#সুপ্ত_ভালোবাসা
#পর্ব_৩৫_তথা_শেষপর্ব
#Tahmina_Akther
-তুমি কিভাবে পারলে ওই জেনিফারের ঠোঁট তোমার গালে ছোঁয়াতে?জানো তোমাদের দু’জনকে এভাবে একসাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে আমার কেমন লেগেছিল?
-কেমন লেগেছিল ফুল?
হিয়ার ঘাড়ে নাক ঘষে অভিক বলেলো।
-কেমন লেগেছিল না! যখন কেউ তোমার সামনে আমাকে টাচ করবে তখন বুঝবে কেমন লাগে?
এখন ছাড়ো আমাকে আমি কিন্তু এখনও রেগে আছি তোমার উপরে।
হিয়াকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নাকে নাক ঘষে অভিক নীচু কন্ঠে বলছে,
-আমার উপর রেগে আছো, থাকো।তোমার রাগ ভাঙাচ্ছে কে?তুমি থাকো তোমার রাগ নিয়ে।গতকাল রাতে তো নিষ্ঠুরের মতো খাটে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিলে কই তখন তো আমার রাগ ভাঙাতে এলে না? একবার আমার দিকে তাকালে না পর্যন্ত। একবার খালি আমার দলটা ভারি হোক তখন তোমার আর প্রয়োজন নেই।
-ও আমি নিষ্ঠুর, তুমি দয়াবান! আমি কিভাবে তোমায় ছাড়া এই ছয়মাস কাটিয়েছি তুমি ভাবতেও পারবে না। তুমি তো চলে যাওয়ার পরই প্রেগনন্সির লক্ষণ দেখা দিলো। মর্নিং সিকনেস তো আছে।কিছুই খেতে পারতাম না সব উগড়ে দিতাম বমি করে।
মাথাব্যাথা, বমি করে কাহিল এমন যন্ত্রনার রাতে তোমায় পাশে পেতাম না একটু জড়িয়ে ধরার জন্য।
তবুও মনে আশা ছিলো তুমি আসবে তোমার কানে কানে চুপটি করে বলবো “আমাদের দু’জনের মাঝে ঘুমানোর জন্য কেউ আসছে”
কিন্তু, উনি ঝামেলা পাকিয়ে এসে সব পন্ড করে দিলেন। আর নোভাটাকে খালি কাছে পাই আমি এরপর, বুঝাবো কত ধানে কত চাল।আমাকে পুরো দু’টো দিন কাঁদিয়েছে।
কথাগুলো বলতে বলতে হিয়ার চোখের পানি টলমল করছিলো।
-কেঁদো না ফুল। তোমার কান্না দেখলে বুক কেমন যেন করে! আর কখনো তোমায় ছেড়ে কোথায়ও যাবো না প্রমিজ।
কথাগুলো বলেই হিয়াকে বেশ শক্ত করে জরিয়ে ধরে কপালে পরপর দু’টো চুমু দিলো অভিক।হিয়া অভিকের বুকে মাথা গুঁজে নিঃশব্দে চোখের পানি ছেড়ে দিলো।
ঠিক কতদিন পর এই বুকে মাথা রাখলো।
বুকে ঠান্ডা কিছু অনুভব করতেই অভিক হিয়ার মুখ উঁচু করে দেখলো। হিয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে কান্না করে। অভিক চোখের পানি মুছে দিয়ে বলছে,
-আমি তো ভেবেছিলাম আমার বৌ বুদ্ধিমতি, বুঝদার মানুষ। কিন্তু, উনি তো টিনএজ মেয়েদের মতো কেঁদে কেঁদে আমার বুক ভিজিয়ে সাগর বানিয়ে ফেলছে।
-কেন আমি কান্না করতে পারবো না?শুধুমাত্র আমার আবেগের বয়স নেই বলে!আর তোমার বুকে কাঁদবো না তো কার বুকে কাঁদবো আমি?
-হয়েছে পাগলি কান্না বন্ধ করো। এখনো চলো কিছু খেয়ে নিবে আমার মেয়েটা জানি কতক্ষণ ধরে না খেয়ে আছে?
-হুম আপনার মেয়ে হবে কে বলল ছেলেও তো হতে পারে!
