I’m Mafia lover পর্ব -২৫+২৬

#i_m_mafia_lover
#part_25
#sabiha_kh
ইমা চলে গেলো ইসান ইসমাকে কোলে নিয়ে উপরে গেলো। এবং ইসমাকে ইসমার রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো।।

ইমা- thank you..

ইসান- welcome.. ওকে রাত হয়েছে।। আমি আসি।।

ইমা- ওকে বাই।।।

ইসান- বাই।। (ইসান চলে গেলো)




ইমা নিজের রুমে গিয়ে ঠাস করে বিছানায় বসে পরে।। এবং মাইকি, মেরান, ইসানের বলা কথা কথা মনে হতে লাগলো।।
( মাইকি- ৬ বছর আগে ইসান স্যার এখানে এসে প্রায় দুই বছর ছিলো।। স্যার প্রতি রাতে নেশা করতো এবং আপনার নাম জবতো।। আর বাচ্চাদের মতো কেঁদেই যেত।।
মেরান-৬ বছর আগে যেই ঘটনা টা ঘটেছে ইসানের সাথে সেটা এবার তোমার সাথে ঘটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হলো না।। কারণ ইসান তোমাকে খুব বেশিই বিশ্বাস করে তাই আমার প্ল্যানে পানি পরে গেছে।।
ইসান উঠে এসে মেরানের মুখে দুই তিনটা ঘুসি মেরে চিল্লায় বললো – আমি ইমাকে কখনো অবিশ্বাস করিনি। ৬ বছর পরেও অবিশ্বাস করবো এটা তুই ভাবলি কি করে??
ইসান নিজের দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে কান্না করতে লাগে এবং জোরে জোরে বলে- ইমা আমাকে বুঝেনি।। ও বুঝেনি আমাকে।। আমার ভালোবাসা ও বুঝেনি।।
ইসান- সময়ের সাথে কিছু জিনিস বদলেছে ঠিকি কিন্তু আমার ভালোবাসা বদলায়নি ইমা।।তুমি জানো আমি আজো এমন একা কেন?? আমি একা কারণ আমি তোমাকে ছাড়া আমার জীবনে অন্য কনো মেয়েকে কখনো ভাবতেই পারিনি।। আমি এই ৬/৭ টা বছর তোমার আমার জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সৃতি গুলো আকরে ধরে পথ চলছি।।এই যে এখন যেমন তুৃৃমি আমার পাশে বসে আছো!! ঠিক তেমনি ৬ / ৭ বছর তুমি আমার পাশে বসে আছো এমনটা অনুভব করেছি সবসময়।।। আমি ইমার জন্য পাগল তার ভালোবাসার জন্য পাগল।। আর আমার এই পাগলামি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এমনি থাকবে।।।)

ইমা নিজের আবেগ কে আর আটকে রাখতে পারলো না। দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগে।।।

সময় পার হতে লাগে।। ইমা ইসানের প্রতি আবার দুর্বল হয়ে পরে তবে সেটা ইসানকে বুঝতে দেয় না।। ইসান ও নরমাল ভাবে ইমার সাথে থাকে এবং বন্ধু সুলভ আচারণ করে।।। ইসান ভাবে সে ইমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে তার মনের কথা যদি ইমা তাকে সত্যি বুঝতে পারে তাহলে ইমা নিজেই তার কাছে আসবে।।।

তিন মাস পর,,,,,,,

ইসান অফিসে বসে নতুন প্রজেক্টের কাগজ পত্র দেখে শেষ করে তার সেক্রেটারিকে ডেকে বলে-

ইসান- এইটা বড় স্যারকে দিয়ে দিবেন বলবেন আমি সব দেখে দিয়েছি।।

– ওকে স্যার।।।( ফাইল নিয়ে চলে গেলো।।)

ইসান শরীর আরিমুরি দিতেই ঘড়ির দিকে চোখ যাই দেখে বিকাল ৫ টা বাজে।।।

ইসান- ৫ টা বেজে গেছে!!! (বড় বড় চোখ করে)ইমা একটুপরই হসপিটাল থেকে বের হবে।। ওকে একটা ফোন করি।।। (মুচকি হেসে)

