#স্বামীর_অত্যাচার !!
#Part_18 (Last-Part)
চোখে রাজ্যের ঘুম।।দু’পা হেলে পড়ছে তবু ও মনে হচ্ছে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে….কেউ একজন তার বুকের সাথে পিট টেসে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে….খুলতে চেয়ে ও খুলতে পারছেনা ঘুম জড়ানো চোখ জোড়া….বহু কষ্টে মিটমিট করে চোখ জোড়া খুলতে চমকে উঠল তাহিন….একটু দূরে একটা একটা আইসক্রিমের স্টল তাতে মিটমিট করে আলো জ্বলছে….না এটা কি করে হবে…..চোখ জোড়া হয়ত ভুল দেখছে না হয় ওর ভাবনাটা স্বপ্ন হয়ে চোখের সামনে ভাসছে…..চারিদিকে স্তব্ধ হালকা বাতাস বয়বে পূর্নিমার আলো চারিদিক ঝিকিমিকি করবে….এমন এক রাতে হুট করে কেউ একজন ঘুমের ঘোরে দাঁড় করিয়ে দিবে আইসক্রিম স্টলের সামনে….হঠাৎ করে চোখ খুলতে চমকে উঠব তাতে….ব্যাপারটা যদি ও একটু অদ্ভুত তবু ও মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়ার স্বাদ পেতে অন্যরকম একটা ভাল লাগ কাজ করে…..আর সেই ভাল লাগাটা যদি এমন এক অনুভূতির সাথে মিশে যায় তাহলে মন্দ কি এমন এক চমক পেতে ……
কিন্তু এটা তো স্বপ্নের মত লাগছে না… মনে হচ্ছে সত্যি দাঁড়িয়ে আছে….চোখ জোড়া ভাল করে কচলিয়ে নিয়ে আবার তাকাল….না এটা তো স্বপ্ন না সবিই তো একিই আছে….তাহলে কি নিলয়?ঘাড় ঘুরাতে চাঁদের আলোর উজ্জল একটা হাসিমুখ দেখতে পেল সেই মাবুষটার….চাঁদের আলোয় মাবুষটাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে…….নিজে ও জানে না কেন এই মানুষটার সাথে বেশিক্ষণ আর রাগ করে থাকলে পারল না….হয়তোবা এতে আজ দোষটা তার নেই বলে তবু ও বারবার ক্ষমা চেয়েছে……আর কতই কিছু না করছে রাগ ভাঙানোর জন্য আর এখন এই ইচ্ছাটা পূরন করে দিল…..
তার থেকে বা কি করে মুখ ফিরেয়ে থাকবে দ্বিতীয় কোনো সুযোগ না দিয়ে…..
-কি দেখছ এভাবে…
-দেখছি না ভাবছি কবে থেকে এত ঘুমকোর হলাম আমি…..
-ভালই তো হয়েছে নাহলে এখানে কি করে নিয়ে আসতাম….
তবে আরো একটা জিনিস কি জান তোমার জন্য আজ প্রথমবার দেখতে পারলাম মানুষ কি করে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাতে পারে গাধির মত….
বাঁকা হাসি দিয়ে কথাটা বলতে তাহিন রেগে নিলয়ের বুকে কিল ঘুষি বসিয়ে দিচ্ছে…
-আহহা আমি তো একটু মজা করলাম তারজন্য এভাবে মারতে হয়….
-কথা নেই আপনার সাথে….
চুরি করে আমার ডায়েরিটা তো পড়ে নিয়েছেন…
-চুরি করে পড়তে যাব কেন?
বউয়ের জিনিসের উপর স্বামীর অধিকার আছে…..
তবে তোমার পারমিশন নেইনি বলে পুরোটা পড়েনি….
যতটুকু পড়েছি তার জন্য তাহলে কান ধরে উট বসে করতেছি…..
-এ্যা না না করতে হবে না……থাক ঠিক আছে….
কিন্তু এত রাতে আপনি আইসক্রিম ওয়ালা কোথেকে পেলেন?
-কোথেকে এনেছি সেটা আপনার নাম জানলে ও চলবে….আমার বউয়ের জন্য সামান্য কাজটা কি করতে পারিই….আর যদি এভাবে প্রশ্ন করতে থাকেন তাহলে আপনার আর আইসক্রিম খাওয়া হবে না…
যান এবার নিয়ে আসোন….
নিলয়কে মুখ ভেংচিয়ে….দুইটা আসইক্রীম নিয়ে আসল তাহিন……একটা আইসক্রিম নিলয়ের দিকে এগিয়ে দিতে নিলয় ইশারা করে বলল খাবেনা….
