#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৬
সবার গলা শুকিয়ে যায়। গ্রাম বাসী দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। অন্ধকারে শুধু তারিন তামিম আর নাদিয়া।
চারদিক থেকে সেই প্রানীটার পি পি শব্দ। এগিয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ সেই ডাক থেমে যায়। তামিম আর বাকিরা দ্রুত গ্রামের ভেতরে চলে যায়।
।
।
:কিন্তু ওকে আনতে যাবে কে?(নাদিয়া)
:আমি যাচ্ছি(তামিম)
:না,তুমি গেলে গ্রামের সবাই ঝুকি তে পড়ে যাবে।
:আমি যাবো(তারিন)
:তুমি চেনো?
:আমাকে ঠিকানা বলে দিন
:আমি তোমার সাথে যাচ্ছি(নাদিয়া)
:আচ্ছা
:তুষার আহমেদ কাব্য!! এর বাসা কোথায়? আর আমরা যাচ্ছি কোথায়?
:আমরা লালবাগ যাচ্ছি,রাজধানী! (নাদিয়া)
:সেখানে?কেন?
:কাব্যের বাসার পাশেই সে থাকে!
।
সবাই ভেবে নেয় কে কি করবে।
বিকেলের দিকে তারিন কে নিয়ে বেরিয়ে যায় নাদিয়া! তামিম গ্রামে পাহারা দেয়।
রাতে।
গ্রাম প্রধানের বাড়িতে তামিম সহ প্রায় সবাই হাজির।
:আচ্ছা ঘটনা টা শুরু হলো কিভাবে?(তামিম)
:সেটা জানিনা তবে কবিরের লাশ দিয়েই শুরু(গ্রাম প্রধান)
:কবির! এই কবির কি করতো?ডাকুন ওর পরিবার কে।
তারিন এর পুরো পরিবার হাজির হয়।
:আচ্ছা উনি মারা যাবার আগে এমন কিছু হয়েছে যার জন্য এমন কিছু হতে পারে?
:না মানে(তারিনের মামা)
:বলুন?
:না হয়নি(তারিনের মা)
হঠাৎ ভীড় ঠেলে তারিনের নানি এসে কেদে উঠে।
:কে আপনি। (তামিম)
নানি কেদে উঠে আর তারিনের সাথে হওয়া সব কিছু বলে দেয়।সবাই থ খেয়ে যায়। সবার মাথা গরম হয়ে যায়।কেউ কেউ ত লাঠি হাতে নেয়।
:ওহ। (তামিম)
:এদের এখনই গ্রাম ছাড়া করো(প্রধান)
:আগে একটা ঝামেলা যাক তারপর এদের ব্যাপার (তামিম ঠান্ডা মাথায়)
সবাই ক্ষেপে আছে।
নানি জানতেন না যে তারিন নেই।তাই তিনি বের হন তারিন কে খুজতে।
মাঠের কাছে যেতেই কানে আসে পি পি শব্দ। বুড়ির হাত পা কাপতে শুরু করে। তাও ভাবলো তার কিছু হবে না।প্রানীটা অপরাধী দের ই শাস্তি দেয়।
তামিম চুপ করে ভাবছে কি করা যায়।তখনই চিৎকার ভেসে আসে।
সবাই চমকে উঠে। দৌড়ে বেরিয়ে দেখে ৩জন গার্ড নানির লাশ নিয়ে এনে রাখে।
:স্যার উনি গাছের তলায় পড়ে ছিলেন!(একজন)
তামিম খেয়াল করে শরীরে এক ফোটা রক্ত ও নেই
তারমানে এই প্রানী শুধু অপরাধী না,সবাইকেই মারছে…
ব্যাপার টা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর এভাবে থাকা যায় না।তামিম বন্দুক নিয়ে বের হয়। তামিম জানে বন্দুক দিয়ে কিছু নাও হতে পারে। তাও…
