#i_m_mafia_lover
#part_18
#sabiha_kh
ইমা ইসানের সামনে হাত জোর করে মাথা নিচু করে কান্না সুরে বললো- সব কিছুর জন্য ক্ষমা চায়ছি।। আমি তোমাকে বিশ্বাস করিনি আমার ভুল।।
ইসান – এভাবে বলো না।। আমি খুশি যে তোমার ভুলটা ভেঙেছে।।।( মুচকি হেসে)
”
”
”
”
”
ইমা- ঠিকাছে এখন ঘুমাও।। বেশি কথা বললে শরীর টা খারাপ করবে।।
ইসান মুচকি হেসে চোখ বন্ধ করে মনে মনে বললো- আজ যদি মরেও যেতাম তাহলে কনো আক্ষেপ হতো না কারণ তোমার ভুল টা ভেঙেছে।। আজ আমার মনে জমাট বাধা কষ্টটা একটু হলেও হালকা হয়েছে ইমা।।।
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবলো- সেদিন যদি তোমার কথাটা শুনতাম তোমাকে একটু বিশ্বাস করতাম হয়তো আজ আমি তোমার সাথে থাকতাম।।। যা ঘটেছে আমার জীবনে তা হয়তো কখনো ঘটতো না।।
ইমার অতীতে কথা মনে করলো।।
অতীত,,,,,
ইমা – পাগল হয়ে গেছো কি করছো?? দহায় লাগে এমন কিছু করো না ইসান।। মাথা থেকে রিভলবার টা সরাও।। (উত্তেজিত সুরে)
ইসান রিভলবার সরিয়ে কান্না করতে করতে ইমার গালে হাত দিয়ে বললো- আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি ইমা তোমার বাবাকে বুঝাও না৷ প্লিজ।।।
ইমা ইসানের চোখ মুছে দিয়ে মুচকি হেসে বললো – আমি বুঝাবো বাবাকে তুমি শান্ত হও এবং বাসায় যাও।।।
ইসান- ওকে তোমার ফোন খুলা রেখো। কেমন।। (মুচকি হেসে)
ইমা- হমম যাও।।। (ইসান চলে গেলো।।।)
বাবা- ইমা তুই কি চাস বলতো??(রেগে)
ইমা- বাবা ও সত্যি আমাকে অনেক ভালোবাসে।।। বাবা হতে পারেনা আমাদের কথাও ভুল হচ্ছে।।।
বলতেই ইমা মাথা চক্কর দিয়ে উঠে এবং বমির ভাব হয়।। ইমা মুখ চেপে ধরে দৌড়ে ওয়াসরুমের যাই। বাবা ইমার এমন দেখে একটু অবাক হয়।। কিছুখন পর ইমা ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে গিয়ে তোয়ালা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে নিজেকে আয়নায় দেখছে।। ইমা তার পেটের দিকে তাকায় এবং আলতো ভাবে তার তলপেটে হাত দিয়ে মনে মনে বলে-
ইমা- এখন বাবা যদি আমাকে প্রশ্ন করে আমি বাবাকে কিভাবে বলবো আমি প্রেগনেন্ট।।।
হঠাৎ ইমার ইসানের বলা কথা মনে পরে।।। ইমা তারাতারি গিয়ে ফোন চালু করে। দেখে ইসান এসএমএস করেছে।।। ইমা ইসানকে কল করতে যাবে এমন সময় বাবা ইমার রুমে আসে।।। ইমা তারাতারি ফোন রেখে তার বাবার দিকে ঘুরে দাড়ায়।। বাবার ইমার দিকে সন্দেহর চোখে তাকিয়ে বলে- কি হয়েছে তোর??
ইমা- কই কিছু নাতো বাবা।।। (একটু ভীত সুরে)
বাবা- ইমা আমি তোর বাবা আমার কাছে কথা লুকাবি না।।। সত্যি করে বল কি হয়েছে??
