#সম্পর্কের__দেয়াল
#Writer_AnaHita_Ayat_SumaiYa
#এক্সট্রা_পার্ট
দিশার বুদ্ধি টা ভালো ভাবেই মনে ধরে রিমির। তাই ভালো করে পুরো বিষয় টা অনুধাবন করে সে। তারপর ঠোঁটের কোন এক চিলতি হাসি ফুটিয়ে তুললো। এই হাসি ভয়ংকর! একটা জলজ্যান্ত মানুষ কে মেরের ফেলার প্রবল আক্রোশ থেকে জন্ম নেয় এই হাসি। তার হাসি দেখে অন্য মানুষ টাও বুঝতে পারলে তার আইডিয়া এবারো ও বেস্ট ছিলো। অবশ্য বেস্ট ছাড়া কোনো কথাই তো নাই তার জীবনে!
‘কিন্তু কিভাবে?’
‘আমরা মানে মানুষ রা সাধারণত অসুস্থ হলে যাই কোথায়?’
‘কেন ডাক্তার কাছে!’
‘ইয়েস রাইট।’
‘কিন্তু ডাক্তারের কাজ তো অসুস্থ কে সুস্থ করা কাউকে মারবে কেন?’
‘তুই একটা জিনিস ভাব একজন পেশাদার ডাক্তার যদি মৃত প্রায় রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে তাহলে জীবন্ত কাউকে মারতে কেন পারবে না!’
‘মানে…!’
‘বুঝিয়ে বলছি!’
দিশা পুরো ব্যাপার টা বুঝিয়ে বলতে লাগলো। আর ঐ মানুষ টা ভালো করে সেটা মস্তিষ্কে ধারণ করতে ব্যস্ত। অন্যদিকে পাভেল তার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী কে না পেয়ে ভাবলো ফোন দিবে পকেটে হাত দিয়ে দেখে ফোন ও সে নিয়ে আসে নি। রাগ ঘুরে ফিরে নিজের উপরেই উঠছে। এই মুহূর্তে বাড়ি চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই তাই সে বাড়ির দিকে হাঁটা ধরে।
অনেক্ষণ বুঝানোর পর দিশা বললো,
‘এবার বুঝেছিস?’
‘হুম একদম।’
‘তাহলে তো হয়ে গেলো কেল্লাফতে! চিন্তা না করে জাস্ট চিল মার বনু!’
‘হু চিল..!’
দুজন সমস্বরে হাসলো। দুপুরে খাবার দিশার বাসায় খেয়ে দুজন ই রেডি হয়ে নেয়। দুজন কে দেখে দিশার মা বুঝলেন তারা কোথাও যাচ্ছে! তাই তিনি বললেন,
‘কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি?’
‘আন্টি একটু জরুরি কাজ আছে আমার। ভাবলাম একা না যাই তাই দুজন ই যাচ্ছি!’
‘আচ্ছা সাবধানে যেও!’
‘জ্বি আন্টি!’
সম্মান সূচক সালাম দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় দুজন। একটা সিএনজি নিয়ে সোজা হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা না দেয়া।
পাভেল কে হতাশ মনে একা বাড়ি ফিরে আসতে দেখে মায়ের বুঝতে বাকি রইল না যে সে তার কাঙ্ক্ষিত মানুষ টা কে পায় নি। তিনি খুশি হলেন কি না তা সচরাচর বুঝা গেলো না। চোখ রাঙিয়ে বলতে লাগেন,
‘এই মেয়ে কে হাড়ে হাড়ে চিনা হয়ে গেছে আমার। মিনিট কয়েকের মধ্যেই উধাও হয়ে গেছে দেখলো?’
‘তো তোমার কি মনে হয় মা ও ছোট বাচ্চা? হাতের আঙ্গুল ধরে ধরে ওকে হাঁটাহাঁটি শিখাতে হবে?’
উনি চুপসে গেলেন। কেন জানিনা এখন নিজের ছেলে কেও সহ্য হয় না। ছেলের বউ তো দূরের ব্যাপার। পাভেল রেগে কর্কশ গলাতেই বললো,
‘আমার আর রিমির ব্যাপারে তুমি আর এসো না মা। ভালো লাগে না আমার। যদি তোমার একান্তই বেশি সমস্যা থাকে তাহলে আমাদের দু চোখে যেদিকে যায় সেদিকেই চলে যাবো!’
