#i_m_mafia_lover
#part_27
#sabiha_kh
ইসান ইমার কথার জবাব না দিয়ে বললো- ২ ঘন্টা পর আমি আসছি।।।( বলে কল কেটে দিলো)
ইমা চিন্তিত সুরে বললো- কি হলো?? ইসান এমন ভাবে কথা বললো কেন??
এমন সময় আকাশ গর্জন দিয়ে উঠে৷ ইমা ভয়ে ইসমাকে জোরিয়ে ধরে।। বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাই।।।।
”
”
”
”
২ ঘন্টা পর,,,,,
ইমা সোফায় বসে টেনশনে হাতের নখ কামরাচ্ছে।।। এদিকে বৃষ্টি থামার কনো নামই নেই।।। ইমা ঘড়ির দিকে তাকালো দেখে ১১:৩০ টা বাজে।।।
ইমা- এতো দেরি হচ্ছে কেন?? ইসান ঠিক আছে তো?? দেখি একটা কল করি।। (চিন্তিতো সুরে)
ইমা টেবিলের উপর থেকে ফোন নিয়ে ইসান কে কল করলো।। কিন্তু ইসান কল ধরে না।।
ইমা- আল্লাহ কি হলো?? এখন তো আমার ভয় লাগছে।। ( টেনশনে বললো)
ইমা উঠে গিয়ে জানালার কাছে দাড়াল দেখার জন্য ইসান আসছে কিনা!! হঠাৎ কারেন্ট চলে যাই।।
ইমা- উফফ এখুনি কারেন্ট যাওয়ার খুব দরকার ছিল।। (একটু বিরক্তি নিয়ে)
ইমা গিয়ে ক্যান্ডেল জ্বালাতেই দরজায় ঠক ঠক শব্দ।
ইমা- নিশ্চয় ইসান এসেছে।।
ইমা ক্যান্ডেল নিয়ে দ্রুত এসে দরজা খুলে দেখে ইসান ভেজা কাপড়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।।
ইমা- ইসান,,,,,,
বলতেই ইসান মাথা তুলে ইমার দিকে তাকায়।।।। ক্যান্ডেলের আলোতে ইসানের মুখে লেগে থাকা পানি গুলো চমক দিচ্ছি।।। চোখের সামনে পরে থাকা চুল গুলো থেকে টপ টপ করে পানি পরছে।। ভেজা ঠোট গুলো শাইনিং করছে।।
ইমা এক রকম অপলক দৃষ্টি তে ইসানের দিকে তাকিয়ে থাকে।।।
ইসান ইমার কাছে এগিয়ে আসে এবং আলতো করে ইমার গালে হাত দিতেই ইমার শরীর ভিতর কেপে উঠে।।।
ইমা ইসানের কাছ থেকে সরে দাড়ায়।। এমন সময় কারেন্ট চলে আসে।। ইমা ক্যান্ডেল নিভিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে ইসানের দিকে ঘুরে দাড়ায়।।
ইমা- কি হয়েছে তুমি এমন অবস্থায় কেন ইসান??
ইসান ইমার হাত ধরে ইমার রুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগে।।
ইমা একটু অবাক হয় এবং বলে- কি করছো ইসান?? আমাকে কথা নিয়ে যাচ্ছো??
ইসান একটা কথাও বললো না।। সোজা ইমার রুমে নিয়ে এসে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ইমা ঘাবড়ে যাই ইসানের এমন কাজ দেখে।।
ইমা- কি করছো এগুলো দরজা কেন লাগালে??
