#স্বামী (সিজন-২)❤️❤️❤️
#পর্ব —২৬
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
_________________________.___________
“—-,
ধির পায়ে তিতিল তার শশুরের ঘরে দুই কাপ চা নিয়ে ঢুকেছে।এখানে ওর শশুর নয় ওর বাবাও রয়েছে।
তাই দুই কাপ। রাতেও তিতিল একবার এই ঘরটায় এসেছে।তবে আরিফ রহমানের দেখা পায়নি। ওর বাবার থেকে জানতে পারলো একটু বেরিয়েছে তবে কোথায় তা জানা নেই।
আসলে কোথাও গেছে!নাকি তিতিলের থেকে আরালে থাকছে এটাই প্রশ্ন মনে।
——–★
— রাতে তো তিতিলের বুক বেশ ধর ফর করছিলো।আজকে উনার ঘরে উনার পাশে শুয়ার কপাল হয়েছে স্ত্রীর অধিকার নিয়ে।
“- রিদয় কে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পারানোর চেষ্টায় তিতিল।
রিদয় মুখটা মলিন করে তিতিলের পানে চোখ তাক করে রেখেছে।
— কি হল ঘুমান.
” তিতিল!!
–হুম।
“এই সময়টা তো তোমার যত্ন নেয়ার কথা ছিলে।তবে রাত জেগে তুমি আমার সেবা করছো। আমার ভালো লাগছে না।
— ওহহ এই কথা! সেবা তো অবশ্যই করাবো।একটিবার সুস্থ তো হন তার পর দেখবেন।
কত কাজ যে আপনাকে দিয়ে করাই।
” মুখে মিষ্টি একটি হাসি টেনে তিতিলকে পাশে শুতে বলছে রিদয়।
— তুমিও শুয়ে পরো রাত হয়েছে। !
— দুজনই শুয়ে আছে মুখে কথা নেই,উপরে ফ্যান চলছে সেই ফ্যানের দিকে তাকিয়ে একেকজন একেক চিন্তায় সময় পার করছে।
রিদয় কিছু নিয়ে বেশ চিন্তিতো,তিতিল খেয়াল করলো তাও অনেক পরে।
রিদয়ের হাত টা সরিয়ে বুকে আল্ত করে মাথা রেখে দিয়েছে তিতিল। বড্ড ইচ্ছা করছিলো,এই খালি বুকে মাথাটা রাখার।এখন তো সেই অধিকার রিদয় দিয়েছে।
রিদয়ের ভাবনা ছেরে এবার ওর দিকে মগ্ন হয়েছে।
” আচমকাই তিতিল উঠে বসেছে।একটা কথা মনে পরেছে তা না জিজ্ঞাসা করলেই নয়।
আচ্ছা আপনার সব মনে ছিলো তাও এত নাটক করেছিলেন কেন??
–এই আগা গুরা হীন প্রশ্নের জবাব? দেয়া যায়।তবে রিদয় তো জানে কোন ব্যাপার টা, তা তিতিল মুখ ফুটে না বললে সেও উওর দেবে না।
“- মুখটা এমন ভঙ্গি করল জেনো কিছুই বুঝেনি।চোখ গুলে প্রশ্ন বুধকের মত করে।রিদয়ের পাল্টা প্রশ্ন।
কিসের কথা!!!!!আর নাটক কখন করলাম?
— এই রে এই বেটারে বাদাম খাওয়াতে হবে দেখছি। ভুলাক্কর নাকি। কি বলছি বুঝতে পারেনা।
তিতিলের উচু স্বরটা নিচু হয়ে এসেছে।আবার মাথাটা বালিশে গুজেছে। নাহহ আর বলতে পারবে না।কেঁচো খুরতে গিয়ে না সাপ বের হয়।
“– ওমা শুয়ে পরলে যে। বললে না তো কিসের মনে থাকা না থাকার কথা বলছিলে!!
” আহ ঘুমান তো আমার ঘুম পাচ্ছে। রিদয়ের বাকা হাসিতে তিতিল এটা তো বুঝতে পারলো, রিদয় নাটক বেশ ভালো জানে।পুলিশ না হয়ে সিনেমায় কাজ ভালো করতে পারতো।
,মুখ টা লুকিয়ে তিতিল অন্য পাশ ফিরে শুয়ে পরেছিলো।নাহ এই বেটা সত্যি লুচু এর সাথে আমার বেশি মাতা চলবে না….
