তোমাতে আসক্ত পর্ব ২৭+২৮

#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৭

দাদিমা বাহিরে এসে মিহিকে খুজতেছে তা মিনতি ভালো ই বুঝতে পারছে, মিহি অভ্রের সাথে আছে তা মিনতিকে বলে গেছে তাই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অপুকে পাঠায় মিহিকে আনার জন্য। মিনতি ঘুমায়নি প্রেমিক যুগলকে পাহাড়া দিচ্ছে। পাহাড়া দেওয়ার ও একটা কারণ আছে, মিহি বলেছে মিনতিকে শপিং করিয়ে দিবে। শপিং এর লোভে পড়ে এখন না জানি কী পেঁচে পড়তে হয়। দাদিমার সামনে গিয়ে বললো,

–কিছু লাগবে দাদিমা।

–মিহি কোথায়।

–কেনো আপনার সাথে না ঘুমিয়েছিলো।

–এখন তো নাই,

–আপনি রুমে যান দাদিমা আমি খুজে দিচ্ছি।

দাদিমা কিছু একটা ভেবে রুমে চলে গেলো। যাওয়ার আগে বলে গেলো,

–তোর বোনকে বলিস, চোরের যদি সাতদিন হয়, সাধুর ও একদিন।

——————–

অভ্র একনজরে মিহির দিকে তাকিয়ে আছে, চোখের পলক যেনো পড়ছে না, তা দেখে মিহি হেসে বললো,

–এভাবে তাকিয়ে আছেন যে, অন্ধকারে কী আমার মুখ দেখতে পারেন নাকি।

–তোমার মুখ হিজাব দিয়ে বাধা অবস্থায় থাকলে ও আমি এভাবে তাকিয়ে থাকতাম। তাও পূর্ণ চাদের আলোয় মুখটা আমার চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

মিহি হাটতা বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

–আমার হাতে হাত রাখুন,

অভ্র বিনাবাক্য মিহির হাতের উপর হাত রাখলো,

–এখন কথা দিন যে কালকে রাতে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন।

অভ্র এবার হাত সরিয়ে নিতে চাইলে ও মিহি হাত ছাড়া না।

–মিহি বুঝতে পাড়ছো না এতে বাসার সবাই বুঝতে পারবে।

–সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমরা যাবো।

–তাও সমস্যা হতে পারে।

–নিয়ে যাবেন না এটা বলেন। এতো বাহানা দেওয়ার কী প্রয়োজন।

কথাটা বলে ই মিহি অন্য দিকে মুখ করে তাকায়।

মিহি রাগ করেছে বুঝতে পেরে অভ্র আদর মাথা কন্ঠে বললো,

–রাগ করো না টিয়াপাখি, নিয়ে যাবো তোমাকে।

–তোমরা দুজন কী আমাদের শান্তিতে থাকতে দিবা না। তোমাদের এই লুকোচুরি প্রেম পর্ব শেষ হলে বাসায় যাও

হঠাৎ অপুর কন্ঠ শোনে পিছনে তাকালো অভ্র মিহি দুজন ই।

–কী হয়েছে,অপু।

–দাদিমা মিহিকে খুজতেছে। কতো বার কল দিলাম ধরলে না।

–এমন সময় কেউ বিরক্ত করলে কী ভালো লাগে বল। তাই কেটে দিয়েছিলাম।

দাদিমা ডাকছে শোনে মিহি বললো,

— চলেন দ্রুত বাসায় যাই। বলে ই মিহি অপুকে নিয়ে বাসায় চলে গেলো। অভ্রকে একা রেখে।

বাসার ভেতরে ডুকে দেখে মিনতি সোফায় বসে আছে। মিহি যেতে ই রাগি লুক দিয়ে তাকায়।

–কোথায় ছিলি এতোক্ষণ।

–শোন আমি মায়ের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ছি। তুই দাদিমাকে বলে দিস আমি মাকে খুব মিস করছিলাম তাই মায়ের সাথে ঘুমাতে চলে গিয়েছি।

