#আগাছা
#Khadija_Akter
#পর্ব_০৩
তরী ঝটপট ফ্ল্যাটের দরজার কাছে যেতে যেতে আরেকবার মেহেরীমার রুমের দিকে চোখ বুলালো…নাহ্, মেহেরীমা এখনো জাগেনি।সে তখনো গভীর ঘুমেই আছে।
তরী দরজা খুলে দিল…..
ঠোঁট দুটো যতটা সম্ভব পারা যায় প্রসারিত করে,উচ্ছ্বসিত গলায় তরী বলে,
–হাই জিজু।
–হ্যালো শালীকা। সারাদিন কেমন কাটলো তোমার?
–খুউব ভালো।আজ ক্লাসে কি হয়েছে জানেন?
আসুন সোফায় বসুন,সব বলছি।
–না গো, মাই ডিয়ার সুইট শালী।এখন আমি খুব ক্লান্ত।আগে ফ্রেশ হয়ে নেই।তারপর সব শুনবো তোমার কথা।
মনে মনে তরীর কিছুটা রাগ হলো অনিকের উপর , কিন্তু মুখে বললো,
–আচ্ছা অনিক জিজু।
তুমি ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে আসো,আমি কফি বানিয়ে অপেক্ষা করছি তোমার জন্য।দু’জন একসাথে কফি খাবো আর গল্প করবো।
–কিন্তু তোমার আপু কোথায়?
তরী মুচকি হেসে বললো,
-আপু ঘুমায়।
অনিক আর কিছু বললো না।মুচকি হেসে
রুমের দিকে হাঁটা দিল।
রুমে এসেই প্রথমে মেহেরীমার দিকে চোখ পড়লো।একদম বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে খাটের এককোণে।অনিক ব্যাগটা সাইড টেবিলের উপরে রেখে মেহেরীমার একদম কাছাকাছি গিয়ে এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো বউয়ের দিকে।
কিছুক্ষণ পর ফ্যানের স্পীডটা কমিয়ে,মেহেরীমার গায়ে একটা কাঁথা টেনে দিল।
তারপর হাতে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।
ঠক ঠক ঠক…..
অনিক জিজু,দরজা খোলো।গরম পানি করে নিয়ে এসেছি
তোমার জন্য।ঠান্ডা পানি দিয়ে শাওয়ার নিলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাবে তো।
বেশকিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর অনিক দরজা খুলে দিল।
অনিকের কোমরে শুধু একটা টাওয়াল প্যাঁচানো।খালি গা,অর্ধ ভেজা শরীর।ফর্সা বুকের কালো লোমগুলো বুকের সাথে লেগে লেগে আছে।চুল বেয়ে মুখে টপটপ করে পানি পড়ছে।দরজা খুলেই অনিক দেখলো তরী গরম পানির বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সে কিছুটা হেসে আদুরে গলায় বললো,
–ওরে আমার কিউট শালীকা রে!কত্ত খেয়াল রাখে আমার।কী দরকার ছিল এতো কষ্ট করার হুম?
–……..
–তোমার আপু এখনো ঘুমাচ্ছে আজ!কারণ কি বলো তো?শরীর খারাপ করেছে নাকি?
–…………
অনিকের ওই সৌন্দর্য দেখে তরী হা করে চেয়েই রইলো।অনিকের কথা যেনো ওর কানেই ঢুকছে না।
অনিক তার চোখের সামনে এসে একটা চুটকি বাজাতেই ওর ধ্যান ভেঙ্গে গেল।
–কী কী কী অনিক জিজু!তুমি কিছু বললে?
অনিক হাহা করে হেসে উঠলো।
–তুমি তাহলে কোন দুনিয়ায় ছিলে গো?
–বলো না অনিক জিজু,একটু আগে কি বলেছো তুমি?আমি ঠিকমতো শুনতে পাইনি তখন।
–বলেছি তুমি অনেক সুন্দর।
হাসতে হাসতে অনিক গরম পানির বালতিটা নিয়ে ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দিল।
অনিকের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে তরী।কিছুক্ষণ সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে সে।তারপর মেহেরীমার দিকে এক নজর তাকিয়ে রুম থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে যায়।
এদিকে ওয়াশরুমের দরজা নক করার শব্দেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল আমার ।কিন্তু তবুও আমি উঠিনি ।ঘুমের ভান করে দেখছিলাম এতক্ষণ অনিক আর তরীর কর্মকাণ্ড।
তরী চলে যেতেই আমি বিছানায় উঠে বসলাম।প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আমার তরীর উপর।ওকে কে অধিকার দিয়েছে অনিকের ভালো-মন্দের খেয়াল রাখার!আমি কি মরে গেছি!