——–★★
“- দরজাটা খুলা ছিলো তাই সোজা ঢুকে গেলো ঘরে।
ওর বাবা এখনও বিছানায় হা করে ঘুমাচ্ছে।আর আরিফ রহমান চেয়ারে বসে পত্রিকায় মুখ লুকিয়েছে।
কেউ এসেছে তা অনুভব হতেই চোখ গুলো পত্রিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
— তিতিল!!
” এক রকম ঘাবরে গেছে তিতিলকে সামনে দেখে।
ডান বাম তাকিয়ে এবার সোজা হাটা ধরল আরিফ রহমান।
—–বাবা রাগ হয়ে আছেন এখনও আমার উপরে!!
” চলতি পা থামিয়ে আরিফ রহমান তিতিলের দিকে ডেব ডেব করে তাকিয়ে।
“বাবা,আমার উপরে আপনার এত অভিমান! যে আমায় দেখলেই নিজেকে আরাল করে নিন??
— তিতিলের কথায় আরিফ রহমান এক রকম কেঁদেই দিয়েছে।
মা রে আমার ক্ষমা করে দে। আমি বড় ভুল বিচার করেছি তর আর তর সন্তানের উপরে।কিনা কি বলেছি। আমার যে লজ্জা হয় তর সামনে আসতে…. তাই নিজেকে আরালে রাখার চেষ্টা করি।
— মেয়ের সামনে যদি বাবা লজ্জা পায় তাহলে তো মেয়ে কিসের!!
চা টা আরিফ রহমানের দিকে বারিয়ে দিয়েছে মিষ্টি হাসি সহ।
আরিফ রহমান বেশ অনুতপ্ত । এই মেয়েটা কত সরল। কত সহজে আমার অপরাধ ঢাকা দিয়ে সব গুছিয়ে নিয়েছে।
আমার মনে বুঝাটা কত সহজে নামিয়ে দিয়েছে।
“-ঘুমতো কখন শেষ তিতিলের বাবার চোখটা মিট মিট করে তাকিয়ে শশুর আর পুত্র বধূর কথপোকথন শুনছে, আর সস্থির হাসি হাসছে।
_________________★★★
“- রিদয় এখন সমপূর্ন সুস্থ। ডিউটি জয়েন্ট করেছে। বহু আগেই।
তিতিলের ৭ মাসের ভারি পেট। নড়া চরা করতে পারে না।বসলে উঠতে পারে না একা একা।
ডাক্তার বলেছে টুইনস বেবী। এরা মনে হয় রিদয় আর তিতিলের মা হয়ে দুনিয়ায় আসবে। হ্যা মেয়ে হবে ওর। তিতিলের গঠনের তুলনায় পেট টা বেশ বড়।
তিতিলকে কোন কাজই করতে দেয় না রোকেয়া বেগম। বেশ যত্নেই রাখছে।
—আরিফ রহমান তো অবসরে শুধু নাতনিদের নিয়ে কি কি করবে সেই প্ল্যান করে বেরায়।
“-আর রিদয় তো তিতিলকে এত ভালোবাসায় মাখিয়ে নিয়েছে। যা তিতিলের সমস্ত জখম ভরে দিয়েছে।
বড্ড ভালোবাসে একে অপরকে… তিতিলও কম নয়।
সারা দিন পথ চেয়ে রয় কখন উনি বাড়ি ফিরবে।
” সেতুর কেস টা এখনও চলছে। তবে জামিন যাতে না পায় সে রকম সব ব্যাবস্থা রিদয় করেছে।
– বেশ বড় উকিল ধরেছে সেতু, যার কারনে ঐ উকিলের দাও প্যাচ বড্ড কড়া।তবে যাই হক।সত্য তো আর ধামা চাপা রয় না।আর সায়নকে তো বাঁচাতে হবে। সে তো একটা ভুল করে বসে আছে। যাই হক এখনও অবদি সায়নের উপর তেমন আচ না আসলেও সামনের দিনের কথা বলা যায় না। রুহিতো সায়নের নামই নেয়নি। সেতু নিজেই নিজের হাতে গুলি চালিয়েছে ওদের ফাসাঁতে, এটাই বলে বেরাচ্ছে।
______★
“– নিজস্ব কোন গাড়ি এই বাড়িতে নেই।এদিকে তিতিলের সময় ঘনিয়ে আসছে। যে কোন সময় সমস্যা দেখা দিলে ট্যাক্সির জন্যে অপেক্ষা করে রিদয়ের চলবে না। যদি ওর রাতে পেইন উঠে তখন গাড়ি কোথায় পাবে???