ইসান ইমার হাতের বাজু ধরে দরজার সাথে ঠেসে ধরলো। ইমা ইসানের চোখের দিকে তাকায় দেখে ইসানের চোখে পানি টলটল করছে।।
ইমা- কি হয়েছে আমাকে,,,,,,,,,
বলতেই ইসান ইমার ঠোঁটে ঠোট ডুবিয়ে কিস করতে লাগে।।। ইমা একদম হতভম্ব হয়ে যাই। ইমা ইসানকে ঠেলা মেরে সরিয়ে দিতে চায় কিন্তু পারে না।। তারপর ইমা ইসানকে জোরে ধাক্কা দেয় ইসান দূরে সরে যাই। ইমা গিয়ে ইসানের গালে টেনে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।।।
ইমা রাগান্বিত সুরে বলে- তোমার এতো সাহস হয় কিভাবে ইসান?? আজ তুমি নিজের লিমিট পার করে ফেলেছো। এখুনি আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাও।।।
ইসান রেগে ইমার হাতের বাজু ধরে বললো- তুমিও নিজের লিমিট পার করেছো ইমা।। তোমার এতো সাহস কি হয় কি করে আমার কাছে সত্যি লুকানোর।।। (ইমা ইসানের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই) আমি ভাবতেও পারিনি তুমি এমন।।
বলে ইসান ইমাকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় গিয়ে বসে এবং মাথা নিচু করে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে কান্না করতে লাগে।।। ইমা ইসানকে এভাবে কান্নায় ভেঙে পরতে দেখে একদম হতবাক হয়ে যাই।। ইমা একপা দুপা করে ইসানের কাছে এসে দাড়ায়। এবং আসতে ইসানের কাধে হাত রাখে।। ইসান কান্না ভড়া চোখে ইমার দিকে তাকায় এবং আলতো করে দুই হাত দিয়ে ইমার হাত ধরে কান্না সুরে বলে-
ইসান- কেন করলে ইমা এমনটা কেন করলে আমার সাথে??
ইমা- আমি কি করেছি ইসান?( বিস্মিত হয়ে)
ইসান- তুমি জানো না তুমি কি করেছো?? তুমি আমার কাছে সব চেয়ে বড় সত্যি টা লুকিয়েছো।। ইসমা তোমার, আমার মেয়ে এটা কেন লুকালে ইমা!!!??
ইমা ইসানের কথা শুনে থতমত খেয়ে যাই।।।
ইসান- জানি তোমার কাছে এটার কানো জবাব নেই।। ইমা আমার ভালোবাসায় কথায় কম ছিলো বলতো!! তুমি এতো বড় কথা লুকিয়ে গেলে কেন??? ঠিকাছে আমি মানছি তুমি আমাকে ভুল বুঝেছো।। তারপর তোমার ভুলটা তো ভেঙেছিলো ইমা।। তারপর তো তুমি আমাকে সত্যি বলতেই পারতে!!! কেন বললে না!! আমি কি ইসমার বাবা হওয়ার যোগ্যতা রাখিনা ইমা???
ইমা একটা কথাও বলে না। মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে এবং তার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পরে। ইসান উঠে আলতো করে দুই হাত দিয়ে ইমা গালে ধরে। ইমা কান্না ভড়া চোখে ইসানের দিকে তাকায় এবং বলে-
ইমা- ইসান পরিস্থিতি অনেক কিছুই করতে বাধ্য করেছে।।। I’m sorry,,, ইসমা তোমারই মেয়ে ইসান।। তোমার মেয়ে।। (কান্না সুরে)