ইসান পকেট থেকে ফোন বের করে ইমাকে কল করে কিন্তু ইমা কল রিসিভ করেনা।।

ইসান- ব্যাপার টা কি!! ইমা তো আমার ফোন না ধরা হয় না!!! (কপাল কুচকে)
ইসান আবার ইমাকে কল করলো এবারো ইমা কল ধরে না।। ইসান রীতিমতো টেনশনে পরে যাই। ইসান আর দেরি না করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।৷ ইসান সোজা হসপিটালে যাই এবং ইমার কলিক দের জিজ্ঞেস করে তারা বলে ইমা আজ আগে বের হয়ে গেছে।।। ইসান হসপিটাল থেকে বের হয়ে ইমাকে আবার কল করে দেখে ফোন বন্ধ ।। ইসান এবার ভয় পেতে লাগে।। ইসান ইমার বাড়ির ফোনে কল করে রোকসানা কল ধরলে ইসান রোকসানাকে জিজ্ঞেস করে ইমা এসেছে কিনা!!! রোকসানা বলে ইমা এখনো বাসায় আসেনি।। ইসান ফোন কেটে দেয়। এবং আকাশ জনিকে কল করে বিষয় টা বলে এবং ইমাকে খুজে বের হতে বলে।। আকাশ জনি দেরি না করে বেড়িয়ে পরে।।। ইসান ও গাড়ি নিয়ে ইমাকে খুজতে লাগে। এখানে সেখানে সব জাগায় খুজে কিন্তু কোথাও পাই না।। রাত হয় এলো।। ইসান উত্তেজিত হয়ে যাই ইমার জন্য।। ইমা কোথায় যেতে পারে ইসান বসে সেটাই ভাবে।। এমন সময় ইসানের ফোন কল আসে।। ইসান ফোন হাতে নিয়ে দেখে ইমা কল করেছে।।। ইসান তারাতারি ফোন রিসিভ করে কানে ধরে উত্তেজিত সুরে বলে-

ইসান- ইমা তুমি কোথায়???

ইমা- তুমি একটু আসতে পারবে?? (আবেগি সুরে)

ইসান- হ্যা হ্যা বলো কথায় আসবো তুমি কোথায় আছো??

ইমা- সেই জাগায় যেখানে তুমি আমাকে জন্মদিনে উইস করে ছিলে৷

ইসান- ওকে ওকে আমি আসছি।।।

ইসান ফোন কেটে দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সেই জাগায় গেলো।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে দ্রুত হেটে সামনে আসতেই দেখে ইমা সেই জাগায় বসে আছে।।। ইসান ইমা বলে ডাক দিতেই ইমা পিছনে ঘুরে তাকায় এবং উঠে দাড়ায়। ইসান ইমার কাছে এসে উত্তেজিত সুরে বলে-

ইসান- কি হয়েছে তুমি এখানে কেন?? তুমি জানো আমি তোমাকে কতো জাগায় খুজেছি?? এক মুহুর্তের জন্য ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।।।

বলতেই ইমা ইসানকে ঝাপটে জোরিয়ে ধরে কাদতে লাগে।। ইসান একদম স্তম্ভিত হয়ে যাই।।।

ইসান ধীর সুরে বললো- এভাবে কাদছো কেন ইমা??

ইমা- আমি হেরে গিয়েছি।৷ আমি পারলাম না নিজের মাথা থেকে মিথ্যা অপবাদ সরাতে।।

ইসান ইমার কথা শুনে একটু অবাক হয়। ইসান ইমার দুই হাতের বাজু ধরে ব্রেঞ্চে বসালো এবং নিজেও বসলো।।

ইসান- কি হয়েছে আমাকে খুলে বলো।।

ইমা- অভির কেস পুলিশ বন্ধ করে দিবে। (কান্না করে)

ইসান- কেন??

ইমা- তারা এই ৭/৮ মাস ধরে এই কেসের কনো দিক খুজে পাইনি কনো প্রুভ খুজে পায়নি।। তাই তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে।।। এখন আমি কি করবো বলো। আমার কিছু তো করার নেই।।। আমি আমার শশুরের কথা ফিরিয়ে দিতে পারলাম না।। আমি কখনো তার সামনে আর দাড়াতে পারবো না।। (বলে মাথা নিচু করে কাদতে থাকে)

ইসান ইমার পিঠে আসতে আসতে থপথপিয়ে শান্তনা দিলো এবং বললো- সব ঠিক হয়ে যাবে ইমা।।। শান্ত হও।।

ঘন্টা খানিক পর,,,,,

ইসান- রাত হয়ে যাচ্ছে চলো বাড়িতে চলো।।। (ইমার দিকে তাকিয়ে)

ইমা কনো কথা বললো না উঠে ইসানের সাথে গিয়ে গাড়িতে বসলো।।। সারা রাস্তা ইমা একটা কথা ও বললো না।। ইসানও কিছু বললো না।।। তারা চলে আসলো বাড়িতে। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা ঘুমিয়ে পরেছে।। ইসান গাড়ির সিটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে ইমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- অনেক হয়েছে।।। এবার আমারি কিছু করতে হবে।। ইমাকে এভাবে কষ্টে আর দেখতে পারবো না।।।

এমন সময় ইমার ঘুম ভেঙে যাই।। ইসান ইমাকে নরতে দেখে সোজা হয়ে বসে। ইমা মাথা ঘুরিয়ে ইসানের দিকে তাকায়।।

ইসান- বাড়িতে চলে এসেছি।৷

ইমা মাথা ঝুকিয়ে ধীর সুরে বললো- thank you…
বলে গাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে আসতে হাটতে হাটতে চলে গেলো।।।।

Time skip

পরের দিন,,,,,,

ইসান গত কাল সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি।।।শুধু তার চোখের সামনে ইমা কান্না ভড়া চেহারা ভেসে উঠেছিলো।। ইমা ঠিক আছে কিনা,দেখতে ইসান আজ একটু সকাল সকাল ইমার বাসায় চলে যাই।।। ইসান দরজায় কলিং বেল বাজালে রোকসানা দরজা খুলে দেয়।।।

রোকসানা- আসুন স্যার!!! (ইসান ভিতরে গেলো)

ইসান- ইমা কথায়???

