মেঘের আড়ালে পর্ব ১৬+শেষ

#মেঘের আড়ালে💞
#পর্ব__১৬(শেষাংশ প্রথমংশ)
#লেখিকাঃফাতেমা_জোহরা_নাভিলা
৩৬.

গানের মাঝে হঠাৎ ছাদের কেঁচি গেট জোড়ে সোড়ে ধাক্কা আওয়াজে সবায় গান, নাচ বন্ধ করে চোখ বড় সড় গোল করে তাকিয়ে আছে দরজার পাশে হেলেদুলে নূর এর দিকে।কমোড়ে মাঝ বরাবর হলুদ ক্লারের হুডি গিট্ট দেওয়া, লাল ক্লার এর টি-শার্ট এর উপরে কালো উরনা গলায় ঝুলানো, পায়ে কালো প্লাজোটা এক পাশে উঁচু আর পাশে নিচু করা, দুইপায়ে ভিন্ন দুইটো জুতো।চুলগুলো সামনে উল্কোসুল্কো এলোমেলো হয়ে আছে।।।


“দিপ্ত নূরের হেলেদুলে অব্যস্থা দেখে ছাদের মাঝ বরাবর টেবিল থেকে উঠে চ্রট করে নূরের কাছে আসলো,,,নূর দিপ্তর দিকে তার আঙুল ট্যাগ করে খিলখিল করে হাসছে।।।।

.

দিপ্তঃ এই কি নূর,,,, তুই এইখানে কি করছিস!!! আর এভাবে দুলছিস কেনো?? (চিন্তিতো সুরে) ঠিক আছিস বোন ঝাকিয়ে।।।।এভাবে হাসছিস কেন বাতাস টাতাস লাগলো না তো আবার কপালে হাত বুলিয়ে ।।।।

.
উঁহু নূর একা না ব্রো আমিও আছি, অট্রো হাসি হেসে।।।পিছ থেকে উক্কি দিয়ে বলল ইশারা।।।

.

নূর ইশারার দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে দিপ্ত ভাইয়ার বুকে পিঠে ঠেকিয়ে ইশারাকে হুসসসস ।।।।এতো হাসে না আপি লোকে পাগল বলবে তোয়য়য়য়য়য়।।।।

.
দিপ্ত দুই বোনের কারবার দেখে পাগল হওয়ার উপক্রম এক হাত দিয়ে নিচের মাথা চুল গুলো টানছে আর এক হাত দিয়ে নূরের হুডির টুপি টেনে নূরকে সামলাচ্ছে।।।।

.
দিপ্তঃ ইশারা তুই,,, তোরা দুইটা এতো রাতে এখানে কি করছিস!!! (রাগিত সুরে)আর দুলছিস কোন সুখে ??? ইডিয়েট (দুইটো কে দুই কাধে নিয়ে) ঔই ইফরান ভাই দেখো তোমার অতি আদরের বউ আর শালি গায়ে বাতাস টাতাস বাধিয়ে হ্যাংলার মতো করতেছে ।আর তুমি বসে বসে মনের সুখে বিয়ার খাইতাসো মিয়া।।।। চিল্লিয়ে।।।

.

দিপ্তর কথা ইফরান এর কানে যেতে দেরি হলো কিন্ত মুখ ফুস্কে বিয়ার বের হয়ে নাকে মুখে উঠে কাশ শুরু হতে আর দেরি হলো না।।।। ইফরান নিজেকে সামলিয়ে দিপ্তর কাধে ইশারা আর নূরের দিকে তাকালো দুইজন হেলেদুলে অদ্ভুত ভাবে খিটখিট করে হাসছে আর দিপ্ত দুইটাকে কোন রকম ধরে আছে কিন্তু ব্যালেন্স রাখতে হিমসিম খাচ্ছে ।ইফরান হন্তদস্ত হয়ে ইশারার কাছে ছুটে আসলো,,,,,

.
ইফরানঃ এই কি ইশু,,তোমার কি হয়েছে!! তুমি এমন করছো কেনো???আর ভাবিকা তুমি এইখানে কি করছো।।। ইশারাকে কাছে টেনে।।

.

ইশারাঃ উঁহু,,, একদম কথা বলতে আসবা না ইরফান দূরে যাও ,,,, (ইরফান এর মুখে আঙুল ট্যাগ করে)।তুমি অনেক খারাপ কান্না করে। আমাকে আর একটুও ভালোবাসো না আগের মতো। ভালোবাসলে কি আর এইই কাজ গুলা করতে পারতা আমার সাথে।।।।।ন্যাকা কান্না করে।।।।

.
এই মূহুতে ইশারার মুখে এমন কথা শুনে, ইফরান এর দিকে এক প্রকার সন্দেহ দৃষ্টিতে চোখ ছোট করে তাকিয়ে আছে দিপ্ত, অনিক,ফারদিন ।।।।