ইসান আবেগ ময়ি সুরে মুচকি হেসে বলে- আমার না আমাদের মেয়ে।। ইমা আমরা জীবনটাকে আবার নতুন করে শুরু করতে পারি?? ইমা আমি আজো তোমাকে তেমনি ভালোবাসি যেমন আগে বাসতাম।।। আমাকে আরেকটা সুযোগ দিবে প্লিজ।। আমি সত্যি বলছি আমি একজন ভালো বাবা, ভালো হাসবেন্ড, ভালো বন্ধু, ভালো জীবনসাথী হবো। I promise…
ইমা অবাক চোখে ইসানের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর কনো কথা না বলে ইসানের হাত তার গাল থেকে সরিয়ে দেয়। ইসান হতবাক হয়ে ইমার দিকে তাকিয়ে থাকে। ইমা সোজা গিয়ে আলমারি খুলে এবং আলমারির ভিতরে থাকা লকারের বক্স খুলে।। ইসান একটু কনফিজ হয়ে যাই ইমার কাজ দেখে।।। ইমা আলমারি বন্ধ করে আবার ইসানের সামনে এসে দাড়ায় এবং ইসানের সামনে হাত মুঠো করে এগিয়ে দেয়।।ইসান বিস্মিত চোখে ইমার দিকে তাকিয়ে থাকে।। ইমা হাতের মুঠ খুললে ইসান দেখে সেই আংটি যেটা ৭ বছর আগে ইমাকে পড়িয়ে দিয়ে বিয়ের প্রোপজ করেছিলো ইসান।।
ইমা- আমি তোমাকে যতোই ঘৃণা করি কিন্তু তোমাকে কখনো ভুলিনি।। এই আংটি আমি হারিয়ে ফেলিনি ইসান। এই নাও আমাকে আবার নতুন করে পরিয়ে দাও।।( আবেগি সুরে)
ইসান ইমার কথা শুনে কান্না করে দেয়।।এবং ইমাকে গিয়ে ঝাপটে ধরে৷৷
ইসান- I love you ইমা।। I love you.. (কান্না করে)
ইমা ইসানকে ছারলো এবং ইসানের চোখ মুছে দিয়ে মুচকি হেসে বললো- অনেক কেদেছো।। এই নাও এবার আংটিটা পরিয়ে দাও।।
ইসান ইমার হাত থেকে আংটি নিয়ে ইমার হাতে পরিয়ে দিলো৷
ইমা- তোমার আংটি টা দাও।।
ইসান গলা থেকে চেন খুলে চেন থেকে আংটি বের করে ইমার হাতে দিলো৷। ইমা ইসানের হাতে আংটি পরিয়ে দেয়।। ইসান দুই হাত দিয়ে ইমার দুই হাত ধরে আবেগি সুরে বললো- কথা দাও কখনো আর ছেড়ে যাবে না৷
ইমা- হমম কথা দিলাম। তুমি কথা দাও যদি কনো খারপ কিছুর সাথে জরিয়ে থাকো সেটা তুমি ছেড়ে দিবে।। আমার জন্য আর ইসমার জন্য।।
ইসান- কথা দিলাম।। (মুচকি হেসে)
Time skip
সময় পার হতে লাগে। ইসান ইমা ইসনাকে আগের চেয়েও বেশি কেয়ার করে।।। ইমাও ইসানের সাথে আবার নতুন করে জীবন শুরু করার সপ্ন দেখতে শুরু করে ।। ইসান ইমা ঠিক করেছে তারা খুব তারাতারি বিয়ে করে নিবে।।।
কিন্তু আসলেই কি এই বিয়ে হবে??? আসনু দেখি কি হয়!!!
১ মাস পর,,,,,,,
ইসমা- বন্ধু,,,,,
ইসান- আবার বন্ধু!!! বাবা বলে ডাকো না মা!!
ইসমা- উফফ মনেই থাকে না বাবা।। আচ্ছা শুনো তুমি একটু আম্মু কে বলো না কাল আমি স্কুলে যাবো না!!
ইসান- ঠিকাছে তুমি চিন্তা করো না আমি তোমার আম্মু মানিয়ে নিবো।। (কিউট হাসি দিয়ে)
ইসমা- তুমি খুব ভালো বাবা।।। (বলে ইসানের গালে চুমু দিলো ইসমা)
ইমা- কি হচ্ছে বাবা মেয়ের??(ইসমার রুমে এসে বললো)
ইসান- কিছু না৷।। তাই না ইসমা!!
