Your love is my addiction পর্ব ৫

#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৫
.
গভীর রাতের আঁধারে ছাদে দাঁড়িয়ে মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আয়াশ। ইচ্ছে তার রুমে ঘুমাচ্ছে। আয়াশের কানে এখনো ইচ্ছের বলা কথাগুলো বেজে চলেছে। কোনোভাবেই সেই কথাগুলোকে নিজের মন থেকে সরাতে পারছে না। পেছন থেকে কেউ তার কাঁধে হাত রাখলো। আয়াশ সেভাবে দাঁড়িয়ে থেকেই জিজ্ঞেস করলো,
-“কোনো খোঁজ পেয়েছিস?”
-“না ভাই। কিন্তু এতটুকু জানতে পেরেছি যে ওই ছেলেগুলোকে কেউ টাকা দিয়েছিল ইচ্ছেকে….”
আয়াশ ঘুরে দাঁড়িয়ে মুহিবের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“থেমে গেলি কেন? বল!”
-“ইচ্ছেকে রেপ করার জন্য টাকাগুলো দেওয়া হয়েছিল ওই ছেলেদের।”
আয়াশ হাত মুঠো করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো মুহিবের দিকে। মুহিব থতমত খেয়ে বললো,
-“কী! আমার দিকে ওভাবে তাকাচ্ছ কেন? আমি কী করেছি?”
-“ইচ্ছেময়ী কার ক্ষতি করেছে? কে হাত ধুয়ে পড়েছে ওর পেছনে? মেয়েটাকে কেন বারবার মারতে চাইছে তারা? কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। তিনটা বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এসব জানার জন্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সঠিক খোঁজ পেলাম না। ইচ্ছেময়ীর বাবা আমাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। এদিকে আমার ইচ্ছেময়ী প্রতিনিয়ত আমাকে ভুল বুঝে ঘৃণা করে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না ওর ঘৃণা। ওর সাথে কার কিসের এত শত্রুতা তা না জেনে আমি ওকে নিজের কাছেও টানতে পারছি না। নিজেকে পাগল পাগল লাগছে আমার।”
-“শান্ত হও ভাই। তখন তুমি রাগের মাথায় যদি ছেলেগুলোকে মেরে না ফেলতে তাহলে হয়তো কোনো ক্লু আমরা পেতাম ওদের কাছ থেকে। কিন্তু এখন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। ইচ্ছে কী করছে?”
-“ঘুমিয়ে আছে।”
-“তুমি কেন ইচ্ছেকে বলে দিচ্ছ না যে তুমি তাকে ভালোবাসো? তুমি যা করছো সব ওকে বাঁচানোর জন্যই করছো। এতে ইচ্ছেও তোমাকে আর ঘৃণা করবে না। তোমাদের সম্পর্কটাকে দিন দিন তুমি নিজ হাতে বিষিয়ে তুলছো ভাই।”
-“আমি জানি মুহিব। ইচ্ছেকে আমি এই বিষয়ে কিছু জানাতে চাইছি না এখন। ও ভয় পেয়ে যেতে পারে। আর ওর বাবার খোঁজ না পেয়ে এমনিতেই ও ভেঙে পড়েছে। এখন যদি জানতে পারে যে ওর জন্যই ওর বাবা….”
আয়াশ এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুহিবের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“ও নিজেকে সামলাতে পারবে না’রে, শেষ হয়ে যাবে। আর ওর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবো না। যত দ্রুত সম্ভব সবকিছু ঠিকঠাক করতে হবে। কিন্তু কীভাবে কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।”
-“ভাই তুমি চিন্তা করো না। আমি দেখছি কিছু করা যায় কি না। একটা না একটা রাস্তা বেরিয়েই আসবে।”
-“হুম।”
-“একটা কথা বলি ভাই!”
-“অনুমতি নিচ্ছিস কেন? বল কী বলবি।”
-“তুমি ইচ্ছের মনে নিজের জন্য জায়গা তৈরি করা শুরু করো। এভাবে আর নিজেদের সম্পর্কটাকে বিষাক্ত করে তুলো না। ইচ্ছের সাথে সম্পর্কে থাকলে তুমি আরও ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে পারবে ওর। তখন তোমাকে ইচ্ছের থেকে দূরত্ব রেখে চলতে হবে না। সবসময় ওর কাছে থাকতে পারবে। প্লিজ ভাই একটু ভেবে দেখো আমার কথাগুলো।”
-“আমি যে এই কথাগুলো ভাবিনি তা নয়। আমিও ভেবেছি কথাগুলো। কিন্তু….”
-“কোনো কিন্তু নয় ভাই। তুমি চেষ্টা করো ইচ্ছের মনে জায়গা তৈরি করার।”
-“আজ ইচ্ছেময়ীর থেকে জানতে পারলাম যে ও কোনো এক সময় আমাকে পছন্দ করতো।”
মুহিব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“কবে আর কীভাবে?”
-“সেটা জানি না। ও রাগের মাথায় বলেছিল কথাটা।”
-“তাহলে তো আরও ভালো। তোমাকে আর বেশি মেহনত করতে হবে না ওর মনে নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য।”
-“(….)”
-“আচ্ছা ভাই এবার তুমি যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। আমিও ঘুমোতে গেলাম। নাহলে আমার এত সুন্দর চেহারায় পিম্পল আর ডার্ক সার্কেল হয়ে যাবে।”
-“তুই মেয়েদের মতো রূপ নিয়ে এত চর্চা করিস কেন?”
-“শোনো ভাই! রূপ হলো আকর্ষণের অন্যতম মাধ্যম। আমার এই রূপের জন্য কত মেয়ে আমার পেছনে ঘুরে তুমি জানো না। আমার পেছনে মেয়েরা সব সময় লাইন দিয়ে থাকে।”
-“আমার জানা মতে মেয়েরা তোর পেছনে লাইন দেয় না। উল্টো তুই মেয়েদের পেছনে লাইন দিয়ে থাকিস।”
-“তুমি কিচ্ছু জানো না ভাই। আমি কোনো মেয়ের পেছনে ঘুরি না। তোমার বিশ্বাস না হলে আমার গার্ডদের জিজ্ঞেস করে দেখো। ওরা জলজ্যান্ত প্রমাণ।”
-“হয়েছে যা ভাগ। ঘুমা গিয়ে। আমিও গেলাম।”