-তুমি দেখবে আমার আরেকটা মা হবে, যে আমাকে নতুন করে পৃথিবীটাকে চিনতে সাহায্যে করবে।
——————-
হিয়ার প্রতিদিনের ব্রাশ থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত সবকিছু অভিক করছে।বাড়িতে থেকেই অফিসের কাজ করছে সাথে হিয়ার বাবাও অফিসের কাজে হেল্প করছেন। তাই আর অভিকের কোনো টেনশন নেই।
এমনই একরাত
হিয়ার প্রেগনেন্সির তখন সাইত্রিশ সপ্তাহ।
আকাশে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠলো, পুরো আকাশ জুড়ে তাঁরাগুলো যেন মিটিমিটি করে হাঁসছে।দূর দূরান্তে পর্যন্ত কোনো মেঘেদের দেখা নেই।শোঁ শোঁ আওয়াজে বাতাস বইছে। বাতাসের বেগে গাছপালা গুলো একবার এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত টলছে। বাতাসের ছোঁয়ায় হিয়ার চুলগুলো উড়ছে পাশে বসা অভিক খুব সুক্ষ্ম নজরে তাকিয়ে আছে হিয়ার দিকে।
কি আছে তার ফুলের মাঝে! যেন এক অদৃশ্য চৌম্বক তাকে হিয়ার দিকে আকর্ষণ করে।এই আকর্ষণ কখনো শেষ না হোক। আকর্ষণের কার্য চলুক অনন্ত অসীম পর্যন্ত।
-কি ভাবছো অভিক?
হিয়ার কথায় ভাবনা বিচ্ছেদ হলো অভিকের। হালকা হেসে বললো,
-ভাবছি তো অনেক কিছু।এখন চলো অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে হবে।
-আর একটু থাকি না পরে যাবো।
-আচ্ছা, আর দশ মিনিট এরপর আর বলতে পারবে না।
যথা সময়ে হিয়া চলে গেলো রুমে। নয়তো অভিক ওকে বেশ বকবে।হঠাৎ করে ওর পেটের নিচের দিকে হালকা হালকা ব্যাথা অনুভব করছে কিন্তু আবার কমে যাচ্ছে। হয়তো এমনিতেই তাই আর অভিককে বলার প্রয়োজন মনে করে নি।
——————
সকাল মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভাঙলো অভিকের সাথে হিয়ারও। কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে অভিককে উদ্দেশ্য করে বললো,
-আসসালামু আলাইকুম স্যার।আজ একটু অফিসে আসতে হবে। জি এম গ্রুপের এমডি আজ আমাদের অফিসে আসবে। আপনি না এলে কেমন দেখা যায় ব্যাপারটা। আপনি আসবেন তো স্যার?
-হুম আমি আসবো। কয়টা বাজে আসবেন উনি?
-এই তো স্যার দশটায়।
-আচ্ছা, আমি আসবো।
বলে কল কেটে দিলো অভিক। ততক্ষণে হিয়া উঠে অভিকের দিকে তাকিয়ে আছে। অভিক উঠে গিয়ে হিয়ার গালে বেশ শব্দ করে চুমু খেলো।
-অভিক, তুমি সবসময় এরকম বাসি মুখে আমার গালে চুমু দাও কেন? ব্রাশ করার পরেও তো দিতে পারো।
হিয়া উড়না দিয়ে গাল মুছতে নিলেই অভিক হাত ধরে বাঁধা দিলো।আর বললো,
-খবরদার মুছবে না নইলে গালের চুমু অন্য জায়গায় দিবো। তখন কিন্তু ভ্যা ভ্যা করে কাঁদলেও কোনো লাভ হবে না। এখন চলো ফ্রেশ করিয়ে দেই তোমায়। আজ অফিসে যেতে হবে একটু।
-কেন অফিসে যেতে হবে?
-জি এম গ্রুপের এমডি আসবে। সেখানে যদি আমি উপস্থিত না থাকি ব্যাপারটা কেমন দেখায়?