.
কি হইছে শালাবাবু তোমরা এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন অসহায় ভাবে।(ইফরান)
.
কি হয়েছে দোলা, এটা তো আপনি বলবেন!! আমার বোন এর সাথে এমন কি করছেন আপনি!!।।।(অনিক)
.
ইফরানঃএই ইশু,,, এমন করছো কেন!আমি কি করেছি জান।।। আর তোমার এমন কেন মনে হলো যে আমি তোমায়কে একটু ও ভালোবাসিনা।।।(গালে আঙুলের বাজে মুখ ধরে)অসহায় ভাবে কথা গুলো বলল।।।

.
ইশারাঃ তো কি বলবো। (চোখ ছোট করে নাক ফুলিয়ে)তুমি যদি আমাকে ভালোবাসতা তাহলে টেবিলের দিকে ট্যাগ করে অই টেস্টি জুসটা আমাকে রেখে একা খেতে পারতা এইভাবে।।।।। উহু একদমই না।।।।।। পারতা বলো!!

৩৭.
“ইশারা হাতের ট্যাগ অনুসরণ করে দৃষ্টি রেখে যা বুঝার বুঝে গেলো সবায়, ইতিমধ্যে বুঝতে আর কিছু বাকী রইলনা ইশারা আর নূর যে কোনো ভাবে ভুলে বিয়ার খেয়ে ঘটনা যা রটার রটে ফেলেছে।

.

.
“দিপ্ত মাথায় হাত দিয়ে রাগে দুঃখে চেপে।।।। এই ইফরান ভাই আপনি ইশারাকে ধরে নিয়ে নামুন তো আমি নূরকে নিয়ে নামছি।।।

.

.
“উহু আমি জামুনা আমি নাচমু।।।। এই ফারদিন অওঅঅঅঅ মুরসি ওওও গান ছার আইইইই আজ নাচমু।(ঠোট উল্টিয়ে বলল)নূর।
.
দিপ্তঃ আচ্ছা,, বইন নাচিস কিন্তু এখন না পরে।।।। ক্লান্তি সুরে।।।

.
নূরঃ কোনো পরে টরে না, এখুনি।। কপাল কুঁচকে।। আইচ্ছা শামসু ভাই (দিপ্তর দিকে হেলে)আমার জামাই কই আশেপাশে চোখ বুলিয়ে এইইইই ম্রিস্টার বজ্জজাত উগন্ডার প্রেসিডেন্ট গোম্রা প্রটাসসসসস ম্রিস্টার ইন্ডিয়া কই।।। দেখছিনা যে!!!

.
অনিকঃ হোয়াট এ গুড কোয়শেন বইন।।।তোর জামাই নিচে।।। তো এখন চল নিচে যাই।

.
নূরঃ তোমরা কেন যাইবা আমি জামু আমার জামাইর কাছে।।। এইই জিজু তোমার ভাই কোথায়।।।।

.
ইফরানঃ নিচে গেস্ট রুমে।।

.
নূরঃ এটা তো আমিও জানি, নতুন কি আছে বল।।।উহহ,কোন রুমে।।।এটা বলো।।ইফরান এর কাছে এসে কমোড়ে হাত দিয়ে।।।বিরক্তি সুরে।।।
.
শেষের রুমে।।। পিছ থেকে ফারদিন বলল।।

.
আচ্ছা শুন আমি আসতেসি,,,একদমই গান বন্ধ করবিনা তোরা।।। আমি এসে নাচমু।।। খিলখিল করে হেসে।।।।

৩৮.
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ইয়াদ। আজ নিজেকে বড্ডো শূন্য শূন্য আর বোকা মনে হচ্ছে ।।। আকাশের দিকে তাকিয়ে উপরের ঠোট দিয়ে নিচের ঠোট চেপে তাচ্ছিল্যের সুরে হাসচ্ছে অদ্ভুত ভাবে। চোখ দুইটো তার ছলছল আয়নার মতো চিকচিক করছে আর বিড়বিড় করে বলছে। জীবনটাই আসলে রং বিহীন এই রঙ বিহীনের দুনিয়াতে কোন তুমিবিহীন নেই। আছে আধারে মাঝে সব ধোঁয়াশা, ভালোবাসা বলে আদৌ কিছু নেই আছে শুধু একঝাক ধোকা।

“হঠাৎ পিছু থেকে কে জানি এসে বুকে দুই হাত গুঁজে শক্ত করে আকরে পিঠে সাথে বুক মিশিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে।।। তার গরম ভারি নিশ্বাস গুলো পিঠে আছড়ে পরছে।।।তার এভাবে হুটহাট স্পষ্ট করাতে হার্টবিট গুলো জোড়ে ঢোল বাজানো শুরু করেছে ইতিমধ্যে নিজের সাথে তালমিলিয়ে পিছে থাকার ব্যক্তির ও ঢোল বাজছে। ইয়াদ এর বড্ডো অস্থির লাগছে এখন ও রেগে হাত ছাড়তে নিতেই,,,,,,