রোকসানা- ম্যাডাম ড্রইং রুমে বসে আছে।।

ইসান ড্রইং রুমে যাই দেখে ইমা সোফার উপর বসে আনমনে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কিছু ভাবছে।

ইসান- ইমা!!! (ইমা ঘুরে ইসানের দিকে তাকালো)

ইমা- ইসান!!! আ,,,, আসো,,,,, বসো।। (ইসান বসলো)

ইসান- ঠিকাছো??

ইমা- হমম।। তুমি এতো সকালে সব ঠিক আছে তো??

ইসান- হ্যা।। আসলে,,,,

বলতেই ইমার ফোন বেজে উঠে।। ইমা ফোন হাতে নেই দেখে রুহি কল করেছে।।

ইসান- কে ইমা??

ইমা- রুহি। (বলে ফোন রিসিব করে কানে ধরে) হ্যালো!!!

রুহি- কেমন আছো ইমা??

ইমা- ভালো তুমি??

রুহি- খুব ভালো আছি।। তুমি তো আমাকে ভুলেই গেছো।।

ইমা- আরে না।। তো বলো কি খবর!!

রুহি- খবর হলো সামনের বৃহস্পতিবার আমার বিয়ে।।

ইমা- কি?? সত্যি বলছো?? (আনন্দিত সুরে)

রুহি- হমম হমম।। শুনো আমার বিয়েতে আমি তোমাকে দেখতে চায়।। কাজের বাহানা দিলে মানবো না।।

ইমা- আরে না আমি অবশ্যই আসবো।।। (হেসে)

রুহি- ইসান স্যারকেও বলতে চায়।। কিনৃতু নাম্বার নেই আমার কাছে৷ তোমার কাছে ইসান স্যারের নাম্বার আছে??

ইমা- আছে কিন্তু ইসান এখন আমার সামনে বসে আছে।। নাও কথা বলো।।

ইমা ইসানের দিকে ফোন ধরলো।। ইসান ইমার হাত থেকে ফোন নিয়ে কানে ধরে।

ইসান- হাই রুহি।।

রুহি- হ্যালো স্যার।।

ইসান- কেমন আছো??

রুহি- জি ভালো স্যার। সমানের বৃহস্পতিবার আমার বিয়ে।।

ইসান- ও,,, congratulations.. ( হেসে)

রুহি- thank you স্যার।। স্যার বিয়েতে আসতে হবে আপনাকে।

ইসান- অবশ্যই যাবো।।। (হেসে)

রুহি- thank you so much স্যার।।।

ইসান- ওকে নাও ইমার সাথে কথা বলো।। (বলে ইমার হাতে ফোন দিলো)

ইমা- তোমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন রুহি।।

রুহি- thank you.. শুনো ২ দিন আছে হাতে।। তুমি আজকেই রাতের বাসেই চলে আসো। বিয়ের মার্কেট আমি তোমার সাথে গিয়ে করবো।।

ইমা- আজকে,,,,,,,,,( একটু সংকোচ নিয়ে)

রুহি- হম চলে আসো।। হসপিটাল থেকে ছুটি নাও। তারপর রাতের গাড়ি ধরে চলে আসো।। আমি অপেক্ষা করবো৷

ইমা- ওকে, ওকে আমি দেখছি।। এখন রাখি।। বাই।।

রুহি- বাই।।।

ইসান- কি বলছে??

ইমা- আজ রাতের গাড়ি ধরে যেতে বলছে।। বিয়ের মার্কেট করবে আমাকে সাথে নিয়ে।।

ইসান- হম ভালোতো যাও।। (মুচকি হেসে)

ইমা- কিন্তু!!!

ইসান- কনো কিন্তু না হসপিটাল থেকে ছুটি নিয়ে আজি চলে যাও।। আর হমম বাসে যাওয়ার দরকার নেই জনি আছে জনি গাড়ি করে নিয়ে যাবে তোমাদের।।।

ইমা- কিন্তু,,, (কপাল কুচকে)

ইসান- ওহ্ ইমা এতো কিন্তু কিন্তু করো নাতো৷ (একটু রেগে) যা বললাম তাই করবে। এখন উঠছি তুমি তারাতারি তোমার হাতের কাজ শেষ করে রেডি থেকো জনিকে আমি পাঠিয়ে দিবো।। +মুচকি হেসে)

ইমা মুচকি হেসে- ওকে

ইসান- that’s like a good girl… এভাবেই হাসবে সব সময় আমার ভালো লাগবে।। বাই।। (বলে ইসান চলে গেলো)

ইমা উঠতে গেলে রোকসানা আসে।।

ইমা- কিছু বলবে??..