বলে ই মিহি মায়ের রুমে চলে গেলো।

–তোমাদের দুই বোনের সাথে আমার আগে দেখা হলে আমি ভালো অভিনেতা হতে পারতাম।

মিনতি রাগি লুক দিয়ে তাকাতে ই অপু রুমে চলে যায়। মিনতি ও দাদিমার রুমে যায় মিহি মায়ের রুমে আছে এটা বলার জন্য।



মূলত অভ্র অপুর কল ইচ্ছে করে কেটে দেয়নি। মীরা বার বার কল দিচ্ছে যার কারণে মীরা কল বার বার কেটে দিচ্ছে মাঝখান দিয়ে অপু কল দিয়েছে তা খেয়াল না করে ই কেটে দেয়। নিজেকে জীবনটা এখন কোন দিকে মোর নিচ্ছে তার অভ্রের বোধগম্য হচ্ছে না। মীরা বেশ কয়েকটা মেসেজ করেছে, অভ্র মেসেজগুলো একবার দেখার ও প্রয়োজন মনে করে না। যখন মন থেকে চেয়েছিলো মীরাকে নিজের করে পেতে, তখন মীরার দেওয়া প্রত্যেকটা অবহেলা তিলে তিলে মনটাকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। যখন ই আবার নিজের ভাঙ্গা মনের টুকরোগুলো কুড়িয়ে আবার একসাথে যুক্ত করেছে ঠিক তখন ই আবার ভালোবাসার মায়ায় অবদ্ধ করতে চাইছে মীরা।৯৩
মীরার ভালো কাজ কিংবা খারাপ কাজের জন্য মীরাকে যেমন পুরোপুরি ভুলে যাওয়া সম্ভব না ঠিক তেমনি মিহিকে একমুহূর্তের জন্য দূরে সরানো সম্ভব না।

মিহি আমার অস্তিত্বে মিশে গিয়েছে।মিহি আসক্ততা আমার।
অভ্র এগুলো ভাবতে ভাবতে রুমে এসে শোয়ে পড়লো। শুয়ে পড়তে ই ঘুম দুচোখে ভর করেছে।

______________________

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলো মিহি । সবাই নাস্তা করে এখন ই রওনা দিবে অভ্রেদের বাসার উদ্দেশ্য। মিহি নাস্তার টেবিলে বসে ই অভ্রের দিকে চোখ যায়৷ অভ্রের মুখটাতে কেমন যেনো বিষন্নতা ছাপ। হাসি মুখটা হঠাৎ মলিন হবার পিছনে কারণ খুজচ্ছে মিহি। মিহি ইশারায় জিজ্ঞেস করলো, কি হয়েছে। অভ্র মুখে হাসি রেখে উওর দিলো কিছু না।

খাবার শেষ করে রেডি হয়ে গাড়িতে বসলো। অভ্র মিহি দাদিমা এক গাড়িতে। সামনে অভ্র ড্রাইভ করছে, পিছনে দাদিমা আর মিহি। হঠাৎ আইসক্রিম দেখে মিহি লাফিয়ে উঠলো,

–দাদিমা আমি আইসক্রিম খাবো।

–আমাকে কেনো বলিস। অভ্রকে বল।

–আপনি তো নিষেধ করেছেন, অভ্রের সাথে কথা বলতে।

–হে , তাই তো। অভ্র গাড়ি থামিয়ে অাইসক্রিম নিয়ে আয়।

–পারবো না৷, দাদিমা। যার আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে তাকে বলো, বাহির থেকে কিনে আনতে।

–দাদিমা। কান্না করে দেবো কিন্তু।

–দাদিমা বলো কান্না করতে হবে না বাসায় চলে এসেছি।

বাসার সামনে এসে গাড়ি থামতে ই, মিহি গাড়ি থেকে নেমে অভ্রকে ভেংচি কেটে চলে যায়। অভ্র মিচকি হেসে দাদিমাকে নামিয়ে অফিসের জন্য চলে যায়।

