তোমাতে আসক্ত পর্ব ২৫+২৬

#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৫

মিহি রেডি হচ্ছে বাবা বাসায় যাওয়ার জন্য আর মনে মনে দাদিমা না যাওয়ার প্রার্থনায় মগ্ন। দাদি মা এখন ও কিছু বলেনি যাওয়া নিয়ে,মিহি বাবা বাড়ি যাচ্ছে তাই সরাসরি তো আর জিজ্ঞেস করা যায় না আপনি যাবেন কিনা। জিজ্ঞেস করলে পরে আবার বলতে পারে মিহি চায় না, দাদিমা তাদের সাথে যাক।

মিহি একটা কুর্তি পড়েছে,সাথে হিজাব পড়েছে, ঠোটে সেই বিখ্যাত বানানা লিপবাম, চোখে হালকা কাজল।রেডি হওয়া শেষে চার্জ থেকে ফোনটা খুলে হাতে নিলো, হাতে নিয়ে ই দেখতে পেলো অভ্র মেসেজ করেছে, মিহিদের সাথে অভ্র যাচ্ছে না, অভ্রের কাজ শেষ করে রাতে যাবে।
মিহির মুখে একরাশ হতাশা ফুটে ওঠে। ভেবেছিলো অভ্র যাবে সাথে।

রেনু বেগম রুমে ডুকে বললো,

–মিহি হলো তোমার,,,,

–জ্বি, আম্মু।

–তাহলে চলো বের হই,

— আম্মু, দাদিমা কোথায়।

–উনি তো গাড়িতে বসে আছেন।

বুড়ির তো দেখছি আমার থেকে বেশি তারা।

–কিছু বললে মা।

–না আম্মু, চলেন।

আম্মুর সাথে নিচে চলে আসলাম গাড়ির সামনে আসতে ই দাদিমা ভেতর থেকে ডাকছে,

–বড় নাতবৌ এই আমার সাথে বসে পড়।

এটা শোনে অনি বললো,

–ভাবি কতো ভালোবাসে তোমাকে দেখো, গাড়িতে উঠে বসে ই বললো, কেউ আমার পাশে বসবি না বড় নাতবৌ বসবে।

আমি আর কিছু বললাম না উঠে বসে পড়লাম।

__________________

বাসার সামনে গাড়ি থামতে ই আমি দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে আম্মুকে জড়িয়ে ধরি। কতোদিন পর মায়ের আদর পেলাম।

–হয়েছে, এখন একটু সরে আয় আমি একটু মায়ের সাথে কথা বলি।

–মা তোমার বড় মেয়ে কিন্তু অনেক হিংসুটে, আমাকে আদর করছো তো তাই সহ্য হচ্ছে না।

–মা তুমি কিন্তু সব সময় মিহিকে ই অনেক আদর করেছো, মিনতি নামের যে তোমার কোনো মেয়ে ছিলো তা তোমার মনে নেই।

–হয়েছে তোদের এতো ঝগড়া করতে হবে না, আমি আমার দুই মেয়েকে ই বড্ড বেশি ভালোবাসি।

মিনতি এটা শোনে বললো,

–না মা দুই মেয়ে না বলো যে আমার ছোট মেয়েকে আমি ভালোবাসি।

–ছোটরা সব সময় একটু বেশি ই আদর পায় পাগলিরা চল বাসায় চল, রাস্তা মধ্যে ই সব কী মান অভিমান করে দাড়িয়ে থাকবি নাকি।

সবাই আমাদের কান্ড দেখে হাসতেছে,সবাইকে নিয়ে বাসায় গেলাম। আম্মু সবাইকে সবার রুম দেখিয়ে দিলো, অভ্র আর আমার জন্য আমার রুম সিলেক্টেড করেছে। রাতে ঘুমানোর সময় বুঝা যাবে এই বাসায় ও কী, আমার আর অভ্রের এমন হরতাল চলবে নাকি।

সন্ধ্যার পর আমি বাগানে দাড়িয়ে আছি। কারণ অভ্র আমাকে কল দিয়ে এখনে দাড়াতে বলেছে। নতুন প্রেমে পড়েছি এমন একটা অনুভূতি কাজ করছে। অনুভূতিটা উপভোগ করার মতো। হঠাৎ কেউ একজন পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো, স্মেইলটা আমার খুব পরিচিত বুঝতে সমস্যা হলো না আমার সে এসেছে।