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বাথরোব গায়ে জড়িয়ে তাওয়াল দিয়ে চুল মুছছে ইচ্ছে। গতকালের সেই ভয়ানক দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠতেই ঘুম ভেঙে গেছে তার। সারা শরীর ঘামে ভিজে একাকার হয়ে ছিল। তাই সকাল সকাল গোসল করে নিয়েছে। কীভাবে আয়াশকে ধ্বংস করবে, ভেঙে চুরমার করবে তাকে সেই কথাই ভাবছে সে। আয়াশের দূর্বলতা কী সেটাও জানে না। রায়ানের সাথেও কোনো যোগাযোগ করতে পারছে না। ছেলেটা কেমন আছে, কী করছে কিচ্ছু জানতে পারছে না। ভীষণ চিন্তা হচ্ছে তার। আয়নার দিকে তাকিয়ে বেখেয়ালি ভাবে এসব চিন্তা করছিল সে। পেছন থেকে হুট করে কেউ একজন শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরায় চমকে উঠলো সে। আয়নায় তাকিয়ে আয়াশকে দেখে ভয়, রাগ, বিরক্তি সব একসাথে কাজ করতে লাগলো তার মাঝে। আয়াশকে সরিয়ে দিতে গেলে তাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার কাঁধে মুখ গুঁজে আয়াশ। শিউরে উঠলো ইচ্ছে। আয়াশ গভীরভাবে চুমু খাচ্ছে ইচ্ছের কাঁধে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ইচ্ছের কাছে আয়াশের স্পর্শ কিছুটা অন্যরকম লাগছে। এত গভীরভাবে কখনোই তাকে স্পর্শ করে নি আয়াশ। কী হলো আজ হঠাৎ করে এই লোকের? ভেবে পেলো না ইচ্ছে। নেশা লেগে যাচ্ছে এই স্পর্শে। বেশ কিছুক্ষণ ইচ্ছের কাঁধে চুমু খেয়ে তাকে ছেড়ে দিল আয়াশ। ইচ্ছে চোখ মেলে তাকাতেই আয়াশ তার হাতে এক বক্স চকলেট ধরিয়ে দিয়ে, তার কপালে আলতো চুমু দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। ইচ্ছে বিস্ময় নিয়ে হতভম্ব হয়ে এখনো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। এইমাত্র কী হলো তার সাথে কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না সে। মুখ থেকে শুধু একটা শব্দই বের হলো তার। ‘আয়াশ!’
কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিচে নামতেই আয়াশের মুখোমুখি হলো ইচ্ছে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে তার জন্যই অপেক্ষা করছে। চেহারায় একটা অসহায় ভাব ফুটে উঠলো তার। গতকালের মতো আজও ওইসব ছাইপাঁশ খাবার খেতে হবে তাকে। আয়াশ ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকেই গম্ভীরভাবে তাকে ডেকে উঠলো। ইচ্ছে গুটিগুটি পায়ে টেবিলের অন্যপাশে গিয়ে বসতে গেলে আয়াশের গম্ভীর কণ্ঠস্বর শুনে থেমে গেল।
-“ওদিকে নয় এদিকে এসে বসো।”

