‘নয়নতারা’
লিখা- ফারিয়া নোভা
(পর্ব- ০৯)
কাঁদতে কাঁদতে সেইরাতে কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিলো নয়নতারার খেয়াল নেই।
সকাল ৭টার দিকে নয়নতারার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মি. রোদিক এখনো ঘুমুচ্ছেন।
নয়নতারা একা আনমনে বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে, ওর যেনো মনে হচ্ছে কত শত বছর কেটে গেছে এই এক রাত্রির তফাতে।
রাতগুলো ওর জীবনের এক অন্য অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
যা ঘটছে, যা নিজ চোখে দেখছে তাই কি সত্য?
নাকি এতোদিন যা জেনে এসেছে তা সত্য?
যদি তাই হয়, তাহলেও তো চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না।
আর সত্য হলেই বা এর সমাধান কোথায়?
কে বা এসবের পেছনের মূল হোতা?
‘মা এখানে কি করছিস?’
বাবার ডাকে নয়নতারার সম্ভিত ফিরে আসে।
নয়নতারা- কখন উঠলে বাবা?
মি. রোদিক- এইতো কিছুক্ষণ, কলেজ যাবিনা আজ?
নয়নতারা – হু যাবো তো, আসার সময় তিনুকেও একটু দেখে আসবো।
মি. রোদিক- ওহো, আমিও যেতে পারলে ভালো হতো। বাট আজ অনেক বিজি থাকতে হবে। তুই ওদের সকলের জন্য ফ্রুটস আর চকোলেট নিয়ে যাস।
নয়নতারা কলেজের জন্য রেডি হয়ে বাবার সাথে বের হয়ে যায়।
কলেজে গিয়েই রিনি কে খুঁজতে থাকতে নয়নতারা এবং ক্লাসের সামনে পেয়েও যায়।
নয়নতারা- থ্যাংক ইউ সো মাচ দোস্ত, এমন একটা বই আমাকে গিফট করার জন্য….
রিনি- তুই কোন বইয়ের কথা বলছিস? আমি কবে বই দিলাম?
নয়নতারা- ওমা কাল আমাকে বার্থডে গিফট দিলি আর আজই ভুলে গেলি?
রিনি- তুই ঠাট্টা করছিস তাই না? আমি তো কাল আসিই নি ক্লাসে। এজন্য তো গিফট দিতে পারি নি। এই নে তোর গিফট।
রিনি নয়নতারার দিকে একটা পেন্সিল বক্স এগিয়ে দেয়। নয়নতারা হতবাক হয়ে যায়।
তখনি ও খুব কাছ থেকে সেই মনকাড়া সুবাস পায়। ও টের পেয়ে যায়, কাল কে এসেছিলো রিনি সেজে।
গাল গড়িয়ে দু’ফোটা জল গড়ায়।
নয়নতারা আর রিনির সাথে এ বিষয়ে কথা বাড়ায় নি। সে আনমনে ক্লাস শেষ করে। এবার যেতে হবে অনাথাশ্রম!
নয়নতারার বেশ ভয় ভয় লাগছে আজ।
না জানি তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। জীবন যেনো প্রতি মুহূর্তে ওর চলার পথ ঘুরিয়ে দিচ্ছে….
কাল রাতে যে জায়গাটায় চোখ বন্ধ করে মাকে দেখেছিলো, ঠিক সে জায়গায় দাঁড়িয়ে ঘটনাগুলো বারবার চোখের সামনে ভাসছিলো নয়নতারার।
আশ্রমের দুপুরবেলা প্রচণ্ড নিরব চারদিক।
নয়নতারা আশ্রমের গেইটের ভেতর পা দিতেই দেখতে পায়-
‘মাঠের মাঝখানে অনেকগুলো পিচ্ছি দৌড়াদৌড়ি করছে, সে নিজেও আছে। শুভ্র সাদা জামা পড়নে, মাথায় ঘোমটা।
নয়নতারা চোখ বন্ধ করে ফেলে, যখন চোখ খুলে তখন আর কিচ্ছু দেখতে পায় না।
সে ধীরে বারান্দা ধরে হাঁটছে।
পিচ্ছিগুলো সব ঘুমোচ্ছে। নয়নতারা পা টিপে টিপে তিনুর বেডের কাছে যায়। বেডের কাছে যেতেই ও দেখতে পায়-
ওই বেডে ও নিজে ঘুমোচ্ছে, সেই সাদা শুভ্র জামা পড়নে।
নয়নতারার চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রুজল ঝরে। সে বুঝতে পারে এটাই তার মায়ের ও বেড ছিলো।
নয়নতারার কান্নার শব্দে তিনুর ঘুম ভাঙ্গে….