আর অনিক!একটুও কি বাঁধলো না তরীর সামনে এভাবে অর্ধনগ্ন হয়ে আসতে!ছেলে হয়েছে তো ক হয়েছে,লজ্জা হায়া বলে কি কিছুই থাকবে না!বিতৃষ্ণায় মনটা ভরে উঠলো।
একটু পরেই গোসল শেষ করে বের হয়ে আসলো অনিক।
মেহেরীমাকে দেখেই ওর দিকে এগিয়ে আসতে আসতে মিষ্টি করে একটু হেসে বললো,
–কখন উঠলে?আজ এতক্ষণ পর্যন্ত ঘুমালে যে?
অনিকের সাথে কথা বলতে আমার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছে হলো না।আমি কোনো উত্তর না দিয়ে,রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম।
অনিক আমার হাতটা আলতো করে ধরে পথ আটকালো,
–কি ব্যাপার কথা বলছো না যে?আমি কি কিছু করেছি?
এবারও কোনো কথা বললাম না,ঝটকা দিয়ে অনিককে সরিয়ে চলে এলাম।
আমার এহেন আচরণে হতবাক হয়ে অনিক সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো।
রাতের খাবার গরম করে,কিচেন থেকে ডাইনিং এ খাবার নেওয়ার সময় চোখ পড়লো ড্রয়িং রুমের দিকে।অনিক আর তরী হেসে হেসে কি একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছে।দৃশ্যটা একদম স্বাভাবিক। কিন্তু এখন আর আমি ওদের কোনো কিছুই চাইলেও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না।
রাগে আমার শরীর জ্বলছে।
তরী আমার কাছে দিনদিন অসহ্যকর হয়ে উঠছে।
কিন্তু দোষ কি শুধুই তরীর!অনিক কি কোনোভাবে প্রশয় দিচ্ছে না?কিছু একটা তো করতেই হবে!
এসব চিন্তা করতে করতে,খাবার টেবিলে সাজিয়ে ফেললাম।ওদের দু’জনকে খেতে ডাকলাম।খাবার টেবিলে ওরা দু’জন টুকটাক কথা বলছিন আর হাসাহাসি করছিল।আমি একটা কথাও না বলে খেতে লাগলাম।
অনিক একটু পরপরই আমার দিকে তাকাচ্ছিল,হয়তো আশা করছিলা আমিও ওদের সাথে ওদের আড্ডায় যোগ দেই।হেসে খেলে কথা বলি।
কিন্তু আমি সেসবের দিকে গেলাম না,ওর দৃষ্টিকে এড়িয়ে গেলাম।
রাতের খাবার শেষ করে সব গুছিয়ে রুমে চলে আসলাম।
এসে দেখি আমার আগেই অনিক বিছানা গুছিয়ে শোয়ে আছে।এখন যদি আমি ওর কাছে যাই তাহলে কথা বলতে চাইবে।কিন্তু আমার যে ওর সাথে কথা বলতে একদম ইচ্ছে করছে না।
যা-ই করি না কেনো,আমি এখন কিছুতেই যাবো না বিছানায়।হঠাৎ মনে পড়লো,৩/৪ দিন হয়ে গেল আমার কথা হয়না শাশুড়ীর সাথে।
মনে পড়া মাত্রই ফোনটা হাতে নিয়ে ব্যালকনিতে চলে আসলাম।
শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো।
ছোটবেলাতেই বাবা-মা হারিয়ে চাচার সংসারেই বড় হয়েছি।
চাচা-চাচী খুব যে তাকে অনাদর করতো এরকমটা নয়;তাই বলে বাবা-মায়ের মতো আদর অত্যন্ত পাইনি।যেটা পেয়েছে অনিকের সংসারে এসে অনিকের বাবা-মায়ের কাছ থেকে।
অনিক চাকুরী সূত্রে শহরে থাকলেও তার বাবা-মা এখনো গ্রামেই আছেন।মেহেরীমা অবশ্য চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার তাদেরকে শহরে নিয়ে আসার জন্য।কিন্তু তারা নাছোড়বান্দা,ভিটে-মাটি ছেড়ে কিছুতে শহরে আসবে না।
তাই প্রতি ২মাস অন্তর অন্তর অনিক আর মেহেরীমা যায় গ্রামের বাড়িতে কিংবা মেহেরীমার শ্বশুর শাশুড়ী আসে শহরে অনিকের বাসায়।
এইবার প্রায় ৩ মাস হয়ে যাচ্ছে কেউ কারো বাসায় যেতে পারছে না।
