যাচ্ছে বাস্তবে সামনে আসলে না জানে কেমন বিহেভ করে ! তাহলে মিস দেরি কোনটা হতে পারে?? হুমম
গালে হাত রেখে ফায়যান ফ্রেমের দিকে তাকিয়ে থাকে।
—“হ্যালো ডেয়ার।
কারো এরকম ডেয়ার বলা শুনে ফায়যান মনে মনে বলে।
—“অবশ্যই ন্যাকামি ওয়ালি হাজির হয়ছে একটু দরূদ শরীফ পড়ে নি।
ফায়যান দরূদ পড়ে বিসমিল্লাহ বলে পিছে তাকাল।
মেহরানের নাইট সুট দেখে ফায়যান চোখ নামিয়ে ফেলে। সে ফ্রেমের দিকে মুখ করে গম্ভীর গলায় বলে।
—“ফায়যান হাসান এর সামনে নিম্নমানের কাপড় পড়ে আসা এলাউ না যে সাহস করে তাকে আমি……হাহহ বাকিটা….গলা কিছুটা বাঁদিকে মুড়ে। আপনি নিজেই বুঝে নেন।
মেহরান নিজেকে মাথার তোয়াল দিয়ে নিচের অংশ পর্যন্ত ঢেকে নে। সে ফায়যানের কথা ফাস্টে সিরিয়াসলি নিতে চাই নি কিন্তু পরে তার গলার সাউন্ড রুড ভাবে শুনে ভয় পেয়ে যায়।
নায়েমান রাহেলা কে নিয়ে ফায়যানের সামনে আসে। তারা একে অপরের সাথে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলতে থাকে। ফায়যান কথার চলে বার বার মিস দেরি মানে জারার কথা জিগ্গেস করে কিন্তু নায়েমান বলতে চাইলে রাহেলা উনাকে চুপ করিয়ে নিজের মেয়ে মেহরানের ন্যাকামু নামের প্রশংসা করতে থাকে।
রাহেলা তাদের অপেক্ষা করতে বলে কিচেনে এসে জারার বাহুডোরা চেপে ধরে বলে।
—“শুন ভুলেও বাহিরে আসবি না খাবার রেডি কর বড় সাহেবের জন্যে। রেডি হলেই মিস কল দিস মেহরানকে পাঠিয়ে দেবো তাকে খাবারের ট্রে দিয়ে তুই এখানেই থাকবি একদম নড়বি না!
জারা চাচির কথাগুলো শুনছে এক কান দিয়ে ত বের করছে আরেক কান দিয়ে। চাচির মত চাচি বলতেই থাকল।
—“আয় রে এই বলডোজার তো দেখি বড় বিজনেসম্যান। আগে জানলে জীবনেও তার গাড়ির সামনে এক্সিডেন্ট করতাম না। কপাল সবিই কপাল! জারা চাচির পকপকানিগুলো শুনে মনের মধ্যে কথাগুলো ভেবে এক দীর্ঘশ্বাস ফেল।
—“আমার মেয়ে এতো বড় ঘরের বউ হবে কত টাকা,, কত ধনসম্পত্তি এতো বছরের গহনা জুয়েলারি পাওয়ার যা ইচ্ছা ছিল মনে হচ্ছে এখন থেকে সব পাব। তাড়াতাড়ি নাস্তা রেডি কর।
মিসেস রাহেলা চলে গেল। জারা ঠোঁট উল্টিয়ে কোমরে হাত রেখে বলে।
—“উহহ হুকুমের উপর হুকুম ত দিলে। এবার দেখেন আপনার বড় সাহেবকে কেমন শরবত খাওয়ায়😏।
জারা শয়তানি হেসে শরবত বানানোর জন্যে গ্লাস,,ম্যানগো পাউডার,,দুধ পাউডার নিয়ে টেবিলে রাখে। সে বাঁকা হেসে চুলার পাশ থেকে তরকারির লাল মরিচের মশলা বের করে গ্লাসে আগে লাল মরিচ ঢালে তারপর এক এক করে সব আইটেম মিক্স করে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে নিল।
—“হয়ে গেছে বড় সাহেবের জন্যে স্পেশাল ম্যানগো জুস। একবার পান করবে ত সারাজীবনের জন্যে পান করার তৃষ্ণা মিটে যাবে😌। গ্লাসটা চোখের সামনে নিয়ে বিরবির করতে থাকে। আমাকে খুঁজতে এসেছেন তাই না? আপনি যদি বাঘ হোন আমি বাঘের বাঘিনী হুমমম😎!