–ভয় পেলে না যে।

–ভয় পাবো কেনো, এখন আপনি পাশে আসলে আমি অনুভব করতে পারি খুব ভালো ভাবে।

–তাই নাকি। তা কীভাবে অনুভব করতে পারো আমি না হয়ে অন্য কেউ ও এখন আসতে পারতো।

–ঐযে ভালোবাসা দিয়ে। এই স্মেইল টা আমার চেনা হয়ে গিয়েছে।

–হুম, পারফিউম চেঞ্জ করে ফেলবো।

–পারফিউম ই চেঞ্জ করতে পারবেন, অভ্র নামক মানুষটাকে কী চেঞ্জ করতে পারবেন।

আনমনে যখন কথাগুলো বলছিলাম,অভ্র আমাকে কোলে তোলে নিলো,

–আরে কী করছেন, কেউ দেখে ফেলবে।

–অন্ধকারে কেউ দেখবে না।

–দেখবো না কেনো আমরা কী অন্ধ নাকি ভাবি

হঠাৎ বড় আম গাছটার পেছন থেকে অপু, মিনতি অনি বের হলো।

অভ্র মিহি দুজন ই বেশ অবাক হলো, এরা কেনো এইখানে।
মিহি মিনমিন করে বললো”লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে”
অভ্র দ্রুত মিহিকে কোল থেকে নামিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে দাড়ায়।

–ট্রিট দেও নয়তো সব কথা দাদিমার কানে যাবে।

অভ্র কিছুটা রেগে গিয়ে বললো,,

–তোর সব সময় খাই খাই স্বভাব অপু।১০০

অনি বললো,

–শুধু অপুর দোষ ই বা কেনো দিচ্ছো, আমি মিনতি ভাবি ও আছি।

–আচ্ছা কী খাবি বল।

— ঐ যে চার রাস্তার মোড়ে টং দোকানের স্পেশাল চা।

–ওহ্, চা খাবি। আগে বলবি তো চল নিয়ে যাই।

–হে চলো। আমরা রেডি।

মিহি মাঝখান থেকে বলে উঠলো,

–আমি রেডি না। দাদিমার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে নয়তো আমার যাওয়া হচ্ছে না।

–তা ঠিক বলেছো, দাদিমার থেকে অনুমতি না নিলে আবার বাসাটাকে রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলবে।

–কিন্তু দাদিমার কাছে গিয়ে বললে যদি না দেয় তখন।

অপু মাঝখান থেকে বলে উঠলো,

–দাদিমাকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমাদের।

বলে ই সবাই হাটতে শুরু করলো, গন্তব্য দাদিমার রুম।

–আসবো দাদিমা।

চোখ তোলে তাকিয়ে সবাইকে এক সাথে দেখে, ভ্রু কুঁচকিয়ে জিজ্ঞেস করে ,
–সবাই এক সাথে কেনো??

–দাদিমা আমরা একটি টং দোকানে চা খেতে যাবো।

কিছুক্ষন গম্ভীর থেকে বললো,

–তো আমি কী করবো।

–মিহিকে নিয়ে যাই। অভ্র ভাইয়া ও যাবে।

— হে, মিহি যাবে। যদি আমার কানে আসছে যে অভ্র মিহি দুজন এক সাথে হয়ে কথা বলেছো তাহলে তোর আর মিনতির ও এক ই হাল হবে যা।

অপু আর কিছু বললো না। মনটা গম্ভীর করে চলে গেলো। তাও সব বাদ দিয়ে সবাই রাস্তার মোরের দিকে পা বাড়ালো। বেশ ভালো লাগছে এভাবে রাতের বেলা সবাই মিলে হাটতে।

হঠাৎ অভ্রের নম্বরে কল আসলো, ফোনের স্ক্রিনে স্পষ্ট হয়ে লিখা আছে মীরা। তার মানে মীরা এতোদিন পর ফোন দিয়েছে।মিহির হাতটা ছেড়ে দেয় অভ্র।
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৬

মানুষ কষ্ট পেলে নিজেকে অন্ধকারে কেনো আটকে রাখে, কতো সুন্দর সূর্যের কিরণ তা কেনো সহ্য করতে পারে না।অন্ধকার হাটতে তো বেশ ভালো লাগে তারউপর যদি থাকে পূর্ণিমা, তাহলে তো ভালো লাগাটা আরো বেড়ে যায়। চারদিকে জোনাকি পোকাদের উৎসব মনে হচ্ছে,হলুদ লাইট এর কাজ করছে জোনাকি পোকাগুলো। রাস্তাটাকে অমায়িক সৌন্দর্য দিয়েছে।

মিহির কাছে অন্ধকারটা খুব ভালো ই লাগছে, কষ্ট পেলে যে নিজেকে অন্ধকারে আটকে রাখতে হবে এই মুহুর্তে মিহির তা মনে হচ্ছে না। হয়তো পাশে ভালোবাসার মানুষটি আছে তাই অন্ধকার ও ভালো লাগছে। কথায় আছে না প্রেমে পড়লে সব ভালো লাগে। আবার প্রিয় মানুষ ছেড়ে গেলে পৃথিবী নরকতুল্য মনে হয়।
আচ্ছা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছি কেনো। অভ্র কী কখনো আমাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে চলে যাবে।
নাহ্, কখনো না। আমি অভ্রের চোখে আমার প্রতি ভালোবাসা দেখেছি স্পষ্ট ভাবে, এইটা মিথ্যা নয়।