___________________

রাতের বলা,

মিহি আর অভ্র খুব মজা করছে, বাসা থেকে পালিয়ে ঘুরতে এসেছো দুজন।একটা রেস্টুরেন্টে এ এসে গাড়ি থামিয়ে দুজনে সব কিছু ঘুরে দেখতে ব্যস্ত। রেস্টুরেন্টে বললে ভুল হবে ছোটখাটো একটা পার্ক ই বলা যেতে পারে। রেস্টুরেন্টে এর ভিতরে খুব সুন্দর। সবুজ আর লাল এর কম্বিনেশনর লাইট। বাহিরের সাইডে গাছ লাগানো সবগুলো গাছ লাইটিং করা, পাশে ই বাসার ব্যবস্থা আছে। আইসক্রিম কিনে দিয়েছে অভ্র অনেকগুলো। সাথে ফুচকা চলকেট ফ্রি।

অভ্র মিহির দিকে তাকিয়ে হাসতেছে। এই হাসিটা দেখলে অভ্র সব ক্লান্তি ভুলে যায়।হঠাৎ করে ই মনে হলো সময়ের কথা।ঘড়িতে তাকতে ই দেখে রাত দুইটা বাজে।

–মিহি চলো বাসায় যাই, দুইটা বেজে গেছে।

মিহি আর কোনো কথা বললো না, দুজন ই বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে বসলো। অভ্র মিহির এক হাত ধরে আছে অন্য হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে।

বাসায় আসার পর, বাসার ভেতরের ডুকে লাইট জ্বালাতে ই দেখে,
দাদিমা সহ বাসার সবাই সোফয় বসে আছে। মিহি ভয়ে অভ্রের পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ে। এতো রাতে সবাই এভাবে জেগে বসে থাকবে তা অকল্পনীয় ছিলো।

চলবে,
#তোমাতে আসক্ত
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৮

সবার সামনে দুজন বসে আছে, মিহি বড্ড ভয় পাচ্ছে। মিহি অভ্রর হাত চেপে ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। রুমে বিস্তার নিরবতা। সবাই শুধু দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে, খুব গম্ভীর করে রেখেছে সবার মুখ। হঠাৎ দাদিমা অট্টহাসি দেয়। এতে মিহি চমকে উঠে উপরের দিকে তাকায়।

–এতো ভয় পেতে হবে না নাতবৌ। আমি তো চেয়েছিলাম তুই নিজের মুখে এসে আমাকে বল, এই বাসা ছেড়ে তুই কখনো বাহিরে পা বাড়াবি না। আমার নাতিকে ভালোবেসে আগলিয়ে রাখবি। তুই মুখে না বললে ও উওর গুলো আমরা পেয়ে গিয়েছি। এখন থেকে তুই আর অভ্র এক সাথে ই থাকবি।
এই রাতের বেলা আমরা সবাই জেগে আছি কেন জানিস, কারণ আজ আমার জন্মদিন। সবাই ঘুম থেকে উঠিয়ে কেক কাটালো। এর তোদের দুই চোরকে ধরতে পারলাম।

উফফ মিহি কী ভয়টা ই না পেয়েছিস, যা ই হক এসব লুকোচুরি থেকে মুক্তি পেলাম।

অভ্র মুখে হাসি রেখে বললো,
–আমার কিন্তু দাদিমা এভাবে লুকোচুরি করতে ভালো ই লাগছিলো, মিহি শুধু ভয় পেতো।

অভ্ররে এমন কথা শোনে মিহি অভ্ররে দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো,

এভাবে তাকাতে দেখে অভ্র মিহিকে বললো,

–চলো, রুমে যাই।

অভ্র রুমে যেতে ই মিহি দরজা লক করে দেয়।

–আরে এতো তাড়া কিসের বউ, আমি তো চলে যাচ্ছি না। সারা রাত ই পড়েছে আছে ভালোবাসার জন্য।

এটা বলার সাথে সাথে মিহি ধাক্কা দিয়ে অভ্রকে বেডের উপর ফেলে দেয়। অভ্রের উপরে বসে, অভ্রে মুখ চেপে ধরে বলে,

–এভাবে লুকোচুরি করতে তোর ভালো লাগতো। আর এতো ভেটকি (হাসি) দিয়েছিলি কেনো আমি যখন ভয় পাচ্ছিলাম।খুব ভালো লাগছিলো তোর।

