তোলপাড় পর্ব ২৪

তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-২৪
__________
মলিন হয়ে যাওয়া বিবর্ণ স্মৃতি গুলো রোমন্থন করতে লাগলো রুদ্র।চোখ দুটো অশান্ত। কেন ফোন দিয়েছিলো লাবণ্য?ফোন নম্বর কোথায় পেয়েছে?প্রচণ্ড অস্থিরতার ভিতর দিয়ে রাত’টা কাটলো রুদ্রর।ভার্সিটিতে গিয়ে শুনে আদিলের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়েছে লাবণ্য। আদিলের সাথে লাবণ্যের কথা হয় এটা আগে থেকেই জানতো রুদ্র। কিন্তু কখনো এই বিষয় নিয়ে ঘাঁটায় নি কিংবা আদিলের কাছে জিজ্ঞেসও করে নি।শান্ত গলায় আদিল’কে জিজ্ঞেস করল, “লাবণ্যকে আমার ফোন নম্বর কেন দিয়েছিস?”
আদিল বলল, “তোর ফোন নম্বরের জন্য লাবণ্য আমার মাথা খাচ্ছিলো।”
আদিল একটু থেমে ইতস্তত বোধ করে আবার বলল, “লাবণ্য তোর সাথে সম্পর্ক’টা নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছে।”
কথা’টা শেষ করে আদিল রুদ্রের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য রুদ্রের দিকে তাকালো। রুদ্রের মুখের অভিব্যক্তি দেখে কিছুই বোঝা গেল না। রুদ্র একটু হাসলো। আদিল ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো, “হাসছিস যে?”
রুদ্র অনেকক্ষণ চুপ থাকে। তারপর আদিলের কাঁধে হাত দিয়ে বলল, “লাবণ্য সম্পর্কিত কোনো কথা আর কখনো আমার কাছে বলিস না‌। আমার কাছে জিজ্ঞেস না করে ফোন নম্বর দেওয়া’টা তোর ঠিক হয় নি। লাবণ্য আমায় নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যাস।”
আদিল বুঝতে পারলো রুদ্র মনে মনে প্রচণ্ড রেগে আছে।আদিলের কাছ থেকে কোনো রকম উত্তরের আশা না করে রুদ্র চলে যায়।
___________
অরূণী নিদারূণ এক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। রুদ্র হাত ধরেছে!অরূণীর মন জুড়ে তো আনন্দের ঢেউ বয়ে যাওয়ার কথা, দিশেহারা হয়ে যাওয়ার কথা।কিন্তু অরূণী খুশি হতে পারছে না। রুদ্রের আচরণ বুঝতে পারছে না ঠিক। রুদ্রের ফোন বন্ধ।অরূণীর প্রতি আবেগ কিংবা প্রেম থেকে যদি হাত ধরতো তাহলে তো ফোন বন্ধ করে রাখতো না। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে ওভাবে এড়িয়ে যেতো না। অনেকক্ষণ ধরে এসব নিয়ে ভেবেও কোনো উত্তর পেলো না অরূণী। রুদ্র এমন’টা কেন করলো? এসব প্রশ্ন অরূণীর মাথায় পীড়া দিতে লাগলো।দুই-তিন দিন পেরিয়ে গেলেও রুদ্রের খোঁজ পাওয়া গেল না।অরূণী উপায়ান্তর না পেয়ে আবার ছুটলো কার্তিক কর্মকারের বাসার উদ্দেশ্যে। অরূণী’কে দেখেই দারোয়ান দাঁত কেলিয়ে বলল, “বাসার ভিতরে ঢুইকা লাভ নেই।চইলা গেছে উনারা।”
অরূণীর থমথমে মুখে জিজ্ঞেস করলো, “কারা চলে গেছে?”
– “রুদ্র,কিরণ।”
অরূণীর বুকের ভিতর ধ্বক করে উঠলো। হতবিহ্বল হয়ে দ্রুত প্রশ্ন করে, “মানে?কোথায় গেছে?”
দারোয়ানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন’টা করে অরূণী অস্থির চোখে তাকিয়ে রইলো উত্তরের অপেক্ষায়।অরূণীর মুখের অবস্থা সঙ্গিন। দারোয়ান উত্তর দেয়, “পরীক্ষা শ্যাষ।বাসা ছাইড়া দিছে।”
অরূণী অত্যাশ্চর্য চোখে তাকিয়ে রইল খানিকক্ষণ।নির্বাক দৃষ্টি! অভিমানে ছলছল গলা অরূণীর, “কোথায় গেছে বলতে পারেন?ফোন নম্বর আছে আপনার কাছে?”
