#i_m_mafia_lover
#part_12
#sabiha_kh
জনি- স্যার ক্ষমা করবেন এমনো তো হতে পারে ম্যাডাম আপনার উপর যে রাগ ছিলো সেটার,,,
বলতেই ইসান রেগে বললো- ভেবে কথা বলো জনি।। আমি যতদুর ইমাকে চিনি এটা ইমা কখনোই করবে না।।। কিছু একটা ঘটেছে এই চার দিনের মধ্যে।। এক কাজ করো সোজা পুলিশ স্টেশন চলো।।
জনি- ওকে স্যার।।।
”
”
”
”
ইসান – আকাশ উকিল কে ফোন করে সব খুলে বলো।। এবং পুলিশ স্টেশন আসতে বলো।।
আকাশ – ওকে স্যার।।।
আকাশ উকিলকে ফোন করলো।।। এবং সব খুলে বললো।।।
Time skip
ইমা উত্তেজিত সুরে বললো- অফিসার আমি সত্যি বলছি আমি কিছুই করিনি। আর মিঃ মিনহাজকে মেরে আমার কি লাভ।????
এসআই- ম্যাডাম গত কাল রাতে আপনি মিনহাজের ক্যাবিনে গিয়েছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।।।
ইমা- হমম আমি গিয়েছি উনাকে ইনজেকশন দিয়েছি।। কিন্তু বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়নি।।। আমি একজন ডাক্তার অফিসার।। আমি কেন মিঃ মিনহাজকে মারতে যাবো।। দেখুন অফিসার আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।।।
এসআই- ম্যাডাম ধর্য্যের পরিক্ষা নিবেন না।। সত্যি কথাটা বলে দিন।।।(গম্ভীর সুরে)
বলতেই কনস্টেবল এসে বললো-
কনস্টেবল – স্যার ওসি স্যার আপনাকে ডাকছেন।।
এসআই উঠে চলে গেলো।।।
ইমা মাথায় হাত দিয়ে চিন্তিত সুরে বললো- কে আমাকে ফাসাতে পারে কে??? আমি তো কারো কনো ক্ষতি করিনি।। তাহলে!!!!!!!
এদিকে এসআই ওসির রুমের দরজা খুলতেই দেখে দুইজন লোক দাড়িয়ে আছে এবং উকিলের সাথে আরেকজন লোক চেয়ারে বসে আছে।।
এসআই- স্যার আসবো??
ওসি এসআই এর দিকে তাকিয়ে বললো- এসো ভিতরে এসো।।।
এসআই ভিতরে ঢুকে ওসিকে সেলুট দিলো।।
ওসি- ইনি হচ্ছেন ইসান চৌধুরী। DW কম্পানির সিও।।।।
ইসান এসআই এর দিকে ঘুরে তাকালো।।
এসআই- হ্যালো স্যার।।
ইসান- হ্যালো।।
ওসি- ইন্সপেক্টর মিস ইমাকে ছেড়ে দিন।।।
এসআই একটু অবাক হলেও তেমন কিছু বললো না।। সেলুট দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।। এবং কনস্টেবলকে বললো ইমাকে ছেড়ে দিতে।।
কনস্টেবল গিয়ে ইমাকে ছেড়ে দিলো এবং বললো- আসুন ম্যাডাম আপনার জামিন হয়ে গেছে।।।
ইমা কনস্টেবলের কথা শুনে একটু অবাক হলো।।। এবং বাইরে বের এসে দেখে ইসান দাড়িয়ে আছে।। ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে রয়লো অবাক চোখে৷
এসআই- ম্যাডাম,,,(ইমা চমকে এসআই এর দিকে তাকায়) এখানে আসুন কিছু কাগজপত্রে শোই করতে হবে।।।।
