#তোর_প্রেমেতে_অন্ধ_হলাম
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ১০
অর্নীল আর সিয়া পাশাপাশি বসে আছে। তাদের সামনেই ছোট্ট একটা নদীর মতো। যাতে পানির জোয়ার বয়ে চলেছে আপন গতিতে। মৃদু হাওয়া রয়েছে, যা গায়ে এসে লাগছে। অর্নীলের পাশেই সিয়া বসে আছে। তার মাথা টা অর্নীলের কাধে রাখা আর হাত টা অর্নীলের দুই হাতের ভাজে। দুজনের নজরই সামনে স্থির। এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। মন চাইছে না যে এখান থেকে চলে যাক। মন বলছে সময় টা যদি এখানেই থেমে যেতো তাহলে কতোই না ভালো হতো। কিন্তু সময় প্রবাহমান। তারা বসে ছিলো হঠাৎ অর্নীল বলে ওঠে….
অর্নীল;; সিয়া, কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
সিয়া মাথা তুলে অর্নীলের দিকে তাকায়। অর্নীলের হঠাৎ এমন করা প্রশ্নে সিয়ার কিছু বুঝে ধরে না।
অর্নীল;; বলো না!!
সিয়া;; হঠাৎ এই কথা কেনো?
অর্নীল;; এমনি, মনের মাঝে এলো আর বলে ফেললাম। তুমি বলো না?
সিয়া;; কখনোই না। যদি ছেড়েই যাওয়ার হতো তাহলে আর আপনার হাত ধরতাম না। যেহেতু একবার ধরেছি তো সেখানে ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অর্নীল;; সবসময় আমার পাশে থাকবে? সব রকম সিচুয়েশনে?
সিয়া;; সবসময়।
অর্নীল সিয়ার কপালে চুমু একে দেয়। সিয়া কিছুটা অবাক হয়েই অর্নীলের দিকে তাকায়। মাঝে মাঝে যে কি বলে বসে তা নিজেই জানে না।
অর্নীল হুট করেই সিয়াকে উলটো ঘুড়িয়ে এক হেচকা টান দেয় যার ফলে সে গিয়ে সোজা অর্নীলের কোলে গিয়ে পরে। অর্নীল তার দু হাত দিয়ে সিয়াকে আবদ্ধ করে জড়িয়ে ধরে। সিয়াও কিছু না বলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আধোশোয়া হয়ে থাকে। আর অর্নীলের এক একটা আজগুবি কথা হাসছে।
।
।
অন্যদিকে দোলা তার ভারি ভারি কদম ফেলে সিয়ার রুমের দিয়ে এগোচ্ছে৷ উদ্দেশ্য সিয়াকে বার্থডে উইশ করা। যেতে যেতে একটা সময় পৌঁছেই গেলো সিয়ার রুমে, গিয়ে আস্তে করে দরজা খানিক মেলে দেয়। তাকিয়ে দেখে সিয়া একদম মাথা অব্দি চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে। আসলে সিয়া বলতে সিয়ার নামে চাদরে প্যাচিয়ে থাকা সেই বালিশ গুলো। আর দোলা জানে যে সিয়ার এই মাথা অব্দি চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর স্বভাব টা আছে। দোলা ভাবে সিয়া একদম গভীর ঘুমে আছে। তাই আর ডাক দিয়ে তার কাচা ঘুম টা নষ্ট না করে দোলা এসে পরে,, এই ভেবে যে কাল সকালে উইশ করা যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ দোলা এসে নিজের রুমে চলে যায়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে দোলার চলে যাওয়ার সাথে সাথেই একটা বালিশ গড়িয়ে নিচে পরে যায়। ভাগ্যিস দোলার চোখে সেটা পরে নি তা না হলে ভান্ডা একদম ফুটে যেতো।
বেশ সময় চলে যায়। আর তখন গিয়ে সিয়ার মনে পরে যে রাত বেশ ভারি হয়ে গিয়েছে,, আর তার মা যদি কোন কিছু ভেবে বায় এনি চান্স তার রুমে যায় তাহলে তারপরে যে কি হবে তা আর ভাবতে পারছে না। সিয়া এক ঝটকায় অর্নীলের কাছে থেকে সরে আসে।
অর্নীল;; সিয়া আর ইউ ওকে?
সিয়া;; না, অর্নীল প্রায় দুটো বাজতে চললো আর আমি এখনো বাড়ির বাইরে। আমকে বাসায় যেতে হবে।
অর্নীল;; ভীতুর ডিম, আচ্ছা চলো।
সিয়া;; হ্যাঁ হয়েছে আমি ভীতু। এবার কি আমাকে বাড়ি দিয়ে আসবেন আপনি?