নিজের পাশের চেয়ার দেখিয়ে বললো আয়াশ। ইচ্ছে কথা বাড়ালো না। কারণ লোকটা যে উচ্চ লেভেলের ঘাড়ত্যাড়া তা এতদিনে বুঝে গিয়েছে সে। আয়াশের পাশের চেয়ারে বসতেই লিজা এসে খাবার দিয়ে গেল। আজও গতকালের মতো নাক-মুখ চেপে ধরে কুখাদ্য খাবারগুলো খেয়ে নিলো ইচ্ছে। আয়াশও তার পাশে বসে বয়েল্ড ভেজিটেবল খাচ্ছে। ইচ্ছের প্রচন্ড খারাপ লাগছে এইসব কুখাদ্য খাবার খেয়ে। গা গুলিয়ে আসছে তার। লিজার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বললো,
-“এক টুকরো লেবু নিয়ে আসো লিজা। নাহলে আমার পেটের সব এখনি বেরিয়ে আসবে।”

লিজা মাথা নাড়িয়ে কিচেনে চলে গেল লেবু নিয়ে আসতে। ইচ্ছে চোখ-মুখ কুঁচকে বসে আছে। হঠাৎ ঠোঁটে নরম কিছুর স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো সে। চোখ মেলে তাকাতেই তার চোখ দু’টো বড় বড় হয়ে গেল। সে এতটাই অবাক হয়েছে যে কিছু না বলে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে একধ্যানে সামনে তাকিয়ে আছে। কিচেন থেকে লিজার আসার শব্দ পেয়ে ইচ্ছের ঠোঁটে গভীর এক চুমু খেয়ে সোজা হয়ে বসলো আয়াশ। টিস্যু দিয়ে নিজের ঠোঁট মুছে জুসের গ্লাসটা হাতে নিয়ে খেতে লাগলো। তার ভাব এমন যেন সে কিছুই করে নি। আর ইচ্ছে এখনো থ হয়ে মূর্তির মতো বসে আছে। সে বুঝতে পারছে না তার সাথে কী হলো। হৃদস্পন্দনের বেগ শুনে মনে হচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে এখনি বেরিয়ে আসবে হৃৎপিণ্ডটা। লিজা এসে ইচ্ছের দিকে লেবুর টুকরো এগিয়ে দিলেও ইচ্ছের সেদিকে কোনো হুঁশ নেই। লিজা ভ্রু কুঁচকে তার কাঁধে হাত রাখলে ইচ্ছে কম্পিত হাতে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করলো। ঠোঁটে তরল কিছু অনুভব করলো সে। ভিজে আছে তার ঠোঁটজোড়া। তার বুঝতে সময় লাগলো না যে আয়াশ তাকে চুমু খেয়েছে। মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে গেল ইচ্ছের। এতক্ষণ শুধু গা গুলিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন মাথাটাও ঘুরছে। আর চাপ নিতে না পেরে সে ওখানে অজ্ঞান হয়ে গেল। লিজা ভয় পেয়ে গেল। আয়াশ থতমত খেয়ে বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলো ইচ্ছের দিকে।
চোখ পিটপিট করে খুলে নিজেকে গাড়ির ভেতরে আবিষ্কার করলো ইচ্ছে। কিন্তু সে তো আয়াশের বাসার ডাইনিং টেবিলে ছিল। গাড়িতে এলো কী করে? হঠাৎ মনে হলো তার কানের কাছে তীব্র ধুকপুকের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে সে। কুসের আওয়াজ তা জানার জন্য সোজা হয়ে বসে পাশে তাকাতেই আয়াশকে দেখতে পেলো। তার মানে সে এতক্ষণ আয়াশের বুকের উপরে ছিল! বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলো ইচ্ছে। আয়াশ ফোনের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
-“তোমার কলেজের সামনে বসে আছি আমরা। তুমি কী আজ কলেজে যাবে না?”
-“হ্যা কিন্তু তার আগে আপনি বলুন তো, আপনি আমায় চু….”

