অন্ধপ্রেম পর্ব -১৩+১৪

#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_13
(#সবার জন্য তাড়াতাড়ি চলে এলাম এন্ড গল্প দিলাম .আমার অনেক বানান ভুল হয়..ইডিট করি মাঝে মাঝে ..ইডিট করতে গিয়ে চাপ লেগে ডিলিট হয়ে যায় মাঝে মাঝে..তাই নিজে নিজে বুঝে নিবেন বিকোজ আমারা আমরাই তো ..)
.
শীতলের প্রায় জান যায় যায় অবস্থা তবুও রাজের টনক নড়ছেনা ..যখন ছিনতাই কারি ন্যাকলেসটা ছিড়ে ফেলেছে তখন রাজ সামনে থাকা গ্লাসে শীতলকে খেয়াল করলো ..
ততক্ষনে লোকটা চলেও গিয়েছিলো ন্যাকলেসটা নিয়ে ।
রাজ শীতলকে কিছু বললো না শুধু তাকিয়ে থাকলো ..
শীতল কাদো কাদো ভাব নিয়ে গলায় হাত দিয়ে রাজের দিকে তাকালো ..
বিকোজ গলা অনেকটা ছিলে গিয়েছে ..
রাজ শান্ত গলায় বললো …
_চাপ নিয়োনা ডার্লিং ,,এরকম ন্যাকলেস এনে দেবো অনেক গুলো ..
শীতল গলায় হাত দিয়ে ভাবছে হাসবে নাকি কাদবে রাজের কথা শুনে ..
শীতলের গলার দিকে তাকিয়েও কিছু বলছেনা রাজ বলছে ন্যাকলেসের কথা ..
.
.
.
শীতলের তো আরো বড় কোনো ক্ষতি করতে পারতো লোকটা ..
শীতল বেশিক্ষন কান্না আটকে রাখতে পারলোনা রাজের কথা শুনে সে কেদেঁই দিলো …
_টেনশন নিয়োনা ডার্লিং .কক্সবাজারে গিয়েই হার কিনে দেবো ..
শীতল এবার ভ্যা ভ্যা করে জোরে কেদেঁ দিলো ..
.
.
.
রাজদের সাথে যারা কামরা শেয়ার করেছিলো তারা কতগুলো ব্যান্ডের লোক ছিলো ..
সবাই শীতলকে বার বার দেখছিলো আর তার প্রশংসা করছিলো ..
শীতল ও রাজকে দেখিয়ে দেখিয়ে হেসে হেসে কথা বলছিলো বিকোজ রাজকে সে এখন বেশি ভয় পায়না ..
রাজ তো মানুষ কোনো বাঘ ভাল্লুক ,সিংহ না যে তাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে …
.
.
.
রাজ আপন মনে একবার ল্যাপটপে কাজ করছে আরেকবার ঘুমুচ্ছে ..
শীতলকে দেখছেই না সে ..
ব্যান্ডের ছেলেগুলো শীতলের কাছে আবদার করলো একটা সেলফি তোলার জন্য ..
.
.
.
শীতল যেই সেলফি তুলতে নিবে অমনি রাজ ব্যাগপত্র নিয়ে ট্রেন থেকে নামার প্রস্তুতি নিলো ..
শীতলকে না বলেই রাজ কামরা থেকে বের হয়ে চলে এলো ..
শীতল ও বাধ্য হয়ে চলে এলো রাজের সাথে সেলফি ছাড়াই .
সবাই শীতলকে টা টা দিচ্ছিলো আর শীতল ও দিচ্ছিলো ..
.
.
.
হোটেল রুম আগেই বুক করে রেখেছে রাজ ..
রুমে গিয়ে শীতল বেডে গা এলিয়ে শুয়ে পড়লো ..
রাজ ওয়াসরুমে চলে গেলো ..
শাওয়ার শেষে রাজ বুঝতে পারলো সে কোনো ড্রেস আনেনি ..