অর্নীল;; আচ্ছা চলো।
সিয়া অর্নীলের আগে আগেই পা ফেলে দ্রুত এসে পরলো। এসে সোজা গাড়িতে উঠে পরে। অর্নীলও গিয়ে গাড়িতে উঠে সাই করে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। প্রায় আধা ঘন্টা পর সিয়ার বাসায় সামনে গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থামতেই সিয়া দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে চলে যেতে ধরতে অর্নীল খপ করে তার হাত ধরে ফেলে৷ সিয়াকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে গালে একটা চুমু দিয়ে দেয়।
অর্নীল;; এবার যাও।
সিয়া মুচকি হেসে গাড়ি থেকে নেমে চলে আসে। বাড়ির মেইন দরজার কাছে গিয়ে সিয়া হাত নাড়িয়ে বিদায় জানায়। তারপর অর্নীল এসে পরে। এবার সিয়া খুব সাবধানে বাড়ির দরজা খুলে ভেতরে যায়। তারপর আবার লক করে এসে পরে। আশে পাশে ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে নেয়। নাহ, কেউই নেই। গুটিগুটি পায়ে সিড়ি বেয়ে ওপরে রুমে যেতে ধরে কিন্তু একটা মোটা গলার আওয়াজে থেমে পরে সিয়া। শুকনো কিছু ঢোক গিলে। আস্তে আস্তে ঘুরে নিজের পেছনে তাকায়। দেখে শিউলি দাঁড়িয়ে আছে কপাল কুচকে। শিউলি কিছুটা সিয়ার কাছে এসে বলে…..
শিউলি;; কিরে কি করিস এখানে? এতো রাতে নিচে কেনো?
সিয়া;; না মানে ওই পানি, হ্য হ্যাঁ পানি খেতে এসেছিলাম আর কি। আমার রুমে ওয়াটার পটে পানি শেষ তো তাই খেয়ে এসেছিলাম।
শিউলি;; ভালো, কিন্তু পায়ে বাইরের জুতো কেনো?
শিউলির কথায় সিয়ার ভেতর টা যেনো কাচের মতো ভেঙে গেলো। এখন কি থেকে কি বলবে আর ভেবে পাচ্ছে না। কি দিয়ে সামলাবে ব্যাপার টা তাই ভাবছিলো তার মাঝেই আবার শিউলির ডাক।
শিউলি;; ওইই ছেরি!
সিয়া;; আরে ধুরু বাইরে না কুকুর গুলো অনেক ঘেউঘেউ করছিলো তাই একবার দেখে আসলাম।
শিউলি;; কি কস?
সিয়া;; 🤦♀️,, আম আ আমি যাই। আমি রুমে যাই। ঘুমাসতে হবে আমার।
শিউলি কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সিয়া এক দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়। রুমে গিয়েই দেখে একটা বালিশ নিচে পরে আছে। সেটা তুলতে গিয়ে সিয়ার কি হাসি। পুরা গোজামিল! কি কি করে যে বাসা থেকে বের হয়েছে। সিয়ার এখন সত্যি সত্যি খুব ঘুম পাচ্ছে। অর্নীল তাকে একদম ঘুম থেকে তুলেই নিয়ে গেছে। সিয়া এবার উপুড় হয়ে শুয়ে পরে। শুতে দেরি কিন্তু ঘুমাতে দেরি না।
।
।
পরেরদিন সকালে সিয়ার ঘুম ভাঙে তার মায়ের কন্ঠে…..
দোলা;; হ্যাপি বার্থডে সোনা।
সিয়া;; 😊,, তোমার মনে ছিলো?
দোলা;; ওমা তো মনে থাকবে না। এখন উঠ উঠ উঠ
সিয়া;; গিফট কই?
দোলা;; কি চাস?
সিয়া;; তুমি কি দিবে বলো?
দোলা;; বিয়ে দিয়ে দেই!
সিয়া;; কিহ?
দোলা;; মজা করছি 😆
সিয়া;; আমি এইসব বিয়ে টিয়ে তে নেই। মানে এখনই কেনো?
দোলা;; আরে এখনই কে বিয়ে দিচ্ছে তোকে।
সিয়া;; হুমম, আজ ক্লাস আছে। কলেজে যাবো।
দোলা;; আচ্ছা তাহলে রেডি হ।
দোলা চলে যায় আর সিয়া অর্নীল কে ফোন দেয়। প্রথমে বেজে কেটে যায় কিন্তু দ্বিতীয় বার ধরে।
সিয়া;; হ্যালো!
অর্নীল;; হুমম।
সিয়া;; কোথায় আপনি?
অর্নীল;; অফিসে আছি।
সিয়া;; সকাল বাজে ৪ঃ৩০, এখন অফিসে? মানে এতো জলদি?