তিনু- আপু, ও আপু তুমি কাঁদছো কেনো?
নয়নতারা চোখ মুছে তিনুর পাশে বসে। একদিনে মেয়েটার চোখ মুখের কি হাল। মনে হচ্ছে কেউ যেনো তিনুর জীবনীশক্তিই শুষে নিয়েছে। নয়নতারার চোখে আতংক।
নয়নতারা- না রে, কিছু না। তুই কেমন আছিস বল? এ কি অবস্থা করেছিস?
তিনু- জানি না আমি, তুমি যেদিন এসেছিলে সেদিনে রাতে এক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখি, তারপর থেকেই জ্বর।
নয়নতারার হৃদপিন্ড প্রচণ্ড কাঁপছে। তিনুকে আদর করে, সকলকে ফ্রুটস চকোলেট দিয়ে নয়নতারা বেড়িয়ে আসে।
তখনি সে ফাদার কে পেয়ে যায়। তার মুখে সেই মায়াবী হাসি।
ফাদার- মাই চাইল্ড, কেমন আছো তুমি?
নয়নতারা- জ্বী ভালো, তিনুকে ডাক্তার দেখানো হয় নি?
ফাদার- হু এসেছিলো তো, বললো খাবার দাবার ঠিকমতো খেলেই সুস্থ হয়ে যাবে।
নয়নতারা- তাহলে ভালোই।
ফাদার- চলো বসা যাক, চা খাবে?
নয়নতারা – হু খাওয়া যায়।
ফাদার আর নয়নতারা বারান্দার এককোণে বসে।
নয়নতারা আড়চোখে ফাদার কে দেখছে। লোকটার মাঝে কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, কিন্তু নয়নতারা কিছুতেই ধরতে পারছে নাহ পরিবর্তন টা আসলে ঠিক কোথায়…
ফাদার আর নয়নতারা বেশ কিছুসময় যাবত চুপচাপ বসে আছে। নীরবতা ভেঙ্গে নয়নতারাই বলতে শুরু করেছে-
নয়নতারা- আমার মায়ের গল্প তো কখনো শুনান নি ফাদার, আজ শুনাবেন প্লিজ।
ফাদার- ওহো, মাই সান। নিয়তির কথা বলে শেষ করা যাবেনা। ও ছিলো চমৎকার এক মেয়ে।
নয়নতারা- রিয়েলি? প্লিজ আমি জানতে চাই।
ফাদার – তাহলে শুনো, নিয়তি কোনো অনাথ সন্তান ছিলো না, ও অচেনা শহরে হারিয়ে গিয়েছিলো।
আমাদের পুরোনো কেয়ারটেকার হেকমত ওকে এখানে নিয়ে আসে, ওর বেশভূষা দেখেই বুঝেছিলাম ধনীর ঘরের সন্তান।
ওর পরিবার কে অনেক খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা, এমনকি পত্রিকায় ও বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আসে নি খোঁজ নিতে।
তারপর থেকে নিয়তিও এই আশ্রমের অংশ হয়ে যায়। নিয়তি পড়ালেখায় যেমন ট্যালেন্টেড ছিলো তেমনি বুদ্ধিমত্তায় ও।
ও ছোটদের পড়াতো বুঝিয়ে দিতোই, নিজের ক্লাসের ছেলেমেয়েদেরও পড়া দেখিয়ে দিতো। আমাকে তখন চিন্তাই করতে হতো না, নিয়তি সবাই কে নিয়ে ছোট্ট পরিবার গড়ে তুলেছিলো।
নিয়তি কে আমি নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিলাম। ওর জীবন কে নিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কল্পনা করেছিলাম।
ও আমাকে ভয় পেতো বটে, সম্মান ও করতো প্রচণ্ড। তাই তো কলেজে উঠে যখন তোমার বাবার সাথে ওর সখ্যতা গড়ে উঠে, তখন কিছুই আড়াল করে নি আমার থেকে।
আমি প্রচণ্ড চাই এই ছেলেমেয়েগুলো সুস্থ সুন্দর জীবন পাক, তখন কারো নতুন জীবনে আমি কখনোই বাধা হতাম না। তেমনি নিয়তিকেও আমি বাধা দেই নি।
আর যখন রোদিক কে দেখলাম, তখন মনে হলো সৎ পাত্রেই কন্যা দান করছি, রোদিক কে পেয়ে নিয়তি এতো খুশি ছিলো যা বলে বুঝানো যাবে না।
কিন্তু ও যে সবাইকে ছেড়ে এভাবে চলে যাবে কখনো ভাবি নি।
ওর একটা পছন্দের রিং ছিলো, ওকে যখন কুড়িয়ে পেয়েছিলো তখনি সেটা ওর গলার চেইনে বাঁধা ছিলো।
হয়তো এসব জিনিসগুলো এখনো রোদিকের কাছেই আছে।
নয়নতারার চোখ ভিজে এসেছে, সে ফাদারের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
আজ ফাদারের সাথে কথা বলে মন কেমন করছে, এই লোকটার উপর সন্দেহ করে ভুল ই করেছে মনে হচ্ছে। সন্দেহের তীর অন্যকোথাও গিয়ে লাগছে মনে হচ্ছে। প্রথম থেকে বিষয়গুলো ভাবা যাক-
প্রথমত মা কে অনুভব করা, এটা হয়তো ওর অন্যমনস্ক মন ভেবে নিয়েছে সে মা কে অনুভব করতে পারে।
তারপর মায়ের সেই চিঠি।
কি এমন বলতে চেয়েছেন তিনি? যা সরাসরি বলে যেতে পারেন নি?