ইমার একটু ভয় লাগতে লাগে।।।
ইমা- বাবাকে কি সত্যি কথা বলে দিবো?? বাবা যদি আবার আমার কথা সহ্য করতে না পারে তখন!!! তখন কি হবে?? (মনে মনে বললো)
বাবা- ইমা!!! আমি তোমাকে কিছু বলেছি শুনতে পাওনি!!!.( একটু গম্ভীর সুরে)
ইমা- নাহ্,,,,!! যাই হোক বাবাকে এটা বলতে হবে।। হয়তো বাবা আমার কথা শুনে ইসানে সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যাবে।।।। এমনটা তো হতেই পারে!!! (মনে মনে ভাবলো)
বাবা- ইমা!!! এতো কি ভাবছো???
ইমা তার বাবার কাছে এগিয়ে গিয়ে বাবার হাত ধরে নিয়ে এসে বিছানায় বসালো এবং ইমা হাটু ভেঙে তার বাবার সামনে বসলো।। ইমা তার বাবার হাত দুই হাত দিয়ে আলতো ভাবে ধরে বললো- বাবা তোমার মেয়ে তোমাকে খুব ভালোবাসে।।। তুমি জানতো।।
(বাবা কনো কথা বললো না) বাবা আমি ইসানকে ভালোবাসি৷ ওকে আমি আমার জীবনে চায়।।
বলতেই বাবা ইমার হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিয়ে রেগে বললো- কিসের ভালোবাসা ওমন একটা গুন্ডার সাথে কিসের ভালোবাসা দেখাও???
ইমা মাথা নিচু করে ভীত সুরে আসতে বললো- বাবা আমি সেই গুন্ডারই সন্তানের মা হতে চলেছি।।
বাবা ইমার কথা শুনে আতকে উঠলো।। বাবা বিশ্বাস করতে পারছিলো না।।। ইমা কান্না ভড়া চোখে বাবার দিকে তাকাতেই বাবা টেনে ইমাকে এক থাপ্পড় মারলো।।।। ইমা মাটিতে পরে গেলো৷ ইমা গাল ধরে তার বাবার দিকে তাকালে বাবা বললো-
বাবা- আমার মানসন্মানের কথা একটা বারো ভাবলিনা।। তুই এমন নিকৃষ্ট কাজ করলি কিভাবে???( জোরে) তোকে মেয়ে বলতে আমার ঘৃণা হচ্ছে ইমা।।।।( রাগান্বিত সুরে বললো)
ইমা- বাবা!!!! (কান্না সুরে)
বলতেই বাবা বললো- খবরদার আমাকে বাবা বলবিনা।। আরে হারভাঙ্গা পরিশ্রম করে তোকে পড়াশোনা করাচ্ছি এই দিন দেখার জন্য?? আজ তোর মাকে হারিয়েছি ওই ছেলের কারণে!!! (কান্না সুরে জোরে বললো)যে তোর মাকে মেরেছে তার সন্তান পেটে নিয়ে ঘুরছিস তুই।। মরে যা তুই মরে যা।।। একটা খুনির সাথে নিজের জীবন জরিয়েছিস।।। মরে যা তুই।। (বলে মাথায় হাত দিয়ে বসে কদতে লাগলো)
ইমা তার বাবার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পরলো।। ইমা হতবাক সুরে বললো- কি!!! বাবা তুমি কি বললে??? ইসান মাকে মেরেছে???