অর্নীল;; ওইতো একটু কাজ ছিলো তাই। তুমি উঠেছ?
সিয়া;; হ্যাঁ, কলেজ যাবো।
অর্নীল;; আচ্ছা যাও তাহলে।
এই বলেই অর্নীল ফোন কেটে দেয়। সিয়া কিছুটা অবাকই হয়। আর কিছুই বললো না ফোন কেটেই দিলো। যাই হোক, দিয়া উঠে চলে যায়। তারপর ঘন্টা খানিক পর কলেজে চলে যায়। কলেজে যেতেই সোয়াদ, সজিব, শান্তি আর অনু সিয়াকে এক প্রকার আকড়ে ধরে। সবাই একসাথে হ্যাপি বার্থডে উইশ করে। আর সিয়ার ওপরে কিছুটা পার্টি স্প্রে দিয়ে দেয়। সিয়া তো সেই খুশি।
সিয়া;; হারামি গুলা তোদের মনে ছিলো!
অনু;; তো থাকবো না। তুমি মিয়া ট্রুট দাও। তাও দুইটা।
সিয়া;; দুইটা?
শান্তু;; এক বার্থডে এর জন্য আরেক প্রেম করার জন্য।
সিয়া;; হায়রে।
সোয়াদ;; এই আজকে কিন্তু প্রফেসরের ক্লাস আছে।
সজিব;; ওই যে ওই টাক্কু? আল্লাহ, আমি তো কোন প্রিপারেশন কিছুই নেই নাই রে।
সিয়া;; ওই বুইড়া ধাম। আরে বাদ দে তো৷ কি করবো আর বেশি হলে ক্লাস থেকে বের করে দিবে।
দিবো নি, ওর ক্লাস করার থেকে বের হয়ে যাওয়াই ভালো।
সবাই হেসে দেয়। তরপর একসাথে ক্লাস চলে যায়। দিয়া অনু শান্তি এক ব্রেঞ্চেই বসে পরে৷ তার কিছু সময় পর প্রফেসর আসে। বাপরে বাপ কি গম্ভীর মুখ। যাই হোক এসে কোন কথা না বলে হাতে থাকা পেপার গুলো ডেস্কের ওপর রেখে চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরেই বোর্ডে লিখা শুরু করে।
অনু;; ওই ওই
সিয়া;; কিতা?
শান্তি;; কিরে স্যারের লিখা কিছু বুঝোস?
সিয়া;; কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং।
অনু;; রাগি রাগি লাগতাছে আইজকা বুইড়া রে।
সিয়া;; হেহেহেহে, নিশ্চিত বউ এর সাথে মহাভারত হইছে।
শান্তি-অনু;; 😆😆
ক্লাসে ফিসফিস আওয়াজ শুনে প্রফেসর দেয় সবাইকে এক ধমক। কি আর সরাই মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে লিখা শুরু করে। তবে ক্লাসের টাইম বেশি একটা যেতে না যেতেই অর্নীল এসে সোজা সিয়ার ক্লাস রুমে ঢুকে পরে। অর্নীল কে দেখে ক্লাসের সবাই দাঁড়িয়ে পরে। প্রফেসর নিজেও থেমে যায় অর্নীল কে দেখে। কিন্তু এদিকে সিয়া এক মনে লিখেই যাচ্ছে। তাকে দেখে অনু সিয়াকে কুনি দিয়ে ধাক্কা দেয়। সিয়া সামনে তাকায় দেখে অর্নীল। অর্নীল কে দেখে সিয়া দাঁড়িয়ে পরে। সাথে অবাকও হয়। সিয়া খেয়াল করে দেখলো শান্তি আর অনু কে বাদ দিয়ে ক্লাসের বাকি সব গুলো মেয়েই তাকিয়ে আছে অর্নীলের দিকে। যা দেখে সিয়ার মাথায় ধুপ করে আগুন জ্বলে উঠলো। অর্নীলকে দেখেই প্রফেসর এগিয়ে যায়।
প্রফেসর;; আরে অর্নীল স্যার যে আসুন আসুন। আপনি এখানে? আপনি আসবেন তা আগে বলতেন আমরা সব এরেঞ্জমেন্ট করে রাখতান।
অর্নীল;; না না ইট”স ওকে। আমি এখানে একজন কে নিতে এসেছি আসলে।
প্রফেসর;; জ্বি কাকে?