ইমা গিয়ে কাগজ পত্রে শোই করলো।।। ইসান ইমার পাশে এসে দাড়ালে ইমা ইসানের দিকে তাকায়।।।
ইসান বললো-
ইসান- চলো ইমা।।।
ইমা চেয়ার থেকে উঠে ইসানের সাথে ইসানের গাড়িতে উঠে বসলো।। ইমা যেন একদম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার মাথা কাজ করছিলো না।। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পরছিলো শুধু।। ইমার চোখের সামনে শুধু হসপিটাল থেকে তাকে হাত করা পরিয়ে পুলিশ সবার সামনে দিয়ে নিয়ে এসেছে সেটাই ভাসছিলো।।।
ইসান জনিকে সোজা ইমার বাড়িতে যেতে বলে ইমার দিকে তাকাতেই দেখে ইমা কাদছে জানালার দিকে মুখ করে।।।। ইসান পকেট থেকে রুমাল বের করে ইমার সামনে ধরে। ইমা কান্না ভড়া চোখে ইসানের দিকে তাকায়।। ইসান ইসারা করো রুমালটা নিতে বললো।। ইমা ইসানের হাত থেকে রুমাল নিয়ে চোখ মুছলো।।
ইসান- তুমি ঠিকাছো??? (ইমা শুধু মাথা ঝুকালো।।
ইসান- কান্না করোনা প্লিজ তোমার কান্না আমার,,,,,
বলে চুপ হয়ে গেলো ইসান।।। ইমা ইসানের দিকে তাকালে ইসান চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকায়।।
ইমা- thank you ইসান।।
ইসান- thank you কেন???
ইমা- আমাকে ছাড়ানোর জন্য।।।
ইসান- ইমা দোষ না করে শাস্তি পাওয়াটা যে কতো বড় যন্ত্রণা সেটা হয়তো আমার থেকে কেও ভালো জানে না।। (ইমা ইসানের দিকে তাকালো) ইসান মুচকি হেসে বললো – যাইহোক আসল কথায় আসি।।। কি হয়েছিলো বলতো??
ইমা – আমি কিছুই জানি না ইসান।। আমি প্রতিদিনের মতো গতকাল গিয়ে মিঃ মিনহাজকে ইনজেকশন দিয়ে এসেছি।। সকালে এসে শুনি মিঃ মিনহাজ মারা গেছে ওদের কথা আমি বলে মিঃ মিনহাজ কে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলেছি।।!! আমি সত্যি কিছু করিনি ইসান।। (একটু উত্তেজিত সুরে)
ইসান- তুমি করনি কিন্তু তোমাকে দিয়ে করিয়েছে ইমা।
ইমা- মানে!!! (কপাল কুচকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে)
ইসান- কেও তো আছে যে আমার সাথে তোমারও ক্ষতি করতে চায়।।
ইমা- কি বলছো?? (বিস্মিত চোখে)
ইসান- হমম। আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চেয়ে বলতে পারিনি।। ১ সপ্তাহ আগে এক রাতে মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন পাইপ ঢিলে হয়ে গিয়েছিলো ডাক্তার মাহিম এবং ডাক্তার সামিম ছিলো সেই দিন হসপিটালে।। আমি খবর পেয়ে হসপিটালে আসি,,,,,,,,,( ইসান ইমাকে সব খুলে বললো)
