#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৫
অফিসের সবাই মিষ্টি মুখ করার জন্য বায়না ধরেছে। সবার এক কথা এখন মিষ্টি মুখ করাবে কয়েকদিন পর আবার ঝাল মুখ করাতে হবে। সবাই বেশ মজা করছে বিয়ের ব্যাপার টা নিয়ে।
অভ্র কয়েকজনকে পাঠালো মিষ্টি আনার জন্য। মিহি অভ্রের দিকে ছলছল নয়নে তাকিয়ে আছে।সবার কথাকে উপেক্ষা করে মিহির দিকে তাকাতে ই অভ্রের কপালে ভাজ পড়ে হয়তো আমার মুখে এমন কষ্টের ছাপ দেখবে এটা তার কাম্য ছিলো না।
আস্তে আস্তে আমার পাশে এসে ইশারায় জিজ্ঞেস করে,কী হয়েছে।
আমি কোনো উওর দেইনি। উনি তো বললেন ই এ বিয়েটা শুধু ছয় মাসের জন্য তাহলে এমন ঘটা করে সবাইকে জানানোর কী প্রয়োজন।
–ম্যাম আই এম স্যরি
অরণীর শব্দ পেতে ই মুখ তুলে তাকাই।মুখে মিষ্টি একটা হাসি রেখে উওর দেই ইট’স ওকে।
–ম্যাম আমাকে ক্ষমা করবেন, স্যার এসব জানতে পারলে আমার জবটা থাকবে না।
–না, না আমি এসব কিছু আপনার স্যারকে বলবো না।
–ম্যাম তাহলে আমাকে আপনি মিথ্যা কেনো বলেছিন যে আপনি স্যারের বোন।
–এমনি, মজা করে বলেছিলাম।
–ম্যাম সামির আমার সাথে কথা বলছে না, আপনি একটু বলবেন আমার সাথে কথা বলার জন্য।
–যাকে ভালোবাসেন তাকে কেনো বিশ্বাস করেননি, বিশ্বাস প্রত্যেকটা সম্পর্কে ভিওি। যেখানে মানুষটাকে বিশ্বাস ই করতে পারেন না সেই মানুষটাকে নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে জামেলা বাড়ানোর চেয়ে, মানুষটা থেকে দূরে থাকা শ্রেয়।
–ম্যাম আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।
–ঠিক আছে আমি বলে দিবো।
অভ্র আমাকে নিয়ে কেবিনে চলে এসেছে। আমাকে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
–কী হয়েছে আপনার মন খারাপ কেনো, আর বিশ্বাস নিয়ে তো দেখছি ভালো ই সঙ্গা দিতে পারেন।
–এসব করার কী খুব প্রয়োজন ছিলো। মন থেকে মেনে নেননি, তারপর কেনো সবাইকে জানাতে গেলেন এটা কী জানতে পারি।
–যতদিন ই আমার কাছে আছেন, আমি আপনাকে নিজস্ব পরিচয় দিয়ে ই রাখতে চাই। আজকে একজন বিয়ের কথা বলেছে, কালকে আরেকজন বলতে পারে তাই পরিচয়টা দিয়ে দেওয়া টা ই ভালো মনে হলো।
আজকে আবহাওয়া এতো শান্ত কেনো বুঝলাম না, হয়তো ঝড়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। আল্লাল মালুম যা হওয়ার হবে।
___________________________
সন্ধ্যা নেমে এসেছে, আজকে পূর্ণ চাদ উঠেছে। চাদের আলোয় মনে হচ্ছে সব কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বাগানের সাইডে মানমাতানো সৌরভ নিয়ে দাড়িয়ে আছে হাসনাহেনা গাছে। রাত হলে ই ফুলের গন্ধে চারদিকে ভরে যায়। মিষ্টি গন্ধ নাকে আসলে ই ফুলগুলোকে ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু এই রাতের বেলা বাগানে যেতে ভয় লাগে লোকমুখে শোনেছি হাসনাহেনা গাছে নাকি সাপ থাকে, নয়তো এখন ঠিক হাসনাহেনা গাছের নিচে চলে যেতাম। চাদের আলোয় সবগুলো ফুল খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
অভ্রের রুমের বারান্দায় বসে আছি আমি। বসে বসে প্রকৃতি মধ্যে নিজেকে হারিেয় ফেলতে ইচ্ছে করে। অফিস থেকে বিকেলে এসে ফ্রেশ হয়ে বসলাম, একটু আগে।
অভ্রের ডাকে রুমে প্রবেশ করি।
–শাড়ি পড় রেডি হয়ে নিন।
–কেনো, কোথায় যাবো।