মুগ্ধ দৃষ্টিতে বাচ্চাটার আইসক্রিম খাওয়া দেখে যাচ্ছে নিলয়…আইসক্রিম পেয়ে বাচ্চাদের থেকে ও যেন আরো বেশি ছোট হয়ে গেছে….নিজে খেলে তো এমনটা তো দেখতে পারত না….আইসক্রিম খেতে ব্যাস্ত তাহিন…নিলয় ওর জীবনের সেরা মূহুর্ত গুলো সৃষ্টি করে দিচ্ছে অতীতের স্মৃতি মুছে নতুন স্মৃতি গড়তে….এই স্মৃতি মাঝে যেন অতীতের স্মৃতিটা চিরতরে চাপা পড়ে যায়…..চাইলে ও মনে করতে পারবেনা….
হুট করে নিলয় তাহিনের হাতে থেকে আইসক্রিমের শেষের অংশটুকু নিয়ে নিল….তাহিন ভ্রু কুচকে নিলয়ের দিকে তাকাতে নিলয় মুচকি হেসে আইসক্রিমটা মুখে ভিতর দিয়ে চুষে নিল…..
-আমারটা কেন নিয়ে নিলেন…? আমি তো ভেবেছি আপনার দাঁতের সমস্যা আছে এজন্য খাবেন না….
-তাতো নেই কিন্তু এখন সিউর হয়ে যাবে প্রচুর মিষ্টি খেয়েছি তো…..
-ওপপপ আপনি না…..
পূর্নিমার আলো চারিদিক ঝিকিমিকি করছে….হালকা বাতাস বয়ছে…….নিলয়ের হাত নিচে হাত রেখে পূর্নিমা চাঁদ দেখছে…..খোলা মাঠে বিশাল আকাশের চাঁদটাকে আরো বড় দেখাচ্ছে অদ্ভুত এক ভাল লাগ কাজ করছে….এ-ই অদ্ভুত ভাললাগাটা হয়ত নিলয়ের জন্য…..তাহিন দেখছে বিশাল আকাশের চাঁদটাকে নিলয় দেখছে তার মায়াবতীকে……চাঁদের আলোয় মেয়েটাকে আরো বেশি মায়াবতী লাগছে….প্রতিটা মুহূর্তে তাকিয়ে থাকতে ও যেন দেখার স্বাদ মিটবে না….
বেশ কিছুক্ষণ খোলা আকাশের নিচে সময় পার করে গাড়িতে গিয়ে বসল…..হঠাৎ গাড়ী অন্যদিকে মোড় নিতে তাহিন নিলয়কে বলল….
-ওদিকে কোথায় যাচ্ছেন এটা তো বাসার যাওয়ার রোড় না….
-হুন আমরা বাসায় যাচ্ছি না তাই…
-তাহলে কোথায় যাচ্ছেন?
-হানিমুনে
-কি?
-তুমি তো বলছিলে তোমার স্বামী তোমাকে কোথাও নিয়ে যায় না…..
-ক..কখন বলেছিলাম…..?
-মনে করিয়ে দিতে হবে?
-না না…..
-আচ্ছা এত ঘাবড়ে যেতে হবে না…..আমরা আপাতত ঘুরতেই যাচ্ছি…..হানিমুনটা না হয় দেশের বাইরে গিয়ে করব….যেখানে তুমি যেতে চাইবে…..?
তবে হ্যা নেক্সট মান্থে আমরা সিঙ্গাপুরে যাচ্ছি…..
-কেন?
-সেটা তখনি বলল…..তবে হানিমুনের জন্য না…..
হানিমুনটা তোমার পছন্দের জায়গাতে করব….বলেই একটা চোখ টিপ মারল তাহিনকে…….
লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল তাহিন…..হঠাৎ সিঙ্গাপুরে কেন যাবে সেটা ভাবতে নিলীমার কথা নিলীমার কথা মনে পড়ে গেল… নিলয় বলেছিলে একবার নীলিমা আন্টি সিঙ্গাপুরের একটা হাসপাতালে আছে… তাহলে কি নিলীমা আন্টিকে দেখতে যাওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবে বলছে….মনে মনে বেশ উৎসুক উৎসুখ লাগছে নীলিমা আন্টিকে দেখতে পাব বলে…..নীলিমা আন্টিকে ওখানে নাকি আফরিনের পরিবারই দেখাশুনা করে আসছে….নিলয়ের মুখের ওদের বাড়ীতে থাকতে এমনটা শুনেছিল তনিমাকে বলতে….এরপর আর নীলিমা আন্টির কথা আর জিজ্জেস করা হয়ে উঠেনি…পরিস্থিতিটা ও ছিল না জিজ্ঞেস করার মত…..