মাঠের কাছাকাছি একটা গাছের ডালে চুড়ে বন্দুক তাক করে।
সময় পেরিয়ে যায় । হঠাৎ কানে আসে একটা গান।তাকিয়ে দেখে বাজারের দিক থেকে একটা লোক গান গাইতে গাইতে আসছে। তামিম ভালো ভাবে দেখে লোকটা মদ খেয়েছে বা নেশাগ্রস্থ। মাঠের কাছে আসতেই কানে আসে একটা গড়গড় শব্দ। কিন্তু এটা তো পি পি না।
তামিম বন্দুক তাক করে।
হঠাত কিছু একটা লোকটার গায়ে ঝাপিয়ে পড়ে। কোনো জন্ত মনে হচ্ছে। লোকটাকে টেনে ঝোপে নিয়ে যায়। আর কোনো সাড়া নেই।
তামিম চুপ করে দেখতে থাকে।
কিছুক্ষণ পর দেখতে পায় ঝোপ থেকে একটা বাঘ বেরিয়ে আসে। তামিমের হাত থেকে বন্দুক পড়ে যায়। বাঘ টা সাধারণ বাঘের থেকে ৫গুন বেশি বড়ো আর চোখ গুলো চকচক করছে। চাদের আলো পড়তেই ধারালো দাত ঝলকে উঠে।
তারপর বাঘটা এক লাফ দিয়ে ঝোপে চলে যায় আর কোথাও দেখা যায় না।এতো বড় বাঘ অদৃশ্য হয়ে গেলো?
গ্রামের উপর এ আবার কোম বিপদ ঘুরছে?
তামিম এতো ভয় পায় যে গাছ থেকে নামে না। গাছেই রাত পার করে দেয়।
অন্যদিকে
লালবাঘ পৌঁছে সেই মেয়েটির বাসায় পৌঁছে যায় নাদিয়া আর তারিন।
দরজায় নক করতেই হাসি মুখে দরজা খোলে সে…
অন্যদিকে গ্রামে…
সকাল বেলা ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসির পিলে চমকে উঠে। বাঘের পায়ের ছাপ৷ অনেক বড় পায়ের ছাপ। আর ঝোপের পেছনে ছিড়ে খাওয়া সেই লোকটার লাশ।
তামিম প্রচন্ড চিন্তায় পড়ে যায়। এখনো তো আগের প্রানীটার ভয়েই তারা আতংকিত। তারপর উপর এই বাঘ…
এবার কি করবে তারা?
লাশ কে পোস্টমর্টেম এ পাঠানো হয়। তামিম চারদিক টা ভালো ভাবে দেখে নেয়। পায়ের ছাপ টা মাঠের পাশের ছোট বন টায় চলে গেছে। তাহলে কি এটা সত্যিকারের বাঘ? কিন্তু আকার এতো বড়! নাহ।
তামিম সারাদিন খুজেও কোনো ক্লু পায়না।
রাত ১১:০০
নিজের বিছানায় শুয়ে এদিকওদিক করছে তারিনের মামা। কেন সে সব আগে বলে দিলো না।
খারাপ লাগছে।
হঠাৎ…
পি পি পি”!!
গায়ের সব লোম দাঁড়িয়ে যায় সিদ্দিকের ভয়ে ঘামতে শুরু করে। জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে সেই প্রানীটা জানালার গ্রিল ধরে তার দিকে তাকিয়ে বিদঘুটে হাসি দিচ্ছে।
সিদ্দিক বেশিক্ষন নিজেকে ধরে রাখতে পারে না আর জ্ঞান হারায়।
অন্যদিকে তামিম পুকুরপাড়ে বসে ভাবছে এর পর কি হবে!! কে মরবে! কে মারবে? বাঘ?নাকি সেই প্রেতাত্মা! বা প্রাণিটা।
রাত গভির হচ্ছে। তাই বাসায় ফিরে আসে তামিম।
মাঝরাতে! বিশাল এক গর্জনে কেপে পুরো গ্রাম……
চলবে…
( ম দিবো।কে হবে?😄