– “কোথায় গেছে তা কইতে পারমু না।ফোন নাম্বার নাই। নতুন বাসা নিছে মনে হয়।”
অরূণী চোখ দুটো জলে ছাপিয়ে উঠছে। রুদ্রের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল এক্সাম শেষ সেটা অরূণীর মাথায় ছিলো না। অরূণীর এত শত পাগলামি একটুও কি রুদ্রের মন ছুঁতে পারে নি? দারোয়ান কে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না অরূণী।কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। সবকিছু বিষাদময় লাগছে। অরূণী হাঁটতে থাকে। চোখের কোণে জমানো পানিটুকু আঙ্গুলের ডগা দিয়ে মুছে। কত শত বার রুদ্রের প্রতি অভিমানে অরূণীর হৃদয় ভারী হয়ে গিয়েছিলো! রুদ্র জানে না সেই অভিমানের কথা, রুদ্রের জানারও কথা না। প্রতিবারই অরূণীর অভিমান বেশিক্ষণ স্থায়ীত্ব লাভ করে নি।সব রাগ, অভিমান ভুলে ছুটে গিয়েছে রুদ্রের কাছে। এবারও অভিমান হচ্ছে অরূণীর।গাঢ় অভিমান!অরূণীর আবেগ, অনুভূতি গুলো রুদ্র হয়ত অরূণীর খামখেয়ালি ভেবে কখনো সিরিয়াসলি নেয় নি।আসলেই কি খামখেয়ালি ছিলো?

দুই-তিন পর অরূণী ফোন দেয় নিম্মির কাছে।অন্তত নিম্মির কাছে রুদ্রের খোঁজ আছে। সিফাজের বিষয়’টা নিয়ে অরূণীর উপর খানিক রাগ নিম্মির। নিম্মির ধারণা সূর্যের কাছে সিফাজের বিষয়’টা অরূণী বলেছে। এই বয়সে একটা ছেলে পছন্দ করতেই পারে সে জন্য সেটা ফ্যামিলির কাছে বলতে হবে?ঝামেলা হবে জানা সত্ত্বেও অরূণী কেন বললো?এতে করে অরূণীদের সাথে সিফাজের পরিবারের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু অরূণী সিফাজের বিষয়’টা বলে নি সূর্যের কাছে।অরূণীর ধারণা শুভ্রা বা সুস্মিতা বলেছে।নিম্মি ফোন তুলে বলল, “আরে অরূ।কেমন আছিস?”
– “এই তো আপা ভালো।তুমি কেমন আছো?”
নিম্মি জবাব দেওয়ার আগে অরূণী আবার বলল, “সিফাজ ভাইয়ের বিষয়’টা আমি সূর্য দাদার কাছে বলিনি। আমি জানতাম ঝামেলা হবে। শুভ্রা,সুম্মিতা ওঁরা বলেছে হয়ত।”
– “এই তো ভালো। ঝামেলা যা হওয়ার হয়েছে।বাদ দে।”
– “দুলাভাই কেমন আছে? কোথায় তুমি শ্বশুর বাড়ি?”
নিম্মি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “না আব্বার বাসায়।”
রুদ্রের কথা জিজ্ঞেস করতে ইতস্তত বোধ হচ্ছে অরূণীর‌। কিছুক্ষণ পর সংকোচ কাটিয়ে জিজ্ঞেস করে, “রুদ্র কী বাসায় গিয়েছে?”
– “আমি ঠিক বলতে পারবো না।ওই বাসার কারো সাথে কথা হয় না।”
অরূণী চমকে গিয়ে বলে, “কথা হয় না মানে? দুলাভাইয়ের সাথেও কথা হয় না?”
নিম্মির গলা বিষণ্ণ, “না।”
অরূণীর কাছে বিষয়’টা খটকা লাগলো। কোনো ঝামেলা হয়েছে না-কি?এসব ভাবতে ভাবতে অরূণী জিজ্ঞেস করে, “কোনো ঝামেলা হয়েছে?”
– “হয়েছে একটু।”
অরূণী আগ্রহী গলায় জিজ্ঞেস করে, “কী হয়েছে বলা যাবে?”
নিম্মি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, “সব ঝামেলার মূল হলো আমার শাশুড়ি। কি আর বলবো তোকে!এত ডেঞ্জারাস শাশুড়ি থাকলে সেখানে সংসার টিকে না।সব কিছু নিয়ে অযথা চেঁচামেচি,ছোট ছোট বিষয় গুলো নিয়ে চেঁচিয়ে সাত বাসার মানুষ এক করে।”
অরূণী চিন্তিত গলায় জিজ্ঞেস করে, “দুলাভাই মানুষ হিসেবে কেমন? দুলাভাইয়ের সাথেও কি তোমার বনাবনি হয় না?”