ইমা- কি ?? এই কথা তো মাহিম আমাকে বলেনি।।। (হতবাক হয়ে উত্তেজিত সুরে)
ইসান- হমম বলবে কি করে এগুলোর পিছনে নিশ্চয় ওরি হাত আছে।
ইমা- এতো কনফিডেন্স হয়ে বলছো কি ভাবে?? (কপাল কুচকে)
ইসান- সেদিন রাতে যখন ডাঃ সামিম এবং ডাঃ মাহিম ঘটনা গুলো বলছিলো তখনি আমার ওদের কথা শুনেই সন্দেহ হয়।। তারপর ইসমার যেদিন এট্যাক এসেছিলো সেইদিন নার্স এসে তোমাকে বলেছিলো ডাঃ মাহিম আগে আগে চলে গেছে।। তখন আমার সন্দেহ টা আরো বেশি প্রবল হয়।। আমি আকাশ জনি কে খোজ নিতে বলি ডাঃ মাহিমের ব্যাপারে। ওরা খোজ নিয়ে বের করে ডাঃ মাহিমের ব্যাংকে সেদিনি ১ কোটি টাকা ঢুকেছে।।
ইমা- কি??? এতো টাকা কে দিলো মাহিম কে?? (অবাক সুরে)
ইসান- এটাই তো খোজ নিতে পারিনি।কাজ পরে গিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিলাম। ইমা আমার কি মনে হয় যানো সেই দিন মিঃ মিনহাজের অক্সিজেন পাইপ টা ঢিলে হয়নি অন্য কিছু হয়েছিলো।।। আর এই সন্দেহর উরেই আমি তোমাকে বলেছিলাম নিজ দায়িত্বে মিঃ মিনহাজের খেয়াল রাখতে ।।
ইমা- কিন্তু কেন মাহিম মিঃ মিনহাজের ক্ষতি করবে??? উনি তো সাধারণ একজন লোক।। মাহিমের ওর সাথে কিসের সম্পর্ক???
ইসান- মিঃ মিনহাজের সাথে ডাঃ মাহিমের কোন সম্পর্ক নেই।। এখানে ডাঃ মাহিমকে দিয়ে মিঃ মিনহাজকে মারার চেষ্টা করছে বলতে পারো।।।
ইমা- বুঝলাম কিন্তু মিঃ মিনহাজ কে মেরে লাভটা কি???
ইসান- আছে লাভ আছে।। আসলে এখানে একটা ঘটনা জরিয়ে আছে।।।
ইমা- কি ঘটনা??? (বিস্মিত চোখে)
ইসান- আমাদের DW হসপিটাল তৈরি হতে বাধা পরেছিলো এখানে আমার আসার কারণ এটাই।। যেই লোকটা বাধা দিয়েছিলো তিনি ছিলেন সরকারি লোক। মিঃ বারিক।।।
ইমা- হমম নাম শুনেছি কিন্তু উনিতো আত্মহত্যা করেছেন।। (কপাল কুচকে বিস্মিত চোখে )
ইসান- আমার তা মনে হয়না।।। কারণ যেদিন মিঃ বারিকের আত্মহত্যার কথা শুনি সেদিনি মিঃ মিনহাজকে কেও বাজে ভাবে পিটিয়েছে।।
ইমা- ও,,, হ্যা,,,,হ্যা,,,,,, ঠিক বলেছো।। আমি ছিলাম সেদিন হসপিটালে।। আমি খবরে দেখেছি মিঃ বারিকের মৃত্যুর সংবাদ।৷ (উত্তেজিত সুরে)
ইসান- হমম এই মিঃ বারিক এবং মিঃ মিনহাজ এরা দুইজনি DW হসপিটালের সাথে জোরিত।। আর একদিনেই এই ঘটনা ঘটেছে।।।
ইমা বিষ্ফরিত চোখে ইসানের দিকে তাকিয়ে উত্তেজিত সুরে বললো- তার মানে এটা সাধারণ কনো ঘটনা না।। তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো মিঃ বারিক আত্মহত্যা করেনি!!