রোকসানা ইমার হাত ধরে বসায় এবং নিজেও বসে।।

রোকসানা- ম্যাডাম ছোট মুখে বড় কথা।। ইসান স্যার সত্যি অন্য রকম একজন মানুষ৷ আপনারা এক সময় দুইজন দুইজনাকে ভালোবাসতেন।। জানিনা কেন আলাদা হয়ে গেছেন। তবে স্যার আপনাকে এখনো ভালোবাসে। সেটা স্যারের চোখ দেখে বুঝা যাই।। আপনার প্রতি স্যারের এতো কেয়ারনেস আপনাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যাওয়া সত্যি অন্যরকম।। আমি কখনো এমন ভালোবাসা দেখিনি।।

ইমা কিছুই বললো না মাথা নিচু করে রেকসাবার কথা গুলো শুধু শুনলো।

Time skip

রাত ৮ টা,,,,

জনি চলে আসে গাড়ি নিয়ে।।। ইমা ইসমা রোকসানা গাড়িতে উঠে বসলো।।

ইমা- জনি,,, ইসানের ফোন বন্ধ কেন???

জনি- ম্যাডাম স্যার আসলে একটা মিটিং এ আছে।। হয়তো এই জন্য বন্ধ।।

ইমা- ও আচ্ছা।।।(জনি গাড়ি স্টার্ট দিলো।।।)

রাত ৯ টা,,,,,

ইসান মিটিং থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠে বসে। এবং ফোন অন কোরে ইমাকে কল করে।।।

ইসান- হাই ইমা,,

ইমা- হাই।। মিটিং শেষ হলো।।

ইসান- হমম মাত্র।। তোমরা ঠিকাছো সবাই।।

ইমা- হমম।।

ইসান- ওকে সাবধানে যেও। আর হ্যা আমি বিয়ের দিনে পৌঁছে যাবো।।

ইমা- একদিন আগেই আসতে!!

ইসান- আ,, আসলে একটা কাজ আছে সেড়ে তারপর যাবো।।।

ইমা- ওকে।। বাই।।

ইসান- বাই।। পৌঁছে একটা কল করো।

ইমা- ওকে।।

ইসান ফোন কেটে দিলো।। এবং গভীর একটা শ্বাস ছেড়ে আকাশকে বললো-

ইসান- আকাশ কাল সকাল সকাল মেহের পুরের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। গাড়ি তৈরি রেখো।।

আকাশ- ওকে স্যার আমি সব ব্যাবস্থা করে রাখবো।।।

Time skip

পরের দিন সাকলে,,,,

ইসান রেডি হয়ে রুম থেকে বের হলো।। ইসান করিমের দিকে তাকিয়ে বললো-

ইসান- আমি বেশ কয়েক দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি মিঃ করিম।।

করিম- ওকে স্যার।।। (ইসান গাড়িতে উঠে বসে এবং আকাশকে যেতে বলে)

আকাশ ইসানকে নিয়ে রওনা দিলো মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে।

এদিকে ইমা জনিকে সরাসরি রুহির বাড়িতে যেতে বলে।।। জনি রুহির বাড়িতে নিয়ে আসে।। ইমা রোকসানা ইসমা জনি সবাই দেখে বিয়ের বাড়ির বেশ তোরজোর চলছে।।। ইমা ইসমাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামলে কেও গিয়ে রুহিকে খবর দিয়ে আসে। তার বান্ধবী এসেছে।। রুহি দৌড়ে বাইরে আসে দেখে ইমা ইসমাকে নিয়ে আসছে।। রুহি দৌড়ে গিয়ে ইমাকে জোরিয়ে ধরে।।

রুহি- ওহ্ ইমা তোমাকে খুব মিস করেছি।। (হেসে)

ইমা- আমিও।। ( হেসে)

রুহি ইসমার দিকে তাকিয়ে বলে- ইসমা!!! কেমন আছো?? তুমি তো বড়ই হয়ে গেছো মামুনি।। (ইসমা মিষ্টি একটা হাসি দিলো)

এমন সময় ইমার ফোনে কল আসে। ইমা দেখে ইসান কল করেছে।।। ইমা ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।

ইমা- হমম বলো ইসান।।

ইসনা- পৌঁছে গেছো??