ইসমা- হ্যা কিছু না।।
ইসান- ইমা তোমার সাথে কথা আছে।।
ইমা- ওকে বাইরে আসো।।। ।
ইসান – ইসমা এখন তুমি খেলো।। আমি তোমার আম্মুর সাথে গিয়ে কথা বলি!!
ইসমা- ওকে বাবা।।।(ইসান উঠে ইমার সাথে বারান্দায় এসে দাড়ালো।)
ইসান- ইমা কাল আমি একটু আমেরিকায় যাবো কাজে। তিন দিন এর দিনেই ফিরে আসবো।।
ইমা মনে মনে বললো- তিনদিনের দিনে তো ওর জন্মদিন৷
ইসান- কি হলো???
ইমা- কিছু না ওকে তুমি যাও।। (মুচকি হেসে)
ইসান- আমি আরেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি!!
ইমা- কি সিদ্ধান্ত??
ইসান- সামনের সপ্তাহে আমরা বিয়ে করবো।।।
ইমা- ওকে।।। (হেসে)
ইসান- আহা আমার বৌয়ের মুখে হাসি দেখেই শান্তি।। আমার কলিজাটা।। (বলে ইমাকে জোরিয়ে ধরে কপালে চুমু দিলো।।) আমার জান আমরা বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবো।। আমার আর ইমার বিয়ের কথা সবাই সবাই জানবে।।।
ইমা- সবি তো ঠিকাছে।। কিন্তু তোমার বাবাকে বলেছো??
ইসান- আজি বলবো তুমি চিন্তা করো না।।।
ইসান ইমাকে ছাড়লো এবং ইমার কপালে চুমু দিয়ে বললো-
ইসান- এখন আসি জান।। কিছু কাজ আছে।। ও,, হ্যা কাল ইসমাকে স্কুল পাঠিও না।। ও আমার কাছে এটা চেয়েছে।
ইমা- ওকে পাঠাবো না।।।( মুচকি হেসে)
ইসান – ওকে বাই।।
ইমা- হমম বাই।
ইসান বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠলে জহির চৌধুরী কল করে।। ইসান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।
ইসান- হমম বলো বাবা।।
জহির- কথায় তুমি??
ইসান- কেন??
জহির- তোমার হয়েছেটা কি বলতো?? আমাকে এমন এরিয়ে চলছো কেন?? আর ঠিক মতো কথাও বলো না আমার সাথে।। সমস্যা টা কথায় বলবে??
ইসান- এমন কিছুই না বাবা।।
জহির- ওকে কাজের কথায় আসি।। কাল আমেরিকা যাচ্ছো তো??
ইসান- হমম।।
জহির- তোমার ওখানে আরো কিছু দিন থাকতে হবে।।
ইসান- কেন??
জহির- PR কম্পানির চেয়ারম্যান আমাদের প্রজেক্টে টাকা ইনভেস্ট করবে না।। তুমি ওকে মেরে ফেলো।।। তাহলে আমি একটু শান্তি পাবো।
ইসান- অনেক হয়েছে বাবা অনেক হয়েছে। তুমি কেমন বাবা হ্যা আমাকে দিয়ে খুন করাও।। তোমার শান্তির জন্য।। কেন বাবা বলতো??।। আজ তোমাকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।। আমি আজ থেকে এগুলো খুনাখুনি করবো না।। আমি নতুন জীবন শুরু করবো নতুন ভাবে বাজবো।। তুমি আমার বাবা। তুমি অবশ্যই চাও না তোমরা ছেলে খারাপ থাকুক।। এখন রাখি।।
বলে ইসান ফোন কেটে দিলো।।
#i_m_mafia_lover
#part_28
#sabiha_kh
ইসান- অনেক হয়েছে বাবা অনেক হয়েছে। তুমি কেমন বাবা হ্যা আমাকে দিয়ে খুন করাও।। তোমার শান্তির জন্য।। কেন বাবা বলতো??।। আজ তোমাকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।। আমি আজ থেকে এগুলো খুনাখুনি করবো না।। আমি নতুন জীবন শুরু করবো নতুন ভাবে বাজবো।। তুমি আমার বাবা। তুমি অবশ্যই চাও না তোমরা ছেলে খারাপ থাকুক।। এখন রাখি।।
বলে ইসান ফোন কেটে দিলো।।
”
”
”
জহির চৌধুরী ইশানের এমন ব্যবহার শুনে একদম হতবাক হয়ে গেলো |
জহির – কে আছো,,,,,
– জি স্যার,,,!