‘আগে ঐ মেয়ে আছে কোথায় সেটা বের করতে পারলে তবে তো?
একটু পর তার মায়ের এই তিক্ত কথা নিচে নামতে নামতে শেষ পর্যায়ে চলে যাবে তাই সে রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ভাবছে ও কোথায় গেলো! অতঃপর ফোন টা হাতে নিয়ে কল দেওয়ার ট্রাই করতেই শুনা গেলো রিং যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফোনের রিংটোন টা ঘরের মধ্যেই বেজে উঠলো। সে উঠে গিয়ে ফোন টা হাতে নিয়ে গম্ভীর মুখে বসে রইল। গেছে তো গেছে এটলিস্ট ফোন টা তো নিয়ে যেতে পারতো তাও নেয় নি! এবার তার কি রিয়েকশন দেওয়া উচিত নিজেই কনফিউজড! এভাবে করে দুপুর ও গড়িয়ে যায়।
————————
সিএনজির ভাড়া চুকিয়ে দুজন হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে মানুষের কলকালি শোনা যাচ্ছে। তারা দুজন যায় একজন উন্নতমানের নয় এমন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার তাদের দুজন কে দেখে কোমল কন্ঠে বললো,
‘বসুন!’
বসলো দুজন। এবার ডাক্তার চশমার গ্লাস দুটি নরম পাতলা কাপড় টি দিয়ে মুছে দু চোখের ঠিক মাঝখানে বসিয়ে দিয়ে বললো,
‘বলুন কার কি সমস্যা?’
ডাক্তারের কথার প্রতি উত্তরে দুজন দুজনার দিকে তাকায়। দিশা ইশারা করলো রিমি কে বলতে। যেহুতু এতো উন্নত মানের ডাক্তার ও নয় তাই সে সাহস করে বলে বসলো।
‘আসলে আমি প্যারালাইসিস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। কোনো এমন ঔষধ আছে কি যা খাইয়ে দিলে একটা মানুষের হাঁটা চলা ও কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবে। আই মিন বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে। এন্ড লাস্ট পর্যায়ে মরে যাবে এমন!’
ডাক্তারের কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো কথা টা বুঝতে। আর কয়েক মিনিট লাগলো নিজের মন মানসিকতা পেরিয়ে ক্ষুব্ধ হতে। রাগান্বিত হয়ে ঝাঝালো কন্ঠে বললো,
‘হোয়াট রাবিশ। আপনি জানেন আপনি কি বলছেন?’
‘ইয়েস আই নো!’
‘বাহ। আমার সামনে বসে অতি গর্বের সাথে জিঙ্গেস করছেন কাউকে কিভাবে মেরে ফেলা যায় হু দ্যা হেল আর ইউ!’
অবস্থা বেগতিক দেখে দিশা বললো,
‘কুল ডাউন ডক্টর। আপনি ততোটাও উন্নত নয় যে আপনাকে এই ব্যাপারে জিঙ্গেস করা যাবে না!’
‘হোয়াট ডু ইউ মিন?’
‘আই মিন টু সে দ্যাট আপনার এই রিয়েক্ট করা উচিত নয়। আমাদের কে আমাদের প্রশ্নের উত্তর টা বুঝিয়ে দিন তার বদলে আপনি কিছু টাকা কড়ি পাবেন যদি চান তো!’
‘হ্যাঁ ও ঠিক বলছে। আমাদের মধ্যে কথাবার্তা গুলো হোক গিভ এন্ড টেকনোলজি পলিসি।’
ডাক্তারের রাগ চরম শীর্ষে গিয়ে পৌঁছালো,
‘আপনাদের সাহস দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না। আমার সামনে বসে আমাকেই টাকার গরম দেখাচ্ছেন। লিসেন, আমি ডক্টর কোনো মানুষ খুনি নই। আমার কাজ মানুষ কে সেবা দিয়ে সুস্থ করা মেরে ফেলা তো একেবারেই নয়। আপনারা এখন আসতে পারেন নয়তো আমি পুলিশ ডাকতে বাধ্য হব!’