এদিকে অনিক অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকে আর ঐদিকে গ্রামে এখন ফসল ঘরে আনার সময়।অনিকের বাবার বেশকিছু জমি-জামা আছে,এলাকার কিছু কৃষককে দিয়ে চাষ করায় সে।
সেখান থেকেই অনেক শস্যাদি আসে প্রতি বছর।তাই এই সময়ে তার বাবার তদারকিতে এসব ফসল ঘরে আনা হচ্ছে।এই মৌসুম শেষ না হতে তারাও আসতে পারছে না শহরে ছেলের বাসায়।
প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গেছে শাশুড়ির সাথে কথা বলে যাচ্ছি।
সংসারের বিভিন্ন হাল-চাল,নিজের কথা, কথা,শ্বশুর-শাশুড়ীর শরীর স্বাস্থ্যের কথা,ফসলাদির কথা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর অনিকের কথা জিজ্ঞেস করতেই,আমি বলে দিলাম অনিক ঘুমাচ্ছে আম্মা।
শাশুড়ী বউ-মা একবার ফোনে কথা বলতে শুরু করলে থামার যেনো নামই থাকে না।
ব্যালকুনিতে অনিকও এসে দাঁড়িয়েছে এই মাত্র।আমি তাড়াতাড়ি আম্মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফোন কেটে দিলাম।কারণ একটু আগেই বলেছি অনিক ঘুমায়,এখন যদি অনিকের কোনো কথা শুনতে পায় তাহলে শাশুড়ীর কাছে আমি লজ্জায় পড়ে যেতাম।
ব্যালকনিতে আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ঝিরিঝিরি বাতাসে আকাশের তারা দেখতে বেশ লাগছিল।
কিন্তু অনিক এসেছে তাই আমার আর সেখানে থাকতে ইচ্ছে হলো না।
ফোনটা নিয়ে রুমের দিকে চলে আসতে যাচ্ছি।
আচমকা অনিক আমার হাতটা টেনে নিয়ে এক ঝটকায় আমাকে নিয়ে এলো একদম ওর বুকের কাছে।দু’হাতে আমার পিঠ আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে আমার মাথা চেপে ধরে রাখলো ওর বুকে। আর ও চোখ বন্ধ করে ওর থুতনি আমার মাথার উপর ঠেকিয়ে রেখেছে।
আমার যখন খুব বেশি মন খারাপ থাকে।তখনই অনিক এই কাজটা করে।
আমার আর ওর উচ্চতা এমন একটা লেভেলে যে আমি আর ও সামনাসামনি দাঁড়ালে আমার মাথা ওর বুক পর্যন্ত আসে।ওর প্রশস্ত লোমশ বুকে মাথা রাখলে আমার মন খারাপও উধাও হয়ে যেত।
আমি বেশ জোরাজোরি করছি ওর বাহুডোর থেকে মুক্তি পাবার,কিন্তু ওর শক্তির সাথে পেরে না উঠে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি।
আর ওর বুক যে আমার স্থায়ী ঠিকানা।এখানে না থাকলে থাকবো কোথায়!
কিন্তু আজ ওর এই নিবিড় আলিঙ্গনও আমার মনকে শান্ত করতে পারছে না।
তবুও চুপচাপ ওর বুকে মুখ গুজে দাঁড়িয়ে রইলাম।
কিছুক্ষণ পর অনিক চোখ খুললো।
ওর দু’হাত দিয়ে আমার দু’গালে ধরে আমার মুখটা তুলে ধরলো,
–জানি তুমি রাগ করে আছো।তোমার কন্ঠ শুনলেই আমি বুঝতে পারি কখন তুমি অভিমানে থাকো,কখন তোমার মন খারাপ থাকে।
আমি জানি এখন তোমার প্রচন্ড মন খারাপ কিন্তু কারণটা আমি জানি না।তোমার মন খারাপের কারণ যদি আমি হয়ে থাকি তাহলে, মেহের আই’ম স্যরি।দুপুরে তোমার কল….
অনিকের কথা বলার মাঝপথেই আমি ওর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চিৎকার করে উঠলাম।
–স্যরি!কিসের জন্য স্যরি?কোন কোন কাজের জন্য স্যরি!
–দুপুরে তোমার ফোন রিসিভ করতে পারিনি সময়মতো।গত ৪ বছরে রুটিনকে আমি ভেঙে দিয়েছি।দেখো আমি যে ইচ্ছে করে এটা….
