মেঘের আড়ালে পর্ব ২

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব__০২
#লেখিকাঃ ফাতেমা জোহরা নাভিলা
০৪.
—–নূর কেন করলে আমার সাথে এমন? অহহহহ আই সি আমার বাবার টাকার জন্য তাইতো? তাছাড়া আর কিহ বা হতে পারে! তোমাদের মতো মেয়েদের কাজই হলো টাকার জন্য অন্যের জীবন নষ্ট করে দেওয়া।

আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না। এই সাইকো আমদানি বলে কি এইসব কতো সহজে সব দোষ আমার ঘাড়ে দিয়ে দিলেন সাথে ভাগ্যক্রমে খারাপ ও লোভী মেয়ের পদবীটা ও উনার জন্য আজ পেয়ে গেলাম। আমি মিডিলক্লাস ফ্যামিলি মেয় বলে যা নোয় তা বলবে আর আমি মুখ বুঝে সব শুনবো।

——- তুমি দেখতে যতোটা ভোলাভালা ইনোসেন্ট বুঝাও তার এক ছিটেফোঁটা ও তুমি নও সেটা তুমি খুব ভালো করে জানো আর আমিও জেনে গেছি। তাই এই ভোলাভালা অবুঝ ইনোসেন্ট লুক দেওয়ার ড্রামা বন্ধ করো। রাগিত শুরে।

——— দেখুন আপনি কিন্তু এভার আপনার লিমিট পার করছেন? হোয়াট ডু ইউ মিন বাই ভোলাভালা ড্রামা বন্ধ করো আমাকে দেখে কি আপনার কোন এংগেলে অভিনেত্রী মনে হয় হ্যা? আপনি কাকে কি বলছেন আপনি আদৌ কি বুজে বলছেন?

“তাস্যছিলো হাসি দিয়ে”

—–কি বললা,,লিমিট?? হাসালে আমাকে। তোমার আদৌ লিমিট বলে কিছু থাকলে তো লিমিট পার করবো তাইনা?? “যদি তোমার মধ্যে সামান্যতম লিমিট আত্নস্মান বোধ বলে কিছু থাকতো তাহলে আমাকে বিয়ে করতে না “।

আমার এভার বুকটা ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় মরা কান্না আসতেছে। বাবা আমাকে শেষ মেস এই কোন পাগল এর সাথে বিয়ে দিলো। এই তো পাগল ও না পাগল এর নামে মিস্কাশয়তান। বলে কি এইসব কোথায় আমি কপাট রাগ দেখাবো এই পোলা উল্টো আমাকেই রাগ দেখাছে। বলি এটা কি স্টার জলসার মঞ্চো পাইসে যে একের ভিতরে সব বলে যাচ্ছে। নাহ জীবনটা কে ওই ফালতু স্টার জলসা হতে দেওয়া যাবে না কিছুতেই না। আমি কমাট রাগ দেখিয়ে শাড়ি আচল কমোরে গুঁজে উনার সামনে গিয়ে আঙুল তুলে

“এই যে ম্রিস্টার ,,,, এটা কি কোনো সিনেমা হোল পেয়েছেন, যে ডাইলোক বাজি দিয়ে যাবেন আর আমি সব শুনে নিরবে হজম করে যাব। আমাকে কি কোনো এংগেলে সাবানা পেয়েছেন যে আপনার এই ডাইলোক শুনে কানে হাত দিয়ে না স্বামী না ওগো বলোনা এইসব বলে মরা কান্না ঝুড়ে দিবো। ফর উ কাইন্ড ইনফোরমেশন আমি নূর সাবানা না। যে আপনার কথা গুলো সব সহ্য করে নিবো। আর কিজানি বললেন,,,,,,,, অহ হে আমি আপনার জীবন নষ্ট করেছি তাইতো অপ্সস হাসালেন আমাকে। জীবন আমি নষ্ট করেছি না আপনি আমার করেছেন কোনটা বলেন তো। আর আমি আপনার কাছে গিয়ে বলেছি একবারো যে আমাকে বিয়ে করো আমাকে বিয়ে ইয়াদ নাহলে তো আমি তোমার বাবার টাকা কিছুতেই পাবো না। বরং আপনার বাবা আমার আব্বুর কাছে এসে হাত জোড় করে বলেছেন ইয়াদ এর সাথে জেনো নূর এর বিয়ে হয়। আর কি জানি বলেছিলেন খারাপ মেয়ে,,,, খারাপ এর কি দেখলেন বলেন তো, আমি যদি চাইতাম তখন বাড়ি ভতি মেহমানদের সামনে একটা সিনক্রেট করতে পারতাম করেছি। কি? চুপ হয়ে গেলেন যে জবাব নাই আপনার কাছে!!!