‘তার চেয়ে বরং বলতেন আপনি জানেন ই না!’
‘এতোক্ষন ভাবছিলাম আপনারা বেয়াদব এখন তো দেখি ভারী অসভ্য ও!’
‘মাইন্ড ইউর লেংগুয়েজ ডক্টর!’
‘হাহা। হাস্যকর! বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু সত্যি ই পুলিশ ডাকবো!’
‘আচ্ছা কিসের সাপেক্ষে আমাদের পুলিশে দেবেন?’
‘কাউকে মারতে চাওয়ার অপরাধে!’
দিশা আর রিমি একে অপরের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো। ডাক্তারের রাগ আরো বেড়ে যায়।
‘আপনাকে বুদ্ধিমান ভেবেছিলাম বাট আপনার মাথায় তো দেখছি বুদ্ধির ছিটে ফোটা ও নেই!’
‘মানে?’
‘মানে এটাই আমাদের দুজনের মধ্যে একজন ও বলেছি যে, আমরা কাউকে মারতে চাচ্ছি? আমার তো জাস্ট জানতে চেয়েছি দ্যাট্স ইট!’
ডাক্তার বুঝলো মেয়ে দুটি ভীষণ ঘাড়ত্যাড়া। ত্যাড়ামি করেই যাবে!
‘আপনারা যাবেন কিনা?'(নিজের আসন থেকে রাগে গর্জে উঠে বললো!)
‘যাচ্ছি যাচ্ছি! অতি রাগ ভালো নয়!’
এক জোড়া চোখ আড়াল থেকে আড়ি পেতে ৩ জনার ই সব কথা শুনে নিলো। তার নাম কবির। কবিরের বউ গর্ভবতী। ডাক্তার তার অবস্থা দেখে বলে দিয়েছেন সিজার করিয়ে নিতে হবে অন্যথায় মা ও বেবি দুজন এর জীবন ই সংকটে পড়তে পারে। সিজার করানোর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা কবিরের কাছে নেই। হাজার ত্রিশ এক টাকার বিশাল ঘাটতি! কবির ঝটপট যা বুঝার বুঝে ও ফেললো। এন্ড তার মনে হলো ওই টাকার ঘাটতি পূরণের এই তো চূড়ান্ত সুযোগ! যা দিয়ে তার গর্ভবতী স্ত্রীর সিজার করিয়ে নেওয়া যাবে। ফলে ডেলিভারি সম্পূর্ন ভাবে হয়ে যাবে ওই টাকা দিয়ে। এই সুযোগ হাত ছাড়া করা কোনো বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়! তাই তার মনে দুষ্টু বুদ্ধির উদয় হয়!
ডাক্তারের চেম্বার থেকে দিশা আর রিমি বের হলে কবির তাদের সামনে গিয়ে হাজির হয়। ওরা দুজন সামনে হাজির হওয়া ব্যক্তি টা কে দেখে কিছু টা অবাক হয়। ঐ ব্যক্তি সেটা বুঝতে পেরে বললো,
‘আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি। এবং আমি ই একমাত্র আপনাদের সাহায্য করতে পারি!’
এই কথা শুনে দুজন আরো অবাক হয়। উৎফুল্ল হয়ে জিজ্ঞেস করে বসলো,
‘কিন্তু আপনি কে আর কিভাবে সাহায্য করবেন?
‘আমি কবির আপনারা?’
তাদের দুজনের মনে হলো তাদের নাম বলার কি দরকার। কিছুক্ষণ পর মত পাল্টে গেলো,
‘আমি দিশা আর ও আমার বান্ধবী রিমি! ব্যাস আপনার আর কিছু জানার দরকার নেই কিভাবে সাহায্য করতে পারবেন তা বলুন!’