ওর এই কোমল বিনীত কথা বলার ভঙ্গি দেখে আমার মাথায় আগুন ধরে যাচ্ছে।আবারও ওর কথা মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে চেচিয়ে বললাম,
–রাখো তোমার দুপুরের ফোন!ঐটা তো ছিল মামুলি ব্যাপার।
আমার চোখের সামনে আমার সংসারেই তুমি কি করছো আমি কি দেখছি না ভাবছো?
–মানে?
–ওহ্,এখন তো কিছুই বুঝবা না। আমাকে ধোঁকা দিচ্ছো আবার এমন ভাবে কথা বলছে যেনো ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না!বাহ্ অনিক বাহ্!
–তুমি কি বলছো এসব মেহের!আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।আমি কিভাবে তোমায় ধোঁকা দিলাম।
ওর ন্যাকামি দেখে রাগে আমার মাথা জ্ঞানশূন্য হয়ে যাচ্ছে।চোখ দিয়ে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দ্বিগুন স্বরে চেচিয়ে উঠলাম,
–তুমি কি ভাবো,আমার চোখে কিছু আটকায় না?আমি কি অন্ধ নাকি অবুঝ?বলো?
তুমি আর তরী মিলে আমার সাথে যে খেলায় মেতেছ,তা বন্ধ করো নাহয় আমি দু’জনকেই জেলের ভাত খাওয়াবো।
–আমি আর তরী!
–হ্যাঁ হ্যাঁ তুমি আর তরী।
এখন তো আমাকে আর ভালো লাগে না তোমার।পুরাতন হয়ে গেছি যে।তরীকএ তো খুব ভালো লাগে তাইনা?
ওর জন্য প্রতিদিন এটা সেটা গিফট আনো,কেন আনো বলো?আমি তোমার বউ লাগি তাই তুমি আনো,ও তোমার কি লাগে,ওর জন্যও কেনো সেইম গিফট আনবা?বলো?জবাব আছে কিছু তোমার কাছে?
–………..
–জানি,তোমার কাছে কোনো জবাব থাকবে না।
এতো ঢলাঢলি, এতো হাসাহাসি কিছুই আমার নজরে এড়ায় না বুঝছো?তুমি আসলেই তরী কিভাবে পরিপাটি হয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করে তোমার সামনে সেটাও আমি দেখি!
ওর সামনে বেহায়ার মতো খালি গা দেখাতে লজ্জা করে না তোমার?
আসলে তোমার কাজের কোনো চাপ টাপ নাই।তুমি বাসার বাহিরে বেশির ভাগ সময় থাকো যেনো নির্বিঘ্নে তরীর সাথে কথা বলতে পারো ফোনে।
জানো তরী ফোনের তোমার নাম কি দিয়ে সেভ করা?
“সুইট অনিক”! ওয়াও!সুইট অনিক!
সারাদিন বুঝি তরীর ফোনের অপেক্ষাতেই থাকো?
–………..
–হাহাহা।চুপ থাকা ছাড়া তোমার আর যে কিছুই করার নাই।ধরা পড়ে গেছো তুমি।
অনেক্ক্ষণ চিৎকার করার কারণে আমি অনেক হাপিয়ে গেলাম।সাথে যোগ হলো সংসার ভাঙার সমূহ সম্ভাবনার অনুভূতি।বাহিরে ও ভিতর থেকে একেবারে ভেঙ্গে পড়লাম আমি!যা আমাকে কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে দিল।
কোনো মতে ব্যালকুনির কার্নিশটা ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম
তবে একবার যেহেতু মুখ ছুটিয়েছি,আজ মনে জমে থাকা সব অব্যক্ত অনুভূতিগুলো বের করেই ছাড়বো।যা হবার হোক।অনিক এখনো চুপ করে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরিত নয়নে আমার দিকে চেয়েই আছে।
আমি ওর শান্তু কঠিন চাওয়াকে উপেক্ষা করে
আগের চেয়ে কিছুটা শান্ত কিন্তু দাত কিড়মিড়িয়ে আবারও বলা শুরু করলাম,
–ওহ্ হা,গত রাতে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে কেনো তুমি টিভির রুমে গিয়েছিলে বলো?কি করেছো তোমরা দু’জন?ভেবেছো বউ তো ঘুমিয়ে আছে কেনো না আমি একটু নোংরামি করি তাহলে!তরী তো কচি মেয়ে,খুব বুঝি…
ঠাসসসস!
মেহেরীমার গালে সজোরে একটা থাপ্পড় মেরে, চেচিয়ে উঠলো অনিক,
-স্টপ দিস ননসেন্স ইউ ইডিয়ট !
………
#চলবে