“শালিকা_যখন_বউ Part_3+4

0
464

#শালিকা_যখন_বউ
#Part_3+4
#written_by_Adnan_Sami_Raj

তারপর আমি আর নিশি হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসি।আর দেখি যে ইশা আমাদের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। সে হইতো ভাবছে আমি এখানে কেমন করে আসলাম। আর মালিকই বা কেমন করে হলাম। কারন আমি ইশা কে বলে ছিলাম যে আমি একটা কম্পানীর সাধারন একজন কর্মচারি।


হেলিকপ্টার থেকে নামার পরে সবাই আমাকে আর নিশি কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে তখন ইশা আর ওর হাজবেন্ড মেহেদী আমাদের কাছে আসে আর আমাদের স্বাগতম জানাই। তখন ইশা আমাকে বলে


ইশাঃরাজ তুমি এখনে কি করে। আর তুমি A&R কম্পানীর CEO হলে কিভাবে।


আমিঃ কেন মিস ইশা অবাক হচ্ছেন নাকি।এখানে তো অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারন আমি আপনাকে একবার বলে ছিলাম বিয়ের পরে আপনার জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।কিন্তু আপনি কি করলেন।


আমি ইশার সাথে কথা বলছিলাম তখন মেহেদী এসে আমাকে বলল।


মেহেদীঃ স্যার এই হলো ইশা আমার ওয়াইফ। দুইদিন হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে

আমিঃ nice to meet you miss Esha (হাত বাড়িয়ে)

ইশাঃ tnq sir(বেশ অবাক হয়ে)

আমিঃ তা মেহেদী সাহেব আমি যা যা বলেছিলাম সব কিছুর এরেজমেন্ট কি হয়েছে।

মেহেদীঃ জ্বী স্যার। সব কিছুর এরেজমেন্ট করা হয়েছে। আপনি কি আগে একটু রেস্ট নিবেন নাকি।

আমিঃ হুম। আমি আর নিশি আগে একটু রেষ্ট নিবো তারপরে পার্টি তে জয়েন করবো। আর আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিই এনি হলেন নিশি আমার ওয়াইফ(নিশি কে দেখিয়ে)

মেহেদীঃ হ্যালো ম্যাম কেমন আছেন।

নিশিঃ জ্বী ভালো আছি।


তখন আমি ইশার দিকে লক্ষ্য করে দেখি সে আমার আর ইশার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। তাই আমি মনে মনে বলি এখনও তো কিছুই দেখোনি। দেখতে থাকো কি হয়। তখন মেহেদী আমাকে আর নিশিকে একটা রুমে নিয়ে যাই আর বলে এখানে কিছুক্ষন রেস্ট নিতে।এই বলে মেহেদী সাহেব সেখান থেকে চলে যাই। তখন নিশি আমার কাছে এসে বলে।


নিশিঃ এগুলা কি হচ্ছে আমাকে কি প্লিজ বলবেন।

আমিঃ মানে কিসের কথা বলছো তুমি।

নিশিঃ বুঝতে পারছেন না আমি কিসের কথা বলছি।

আমিঃ কই নাতো।

নিশিঃ বুঝতে পারছেন না নাকি বুঝতে চাইছেন না।

আমিঃ আরে তুমি বুঝাই না বললে কেমন করে বুঝবো।

নিশিঃ এগুলা কি। আমি তো শুনেছিলাম আপনি একটা কম্পানীর একজন সাধারন কর্মকর্তা। শুধু আমি না, আমার পুরো পরিবার জানতো যে আপনি একটি কম্পানিতে কাজ করেন। তাহলে হুট করে এত বড় কম্পানীর CEO কেমন করে হলেন।

আমিঃ হুট করে আমি এই কম্পানীর CEO হয় নাই। এই কম্পানির owner হলো আমার বাবা বুঝেস। আর সেই হিসেবে আমি এই কম্পানীর CEO। আর কেন আমি আমার আসল পরিচয় গোপন করেছি সেটা না হয় তোমাকে পরে বলবো।

নিশিঃ সেটা না হয় বুঝলাম। কিন্তু আপনি কেন আপনার আসল পরিচয় গোপন করলেন সেটা আগে বলুন ( কান্না জড়িত কন্ঠে)