ভাবতে ভাবতে ঘুমের ঘোরে ঢুলে পড়ছে তাহিন….নিলয় তাহিনের চটপাটানি দেখে নিজের কাছে নিয়ে এসে এক হাত দিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে অন্যহাত দিয়ে ড্রাইভ করবে….নিকয়ের কষ্ট হবে ভেবে তাহিন সরে সরে যেতে চাইলে….নিলয় আরো শক্ত করে চেপে ধরে রাখে…….
.
.
.
ঘড়ির কাঁটায় ১২.৬মিনিট….
মিটমিট করে চোখ মেলে তাকাল তাহিন….ঝাপসা চোখে মনে হল একটা রুমের মধ্যেই আছে…কিন্তু কোথসয় বুঝতে পারছেনা….চোখে ঘুম ভর করে আছে তাই সবকিছু ঝাপসা মনে হচ্ছে…..কিন্তু এমনটা তো হওয়ার কথা না….মশার গুনাগুনির আওয়ার শুনলে গুম ভেঙে যেত কিন্তু রাত থেকে ঘুমের জন্য চোখ খুলতেই পারছেনা সম্ভববত ঔষুধের সাইট ইফেক্ট……ভাবতে ভাবতে বেশ কিছুক্ষণ পর সবকিছু ক্লিয়ার হতে ঘাবড়ে গেল তাহিন…হোটেল রুমের মত একটা রুমের বেড়ে শুয়ে আছে কিন্তু নিলয় পাশে নেই….গেল কোথায়?তড়িঘড়ি করে শুয়া থেকে উঠে মোবাইলটা খুজঁতে চোখ পড়ল পাশে টেবিলের রাখা একটা চিরকুটের উপর…..
-গুড মর্নিং সুইটহার্ট….
সরি তোমাকে জাগাতে পারিনি বলে….জানি তুমি ঘাবড়ে যাবে…কিন্তু কি করব বল এত সুন্দর করে ঘুমচ্ছিলে যে তোমার ঘুমটা ভাঙাতে ইচ্ছে করিনি…. ঘুমন্ত অবস্থায় এত মারাত্মক মায়াবী কেন লাগে কেন বুঝিনা….তবু ও বেশ কিছুক্ষণ তোমার মায়াবী মুখটার দিকে চেয়ে অপেক্ষা করছিলাম….জানি খুব সহজে তোমার ঘুম ও ভাঙবে না….তাই তোমাকে না বলে বের হতে হল তা হলে না হলে যে কাজটা হতো না….
আর হুম টেবিলে নাস্তা রাখা আছে খেয়ে নিবা… একটু পর আমি ফিরে আসব….
ততক্ষণে নাম হয় জানালার পর্দাটা সরিয়ে বাইরে প্রকৃতিটাকে দেখ…..
চিরকুটটা পড়ে বিছানার উপর রেখে দিল…খুব বেশি রাগ না হলে ও একটু তো রাগ হচ্ছে….কোথায় নিয়ে এসছে সেটা তো বলেনি এখন আবার না বলেই চলে গেল……
ফ্রেশ হয়ে জানালার দিকে এগিয়ে গেল…বাইরের দৃশ্যটা দেখার আগে হাতে মুখে পানিটা দেওয়া অনেক প্রয়োজন ছিল….জানালার পর্দা সরাতে বিশাল এক সমুদ্রের দেখা মিলল…..সুমুদ্রের কলরবে চারিদিক মেতে উঠেছে….একের একের পর এক ঢেউ এসে তার বুকে খেলা করে যাচ্ছে…..তাহিনের আর বুঝতে বাকি বাকি রইল না নিলয় ওকে কোথায় নিয়ে এসছে…….
.
.
প্রায় আধঘন্টা পর কতগুলো শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে রুমে ঢুকল নিলয়……..নাস্তার প্লেটটা এখনো টেবিলে পড়ে আছে কিন্তু তাহিন রুমে নেই…..বেশ বুঝতে পেরেছে ম্যাম এখন অভিমান করে আছে……বারান্দায় দাঁড়িয়ে মানুষের কোলাহলের দৃশ্য দেখছে তাহিন….নিলয় গুটি গুটি পায়ে বারান্দায় গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল তাহিনকে…..কোনো রিয়েকশন করল না তাহিন….চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে….নিলয় ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দিয়ে বলল ….
-সরি সুইটহার্ট…..
-………
-সরিতো…
-কেন….?
-এজন্য
-কি জন্য?
-এই যে রাগ করে আছো তাই….
-আমিতো রাগ করে নেই…..
-সরি….