ইমা- হম। মাত্র আসলাম।।

ইসান- ওকে রেস্ট নাও।। বাই।

ইমা- বাই।।( বলে কল কেটে দিলো)

রুহি- কে ইসান স্যার??( একটু অবাক হয়ে)

ইমা- হমম।।( মুচকি হেসে)

রুহি- ওকে ওকে চলো চলো ভিতরে চলো। (রুহি তাদের ভিতরে নিয়ে গেলো

Time skip

প্রাই পাচ ঘন্টার পথ পারি দিয়ে আকাশ ইসান চলে আসে মেহের পুর।। আকাশের ফোনে কল আসলে আকাশ গাড়ি থেকে বের হয়ে একটু দুরে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলে।। আর ইসান বসে ফোনে ইসমার birthday তে তুলা ছবি গুলো দেখছে।।আকাশের ফোনে কথা বলা শেষ হলে আকাশ গাড়িতে উঠে এসে বসে এবং বলে-

আকাশ- স্যার পেয়ে গেছি ইমা ম্যাডামের শশুর বাড়ির খোজ।।।।।

ইসান- গুড চলো এখন।।। আকাশ গাড়ি টান দিয়ে চলে গেলো।।

প্রায় দের ঘন্টা পথ পারিয়ে দিয়ে তারা চলে আসে অভির বাড়িতে।।।

ইসান- আকাশ গাড়ি একটু দুরে দাড়া করাও।।

আকাশ- কেন স্যার কনো সমস্যা হয়েছে??

ইসান- না আজ কথা বলবো না৷ কথা বলবো কালকে৷ আজ দেখে যাই লোকটাকে।। আকাশ ইসানের কথা মতো একটু দুরে গাড়ি থামালো। প্রায় ১ ঘন্টা বসে থাকার পর কেও দরজা খুলে৷।। ইসান আকাশ দেখে একজন বয়স্ক লোক ভিতর থেকে বের হচ্ছে।।

ইসাব- এটাই মনে হয় অভির বাবা।।

আকাশ- জি।। অভির সাথে চেহারা মিল আছে।৷

ইসান- ওকে আকাশ গাড়ি ঘুরাও ভালো একটা হটেলে চলো৷ কাল আসবো এখানে৷৷

আকাশ- ওকে স্যার। (বলে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে গেলো।৷)
#i_m_mafia_lover
#part_26
#sabiha_kh

ইসান- আকাশ গাড়ি ঘুরাও ভালো একটা হটেলে চলো৷ কাল আসবো এখানে৷৷

আকাশ- ওকে স্যার। (বলে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে গেলো।৷)




পরের দিন সকালে,,,,

ইসান অভির বাবার সাথে দেখা করতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।।। এমন সময় ইমা কল করে।।। ইসান ফোন রিসিভ করে লাউডে দেয় এবং রেডি হতে থাকে।।

ইসান- বলো ইমা।

ইমা- আজ তো রুহির বিয়ে কখন আসবে???

ইসান- কাজ সেরে বিকালের মধ্যে চলে আসবো।। তুমি কি করছো??

ইমা- রোকসানা আমি মিলে বাসাটা পরিস্কার করলাম। অনেক দিন বন্ধ ছিলো ধুলায় একদম স্তুপ পরে গিয়েছিলো।।

ইসান- হম।।। ইসমা কি করে?? আমার কথা বলেনা??

ইমা- বলে না আবার।। গত কাল হাজারো প্রশ্ন বন্ধু কখন আসবে?? বিয়েতে আসবে না!!! আরো কত কথা।।।।

ইসান মুচকি হেসে বললো- ইাসমাকে বলো আমি তারাতারি কাজ শেষ করে চলে আসবো।। ওকে এখন বের হতে হবে বাই।।

ইমা- বাই।।।

ইসান ফোন কেটে দিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো- ইসমা আজ আমি তোমার দাদু কে সাথে করে তোমার কাছে নিয়ে আসবো ।।

ইসান চলে গেলো অভির বাড়ির উদ্দেশ্যে।।

ঘন্টা খানিক পর,,,,,

ইসান আকাশ অভির বাড়িতে পৌঁছে দেখে দরজায় তালা দেওয়া।।।

আকাশ- স্যার এখন কি করবো??

ইসান- আশে পাশে লোকজন কে জিজ্ঞেস করে আসো দেখো কি বলে।। ওরা তো প্রতিবেশী কিছুতো বলতে পারবেই।।

আকাশ চলে গেলো।।। ইসান গিয়ে গাড়িতে বসলো।।। কয়েক মিনিট পর আকাশ এসে গাড়িতে উঠে বসে।। এবং বলে-

আকাশ- স্যার উনি প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল সকাল বের হয়। এবং হাঁটতে হাঁটতে গোরস্থানে যায়। উনার বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলের কবর জিয়ারত করে এবং সেখানে কিছুখন সময় থাকে।।।।

ইসান ঘড়ির দিকে তাকালো দেখে ১২ টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি।।

ইসান- হাতে তো সময়ও কম।। বিয়েতে এ্যাটেন্ড করতে হবে।।। এক কাজ করো গাড়ি ঘুরাও চলো আমরা গোরস্থানে যাই।।

আকাশ ইসানের কথা মতো গাড়ি ঘুরিয়ে গোরস্থানে চলে গেলো।।।

Time skip

ইমা ইসমা, রোকসানা জনি বিয়ের বাড়িতে চলে আসে।।

ইমা- রোকসানা আমি তো ব্যাস্ত হয়ে যাবো তুমি ইসমার খেয়াল রেখো।।

জনি- ম্যাডাম চিন্তা করবেন না। আমরা দুইজন ইসমার খেয়াল রাখবো।।। (ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে মুচকি হেসে বললো)