–কী খাও, তুমি বলো তো এতো ওজন কিভাবে বানালে। মনে হচ্ছে আমার পেটের উপর দশ মন একটা আটার বস্তা পড়েছে। মিহিকে ইচ্ছে করে অভ্র রাগাচ্ছে।

মিহি রাগান্বিত হয়ে অভ্রের উপর কয়েকটা কিল বসিয়ে দিলো।

মিহিকে নিচে ফেলে দিয়ে অভ্র উপরে চড়ে বসলো,

–খুব রাগ হচ্ছে টিয়া পাখি। রাগলে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে এমনি তো চোখ সরাতে পারিনা।
বলে ই অভ্র ওষ্ঠদ্বয় আবদ্ধ করে নিলো।

দুইমিনিট পর
হঠাৎ অভ্রের ফোন বেজে উঠলো, ফোন হাতে নিতে ই দেখে মীরা কল দিয়েছে। মীরার কল দেখে অভ্র ফোন অফ করে রাখে।

–এতো রাতে কে কল দিয়েছে।

মিহি প্রশ্ন করতে ই অভ্র উওর দিলো,

–ফোন না এলার্ম বাজলো।

মিহি আর কিছু বললো না, ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লো।

___________________________

সকালে ঘুম থেকে উঠে, কিচেনে গেলো মিহি। কিচেনে যেতে ই দেখলো মিনতি দাড়িয়ে দাড়িয়ে রেনু বেগমের সাথে গল্পজুড়ে দিয়েছে। মিহিকে দেখে ই বললো,

–শপিং এ নিয়ে যাবি কবে।

–কিসের শপিং।

–আমি যে ঐ দিন জেগে জেগে তোকে আর অভ্র ভাইকে পাহাড়া দিয়েছি।

–ওহ্ কিছু সময়ের জন্য তোকে দারোয়ানকে বানিয়ে দেখলাম, কেমন লাগে।

–ঐসব কিছু জানি না। আমাকে শপিং এ নিয়ে যাবি মিহি।

— লজ্জা শরম না থাকলে যা হয় মিনতি। আমি তোর ছোট।

বলে ই রুমে চলে যায়, মিহি। মিনতিকে এরকম ধোকা আরো অনেকবার দিয়েছে মিহি। মিনতি অনেক শপিং এর পাগল তাই যা বলা হয় তাই ই করে।

মিহি রুমে গিয়ে ই এক গ্লাস পানি নিয়ে অভ্রের উপরে ঢেলে দেয়।

মুখের উপর পানি পড়তে ই অভ্র দ্রুত উঠে বসে। মিহি অভ্রের দিকে তাকিয়ে জোরে হাসতেছে।

–কী করলে এটা??

–আমি জেগে আছি, আপনি ঘুমাবেন কেনো।

–তুমি জেগে থাকলে আমি ঘুমাতে পারবো না নাকি??

–নাহ্।

–এ কেমন অদ্ভুত নিয়ম।

–অদ্ভুত ই।

মিহির সাথে আর কোনো কথা না বলে অভ্র ওয়াশরুম চলে গেলো।

_________________

অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে অভ্র, মিহি ও রেডি হয়ে অভ্রের সামনে দাড়ালো,মিহি এভাবে রেডি হয়ে আসায় অভ্র অবাক হেয় জিজ্ঞেস করলো

–কোথায় যাবে তুমি?

–আপনার সাথে অফিসে যাবো।

–অফিসে কোনো কাজ নাই তোমার।

–আমি যাবো বলছি তো যাবো ই।

–বায়না করো না মিহি, আজকে অফিসে যেতে লেইট হবে। অফিসের বাহিরে একটা মিটিং আছে। মিটিংটা অনেক ইম্পরট্যান্ট।

–আমি যদি না যেতে পারি তাহলে আপনি ও যেতে পারবে না।

–আমার মিষ্টি বউকে বিকেলে ঘুরতে নিয়ে যাবো, এখন বাসায় থাকো।

এটা বলার সাথে সাথে মিহি বেলকনিতে চলে যায়। অভ্র টাইটা বেধে হাতে ওয়াচটা পড়ে নিলো।
মিহি রাগ করেছে, অভ্র বেলকনিতে গিয়ে দেখে মিহি দাড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখন ই দুচোখে বর্ষা নামবে।