বাধ্য হয়ে শীতলকে বললো ব্যাগ থেকে ড্রেস দিতে ..
শীতল প্রথমে ওয়াস রুমের ডোর লক করলো তারপর ড্রেস ভেতরে ঢোকালো ..
রাজ তার পোশাকের বদলে শীতলের হাত ধরে টান দিলো …
শীতল টাল সামলাতে না পেরে রাজের উপর পড়ে গেলো ..
শাওয়ার টা ছাড়াই ছিলো ..
তাই শীতল ভিজে গেলো ..
দুজন খুব কাছাকাছি চলে এলো যেখান থেকে দুজনের নিঃস্বাশের শব্দ শুনতে পারা যায় ..
.
.
.
একসময় রাজ শীতলের ঠোট নিজের ঠোটের আওতায় এনে ফেলে ..
শীতল রাজের স্পর্ষ পেয়ে যেনো তার মাঝে হাড়িয়ে গেলো ..
রাজ একসময় শীতলের শাড়ি খুলে ফেলতো চাচ্ছিলো ..
শীতল রাজকে হাত দিয়ে বাধা দেয় আর রাজকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে ধাক্কা দিয়ে চলে আসে ….
রাজ তবুও শীতলকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আর ঘারে আর পিঠে অজস্র kiss করতে থাকে ..
শীতল এবার জোরে ধাক্কা দিয়ে রুমে চলে আসে ..
.
.
রুমে এসে সে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে …
.
.
.
দুপুরে রাজ আর শীতল হোটেলের রেস্ট্রোরেন্টে যায় ..
শীতল সেখানে খাবার দেখে চমকে যায় ..
ভিবিন্ন সামুদ্রিক মাছের আইটেম ছিলো ‌.
কাকড়া ভাজা ,,
রুপচাদা,,
আরো কিছু মাছের আইটেম ছিলো ..
মাছের পেটি গুলো দেখতে অসাধারন লাগছিলো যার থেকে মিষ্টি গন্ধ আসছিলো ..

.
.
.
রাজ কাকড়ার খোসা ছাড়িয়ে বেশ মজা নিয়ে খাচ্ছে ..
শীতল কখনো কাকড়া খায়নি তাই সে চেষ্টা করেও খেতে পাচ্ছেনা ..
.
.
_আমাকে একটু কাকড়া ভাজা খাইয়ে দিবেন ??
_তোমার হাত পা সব আছে তাহলে আমি কেনো খাওয়াবো ??
_আসলে আগে কখনো আমি কাকড়া খায়নি তো তাই খেতে পারছিনা ..
.

শীতল সবার সামনেই কাকুতি মিনতি করছে রাজকে খাইয়ে দিতে ..
সেখানকার সবাই বিষয়টা দেখছে ..
রাজ রেগে একাকার হয়ে শীতলকে খাইয়ে দিচ্ছে …
খোসা ছাড়িয়ে কাকড়া খাওয়াচ্ছে রসালো গরম গরম ..
শীতল খেয়ে বেশ মজা পাচ্ছে ..
কাকড়ার থেকে রাজের হাতটা বেশি মজা লাগছে শীতলের …
.
.
.
শীতল চেটে চেটে রাজের হাত খাচ্ছে …
যেনো রাজের হাতে কোনো অমৃত আছে ..
শীতল এতো খেতে পারে সেটা শীতল ও জানতো না .
প্রায় একঘন্টা ধরে রাজের হাতে খেলো সে ..

.
.

রাজ তো রেগে রেগে শিং মাছ হচ্ছে যেনো একা পেলেই শীতলকে গুতো দেবে ..
.
.
.
_হয়েছে আর খাবোনা ..
রাতের জন্য আপনার হাত কে বাচিয়ে রাখুন প্লিজজ.
_এতো খাদক তুমি জানতাম নাতো ..
