ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2 পর্ব ৩১+৩২

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৩১_পর্ব
.
মনির তুই ভিতরে যা আমার মাহির সাথে কথা আছে..

ক,,,কেনো ও ভিতরে যাবে কেনো থাক না এখানে সম্যসা কি।

মনির আমি তোকে যেতে বলেছি,, যলদি যা।

মেহরাব এর রেগে বলায় মনির ফুরুত করে এক দৌড়ে রুমের বাইরে চলে গেলো।

একটু আগে তুই কি বললি,, আমি রাক্ষস?? আমাকে মরিচ খাইয়ে মরুভূমিতে ছেড়ে আসা উচিত??(মাহির দিকে আগাতে আগাতে বলল মেহরাব)

ন,,না আসোলে এসব গুলো তো আমি,, আ,,আপনি তো কত ভালো (পিছিয়ে কাঁপা সরে বলল মাহি)

ওকে আমি তোকে কিছু বলবো না শুধু বোঝাবো,,, একটা কথা ভালো করে শুনে রাখ মাহি তুই কিন্তু এখন আর ছোট নই তুই বড় হচ্ছিস তাই এসব বাচ্চামো ছেড়ে এবার একটু এডাল্ট হওয়ার চেষ্টা কর,, আর একটু হলেও আমাকে বোঝ,, আমার ভালোবাসাটা বোঝ,, বাই দ্যা ওয়ে, তোর জন্য চকলেট এনেছি এখানে রেখে গেলাম,, (এই বলে মেহরাব চকলেট গুলো টেবিলে রেখে চলে গেলো)

কি হলো এটা?? ওনি এসব কি বলে গেলো, আমাকে বড় হতে বলল?? আরে আমি তো বড়ই, আর আমাকে বড় হতে বলে নিজেই চকলেট দিয়ে গেলো,, বুঝি না বাপু এনার মতিগতি কখন যে কি বলে (এটা বলে মাহি চকলেট খেতে লাগল)

,,,,,,পরশোদিন,,,,,,

মেঘলা এসে অনেক কষ্টে মাহিকে আর বাড়ির সবাইকে রাজি করিয়েছে,,, আর আজকে সবাই মিলে কক্সবাজার যাবে,, মাহির তো ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনেই মনের মাঝে লাড্ডু ফুট ছিলো, কিন্তু মেঘলার থেকে একটু এটেনশন পাওয়ার জন্য এমন করলো।

ওনার যে কি হয়েছে কে জানে, সেদিন এর পর থেকে তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না,, হুম?? ভাব সবই ভাব,,, ভাব দেখলে বাঁচি না আমারও ভাব আছে আমিও আগ বারিয়ে কথা বলতে যাবো না, তাহলে ওনার দাম বেড়ে যাবে। (সবকিছু ব্যাগে ভরতে ভরতে বলল মাহি)

সব কিছু গোছগাছ করে,, সবার থেকে বিদায় নিয়ে মায়ের সাথে বেরিয়ে পড়ল, মেহরাব দের বাড়ির উদ্দেশ্য ওখান থেকেই সবাই একসাথে রওনা হবে,, আর মেহরাব দের গাড়ি যেহেতু ছোট ওখানে ছয় জন সহ ব্যাগ পএ নিয়ে যাওয়া যাবে না তাই ওরা একটা বড় গাড়ি ভাড়া নিয়েছে,,
মাহি গিয়ে দেখলো সবাই গাড়িতে সব কিছু তুলে গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে,।

মাহি তুই আজকেও লেট করলি এটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয় (মেঘলা)

হ্যাঁ মাহি তোমার জন্য আমরা কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি (ইপ্সা)

হয়েছে বাকি কথা গাড়িতে উঠে বলবা এখন সবাই চলো তো (মেঘ)

মাহি আশে পাশে তাকালো কিন্তু কোথাও মেহরাব কে দেখতে পেলো না, আবার লজ্জাই কারো কাছে জিগাসও করতে পারছে না

কি বেপার ওনি কোথায় ওনি কি আমাদের সাথে যাবেন না নাকি (মনে মনে বলল মাহি)