এমন সময় রুহি আসে।।

রুহি- উফফ ইমা আসলে তাহলে যানো আমার কতো টেনশন হচ্ছে।।
রুহি ইসমার দিকে তাকায় এবং খুশি হয়ে বলে- ইসমা তোমাকে একদম পরির মতো লাগছে মামুনি।।

ইসমা- thank you আন্টি।।। (হেসে)

ইমা- ইসমা তুমি রোকসানা আন্টি জনি আংকেল এর সাথে থাকো আমি রুহি আন্টির সাথে যাই।। রুহি আন্টিকে বৌ সাজাতে হবে।।

ইসমা- ঠিকাছে আম্মু৷৷ কিন্তু এখনো বন্ধু আসছে না কেন??? আজো কি তাহলে আসবে না!!

রুহি- বন্ধু কে?? (একটু অবাক হয়ে)

ইমা- ইসানের কথা বলছে৷৷

রুহি ইসমার সামনে বসে বললো- বন্ধু কে খুব ভালোবাসো??

ইসমা- হমম বন্ধু খুব ভালো।৷ আমাকে খুব আদর করে।।। একদম বাবার মতো করে ভালোবাসে।।( আনন্দিত সুরে)

ইমা- হয়েছে হয়েছে।। রুহি চলো এখন।।
রুহি ইসমার গালে চুমু দিয়ো বললো- যাও খেলা করো মামুনি।।

ইসমা রোকসানার হাত ধরে রোকসানা জনির সাথে চলে গেলো।

Time skip

আকাশ- স্যার ওই যে অভির বাবা যাচ্ছে।।

ইসান- উনার সামনে গিয়ে গাড়ি থামাও।
আকাশ ইসানের কথা মতো অভির বাবা রশিদ হোসেন এর সামনে গাড়ি দাড়া করালো।। রশিদ হোসেন একটু ভয় পেয়ে যাই।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে রশিদ হোসেন কে সালাম দেয়।। রশিদ হোসেন সালামের জবাব নিয়ে জিজ্ঞেস করে-

রশিদ- কে তুমি বাবা??

ইসান- আংকেল আমি আপনার ছেলের কলিক।। আমরা এক সাথে চাকরি করতাম।।

রশিদ- ও আচ্ছা।। তো কিছু বলবে??

ইসান- জি বলতাম তো।। কিন্তু এখানে না।। আপনার বাসায় বসে কথা বলা যাবে??

রশিদ- হমম অবশ্যই।।

ইসান- ঠিকাছে তাহলে গাড়িতে উঠুন এক সাথে যাই।

রশিদ- আচ্ছা।। (রশিদ ইসানের সাথে চলে গেলো তার বাড়ি)

Time skip

ইমা- রুহি তোমাকে বৌ এর সাজে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।।।( মুচকি হেসে)

রুহি- thank you. ইমা তোমাকে কিছু বলতে চায়।।

ইমা- হমম বলো।।

রুহি- আমার সামনে এসো।।
বলে রুহি ইমার হাত ধরে সামনে এনে বসালো এবং হাতের উপর হাত রেখে বললো-

রুহি- ইমা আমি জানিনা আসলেই তুমি আর ইসান স্যার কনো দিন বন্ধু ছিলে কিনা!!

ইমা- হঠাৎ এই কথা??

রুহি- এই কথা বললাম কারণ আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি। সেটা হলো ইসান স্যার তোমাকে বন্ধুর চোখে দেখে না।। সেই প্রথম থেকেই বিষয়টা আমি খেয়াল করেছি।।।

ইমা- আমি ওর বন্ধু কখনো ছিলাম না।। (ধীর সুরে মাথা নিচু করে বললো)

রুহি- মানে?? (একটু অবাক হয়ে)

ইমা- মানে ৭ বছর আগে আমি আর ইসান দুইজন দুইজনকে ভালোবাসতাম৷। একটা ঘটনার কারণে আমরা আলাদা হয়ে গেছি।। আজ এতো বছর পর জানতে পেরেছি যেই ঘটনাটা ঘটেছিলো সেটা কারো প্ল্যান ছিলো।। যাই হোক অনেক বড় ইতিহাস এখন বলে শেষ হবে না।।

রুহি- ঠিকাছে এখন শুনবো না তবে একটা কথা বলবো!! সেটা হলো ইসান স্যার তোমাকে ভালোবাসে সেটা স্যারের কথায় চোখে মুখে ফুটে উঠে।। ইমা আমি তোমার ৩ বছর পুরানো বন্ধু।। আমি বলবো তুমি জীবনটাকে আরেকটা সুযোগ দাও।। আর ইসমাও তো ইসান স্যারকে কতো ভালোবাসে।। বাবার মতো দেখে।। ওর চোখ মুখে একটা অন্য রকম হাসি দেখেছি যখন ইসমা ইসান স্যারের কথা বলছিলো।।। ইমা একটা জিনিস ভাবো এতো বছর কেটে গেছে এখনো স্যার তোমার প্রতি কতোটা দুর্বল। তোমার জন্য তার মনে এতো জায়গা।। একটু ভেবে দেখো। উনি তোমাকে অনেক ভালোবাসে।।