বাবা- হমম ওই মেরেছে তোর মাকে।। সেই দিন তোর মা আমি মারকেট থেকে ফিরছিলাম।। রাস্তায় দুইজন তোকে নিয়ে কথা বলতে বলতে আসছিলাম।। একটা বড় বারের সামনে আসতেই গোলা গুলির শব্দ শুনি।। তোর মা আর আমি ভয় পাই আবার মনে একটু কিউরিওসিটি আসে।। তোর মা আমি সেই কিউরিওসিটি নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগি।৷ গুলি লেগে কাচের জানালা ভেঙে যাওয়াতে আমি ইসানকে ইস্পট দেখি।।। তোর মা ইসানকে দেখে আমার হাত ধরে ডাকে। আমি তোর মার দিকে তাকায়৷ তোর মা আমাকে বলে- দেখেছো এটা তো সেই ছেলে ইমা তো এর কথায় বলেছিলো বলতেই তোর মায়ে মাথায় বুলেট এসে লাগে এবং মাথার এপার ওপার হয়ে যাই।। আমার চোখের সামনেই তোর মা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।।। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলা না।। ভাবতেও পারিনি আমার স্ত্রীর মৃত্যু আমার এভাবে দেখতে হবে।।।
বলে বাবা কান্নাই ভেঙে পরলো।। ইমা উঠে এসে বাবাকে জোরিয়ে ধরে কাদতে কাদতে বললো- I am sorry বাবা।। I am sorry…কেন আগে বললে না এই কথা বাবা।।। কেন বললে না।।
বাবা- আমি চায়নি তুই মনে কষ্ট পাস।। তাই বলিনি।। কিন্তু তুই এটা কি করলি ইমা!!!!
বলতেই ইমার বাবার বুকে ব্যাথা উঠে।।।
ইমা উত্তেজিত হয়ে যায় বাবা কে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারেনা।। ইমা তারাতারি হসপিটালে ফোন দেয়। এ্যম্বুলেন্স আসলে ইমা তার বাবাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যাই।
ডাক্তার ইমার বাবাকে সরাসরি ICU তে নিতে বলে।। ইমার হাত পা কাপতে লাগে।।। ডাক্তার ICU থেকে বাইরে আসলে ইমা উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তার বাবার।। ডাক্তার বলে- আপনার বাবা হার্ডস্টোক করছে।। উনাকে বাচানো সম্ভব না।।। উনার হার্ডবিট খুব ধীরে চলছে।।।। যে কনো সময় হার্ডবিট বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷। এখন আল্লাহকে ডাকুন।।একমাত্র আল্লাহ আপনার বাবা কে বাচাতে পারে।।।
ইমা ডাক্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পরলো।। ইমা দৌড়ে ICU এর বাইরে দাড়িয়ে দরজায় লাগানো কাচের ছোট গ্লাস দিয়ে তার বাবার দিকে করুন দৃষ্টি তে তাকিয়ে দেখছে এবং কাঁদছে ।।
ইমা মনে মনে বললো- ইসান আমি তোমাকে কনো দিনো মাফ করবো না।।।আর এই বাচ্চা আমি রাখবো না।। আমি নষ্ট করে দিবো।। ফেলে দিবো আমি।।
ভাবতেই অভি আসে।।।
অভি- ইমা।।। (ইমা পিছনে ঘুরে তাকায় দেখে অভি)
অভি- বাবা আমাকে বললো আংকেল হসপিটালে।। তাই আর দেরি না করে চলে আসলাম।।। এখন আংকেল কেমন আছেন??