.
উঁহু,,,, একদমই নড়বেন না,, এভাবে থাকুন কিছুক্ষন ।।।

.
“নূরের আওয়াজ শুনে ইয়াদের আর বুঝতে বাকী রইলনা না এটা যে নূর”। ও অই ভাবেই দাঁড়িয়ে আছে নূরের হাতের উপর নিজের হাত রেখে এতোক্ষনে যে শূন্যতা কাজ করছিলো এখন নিমিষেই ভালো লাগা কাজ করছে।।।

.
কি ভেবে ছিলেন মশায় ?? অন্য কেউ এভাবে আকরে ধরেছে আপনাকে, আপনার জল্পনাতে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি আহহহহহহা।।।ইসসসস শখ কতো আপনার(মুখ ভেংচি কেটে)।।। শুনেন,,,,,এইইই নূর বিহীন ছারা আপনাকে এই জীবনে এভাবে আকরে ধরার কেউর দূর সাহস নেই। ইয়াদ এর পিঠ থেকে সরে হাত দিয়ে গুরিয়ে (মলিন হেসে)

জীবন রঙ বিহীন নয় ইয়াদ,,,, (কিছুক্ষন থেমে ব্যালকনির রেলিং ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে)।।এই রংধনু রঙিন দুনিয়ার মাঝে আপনি নিজেকে রঙ বিহীন করে গুটিয়ে রেখেছেন। তাই আপনার কাছে নিজেকে বড্ডো রংবিহীন লাগছে।তুমিবিহীন আপনার মাঝেই বসবাস আছে (ইয়াদ চোখের দিকে ছলছল ভাবে তাকিয়ে)যে আপনাকে তার সব দিয়ে আকরে ধরে বাচতে চাই একটিবার কিন্তু আপনি তাকে দূরে ঠেলে নিজেকে তাকে এই তুমিহীনা অসুখে বেধে রেখেছেন। ধোঁয়াশা আধারে মাঝে আপনার জন্য #মেঘের_আড়ালে থেকে কেউ এক চিলতে রোদ নিয়ে আপেক্ষা করছে আপনার সাথে নতুন ভাবে নতুন করে বাচঁবে বলে।।। এই তুমিতে মিলে আমি হবে বলে (ইয়াদ এর বুকের পাশে আঙুল ট্যাগ কিরে)যে আমিতে মিশে থাকবে একঝাক শুধু নির্সাথ্য অফুরান্ত অবিরাম ভালোবাসা।
.

.”চুপ চাপ বসে তুমি #মেঘের_আড়ালে”

“দূতেরা তোমায় নিয়ে গান লিখে যাবে”

“তোমার পথ চেয়ে সারাটা জীবন”

“আমার দিন রাত আজ হয়েছি পাগল”

“এই মন”

” কিছু বোঝেনা ”

“জীবন তোমাকে ছাড়া”

“ঝড়িয়ে দাও”

“অসীম অগচরে”

“ঝড়িয়ে দাও”

বৃষ্টি সুর ধরে”

“ঝড়িয়ে দাও”
“তোমার শীতল প্রেমে🎶🎶🎶🎶

“মেঘে উড়ে উড়ে”

“আসো বৃষ্টি সুরে”

“ভেজা শালিক এর কলরবে ”

“যেটুকু সময়

পাবো তোমায় কাছে”

আপন করে নেব ভুলে”

“এই মন কিছু বোঝেনা”

জীবন তোমাকে ছাড়া

“ছাদের এই গানটা এতোক্ষনে চলছিলে গানটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নূর ইয়াদের পায়ের উপরে নিজের পায়ের ভর দিয়ে ঠোট দখল করে নিলো,,,,,,ইয়াদ নূরের পিঠে দুইহাত দিয়ে শক্ত করে আকরে নূরের সাথে চোখ বুঝে তালমিলাচ্ছে” সাথে চোখের পানি গুলো গাল বেয়ে ঝরছে।।

“বিশ সেকেন্ড পর নূর ইয়াদকে ছেড়ে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে”।।।ভালোবাসি ইয়াদ খুব বেশী ভালোবাসি এই আপনিহীনা থাকাটা আমার জন্য খুব বড্ডো প্যারা ধায়ক আপনি কি আমার চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা আদৌ দেখতে পাননা, না বুঝে ও বুঝেন না কোনটা।।।ইয়াদ এর দিকে কপাল কুঁচকে রাগি ভাবে তাকিয়ে।।। শাস্তি দিচ্ছেন আমাকে আপনাকে ভালোবাসার অপরাধে, এক বার শুধু ইয়ানকে আসতে দিন,,,,

“ইয়ানকে”(কপাল থেকে চুল সরিয়ে)

.
কে আবার আপনার আমার ছেলে যে ইয়াদ নূর থেকে মিশে আমাদের জীবন আলৌকিত করে এক “ইয়ান “হবে । একবার শুধু আসতে দিন আমার ছেলেকে তার পর মা ছেলে মিলে আপনাকে শাস্তি দিব দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা হুহ তখন নো ছাড়াছাড়ি ।।।।(ঠোট ফুলিয়ে) বলেই ইয়াদ এর উপরে ঠেলেদুলে বুকে পরলো।।।

.
ইয়াদ নূর এর হেলেদুলে এভাবে পরায় প্রথমে ভয় পেলেও পরে গায়ে স্মেইলে বুঝতে পারলো নূর যে ড্রিংক করেছে। তাই সেই এমন করছে।।।। নূরকে এভাবে বুকে সাথে মিশে নিয়েই ইয়াদ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে সেই #মেঘের_আড়ালে চাঁদের দিকে,,,,,
#মেঘের_আড়ালে
#পর্ব__১৬ (শেষাংশ)
#লেখিকাঃফাতেমা_জোহরা_নাভিলা

৩৯.