-হুম, তাড়াতাড়ি চলে আসবে কিন্তু।
-আচ্ছা চলে আসবো।
হালকা হেসে অভিক বললো এরপর, হিয়াকে ফ্রেশ করিয়ে নিজেও ফ্রেশ হয়ে নিলো।হিয়াকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলো।হিয়ার উপরে উঠানামা করতে কষ্ট হয় বিধায় ওরা এখন নিচের রুমে শিফট হয়েছে। হিয়াকে নাশতা খাইয়ে নিজেও হালকা কিছু খেয়ে নিলো।
এরইমাঝে, হিয়ার বাবা এলে উনার সাথে এমডির ব্যাপারে টুকটাক কিছু কথা বলে হিয়াকে সাথে নিয়ে রুমে চলে এলো অভিক।
হিয়া সোফায় বসে বসে অভিকের তৈরি হওয়া দেখছে।শার্ট পরার সময় হিয়া উঠে গিয়ে দাঁড়ালো অভিকের সামনে। একটি একটি করে শার্টের বোতাম লাগিয়ে দিলো।
এরপর,হিয়ার কি যেন হলো!ও অভিকের বুকে নাক গুঁজে রইলো।অভিক হিয়ার মাথায় হাত রেখে বললো,
-কি হয়েছে ফুল? শরীর খারাপ লাগছে? হসপিটালে যেতে হবে।
উদ্বিগ্নের স্বরে বলে উঠলো অভিক।
হিয়া অভিকের বুকে মুখ গুজেই বললো,
-সবসময়ই খালি উল্টাপাল্টা ভাবনা। আমার এমনিতেই ভালো লাগছে এভাবে থাকতে।অভিক তোমার গায়ের না আলাদা একটা স্মেল আছে। পুরো নেশার মতো। তুমি তো আজ সারাদিনের জন্য চলে যাবে তাই আজ বেশি সময় নিয়ে তোমার ওই নেশালো গন্ধ শুঁকে নিলাম।
মন খারাপের সুরে বললো।
-হা হা আরে বোকা।এই জন্যই তো বলি সারাদিন যখনি আমাকে কাছে আসে ঠিক তখনি বুকে মুখ গুজে পরে থাকবে। যদি আমি মরে যাই তখন কি করবে তুমি?
-এই সব অলক্ষুণে কথাবার্তা বলো না তো। আমি সহ্য করতে পারবো না তোমার কিছু হলে।
অভিকের মুখে হাত দিয়ে হিয়া বললো।
-আচ্ছা, যাও বলবো না। এখন আসছি আমি। ভালো থেকো আর শরীর খারাপ লাগলে মা’কে বা বড় আম্মুকে বলো। আমাকে কল করে জানাবে তোমার কি অবস্থা? আমি জলদি ফিরে আসার চেষ্টা করবো।
কথা শেষ করে হিয়ার কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো অভিক।
হিয়া তার কপালে স্পর্শ করতে গিয়েও হাত নামিয়ে ফেললো। থাক না অভিকের স্পর্শ গায়ে জড়িয়ে!
———————-
-হ্যালো, অভিক কই তুই?
-অফিসে আটকা পড়ে আছি। এত বৃষ্টিতে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না। বৃষ্টি কমে এলে বাড়িতে চলে আসবো। হিয়া কি করছে, বাবা?
-হিয়াকে নিয়ে হসপিটালে এসেছি। পারলে তুই মেনেজ করে চলে আয়। হিয়ার অবস্থা ভালো না। কি হয় কে জানে?
অভিকের বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। মানে তার হিয়া, কি হলো ওর?
না আমাকে যেতে হবে হিয়ার কাছে।
দৌঁড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লো অভিক। ধরনীতে তখন সন্ধ্যা নেমেছে। মুশলধারের বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
অভিক দিশেহারা হয়ে গেলো। কি করবে বুঝতে পারছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে পানিতে নেমে হাটা শুরু করলো যে করেই হোক হিয়ার কাছে যেতে হবে।কিছুদূর হাটার পর বৃষ্টির গতি থেমে এলো। আর অভিক এখন যেখানে আছে সেই এলাকায় পানি জমেনি। তাই রিকশা ডেকে রওনা হলো হসপিটালের পথে। মনে মনে শতবার আল্লাহকে ডাকছে যেন তার ফুলের কিছু না হয়।
চোখের সামনে তার হিয়ার কাটানো সব খুনসুটির মূহুর্তগুলো ভেসে উঠছে। হঠাৎ, ওর মন থেকে কেউ বলে উঠলো,
-আচ্ছা, যদি হিয়ার কিছু হয় তবে কে অভিকের বুকে নাক গুঁজে বলবে, অভিক তোমার গায়ের গন্ধ না বড্ড নেশালো।
উফফ, আর ভাবতে পারছি না। আল্লাহ তুমি আমার ফুলকে সুস্থ রাখো। আমার আর কিছুই চাওয়ার মতো কিছুই নেই।
হসপিটালের সামনে রিকশা থামতেই তড়িঘড়ি করে নেমে ভাড়া মিটিয়ে একদৌড়ে চলে গেলো রিসিপশনে সেখানে থাকা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করতেই, মেয়েটি জানালো দোতালায় ১৫ নম্বর কেবিনে চলে যেতে। অভিক দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো। অভিকের দিকে অনেকে তাকিয়ে রইলো।কারন,এই স্যুট বেশে ভেজা গায়ে পাগলের মতো লোকটি এভাবে তারাহুড়ো করছে তাই হয়তো!