ইসান- yes মিঃ বারিক আত্মহত্যা করেনি। উনাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।। কেও আছে যে চায়না DW হসপিটাল টা হোক।।। একটা বড় খেলা চলছে ইমা। কিন্তু কে খেলছে??? সেটায় বুঝতে পারছি না।।। তার এই খেলাতে তোমাকেও বুঝে শুনে জোরিয়েছে।। সে চায়লে এই কাজটা অন্য কাওকে দিয়ে করাতে পারতো।। কিন্তু সে তোমার হাত দিয়ে করিয়েছে।।। এর পিছনে নিশ্চয় কনো কারণ আছে।।।
ইমা- হায় আল্লাহ আমি কার ক্ষতি করলাম কেন কেও আমাকে ফাঁসাবে!!!! যদি আমার ডাক্তারি লাইসেন্স বাতিল করে দেয় আমার কি হবে তখন?? (কান্না সুরে)
ইসান- চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।।। আমার কথা শুনো পুলিশ তোমার বিরুদ্ধে এখনো কনো শক্ত প্রমান পাইনি।।৷এই জন্যই তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে।। যখন তারা তোমার বিরুদ্ধে একদম শক্ত প্রমান পাবে তখন তোমাকে আবার ধরবে।।
ইমা- কিন্তু আমি কিছু করিনি তো।। (উত্তেজিত সুরে)
ইসান- হমম তা তো আমি জানি।। এই কাজ যে করেছে সে তোমার বিরুদ্ধে প্রমাণ তৈরি করতে পারে।। সে যেন প্রমান তৈরি করার সুযোগ না পাই তার ব্যাবস্থা এখন করতে হবে।।।
ইমা- কি করবো আমি!!! (মাথায় হাত দিয়ে)
বলতেই জনি গাড়ি থামালো।।
ইসান- এতো চিন্তা করো না।। আমি সামলে নিবো তুমি যাও বাড়িতে যাও মেয়ে নিশ্চিয় কান্না কাটি করছে।।।
ইমা- thank you ইসান।। আমাকে,,,,
বলতেই ইসান বললো- thank you বলতে হবে না।। তুমি চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে।।।
ইমা- তুমি আসো।।।
ইসান- না আজ না।। আমার একটু কাজ আছে।।। (মুচকি হেসে)
ইমা- ওকে বাই।।৷
ইসান- বাই।।
ইমা গাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেলো।।
Time skip
ইসান মিনহাজের বাড়িতে আসলো।।। মিনহাজের স্ত্রী কান্না সুরে রেগে বললো-
স্ত্রী – কেন এসেছেন?? আমার স্বামীর খুনি কে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়েছেন।। চলে যান আপনি৷।
আকাশ- ভদ্রভাবে কথা বলুন।। উনি,,,,,,,,
বলতেই ইসান আকাশ কে থামিয়ে দিয়ে দিয়ে বললো-
ইসান- মিস আপনি ভুল বুঝছেন।। আমি বুঝতে পারছি আপনার মনের অবস্থা।।। কিন্তু মিস ইমা আপনার হাসবেন্ড কে মারেনি অন্য কেও মেরেছে এবং এটা আমি খুব তারাতারি বের করবো।।। (মিনহাজের স্ত্রী ইসানের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো)
ইসান আকাশকে ব্যাংকের চেক বই দিতে বললো।। আকাশ ব্রিপকেস থেকে ব্যাংকের চেক বই বের করে ইসানের হাতে দিলে ইসান ৫০ লক্ষ টাকার চেক শোই করে চেক বই থেকে কাগজটা ছিড়ে মিনহাজের স্ত্রীর দিকে ধরে বললো-
ইসান- আপনার স্বামী কে তো ফিরিয়ে দিতে পারবো না। এই চেকটা রাখুন আপনার কাজে লাগবে।। এবং প্রতি মাসে আপনার স্বামী যেই স্যালারি পেত সেই স্যালারি থেকে অর্ধেক টাকা প্রতি মাসে আপনার ব্যাংকে দেওয়া হবে।।।
মিনহাজের স্ত্রী চেক টা নিলো এবং বললো – আমি জানি আমার স্বামী ফিরে আসবে না। তবুও বলবো দয়া করে উনাকে যে মেরেছে তাকে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েন।।। (বলে হাত জোর করে কান্নায় ভেঙে পরলো মিনহাজের স্ত্রী )
ইসান- কাদবেন না।। দোষী কে তো শাস্তি পেতেই হবে।।।।
বলে ইসান উঠে চলে গেলো।।।
Time skip
ইসান হটেলে ফিরে আকাশ জনিকে বললো লোকজন নিয়ে গিয়ে সরাসরি ডাঃ মাহিমকে ধরে সেই গোডাউনে নিয়ে যেতে।।
আকাশ জনি চলে গেলো।।।
Time skip
ইমা নিজের রুমে বসে বসে ইসানের বলা কথা ভাবছে।। – (ইসান- ইমা দোষ না করে শাস্তি পাওয়াটা যে কতো বড় যন্ত্রণা সেটা হয়তো আমার থেকে কেও ভালো জানে না।।)
ইমা উঠে জানালার কাছে এসে দারিয়ে বাইরের দিকে তাকালো দেখে বিকালের সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করেছে।। ইমা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললো-
ইমা- ইসান এমন একটা কথা বললো কেন???