ইমা- ভালোনা ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছে।। হার্ড স্টোক করছে বাবা৷৷( কান্না করে)
অভি ইমার কাছে এগিয়ে এসে ইমার দিকে রুমাল ধরে বললো- শান্ত হও।। আল্লাহ নিশ্চয় আংকেলকে বাচিয়ে নিবে।।।
কিছুখন পর অভির বাবা “রশিদ হোসেন” আসে।। রশিদ হোসেন ইমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো- শান্ত হও মা তোমার বাবা ঠিক হয়ে যাবে।।।
হঠাৎ ইমার বাবা কেমন যেন করতে লাগে।। নার্স ICU থেকে বের হয়ে দৌড়ে ডাক্তার ডাকতে যাই।। ইমা, অভি, এবং রশিদ হোসেন নার্সকে এভাবে যেতে দেখে অবাক হয়ে গেলো।। ইমা দৌড়ে ICU এর দরজার সামনে গেলো দেখে তার বাবা কেমন ছটপট করছে।।। ডাক্তার আসলে ডাক্তার ইমাকে শান্ত হতে বলে এবং ভিতরে যায়।।। ইমার বাবা মাথা ঘুরিয়ে দরজার দিকে তাকায় আপছা চোখে দেখে ইমা অভি দাড়িয়ে আছে।। বাবা ডাক্তার কে বললার চেষ্টা করলো সে ইমার সাথে অভির সাথে কথা বলবে।।
ডাক্তার নার্সকে বললো বাইরে থেকে ওদের ডেকে ভিতরে নিয়ে আসতে।। নার্স গিয়ে বললে – ইমা, অভি,রশিদ হোসেন তারাতারি ভিতরে আসে।।। ইমা এসে তার বাবার হাত ধরে কান্না করতে করতে বলে- বাবা তোমার কিচ্ছু হবে না।। তুমি ভালো হয়ে যাবে।।
বাবা কাপা হাতে মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে আসতে আসতে বললো- আমার হাতে আর বেশি সময় নেই মা।।। ওই যে তোমার মা দাড়িয়ে আছে।।। আমাকে দেখছে।।।
ইমা- প্লিজ বাবা এমন কথা বলো না।।।(কান্না সুরে)
বাবা রশিদ হোসেনের দিকে তাকিয়ে বলে- বন্ধু !!!
রশিদ হোসেন ইমার বাবার মাথায় হাত দিয়ে বললো- বলো বন্ধু।।।
বাবা কাপা হাতে অভির বাবার হাত ধরে বললো- আমার মেয়েকে তোমার ছেলের হাতে দিয়ে যেতে চায়।।
রশিদ হোসেন – অবশ্যয় বন্ধু ।।
বাবা অভির দিকে তাকিয়ে অভির দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে অভি বাবার হাত ধরে।। বাবা ইমার হাত অভির হাতে দিয়ে বলে- আমার মেয়েটার খেয়াল রেখো বাবা।। আজ থেকে আমার মেয়ে তোমার আমানত।। দেখে রেখো আমার চোখের মনিকে।।। (কান্না সুরে)
ইমা তার বাবার কথা শুনে বাচ্চাদের মতো কান্না করতে লাগে।।।
অভি আরেক হাত বাবার হাতের উপর রেখে বলে- আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইমার খেয়াল রাখবো আংকেল।। আপনার আমানত আমি কনো দিনো খিয়ানত করবো না কথা দিচ্ছি।।৷
অভি এই কথা বলে শেষ করতে না করতেই ইমার বাবারএকটা জোরে শ্বাস ছেড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলো।। ইমা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে কান্না করে উঠলো।।।
বর্তমান,,,,,,
ইমা চোখের পানি মুছে গভীর একটা শ্বাস ছেড়ে উঠে জানালার সামনে গিয়ে দাড়ায়। এবং আকাশের তারাতর দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে- আমি জানিনা আমি কি করছি।। ইসানের কারণে বাবা মাকে হারিয়েছি। আজ সত্যিটা জানার পরে কেন যানি মনে হচ্ছে এগুলো আমার কপালে ছিলো।। বাবা মাকে হারানোর পর সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেছি ইসানকে।। অভির সাথে বিয়ে হওয়ার পর সেই শহরটাই আমি ছেড়ে দিয়েছি যেই শহরে ইসান আর আমার সৃতি জরিয়ে ছিলো।। অনেক কষ্ট করে নিজেকে গুছিয়ে মানিয়ে নিয়েছি।।। আর এটার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হলো অভির।। ও আমার জীবনে একটা আলোর মতো হয়েছিলো।। কখনো আমাকে একা অনুভব হতে দেয়নি।। বাবা মা হারানোর কষ্ট বুঝতে দেয়নি।।। কিন্তু কথায় গেলো অভি???