কবির সব কিছু খুলে বললো কিভাবে সে সাহায্য করবে। সে অন্য এক ডাক্তারের এ্যাসিসটেন্ট তাই প্যারালাইসিস এর ব্যাপারে জেনে নেওয়া তার জন্য খুব একটা কঠিন কাজ নয়। দিশা আর রিমি সব টা বুঝতে নিলো ক্ষণিকের মধ্যে তাদের চাওয়া উপযুক্ত উত্তর এই কবির দিতে পেরেছে। কবিরের আইডিয়া টা মনে গেঁথে গেছে শক্তপোক্ত ভাবে এবং মনে হচ্ছে আর কোনো ব্যক্তি এই কঠিন কাজ এতো সহজ করে করতে পারবে না। দুজন কে চুপ থাকতে দেখে মানুষ টি বললো,
‘আপনাদের সাহায্যের জন্য আমাকে আমার তো প্রাপ্য কিছু দিতে হবে!’
‘হুম তা তো জানি। কতো দিতে হবে বলুন!’
‘ত্রিশ হাজার টাকা!’
রিমি মুখ ভার করে বললো,
‘আমার কাছে তো বিশ হাজার এর মতো আছে বাকি দশ হাজার?’
এই প্রশ্নের প্রতি উত্তরে অন্য জন বলে,
‘বিপদে বন্ধুর পরিচয় আমি আছি কি করতে রে? ঐ দশ হাজার ও ম্যানেজ হয়ে যাবে!’
তাদের দুজনের কথা শুনে তৃতীয় ব্যক্তি বললো,
‘ব্যাস তাহলে তো হয়েই গেলো!’
কবিরের কথা বার্তা বেশ বন্ধুত্ব সরূপ। দিশা আর রিমির মনে হলো এই লোক কে বিশ্বাস করা ই যায়। দুজনের মধ্যকার একজন হেসে বলে উঠলো,
‘আপনার ডাক্তার বাবু রা তো কেউই আমাদের সাহায্য করতে রাজি হতো না। আপনি কিভাবে রাজি হলেন?’
কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে সে হেসে বললো,
‘জীবনের এই দীর্ঘ পথে চলতে গেলে টাকার প্রয়োজন যা বলার বাধ্যবাধকতা রাখে না। এই টাকা প্রত্যেক মানুষের জীবনে হিরার মতোই মূল্যবান। আপনার কাছে টাকা আছে তো আপনার জীবনে সব আছে। ঠিক তেমনি আমার ও টাকা প্রয়োজন। তাই ডাক্তার সাহেব দের মতো এতো ভালো হয়ে থাকতে পারলাম। এত্তো বড় ভালো কিছুর জন্য একটু খারাপ তো হওয়া ই যায় তাই না?’
মুগ্ধ হয়ে পুরো কথা টা শুনলো দুজন। শেষে এক সঙ্গে তিন জন ই হেসে উঠলো। এই হাসার মাঝখানে দিশার ফোন বেজে উঠে। ফোনের স্ক্রীনে ভেসে আসছে রিমির স্বামী পাভেলের নাম। জিঙ্গাসুক দৃষ্টি তে বাকি দুজন ব্যক্তি তাকিয়ে আছে তার দিকে। তাই সে একজন কে উদ্দেশ্য করে বললো,
‘রিমি তোর বর পাভেল ভাইয়া কল দিয়েছে!’
কবির বুঝলো পাভেল রিমির স্বামীর নাম। তার মানে রিমি বিবাহিতা। অন্যজনের ব্যাপারে বুঝলো না। কবির বললো,
‘তাহলে এই কথাই রইল। আপনারা নাহয় এক সপ্তাহ পরেই আবার আমার সাথে দেখা করুন। আপনাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর এবং ঔষধ পত্রের লিস্ট আপনারা পাবেন এন্ড আমি..!
তাকে বলার মধ্যে থামিয়ে দিয়ে একজন বললো,
‘আপনি পাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত টাকা!’