কি হলো মাহি উঠো গাড়িতে আর হ্যাঁ তুমি সামনের সিটে বসো (শুভ)

শুভর কথা শুনে মাহি গাড়িতে উঠে পরলো,, গাড়ির দরজা লাগিয়ে পাশে ডাইভিং সিটে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব অলরেডি ওখানে বসে আছে,, চোখে সানগ্লাস পরে হাতটা স্টিয়ারিং এর উপর দিয়ে সামনে তাকিয়ে আছে। কি ভাব একবারও আমার দিয়ে তাকালো না হম?? তাতে আমার কি আমিও আগ বাড়িয়ে কথা বলবো না হম??

কেউ যেন তার সিট বেলটা লাগিয়ে নেই (মাহির দিকে না তাকিয়ে বলল মেহরাব)

কি ভাব আমার দিকে তাকালো না,, আমিও মাহি আমি সিট বেল লাগাবো না হুম (মনে মনে বলল মাহি)

অনেকক্ষণ হয়ে গেছে তারপরও যখন মাহি সিট বেল লাগানো না তখন মেহরাব বাধ্য হয়ে মাহির দিকে ঝুকে ওর সিট বেল লাগাতে লাগল।

আরে,,,

গাড়িতে উঠে যারা সিট বেল না লাগাই তাদেরকে এক নাম্বারের বলদ বলে (গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলল মেহরাব)

আমি বলদ?? আপনি বলদ, লম্বার উপর খাম্বা একটা বদ লোক (ফিসফিস করে বলল মাহি)

দীর্ঘ ৮ ঘন্টা জার্নির পর অবশেষে ওরা কক্সবাজার পৌঁছালো,,সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।

মাহি তো সারা রাস্তা ঘুমাতে ঘুমাতে এসেছে এখনো অলরেডি ঘুমিয়ে আছে,, গাড়ি হোটেলের সামনে এসে থামলো,,একে একে সবাই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।

আহ কি নির্মল বাতাস যেনো সব ক্লান্তি এক ছুটে পালিয়েছে (মেঘ)

মেহরাব বতল থেকে সামান্য পানি হাতে নিয়ে মাহির দিকে ঝুঁকে ওর মুখে ছিটিয়ে দিলো। ঠান্ডা পানির ঝাঁপটায় মাহি ধরফরিয়ে লাফিয়ে উঠে বসে পড়ল।

এতোই যদি ঘুম লাগে তাহলে আমাদের সাথে আসলি কেনো বাড়িতেই পরে পরে ঘুমাতি (মেহরাব)

এভাবে কেউ কারো ঘুম ভাঙ্গাই?? আমি তো ভয় পেয়ে গিছিলাম।

তোর মতো ভিতুরা তো ভয় পাবেই সবাই তো আর তোর মতো ভিতু নয় এই বলে মেহরাব গাড়ি থেকে নেমে গেলো,, মাহি কিছু বলতে গিয়েও না বলে, ও গাড়ি থেকে নামলো,, তারপর ব্যাগ নিয়ে হোটেলের ভিতর গেলো।
রিসিপশন ডেস্কে গিয়ে সব ফর্মালিটি শেষ করে চারটে রুমের চাবি নিয়ে যে যায় রুমে চলে গেলো,,,মেঘ মেঘলা একরুমে শুভ ইপ্সা এক রুমে মাহি একা এক রুমে আর মেহরাব একা এক রুমে,, তবে মাহির রুমটা মেহরাব এর রুমের পাশেই।

ভাই বলছি কি এটাই তো সুযোগ হানিমুন টা সেরে নেওয়ার কি বল শুভ (চোখ মেরে বলল মেঘ)

মানে??(বুঝতে না পেরে বলল মেহরাব)

মানে হলো চারটে রুম না নিয়ে তিনটে রুম নিলে ভালো হতো না?? সব রুমেই দুজন করে আহ (শুভ)

সেটাপ,,, দুজনের মুখ বন্ধ করবি নয়ত মেরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবো,, (এই বলে মেহরাব নিজের লাগেজ আর মাহির লাগেজটা নিয়ে চলে গেলো)

ওরা সকাল সকাল বের হলেও এখানে আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেছে, তাই যে যায় রুমে একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলের দিকে সমুদ্রে যাবে,, আর সেখানে গোসল করবে,, হোটেলে অবশ্য সুইমিংপুল আছে তবুও সমুদ্র আর সুইমিং কি এক নাকি.