কাঙ্খিত জায়গায় আসতেই পরিবারের সকলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো অভিক। ধীরপায়ে এগিয়ে গেলো তাদের দিকে। মনে তখন একরাজ্যের দুশ্চিন্তা। ধক ধক ধক হৃৎপিণ্ডের আওয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অভিকের চিন্তা।
ছেলেকে এগিয়ে আসতে দেখে রোকন জামান এগিয়ে গেলেন ছেলের দিকে। ছেলের কাঁধে হাত রেখে ইশারা করলেন কেবিনে যেতে। অভিক তার বাবাকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছে না। ধীর পায়ে প্রবেশ করলো কেবিনে।
পুরো রুম জুড়ে নিস্তব্ধতায় ঘেরা। জানালার সাদা পর্দা গুলো বাতাসে উড়ছে। ছোট একটি শিশু কাঁদছে আপনমনে হয়তো প্রিয়জনকে কাছে ডাকার আহ্বান! বাচ্চাটির দিকে একপলক তাকিয়ে হসপিটালের বেডে তাকালো অভিক। সাদা চাদর গায়ে হিয়া চোখ বন্ধ করে আছে। অভিকের হৃদয় যেন বেড়িয়ে আসতে চাইছে তার শরীর থেকে। এগিয়ে গেলো তার ফুলের দিকে। পাশে রাখা চেয়ারটি আস্তে করে টেনে বসলো। গাঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার ফুলের দিকে। মলিন হয়ে আছে মুখটি, যেন কত ধকল গিয়েছে তার উপর দিয়ে? আস্তে করে হিয়ার হাতের উপর হাত রাখলো অভিক।
হাতে কারো স্পর্শ পেতেই চোখ খুলে তাকালো হিয়া। দেখলো অভিল তার পাশে বসে আছে। মুচকি হাসি দিয়ে আস্তে করে বললো,
-কাঁদছো কেন মেয়ের আব্বু?
হিয়ার কন্ঠ পেয়ে কান্না বন্ধ করে তাকালো অভিক।কি নির্মল হাসি তার প্রেয়সির!
হিয়া ইশারা করলো তাকে বসাবার জন্য। অভিক আস্তে করে ধরে উঠে বসালো হিয়াকে। এরপর,ইশারা করলো বাবুকে নিয়ে আসার জন্য।
অভিক এগিয়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে কোলে নিলো তার সন্তানকে। যার জন্য কত অপেক্ষা করেছে তারা দু’জন মিলে।
মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়ে তার পুরো বাবার মতো দেখতে হয়েছে। গায়ের রঙ ধবধবে ফর্সা ফুলের মতো।মেয়েকে নিয়ে হিয়ার সামনে বসলো। হিয়া তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো অভিকের কোলের উপর। অভিক মেয়েকে এগিয়ে দিলো হিয়ার কাছে। হিয়া কোলে নিয়ে মেয়েকে বুকে চেপে ধরলো।মেয়ের কপালে চুমু খেতেই অভিক উবু হয়ে চুমু খেলো মেয়ের কপালে। তারপর,বেশ লম্বা চুমু খেলো হিয়ার কপালে।
আজ নিজেকে সবদিক পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে অভিকের কি চাওয়া আছে আর জীবনে।সব পূর্ণ করেছে বিধাতা।
-মেয়ের নাম কি রাখবে অভিক?
কেবিনে প্রবেশ করে জিজ্ঞেস করলেন হিয়ার বাবা। উনার পিছু পিছু সবাই এলো। অরিন, সাদাফ একে একে সকলেই বাবুকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলো। বাবু তার দাদির কোলে ছিলো অভিক উঠে তার মায়ের থেকে কোলে নিয়ে বললো,
-আমাদের দু’জনের অংশ আমাদের মেয়ে। তাই আমাদের দু’জনের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে মেয়ের নাম রাখবো। অভিকের “অ” আর হিয়ার “হি” অ+হি =অহি।
অহি জামান।
-আলহামদুলিল্লাহ, সকলে বলে উঠলো।
সকলের খুশির হাসিতে যেন আজ আকাশের চাঁদ খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। চারদিকে তখন কালো মেঘের ঘনঘটা কমে চাঁদের আলোয়ে পরিপূর্ণ ।
#সমাপ্ত
(