-আরে সত্যি রাগ করে নেই…
-তাহলে চুমো খাব..
-ধ্যাত সরুন তো…আমি রাগ করে আছি তাহলে…
-না ছাড়ব না…আগে বল এখনো ব্রেকফাস্ট করো নি কেন?
-ইচ্ছে করেনি তাই…….
নিলয় তাহিলকে হাত ধরে রুমে নিয়ে গিশে বিছানায় বসিয়ে দিল।।।তারপর নাস্তার প্লেটটা হাতে নিয়ে বলল
-আমি খাইয়ে দিলে ও কি ইচ্ছে হবে না?
-না….
-তাহলে হ্যা কর….
-তারপরে একবার বলে যেতেন….
-বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুটো কারনে বলেনি….
-একটা নাহয় বুঝলাম কিন্তু আরেকটা কারণ কি?
-আমার সাথে যেতে না তাই…..তোমার পায়ে এখনো একটু একটু ব্যাথা….এতক্ষণ হাঁটাহাটি করলে সমস্যা হত…এখানো তো আমাদের প্যাকিং করে আসা হয়নি….তো শপিং গেছিলাম….দুজনের জামাকাপড় কিনতে তো অনেক টাইম লাগবে….আর তোমাকে তো আমি এতক্ষণ হাঁটতে ও দিতে পারিনা…..যদি ও কোলে নিয়ে ঘুরতে আমার কোনো সমস্যা হত না কিন্তু তুমি তো নিতে দিতে না তাই…..
-হুম….
-তাহলে হা কর এবার…
-আপনি খাবেন না…..?
এখন আবার এটা বলবেন না খেয়েছেন?
-আগে তুমি খেয়ে নাও……
আমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিব….
-ফ্রেশ হয়ে আসুন একসাথে খাব……..
-এতক্ষণ না খেয়ে বসে থাকার প্রয়োজন নেই..আমি পরে করে করে নিব….
-ওপপ জানতো বেশি ঢং শুরু করে দিছেন আপনি…
-কি?
-কিছুনা যান তো…..
তাহিন নিলয়কে টেলে ওয়াশরুমের পাঠিয়ে দিল…..
.
.
সমুদ্রের বুকে বাচ্চাদের মত লাফালাফি করে যাচ্ছে তাহিন….মেয়েটা ও না বলেছিল একটু কম দৌড় ঝাপ করতে কিন্তু কে শুনে কার কথা টেউ দেখে ঝাপটে পড়ল সমুদ্রের বুকে…..একেবারে বাচ্চা……..নতুন ভাবে নতুন রুপে প্রতিদিন যেন সেজে উঠে তার মায়াবতী……মুগ্ধ দৃষ্টিতে শুধু তার মায়াবতীকেই দেখছে…..
মুচকি হেসে ইশারা করে ডাকতে লাগল নিলয়কে….নিলয় মাথা নাড়িয়ে না বলতে ছুটে এসে টেনে নিয়ে গেল নিলয়কে…..
চোখে মুখে পানির ছিটা দিয়ে খিলখিল করে হেসে উঠেছে…নিলয়কে এভাবে ভিজিয়ে দিয়ে অন্যরকম একটা আনন্দ পাচ্ছে…..দুজনে মেতে উঠল খুশির জোয়ারে…..নিলয় তাহিনকে কাছে টেনে….কোমড় জড়িয়ে বলল……
-হাতির পায়ে দাঁড়াবে?
-হাতির পায়ে দাঁড়াব মানে..হাতের পায়ে দাঁড়ানো যায় নাকি আবার? মানুষ হাতির পিঠে ছড়বে কিনা জিজ্ঞেস করে আর আপনি কিনা বলতেছ হাতির
পায়ে দাঁড়াব নাকি…?দাঁড়াতে গেলে যাতে আমাকে লত্তি মেরে বাংলাদেশ বর্ডার পার করিয়ে দেই…..
Like & Follow my Page — #Update_কাহিনী
নিলয় হো হো করে হেসে উঠে…..
-এই হাতির জীবন যাবে তুমি ও এমনটা করার সাহস পাবে না…. এই হাতির পায়ে অতি সহজে দাঁড়ানো ও যায়….
-এই আবার কেমন হাতি এমন হাতি ও আছে নাকি..?
-হুম আছে….
-তাহলে তো অবশ্যই দাঁড়াতে হবে….
কিন্তু এখানে তো এমন কোনো হাতি নেই….
-এই যে তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে…
গাধির বর হাতি…..
-ছি:আপনি আসলেই একটা খারাপ লোক।।।
-হুম জানি তো….
এবার দাড়াঁবে সেই হাতির পায়ে…..