ছাদে রেলিং হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি, পাশে ইয়াদ দাঁড়ানো আমার সাথে। আজ আবহাওয়াটা খুব ফুরফুরে চারপাশে বসন্তময় হওয়া বয়ছে। অনিক ভাইয়ার বিয়ে শেষ হয়েছে আজ এক সাপ্তাহ। এই এক সাপ্তাহ আমার জীবনে এক মাজিক এর মতো ছিলো সব কিছু। মানুষজন আসলে ঠিকই বলে প্রেমের শহর হলো সাজেক আর চ্রটগ্রাম তাইতো সেইখান থেকে আসার পর আমার জীবনে একটু হলেও সুপ্ত রঙ এসেছে। ইয়াদ এখন আমার সাথে আগের মতো রাগারাগি করেন না।আমার দুষ্টু মিতে সে এখন আমার পাশে থাকে আমার কাছে ব্যাপারটা মানতে খুব বদহজম টাইপ।সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো আমি যখন রাতে রুমে বসে টিভি দেখি ইয়াদ তখন হুট করে এসে আমার ঘা এর সাথে ঘা ঘেঁষে বসে টিভি দেখে চেহারার এমন ভাব থাকে উনি কিছুই করেনি।। রাতে যখন বেডে ঘুমাতে যাই তখন মাঝ বরাবর আমাদের পাহাড় সমান মহারাজা কোলবালিশ মশায় থাকে কিন্তু সকালে যখন চোখ খুলি তখন নিজেকে ইয়াদ এর উম্মাদ বুকে আষ্টেপৃষ্ঠে আবিষ্কার করি নিজেকে আর কোলবালিশ মহারাজকে উঠে নিচে ফ্লোরে পাই। তখন সব কিছু সাজানো এক সুন্দর সপ্নের মতো মনে হয়। চলুক না এভাবে কিছু অজানা ভালো লাগা সপ্নোগুলো যদি জানতে গেলে এই সপ্নো ফুরে যায়।।।।।।

.

.
“নূর”।।

.
হুম(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
.
আমার সাথে আজ একটু বাহিরে যাবা!!!
.
আমি আকাশ থেকে চোখ সরিয়ে উনার দিকে তাকালাম উনি আমার থেকে উত্তর জানার জন্য অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।আমি কিছু না বলে শুধু মাথা দুলালাম। উনি বিবরীতে সেই মাতাল করা বিশ্বজয় হাসি দিলেন আর আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি উনার দিকে,একটা মানুষ এর হাসি এতো সুন্দর নিখুঁত হয় কিভাবে তা আমার জানা নেই।

.
চারটা বাজে উনার সাথে বের হওয়ার কথা, উনি লাঞ্চ করে একটু আগে বাহিরে গেছে যাওয়ার আগে অভস্য আমাকে বলে গেছেন আমি যাতে রেডি থাকি সময় মতো। রুমে এসে আলমারি খুলে মিনিট বিশ এর মতো দাঁড়িয়ে আছি কি পারবো কি বের করবো তাই ভাবছি।আজ উনার সাথে এই প্রথম তিন মাস এর মধ্যে কোচিং সেন্টার ছাড়াও কোথাও বাহিরে যাচ্ছি ভাবতেই মনে এক ভালো লাগা দোল বয়ছে, তাই আজ একটু আলাদাভাবে নিজেকে সাজাতে চাই।।অনেক ভেবে ঠিক করলাম আজ শাড়ি পরবো। বসন্তের এক তারিখ আজ প্রিয়সি সাথে বের হচ্ছি। এই মাসে সবায় সবার প্রিয়তমার সাথে হাতে হাত ধরে শাড়ি পরে ল্যাম্পপোস্ট নিচে হাতে, আবার অনেকে রিক্সা করে ঘুরে,,আমি হয়তো হাতে হাত ধরে হাটতে পারবো না,কিন্তু শাড়িতে তো নিজেকে সাজাতে পারবো।। নিয়তি কখনো এমন সুযোগ আবার নিয়ে আসবে কিনা জানা নেই, তাই হারাতে চাচ্ছিনা এই সুযোগটা।

.