আমিঃ বললাম তো আমি তোমাকে সব বলল তার আগে তুমি কান্না বন্ধ কর (নিশিকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে, কেন যানি নিশির কান্নাটা আমার সহ্য হলো না তারপর নিশিও আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকলো)

এভাবে কিছুক্ষন নিশি কান্না করল তারপর যখন সে বুঝতে পারলো যে সে আমায় জড়িয়ে ধরে আছে তখন হোৎাৎ করে আমায় ছেড়ে দিয়ে বলল।

নিশিঃ আমি সরি। আসলে আমি বুঝতে পারি নাই তাই এমন টা করেছি। আসলে আমি একটু ইমোশনাল হয়ে পরে ছিলাম তো তাই।

আমিঃ It’s ok Nishi.তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমাদের আবার নিচে পার্টিতে যেতে হবে।


তার পর নিশি ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে চলে যাই। কিছুক্ষন পরে নিশি বাহির হয়। তখন আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে প্রবেশ করি। আর বের হওয়া মাত্র নিশিকে দেখে টাসকি খাই কারন নিশি কে নীল শাড়ীতে একদম অপ্সরীর মত লাগছে। সাথে হাল্কা মেকাপ। যা দেখে যে কেউ নিশির প্রেমে পড়তে বাধ্য। আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিশি আমার চোখের সামনে তুরি বাজিয়ে জিঙ্গেসা করে।।


নিশিঃএই যে মিস্টার এই ভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন।

আমিঃ এক্টা ডানাকাটা পরি পরি (নিজের অজান্তেই বলে ফেলি। আর আমার কথায় নিশি বেশ লজ্জা পাই যা ওর চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারন নিশির চেহার একদম লজ্জাই লাল হয়ে গেছে তখন আমি বলি)

আমিঃ থাক আর লজ্জা পেতে হবে না। এখন তারতারি রেডি হয়ে নাও তো।

তখন নিশি আবার রেডি হতে থাকে। আর নিশি যখন লিপস্টিক তার ঠোটে দিতে যাবে তখন আমি তাকে আটকিয়ে বলি যে।

আমিঃ তোমাকে এমনি অনেক ভালো লাগছে। এই সব লিপস্টিক আর কোনো দিন দিবা না ওকে।

নিশিও বাধ্য মেয়ের মত মাথা নাড়াল। কিছুক্ষন পরে নিশি আমাকে জিঙ্গেসা করে যে তাকে কেমন ভাগছে। আর আমিতো নিশিকে দেখে ওর প্রায় প্রেমেই পরে যাই।কারন নিশিকে হাল্কা সাজে একদম পরীর মত লাগছে। তাই আমি ওর কাছে গিয়ে বলি।

আমিঃ সবি ঠিক আছে শুধু একটা জিনিস ছাড়া।

নিশিঃ ওও(কিছটা মন খারাপ করে)

আমিঃআরে শুনবে তো কি জিনিস।

নিশিঃ না বললে শুনবো কেমন করে।

আমিঃ তোমার গলাই কাজল দেওয়া হয়। তোমাকে কেউ যদি এভাবে দেখে তাহলে সবার নজর লেগে যাবে তো তাই না।

নিশিঃ……. (কিছু বলছে না কারন সে অনেক লজ্জা পেয়েছে)

তার পর আমি নিজে হাতে নিশির ঘাড়ে কাজল লাগিয়ে দিই। আর আমার ছোয়া পাওয়া মাত্র নিশি কিছুটা কেপে উঠে। আর নিশির এত কাছে গিয়ে আমিও কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম। আর নিশিও কিছুটা আমার মতই হয়ে গেছিলো। তখন আমি নিশি মুখটা উপরের দিকে তুলে আমার ঠোট ওর ঠোটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই আর যখুনি আমি নিজের ঠোট নিশির
ঠোটের সাথে মেলাবো। তখুনি কেউ একজন রুমে মধ্যে প্রবেশ করে।

চলবে………..