জহির – খোঁজ লাগাও ইশান কার সাথে মিশছে , কোথায় যাচ্ছে, কি করছে।। তার পরিবর্তনের কারণ টা আমি জানতে চাই।।
– ok স্যার।।। (বলে চলে গেলো)
Time Skip
পরের দিন ইসান আমেরিকা চলে যায়। আমেরিকা পোওছে ইসান ইমা কে কল করে ।
ইসান- hello ?
ইমা – হম পোওছে গেছো??
ইশান- হমম। তোমরা দুইজন ভালো আছো??
ইমা – হম আমরা ভালো আছি ।।
ইশান- তোমাকে মিস করছি ইমা!!
ইমা – আমিও ।। (লাজুক সুরে)
ইশান – লাভ ইউ।।
ইমা – লাভ ইউ টু।। Ok পড়ে কথা বলবো । আমি এখন হসপিটালে আছি।।
ইসান – ok Bye । আমি যত তারাতারি পারবো কাজ শেষ করে ফিরে আসবো।।।
ইমা- আমি অপেক্ষাই থাকবো।। Bye. (বলে ফোন কেটে দিলো ৷)
২ দিন পর ,,,,,,
ইমা- জনি আজ তোমার স্যারের জন্মদিন।
জনি আনন্দিত সুরে বললো – সত্যি ম্যাডাম!! জানেন স্যার কে যদি জিজ্ঞেস করতাম স্যার আপনার জন্মদিন কবে !!বলতে চাইতো না। যাক আজ জানতে পারলাম। এক কাজ করি স্যার কে ফোন করে সারপ্রাইজ দিয় ৷
ইমা- আরে না ৷ ফোন করনা ৷ (একটু উত্তেজিত সুরে )
জনি – কেন ম্যাডাম ?
ইমা- আমি ইসান কে সারপ্রাইজ দিতে চায় ৷ কাল রাতে আমি একটা প্ল্যান ভেবেছি ৷ আমার প্ল্যান
শুনো ৷…… (ইমা জনি কে তার প্ল্যান বলে)
এদিকে ইশান নিজের সব কাজ শেষ করলো।।
ইশান – আকাশ ১১ টার ফ্লাইটে যাবো। এখন একটু কেনা কাটা করবো ইসমার ,ইমার জন্য।। (মুচকি হেসে)
আকাশ – ওকে স্যার।।
Time Skip
ইমা প্ল্যান করছে সে ইশানের বাড়িতে ইশান কে birthday surprise দিবে।।। সেই মোতাবেক জনির সাথে চলে গেলো ইসানের বাড়িতে।। ইমা ইসানের বাড়ি এবং বাড়ির ভিতরে বডিগার্ড দের দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
ইমা – এটা বাড়ি নাকি রাজ প্রাসাদ।( মনে মনে)
জনি- আসুন ম্যাডাম।।( ইমার দিকে তাকিয়ে)
জনি ইমা কে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে গেলে করিম বাধা দেই।।
করিম একটু রেগে বলল – কি করছো??? তুমি জানো না এই বাড়িতে মেয়ে মানুষ ঢুকার কোনো নিয়ম নেই।।
জনি – জানি।। কিন্তু এই মানুষটা যদি এই বাড়িতে ঢুকে তাহলে স্যার সব চেয়ে বেশি খুশি হবে।।।( ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে)
করিম – কেনো জানতে পরি???
