#ভালোবাসার_ভুল
#Writter_Sp_sanjana_(সাগরিকা)
🍁🍁🍁🍁
Part-21+22
রাত:- তোমারা থামো ও এখন অসুস্থ।ডাক্তার কথা কম বলতে বলেছে নিঝুম বাড়িতে গেলেই তোমরা জানতে পারবে। কিছুক্ষন বসতে পারো তোমারা এখন ওর সাথে।
শেষের দিন হসপিটালে আসতে রাত এক গুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে আসে।কিন্তু এসে নিঝুমকে পায় না।খবর নিয়ে জানতে পারে নিঝুমকে সকালেই নীল আর নীলিমা নিয়ে গেছে।তাই রাতকে ফুলগুলি নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়।বাড়িতে গিয়েই নিজের রুমে গিয়ে বসে সে অভিমান হয় একবার বলে গেল না কেন ওকে নিঝুম ফোন ও তো করতে পারতো।রাত ভাবতে থাকে নিঝুম কি তবে ওকে পছন্দ করে না।
অন্যদিকে নিঝুম সকালেই ফোন করেছিল রাতকে কিন্ত কোন এক মেয়ে ফোন তুলে জিঙ্গাসা করলে বলে কাজের বন্ধু।কে হতে পারে এটা ? বাসের মেয়েটা কি? ভেবে কষ্ট পায় নিঝুম ভাবে সে হয়তো আবার ভুল করছে এখন আর সে রাতকে ফোন করবে না ভেবে নেয়।কিন্তু বাড়িতে আসার পর ও ওর বার বার রাতের কথা মনে হচ্ছে দেখতে ইচ্ছে করছে।
অন্যদিকে নিঝুম যখন সকালে ফোন করে তখন মায়া যায় রাতের বাসায় কোন কনর্সাটের কন্ট্রাক্ট পেপারে সিগনেচার নেওয়ার জন্য।প্রীতি মায়াকে রাতের রুমে পাঠায় রাত ঘুমাচ্ছিল তাই।মায়া যখন রুমে প্রবেশ করে তখন রাত বাথরুমে ছিলো আর তার ফোন বিছানায় বাজছিল।মায়া ফোনটা হাতে নিয়ে স্কিনে নিঝুমের নাম দেখে ফোন তুলে নেয় আর ঐসব কথা বলে।সে বুঝে গিয়েছিলো যে নিঝুম ঐ মেয়ে টাই যাকে সে রাতের সাথে বাসে দেখেছিল।যার সামনে কথা বলায় রাত তাকে বকেছিল।আর কললিস্ট থেকে নিঝুমের নামটাও মুঝে দেয় যাতে রাত নিঝুমকে ফোন না করে আর নিঝুম তাকে ভুল বুঝে।মায়ার করা মায়াজালে জড়িয়ে কষ্ট পায় নিঝুম আর রাত।
নিঝুমের এই ব্যাকুলতা ঠিকই নীলিমা র চোখে পড়ে আর ওরা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল যে রাত নিঝুমকে অনেক ভালোবাসে।রাত আর নিঝুম অভিমানে একে অপরকে আর ঐদিন ফোন করে না।
পরদিন সকালে আবার নিঝুম তার ব্যালকনিতে লাল গোলাপ ফুল আর চিরকুট পায়। চিরকুট এ লেখা-
“খুঁজে পাবে চেনা মানুষের ভিড়ে,
আছি আমি তোমার মন জুড়ে।
তুমি কি চিনে নিবে আমায়,
নাকি রয়ে যাবে না বলা প্রেম হয়ে।”
নিঝুম ফুল আর চিরকুট পেয়ে অনেক খুশি হয়। তার মনের সন্দেহটাও কিছুটা দূর হয়।
নিঝুম:- তোমায় এবার ভালোবাসি বলিয়ে ই ছাড়ব।
বিকেলের দিকে মৌ,নিকি, বিথি,মেঘ, আকাশ, অর্নব সবাই এসে হাজির হয় নিঝুমের বাসায়।
আসেই নিঝুমকে নিয়ে বসে-
বিথী:- দোস্ত মানালী ট্রিপের কথা তো কিছুই বললি না বল না কেমন হল?
নিঝুম:- কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না।
নিকি:- আরে ওসব ছাড় তো আগে বল রকস্টার রাতকে কিভাবে পেলি।
মৌ:- সবচেয়ে দরকারি ব্যাপার তুই কিভাবে গুলি খেলি?
