#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_০৫
#Marufa_Yasmin
আরু কাঁদতে কাঁদতে হঠাত হৃদ কে জড়িয়ে ধরে।হৃদ ও কাঁদছে। রুমে উপস্থিত থাকা মহিলারা এটা ভালো চোখে দেখছেন না।কিছুটা বিরক্তির চোখে দেখছেন।অনেকে আবার আরুর চরিত্র নিয়ে কথা শুরু করে দিয়েছে।হৃদ এটা বুঝতে পেরে আরু কে নিজের থেকে সরিয়ে বলল
” আরু কাঁদিস না আমাদের তো দেখা হবে বল। তুই স্কুলে আসবি বা আমি তোর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখা করে আসবো ওকে কাঁদে না এখন ।না হলে সব মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে তখন আমাকেই তোর বর বকবে।”
আরু হৃদ এর কথায় হেসে দেয়। হৃদ মুগ্ধ নয়নে আরুর হাসি দেখছে কি সুন্দর রুপ।সেই ছোট আরু যার সাথে সাতটা বছর কেটেছে হৃদ এর। যার সাথে অনেক অনেক খুনসুটি মারামারির স্মৃতি লুকিয়ে আছ।হৃদ আরু কে তারা দিয়ে বলল
” এখন এত হাসিস না বর চলে আসবে। যা বিছানায় গিয়ে বস আমি পরে আসবো এখন বাইরে গেলাম।”
হৃদ বাইরে চলে যায়।বাইরে গিয়ে সবার আড়ালে চোখের জল ফেলে। হৃদ আর বলা হলো না ভালোবাসি।হঠাত হৃদ এর কাঁধে কারো হাত পড়তেই পেছনে ফিরে হৃদ । সামনে মেঘা দাঁড়িয়ে আছে তার চোখেও জল।হৃদ কাঁদতে কাঁদতে মেঘা কে জড়িয়ে ধরে বলল
”সময়টা পার হয়ে যাচ্ছে বলা হচ্ছে না ভালোবাসি। তাকে ʼʼবলব কবে ভালোবাসিʼʼ ?
পার হয়ে গেলো অলরেডি ।আর কিছু করার নেই আমার আরু অন্যর হয়ে গেলো রে আমি যে সহ্য করতে পারছি না মেঘা।”
মেঘা হৃদ কে নিজের থেকে ছাড়িয়ে চোখের জল মুছিয়ে বলল
” এভাবে কাঁদিস না দেখ। তুই যদি আরু কে ভালোবাসিস তাহলে ওর খুশিতে নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা কর। ভালোবাসা মানে কি জানিস? যাকে ভালোবাসিস তার ভালোতে বাস করাই হচ্ছে ভালোবাসা। সব ভালোবাসা পূর্ণতা পাই না সেখানে তো তোর এক তরফা ভালোবাসা আরেকজন তো জানেই না তুই ওকে ভালোবাসিস। দেখ আরুর ভাগ্য ঠাকুর যা লিখেছেন তাই হয়েছে।ঠাকুর যদি তোর সাথে ওর ভাগ্য লিখেন তাহলে তুই ঠিক একদিন ওকে পাবি ।আর যদি না পাস তাহলে বুঝেনিস সে তোর ছিল না।কান্না কাটি করিস না লোকজন দেখলে সন্দেহ করবে। চোখের জল মুছ।
দেখ আমি আদি কে ভালোবাসি আর আদি আমাকে। যদি আমাদের ভালোবাসা পূর্ণতা না পাই তবে হবো রাধাকৃষ্ণ। রাধার সাথে কৃষ্ণ এর যদি বিয়ে হতো তাহলে কৃষ্ণ ,কৃষ্ণ ওই থাকতো রাধাকৃষ্ণ হতো না।আশা করি আমার কথা গুলো বুঝেছিস।আমার আবার থাকা হবে না রে।মা কে নিয়ে রাত আটটার সময় একটা ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে ডাক্তার আবার আজ এই বসবে ।তাই দ্রুত যেতে হবে আসি ।”
” আচ্ছা সাবধানে যা আদি দা বলে য