জারা বিরবিরিয়ে নাস্তা রেডি করে চাচিকে কল দে। উনি কল পাওয়া মাএই মেহরানকে কিচেনে পাঠিয়ে দে।
মেহরান ত হাত নাড়িয়ে গরম ভাব দূর করার মত কলে সাহেল এর সাথে কথা বলে।
—“সো হট সিক্স প্যাক বডি উফফ আই ওয়ান্ট হিম।
—“বাহ এমন ছেলে কই থেকে আসল তোর বাসায়?
—“জানিনা যতোটুকু জানি আব্বু বলছে মিস দেরি নামের কে যেনো আছে তার খুঁজে এখানে আসল। আমার ত লাইন লেগে গেছে রে দোস্ত। কোটিপতি হওয়ার লাইন একবার বিয়েটা হয়ে যাক সব ধন-দলত আমার।
—“হুম বেস্ট অফ লাক তবে আমার জন্যে মালপূর্ণ সুন্দরী কন্যাটাকে রাখিস। মালটা যেনো শুধু আমিই টেস্ট করি।
—“ইয়াপ ওয়াই নোট তোর জিনিস (আড়চোখে জারার দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলে) তোর টেস্ট তোর মাল। এভরি থিংক ইজ ইউর বেইব।
—“ওকে গুড বাই। টুট টুট টুট
কল কেটে জারার সামনে এসে হালকা কেশে ট্রেটা নিয়ে গেল। জারা মুখ ভেংচি মেরে কিচেনের ইনসাইড আউটডোর থেকে বের হয়ে কুড়েঘরে চলে আসে।
_________________
আবরার ঘুম থেকে এক হাই মেরে উঠার জন্যে তার উপর থেকে মেয়েটাকে সরিয়ে বেডে ফেলে রাখে। সে উঠে টি-শার্ট গায়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে মেয়েটার পাশে একলাখ টাকা এডবান্স চেক সাইন করে রেখে বেরিয়ে যায় নিজের বাসায় যাবার জন্যে।
সে বাসায় এসে তার মাকে ডাক দিল। তার মা এসেই লেবুর শরবত দিল। আবরার সেটা খেয়ে সোজা ওয়াশরুমে গেল। নেশা কাটার পর বেরিয়ে আসে।
তার মা আবরারকে সোফায় বসিয়ে বলে।
—“রাত কেমন কাটল আমার ডেয়ার সান এর? মেয়েটা মালবাহী ছিল ত নাকি টেস্ট হয়নি?
মুচকি হেসে তিনি আবরারের চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে।
—“ওহ মাই ডেয়ার লাভলী আম্মু আজ পর্যন্ত যত মেয়ের সাথে রাত কাটাইছি সব মেয়ের মাঝে সেই স্বাদ,, সেই খুশবু টা পাইনি যা পেয়ে ছিলাম একবছর আগে মেরি জান থেকে।
—“উফফ বাবা তুই এখনো তাকেই খুঁজছিস আগে পা বাড়া হাজার মেয়ে তোর জন্যে পড়ে আছে আর তুই ঐ গায়েরী টাইপ মেয়ের জন্যে উতলা হয়ে আছিস। আমি বুঝি না তার মাঝে আছেই বা কি যে তুই ওর পিছেই পড়ে আছিস।
—“স্বাদ অসাধারণ স্বাদ আম্মু। যা শুধু আমি চাই শুধু আমি। একবার খুঁজটা পেয়ে যায় গত একবছরে যা পারলাম না তা এই বছর পাওয়ার পর নিজের রক্ষিতা বানিয়ে রাখব হাহাহা।
শয়তানের মত চিল্লান দিয়ে হাসতে থাকে।
তার আম্মু শুনে তিনিও হাসি দিল। তার মাঝেই আবরার এর আব্বু এসে বলে।
—“এই না হলো আমার ছেলে বুঝলে আমার মিসেস?