কাকড়ার জায়গায় আমার হাত কেই খেয়ে ফেলেছো .
রাক্ষস মেয়ে একটা ..
.
.
.
রাতে রাজ কাজ শেষ েে বেডে শুয়ে আছে ..
শীতল নাইট গ্রাউন পড়ে পারফিউম দিয়ে রাজের পাশে শুয়ে পড়লো …
রাজ আপন মনে ঘুমুচ্ছে …
শীতল সিনেমার বউয়ের মতোই রাজের গায়ে হাত পস ছুরে মারতে থাকলো ..
রাজ ভাবছে শীতল ঘুমের ঘোরে এমন করছে ..
.
.
.
রাজ যতবার শীতলকে ঠিক করে শুইয়ে দিচ্ছে ততবারই শীতল হাত পা দিয়ে রাজকে মারছে আর জড়িয়ে ধরছে …
.
.
.
রাজ রেগে সোফায় গোয়ে শুয়ে থাকলো …
শীতলের ভিষন মন খারাপ হলো ..
কান্না পাচ্ছে তার ..
শীতল হার মানবেনা ..
বিকোজ একবার না পারলে দেখো শত বার .
.
.
শীতল ওয়াস রুমে গিয়ে মুখে পানি দিলো …
ফিরে এসে দেখে রাজ বেডে উপর হয়ে শুয়ে আছে ..
কথায় আছে বয়সের দোষ শীতলের ও হয়েছে তাই সে রাজকে এভাবে দেখে আবারএ বেডে গিয়ে কিছুকক্ষ চুপচাপ থেকে জড়িয়ে ধরলো .
.
.
রাজ ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হার মেনে নিলো ..
শীতলের গায়ের ছোয়া পেয়ে রাজ নিয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলোনা সে শীতলকে নিয়ে নিজের করে নিলো …
.
.

শীতল এবার নিজের ফাদে পড়লো ..
সে চেয়েছিলো রাজ তাকে ভালোবেসে জড়িয়ে ধরবে ..
বাট রাজ এখন অন্যকিছু করবে ….
শীতল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো বাট পাড়লোনা ..
.
.
.
সকালে শীতলের ঘুম ভাঙলো ..
রাজ পাশে ছিলোনা সে তার আগেই উঠে পড়েছে ..
.
.
.
শীতল ওয়াস রুমে গিয়ে শাওয়ার করে রুমে এলো ..
তখনই রুমে ওয়েটার ঢুকলো …
_ম্যাম আপনাকে স্যার নিচে যেতে বলেছে রেডি হয়ে ..
তাড়াতাড়ি আসুন প্লিজজ.
.
.
শীতল বেশ অবাক হলো .
সে ভাবছে রাজ তাকে অপমান আর কষ্ট দেওয়ার জন্য নতুন কোনো প্ল্যান করছে কিনা ….
শীতলের কপালে কি আছে তা উপর ওয়ালাই জানে …
.
.#অন্ধপ্রেম
#Writer_Shabnaj_Hossain_Moon
#Part_14
(ফোনের প্রবলেম তাই গল্প দিতে লেট হচ্ছে,,সরি সরি)
.
শীতল খুব সুন্দর করে সেজে নিচে একটা রেস্টোরেন্টে গেলো যেখানে রাজ যেতে বলেছিলো .
শীতল আকাশী রংয়ের শাড়ি পড়ে চোখে মোটা কাজল দিয়ে হাতে কাচের লাল চুরি পড়ে সেজেছে রাজের জন্য .
চুল গুলো শ্যাম্পু করে ছড়িয়ে রেখেছে শীতল ।
.
.
শীতল সেখানে গিয়ে বুঝতে পারলো রাজ তার ফরেনার ক্লাইন্টদের সাথে মিট করছে ..
সবাই শীতলকে দেখে চমকে গেলো …
শীতল এতটায় সুন্দরি যে দেখবে সে তাকিয়ে থাকবেই.