অর্নীল আর কিছু না বলেই সিয়ার সামনে গিয়ে দুই হাত ভাজ করে দাঁড়ায়। সিয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের দুই ভ্রু খানিক নাচায়।
অর্নীল;; সিয়াজান চলো।
এটা বলেই অর্নীল সিয়ার হাতে ধরে নিয়ে আসে। সিয়া শুধু কোন রকমে নিজের ব্যাগ টা কাধে নেয় তারপরেই এসে পরে। সবাই অবাক হয়ে এক মনে তাকিয়ে ছিলো তাদের দিকে। অর্নীল তা টের পেয়ে আবার তার পেছন ঘুড়ে তাকায়৷ সবার উদ্দেশ্যে কিছুটা জোর চিল্লিয়ে বলে ওঠে….
অর্নীল;; হুয়াট? যার যার কাজ করুন সবাই।
অর্নীলের এই বলে চলে যেতেই সবাই দ্রুত নিজের সীটে বসে পরে। তারপর আবার ক্লাসে মনোযোগ দেয়। অর্নীল সিয়াকে নিয়ে বাইরে এসে পরে।
সিয়া;; অর্নীল হয়েছি কি? আপনি এভাবে নিয়ে এলেন কেনো?
অর্নীল;; ক্লাস করতে হবে না। আমাকে টাইম দাও তাহলেই হবে।
সিয়া এবার দাঁড়িয়ে পরে। অর্নীল ঘুরে তার দিকে তাকায়।
অর্নীল;; কি? চলো।
সিয়া;; এইটা কোন কথা। তাই বলে আপনি আমাকে ক্লাস থেকে সোজা নিয়ে এসে পরবেন।
অর্নীল;; তা না হলে কি তুমি নিজে উড়ে উড়ে আসতে!
সিয়াকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই অর্নীল তাকে নিয়ে এসে পরে। কি আর এখন অর্নীল শুধু সিয়াকে নিয়ে ঘুরবে। তবে ওদিকে দোলা বাইরে কাজ করছিলো তখনই তার নজর যায় বাইরে থাকা আউট ক্যামেরার দিকে। অর্থাৎ বাড়িতে কখন কে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, সব দেখা যাবে। দোলা কিছু একটা মনে করে সেই ক্যামেরা চেক করতে থাকে। দোলা সব রেকর্ড চেক করে দেখে। তবে গতরাতের ফুটেজ চেক করতেই দোলার কপালের চিন্তার ভাজ পরে। রাত বারো টার খানিক পরে সিয়া বাইরে গিয়েছিলো। আর যখন আসে তখন বাজে ১ঃ৪৭ এর মতো। মানে এই সময় টুকু সিয়া বাইরে ছিলো। তবে যে দোলা সিয়ার রুমে গিয়ে তাকে দেখলো সে কে ছিলো। নাকি চাদরের নিচে কোন কিছু দেওয়া ছিলো। আর সিয়া বাইরে এতোক্ষন কার সাথে ছিলো? কোথায় ছিলো? এই চিন্তা-ভাবনা গুলো যেনো দোলার মাথায় এসে ভর করে। দোলা ঠিক করে যে আজ সবকিছু সোজা সাপটা সিয়ার মুখ থেকেই শুনবে। দোলা ভেতরে চলে যায়।
কয়েক ঘন্টা পর যখন সিয়া বাসায় আসে তখন হলরুমে যেতেই দেখে টেবিলের ওপর একটা পিংক কালারের গিফট র্যাপার মুড়ানো। যা দেখে সিয়া খুশিতে গদগদ হয়ে যায়। সিয়া দ্রুত গিয়ে সেটা খুলতে ব্যাস্ত হয়ে পরে আর খুলেই দেখে সিয়ার ছোট বেলার সব ছবি গুলো এক ফ্রেমে বন্দি করা। অনেক সুন্দর একটা ফ্রেমে। যাদের মাঝে সিয়া আর তার মায়ের একটা ছবি। অনেক কিউট। এটা দেখে কেনো জানি সিয়ার চোখে টা হালকা ভিজে ওঠে। তখনই দোলা আসে।
সিয়া;; থ্যাংক ইউ মা।
দোলা;; হুমমম। আচ্ছা শোন না। সিয়া তোকে কিছু জিজ্ঞেস করার আছে আমার। প্লিজ সব সত্যি সত্যি বলিস।
সিয়া;; কি যে বলো না মা। অবশ্যই বলবো। তুমি জিজ্ঞেস তো করো।
দোলা সিয়াকে নিজের পাশে বসে খুব শান্ত ভাবেই জিজ্ঞেস করে।
দোলা;; সিয়া মা, তোর জীবনে কি কেউ আছে? মানে তুই কি কাউকে ভালোবাসিস?
সিয়া;; হ্যাঁ 🙂
দোলা;; কাকে?
সিয়া;; অর্নীল কে।
সিয়া এবার দোলার চোখে নিজের চোখ রাখে। যা সত্যি তাই বলেছে সে, এখন জানে না কি হবে।
।
।
।
।
চলবে~~