.
কালো শাড়িতে চোখে হাল্কা কাজল,চুলগুলো আদ খোঁপা ঠোঁটে লাল ক্লার লিপস্টিক, কানে ঝুমকো, হাতে সাদা কালো রেশমি চুড়ি। নিজেকে আয়না খুঁটিয়ে দেখছি খারাপ লাগছেনা তো এই হাল্কা সাজে লাগলে ও কিছু করার নাই। আমি এর থেকে বেশী সাজতে পারিনা।মুঠো ফোন রিং হওয়াতে আমি আয়না থেকে চোখ ফিরিয়ে খাটে উপর থেকে ফোন নিলাম স্কিনে বড় বড় অক্ষরে ভেসে উঠল সাইকো নামটা দেখেই মুখে লজ্জা আভা এসে ভর করলো। লোকটা এমন কেন কাছে না থেকে ও এতো লজ্জা দিচ্ছে। আমি কাপা কাপা হাতে ফোন রিসিভ করলাম।অই পাশ থেকে নরম কণ্ঠে বলে উঠল,,,,

” নিচে আসো, আমি দাঁড়িয়ে আছি ম্যাডাম তোমার জন্য”।।

.

.
আদুরে মাখা কণ্ঠ তার মুখ থেকে” তোমার জন্য” শুনেই চোখ থেকে এক ফোটা খুশির পানি বেয়ে পরল। আমি তার বিবরীতে কিছু বলতে পারলাম না শুধু বললাম ছোট করে।”হুম্ম”
.

.
নিচে এসে দেখি সেই গাড়ির সাথে হেলাল দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সব থেকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো। সে ও আজ নিজেকে কালো পাঞ্জাবীতে পরিহিত করেছে মুখে তার আকাঁবাকা দাতের সেই হাসি। সাদা চামড়ায় কালো পাঞ্জাবীতে মারাত্মক লাগছে।আমি মনে মনে চোখ বুঝে বলে উঠলাম, “বাচ্চেকি জান লোগে কেয়া”।।।

.
উনি আমার সামনে এসে হাতের তুড়ি বাজিয়ে বলে উঠল,, এভাবে কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে না চলবে ম্যাডাম।।।

.
ইশশশশশশ কি লজ্জা আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম,,,,আমি তো যেতে নিচ্ছিলাম আপনি এসেই তো মাঝ পথে দাঁড়িয়ে আছেন মশায়।
.
উনি আমার কথা শুনে নিঃশব্দে উপরের বাকা দাত দিয়ে ঠোটঁ কামড়িয়ে হাসলেন।
.
লোকটা আজ এতো হাসছে কেন।।।উনি কি বুঝে না উনার এই মুগ্ধ করা টোল পরা হাসি দেখে আমার বড্ডো হিংসে হয়।আমি কপাল কুঁচকে পাশ কাটিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।উনি ও আমার পিছু পিছু এসে গাড়িতে বসলো।।।

.”আচ্ছা,আমারা কোথায় যাচ্ছি “।(সীট ব্যাল্ট লাগাতে লাগাতে)

.কোনো এক জায়গা তো যাচ্ছি ।।।(সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে)

.
সেই তো আমি ও জানি। জায়গায় টার তো অাদৌ কোনো নাম আছে।।।(কপাল কুঁচকে)
.
না নেই,, নামবিহীন জায়গা।(আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে)
.
আজ উনার কার্যকলাপে খুব অদ্ভুত লাগছে কথা না বারিয়ে গাড়ির জানালায় হাতের উপর মাথা রেখে বাহিরে তাকিয়ে আছি।প্রায় তিশ মিনিট পর গাড়ি এসে থামল নিজ গন্তব্য । বাহিরে তাকিয়ে দেখি বড় বড় অক্ষরে সাইন বোডে লিখা রসুলপুর নিচে লিখা নারায়ণগঞ্জ। বুঝতে আর সমস্যা হল না আমরা যে আমাদের প্রিয় জেলা নারায়ণগঞ্জে আছি। ইয়াদ গাড়ি থেকে নেমে আমার পাশের দরজা খুলে আমাকে নামিয়ে গাড়ি লক করে সামনে আঁকাবাকা মাটির উঁচু পথে হাটা ধরল।আমি মুগ্ধ নয়নে আশেপাশে তাকিয়ে আছি। এতোবছর নারায়ণগঞ্জ থাকলে ও এইখানে আসা হয়ে উঠেনি আমার, আশেপাশে ফুলের রাজ্য আর সবজির চাষ আর মাঝে দূরে একটা কুরের ঘর দেখা যাচ্ছে। ইয়াদ আমাকে নিয়ে হাটতে হাটতে সেই কুরের ঘরে নিয়ে গেলো। ঘরটি সামনে গিয়ে আমি পুরো থ সামনে ইয়া বড় এক বিল জায়গাটা আসলে অসম্ভব সুন্দর পিছে ফুলের রাজ্য আর মাঝে এক চিলতে কুরের ঘর আর সাথে বিল।

.
“পছন্দ হয়েছে ”

.