– “তানভীরের সাথে বনাবনি ভালোই। কিন্তু আমার শাশুড়ির অন্যায় কথা গুলো আমায় মুখ বু্ঁজে সহ্য করতে বলে।আমি কেন সহ্য করবো? মাত্র এই কয়দিনেই তীব্র বিরক্ত হয়ে গিয়েছি।”
এসব কথার মাঝে রুদ্রের কথা জিজ্ঞেস করতে সংকোচ হলো অরূণীর। নিম্মি নিজ থেকেই বলল, “আর অরূ তুই এবার অন্তত রুদ্রের বিষয়’টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। রুদ্রের থেকে সিফাজ কোন দিক থেকে খারাপ?”
অরূণী কথা বাড়ায় না।ফোন রেখে দেয়। ফোন’টা চার্জে বসিয়ে রেখে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়। বিষণ্ণ মনে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। শুধু ভাবছে রুদ্রের বিষয়’টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। রুদ্র ধরা ছোঁয়ার বাইরের মানুষ!ওঁর নাগাল পাওয়া সম্ভব না। রুদ্র মরীচিকা! অযথাই রুদ্রের পিছনে ছুটে ক্লান্ত হয়েছে। নিজের আবেগ,অনুভূতি গুলো ভুল মানুষ জন্য ব্যয় করেছে। অরূণীর চোখের কোটর বেয়ে টপটপ করে জল বিসর্জিত হতে লাগলো।বুকের ভিতর যন্ত্রনা হতে লাগলো।
___________
রুদ্রের সব গুলো ফোন নম্বর ডিলিট করে দেয় অরূণী। একটা চাপা কষ্ট,অপূর্ণতা বয়ে বেড়াচ্ছে।একটা মানুষ এত’টা কঠিন হতে পারে? অরূণীর চিন্তা ভাবনার ঊর্ধ্বে রুদ্র।অরূণীর শুধু আফসোস হচ্ছে এমন একটা মানুষের জন্য এত পাগলামি করার জন্য।দিন দশেক পর হঠাৎ একদিন অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে।অরূণী ছাদের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ছিলো। ওপাশ থেকে রুদ্রের গলা ভেসে আসে, “অরূণী, কেমন আছো?”
অরূণী কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। নিজেকে তড়িঘড়ি করে সংযত করে।একটু হাসার চেষ্টা করে, “হ্যাঁ ভালো আছি।আপনি হঠাৎ?”
– “তুমি কী আমার উপর অভিমান করে আছো?”
– “অভিমান করার মত সম্পর্ক কি আপনার সাথে আমার আছে বলুন?”
অরূণীর কথা শুনে রুদ্র অবাক হয়।অরূণীর গম্ভীর গলা, এভাবে উত্তর দেওয়া! সব মিলিয়ে যেন নতুন এক অরূণী। রুদ্র বলে, “অভিমান করার মত সম্পর্ক নেই তা ঠিক।”
– “আপনি আমার সাথে অন্যায় করেছেন, তীব্র অন্যায়।”
– “যেমন?”
অরূণী ফোন’টা রেখে দেয়।অরূণী জানে রুদ্রের ইচ্ছে হয়েছে ফোন দিয়েছে আবার হারিয়ে যাবে। ইচ্ছে হয়েছিলো তাই দেখা করেছে,হাত ধরেছে।সবটাই রুদ্রের ইচ্ছে। অরূণীর কান্না পাচ্ছে আবার। রুদ্রের প্রতি শুধু শুধু টান বাড়িয়ে লাভ নেই। রুদ্র কখনো ও’কে ভালোবাসবে না।
__________
কয়েকদিন পর নিম্মিই আবার ফোন দেয়। তানভীর বুঝিয়েসুজিয়ে ওঁদের বাড়ি নিয়ে গেছে নিম্মিকে। তানভীরও স্বীকার করে শাহানাজ বেগমের অন্যায়। কিন্তু মায়ের মুখের উপর কথা বলবে কীভাবে?তাই নিম্মিকে চুপ থাকতে বলে। রুদ্র না-কি পরীক্ষার পর ছুটিতে বাসায় গিয়েছিলো। রুদ্র’কে নিয়ে আগ্রহী হয়ে তেমন কিছু জিজ্ঞেস করলো না অরূণী। নিম্মি নিজ থেকেই বলেছে। রুদ্র নামক অনুভূতি মুছে ফেলতে চায় অরূণী। শুধু মিছে মিছে মায়া বাড়িয়ে কী লাভ?
রাতের বেলায় বই নিয়ে বসে শুধু শুধু বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছিলো অরূণী।পড়ার দিকে মন নেই।দিন গুলো বিষণ্ণই কাটছে অরূণীর।‌‌‌ সেলিনা আহমেদ অরূণীর রুমে এসে বলল, “শোন অরূণী?”