অভ্র কোনো কথা না বলে মিহিকে কোলে তুলে নিলো। মিহি ও কোনো কথা বলছে না। রাগ করে ঠিক করেছে অভ্রের সাথে কথা বলবে না। অভ্র বিনাবাক্যে নিচের দিকে যাচ্ছে। নিচে সবাই বসা এভাবে অভ্রের কোলে দেখলে মানসম্মান নিয়ে আর রুমে যেতে পারবে না। তাই মিহি বললো,

–নামান আমাকে।

–রাগ না ভাঙ্গলে নামাবো না। মাফ করে দেও আমাকে

–আপনার মতো নির্লজ্জ আমি হতে পারবো না। নামন আমাকে।

–তুমি মাফ না করলে আমি তোমাকে এভাবে নিচে নিয়ে যাবো ই এখন তুমি যতই নির্লজ্জ বলো।

মিহি কোনো উপায় না পেয়ে বললো,

–হে মাফ করেছি এখন নামান।

অভ্র হাসি মুখে নামিয়ে দিলো, মিহি আঙুল এর ফাকে অভ্রের আঙ্গুলগুলো রেখে আলতো করে হাতে একটা চুমু খেলো।
দুজন হাটতে হাটতে গাড়িতে চলে গেলো। বারাবরের মতো এক হাতে ড্রাইভ করছে আর অন্য হাতে মিহির হাত ধরে আছে।

কিছুক্ষন পর একটা বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে এ গাড়ি থামালো অভ্র। মূলত আজকের মিটিংটা এখানে ই।

মিটিং শেষ করার সাথে সাথে একটা ছেলে এসে অভ্রকে বললো,

—আপনার সাথে কথা ছিলো।

অভ্র দেখে নিলো ছেলেটাকে চিনে নাকি।
কিন্তু দেখলো ভালো করে চিনতে পারলো না।তাও বললো,

–জ্বি বলুন।

–আমি সোজা কথা বলতে ভালোবাসি। আপনার পাশে যে মেয়েটা বসা উনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে আপনি চাইলে আপনার বাসায় আমি বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারি।

কথাটা শোনের অভ্রের বেশ রাগ হচ্ছে। কত বার বলেছে বাহিরে বের হলে শাড়ি পড়ে বের হতে কিন্তু এই মেয়ে তো কথা শোনে না পড়েছে কী, লং গোল জামা। দেখতে তো বাচ্চাদের মতো লাগতেছে। তাও রাগ কন্ট্রোল করে বললো,

–পাশে বসা মেয়েটা আমার স্ত্রী।

ছেলেটা কথাটা শোনে কিছু একটা ভেবে স্যরি বলে চলে গেলো। অভ্র ও মিহিকে নিয়ে গাড়িতে বসলো উদ্দেশ্য অফিসে যাবে।

মীরার নম্বর থেকে কল আসছে তাই ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছে। সিম বন্ধ ও করতে পারছে না কারন সব জায়গায় এই নম্বর দেওয়া। অভ্রের টেনশনে হচ্ছে খুব মিহি জানতে পারলে কী হবে। কেবিনে মাথা নিচু করে এসব ভাবছে অভ্র। মিহি ওয়াশরুম গিয়েছে।

–অভ্র

হঠাৎ ডাকটা শোনে সামনের দিকে তাকাতে ই দেখলো মীরা।
মীরাকে দেখে অভ্র কী বলবে বুঝতেছেনা। বাসা থেকে উঠে দাড়ায়। অভ্র উঠে দাড়াতে ই মীরা দ্রুত গিয়ে অভ্রকে জড়িয়ে ধরে।

ঠিক তখন ই মিহি কেবিনে প্রবেশ করে।

চলবে,

[অসুস্থ থাকার কারনে লেইট হয়েছে, স্যরি। ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]
[পর্ব অর্ধেক লিখার পর কেটে গিয়েছে🥺🥺 পরে আবার ফার্স্ট থেকে লিখেছি।কেমন হয়েছে জানি না। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন [

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here