অনেক বলে বুঝানো যাবেনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ইয়াদ আমাকে এইখানে নিয়ে আসার জন্য।উনার হাত ধরে।।।।

.
উনি বিবরীতে আমার হাতের উপরে নিজের হাত রেখে মিস্টি এক হাসি দিয়ে, হাতের ইশারা উনার সাথে সামনে বিলের পারে যেতে বললেন।

৪০.
সন্ধায় হয়ে গেছে এখনো বিলের পারে পা ডুবিয়ে বসে আছি চারপাশে থেকে জি জি আওয়াজ হচ্ছে জোনাকির পোকার আরো কতো না জানার কিছুর পোকার ও আওয়াজ হচ্ছে। আমাদের আশেপাশে দূর দূরান্ত কোনো বাসা নেই এতো বড় জায়গায় আমরা দুইজন আছি দূর দূরান্ত আর কেউ নেই। আজ আর ভয় করছেনা মনে মধ্যে করছে একঝাক ভালো লাগা।হঠাৎ নিরবতা ভেঙে ইয়াদ বলে উঠল,,,

.
নূর

.
“আমি বিলের দিকে তাকিয়ে উনার বিবরীতে বলে উঠলাম।হুম্ম।”

.
ভালোবাসো আমায়!!!

.
উনার এমন কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। কি বলবো উনাকে।।
.
কি হলো চুপ করে আছো যে!!ভালোবাস বল।।(সামনের থেকে চোখ সরিয়ে নূরের দিকে তাকিয়ে)

.
যদি বলি বাসি তাহলে আপনি কি আমাকে নিজের থেকে দূরে ঠেলে দিবেন ইয়াদ।(ছলছল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে)
.
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,, আমি সাদিয়াকে ভালোবাসি তা জেনে ও আমাকে ভালোবাসবে!!!
.
আমি জানি আপনি সাদিয়াকে ভালোবাসেন,
হয়তো আজও বাসেন। আপনার ভালোবাসায় আমার কোনো সন্দেহ নেই ইয়াদ।।আমি কখনো বলবো না আপনি সাদিয়াকে ভুলে জান আমাকে ভালোবাসেন। আমি শুধু বলবো, আমাকে কি আপনার একটু পাশে থাকতে দিবেন,,,, দূরে ঠেলে দিবেন না নিজের থেকে। আমি আপনার পাশে থেকেই আপনার মতো উম্মাদ হয়ে নির্সাথ্য ভাবে আপনাকে বাকীটা জীবন ভালোবাসতে যেতে চাই।।। যে ভালোবাসায় থাকবেনা কোনো সার্থ্য শুধু থাকবে সুপ্ত অনুভুতির একঝাক অফুরন্ত ভালোবাসা।।।দিবেন কি ইয়াদ আমাকে সেই ভালোবাসার সুযোগটা।।।

.
যদি বলি, সাদিয়া মারা যাইনি তখন কি তুমি চলে যাবে।।।(উনি আমার দিকে প্রশ্ন বিন্দুক ট্যাগ করে তাকিয়ে আছে)

.
আমি চুপ করে আছি, কি বলবো উনাকে। উনার এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা আছে কিন্তু আমি এই মূহুতে তা বলতে চাচ্ছিনা আমার গলার সুর ভিতরে সব আটকে আসছে।আমি নিজেকে কন্ট্রোল করে বলে উঠলাম মলিন হেসে।যে আমার না তাকে হাজার লাক্ষ চেষ্টা করে বেধে রাখলে সে আমার কখনো হবেনা।(বিল থেকে উঠতে উঠতে) আর যে আমার তাকে যতো দূরে ঠেলে দেই সেই আমারই থাকবে।আর কিছু বলতে মন চাইছে না তাই চলে যেতে নিতেই,,,,

.
“উনি পিছ থেকে আমার হাত খোপ করে ধরলেন”
আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারছিনা।চোখের অবাধ্য পানি গুলো আর আটকে রাখতে পারলাম না গাল বেয়ে নিচে বেয়ে পরছে”।উনি এক হেঁচকা টানে আমাকে নিজের বুকের সাথে মিশে নিয়ে আমার এক হাত আমার পিঠের পিছে যা উনি ধরে রেখেছেন নিজের হাত মুঠো দ্বারা খুব শক্ত করে আর এক হাত দিয়ে আমার চোখের পানিগুলো মুছে বলে উঠলেন,,,

.
এতোই যেহেতু আমাকে ভালোবাস তাহলে এভাবে চলে যাচ্ছো কেন। নিজের ভালোবাসার উপরে কি তোমার একটু ও ভরসা নেই।এতোই ঠুংকো তোমার ভালোবাসা।

.
আমি ছলছল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি কিছু বলার শক্তি নেই। কিন্তু উনি আমার ভালোবাসাকে ঠুংকো বলেছেন। তাই কান্নামিশিতো সুরে বলে উঠলাম আমার ভালোবাসা ঠুংকো হলো কিভাবে ইয়াদ আপনিতো সাদিয়া আপুকে ভালোবাসেন তাইনা।।।