তারপর আশ্রমে ফাদারের রুম থেকে পাওয়া চিরকুট।
রিকভিয়ার রহস্য আজ জলের মতো পরিষ্কার। কিন্তু মায়ের জীবনের সাথে রিকভিয়া কিভাবে জড়িত? কে বা দিতে চেয়েছে রিনির বেশে এই বই? মা? এও কি সম্ভব? তাহলে উনি এতো বছর সামনে আসেন নি কেনো? মারা যাবার পর ও কিভাবে সম্ভব?
আর টগর? সে তো আরো বড় রহস্য। মারা যাবার পর ও নাকি সে বন্দি হয়ে আছে। কিন্তু কেনো? কে বা করেছে এদের জীবন অতীষ্ট?
ফাদার নাকি অন্যকেউ? রহস্য কিন্তু অন্যদিকেই ইঙ্গিত করছে। পড়ে রইলো মায়ের ছোট্ট বেলার পুতুল। একটা অন্যরকম পুতুল। অনেকটা সময় একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকলে একে জীবন্ত বলেই ভুল হবে।
আর মায়ের হারিয়ে যাবার সময় পড়ে থাকা গহনাগুলো? ওগুলোর কথা বাবা কখনোই বলেন নি, কিন্তু কেনো?
আজ আশ্রমে বারবার আমি মায়ের জীবনের স্মৃতিগুলো দেখছিলাম, বারবার ভেসে উঠছিলো চোখের সামনে।
কিন্তু এ কি করে সম্ভব?
এতোগুলো অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটে গেলো যার কোনো ব্যাখাই নেই।
কে করছে এসব?
টগর?
তাহলে কি খটকা টা টগরের মধ্যেই?
কিন্তু কাল যা মনে হয়েছিলো টগর লোকটা মেবি মা কে পছন্দ করতেন? তাহলে? আজ উনি আমার কাছে কেনো? প্রতিশোধ নিতে? মা উনাকে বিয়ে করেন নি বলে? নাকি অন্যকিছু?
এতোগুলো প্রশ্ন মাথায়, কিন্তু সামনে কোনো উত্তর নেই। নয়নতারা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
তখনি কলিংবেলের শব্দ শুনতে পায় নয়নতারা…..
যাক বাবা এসেছে! নয়নতারা চিন্তার জগৎ থেকে যেনো মুক্তি পেয়েছে।
আজ বাবা ফিরতে ফিরতে রাত করে ফেলেছেন, বাবা মেয়ে একি সাথে খেতে বসেছেন।
নয়নতারা- আচ্ছা বাবা, মায়ের সাথে তোমার কিভাবে পরিচয়?
মি. রোদিক প্রশ্নটা শুনে কিছুটা গম্ভীর হয়ে যান
মি. রোদিক- সেও এক কাহিনী। শুনবি?