বলতেই এমন সময় রুহির আত্মীয় স্বজনরা রুহিকে বৌ এর সাজে দেখতে ভিতরে আসে।। ইমা সেখান থেকে আসতে করে বের হয়ে বারান্দায় দাড়ায়।। এবং রুহির বলা কথা গুলো ভাবে।। কিছুখন পর,,ইমা ব্যাগ থেকে ফোন বের করে ইসানকে কল করে।।।

এদিকে ইসান রশিদ হোসেনের সাথে তার বাড়িতে আসে। এমন সময় ইসানের ফোনে কল আসে ইসান ফোন পকেট থেকে বের করে দেখে ইমা।। ইসান ফোন না ধরে কেটে দেয়।।। এদিকে ইমা ইসানের ফোন কেটে দেওয়াতে নিজের কপালে আসতে মেরে বললো-

ইমা- উফফ কি করলাম কল কেন করতে গেলাম ও তো বলেছে কাজ শেষ করে আসবে।।।

ইমা নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো- রুহি হয়তো ঠিকি বলেছে।। ইসান আমাকে আজো অনেক ভালোবাসে।। যদি ভালো নাই বাসতো তাহলে এগুলো করতো আমার জন্য!!! সত্যি ইসান ঠিকি বলছে আমি ওকে সত্যিই বুঝিনি।।।

এদিকে ইসান আকাশ রশিদ হোসেনের বাসায় ঢুকলো।।

রশিদ- আসো বাবা আসলে একা থাকিতো তাই ঘর বাড়ি এতো গোছিয়ে রাখতে পারিনা।।।

ইসান- না ঠিকাছে।।। (রশিদ ইসান, আকাশ কে বসতে বলে তাদের জন্য পানি আনতে গেলো।।।)

ইসান আকাশ রুমের চার পাশ চোখ ঘুরিয়ে দেখছে।।। রশিদ পানি নিয়ে আসে।।

রশিদ- এই নাও বাবা তোমরা পানি খাও।। (পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো)

ইসান আকাশ পানি নিয়ে পানি পান করলো।।

রশিদ- আমার ছেলে পড়াশোনাই খুব ভালো ছিলো।। সবসময় স্কুল কলেজে ফাস্ট হতো।।অভি সব সময় বলতো আমি একদিন বড় একটা ব্যাংকের ম্যানেজার হবো তুমি দেখে নিয়ো বাবা।।। আমার ছেলে তাই করে দেখালো। কিন্তু আমার কপালটা এতো খারাপ এতো কম বয়সে আমার ছেলেটা পৃথিবী ছেরে চলে গেছে।। যাই হোক বলো বাবা কি বলতে চাও।।।

ইসান রশিদের দিকে ব্যাংকের চেক এগিয়ে দিয়ে বললো-

ইসান- এটা রাখুন আংকেল। আমি অনেক আগে আপনার ছেলের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলাম।।

রশিদ- এতো টাকা আমার ছেলে কথা থেকে পেলো??( একটু বিস্মিত হয়ে)

ইসান একটু আমতা আমতা করতে লাগে।। তারপর বলে-

ইসান- আসলে ও আমার জন্য ওর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দিয়েছিলো।

রশিদ- ও আচ্ছা।।। তো এই টাকা আমি কি করবো ওর বৌ বাচ্চা আছে ওদের গিয়ে দাও।।

ইসান- ইমা নেইনি।। আপনাকে দিতে বলেছে। আংকেল আপনার বিষয়ে যখন ইমা কথা বলছিলো তখন অভির মেয়ে ইসমা সামনে ছিলো।।

বলতেই রশিদ রেগে বললো- কিসের অভির মেয়ে ওটা অভির মেয়ে না।।

ইসান- আংকেল রাগ করবেন না।। ইসমা আপনাকে খুব মিস করে৷

রশিদ- মিস করে সব ঢং এই আরকি!!! ওই মেয়ের জন্য আমার ছেলে ঘর ত্যাগ করেছে??? আমি এতো সহজে সব ভুলে যাবো!!

ইসান- মানে বুঝলাম না।।।( বিস্মিত হয়ে)

রশিদ- আমার ছেলেটা খুব ভোলা ভালা।। আমার ছেলে আমার বন্ধুর মেয়ে ইমাকে এক দেখায় পছন্দ করেছিলো।।। প্রথমে মেয়েটা বিয়ের জন্য না বলে।। তারপর আমার বন্ধু যখন মৃত্যুর পথে তখন আমার ছেলের হাতে ইমার হাত দিয়ে মারা যাই।। আমি কি জানতাম আমার বন্ধু নিজের মেয়ের পাপ লুকাতে এগুলো করেছে!!