মীরার কল বার বার কেটে দিচ্ছে অভ্র, কী মনে করে এতোদিনে কল দিয়েছে তা ও একবার জানতে চায় না অভ্র। তার হৃদয়ে যে ভালোবাসা আছে তা একান্তই মিহির জন্য। ডকল জল্পনা কল্পনা শেষ করে পিছন থেকে মিহির হাতটা আবার শক্ত করে ধরেছে। এতে মিহি কল্পনা জগৎ থেকে বাস্তবতা ফিরলো।

অনি, অপু, মিনতি রাস্তায় বেশ মজার মজার কথা বলে হাটতেছে, একটু পর পর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে তিনজন। কিন্তু মিহি বা অভ্রের এতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। দুইজন ই ব্যস্ত দুজনের ভালোবাসা অনুভূতি উপভোগ নিয়ে।

মিহির দিকে তাকিয়ে হাটতেছে অভ্র, মুখে কুলুপ এটেছে দুজন ই নিরব।

অনি পেছনে ফিরে বললো,

–তোরা দুজন কী লাইলি মজনু হয়ে যাবি নাকি।

–নাহ্, নতুন রেকর্ড গড়বো।

–তাই তো মনে হচ্ছে।

সবাই চায়ের দোকানে সামনে চলে এসেছে, পাঁচটা চা অর্ডার করে। চা অর্ডার করে ই একটা বেঞ্চিতে বসে পড়ে সবাই বসে পড়ে।

কিছুক্ষণ কথা বলার পর ই চা নিয়ে একটা ছেলে হাজির হলো, সবার হাতে হাতে চা দিয়ে চলে গেলো।
কিন্তু মিহি গরম কোনো জিনিস খেতে পারে না। চা খেতে গেলে ও মিহির অনেক ভয় করে যদি মুখ পোড়ে যায়। এই ভয়ে মিহি চা খেতে নারাজ। এই কথা যে শোনে সেই ই হাসে, মিহির এখন মোটে ও মন চাচ্ছে না সবার হাসির পাত্র হতে।

অভ্র মিহির দিকে তাকাতে ই দেখে চা নিয়ে বসে আছে,কিন্তু মুখে তোলছে না।তাই জিজ্ঞেস করলো,

–কোনো সমস্যা, তুমি খাওনা কেনো।

পাশে থেকে মিনতি ভালো উঠলো,

–চা কে ঠান্ডা করে শরবত বানিয়ে দিন অভ্র ভাইয়া, তখন দেখবেন ঠিক ই খাবে।

এবার সবাই হাসি শুরু করে দিলো, যেটাকে এতোক্ষণ মিহি ভয় পাচ্ছিলো।। মিহি রাগি চোখে মিনতির দিকে তাকায়। এটা দেখে অভ্র বললো,

–চা টা গরম তাই কী ভয় পাচ্ছো।

মিহি হালকা মাথা নাড়ালো।
অভ্র মেকি হাসলো।নিজের চায়ের কাপটা মিহির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

–আমারটা ঠান্ডা হয়েছে, মনে হয় তুমি খেতে পারবা।

মিহি খাবে না বলে উঠে চলে গেলো। গরম যেকোনো খাবার খেতে ই মিহি ভয় পায়। অভ্র ও আর জোড় করলো না।

সবার চা খাওয়া শেষে, বাসায় যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।

বাসায় যাওয়ার পর,

অভ্র ফ্রেশ হয়ে নিলো, সবার সাথে কথা বললো, বাসায় আসার পর থেকে মিহি আর অভ্রের সাথে কথা বলার সুযোগ পায়নি। শুধু মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখেছে।৮৩

অভ্র বেশ কয়েকবার সুযোগ খুজেছিলো কথা বলার জন্য কিন্তু কোনো সুযোগ ই পায়নি কথা বলার মতো। অভ্রের কাছে বেশ ভালো ই লাগছে ব্যাপারটা। চেয়েছিলো ভালোবেসে বিয়ে করবে,কারন হঠাৎ করে কাউকে নিজের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবল মেনে নিতে কষ্ট হবে বেশ। মিহি সাথে বিয়ের আগে কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো না কিন্তু বিয়ের পর এই লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম উপভোগ করার মতো ই।