মাহি নিজের রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে পড়ল,, মেহরাব ওর লাগেজ টা রুমের দরজার সামনে রেখে নিজের রুমে চলে গিছিলো।
মাহি কিছু সময় চোখ বন্ধ করে শুয়ে থেকে লাফ দিয়ে উঠে ব্যাগ থেকে একটা আবীর ভর্তি কৌটো বার করে বলল।

এবার দেখবেন মিস্টার লম্বার উপর খাম্বা আমি কি করি,, কীভাবে আপনাকে টাইট দিই, আমাকে ইগনোর করা এবার বোঝাবো মজা (এটা বলে মাহি একটা দুষ্ট হাসি দিলো)

প্রায় বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে পড়ল, আজকে শুধু বিচে আর সমুদ্রে বেড়াবে কালকে সকাল সকাল সেন মার্টিন সহ আর সব খানে যাওয়া যাবে।
যেহেতু সবাই সমুদ্র নামবে তাই সেরকম পোশাক পরেই বার হয়েছে,, হোটেল থেকে সমুদ্র দেখা যায় বেশি দূরে নয় কাছেই,, আর সকালের সানসেট টাও দেখা যায়।

মাহি রুম থেকে বেরিয়ে যেই সামনে যাবে তখনি মেহরাব এর সাথে ধাক্কা খেলো কেননা দুজনেই এক সাথে রুম থেকে বার হয়ছে।

চোখ কি রুমে রেখে এসেছিস?? দেখে চলতে পারিস না (মেহরাব)

ওহ আমি না নয় চোখ রুমে রেখে এসেছি তো আপনার চোখ তো সাথেই ছিলো তাহলে ধাক্কা মারলেন কেনো???

তোর সাথে কথা বলায় বেকার ইডিয়ট একটা,, ( এই বলে মেহরাব চলে গেলো)

যাও যাও একটু পরেই বোঝবে মজা,, #ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৩২_পর্ব
.
সবাই একসাথে বীচে চলে গেলো,,, সবাই পানিতে নেমে আনন্দ করতে লাগল আর মেহরাব চোখে সানগ্লাস দিয়ে সমুদ্রের সামনে বসে সমুদ্রের ঢেউ দেখতে লাগল ও আর পানিতে নামলো না।

এই মেঘলা আপু তোমার ভাই এমন কেনো পানিতে না নেমে ওভাবে একা বসে আছে কেনো??(মাহি)

আমি কি জানি তোদের মধ্যে কি হয়েছে আর ভাইয়া এসব তেমন পছন্দ ও করে না দেখিস না সব সময় কেমন মুডে থাকে (মেঘলা)

তুমি দেখবা আমি ওনাকে পানিতে নামাবো।

কীভাবে???

দেখতে থাকো,, এই বলে মাহি চলে গেলো আর মেঘলাও মাহির কথা বোঝতে না পেরে নিজের মতো মেঘ এর সাথে পানি ছুঁড়া ছুড়ি করতে লাগল,, প্রায় কিছু সময় পর মাহি চিৎকার করে উঠল।

আরে এটা কার চিৎকার মাহির না??(মেঘ)

কিন্তু এতো এখানই ছিলো হঠাৎ করে কোথায় চলে গেলো(মেঘলা)

মেহরাব যেহেতু পানিতে নামিনি তাই ও সমুদ্র থেকে কিছুটা দূরে এই জন্য ওদের কথা শুনতে পাইনি,,, মাহির চিৎকার শুনে সবাই চারিদিকে দেখতে লাগল কিন্তু কোথাও মাহিকে দেখতে পেলো না,, মেঘলা ভয় পেয়ে দৌড়ে মেহরাব এর কাছে আসলো।