-না আমি হাতির পায়ে দাঁড়ব না আমি একটা জিরাফের পায়ের উপর দাঁড়াব…..
বলেই দুজনে একসাথে হেসে উঠল…..
অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে…..সমুদ্রের বুকের পা রাখার অনুভূতি আর নিলয়ের পায়ের উপর পা রেখে চলার অনুভূতি…..এই দুই অনুভূতি মিলে মিশে একাকার হয়ে মন ছোঁয়ে দিচ্ছে……
সূর্যাস্তের পর রিসোর্টে ফিরে রুমে ঢুকতে চমকে উঠল তাহিন…ডিম লাইটের লালচে আলোয় আলোকিত হয়ে আছে রুমটা…..ফ্লোরে গোলাপের পাপড়ি বিছানো তাতে একটা উপর একটা চিরকুট….
-ডানদিকে মোড় নিবে প্লিজ….
চিরকুটটা পড়ে ডানদিকে এগিয়ে যেতে আরেকটা চিরকুট মিলল তাতে লেখা….এবার ওয়ারড্রবের সামনে গিয়ে তিন নাম্বার ড্রয়ারটা খুল…..
ড্রয়ারটা খুলতে লাল রঙের একটা শাড়ী দেখে অবাক হয়ে গেল তাহিন…..তার উপর একটা চিরকুটে রাখা তাতে লেখা……
শাড়ীটা পড়বে প্লিজ…বউ সাজে দেখব বলে,….হয়ত আবদারটা একটু বেশিই করে ফেললাম কিন্তু কি করব তোমাকে বউ সাজে দেখার ইচ্চাটা দাবিয়ে রাখতে পারলাম না…..
শাড়ীটা হাতে নিয়ে মুচকি হাসছে তাহিন……নিলয়ের চয়েজ আছে বলতেই হয় কিন্তু যে জামাগুলো নিয়ে এসেছে তার মধ্যে শাড়ী তো ছিল না,না ছিল ব্লাউজ পেটিকোট….তাহলে নিশ্চয় আগে থেকে এটা নিয়ে রেখেছে……..
রুমে ঢুকতেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেল নিলয়……এই কোন মায়পরীকে দেখছে লাল পরীর সাজে…….লাল শাড়ীতে অপূর্ব মায়াবতী লাগছে…এতক্ষণ ধরে ছাঁদে দাঁড়িয়ে গুনে যাচ্ছে এই প্রহরটার..তার মায়বতীকে বউ সাজে দেখার প্রহরটা….দেখে যেন চোখে নেশা ধরলো…..পলকাটা ও যে পড়ছে না…..এমন বেহাল অবস্থা হয়ে যাবে সেটা জানা ছিল না নিলয়ের…….কি বলবে কিছু বুঝতে ও পারছে না……
স্নিগ্ধ রুপে লাল শাড়ীতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার মায়াবতী……নিলল সোজা গিয়ে
বুকের সাথে জড়িয়ে নিল তার মায়াবতীকে…মূর্হুতে বুকের ভিতর ধিপধিপ শব্দ বুকের ভিতরটা তোল পাড় শব্দ করে উঠল তাহিনের…..কারো মুখ দিয়ে কোনো কথায় বের হচ্ছে নিলয় তো ঘোরঘের মাঝে চলে গেছে অবশেষে নীরবতা ভেঙে লজ্জায় রাঙা হয়ে তাহিন বলল….
-আপনি তো আমার সাথে ছিলেন তাহলে এসব কখন করলেন….?
নিলয় বাঁকা হাসি দিয়ে বলল…
-আফরিন করেছে…..
-আফরিন ভাইয়া?আর সমুদ্রের পাড়ে বসে বসে আপনি ইনোসট্রাকশন দিচ্ছিলেন না……
মুচকি হাসল নিলয়……
বারান্দায় বসে গল্প করে যাচ্ছে দুজন…… স্মৃতি পাতায় যত কথা জমে আছে একে অপরকে বলে যাচ্ছে…..নতুন করে জানছে একে অপরকে এই জানার যেন শেষ নেই……বলতে গেলে শেষ পেরিয়ে যাবে….
নিলয় আচমকা খুলে তুলে নিলয় নিল তাহিনকে….তাহিন কিছু বলতে নিলয় ঠোঁটের উপর ঠোঁট রেখে একটা চুমু দিয়ে থামিয়ে দিল…
সমুদ্রের পাড়ে বালির উপর দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে তাহিন…..চচারিদিকে বিভিন্ন রঙের বাল্বের লাইট দিয়ে কয়েকটা হার্ট সেইপ বানানো তার ভিতরে দিয়ে আই লাভ ইউ লেখা…..চাঁদের আলোটা ঝিকঝিক করছে সমুদ্রের মাতাল হাওয়া বয়েছে…..তাহিন চারদিকে চোখ বুলাতে
হুট করে নিলয় হাটু গেরে বসে তাহিনের হাত ধরে বলতে শুরু করল…..