বলতে গিয়েও থেমে গেল ইচ্ছে। চরম রাগ লাগছে তার। সাথে বিস্ময় তো আছেই। আয়াশ ফোন থেকে নজর সরিয়ে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো। আবারও নিজের চেহারায় গম্ভীর ভাব ফুটিয়ে তুলে বললো,
-“থেমে গেল কেন? যা বলতে চাইছিলে বলো।”
-“না মানে….”
-“হুম আমি শুনছি।”
মিনমিনে গলায় ইচ্ছে বললো,
-“তখন খাবার সময় ওমন করলেন কেন?”
আয়াশ বাঁকা হেসে ফোন পকেটে ঢুকিয়ে ইচ্ছের দিকে ঝুঁকে বললো,
-“ওমন বলতে!”
-“(….)”
-“ওমন বলতে কী তুমি চুমুকে বুঝিয়েছো?”
চোখ বন্ধ করে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি প্রকাশ করলো ইচ্ছে। আয়াশ আরও একটু ঝুঁকে ইচ্ছের গালে আলতো ভাবে নিজের ঠোঁট দ্বারা স্লাইড করতে করতে ঘোর লাগা কণ্ঠে বললো,
-“কী করব বলো! তোমাকে দেখলেই নেশা লেগে যায়। আর তোমার ঠোঁট দু’টো সবসময় আমাকে তোমার কাছে টানে। আজকে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি বলেই তোমাকে তোমার ঠোঁটে চুমু খেয়েছি। এটা তোমার ঠোঁটের শাস্তি ছিল। কেন তারা আমাকে এত আকৃষ্ট করে?”
ইচ্ছের শ্বাস আটকে আসছে আয়াশের এত কাছে আসায়। তার শরীর থরথর করে কাঁপছে। শুঁকনো ঢোক গিলে কম্পিত কণ্ঠে বললো,
-“ড্রাইভার দেখছে।”

আয়াশ সে কথায় পাত্তা না দিয়ে একহাতে ইচ্ছের চুল ধরে মুখটা উঁচু করে গভীরভাবে তার গলায় এক চুমু খেলো। ইচ্ছের ঠোঁটে আলতো করে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে সরে গিয়ে নিজের জায়গায় বসলো আয়াশ। ইচ্ছে লজ্জায় মাথা নিচু করে রইলো। আড়চোখে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে দেখে ড্রাইভার কানে ইয়ারফোন গুঁজে চোখে স্লিপিং মাস্ক পড়ে বসে আছে। অবাক হয়ে গেল ইচ্ছে। আয়াশের দিকে তাকিয়ে দেখে ঠোঁট কামড়ে হাসছে সে। ইচ্ছেরও হাসি পেয়ে গেল ড্রাইভারের অবস্থা দেখে। সে বুঝতে পারলো আয়াশই বলেছে ড্রাইভারকে এইভাবে বসে থাকতে। জানালার দিকে ঘুরে নিঃশব্দে হেসে ফেললো ইচ্ছে।
-“আজকে কী কলেজে যাওয়ার মুড নেই?”
আয়াশের গম্ভীর গলা শুনে ইচ্ছে তরিঘড়ি করে বললো,
-“না যাচ্ছি তো আমি।”

ইচ্ছে গাড়ি থেকে নামতেই মুহিব এসে দাঁড়ালো সামনে। আয়াশকে বায় বায় বলে ইচ্ছেকে নিয়ে কলেজের ভেতরে চলে গেল। আয়াশ বাঁকা হেসে ইচ্ছের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সানগ্লাস পড়ে নিলো। ড্রাইভারকে গাড়ি চালাতে বলে ফোন ঘাটতে লাগলো আয়াশ। গাড়ি এক জায়গায় থেমে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো সে।
-“রাসেল!”
-“(….)”
-“রাসেল!”
-“(….)”
-“ইডিয়ট!”

আয়াশ রেগে রাসেলের মাথায় থাপ্পড় মারলো। থতমত খেয়ে চমকে উঠলো রাসেল। চোখ থেকে স্লিপিং মাস্ক খুলে আয়াশের দিকে ঘুরে কান থেকে ইয়ারফোন খুলে ফেললো সে। আয়াশের রাগী চোখজোড়া দেখে ভীত গলায় বললো,
-“কিছু হয়েছে ভাই?”
আয়াশ গম্ভীর কণ্ঠে ধমকে বললো,
-“গাড়ি চালা।”
-“জ্বি আচ্ছা।”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here