কিরে তুই একা আর সবাই কই (মেহেরাব)

ভ,,ভাইয়া মাহি (হাঁফাতে হাঁফাতে বলল)

কি হয়েছে মাহির কোথায় ও (হন্তদন্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল মেহরাব)

জানি না, হঠাৎ চিৎকার করে উঠল তার পর আর ওকে দেখতে পাচ্ছি না।

হোয়াট?? মেঘলার কথা শুনে মেহরাব দৌড়ে সমুদ্রের দিকে গেলো তারপর মাহিকে ডাকতে লাগল,,মেহরাব পানির দিকে তাকাতেই দেখলো লাল লাল কি যেনো,, মেহরাব দৌড়ে পানিতে নেমে সেখানে চলে গেলো,, গিয়ে দেখলো মাহি ওখানে, ওকে কোলে তুলে নিয়ে পাড়ে এনে শুইয়ে দিয়ে মাহিকে ডাকতে লাগল।

মাহি এই মাহি কি হয়েছে তোর, আর এই রক্ত কোথা থেকে আসল,,, (উত্তেজিত হয়ে বলল মেহরাব)

মেঘলা তো প্রায় কেঁদে ফেলবে এমন অবস্থা।

মেহরাব ও হয়ত পানি খেয়ে ফেলেছে ওর পেটে হালকা করে চাপ দে তাহলে হয়ত পানি বার হতে পারে(শুভ)

শুভর কথা শুনে মেহরাব যেই মাহির পেটে চাপ দিতে যাবে তখনি মাহি বলল।

আরে না না চাপ দেবেন না আমি একদম ঠিক আছি,,, আর দেখছো মেঘলা আপু আমি তোমাকে বলেছিলাম না ওনাকে পানিতে নামাবো দেখলে কিভাবে নামালাম,, আর লাল লাল ওগুলো তো আবীর ছিলো (মাহি)

তুই ঠিক আছিস তোর কিছু হয়নি??(মেঘলা)

আরে আমার আবার কি হবে,,,,,আমি তো,,আর বলতে পারলো না তার আগেই মেহরাব ঠাস করে মাহি কে একটা চড় মেরে দিলো।

মেহরাব (মেঘ)

কি মেহরাব তুই এখনো আমাকে থামতে বলবি, নিজের চোখেই দেখলি তো ও কি করলো,আর ওর কি হবে ওতো এগুলো করে সবাইকে টেনশনে ফেলে মজা পাই একবার ও কারো কথা ভাবে না,, বোঝেই না ওর এরকম মজাই আর কারো কি অবস্থা হয় (রেগে লাল হয়ে কথা গুলো বলে মেহরাব চলে গেলো)

আর মাহি গালে হাত দিয়ে কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলল,,আমি কি করলাম সবাই পানিতে কত মজা করছে আর ওনি একা বসে ছিলো এমনিতে ডাকলে তো আসতো না তাই এমনটা করেছি ওনাকে পানিতে নামানোর জন্যই তো এমন করলাম।

এটা তুমি একদম ঠিক করোনি মাহি (শুভ)

হ্যাঁ,, তুমি এতোদিন যেটা করেছো আমি তোমাকে সার্পোট করেছি কিন্তু আজকে তুমি যেটা করলে সেটা মোটেও ঠিক করোনি,, তুমি জানো মেহরাব এর কি অবস্থা হয়েছিলো (মেঘ)

আচ্ছা যা হওয়ার হয়েছে,, এখন এসব বলে আর কোনো লাভ নেই, মাহি তুই উঠ এখন,, সবাই হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিই, আর মাহি ভাইয়া কিন্তু প্রচন্ড রেগে আছে তোকেই সেই রাগ কমাতে হবে,, (মেঘলা)

আমি!!