নয়নতারা- প্লিজ বাবা, বলো।
মি. রোদিক- আমি তখন অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি, সেদিন ছিলো নতুনদের নবীনবরণ।
আমি খুব ব্যস্ত ভঙ্গিতে কলেজ গেইট দিয়ে ঢুকছি। নাকে এক অপরুপ সুবাস ধাক্কা দিচ্ছে। আমি যেনো মোহিত হয়ে গেলাম, বারবার সামনে দাঁড়ানো মানুষটিকে দেখতে ইচ্ছা করছিলো, তাও নজর সংযত করে চলে এলাম।
সেদিন অফ টাইমে গেলাম ক্যান্টিনে। বসে বসে নুডুলস গিলছি, তখনি আবার সুবাস টা খুব কাছ থেকে পাচ্ছি। একটা সময় এর তীব্রতা এতোই বেড়ে যায় যে, আমার মাথা ভো ভো করছিলো।
কিছুটা যেনো বাধ্য হয়েই পেছনে তাকাতে হলো।
পেছনের টেবিলে চোখ পড়তেই যেনো দৃষ্টি আমার সেখানেই নিবিদ্ধ হয়ে গেছিলো।
কতক্ষণ সেই হরিনী চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম ঠাহর নেই।
হুশ এলো যখন শুনতে পেলাম,
” এই যে মিস্টার, আর তাকিয়ে থেকে কি করবেন? আমি তো এখন চলে যাচ্ছি।”
লজ্জায় সেদিন মাথা নুয়িয়ে ফেলেছিলাম। সেটাই ছিলো নিয়তি। আমি ওকে দেখার লোভ সামলাতে পারতাম না, আর সেই সুবাস। আমাকে যেনো কোন মায়াজালে বেঁধে দিতো….
ওকে সবসময় শুভ্র সাদা রঙে দেখেছি, এতো পবিত্রতা জীবনে কোথাও দেখি নি আমি।
মনে হয়েছিলো জীবনে ওকে না পেলে বৃথা সব।
একদিন সাহস করে মনের কথা বলেই ফেলেছিলাম, নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম প্রায়।
ও চুপটি করে দাঁড়িয়ে ছিলো আমার দিকে তাকিয়ে, ও কিছু একটা খুঁজছিলো। হয়ত আমার চোখে ওর জন্য ভালোবাসার পরিধি গুনছিলো।
ও যখন আমার হাত স্পর্শ করলো, যেনো প্রাণ ফিরে পেলাম।
সেদিন ই শুনালো তার অতীত জীবন, আশ্রমের কথা।
মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম হয়েছিলো।
বাসায় পাত্রী খুঁজছিলো, নিয়তির কথা বলাতে কেউ রাজি হয় নি।
সেদিন ই বাসা ছেড়ে আশ্রমে চলে আসি, বিয়েটাও আমাদের ওখানেই হয়। আমি একটা চাকরি জোগাড় করার আগ পর্যন্ত ওখানেই ছিলাম।
কিন্তু নিয়তি যেনো বিয়েতে খুশি ছিলোনা, কেনো যে হঠাৎ পালটে যাচ্ছিলো বুঝতে পারতাম না তখন। হঠাৎ একদিন আমাকে জড়িয়ে প্রচণ্ড কান্না জুড়িয়ে দেয়, সেদিন বুঝলাম আমাকে হারানোর ভয় পায় প্রচণ্ড।
ওকে জড়িয়ে ধরে অভয় দিয়েছিলাম সেদিন।
কিছুদিনের মধ্যেই তোর পৃথিবীতে আসার সুসংবাদ টা পাই। কি যে খুশি ছিলাম আমরা, কিন্তু নিয়তিকে প্রায়ই চিন্তিত দেখতাম।
বুঝতে পারিনি ও আমায় তোকে দিয়ে নিজে পালিয়ে যাচ্ছে আমার থেকে বহুদূর।
বাবা প্রচণ্ড কাঁদছেন, সাথে নয়নতারা ও।
স্বার্থপর দুনিয়া ভালোবাসার মানুষগুলোকে এভাবে কেড়ে নেয় কেনো?
নয়নতারার মনে হলো, বাবাকে মায়ের চেইন আর রিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে কেমন হয়?
তখনি নয়নতারার কানে বেজে উঠলো-
” নাহ তরী, এমনটা করো না, তাহলে তোমার বাবাকেও তোমার হারাতে হবে অতি শিঘ্রই……”
টগর এটা কি শুনালো?
নয়নতারার সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে।
সে কোনো মূল্যেই বাবাকে হারাতে পারবে না।
বাবাই তার সব…..
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, বাবা টগরের কোনো কথাই শুনতে পায় নি, তিনি অবলীলায় খাচ্ছেন।
নয়নতারার প্রচণ্ড মাথা ঘুরাচ্ছে, চোখের সামনে সবই ঝাপসা লাগছে। সে চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
মি. রোদিক চিৎকার দিয়ে উঠেন-
‘নয়নতারা মা……’
(চলবে)