নিঝুম একে একে রোজ চিরকুট পাওয়া থেকে শুরু করে মানালী ট্রিপ কিডন্যাপিং সবটাই বলে।
মৌ:- বাহ রকস্টার রাত তোকে আগে থেকেই পছন্দ করে।
আচ্ছা শুন না আজ আমরা আরও একটা গুড নিউজ নিয়ে এসেছি,নিশি আর আকাশের সামনের মাসে বিয়ে দিন ঠিক হয়ে গেছে।আকাশ ভাইয়া বিদেশ যাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য তাই বিয়েটা সেরেই যেতে চায়।
নিঝুম:- অনেক মজা হবে তোর বিয়ে তে দেখিস।
সবাই কিছুক্ষন বসে আড্ডা দিয়ে চলে যায়।নিঝুম আবার একাকী বসে থাকে।তারপর রাতকে ফোন করে।এবার রাত হয়ে আসায় রাত ই ফোন ধরে।ফোন ধরেই রাত অভিমানের সুরে বলে এতক্ষনে সময় হল আমায় ফোন করার।কাল ও বললে না হটপিটাল থেকে বাড়িতে চলে গেলে।
নিঝুম:- তাই অভিমান হয়েছে মনে হচ্ছে।আর সকালে যে আমি ফোন করলাম কোন মেয়ে ফোন ধরল সেটা?
রাত:- কোন মেয়ে ফোন করেছে? কি বলছ? আমার ফোন তো কেউ ধরে না কখনো।
নিঝুম:- আমি কি মিথ্যা বলছি তাহলে?😡আমি মিথ্যুক?
রাত:-না তেমন না আচ্ছা ফোন ধরে কি বলেছে তোমায়?
নিঝুম:- আপনার অনেক কাছের বন্ধু সে? তা শুনেই আমি রেখে দিয়।
রাত:- কেন আমার কাছের কেউ শুনে কষ্ট হয় বুঝি😉?
নিঝুম:- 😊😊
রাত:- কি হল লজ্জা পাচ্ছেন?আমি এখন থেকেও বুঝতে পারছি।
নিঝুম:- ছাড়ুন তো ঐ মেয়েটা কে ঐটা আগে জানুন।
রাত:- তা আমি জেনে নিব মা কে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে কে আসেছিল সকালে আমার রুমে।
নিঝুম:- আচ্ছা এখন আপনি ঘুমান।আমি ফোন রাখি।
রাত:- হম আপনিও ঘুমান।আবার কাল দেখা হচ্ছে বৃষ্টিবিলাসী( মনে মনে)
কথা বলে নিঝুম আর রাত দুজনেই নৈশভোজ করে ঘুমিয়ে যায়।রাতে নিঝুম একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখে একটা একগুচ্ছ তার পছন্দের নীলপদ্ম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাদা শার্ট ব্ল্যাক পেন্ট পড়া একটা ছেলে আর নিঝুম তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল নিঝুম তার চেহারা দেখার আগেই কেউ তাকে ডাকছে বুঝতে পেল চোখ খুলে নীলিমাকে দেখে বুঝল যে সে এতোটা সময় স্বপ্ন দেখছিল।
চলবে………..
( গল্প কেমন লাগছে আপনাদের?)
Part-22
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল নিঝুম তার চেহারা দেখার আগেই কেউ তাকে ডাকছে বুঝতে পেল চোখ খুলে নীলিমাকে দেখে বুঝল যে সে এতোটা সময় স্বপ্ন দেখছিল।
নিঝুম:- দিলে তো আমার স্বপ্নটা ভেঙে।কি এমন হল এভাবে ডেকে তুললে কেন?🙄
নীলিমা:- কলেজ এ যাবি না ঘুমলে হবে?😊
নিঝুম:- ও আচ্ছা তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
নিঝুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল জলখাবার খেয়ে মৌকে নিয়ে বের হয়ে যায়।অনেকদিন পর আবার কলেজে পা রেখে ভালোই লাগছে। নিঝুম আসার সাথে সাথে অর্নব,মেঘ,বিথী আসে হাজির হয় আর বলে-
বিথী:- আজ কিন্তু তোর ক্লাস করা হচ্ছে না বলে দিলাম।😔
অর্নব:- আজ আমরা যাব শপিং এ।😊
নিঝুম:- শুধু শুধু এই টাইম এ শপিং তোরা যা আমি যাব না।😡
মেঘ:- তা বললে কি হয় নিকি ফোন করেছে আজ ওদের বিয়ের শপিং হবে চল তো ছেলের বাড়ি সবাই মিলে একসাথে কেনাকাটা হবে।
বিথী:- আর আমরা ওদের বন্ধু হওয়ায় আমাদের ও যেতে বলেছে।😍
মৌ:-ও তাই কিন্তু ও তো আমায় ফোন করেনি যেয়ে নিই তারপর বোঝাচ্ছি মজা।🙁
মেঘ:- তাই বুঝি? তুমি বোঝাবে মজা 😂😂😂
নিঝুম:- ওকে তাহলে যাওয়া যাক।কোন মল এ যেতে বলেছে?