শীতল কখনো ভাবতে পারেনি রাজ তার সাথে এমন ভিহেব করবে ..
রাজ সবার সাথে শীতলকে জিএফ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে …
শীতলের চোখের পানি টলমল করছে ..
কাজল লেপটে গেলো চোখের পানিতে ..
এটাই কি তাহলে রাজের সারপ্রাইজ ছিলো শীতলের জন্য .
শীতল আসলেই সারপ্রাইজ হলো ..
শীতল জিএফ হিসেবেও খুব প্রশংসা পেলো ফরেনার দের কাছ থেকে .
.
.
.
রাজ একবারও শীতলের দিকে তাকালোনা পর্যন্ত ..
সবাই যেখানে হা করে তাকিয়ে ছিলো ..
.
.
সকালে সবার সাথে রাজ আর শীতল ব্রেকফাস্ট করলো …
রুমে বসে বসে রাজ তার ক্লাইন্টের সাথে ল্যাপটপে মিটিং করেছে আর শীতল হোটেল রুমের বারান্দায় দাড়িয়ে সমুদ্র দেখছে মাঝে মাঝে শুধু আড় চোখে তাকাচ্ছে রাজের দিকে …
.
.
.
শীতল প্রথমে মন খারাপ করলেও পরে মেনে নিয়েছে রাজের অপমান ..
রাজ তবুও তাকে জিএফ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে সবার কাছে …
অন্তত তাকে কোনো সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে ছে রাজ …
এখন জিএফ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে পরে ওয়াইফ হিসেবে পরিচয় দেবে …
বিকোজ একবার না পারিলে দেখো শত বার …
শীতল সহজে হার মানার পাত্রি নয় .
.
.
.
শীতল সমুদ্র পারে একটা দৃশ্য দেখতে পেলো …
একটা ভিক্ষুক তার খোরা স্ত্রিকে কাধে করে নিয়ে ভিক্ষা করছে ..
কতটা ভালোবাসা থাকলে এমন করতে পারে একজন স্বামি …
ভিক্ষুককে দেখে ক্লান্ত মনে হচ্ছেনা …
বিকোজ তার মুখে কোনো ক্লান্তি বা হতাশার ছায়া দেখতে পারছেনা শীতল …
সবকিছুই আসলে ভালোবাসা …
ভিক্ষুক তার স্ত্রিকে অনেক ভালোবাসে তাইতো নিজের সাথে সাথে রাখে …
.
.
শীতলের বেশ হিংসে হলো ভিক্ষুকের স্ত্রির উপর বিকোজ তাকে তার স্বামি বিন্দু মাত্রও ভালোবাসেনা ..
শীতলের বেশ আফসোস হচ্ছে ..তার মনে হচ্ছে রাজ যদি কোনো ভিক্ষুক হতো তাহলে নিশ্চয় রাজও তাকে এভাবে কাছে রাখতো …
.
.
.
দুপুরে রেস্তোরায় বসে বসে প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ মেনু কার্ড দেখছে শীতল …
কোথাও কাকড়ার কোনো মেনু পাওয়া যাচ্ছেনা ..
শীতল এখন রাজের হাত থেকে খেতে ইচ্ছে করছে ..
রাজের হাতে এতো মধু আছে সেটা শীতলের জানা ছিলো না ‌..
রাজের হাত থেকে শীতলের খাবার খাওয়ার একটাই উপাই সেটা হলো কাকাড়া …
শীতল কাকড়ার খোসা ছাড়াতে জানেনা তাই রাজ বাধ্য হবে শীতলকে খাওয়াতে …
শীতলের বেড লাক বিকোজ কাকড়ার কোনো আইটেম পাওয়া গেলো না ..
.
.
শীতল হতাশ হয়ে মেনু কার্ড রেখে সামনে তাকালো ..