-তোর পথা চলার সঙ্গী হতে চাই
ধরবি কি আমার হাত?
তোর ছোট ছোট ইচ্ছেগুলোর মাঝে অদ্ভুত এক সুখ খুঁজে পাই…সারাজীবন একসাথে পথে চলে সেই ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে চাই……
বলতে পারিস আমি সেলফিস
নিজের প্রয়োজনে ভালবাসি তাই….
হুম তোকে আমার প্রয়োজন প্রতিটা মুহূর্তে বড্ড প্রয়োজন……..
সকালে ঘুম ভাঙতে তোর স্নিগ্ধ ছোঁয়া প্রয়োজন….আমার কফির কাপে চুমুক দিতে তোর প্রয়োজন…..বৃষ্টিতে একসাথ ভিজতে।। পূর্নিমার রাতে রাতের আকাশের তারা গুনে সময় পার করতে…..রাত শেষে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে……আমার সবকিছুতে তোর প্রয়োজনো…..কারণ অকারণে তুকে ভালবেসে ফেলেছি……সারাজীবন বেসে যাব ইনশাআল্লাহ…..
ভালবাসি বড্ড ভালবাসি……
.
চোখ জোড়া ছলছল করছে…..ইচ্ছে করছে নিলয়ের হাতটা ধরে বলতে “ভালবাসি”….কিন্তু না আজ সে কোনো উত্তর দিবে না…..এভাবেই ভালবাসতে চাই সে না বলার মাঝে সে গহীন ভালবাসা লুকিয়ে থাকে সেই ভালবাসায়…….সেই গভীরতার খুঁজে নিলয় তাকে অকারণে ভালবাসবে….ভালবাসি বলে নই……মুহূর্তে বিশাল আকাশের চাঁদটা মেঘে ঢেকে গেলে যেমন অন্ধকার নেমে আসে…….তাহিনের মুখ মুড়ে চলে যাওয়াটা ও যেন নিমিশেই নিলয়ের মনকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে অন্ধকার করে দিল……
.
.
.
এক হাত বালি দ্বারা মুষ্টিবন্ধ করে অন্য হাতে একটা সিগারেট নিল……..এসব বাজে নেশা অনেক আগেই কেটে গেছে….তাইতো সিগারেট মাথায় আগুন জ্বালাতে চেয়ে ও পারল না তার মায়াবতী যে সিগারেট ধৌয়া একদম সহ্য করতে পারে….কিন্তু রাগ টাকে যে কিছুতেই সংযত করতে পারে না……..মেয়েটার সামনে গেলে যদি কিছু একটা করে ফেলে…….না যতই রাগ আর কষ্ট হোক না কেন এমন কিছুই করবে না সে ভালবাসে তার মায়াবতীকে সারাজীবন ভালবেসে যাবে….দূরে সরে যেতে চাইলে ভালবাসে আরো কাছে নিয়ে আসবে…..চাইলে আর না করতে পারবে না…মনকে বোঝানো দায় তবুও বুঝিয়ে যাচ্ছে…..
.
.Like & Follow my Page — #Update_কাহিনী
.
দূর থেকে দাঁড়িয়ে নিলয়কে এভাবে দেখে নিজেকে আর দূরে রাখতে পারল না….হুট করে নিলয়ের হাত থেকে সিগারেটাটা ফেলে রেগে দিয়ে বলল…
-কি হচ্ছে কি?আপনাকে না ডক্টর বারণ করেছে এসব ছাই পাশ ছুঁয়ে ও না দেখতে তারপরে আপ……
কথাটা শেষ করতেই পারল না তার আগে নিলয় হেচকা ওকে নিজের উপর ফেল দিল…মুহূর্তে কি হচ্ছে যাচ্ছে কিছুই বুঝে উঠতে পারল না ….কখন নরম ঠোঁট জোড়া নিলয়ের ঠোঁটের ভিতর আবদ্ধ হয়ে গেল…..দুহাত তাহিনের কানের নিচে গুজে দিয়ে …রাগ আর ভালবাসার মিশ্রণে তাহিনের ঠোঁঠ জোড়া নিজের ঠোঁট দ্বারা চেপে ধরল……অনুভব করতে মনে হল কোনো এক সুখের রাজ্যে পা দিয়েছে সে….সেই সুখ ছেড়ে বের হওয়ার ক্ষমতা যেন তার নেই পরম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে নিলয়ের শার্টের কলার খামচে ধরল…….তার সাড়া জাগানো ভালবাসা নিজে ও সমানতালে সাড়া দিচ্ছে……..