#শালিকা_যখন_বউ
#part_4
#written_by_Adnan_Sami_Raj

এতে করে নিশি আমার থেকে কিছুটা দূরে চলে যাই। আর আমাদের দুজনেরই ঘোরটা কেটে যাই। তাই তখন দেখার চেষ্টা করি যে কে এসেছে।


আর তখুনি দেখি ইশা দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে আমার রাগ টা বেরে যাই। তাই আমি ইশা কে গিয়ে বলি।


আমিঃ আপনার কি একটু সাধারন বুদ্ধি টুকু কি নেই। যে একটা সদ্ধ বিবাহিত দম্পতির রুমে। কোনো পারমিশন ছাড়া প্রবেশ করেছেন।

ইশাঃ আসলে আমি তো যানতাম না ভেতরে কি হচ্ছিল। আর তোমার রুমে ডুকতে তো আগে কখনো পারমিশন লাগে তাই।

আমিঃ Ohh plz..আগে কি হয়েছে না হয়েছে I just don’t care,,But now i am married.. so next time knock kora room a dhuk ban..understand..

Esha: yea i understand..

আমিঃ হুম কথা টা মনে থাকে যেন। আর কি জন্য এসেছেন সেটা কি জানতে পারি।

ইশাঃ আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি,, প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।

আমিঃ আপনি কিসের জন্য ক্ষমা চাইছেন মিস ইশা সেটা কি জানতে পারি??

ইশাঃ তোমার সাথে করা অন্যায় গুলোর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।


আমি কিছু বলতে যাব তখুনি নিশি এসে বলে।

নিশিঃ আপু তুই যা করেছিস তা কত বড় অন্যায় সেটা কি তুই জানিস??

ইশাঃ হুম জানি।

নিশিঃ তাহলে কোন মুখে তুই মাফ সেটা আমাকে বল।

ইশাঃ নিশি বোন আমার তুই আমাকে ভুল বুঝিস না। আমি তো আমার ভুল বুঝতে পেরেছি তাই তো আমি ক্ষমা চাইতে এসেছি।

আমিঃ আপনি কোনো অন্যায় করেন নাই মিস ইশা। অন্যায় তো করেছি আমি। আপনার মতো একজন প্রতারক কে ভালোবেসে ছিলাম এটার চেয়ে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে সেটা বলুন তো।


আমি আরো কিছু বলতে যাবো তার আগে আমার ফোনে একটা কল আসে। আমি কলটা রিসিভ করেই নিশি কে বলি যে তারাতারি রেডি হয়ে নিতে। আর ফোনটা করেছিল মেহেদী মানে ইশা হাজবেন্ড। তার পর আমি ইশা কে আমার রুম থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলি।


কিছুক্ষন পর নিশি বের হয়ে আসে। আর আমিতো নিশিকে দেখে রিতিমত টাসকি খেয়ে যাই। কারন নেভিব্লু শাড়িতে নিশি অসাধারণ লাগছে। তার সাথে হাল্কা মেকাপ ও করেছে। আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিশি আমাকে বলে।

নিশিঃ এই যে মিস্টার রাজ এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকি নিচেও যাবেন(ভুরু নাড়িয়ে)

আমিঃ হুম যাবো,,আর তোমাকে কিন্তু অনেক কিউট লাগছে মিসেস রাজ।

আমার মুখে মিসেস রাজ ডাক শুনে নিশি অনেক খুশি হয় যা ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। তখন আমি আবার নিশি কে বললাম,,কি হল নিচে যাবে না নাকি। তারপর আমি আর নিশি দুজনেই একসাথে নিচে যাই। আর সেখানে থাকা সবাই আমাদের স্বাগত জানাই।


তারপর আমি নিশিকে একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। আর সবাই নিশিকে অনেক পছন্দ করে আর অনেক তারিফও করে। এগুলা দেখে ইশা অনেকটা জেলাস ফিল করে। কারন এগুলা ইশা পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার লোভের কারনে সে সব কিছু হাড়িয়েছে।


পার্টি শেষ হওয়ার পরে আমি আর নিশি নিজেদের রুমে চলে আসি। আর রুমে আসার পরে নিশি আমাকে বলে।

নিশিঃ আপনাকে একটা কথা জিঙ্গেসা করারা ছিল। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে করব।

আমিঃ হুম বল তোমার কি বলার আছে….

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here