—“হুম গো তোমার ছেলে একদম তোমার মত হয়েছে।
যার উপর একবার নজর পড়ল তাকেই আপনার ছেলের চাই।
—“হুম লাভ ইউ ড্যাড এন্ড মম অলসো।
—“অলসো লাভ ইউ বাবা।
আবরার তাদের সাথে কথা শেষ করে অফিসে চলে যায়। তার চলে যাওয়া দেখতে থাকে মিস্টার আরমান সাদি।
(হ্যাঁ আরমান আর ফিহার ছেলে আর কেউ নয় আবরার সাদি। ধীরে ধীরে এদের সম্পর্কের কথা আপনাদের মাঝে আসবে)
—“জ্যাক এগুলো কেমনে হলো?
আবরার অফিসে এসে জ্যাক থেকে সব ফাইল নিয়ে চেক করতেছে সব ফাইলের মধ্যে তার ব্লেক কোম্পানির উপর রেইট পড়ছে।
—“……(উওরে চুপ করে থাকল ভয়ে)
—“কে বন্ধ করছে আমার ব্লেক কোম্পানি? গম্ভীর কণ্ঠে রাগি গলায় বলে।
—“স…..স্যার ব্লেক কোম্পানিতে রেইট অন্য কেউ না সেই করছে। যে আপনার বাবার শএু।
(আরমানের এর পরম শএু ফায়যান। যা ফায়যানও জানে না যে আরমান তার শএু কেনো? তবে একটা কারণ আছে যা ফায়যানের বাবা মারা যাওয়ার আগে বলেছিল। সেই কারণটা এখন নয় পরের পার্টে বলব)
—“ফায়যাননননননন………জোরে টেবিলের উপর বারি মারে,,পাশে থাকা গ্লাসগুলো সব জোরে হাত দিয়ে ফ্লোরে ভেঙ্গে ফেলে দে।
—“আমার ব্লেক কোম্পানি বন্ধ করার সাহস পেয়েছে কিভাবে? সে আমার কাজে বাধা দিচ্ছে তাই ত ! এবার তার কাজে আমি বাধা হয়ে দাঁড়াবো।
—“কিন্তু কিভাবে? জ্যাক বলে।
—” একজনের হেল্পে।
—“কার? ভ্রু কুঁচকে আবরার এর দিকে তাকায়।
—“ফায়যানের মিস…..পি…এএএ। বাঁকা হেসে সে নিজে শয়তানি বুদ্ধি চাপল।
—“মানে তার পিএ এর সাথে তুই কি করবি ?
আশ্চর্যজনক ভাবে জ্যাক আবরার এর কাঁধে হাত রেখে বলে।
—“আগে আগে দেখ কি করি? ঠোঁট উল্টিয়ে আবরার বলে।
সে নিজের হাতের রক্ত গুলো দিয়ে দেওয়ালে ঠাঙানো ফায়যানের ছবিতে ক্রস চিহ্ন করে দে।
(গ্লাস গুলো জোরে হাত দিয়ে বারি মারায় আবরারের হাতের গোড়ার অংশ কেটে ব্লাড বের হয়। সেই ব্লাড দিয়ে আবরার কাজটা করল।)
—“নিজের বরবাদি ক্ষতি সব দেখার জন্যে রেডি হয়ে যাহ মিস্টার ফায়যান হাসান। শয়তানি হেসে বলল।
নায়েমান এর বাসায়…
ফায়যান শরবতের গ্লাসটা উঠার সাথে সাথে……..
………..চলবে………
[বিঃদ্র—