-এভাবে চুপ করে থাকলে সারাজীবন আমার ভালবাসার অত্যাচার আরো বেশি জর্জরিত হতে হবে……
লজ্জায় মুখ লুকালো নিলয়ের বুকে…..সেই তো এটাই চাই…..আরো বেশি আসক্ত হতে তার ভালবাসায়…. মৃত্যুর আগে পর্যন্তু সেই নেশার কবল থেকে যেন বের হতে না পারে।।দুজনে যে একে অপরের নেশায় ডুবিয়ে রাখতে চাই সারাজীবন……..সব মান অভিমান মিটিয়ে……এভাবেই না হয় তাদের ভালবাসার যাত্রা শুরু করল…..
১বছর পর…….
সুখের দিনগুলা যেন খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যায়……এইতো সেদিনই মনে হচ্ছে কক্সবাজার থেকে ফিরার কিছুদিন পর সিঙ্গাপুর এসেছে নীলিমা দেখতে……..আর আজ এখানে একটা বছর হয়ে গেল…….নিলয়কে এত খুশি কখনো দেখেনি তাহিন সিঙ্গাপুরে আসার ঠিক ছয় মাসের মাথায় সেদিন হসপিটালে নিলয়কে খুশিতে আত্মাহারা হতে দেখছে…… চোখ জোড়া খুশিতে ছলছল করছিল নীলিমার শরীলের রেসপন্স দেখে……এতবছর পর নীলিমা রেসপন্স করল…..আল্লাহ যেন এক এক করে তার সব কিছু ফিরেয়ে দিচ্ছে…….এই সুখটা বোধয় তার মায়াবতী তার জীবনে নিয়ে এসেছে।
রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলছে তার মায়াবতী জীবনটাকে ….তাই তো জীবনটাকে এত বেশি সুন্দর মনে হচ্ছে তাহিনের ….প্রতিনিয়ত মুগ্ধতা ঘেরা এক নিলয়কে দেখছে…এভাবেই ও কেউ ভালবাসতে পারে…..নিকয়কে সুযোগটা না বুঝতেই পারতনা… ছোট ছোট বিষয়ে খুব খেয়াল রাখছে নিলয়…..পূরণ করছে ওর ছোট্ট ছোট্ট ইচ্ছেগুলোও…এতেই যেন ওর থেকে বেশি সুখটা সেই খুঁজে পাই…….একেবারে অন্যরকম একটা নিলয়কে দেখছে…একদম আলাদা সত্যি সে আলাদা ভালবাসার কথাটা না শুনে যে এমনটা করতে পারে না জানি ভালবাসি কথাটা বললে কেমন করবে….?কোনো ভুল করে নি সে দ্বিতীয় একটা সুযোগ দিয়ে……
বাইরে রুম ঝুম বৃষ্টি পড়ছে…….বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে…. সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস বয়ছে…..বারান্দায় দাঁড়িয়ে গ্লাসটা অল্প করে খোলা রেখে আকাশের দিক মুখ করে চেয়ে আছে নিলয়…হুট করে পিছন থেকে নরম দুটো হাতের স্পর্শ পেয়ে পরশ আবাশে চোখ বন্ধ করে নিল নিলয় ….তার মায়াবতী স্পর্শ তার যে অচেনা নই……পিটের সাথে বুক লাগিয়ে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরছে যেমনটা নিলয় প্রতিবার ধরে……
-কি হল সুইটহার্ট উঠে আসলে যে……
-মাথার নিচে বালিশ না থাকলে কি করে ঘুমায় বল…
মুচকি হাসল নিলয়…..
-কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে তুমি এখানে কি করছ…..?
-ঘুম আসছিল না তাই….
-তাহলে তো সারারাত না ঘুমিয়ে রাখতেই হবে…..
ভ্রু কুচকে নিলয় তাহিনের দিকে তাকাল…..মুখে একটা লজ্জার হাসি এতক্ষণ ভেবেছিলে ঘুমের ঘুরে তুমি করে বলছে এছাড়া তো তুমি করে বলে না…….আজ হঠাৎ তুমি করে বলছে……
-এভাবে দেখার মতো কিছু বলেনি….ইচ্ছে হল তাই তুমি করে ডাকলাম……
-তোমাকে তো বলেছিলাম যা ইচ্ছা ডাকতে পারো এতে আমার কোনো অসুবিধা নেই……..সব ডাকের মাঝে একেক যে রকম ভালবাসা জড়িয়ে থাকে…..ফিল নিয়ে ডাকবে ঠিক অনুভব করে নিব…এখন মনে করে তোমাকে মুখে তুমিটা শুনে আমার প্রমিকা প্রেমিকা মনে হল….