কবিরের থেকে বিদায় নিয়ে দুজন হাসপাতাল থেকে বের হয়। পাভেলের ফোন বাজতে বাজতে একবার কেটে যায় দ্বিতীয় বার এর সময় রিসিভ করে দিশা। অবশ্য রিমির থেকে জেনে নিয়েই সে এটা করেছে।
————————–
পাভেল অনেক ভেবে ও কোনো কুল কিনারা নের করতে পারেনি ঠিক তবে রিমির ফোন ঘাটতে ঘাটতে দিশার নাম্বার পেয়ে যায়। এক মুহুর্তের জন্য মনে হলো একবার দিশা কে ফোন দিয়ে জিঙ্গেস করা যেতেই পারে। তাছাড়া রিমির পর কোথাও যাওয়ার ও নেই। সব পথ বন্ধ সে নিজেই করে দিয়েছে। তো সেই অনুযায়ী কল দেয়। একবার কেটে যায় পরের বার রিসিভ করা হয়। পাভেল দিশা কে কেমন আছে তা জিঙ্গেস করে গেলো গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট এ।
‘আপু আসলে রিমি রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো আপনাদের এখানে গিয়েছে কি? আসলে খুব টেনশন হচ্ছে আপু!’
পাভেল কে দুঃখ কাতর দেখাচ্ছে। অনেক্ষণ কথা বলার পর বললো যে রিমি তার সাথেই আছে এবং ঠিক আছে। পাভেল তার মায়ের হয়ে নিজেই সরি ও বললো। কথার ফাঁকে অনেক হাসাহাসি ও হলো। পাভেলের উপর থাকা রিমির রাগ ভাঙ্গলো। এবং শেষে বললো রিমি কে যথাসময়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিবে। তারপর কল কেটে দেয়। পাভেল স্বস্তি পেলো কিছু টা… তবো চাকরির চিন্তা টা মাথায় ঘুরপাক খেয়ে যাচ্ছে প্রবল বেগে!
চলবে_______________
[বি. দ্রঃ আমি ব্যবসায় শাখার একজন স্টুডেন্ট। ডাক্তারি বিষয় সম্পর্কে এতো গভীর কিছু জানিনা তাই অভিজ্ঞ যারা আছেন আপনারা আমার ভুল ভ্রান্তি থেকে থাকলে ক্ষমা করবেন!]
গল্প নিয়ে কিছু কথা……
আই হোপ আপনারা এই লিখা টা পড়বেন। প্রথমত এই গল্প টি আমার লেখা প্রথম। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার ধারণা ছিলো এই গল্পে খুব বেশি একটা রেসপন্স পাবো না। তাই ঠিক করেছিলাম এই গল্প ১০ পর্বের মধ্যেই শেষ করে দিবো। কিন্তু আপনাদের মন্তব্য ও রেসপন্স এর ভিত্তিতে আমার মত পাল্টে যায়। এই পর্যন্ত যা রেসপন্স পেয়েছি তার জন্য অশেষ শুকরিয়া। আপনাদের ও অসংখ্য ধন্যবাদ। কেননা আমি এটা আশা ও করিনি।
দ্বিতীয়ত আপনাদের মন্তব্য ছিলো আমাকে আমার মতো করে লিখে যেতে এবং পাভেল আর রিমি কে কঠিন শাস্তি দিতে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি প্রাণপনে। এখন আপনারাই আবার বলছেন শাস্তি টা দেখতে চান। দিই না কেন? সব কিছুর একটা লিমিট আছে! আপনাদের এই মন্তব্য আমাকে হতাশ করেছে। কারণ আমি হুটহাট কাহিনী টেনে নিয়ে গিয়ে ওদের মেরে দিলাম ব্যাস দ্যা ইন্ড লিখে দিলাম গল্প শেষ!! তখন কিন্তু সেই আবার আপনারাই বলবেন লেখিকা কি লিখছে উল্টা পাল্টা কিছু ই বুঝি নাই। আমাকে উল্টা কথা শোনাবেন তখন।
এখন আমি নিজেই কনফিউজড যে কি করবো! আর কয়েক টা পর্ব পরেই ওদের কৃতকর্মের সাজা শুরু বাট আপনারা তার জন্য ও অপেক্ষা করতে পারছেন না। আমি না পারতে এক এক টা পর্বে দেড় হাজার এর উপরে শব্দ লিখে গল্প এগোনোর চেষ্টা করছি। তাও আপনারা এমন মন্তব্য করলে আমি কি করবো আমাকে আপনারাই বলেন! আমি কি গল্প টা লিখাই বন্ধ করে দিবো?