Time skip
রাত ১১ টা,,,,,
ইসান বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।। এমন সময় আকাশ কল করলো ইসানকে।। ইসান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।।
আকাশ- স্যার মাহিম কে ধরেছি।। ও পালানোর চিন্তা করেছিলো।।। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি।। আমরা ঠিক সময় মতো ওকে ধরে ফেলেছি।।।
ইসান- গুড।।। সে শিকার করেছে কিছু??
আকাশ- না স্যার ।। আচ্ছা তারে মেরেছি কিন্তু শিকার করেনি।।
ইসান- এক কাজ করো এক বোতল এলকোহল কিনে নিয়ে আসো। আমি আসছি।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
ইসান ফোন কেটে দিয়ে রেডি হলো ব্ল্যাক জ্যাকেট, প্যানট, ক্যাপ, মাস্ক, জুতা পরে।। ইসান রুম থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো এক সুনসান এলাকায় সেখানেই এক গোডাউনে মাহিমকে আটকিয়ে রেখেছে।। ইসান এসে গাড়ি থামালো সেই জাগায় দেখে আকাশ জনি দাড়িয়ে আছে।। আর তাদেরই কিছু লোক।।।
আকাশ- আসুন স্যার।।
ইসান আকাশ জনির সাথে গোডাউনের ভিতরে ঢুকলো দেখে মাহিমের দুইহাত পিছন করে বাধা হাঁটু ভেঙে মাথা নিচু করে বসে আছে মুখ দিয়ে লালার সাথে রক্ত পরছে।। নাক দিয়ে কপাল দিয়েও রক্ত গড়িয়ে পরছে।।। ইসান মাহিমের সামনে চেয়ার নিয়ে বসলো।।।
মাহিম আসতে আসতে মাথা তুলে ইসানের দিকে তাকালো।। মাহিমের চোখ ঝাপসা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলো না।।। যেটুকু বুঝলো লোকটি মাস্ক পরে আছে।।। মাহিম খীন সুরে বললো-
মাহিম- কে ভাই আপনি??
ইসান- আমি কে পরে বলি?? কিন্তু তুই কে বলতো?? ডাঃ ইমাকে ফাসালি কেন??
মাহিম- আমি কিছু করিনি সত্যি বলছি।। (কান্নার সুরে)
ইসান- কিছু করিস নি???
মাহিম- না আমি কিছু করিনি।। (ভীত সুরে)
ইসান রেগে মাহিমের মাথার চুল টেনে ধরে বললো-
ইসান- মৃত্যু কি জানিস?? মৃত্যু যন্ত্রণা কি জানিস?? একটু স্বাদ গ্রহন করবি???