— ডিনার করতে বাহিরে যাবো।
কথাটা শোনে খুশি হয়ে গেলাম কারন আমার ঘুরতে অনেক ভালো লাগে, রাতের বেলা তো আরো বেশি। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো আমার শাড়ি পড়া নিয়ে, আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না। অভ্রকে বললাম,
–আমি শাড়ি পড়তে পারি না।
–না পড়লে, চেষ্টা করুন।
–পাড়ি না বলছি তো।
–না পারলে আমি একা একা যাবো আপনি বসায় বসে ভুতেদের সাথে গল্প করবেন কেমন।
–এই না, না, যাবো আমি।
–তাহলে শাড়ি পড়ে নিন। আমি চাই না আর কেউ আমাকে এসে আপনার বিয়ের কথা বলুক।
–আমি জানি তো আপনার পেটটা পুরোটা ভরা হিংসায়।
–কী বললেন।
চোখ রাঙ্গিয়ে তাকাতে ই আমি চলে আসি অন্য রুমে। একটা নীল কালারের শাড়ি নেই, ইউটিউব দেখে দেখে ট্রাই করতে থাকলাম। আমার মনে হচ্ছে ইউটিউব না থাকলে আমি কিছু ই করতে পারতাম না। যা ই হক যে মেয়ে জীবনে শাড়ি পড়তে পরে না সে কী একদিনে শাড়ি পড়া শিখে যাবে নাকি।
কোনো রকম শাড়ি পেচিয়ে নিলাম, মনে মনে অভ্রের চৌদ্দ গুষ্টিকে বকতে লাগলাম। সব ই হলো কুচি কীভাবে দেয়, আমি তো কুচি ই ঠিক করতে পরছি না, অনেকক্ষণ তো ট্রাই করলাম। না পেরে অভ্রকে ডাকলাম,
–একটু আসবেন এদিকে।
–নিজের কাজ নিজে করা ভালো।
–কান্না করে দিবো কিন্তু।
–তা আপনি করতে পারেন ।
–প্লিজ আসুন না।
অভ্র রুমে এসে, কতক্ষণ মন খুলে হেসে নিলো মিহির অবস্থা দেখে।
–হাসির কী হলো, আমার এই অবস্থা কিন্তু আপনার জন্য ই।
–বেশি কথা বললে আমি চলে যাবো কিন্তু।
–আর বলবো না এবার কিছু একটা করেন।
অভ্র এসে মিহির সামনে দাড়ায় কিন্তু শাড়ির কুচি ছাড়া অন্য কোনো কথা ও বলেনি তাকায় ও নি।
অভ্র যেটুকু পেড়েছে কুচিগুলো মিহির হাতে ঠিকে করে ধরিয়ে দিয়ে বিনা বাক্যে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
মিহি শাড়ি ঠিক করে, ম্যাচিং জুয়েলারি, ম্যাচিং চুড়ি পড়ে নিলো। কিন্তু ভাবনা একটা ই মিহি পারেনি অভ্র কী করে শাড়ির কুচি দেতে পারে। তাহলে কী আগে অন্য কাউকে শাড়ি পড়িয়েছিলো।
গাড়িতে বসে মিহির প্রশ্ন
–শাড়ি পড়লে মানুষ কতো প্রসংশা করে আপনি তো চোখ তুলে দেখলেন ও না।
–দেখে কী করবো,
–এট কেমন কথা,আপনি কী আগে কাউকে শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছিলেন।
–হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো করলেন। এই জন্য ই মানুষের উপকার করতে নেই।
–তাহলে আপনি আমার থেকে ভালো করে কুচি ঠিক করতে পারেন কী করে।
–আপনি যে একটা গাধা এটা আমি জানি তাই আপনি যাওয়ার পর শাড়ি পাড়ার কয়েকটা ভিডিও দেখেছি।
–ওহ্ আচ্ছা। গাধা না মেয়েদেরকে গাধী বলে।
আপনার মধ্যে শিক্ষার অভাব আছে।
কথাটা বলার সাথে সাথে অভ্র গাড়ি থামিয়ে দেয়, অভ্র গাড়ি থেকে নেমে মিহিকে টেনে গাড়ি থেকে নেমে, নিজে আবার গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
মিহি কিছু বুঝে উঠার আগে ই গাড়িটা চোখের আড়াল হয়ে যায়। কী হলো এটা, একা একা নামিয়ে কেন দিয়ে গেলো। আমি নিজে অনেক বেশি কথা বলি তাই কী মাঝ রাস্তায় আমাকে নামিয়ে চলে যাবে নাকি। চারদিকে খারাপ মানুষ এর অভাব নেই, আমি এভাবে একা দাড়িয়ে থাকলে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা ই বেশি….