হুম তুমি,, তবে এখন ওর সামনে যাওয়ার দরকার নেই রাগ একটু কমলে তারপর যেয়ে সরি বলে আসেনি (ইপ্সা)
তারপর সবাই হোটেলে ফিরে গেলো,,

,,,,রাতে,,,,

রাতে সবাই খেতে আসলেও মেহরাব আসিনি সেই তখন রুমে গিয়েছে তারপর আর বার হয়নি আর কেউ সাহস করে ডাকতেও যায়নি,, এদিকে মাহির অনেক খারাপ লাগছে সামান্য মজা করতে গিয়ে আজকে ওনাকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছে,, ভিতরে ভিতরে খুব অনুসূচনা হচ্ছে, তাই রাতে আর ভালো করে খাওয়া হলো না, যেহেতুওরা ছয়জন তাই ছয়জন এর খাবারই দিছিলো মাহি ওখান থেকে মেহরাব এর খাবারটা প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে মেহরাব এর রুমের দিকে গেলো।

একবুক সাহস নিয়ে মেহরাব এর রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর আস্তে করে দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়,, ভিতরে অনেক অন্ধকার, মাহি হাতরে সুইচ টা অন করলো তারপর খাবারটা টেবিলের উপর রেখে সারা রুমে চোখ বুলালো মেহরাব কোথাও নেই,,
বেডে টাওয়াল টা পড়ে আছে, মাহি বাথরুমের দরজা খুলে দেখলো সেখানোও নেই তারপর ব্যালকণিতক গিয়ে দেখলো মেহরাব সেখানে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,
মাহি আস্তে আস্তে মেহেরাব এর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো।

কিছু বলবি??(আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলল মেহরাব)

আরে আজব তো ওনি তো পিছনে ফিরলো না তাহলে পিছনে না ফিরে জানলো কীভাবে যে আমি এসেছি, (মনে মনে কথাগুলো বলে মাহি বলল)

আসোলো আমি আপনার জন্য খাবার এনেছি খেয়ে নিন।

ক্ষিদে নেই খাবারটা নিয়ে যা (মাহির দিকে না ফিরে অনেকটা গম্ভীর সরে বলল মেহরাব)

মেহরাব ভাই তখনকার জন্য আমি,,,

তোকে যেতে বলেছি আর যাওয়ার সময় লাইট টা অফ করে দিয়ে যাবি।

কিন্তু আমি।

যেতে বলেছি তোকে সো যা আমি কথা বলতে চাইছি না এখন। (রাগি কন্ঠে বলল মেহরাব)

অন্য সময় হলে মাহি ভয় পেলেও মেহরাব কে জোর করতো, কিন্তু এখন সে সাহস হচ্ছে না কেননা ভুলটা তো ওরি,, তাই কোনো কথা না বলে মেহরাব এর কথা অনুযায়ী বেরিয়ে গেলো কিন্তু খাবারটা রেখে গেলো।

মানুষের ইমোশন,, ভালোবাসা এগুলো মজার জিনিস নয় মাহি,, একজন মানুষের কাছে তার ভালোবাসার মানুষটা কতটা দামী সেটা তোকে বোঝাবো,,, তোকে ফিল করাবো ভালোবাসার মানুষ জীবন থেকে হারিয়ে গেলে বা সে ইগনোর করলে কতটা কষ্ট হয়, ভিতরে কতটা জ্বলে,,,,
তোর কাছে সবটাই মজা মনে হয়, এবার তোকে বুঝতে হবে কোনটা মজা আর কোনটা ভালোবাসা।

কথাগুলো বলে মেহরাব আবার আকাশের দিকে তাকালো,, আজকে এক মুহুর্তের জন্য শ্বাস প্রশ্বাস আটকে গিছিলো, কিছু সময়ের জন্য যেনো মনে হচ্ছিলো আমি শ্বাস কষ্টে ভুগছি,, যাকে হারাবোর কথা কল্পনাও করতে পারিনা সেই আজকে এমন করল,,

চলবে,,,,,??

(যে গল্পে কোনো থার্ডপার্সন নেই সেখানে তো একটু আধটু মান অভিমান থাকবেই🙂 এবার দেখার পালা মেহরাব কি করে।
কালকে একটা ভুল হয়ে গেলো সানরাইজ লিখতে গিয়ে সানসেট লিখে ফেলছিলাম 😂)

চলবে,,,,,??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here