ডাক্তার বলেছে সব নরমাল তবুও রিদয় বাড়িতে কোন রিক্সই নেবে না। যা হবার হাসপাতালেই হবে।
নিজের সকল জমা পুজি ঝেরে দিয়েও কিছুতেই কিছু করতে পারছে না। সেকেন্ড হেন্ডের টাকাও হল না।
“— ক্লান্ত শরিল নিয়ে ঘরে ঢুকেছে রিদয়।মন টা ভালো নয়।মনে থাকা ইচ্ছাটা পূরনই হচ্ছে না। পুলিশের চাকরিতে কয় টাকাইবা বেতন।তবে ওর সহ কর্মীদের ভালোই ইনকাম হয়।
পুলিশের চাকরি জনগনের সেবা করতে নিয়েছে, টাকা ইনকাম তো যে কোন কাজেই করা যায়।
— সারা দিনের ক্লান্তি তিতিলের মুখের দিকে তাকিয়ে ছু…
” পেটে হাত দিয়ে মুচকি হাসি হাসছে তিতিল।কারন পেটের ভিতরে মনে হয় দুইজন মারা মারি করছে।
সে কি লাথি বাবাগো।
যখনই লাথি পরে তিতিল মা গো করে চিৎকার করে।আর এই চিৎকারে রিদয়ের গলা শুকিয়ে আসে।
—আরিফ রহমান তো ছুটেই চলে আসে..
রোকেয়া বেগম এখন এই বাড়িতেই রয়েছে শরিফ রহমান কে নিয়ে।
তিতিলের কখন কি সমস্যা হয়। তখন তো ঐ বাড়ি থেকে জানতে পারবে না।
★
এদিকে আসুন না দেখুন আপনার বাচ্চারা বেশ ঝগরাটে হবে মনে হয়।
এগুতে দিয়েও পিছপা রিদয়।হাত তো ভালো করে ধুয়ে মানে ফ্রেস হয়ে তিতিলের কাছে যাওয়া দরকার।
“——-
“- রাতে তিতিলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে রিদয়ের চিন্তার সিমা নেই।
তবে এখন চিন্তায় সময় নষ্ট কেন! যতক্ষন তিতিলের পাশে আছি শুধু ওকে নিয়েই কাটাবো।
রিদয়ের হুটহাট পেটে চুমু খাওয়া এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।
মানা করলে তো কথাই নেই।
“এখানে আমার মায়েরা আছে বুঝলে..
মা না ছাই।তাহলে ওরা এলেই ওদের চুমু দিন আমার পেটে বার বার হানা দেয়ার মানে কি?
আরেহ হানা দিই মানে!!
ওহহহ বুঝতে পেরেছি এখন থেকেই এত হিংসা আমার মেয়েদের উপরে!!
তোমায় চুমু দিই এর জন্যে রাগ হও বুঝি??
“— আহা রে ঘুমান, চাই না আপনার চুমু টুমু,আপনার এই ছোট্ট দাড়ি গুলো আমার গাল ছিলে দেয়।
– বাহ এখন আমার এই ছোট্ট ছোট্ট দাড়ি গুলো তোমার কাছে ধারালো ছুরি মনে হয়!!
”
কই তিন মাস আগেও তো এমন করতে না হুম।
আর যখন আমার গালে কামর দাও,আমি কি কিছু বলি নাকি??