Time skip
পরের দিন,,,,,
সকালে মিষ্টি রোদের আলোর ছোটায় ঘুম ভাঙলো ইসানের।।। ইসান মাথা ঘুরাতেই দেখে ইমা সোফায় বসে হেলান ঘুমাচ্ছে ।। ইসান অপলক দৃষ্টি তে ইমার দিকে তাকিয়ে দেখতে থাকে।।। এমন সময় ইমা নরে উঠলে ইসান তারাতারি মাথা ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে।।।। ইমা চোখ খুলে ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান ঘুমাচ্ছে ।। ইমা কনো শব্দ না করে উঠে বাইরে যাই।। ইসান চোখ খুলে দরজার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে৷।। ইমা ক্যাবিন থেকে বের হতেই দেখে আকাশ জনি চেয়ারের উপর বসে দেওয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমাচ্ছে।।। ইমা তাদের কাছে এগিয়ে এসে আসতে আসতে ডাকলে আকাশ চমকে চোখ খুলে তাকায়।। ইমাকে দেখে একটু উত্তেজিত সুরে বললো- কি হয়েছে ম্যাডাম স্যার ঠিকাছে তো???
আকাশের কন্ঠে জনির ঘুম ভেঙে গেলো।।
জনি- কি হয়েছে??
ইমা- কিছু হয়নি।। কিছু হয়নি।।।তোমাদের স্যার ঠিক আছে ঘুমাচ্ছে।।। আসলে আমি বাড়ি যেতাম পোশাকটাই রক্ত মেখে আছে।। পোশাকটা চেঞ্জ করতে হবে।।।যদি একজন নিয়ে যেতে!!!! খুব ভালো হতো।।
জনি- আমি নিয়ে যাচ্ছি চলুন।।। আকাশ তুই স্যারের কাছে গিয়ে বসে থাক।। বাইরে বডিগার্ড আছে কিছু লাগলে ওদের বলিস।।
আকাশ- ওকে ।।
ইমা চলে গেলো জনির সাথে।।।আকাশ ইসানের ক্যাবিনের দরজা খুললে ইসান দরজার দিকে তাকায় দেখে আকাশ।।।
আকাশ- good morning স্যার আপনি কখন জাগলেন??
ইসান- ইমা কথায়???
আকাশ- ম্যাডাম পোশাক চেঞ্জ করতে বাড়িতে গেছে।।।
ইসান- হমম ভালো।। ও ভালো কথা পুলিশকে মেরানের বলা কথার রেকর্ড পাঠিয়েছো???
আকাশ- না স্যার এখনো পাঠাইনি।।
ইসান- পাঠিয়ে দাও আর বলো মেরান মারা গেছে।। সবি খুলে বলো।। তাহলে ঝামেলা হবে না।।
আকাশ- ওকে স্যার।। স্যার বড় স্যার কল করেছিলো।।।
ইসান- আমার কথা বলে দিয়েছো?? (বড় বড় চোখ করে)
আকাশ- জি?? স্যার আজি আসবে বলেছে।।।( মাথা নিচু করে আসতে বললো)
ইসান মাথায় হাত দিয়ে বললো – ওহ্ আকাশ কি করো তুমি।। বাবাকে ফোন দাও আমি কথা বলবো।।
আকাশ পকেট থেকে ফোন বের করে জহির চৌধুরী কে ফোন দিয়ে ইসানের হাতে দিলো।।।
জহির- হ্যালো।।
ইসান- বাবা,,,
জহির- বাবা তুমি ঠিকাছো??? (উত্তেজিত সুরে)
ইসান- উত্তেজিত হয়েও না বাবা। আমি ঠিকাছি।।
জহির- আমি দুপুরের ফ্লাইটে আসছি।।
ইসান- বাবা আসতে হবে না আমি ঠিকাছি।। আমি তারাতারি আসবো কাজ শেষ হয়ে গেছে তো।।।
জহির- হমম শুনলাম আকাশ বললো।।। ভাবতেই পারছিনা ছেলেটা এগুলো করেছে।। আমি তো বন্ধুত্ব রাকবো না RK হসপিটালের চেয়ারম্যানের সাথে।। RK হসপিটাল কে আমি কি করি এবার দেখবে সবাই।। (একটু রাগান্বিত সুরে)
ইসান- না বাবা RK হসপিটালের চেয়ারম্যানের কনো দোষ নাই লোকটা যানেই না তার ছেলে এগুলো করেছে।। বাদ দাও আমি এসে সব সামলিয়ে নিবো তুমি চিন্তা করো না।।।।
জহির- ওকে তুমি বিশ্রাম করো বাবা।। রাখি।।
Time skip
রোকাসানা- ম্যাডাম আপনি ঠিকাছেন??