জনি – জানতে পারবেন সামনের সপ্তাহে।। এখন ভিতরে ঢুকতে দিনতো।।। আসুন ম্যাডাম।।
ইমা জনির সাথে ভিতরে গেলো।।।
ইমা একটু কতুহল নিয়ে বললো – জনি উনি এই কথা কেনো বললো ?? মেয়েরা কেনো আসতে পারবে না এই বাড়িতে।।।
জনি – মেয়েরা আসতে পারেনা কারণ স্যার বারণ করেছে।।।
ইমা – কেনো?? (একটু বিস্মিত হয়ে)
জনি – স্যার বলেছেন এই বাড়িতে একমাত্র আমার ভালোবাসার মানুষ ছাড়া অন্য কোনো মেয়ে ঢুকবে না। ।। এই বাড়ি স্যার আপনার জন্য তৈরি করেছে ম্যাডাম।।। আপনার সাথে জীবন পার করবে ভেবে।।।
জনির কথা শুনে ইমার আপনা আপনি আবেগে চোখে পানি চলে আসে।।। ।। ইমা হেসে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে – তোমার স্যার সত্যি পাগল।।।
জনি – পাগল কিনা জানি না তবে আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে আমার স্যার।। ম্যাডাম আপনি বসুন আমি আসছি । (ইমা বসলো )
জনি করিমের কাছে আসলো।।।
জনি – করিম ভাই । আপনি জানেন উনি কে??
করিম – দেখো জনি স্যার আমাকে এই বাড়ির দায়িত্ব দিয়ে গেছে।।।
জনি – আমি জানি করিম ভাই।। আমার কথা শুনুন । স্যার যদি আপনাকে কিছু বলে তাহলে আপনি অমর উপর দোষ দিবেন। আমি আপনাকে বলছি।। শুনুন আজ স্যার এর জন্মদিন।। ম্যাডাম এই কারণেই আসছে।। প্লিজ ম্যাডাম যেই ভাবে বলে সেই ভাবে করুন। আর কিছু বলেন না ভাই।
করিম – ঠিকাছে ।।। তোমার কথা মেনে নিলাম । যদি স্যার আমাকে কিছু বলার তারপর তোমার ব্যাবস্থা হবে।।।
জনি করিম কে জড়িয়ে ধরে আনন্দিত সুরে thank you জানালো।।।
Time Skip
ইশান ফ্লাইটে বসে এবং ইমা কে কল করে।।।
ইমা এদিকে ইশান কে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য সবাই মিলে জড়সড় দিয়ে কাজ করেছে।। ইমা ইশান এর কল দেখে ধরলো ।
ইমা – হম বলো??
ইশান – আমি আসছি।। ফ্লাইটে উটলাম মাত্র।।।
ইমা- ok আসো এখন রাখি।। (বলে ফোন কেটে দিলো)
ইশান ইমার এভাবে ফোন কেটে দেওয়া দেখে একটু অবাক হলো ।।
ইশান – ইমার আবার কি হলো !!! (বিস্মিত সুরে)
ইশান কোর্ট এর পকেট থেকে একটা ছোট বক্স বের করে বক্স খুলে মিষ্টি একটা হাসি দিল । এবং বক্স থাকা ডায়মন্ড লকেটের উপর হাত বুলিয়ে বললো –
ইশান – ইমা আশা করি তোমার এইটা ভালো লাগবে।।। আমাদের বিয়ে সামনের সপ্তাহে।। বেস্ট ডিজাইনের গলার হার তোমাকে গিফট করবো ইমা অর্ডার দিয়ে এসেছি।।। আমার ভালোবাসাকে আমি আমার জীবনে পাচ্ছি এই খুশি যে আমাকে কতো টা এক্সাইটেড করে দিচ্ছে বলে বুঝাতে পারবো না।।। আমি সত্যি অনেক অনেক খুশি ।। (সাইটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করলো ইশান)
Time Skip
– স্যার খবর পেয়েছি ।
জহির – হম বলো কি খবর।।
– স্যার মেয়েটা একজন ডাক্তার। (…….) শোহরে থাকে।। একটা ছোট মেয়ে আছে।
জহির – কি একটা বিবাহিত মেয়ের সাথে সম্পর্ক??