-ভীমরুতে আপনাকে ধরছে আমাকে না…..আমি বউ হতে চাই প্রেমিকা না……
তাহিনের মুখে বউ শব্দটা শুনে নিলয়ের মুখে খুশির ঝিলিক দেখা দিল…. বউ শব্দটা শুনতেই যেন মন প্রান জুড়িয়ে গেল…..
-যাই বল না কেন তুমি শুধুই আমার….
আচ্ছা এবার ঘুমাতে চল এখানে বেশিক্ষণ থাকলে ঠান্ডা লেগে যাবে আবার…..
নিলয় তাহিনের হাত ধরে রুমের দিকে নিয়ে যেতে…..তাহিন নিলয়ের হাত ধরে বলল…..
-আজ রাতটা খুব সুন্দর তাই না…..
এমন রাত তো আমাদের মাঝে আর নাও আসতে পারে…….
অবুঝের মত দাঁড়িয়ে রইল নিলয়……ঘুম ভেঙে গেলে ও ঘুমের ঘোরটা এখনো হয়ত রয়ে গেছে……..তার জন্য হয়ত এমনটা বলছে…..
-আমার আম্মুদের এবার একজন খেলার সঙ্গী প্রয়োজন…..ওরা দুই বান্ধবী একা একা খুব বিরক্ত হচ্ছে এই বাড়ীতে ওদের কোনো খেলার সঙ্গী নেই এজন্য…….
এই থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারবনা……
-কিন্তু আমি তো শুনতে চাই আমার বেবির মাম্মামের মুখে ভালবাসি কথাটা…..
-একটা গান শুনাবেন…..
-হুম…..
দোলনার উপর বসে তার মায়াবতীকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে গাইতে শুরু করল….
-পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা…..
সবই যে তোমায় দেব
একটায় আশা…
তুমি ভুলে যেও না আমাকে
আমি…..
-ভালবাসি তোমাকে…
গান থামিয়ে ভ্রু কুচকে নিলয় তাহিনের দিকে তাকাল…..
-সবসময় এভাবে তাকান কেন……?
-তুমি জানতে আমি এই গানটায় গাইব আর এজন্য….সরি সুইটহার্ট এটা এক্সসেপ্ট করতে পারলাম না…বললে দুজনে একসাথে গাইতাম…..কিন্তু এভাবে না…….
-বললাম তো…
না বললে কি আপনি আমায় ভালবাসবেন না……
-ভালবাসি বল আর না বা বল সারাজীবন এভাবেই ভালবেসে যাব……
কিন্তু তোমার মুখ থেকে কথাটা শুনতে যে খুব ইচ্ছে করছে……
-ভালবাসি বলব না।।।কিন্তু আপনার ভালবাসাটাকে খুব বেশি ভালবাসি ফেলছি…….
সেই ভালবাসা আকড়ে ধরে সারাজীবন একসাথে থাকতে চাই আমার বেবির পাপ্পার সাথে…..
নিলয় ফিসফিস করে বলল…..
-শুধু কি বেবির জন্য বেবির পাপ্পার রোমান্টিক ডাবল অত্যাচার গুলো সহ্য করতে চাও…..নাকি তোমার স্বামীর রোমান্টিক অত্যাচারটা……
-ধ্যাত…..
লজ্জায় মুখ লুকায় নিলয়ের বুকে……
-এত লজ্জায় ফেলে আদর করব কিভাবে……
-আপনি আসলেই খারাপ…..
-হুম তুমি খুব ভাল তাই……..
খুব জোড়ে বাজ পড়তে আরো শক্ত করে আকড়ে ধরল নিলয়কে…..ভালবাসার নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে চলল…..তাতে একে অপরকে পূরিপূর্ন করে তুলবে সব ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে…….থাকবে না কোনো ভুল বুঝাবুঝি থাকবে থাকবে শুধু অনাবিল সুখ আর খুনসুটি ঝগড়া….😚
– – – – – – – সমাপ্ত – – – – – – – –
[ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ধন্যবাদ]
এতো সুন্দর একটা গল্প পোস্ট করলাম কিন্তু আফসোস পাঠকদের কাছ থেকে সেইরকম কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা
প্রতিদিন এমন গল্প পড়তে গল্পের শহর চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন যাতে করে রাখুন যাতে পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই আপনি নোটিফিকেশন পান। 💔💔💔💔