” ছি আপনার লজ্জা সত্যি অনেক কম।
— রিদয়ের উচ্চ স্বরের হাসি।এত দিনে আমার লজ্জা বারার কথা না কমার কথা, দিন যত যাবে লজ্জা ততোই কমবে।
“- নেহাত আমার মায়েরা তোমার এখানে..নয়তো আজকেই বুঝাতাম তোমায় মজা, আমার এই ছোট দাড়ি গুলো দিয়ে তোমার গাল গুলো ভালো করে ছিলে দিতাম।
“-আহা শখ কর।
” এই তিতিল আমায় খুচা দিয়ে কথা বলো না কিন্তু!!
আরেহ খুচা দিলাম কই।আমি তো আপনার শখের তারিফ করলাম।
“— একবার তোমায় পাই, তখন দেখবা। গাল ছিলার অপরাধি করেছো তাই আজকে আবার গাল ছিলছি দারাও।
—রিদয়ের গাল গুলো তিতিলের গালের কাছে নিয়ে তিতিলকে জ্বালাতন করছে।
নাহ তিতিল এতে বিরক্ত নয়,রিদয় চায় ক্লিন সেভ করতে,তিতিলই বারন করে, হালকা খুচা খুচা দাড়ি নাকি ওর ভালো লাগে।
হাসিতে মেতে, দুজনের খুনসুটি তে রাত পার করছে।
________★
—— জুই ফুল তো তিতিলের পেটে আদর না করলে চলেই না। যত ক্ষন বাড়িতে থাকে এমনই করে।
” আর রিদয় তো আছেই। তিতিলের চিন্তায় কাজে মনই দিতে পারে না।
সারাক্ষন শুধু তিতিল।
“—- ছুটির আর্জি নিয়ে এখান থেকে ওখানেই ছুটে বেরানো জেনো ডিউটি হয়ে উঠেছে।তবে চাইলেই সব পাওয়া যায়।
——– নিস্তব্দ দুপুর,রিদয় বাড়িতে ঢুকেই একটা কালো রং এর প্রাইভেট কার দেকতে পেলো।
ওমা গাড়িতে করে কে এলো? নতুন গাড়িই তো দেখছি।
ইসস যদি আমার বেবীদের আসার আগে এমন একটা গাড়ি নিতে পারতাম।তখন তিতিলকে হাসপাতালে নিতে কতই না সুবিধা হত। রাতের এক টায় হলেও সমস্যা হত না।
কি অধম আমি, সামান্য গাড়ি করতে পারিনা।
যা জমিয়েছি এতে তো দুটো চাকা কিনে গলায় ঝুলানো যাবে।
“– ঘরে ঢুকতেই তিতিল রিদয়ের মুখ মিষ্টি পুরে দিলো।
নিন খান।।
— উমমমম.. করেও ছার নেই আস্ত মিষ্টিটা মুখে দিয়েই খান্ত তিতিল।
” আরেহ My dear .মুখ মিষ্টি তো তুমি চাইলে যে কোন সময় করতে পারো।তার জন্যে বাজারের কেনা মিষ্টির কি প্রয়োজন!!!
“—- ছি!! বেহায়া কোথাকার সব সময় একই চিন্তা মাথায়।
” আরেহ আমি করলে দুষ আর তুমি করলে নন্দ ঘুস…
দাড়াও……
দরজাটা বন্ধ করে রিদয় তিতিলকে কপালে একটা গভির চুমু খেয়েছে।
“-কি চোখ বন্ধ করে আছো যে…
— আপনার ছোয়া অনুভব করছি..
” তাই বুঝি!!
-বাহিরে গাড়ির কথা ভুলেই গেলো রিদয়,ভুলারই কথা।
পেটে হাত বুলিয়ে পেটে চুমু খেয়ে রিদয় তিতিলের শরিলের খরব নিলো।
কোন সমস্যা হয় না তো…
– না কোন সমস্যা নেই। অযথাই আপনি আমার চিন্তায় শুকিয়ে কাঠ হচ্ছেন।
এখন চলুন বাবা আপনায় জেনো আসলেই উনার সাথে দেখা করতে বলি জানিয়ে গেছেন।
“— ওহ বাবা!