.
ভালোবাসি আর ভালোবাসা এই দুইটা কথায় মাঝে পার্থক্য আছে তা জানো তো??
.
মানে!!
.
সাদিয়া আমার ভালোবাসা ছিলো যাকে আমি উম্মাদ এর মতো ভালোবাসতাম আর তুমি যাকে আমি ভালোবাসি। হলো না পার্থক্য বলো।

.
কিন্ত আপনি,যে বললেন সাদিয়া আপু বেচেঁ আছে তাহলে আপনি তো এখনো তাকেই ভালোবাসেন।
.
ভুল আমি সাদিয়াকে ভালোবাসতাম কিন্তু এখন আর বাসি না।।আমার ভালোবাসা অর প্রতি কোনো ঠুংকো ভালোবাসা ছিলো না। আমি অকে উম্মাদ এর মতো ভালোবাসতাম কিন্তু নিয়তি এক বড় খেল খেলেছে আমার সাথে জানতো ও আমাকে কখনো আদৌ ভালোবাসেনি অর ভালোবাসা ছিলো ঠুংকো কাচ এর মতো। যদি ও আমাকে ভালোই বাসতো তাহলে তিনটে বছর আমার থেকে দূরে পালিয়ে সিলেটে এতো সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারতোনা।

.
সিলেটে।।।। আপনি জানলেন কিভাবে।।।

.
তোমার এক্সাম এর পরে আমি একটা অফিসের কাজে সিলেটে গিয়েছিলাম মনে আছে অইখান থেকে আসার সময় আমার সাদিয়ার সাথে দেখা হয়।।কিছুক্ষন চুপ থেকে,,,,,,,,,

.
নূর ,আমি ভালোবেসে একবার ঠকেছি দ্বিতীয় বার ঠকার আর শক্তি নেই আমার মধ্যে । এভার ঠকলে হয়তো আমি মরেই যাবো আর বাচঁবো না।আমি তোমাতে আমি হয়ে হারিয়ে যেতে চাই(কান্নামিশিতো কণ্ঠে)। এই আমি তুমিতে তুমিবিহীন কে চাই যাকে ছাড়া আমার একটি মূহুত ও যাবেনা। আমি তুমিবিহীন অসুখে নিজেকে বিলিন করতে চাই।।।জীবনকে আবার রংধনুর রঙে সাজাতে চাই তোমার মাধ্যমে। অফুরান্ত ভালোবাসতে পারবো কিনা জানিনা কিন্তু নির্সাথ্য ভাবে ভালোবাসে বাচঁতে চাই তোমার সাথে। এই তুমিতে আমি মিশে ইনআয়াত কে চাই,, দিবে কি।।।

.
আমি উনার কথাগুলো শুনে কান্নায় ভেঙে উনাকে শক্ত করে ধরে বললাম।দিবো এই সাইকো কে যে বড্ডো বেশী ভালোবাসি ফেলেছি। এই আপনিহীনা যে আমি থাকতে আর পারবো না ইয়াদ।

.
উঁহু শুধু ভালোবাসলে চলবেনা ম্যাডাম । (বুক থেকে মুখ তুলে হাতের আঙুলের বাজে মুখ উঁচু করে)নাম যেহেতু সাইকো দিয়েছন, এখন এই সাইকোর পাগলামো গুলো ও সহ্য করতে হবে পারবে তো।।

.
আমি ইয়াদ এর বুকে মুখ লুকিয়ে বলে উঠলাম পারবো।।

“এই সাইকো কিন্তু খুব জ্বালাবে, আপনি পারবেন তো তার জ্বালাতোনে পুরতে।।।
.
পারবো কোনো সন্দেহ আছে মশায়।(নাক ফুলিয়ে)
.
উঁহু। বলেই আমাকে কোলে নিয়ে হাটা দিলে সেই কুঁরের ঘরের আর আমি তার বুকে মুখ লুকালাম।
.

.
দুইবছর পর,,,,,,

ভার্সিটি ক্লাসে বসে ক্লাস করছে নূর আজ তার সেকেন্ড ইয়ারে লাস্ট ক্লাস এক মাস পর ফাইলান এক্সাম।মাথায় গুরছে শত শত অনেক টেনশন, আজ অনেক দিন পর ভার্সিটিতে এসেছে সামনে পরীক্ষা কিন্ত সে কিছুতেই চেয়ে ও ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছেনা ঘুমে হেলেদুলে বার বার তাসফি আর আয়াত এর উপরে পরে যাচ্ছে।

তাসফিঃ অই মাইয়া, ঢইলা পরস কে,(বিরক্তি সুরে)এটা কি তোর ঘুমানোর জায়গায় যে ঘুমাস বড এর হাড্ডি, বজ্জাত ছেমরি । রাইতে কি করসোস!! চুরি করস!!সারারাত কি বসে বসে মশা মারসোস।।।। যে ক্লাসে ঘুমাস দূর হয় আমার গাল্ডফ্রেন্ড ভুলে টুলে দেখলে আমারে হুদাই ভুল বুঝে প্যারা দিবো।

.