অর্নব:-Pacific Mall, Tagore Garden.
তারপর ওরা কলেজ থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসে আর মলের পার্কিং লট এ যায়।গাড়ি পার্ক করে নামতেই দেখে নিকি,আকাশ দাঁড়িয়ে আছে।
নিকি:- থ্যাংকস রে হঠাৎ করে বলার পর ও এসেছিস।
আকাশ:- দোস্ত চল তো ভিতরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বোর হয়ে গেছি।
মেঘ:- হে চলে।কিন্ত তোরা দুজন শুধু আঙ্কেল আন্টি কোথায়?
নিকি:- ওরা ভেতরে আমরা তোদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
সবাই হেঁটে মলে প্রবেশ করতেই সাইডে দাঁড়িয়ে থাকা কালো কুর্তার সাথে ব্লু জিন্স পড়া রাতকে দেখে অবাক হয়।😳😳
মৌ:- রাত এখানে কিভাবে?😳
আকাশ:- ও তোমাদের বলা হয়নি রাত আমার বড় মাসির ছেলে জানি রকস্টার ঐ দিন হসপিটালে ও সবাই চিন্তায় ছিলে তাই বলা হয়নি।
অর্নব:- বাহ ভালো তো চলো ভাই মেয়েদের শপিং করতে অনেক সময় লাগবে আমরা এফাঁকে শপিং সেরে কিছু খেয়ে নিয়।😰
বিথী:- বাহ্ বাহ্ বাহ্ শুধু মেয়েরাই শপিং করতে সময় নেয় তোমায় নেও না?😒
মৌ:- নিজেরা তো সেই পড়ো একটা প্যান্ট এর শার্ট বেশি হলে একটা পাঞ্জাবি কিনতে কত সময় লাগবে হম্ আমাদের কতকিছু আছে জানেন।😡
মেঘ:- হয়েছে আর বলতে হবে না এখন ভিতরে চলো।
আকাশ:- তোমারা মেয়েরা একদিকে চলে যাও আর আমরা একদিকে।
সবাই সবার মতো ঘুরে ঘুরে ড্রেস কিনছে। হঠাৎ নিঝুমের চোখ আটকালো একটা আকাশী রঙের মধ্যে সাদা পাথর বসানো লেহেঙ্গার দিকে গিয়ে পছন্দ হলেই তুলে নেয় এটা বিয়েতে পরার জন্য।একে একে সবার সাথে ঘুরে অনেক ড্রেস ই কেনা হয়।সবার মোটামুটি শপিং প্রায় শেষের দিকে এমন সময় রাতের নজর য়ায় একটা পিঙ্ক কালারের শাড়ির উপর দেখতে থাকে মুগ্ধ নয়নে।রাত গিয়ে শাড়িটা কিনতে নিতেই অর্নব, আকাশ, মেঘ পিন্চ কাটে।
মেঘ:- তা ভাইয়া আপনি শাড়ি কার জন্য কিনছেন?😂
আকাশ:- আমার বিয়ের কথা শুনে কি আমার ভাইয়ের ও বিয়ে করতে মন চাইছে তাহলে বলব নাকি মাসিকে একই মন্ডবে তোর বিয়েটা ও সেরে ফেলতে?😂😂😂😂😂
রাত:- ভাই এরকম না শাড়িটা আমার পছন্দ হয়েছে তাই নিয়ে নিয়েছি তোমার বৌদি যখন আসবে তখন পড়বে।😊
এইসব নিয়ে ওরা মজা করে যায় মেয়েদের খবর নিতে।গিয়ে দেখে এক একজন মেয়ে একগাদা শপিং ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে আর ছেলেদের আসতে দেখেই সবাই সব ব্যাগ তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েই চলে যায়। শুধু নিঝুম খুঁজে পায় না কার হাতে দিবে ব্যাগগুলো সবার সামনে রাতকে ধরিয়ে দিতে কেমন সঙ্কুজ হয় তার।তাই নিঝুম ব্যাগ নিয়েই চলে যাচ্ছিলো কিন্তু রাত এগিয়ে এসে ব্যাগ নিয়ে নেয় আর বলে তোমার কষ্ট হবে এগুলি নিতে আমায় দিন কিছুদিন হল তোমার অপারেশন হয়েছে।আর তার পিছে পিছে চলে সব ব্যাগ নিতে থাকে।