এই তিতিল কয়দিন পর তো আমিও বাবা হব।
— তিতিলের গাল বাকানো হাসি, রিদয়ের চুল গুলোয় হাতের আঙুল গুলো বুলিয়ে দিয়েছে।
আপনি সত্যি বেশ ভালো বাবা হবেন। একজন আদর্শ বাবা। যে বাবা সন্তানের আসার আগেই এত কেয়ার ফুল, নিজের শখ আল্লাদ রেখে সন্তানের কথা ভাবে…
সেই উওম পিতা।
আমার সন্তানেরা আপনার মত পিতা পেয়েছে তারা বড় ভাগ্যবান।
“- আরেহ এটা কোন কথা!!
তোমার সন্তান মানে?? ওরা তো তোমার একার নয়।
— সব কথায় শুধু দুষ ধরা, চলুন বাবার সাথে দেখা করে আসুন।
” শরিলে ঘামের দূরগন্ধ..গোসল দিয়ে তবেই দেখা করব..
“- তোয়ালেটা হাতে নিয়ে তিতিলের পা থেকে মাথা অবদি চোখ বুলিয়ে নিলো।
তুমি এখনও গোসল করোনি???
— না ঐ যাচ্ছিলাম,আপনায় আসতে দেখে দাড়িয়েছি আরকি.৷৷
“- ভালোই হয়েছে।
—– গোসল করিনি এটা কেমন ভালো??
” এখনই বুঝাচ্ছি কেমন ভালো।
তিতিলকে কোলে তুলে নিয়ে রিদয় ওয়াসরুমে ঢুকেছে।
—-আজ তো বাচ্চা আর তাদের মা কে এক সাথে গোসল করাবে।
—- আরেহ এই নামান প্লিজ পরে যাবো।
চুপ!! কতই তো কোলে নিই,কখনো পরেছো,যে আজ পরবে। আর আমার প্রান থাকতে তোমার কিছু হতে দেবো নাকি??
— আচ্ছা যদি আমার কিছু হয়ে যায়??
নিজেকে সামলে নিবেন প্লিজ।আর আমার সন্তানদের দেখে রাখবেন।
রিদয়ের গলা জরিয়ে তিতিলের ভাঙা গলার স্বরে কথটা রিদয়ের কলিজা ভেদ করেছে।
যখন তখন অলক্ষি কথা ওর।
একটা চর দিয়ে দাতঁ ফেলে দেবো যদি ভুলেও তুই এমন কথা বলিস।
তর কি হবে হ্যা কি হবে??
আমার বাচ্চা চাই না তোকেই চাই,চলবেনা তোকে ছারা বলে দিলাম।
– রিদয় বেশ ইমোশনাল হয়ে পরছে,তিতিলকেই এবার রিদয়কে সামালতে হবে।
তাই টপিল চেন্জ করা দরকার।
“- ছারুন তো আমি একাই গোসল করে নিবো প্লিজ নামিয়ে দিন..
কেন???
. আপনায় ভরসা নেই। আমি কোন লুচুর সাথে গোসল করব না।
” এই আমি এত লুচু নই,নিজেকে কন্ট্রল করতে পারি বুঝলে!
আর হ্যা কখনো ঐ সব অলুক্ষনে কথা বলোনা।এমন না হয় তোমার গালে চরই বসিয়ে দিই।
আপনার চর ও আমার কাছে আদরই মনে হবে।
—হয়েছে আঘাত করে মলম চাই না।
আচ্ছা মলম না নিন আমায় ছারুন।
— উহুম, মানতে পারলাম না।আজ তো তোমায় আমিই গোসল করিয়ে দিবো, .. আর আমার মেয়েদের নড়া চড়া দেখবো।..
“তিতিলের এক রাশি গালি, কিল গুতো খেয়েও রিদয়ের কোন প্রতিক্রিয়া নেই।সে তার কাজ মন দিয়ে করছে।
শাওয়ার টা ছেরে দিয়ে তিতিলকে গোসল করাতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে.৷
*তবে তিতিলের কেমন জানি ভয় হয়, খুব ভয় হয়।
রিদয়ের ভালোবাসা থেকে মুক্ত হতে চায়না। , প্রান দিয়ে রিদয়কে ভালোবাসতে চায় শুধুই ভালেবাসতে।*
আর ওর ভালোবাসা চায়।আর কিছু নয়।
যদি কিছু হয়ে যায় আমার তখন? উনাকে কে সামলাবে??
(চলবে)★