.
“এটা যদি তুই বুঝতি তাইলে আর জিজ্ঞাইতিনা”।নূর

আয়াতঃ হ্যা,তাসফি বুঝলে বুঝ পাতা না বুঝলে তেসপাতা তা না বল,,,, দোস্ত (মুখ চেপে হেসে)

.
কচুঁ
.

“এর মধ্যে ক্লাসের বাহির থেকে কেউ বলে উঠল স্যার আসবো??

.
আরে আপনি আসুন আসুন, আমি তো আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
.
সবায় ক্লাসের বাহিরে দাঁড়ানো সেই লোকটির দিকে তাকিয়ে আছে। দেখতে অসম্ভব সুর্দশন চোখে কালো সানগ্লাস, গায়ে হোয়াইট ক্লার টি-শার্ট কালো ক্লার প্যান্ট মুখে আঁকাবাকা দাতের সেই মুগ্ধ কড়া হাসি উচ্চতা পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি হবে একদম বড় সড় ক্রাশ খাওয়ার মতো।এভার সে এক গাল হেসে ক্লাসে প্রবেশ করল ইতিমধ্যে সবার মন গেলো ভেঙে কারন তার বুকে বেবি ক্যারি ব্যাগ যার মধ্যে এক ফুটফুটে বাচ্ছা বাবার শাটের বোতাম আদৌ অাদৌ আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দিছে আর খিলখিল করে খেলছে।।।।

.

“তাকে দেখে তাসফি আর আয়াত হাসচ্ছে মুখ চেপে।।।আর নূর বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে।।।
.

“তা স্যার,, আমি কি আমার বাচ্চার মাকে নিয়ে যেতে পারি।।।৩২ বাতি দিয়ে।।।

.

না, নিয়ে গিয়ে কি তুই আমাকে শান্তি দিবি শালা(রাহাত)। তুই বাচ্চা বউ নিয়ে ঘুরঘুর করিস আর আমি এখনো বিয়াটাই করতে পারলাম না।যাহ দূর হয় শয়তান।।।আমি পরে তোরে নোট দিমুনে।।।

.
ইতিমধ্যে নূর ক্লাস থেকে ব্যাগ নিয়ে হনহন করে বেরে গেলো। হঠাৎ পিছ থেকে কেউ এসে নূরের হাত শক্ত করে ধরলো,,

.
নূর রেগে চিল্লিয়ে বলে উঠল,,,, এটা কি ছিলো ইয়াদ।।।। এখন ক্লাসের সবায় আমার ব্যাপারে কি ভাববে।।।।আপনি এমন কেন!!!বলুন তো?
.
কি আর ভাববে, বলবে মেয়েটার হ্যাসবেন্ড মেয়টারে কতো ভালোবাসে।।।আর আমি যেমনই তোমার তো।। ৩২ বাতি দেখিয়ে।।।
.
অসহ্য।।
.
সহ্য।
.
আপনারা বাপ মেয়ে দুইটা এমন কেন বলুন তো।। আমার জীবন পুরো ত্যানা ত্যানা করে দিয়েছেন।বয়সে সাত মাস হলে কি হবে একদমই বাবা মতো মিস্কা শয়তান খালি আমাকে জ্বালায়। রাত ভরে
ঘুমাতে দেয় না ফাজিল।।।আর দিনে বাপ মেয়ে দুইটাই আমার পিছ ছাড়েনা। জীবনটা আসলেই বেদনাময় আমার। তাইতো ইয়ান না এসে ইনআয়াত আসছে বাপ মেয়ে মিলে আমাকে জ্বালাতে।।।।
_________________সমাপ্ত___________________
এহেম এহেম, রিডাস আমি জানি আপনারা আমার উপর রাগ আমি #মেঘের_আড়ালে শেষাংশ লিখাটা দেখে।অনেকে আমাকে মেসেজ দিয়েও আমাকে জানিয়েছেন আমি যাতে শেষ না করি এটা। আচ্ছা আমি যদি ইতি না টেনে লিখেই যেতাম আপনাদের কি পড়তে আর ভালো লাগতো!!উঁহু, লাগতো হয়তো, কিন্তু এক সময় এসে পড়তে খুব বিরক্ত লাগতো আগের মতো আর ভালো লাগতো না।তখন আপনারা এসে আমাকে বকা দিতেন শেষ করে না কে এই মেয়ে।তাই খাট্রমিঠা থাকতেই #মেঘের_আড়ালে অধ্যায় শেষ করলাম।কিন্তু আপনাদের জন্য একটা সুখবর আছে।।। আপনারা যে নূর আর ইয়াদকে এতো ভালোবাসা দিয়েছেন। তাই তারা আবার ও ফিরে আসছে নতুন এক ভিন্ন গল্পের মাধ্যমে যার থিম থাকবে পুরো আলাদা। কি এভার খুশি তো😒।আর হ্যা যারা সিজেন টু চাইছেন। তাদের বলছি সিজেন টু লিখতে ও পারি আবার না ও পারি😐 এখনো চিন্তা করেনি সিজেন টু নিয়ে।
[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here