– স্যার মেয়েটার হাসবেন্ড নাই। মারা গেছে।।। ওর মেয়েটার হাসবেন্ড এর নাম শুনলে আপনি অবাক হবেন।।
জহির – কেনো??
– স্যার মেয়েটার হাসবেন্ড এর নাম অভি।।
জহির চমকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বললো – কি তুমি ঠিক বলছো??
– জি স্যার।। স্যার জনির সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক । জনি আমি জিজ্ঞেস করতে ও আমাকে অনেক কথা বলেছে।।। আর আমি কিছু খোঁজ লাগিয়েছি।।। জনি জানে না আমি আপনার হয়ে কাজ করি । কিন্তু আমিতো জানি জনি ইশান স্যারের হয়ে কাজ করে ।। তাই ও আমাকে বিশ্বাস করে কিছু কথা বলেছে ।। ৭ বছর আগে নাকি মেয়েটার সাথে ইশান স্যারের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটার ঘরে যেই মেয়েটা এসে সেটা নাকি ইশান স্যারের।।
জহির – মেয়ে ট এখন কোথায়??
– জনিকে ফোন করেছিলাম বললো আজ ইশান স্যারের জন্মদিন তাই ওই মেয়ে নাম টা,,,,, ইমা।। তাকে নিয়ে ইশান স্যারের বাড়িতে গিয়াছে। তারা নাকি সারপ্রাইজ দিবে ইশান স্যার কে।।।
জহির হা হা করে হেসে উটলো।।।
জহির – সারপ্রাইজ,,,, আজ কে সারপ্রাইজ হয় তাই দেখো আমার ফোনটা দাও ।।
ছেলেটা জহিরের হাতে ফোন ট দিল।।।
জহির করিম কে কল করলো ।
করিম – hello স্যার ।।
জহির – খুব ব্যাস্ত নাকি!!!
করিম – একটু স্যার আজ ইশান স্যার এর জন্মদিন তাই ,,,,,,,
জহির – হম আমিও তো জনি।। তোমাকে এখন একটা কাজ করতে বলবো করতে পারবে??
করিম – অবশ্যয় স্যার।। বলুন কি করবো??
জহির – একটু পর একজন যাবে ওই বাসায়। তোমাকে একটা কাগজের খাম দিব ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, (জহির চৌধুরী করিম কে সব বুঝিয়ে বললো কি করতে হবে।)
Korim- ok স্যার আমি করবো।।
জহির – দাড়াও শেষ হয়নি।।। তুমি কোনো ভাবে মেয়েটাকে ওই রুমে পাঠাবে।। সেটা ইশান বাড়িতে ঢুকার আগে ।
করিম – ok স্যার ।। কিন্তু,,,,,,,
জহির – কোনো কিন্তু না যেটা বললাম সেটা করবে। (একটু গম্ভীর সুরে)
করিম – ok স্যার।।।
জহির কল কেটে দিয়ে একটা বাকা হাসি দিল।।।
তারপর যেমন কথা তেমন কাজ।। একজন লোক আসল করিম গিয়ে তার কাছ থেকে সেই খাম নিল। এবং জহিরের কথা মতো সেই কাজ করলো।।
করিম খুব চিন্তায় পড়ল কেনো জহির তাকে এই কাজটা করতে বললো। আর ইমার ওই রুমে যাওয়ার সাথে কি সম্পর্ক।।। করিম চমকে উটলো একটা কথা মনে করে।।
করিম – আচ্ছা এই বাড়িতে মেয়ে এসেছে এইটা বড় স্যার জানলো কি করে ?? আমি তো বলিনি । কোনো খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে নাতো আবার?? (চিন্তিত সুরে)
Time Skip
ইমা- উফফফ কাজ শেষ।। (হেসে)
জনি – ম্যাডাম আমি রোকসানা কে বলেছি ইসমাকে নিয়ে ২০ মিনিট পর আসতে ।।
ইমা – ভালো করেছো।।।
জনি ঘড়ির দিকে তাকিইয়ে বললো – ম্যাডাম আর সময় দিতে পারবো না । স্যারের ফ্লাইট আর আর ১ ঘণ্টা পর ল্যান্ড করবে । এখন যেতে হবে ।
ইমা – ok যাও।।। আমরা এখানে ওয়েট করবো।
জনি – ok ম্যাডাম।। (জনি চলে গেল)
ইমা হাতের দিকে তাকালো দেখে নোংরা ভরে আছে।। এমন সময় করিম আসলো।।
করিম – হাত ধুবেন ম্যাডাম??