সবার খাবার খাওয়া শেষে বসে গল্প করছে, মিহি বার বার বলছে ঘুমাবো। এই গল্প মিহির ভালো লাগছে না, মিহি চাচ্ছি, মিহি শুধু অভ্রের সাথে বসে গল্প করবে। তাই সবার কাহিনী শোনতে ভালো লাগছে না। কয়েকবার বলেছো ঘুমাবে কিন্তু সবাই কথায় এতো ই ব্যস্ত মিহির কথাকে কেউ তোয়াক্কা করছে না। এবার মিহি রেগে বললো,

–আম্মু আমি ঘুমাবো,,,

মেয়ের এমন আবদার শোনে মিহির মা বোশ অবাক হলো কেনোনা মিহির রুম তো ঠিক করা আছে তাও বার বার কেনো এই কথা বলছে। তাও তিনি বললো

–ঘুমাবি ভালো কথা যা, তোর রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।

–নাহ্ মিহি আমার রুমে ঘুমাবে।

মিহির মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো

— কেনো, আপনি একা ই ঘুমান মিহি তো ওর রুমে ই ঘুমায় সব সময়।

–নাহ্ আপনার মেয়ে অপরাধ করেছে যার শাস্তি ও পাচ্ছে।

–অপরাধ মানে।

মিহি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সব কথা মিহির মাকে বললো, মিহির মা সব কিছু শোনে বললো,

–বেশ হয়েছে, দুজন আলাদা ই থাকবে। যেদিন তুই বুঝতে পারবি অভ্র তোর সাথে কতটা জড়িয়ে আছে ঐদিন এক সাথে থাকবি, কথা ও বলবি।

মিহির খুব করে ইচ্ছে করছিলো বলতে, আমি বুঝতে পেড়েছি মা এবার তোমাদের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেও। কিন্তু লজ্জায় বললো না।
অভ্র রুমে বসে অফিসের কাজ করছিলো,অভ্র বেশ ভালো করে ই জানে মিহি দাদিমার সাথে ঘুমাবে। তাই অভ্র নিজের রুম থেকে বের হয়ে বাসা পিছনে যায়।
পিছনের জানালা দিয়ে মিহিকে ডাকে।

মিহি কন্ঠ শোনে বুঝতে পারে অভ্র ডাকছে, তাই দ্রত গিয়ে জানালা খুলে,

–তোমার ফোন কোথায়, কল দিলাম রিসিভ করলে না কেনো।

মিহি ফোন তো মিহির মায়ের রুমে রেখেছিলো আনতে মনে নাই।

–সরি মায়ের রুমে রেখেছিলাম।

–শোনো…

–নাতবৌ ঘুমিয়ে পড়েছিস নাকি।

দাদিমার কন্ঠ শোনে অভ্র নিচে বসে যায়, মিহি দ্রুত জানালা বন্ধ করে ফেলে।

–এই তুই জানালার পাশে কী করিস।

–কিছু না দাদিমা।

–ঐ সময় তো ঘুম ঘুম করে মাথা খাচ্ছিলি তো এখন কী হলো।

মিহি কোনো উওর না দিয়ে মায়ের রুমে চলে যায় ফোন আনতে। ফোন নিয়ে আবার দ্রুত রুমে ডুকে শুয়ে পড়ে। মুহুর্তে ই অভ্রকে মেসেজ করে। “কী বলতে চেয়েছিলে”

অভ্র মেসেজের রিপ্লে করে,

“১১ঃ৪০ মিনিটে বাগানে আসবা, দাদিমা ঘুমিয়ে পড়লে।সাবধানে আসবা কেউ যেনো বুঝতে না পারে”

মিহি মেসেজটা পড়ে, ফোনটা পাশে রেখে শুয়ে পড়ে, আর একটু পর পর দেখে কয়টা বাজে, দাদিমা ঘুমিয়েছে কিনা।

ঠিক সময়ে মিহি বাগানে চলে যায়, গিয়ে দেখে অভ্র দাড়িয়ে আছে। মিহি গিয়ে অভ্রের হাত ধরতে ই অভ্র মিহিকে নিজের বাহুডোর আবদ্ধ করে নেয়।

দুজন হাটতে হাটতে পুকুরের সাইডে চলে গিয়েছে, পুকুরের সাইডে বাসার ব্যবস্থা করা আছে। অনেক বাতাস এইখানে।

–টিয়াপাখি…
খুব নরম সুরে মিহিকে ডাকে অভ্র,

মিহি অভ্রের দিকে ঘুরে তাকাতল ই দেখে অনেকগুলো গোলাপ। ফুল তো বরাবরই ই ভালো লাগার জিনিস মিহির। তাই অভ্রের কাছ থেকে ফুলগুলো নিয়ে নেয়।

দাদিমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, মিহিকে খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না। তাই উনি আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসে। আজকে দেখবে মিহি কোথায় গিয়েছে।

চলবে

[ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here