অরূণী চোখ তুলে তাকায়, “জি আম্মা।”
– “নিম্মির দেবর’কে চিনিস না?ওইযে ট্রেনে দেখা হয়েছিলো?বিয়েতেও তো তোর মামার বাসায় এসেছিলো।তুই ও তো ওঁদের বাসায় গিয়ে ছিলি নিম্মির সাথে।”
সেলিনা আহমেদ হঠাৎ এসব কেন বলছে? অরূণী তীব্র আগ্রহী হয়ে জিজ্ঞেস করে, “হ্যাঁ কী হয়েছে?”
সেলিনা আহমেদ অরূণীর পাশে বসে বলল, “খুব ভদ্র ছেলে। সূর্য ওঁর সাথে কথা বলেছে। তোকে পড়াতে আসবে কাল থেকে।তোর তো পরীক্ষার পাঁচ-ছয় মাস বাকি মাত্র।এবার আর কোনো উল্টাপাল্টা করিস না। আত্মীয়-স্বজন মানুষ। বদনাম হবে।”
অরূণী হকচকিয়ে উঠলো।মিনিট দুয়েক চুপ থেকে হঠাৎ বলে উঠল, “না আম্মা আমি উনার কাছে পড়বো না।অন্য টিচার দেখো।”
সূর্য রেগে গেল ভীষণ ভাবে অরূণীর উপর। সাহেদ আহমেদও বিরক্ত হয়ে ধমকালো অরূণী’কে। রেগেমেগে সেলিনা আহমেদের দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমার মেয়ে পরীক্ষায় ফেল করবে।আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না।”
সূর্য নাক মুখ শক্ত করে বলল, “এবার যদি কোনো তালবাহানা করিস তুই–”
অরূণী আর কথা বলার সাহস পায় না। রুদ্রের মুখোমুখি হওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই অরূণীর। সারা রাত উদ্বিগ্ন হয়ে কাটলো অরূণীর। উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠায় ঘুম হলো না। শেষ রাতে ঘুমানোর ফলস্বরূপ সেলিনা আহমেদ সকাল বেলা দরজা পদাঘাতে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। অরূণী ধড়ফড়িয়ে ওঠে বসে। দরজা খুলতেই সেলিনা আহমেদ চাপা গলায় বলল, “রুদ্র কখন এসে বসে আছে।”
সদ্য ঘুম ভাঙার কারণে অরূণী যেন কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর বলে, “এই টাইমে কেন এসেছে?”
সেলিনা আহমেদ ব্যস্ত গলায় বলল, “এই টাইমে পড়াবে তাই এসেছে।দুই মিনিটে ফ্রেশ হয়ে আয়।”
অরূণীর হাত-পা কাঁপছে।বুকের ভিতর দুরুদুরু করছে।যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না রুদ্রের সামনে।কোথায় যেন জড়তা কাজ করছে, অস্বস্তি হচ্ছে। অরূণী ধীর পায়ে রুদ্রের সামনে যায়। সূর্য রুদ্রের সাথে কথা বলছে। অরূণীর উপস্থিতি টের পায় না। সূর্য অরূণী’কে দেখে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল, “এই যে তোমার ছাত্রী এসে গেছে রুদ্র।মহা ফাঁকিবাজ। সে বার একটা টিচার এসেছিলো পড়াতে। পনেরো দিন ধরে এক পড়া পড়িয়ে বিরক্ত হয়ে বিদায় নিয়েছে সে।”
রুদ্র তাকায় অরূণীর দিকে। সূর্য উঠে চলে যায়। রুদ্র অরূণীর দিকে তাকিয়ে বলল, “বসো।”
অরূণী চেয়ারে বসে।মুখে গম্ভীর ভাব। রুদ্রের দিকে একবার তাকিয়ে মেঝের দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করে রাখে। রুদ্রের মুখের অভিব্যক্তি স্বাভাবিক। রুদ্র আবার বলে, “ওভাবে তাকিয়ে থাকলে পড়বে কীভাবে?”
অরূণী রুদ্রের দিকে তাকিয়ে ম্লান হাসে। রুদ্র মনে মনে অবাক হচ্ছে অরূণী পরিবর্তন দেখে।অরূণীর আচরণে মনে হচ্ছে রুদ্রের সাথে ওঁর প্রথম দেখা হয়েছে।প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলছে না অরূণী।প্রয়োজনে প্রশ্ন করছে। পড়ার ফাঁকে রুদ্র নিচু গলায় বলল, “অরূণী মন খারাপ তোমার?”
অরূণী ভ্রু কুঁচকে বললো, “মন খারাপ কেন থাকবে স্যার?”
(চলবে)

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here