রাজ শীতলের দিকে ভয়াভহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেনো এখনি চিতা বাঘের মতো শীতলকে খেয়ে ফেলবে …
_এক ঘন্টা লাগিয়ে দিলে খাবার অডার দিতেই ..
তাহলে খাবো কখন ??? এখানে আমার কিছু ক্লাইন্ট আছে তাদের সঙ্গে মিটিং করতে এসেছি ..
তাদের সাথে জিএফ আছে তাই আমাকে তোমায় এখানে জিএফ হিসেবে আনতে হয়েছে ভদ্রতার খাতিরে …
তুমি আমার কতটুকু সময় ওয়েস্ট করেছো জানো You bloody fool lady ..
_Sorry …
_এখন কিছু খেয়ে আমায় উদ্ধার করো …
শীতল একটা ভিজিটেবল ডিস একটু একটু খাচ্ছে আর রাজের দিকে তাকাচ্ছে …
রাজ প্রায় 20 রকমের আইটেম খাচ্ছে…
একের পর এক গপাগপ খাচ্ছে …
রাজ এতো খায় বাট তার স্বাস্থ্য এতো ফিট কেনো …
রাজের বডি একেবারে স্টিল বডি ..
শীতল এতো খেলে তো দুদিনেই বেলুন হয়ে যাবে ..
শীতল কথাটা বলেই হাসলো ..
_You stupid girl .why are you laughing to just like a Crazy girl .
_জি মানে ..
_Whatever …এখানে বসে থাকবে নাকি আমার সাথে রুমে যাবে …
শীতল রাজের পেছন পেছন হোটেলে যাচ্ছে …
রাজ হন হন করে সামনে এগুচ্ছো আর শীতল বেচারি হাপিয়ে যাচ্ছে রাজের সাথে হেটে …
.
.
.
শীতল একটা জিনিস দেখোলো …
সম্ভবত কোনো দম্পতি হবে হয়ত …যে তার ওয়াইফকে কোলে করে সিড়িতে হেটে যাচ্ছে …
রাজের এখানে এসে ব্যায়াম হয়নি তাই লিফট ব্যাবহার না করে সিড়ি দিয়ে রুমে যাচ্ছে এন্ড শীতলকে ও রাজের সাথে যেতে হচ্ছে …
শীতল হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো ..
রাজ তাড়াতাড়ি পেছনে তাকিয়ে দেখলো শীতল ফ্লোরে বসে আছে …
_এখানে বসে আছো কেনো ??
আবার কি ড্রামা শুরু করলে ??
_আমি ড্রামা করছিনা ..
আসলে আমার পা মচকে গিয়েছে ..‌
শীতল মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে …
রাজ শীতলকে কিছু না বলেই তাকে কোলে করে নিয়ে হাটতে শুরু করলো …
শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের বুকের সাথে লেপ্টে আছে …
রাজের বুকের হ্রদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছে সে ..
রাজের প্রতিটি নিঃশ্বাসও অনুভব করছে শীতল ..
শীতলের ও হ্রদস্পন্দন ক্রমশ বাড়ছে বিকোজ রাজ তাকে ওই প্রথম কোলে করে নিয়েছে …
.
.
.
রুমে এসে রাজ থপ করেই শীতলকে বেডে ফেলে দিলো ..
আর নিজেও আটকে গেলো শীতলের সাথে ..
শীতলের চুল রাজের শার্টের বোতামে আটকে আছে ..
দুজনেই দুজনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বাট পারছেনা …
শীতল আর রাজ দুজন দুজনের এতো কাছে যে দুজনের প্রতিটি নিঃশ্বাস শোনা যাচ্ছে ‌….
.
.
.
রাজ বোতাম ছাড়াতে গিয়ে শীতলের উপর পড়ে গেলো …
রাজ নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে শীতলকে জরিয়ে ধরে kiss করতে শুরু করলো ‌…
শীতল চোখ বন্ধ করে রাজের ডাকে সারা দিলো …
রাজ একপর্যায়ে পাগলের মতো শীতলকে ভালোবাসতে শুরু করে …
মনে হচ্ছে যত যন্ত্রনা সব শীতলের উপর দিয়ে মেটাচ্ছে ….