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ১৬
আশেপাশে কয়েকটা ছেলে ছাড়া আর কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। অভ্র কী করে পারলো এরকম একটা যায়গায় রেখে যেতে। তাহলে কী অভ্রের আগের প্লান ছিলো এটা। এভাবে দাড়িয়ে থাকাটা আমার জন্য ভালো হবে না, কোথায় যাবো আমি, সামনে হাটলে ও ছেলে, পিছনে হাটলে ও ছেলে। এতোটা অসহয়া কখনো মনে হয়নি।
আশেপাশের ছেলেরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হে আল্লাহ আমাকে বাচায়। মনে মনে যা দোয়া আছে পড়া শুরু করলাম।
হঠাৎ একটা গাড়ি আমার থেকে কিছুটা সামনে গিয়ে আবার আমার সামনে এনে দাড় করালো। ভয় টা তো আরো বেড়ে গেলো
–মিহি তুমি এইখানে কেনো।
মুখের দিকে তাকাতে ই দেখলাম অপু। প্রাণটা যেনো ফিরে এলো, কিন্তু ওরা এতো দ্রতু ঢাকায় ফিরে আসলো কেনো।
–গাড়িতে উঠো,,,
–আমি কিছু না ভেবে ই গাড়ি উঠে পড়লাম।
গাড়িতে উঠার বসার সাথে সাথে সবার এক প্রশ্ন
–মিহি কী হয়েছে তুমি এখানে কেনো।
আমি সবটা খুলে বললাম। সবটা শোনে অভ্রের মা বললো,
–তুমি হয়তো বা কোনো ভুল করেছো তাই অভ্রের এভাবে রাস্তায় রেখে যাওয়া ঠিক হয় নাই।
অভ্রে দাদিমা সিলেট গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই আমরা দ্রুত ঢাকায় চলে আসি। উনি অন্য গাড়ি আছে।আর এখন আমরা না আসলে কী হতো। অভ্রে আজকে বাসায় আসুক তারপর দেখো কী করি।
জীবনটা মাঝিবিহীন নৌকার মতো মনে হচ্ছে। নদীর স্রোত অনুযায়ী চলছে। অনেক হয়েছে আর এসব সহ্য করবো না। আমার জবীনটা আমি ই গুছিয়ে নিবো।
এসব ভাবতে ভাবতে বাসার সামনে চলে এসেছি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা অভ্রে রুমে চলে গেলাম, আমার যা জামা কাপড় জুয়েলারি আছে সব নিয়ে, অভ্রের পাশের রুমে চলে গেলাম। ভয় পেয়ে মরে গেলো ও আর অভ্রের রুমে যাবো না।
________________________
অভ্র বাসায় এসে ই মায়ের রুমে চলে যায়, মায়ের সামনে বসতে ই রেনু বেগম বলে উঠে,
–অভ্র তোকে খুব ক্লান্ত লাগছে কী হয়েছি। আর আমি যে এসেছি কার কাছ থেকে শোনেছিস।
–দারোয়ান কাকা বলেছে মা।
উনি এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বললেন,
–খেয়েনে, আর কী হয়েছে বল।
–আম্মু আমি রাগ দেখিয়ে মিহিকে রাস্তায় রেখে চলে গিয়েছিলাম। পরে দশমিনিট পরে এসে দেখলাম মিহি ঐ জায়গায় নেই। আশেপাশে অনেক খুজেছি পাইনি। আম্মু এই রাতের বেলা যদি মিহির কিছু হয়ে যায়। আমি রাগের মাথায় কী করলাম এটা। আমার মাথা ঠিক ছিলো না।
ছেলের এমন অস্থিরতা দেখে রেনু মেকি হাসি দিয়ে বলে,
–যাকে ভালোবাসো বাবা তাকে কেনো আগলে রাখো না। মনে রেখে একবার হারালে কখনো আর পাবে না।
–মা এসব কথা বলার সময় এখন না, কী করবো বলো না তুমি??