ইমা- হমম।। ইসমা কথায়??
রোকসানা- ঘুমাচ্ছে।। রাতে একদম ঘুমাতেই চাচ্ছিলো না অনেক কষ্টে ঘুমিয়ে দিয়েছি।। স্যার এখন কেমন আছে??
ইমা- হমম ভালো।। আমি একটু ফ্রেস হবো।।( বলে ইমা রুমে চলে গেলো)
জনি রোকসানার কাছে আসলে রোকসানা ঘুরে জনির দিকে তাকায়।।
রোকসানা- ঠিকাছো??
জনি- হমম তুমি??
রোকসানা- ঠিকাছি।। যাও একটু ফ্রেস হয়ে নাও ভালো লাগবে।।
জনি- ওকে।।( বলে চলে গেলো নিজের রুমে।।)
ইমা ফ্রেস হয়ে বিছানায় বসে ইসমার দিকে তাকিয়ে গভীর শ্বাস ছারলো।। ইমা উঠে গিয়ে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে চালু করতে যাবে দেখে ফোন বন্ধ হয়ে আছে। ইমা ফোন চার্জে লাগিয়ে অন করতেই রুহির ইমেইল আসে।
ইমা- রুহির ইমেল!! দেখি তো।।( বিস্মিত চোখে)
ইমা রুহির ইমেল পড়েই হতবাক হয়ে যাই। এবং ইমার হাত থেকে ফোন পরে যাই।। ইমার হাত পা কাপতে শুরু করে এবং চোখে পানি টলটল করতে লাগে।।। ইমা কনো করকম দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে জনিকে খুজতে লাগে।। রোকসানা ইমাকে ছুটে বাইরে যেতে দেখে সেও পিছে গেলো।।
রোকসানা- ম্যাডাম কি হয়েছে?? (উত্তেজিত সুরে)
ইমা- জ,,,,জ,,নি কথায়?? (কান্নার সুরে)
রোকসানা- ও নিজের রুমে।। ম্যাডাম আপনি,,,,
ইমা রোকসানার কনো কথা বললো না দৌড়ে ভিতরে গেলো জনির রুমে দিকে।। এমন সময় জনি রুম থেকে বের হয়।জনি ইমাকে দৌড়ে আসতে দেখে বললো-
জনি- কি হয়েছে ম্যাডাম?? (অবাক হয়ে)
ইমা- আমি দেশে ফিরবো আজকেই।। ( ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বললো )
জনি- কিন্তু ম্যাডাম!!!
বলতেই ইমা জনির সামনে হাত জোর করে মিনতির সুরে বললো – প্লিজ জনি আমাদের দেশে ফিরার ব্যাবস্থা করো।।।
জনি- ওকে,,,, ওকে,,, ম্যাডাম শান্তহন।। ঠিকাছে আমি ইসান স্যারের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।।
,,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।