মাহিম মিনতি সুরে কান্না করে বললো- আমি সত্যি বলছি ভাই আমি কিচ্ছু করিনি।। আমাকে ছেড়ে দিন।।
ইসান মাহিমের চুল ছেড়ে দিয়ে আকাশের দিকে হাত বাড়ালে আকাশ এলকোহলের বতোল ইসানের হাতে দেয়।।। মাহিম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।।। ইসান এলকোহল মাহিমের পায়ের ঊরুর উপর ঢাললে মাহিম বিষ্ফরিত চোখে ইসানের দিকে তাকায়।। ইসান গ্যাসলাইটের আগুন জ্বালালে মাহিম ভয়ে চিল্লাতে লাগে এবং মনিতি করতে লাগে এমন না করতে।। ইসান মাহিমের কথা শুনলো না আগুন ধরিয়ে দিলো মাহিমের ঊরুতে।।। মাহিম জান ছেড়ে চিল্লাতে লাগে। এবং ধাফা ধাফি করতে লাগে।। দের মিনিট পর ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে ইসারা করে করলে আকাশ তাদের একজন লোককে ইসারা করে বললো আগুন নিভাতে।। লোকটি ফায়ার এক্সটিংগউইসার( অগ্নি নির্বাপক বোতল) দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিলো।।
ইসান চেয়ার থেকে উঠে মাহিমের কলার ধরে বললো- এবারো বলবি তুই কিছু জানিস না।।
মাহিম- আমি জানি আমি জানি সব বলবো। (ভয়ে৷ কান্না করে উত্তেজিত সুরে জোরে বললো)
ইসান মাহিমের কলার ছেরে দিয়ে চেয়ারে বসলো।।
একজন গিয়ে মাহিম কে উঠিয়ে ইসানে সামনে বসালো।।
ইসান – বল ১ কোটি টাকা কে দিয়েছে তোকে?? কেন ইমাকে ফাসালি?? মিঃ মিনহাজ কে কেন মেরে ফেললি???
মাহিম কান্না করে খীন সুরে বললো- আমি সত্যি বলছি আমি এগুলো নিজের থেকে করিনি।। এগুলো সব আমি আমাদের হসপিটালের চেয়ারম্যান রাজিব খন্দকার স্যারের ছেলের কথায় করেছি।।
ইসান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো- কি??? RK হসপিটালের চেয়ারম্যান এর ছেলে!!!! নাম কি ছেলের??
মাহিম- মাহাবুব খন্দকার ।। মাহাবুব স্যার চাননা DW হসপিটাল হোক।। (কান্নার সুরে)
ইসান- মাহাবুব!!!!! কে এই মাহাবুব!!!! (মনে মনে) তোর কাছে মাহাবুব এর কনো ছবি আছে?? (গম্ভীর সুরে)
মাহিম- আছে আছে!! আমার মোবাইলে আছে।।
আকাশ মাহিমের মোবাইল এনে ইসানের হাতে দিলো।। মাহিম মোবাইলের পাসওয়ার্ড বললে ইসান পাসওয়ার্ড খুলে ফোন গ্যালারিতে ঢুকে।।
মাহিম- আমার সাথে তুলা পরশু দিন তুলে ছিলাম।।
ইসান বিষ্ফরিত চোখে ছবির দিকে তাকায়।। একদম হতবাক হয়ে যাই ইসান।।।
ইসান মাহিমের দিকে তাকিয়ে বললো- তুই এর কথায় এগুলো করেছিস??( ভ্রুক্ষেপ করে)
মাহিম- জি।।।
আকাশ ইসানের কানের কাছে এসে বললো- স্যার আপনি একে চিনেন??
ইসান ছবির দিকে তাকিয়ে মাথা ঝুকিয়ে বললো- হমম চিনি।।। মেরান এটা।। ছয় বছর আগে কলেজের ক্যান্টিনে সবার সামনে অপদস্ত করেছিলাম।।
আকাশ- এটা সেই মেরান???( অবাক চোখে ইসানের দিকে তাকিয়ে)
ইসান- হমমম।।। (ছবির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর সুরে)
,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।