ইমা – হম নোংরা ভরেছে ।
করিম – আসুন ম্যাডাম।।। (করিম ইমা কে ইশান এর রুমে নিয়ে আসলো ।) এইটা ইশান স্যারের রুম। ভিতরে ওয়াস রুম আছে।।
ইমা – ok thank you।।
ইমা ইশান এর রুমে ঢুকলো । ইমা অবাক হয়ে রুমটা দেখছিল।। বিশাল বড় রুম আর খুব সুন্দর সাজানো গোছানো । দেওয়ালে ইশান এর বড় একটা ছবি ।। ইমা মুচকি হেসে ছবিতে হাত দিতে যাবে এমন সময় মনে পড়লো তার হাতে নোংরা লেগে আছে।।।
ইমা ঈশানের ছবির দিকে তাকিয়ে বললো – আমি এখনি আসছি সোনা দাড়াও হাত টা ধুয়ে আসি।।। (হেসে)
ইমা ওয়াস রুমে এসে হাত পরিষ্কার করতে করতে চার পাশটা দেখলো।।
ইমা – ভালই।। ইশান খুব সৌখিন ।।। (হেসে)
ইমা হাত ধুয়ে বের হয়ে বিছানায় বসলো এবং ইশান এর ছবির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।।।
ইমা – আমি কতো ভুল ছিলাম ইশান সেটা বুঝতে পারলাম।।।
হঠাৎ ইমার চোখে বেড টেবিলের উপর রাখা একটা কাগজের উপর পড়ল । ইমা কাছে এসে দেখে একটা ছবি উল্টা করে রাখা উপরে লাল কালি দিয়ে লিখা finish।। ইমার একটু অবাক হয়।। এবং কৌতুহল নিয়ে ছবিটা উল্টায় ।। ইমা ছবি দেখে আতকে উঠে। । ইমা তারা তারি ছবি হাতে নেই এবং কাছে থেকে দেখে।।
ইমা – এটা হতে পারে না ।।( কান্না করে দিলো)
ইমা ইশানের ছবির দিকে রাগান্বিত চোখে তাকাল । তারপর ছবি টেবিলের উপর রেখে দ্রুত রুম থেকে বের হলো।।
করিম বাইরে দাড়িয়ে ছিল । ইমা করিম এর দিকে তাকালো না হন হন করে নিচে নেমে গেলো। করিম ইমার চোখে পানি দেখে অবাক হয়ে গেলো । ইমা ঈশানের বাড়ি থেকে বের হয়ে রোকসানা কে কল করলো এবং বলল –
ইমা – রোকসানা ইসমা কে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হইওনা ।। আমি এখনি আসছি।।।
বলে ইমা ফোন কেটে দিলো।। এবং চোখ মুছে দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো।।।।
,,,,,,,,,,, Continue,,,,,,,,,,,,,,,