শীতলের ভিষন কষ্ট লাগছে রাজের এমন ভিহেবিয়ারে‌…
নিজেকে শ
ছাড়ানোর চেষ্টা করছে শীতল বাট রাজ তাকে ছাড়ছেনা …
.
.
.
হঠাৎ রাজের ফোন বেজে উঠে আর রাজ শীতলকে ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে রুমের বাহিরে চলে গেলো …
শীতল বেড থেকে উঠে আয়নায় গিয়ে নিজেকে দেখলে …
ঠোট ফুলে গিয়েছে আর গায়ের অনেক জায়গায় রাজের দেওয়া চিন্হ .এগুলো যদি ভালোবাসার চিহ্ন হতো তাহলে এতো ব্যাথা করতো না বরং ভিষন সুখ অনুভব করতো সে.
.
.
.
রাজ শীতলকে সব সময় শুধু ব্যাবহারের বস্তু হিসেবে ব্যাবহার করে….
.
.
.
বিকালে শীতলের পিরাপিরিতে সমুদ্র দেখতে গেলো দুজন …
রাজ হাটছে আর তার পাশে শীতল ও হাটছে …
রাজ আর শীতল হাটতে হাটতে একটা বিশেষ জায়গায় চলে গেলো …
যেখানে শীতলের নূপুর পড়ে গিয়েছিলো আর রাজ তার জিবনের পরওয়া না করে ঝাপ দিয়ে নূপুর উদ্ধার করেছিলো …
.
.
.
রাজ আনমনে জায়গাটা দেখে হাসি দিলো ..
শীতল জায়গাটা দেখে রাজের দিকে তাকিয়ে থাকলো ….
রাজের চোখে চোখ পড়তেই শীতল তার জন্য অসীম ভালোবাসা আর ঘৃনা দেখতে পেলো …
.
.
.
শীতল মনে মনে ঠিক করলো এখান থেকে গিয়ে রোদের সাথে কথা বলবে ..
আর রাজকে সব সত্যির মুখোমুখি করবে …
শীতল তাকে ভালোবাসে সেটাও বলা দরকার …
হতে পারে রাজ সব ভুলে গিয়ে শীতলকে মেনে নেবে আর নিজের করা অন্যায়ের জন্য অনুতপ্ত হবে …
.
.
.
রাত হয়েছে শীতল আর রাজ ডিনার করছে …
রাজ আপন মনে খাচ্ছে আর শীতল শুধু রাজকে দেখছে …
খাবার খেতে খেতে রাজ বললো …
_আমি কি কোনো খাবার ??
_মানে ???
_মানে হলো খাবার না খেয়ে আমার দিলো কে তাকিয়ে আছো কেনো ??
আমি তো খাবার নয় যে আমায় দেখে ক্ষুধা নিবারণ করছো …
_আমি কোথায় তাকালাম ??
_আমার সাথে বেশি চালাকি করবেনা ..
এখন খাও চুপচাপ ..

খেয়ে এনার্জি তৈরি করো যেনো আমার দেওয়া ব্যাথা সহ্য করতে পারো …
.
.
.
রাজ উপর হয়ে বেডে শুয়ে আছে …
শীতল ওয়াস রুম থেকেই বেরুতে নিলেই জ্ঞান হাড়ায় ..
শীতল ফ্লোরে পড়ে যাওয়ায় বেশ শব্দ হয় …
রাজ শুয়া থেকে উঠে পড়ে ..
শীতলের চোখ খুলতেই সে ডক্টরকে দেখতে পেলো ‌..
আর রাজকে রহস্যময় ভাবে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখলো …

.
.
.
চলবে ……
.
চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here