–শান্ত হও মিহি বাসায় ই আছে, আমরা নিয়ে এসেছি। কিন্তু কাজটা অভ্র ঠিক করিসনি।
অভ্র মায়ের সাথে আর কোনো কথা না বলে দৌড়ে রুমে চলে যায়। কিন্তু রুমে যেতে ই দেখে মিহি রুমে যায়।
মিহি রুমে নেই দেখে ই, দাদিমার রুমে, মিনতির রুমে খুজে, বাসার ছাদে যায়। কিন্তু কোথাও পায়নি।
এখন তো মনের মধ্যে আরেক ভয় ডুকে গিয়েছে মিহি কী বাবার বাসায় চলে গেলো নাকি। নিজেকে নিজে গালি দিতে ইচ্ছে করছে ঐ সময় রাগের মাথায় মিহির সাথে এতোটা খারাপ ব্যবহার না করলে ও চলতো।
অভ্র পরক্ষণেই মনে হলো মিহি যে অভ্রে পাশের রুমে থাকে। অভ্র দ্রুতগতিতে মিহির রুমের দিকে গেলো।
মিহি রুমের দরজা লক করে শুয়ে আছে। কান্না করতেছি। নিজের এমন পরিণতি মনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। বিয়েটা ই জীবনের সুখ শান্তি সব কেড়ে নিলো। বিয়ের আগে তো খুব ভালো ছিলো।
–মিহি দরজা খুলেন।
কন্ঠটা চিনতে বিন্দু পরিমান ও অসুবিধা হয়নি মিহির। অভ্রে কন্ঠ শোনে কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেলো। চুপ করে শুয়ে আছে, অভ্র অনবরত দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু মিহির এতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই।
–কথা কানে যাচ্ছে না, দরজা খুলতে বলছি।
মিহি এভাবার রাগে চিৎকার দিয়ো বললো,
–খোলবো না, এখান থেকে চলে যান।
–স্যরি মিহি আমি বুঝি নাই, রাগের মাথায় এমনটা হয়ে গিয়েছে।
–আপনি এখান থেকে চলে যান বলছি, আমি মাকে কল দিয়েছি কালকে ই বাসায় চলে যাবো, আমার বাড়িতে থেকে নিজেকে কারাবন্ধি রাখতে পারবো না। আদিখ্যেতা না দিয়ে চলে যান।
–আপনি দরজা খুলবেন নাকি আমি দরজা ভেঙ্গে ফেলবো।
–খুলবো না
কথাটা বলার সাথে সাথে দরজায় লাথি মারেতে থাকে অভ্র।
মিহি লাথির শব্দ শুনে দ্রুত গিয়ে দরজা খুলে দেয়। মিহিকে দেখে অভ্র ই অভ্র এসে জড়িয়ে ধরে,মিহি কিছু বুঝার আগে ই।
মিহি ছাড়ানো ব্যর্থ চেষ্টা করছে । অন্ধকার রুমে মিহিকে ছাড়া অভ্র কিছু ই দেখছে না। তাও বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না মিহি যে কান্না করছে। একহাত দিয়ে মিহির চোখের পানি মুছে দেয়।
–মিহি প্লিজ আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আমি রাগের মাথায় কী করেছি বুঝতে পারিনি।
–কী হয়েছে আপনার ছাড়ুন আমাকে।
কেউ আসার শব্দ শুনে অভ্র মিহিকে ছেড়ে দিয়ে দূরে দাড়ায়।
— কী হয়েছে অভ্র।
সামনে তাকিয়ে দেখলো, অভ্রের দাদিমা দাড়িয়ে আছে।
–কীসের শব্দ করেছিস অভ্র বাসা কী ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিস।
–দাদিমা এসব কিছু না।
–রুমটা অন্ধকার করে রেখেছিস কেনো। লাইট অন কর।
অভ্র দ্রুত গিয়ে লাইট অন করেতে ই দেখে মিহির সব ড্রেস এলোমেলো হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে, মিহির ব্যবহার্য বাকি জিনিস গুলো ও এক সাইডে পড়ে আছে।এগুলো দেখে তো অভ্রের রাগটা আরো বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন মিহি রেগে আগুন হয়ে আছে। হাজার রাগ থাকলে ও অভ্র কে এখন মিহির রাগ ভাঙ্গাতে হবে না হয় মিহি কী না কী করে বসে আল্লাহ ই জানে।
–কী ব্যাপার নাতবৌ এগুলো এইখানে কেনো। স্বামীর সাথে মনমালিন্য হলে মিটিয়েনে। অভ্রের রুমে যা। আর যেনো কোনো শব্দ না শোনি।
–দাদিমা সুস্থ হয়ে গিয়েছো নাকি।
–তোদের এরকম কান্ড দেখে অসুস্থ শরীর নিয়ে ই আসতে হলো।
বলে ই দাদিমা চলে গেলো। দাদিমা চলে যেতে ই অভ্র মিহির দিকে এগিয়ে যায়, মিহি ভয়ে পিছাতে থাকে…
চলবে
চলবে