সবাই রাতের এসব দেখে অবাক হয় এতো বড়ো রকস্টার নিঝুমের খেয়াল রাখছে যার খেয়াল রাখতে পাঁচ জনকে রাখা হয়।সবাই বুঝতে পারে রাত নিঝুমকে ভালো বাসে।এখন দেখার অপেক্ষা নিঝুম কখন রাতকে মেনে নেয়।এরমধ্যে মায়া আসে উপস্থিত হয় শপিং মলে এসে রাতের সাথে গিয়ে চিপকে যায় নিঝুম দেখে রেগে যায়।আর বাকি মেয়েরাও খুব বিরক্ত হয় মায়ার পোষাক আসাক দেখে।কিন্তু ছেলেরা বোকার মতো চেয়ে থাকে।আর ভাবতে থাকে মেয়েটা কে ?🙄
মায়া:- রাত তুমি এখানে তোমায় আমি কত সময় ধরে ফোন করছি জানো।
রাতের ও অনেকটা রাগ এ এখানে কি করছে আজকাল বড্ড জ্বালাচ্ছে এই মেয়ে।নিঝুম আমাকে কি ভাব্বে কে জানে।
রাত:- এই তুমি এখানে কি করছ?
মায়া:- তোমায় দেখতে ইচ্ছা করছিল তাই দেখতে আসছি।
নিঝুম কথাটা শুনে ই চলে গেল রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে।রাত মায়াকে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাস করে এসব কি বলছ তুমি এখানে এসে? আর নিঝুম দূরে গিয়েও ফিরে ফিরে দেখছিল।
মায়া:- কোথায় আমি কি করলাম? আমি তো তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি। তুমি হয়তো ভুলে গেছ আমি তোমার ম্যানেজার ছাড়াও একসময় তোমার ক্লাসমেট ছিলাম।তোমার বাবা আমার বাবার বন্ধু।এখন হয়তো তুমি আমাকে ম্যানেজার ছাড়া কিছু মনেই কর না।আগে তুমি আমায় সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিলাম এখন তুমি ভুলে গেলেও আমি তো ভুলতে পারি না।😭
রাত:- এখন কি এসব বলার সময় প্লিজ তুমি যাও।চাইলে শপিং করতে পারো।এটা আমার ভাইয়ের বিয়ের শপিং আমি চাইনা এখানে কোনো সমস্যা হোক।
নিঝুমের সাথে মৌ ও চলে যায়।এরপর সবাই একটা ক্যাফেট এরিয়াতে বসে আর মেঘ মৌ কে ফোন করে।
মেঘ:- এই তুমি কোথায় গেলে তখন নিঝুমের সাথে?
মৌ:- কেন কি হয়েছে?
মেঘ:- আমরা ক্যাফেটএরিয়ায় আর তোমরা ভূতের মতো কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছ।😂😂😂
মৌ:- আমার একটা শাড়ি পছন্দ হয়েছিল ঐটাই নিতে এসেছি।কোনদিকে আছো বলো আমি আসছি।😔
মেঘ:-আচ্ছা দাঁড়াও আমি আসছি।আমি নিয়ে আসবো তোমায়।
ফোন রেখেই মেঘ বলে- আমি নিঝুম আর মৌ কে আনতে যাচ্ছি।তোরা কফি অর্ডার দে।
মেঘ চলে গেলে মায়া আসে সেখানে আর রাতের সাথে বসে পড়ে রাত অনেক আগের বন্ধু হওয়ায় আর কিছুক্ষন আগে যা হল তাই আর কিছু বলে না বললে যে এখানে ঝামেলা হবে সে জানে। কিছুক্ষন পর নিঝুম আর মৌকে নিয়ে মেঘ আসে।নিঝুমের ভিতরে ঢুকেই মাথাটা গরম হয়ে য়ায়…
চলবে……
( নিঝুম কি এমন দেখেছিল যে এতো রাগ হয়?বলো বলো সবাই বল কি এমন দেখতে পারে?মায়া কি কিছু করল আবার?আমার প্রথম গল্প হয়তো ভালো সাজাতে পারছি না তবো চেষ্টা করব তোমাদের মনের মতো করে গড়ে তোলার।তোমারা আমায় সাহায্য করতে পারো গঠনমূলক কমেন্ট করে)