“উনি আমার দিকে কিছুহ্মন শান্ত চাহনিতে তাকিয়ে ব্যলকনিতে চলে গেলেন “আমি উনার জাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম মাথা ঠান্ডা করার জন্য লম্বা এক শাওয়ার প্রয়োজন ।

০৫.
সকাল সকাল দরজায় কড়া নড়ায় আমার ঘুম ভাঙলো। ঘুমঘুম চোখে হেলেডুলে দরজা খুলে দেখি আমার বোন ইশারা দাঁড়িয়ে আছে মুখে সূর্যমুখী লাভা ধারন করে।

——-কি হয়েছে আপি, এমন করে তাকিয়ে আছো কেনো। কেউ কিছু বলেছে তোমাকে চিন্তিতো হয়ে।

——বলি কয়টা বাজে??

——-এমা তোমার ঘরে ঘড়ি নাই আপু।কয়টা বাজে জানার জন্য এই সকাল সকাল আমার শান্তির ঘুমটা নষ্ট করলা। দিস ইজ নোট ফেয়ার আপু ঠোট উল্টিয়ে।

——-নূরররররর

———–চিল্লাও কেন কানে হাত দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯:১০ বাজতে চললো। চারপাশটা চোখ বুলিয়ে মনে পরলো আমিতো আমার বাসায় না। আসিফ আংকেল এর বাসায় এভার আপি দিকে তাকিয়ে তার রাগার কারন বুঝতে পারলাম।সরি আমি বুঝতে পারিনি যে এতো দেরি হয়ে যাবে।

——নূর তুই কখন বড় হইবি বলতো । যা জলদি করে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় মামনি তোকে ডাকছে সেই কখন থেকে।

——–আচ্ছা, তুমি যাও আমি আসছি।

রান্নাঘরে এক কোনায় সেই কখন থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে কেউ কিছু করতে দিচ্ছে না। মামনি আর আপু সব কাজ করছে আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেই যাচ্ছি। বলি আমি তোমাদের একটু হেল্প করি না প্লিজজজজ সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেই চলছি। দেখতে দেখতে এখন আমি বড্ডো ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি এভার তো কিছু করতে দাও আমাকে। সবাই কি বলবে বলতো বাড়ির বড় বউ হয়ে দিব্বি দাঁড়িয়ে আছে, শাশুড়ি মা আর ছোট বউ সব কাজ করছে। তোমাদের জন্য আজ সিরিয়াল এর দরজাল বউ হয়ে গেলাম জাও অভিমান এর শুরে,,,,

——– দেখ মেয়ে বলে কি, এইটুকু পুচকি মেয়ে বলে কাজ করবে, আর আমারা কখন বললাম তুই সিরিয়াল এর দরজাল বউ আর হলেও সমস্যা নাই আমারা আমারাই মানিয়ে নিবো, না ইশারা ঠিক বললাম তো মুচকি হেসে।

——–মামনি তোমরা হাসছো নোট ফেয়ার।

——-এখন যা তো আম্মু গিয়ে ইয়াদকে কফিটা দিয়ে আয়।

——-আমি যাব, হতাশ হয়ে।

——- হ্যা যায়, গিয়ে একটু দিয়ে আয় আমিতো কাজ করছি নাহলে আমিই যেতাম।

—–আচ্ছা দাও দিয়ে আচ্ছি খাটাশ কে, এইকি ব্লাক কফি।

——-হ্যা, ইয়াদ ব্লাক কফি খায়।

—— এই কারনেই তো বলি মুখে এতো চিরতা রসযুক্ত কথা কেন বের হয় মনে মনে।

“রুমে এসে সেই কখন থেকে উনাকে ডেকে যাচ্ছি এই যে শুনছেন, ওগো সাইকো স্বামী শুনছো বলে উঠার কোন নামই নেই। ডাকতে ডাকতে আমি রিতিমত হাপিয়ে যাচ্ছি আর মহাশয় আরামসে দিব্বি ঘুমাছেন “। নাহহ কিছুতো করতে হবে কানের সামনে গিয়ে ওই বেটা সাইকো ওইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই

চলবে…………….

[ভুলগুলো হ্মমার চোখে দেখবেন আসা করি। কেমন লাগলো আপনাদের মতামত কমেন্ট জানাবেন। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here