ইসান- পাপ মানে!!!( কপাল কুচকে)

রশিদ- ওই মেয়ে প্রেগনেন্ট ছিলো তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে বাচ্চা পেটের ভিতর ঢুকায় আমার ছেলের গলাই ঝুলে পরেছে।।

রশিদ হোসের কথা শুনে ইসানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো।। ইসান অবাক চোখে রশিদের দিকে তাকিয়ে আছে।। এদিকে আকাশ একদম হতবাক হয়ে গেছে রশিদ হোসেনের কথা শুনে।।

রশিদ- ইমা যে প্রেগনেন্ট এটা আমার ছেলেকে বিয়ের পরে বলেছে।। আর আমার ছেলে তো একটা পাগল ওই বেয়াদব মেয়েটাকে ছেড়ে দেওয়া বাদ দিয়ে তার বাচ্চার দায়িত্ব নিবে বলেছে।।। আমি এই কথা যখন জানতে পারলাম আমি আমার ছেলেকে বলেছিলাম ইমাকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু আমার ছেলে আমার কথা না শুনে আমাকে আরো চারটা কথা শুনিয়ে ইমাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।।। আজ ওদের কারণে আমার ছেলে আর পৃথিবীতে নেই।। ওরা দুই মা মেয়ে আমার ছেলের জীবনটা নিয়ে নিলো।। (বলে কান্না করতে লাগে)

ইসান যেন একদম থম ধরে গেছে।। কনো কথা বলছে না।। আকাশ ইসানের অবস্থা বুঝতে পেরেছে।। তাই আর দেরি না করে।। রশিদ সাহেব কে বললো-

আকাশ- আংকেল এই চেকটা রাখুন আর আমরা এখন উঠি আমাদের আরেকটা কাজ আছে।।( রশিদ আকাশের হাত থেকে চেকটা নিলো।।)

আকাশ ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- স্যার চলুন।। আ,,, আমরা এখন যাই।।

ইসান কনো কথা বললো না। আসতে করে উঠে চলে গেলো।।।

আকাশ গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইসান গাড়ির ভিতরে উঠে বসে।। তারপর আকাশ ইসানকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যাই।।
ইসানের কানে শুধু রশিদ হোসেনের বলা কথা গুলো বাজছে।। শব্দ ছাড়া চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পরতে লাগে ইসানের।।। আকাশ গাড়ির ভিতরে লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখে ইসান কাদছে।। আকাশ একটা ফাকা জাগায় গাড়ি থামায় এবং গাড়ি থেকে বের হয়ে ইসানের কাছে এসে বসে।। ইসান কান্না ভরা চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে-

ইসান- কেন আকাশ ইমা আমার সাথে এমন কেন করলো?? কেন আমাকে সত্যি টা বললো না।। কেন লুকিয়ে গেলো।। (কান্না ভড়া সুরে)

আকাশ- স্যার!!!! ( বলতেই ইসান আকাশকে ঝাপটে ধরে জোরে জোরে কান্নাই ভেঙে পড়ে)

ইসান- আমি একজন বাবা আমার সন্তান অন্য কারো পরিচয়ে বড় হয়েছে।। ইমা আমার কাছে এতো বড় একটা সত্যি লুকিয়েছে।। আমি কি এতো খারাপ আকাশ যে আমাকে এই কথা বলতে পারলো না।।। ইসমা,,,, ইসমা আমার মেয়ে।। আমার মেয়ে ইসমা।।। (কান্না করে)

আকাশ- স্যার শান্ত হন।।

কিছুখন পর ইসান নিজেকে শান্ত করলে আকাশ বলে-

আকাশ- স্যার বিকাল হয়ে এসেছে।। বিয়েতে,,,,

বলতেই ইসান বললো- এখন আর বিয়েতে যাবো না।। আমাকে আজ একটু বারে নিয়ে যাবে।!! আমার আজ খুব কষ্ট হচ্ছে।।

আকাশ- ওকে স্যার।।।

Time skip

ইমা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো- ৫ টা বাজে ইসান এখনো আসলো না!! বিয়েতো শেষ।। আর একঘন্টা পর বর যাত্রীরা রুহিকে নিয়ে চলেও যাবে।। এক কাজ করি ইসানকে আরেক বার কল করি।।।

ইমা ইসানকে আবার কল করলো।। ইসান বসে ড্রিংক করছে। ইমার কল দেখে ইসানে চোখে পানি টলটল করতে লাগে। ইসান রেগে কল কেটে দেয় এবং ঢকঢক করে মদ পান করতে লাগে।।।

এদিকে ইমা ইসানের কল কেটে দেওয়া দেখে অবাক হয় বলে

ইমা- এই ছেলেটার আবার কি হলো!!!

রাত ৯ টা,,,,,

ইমার কেমন যেন মনটা ঘাবড়াচ্ছে।। ইমা বসে শুয়ে কনো ভাবেই শান্তি পাচ্ছে না।। ইসমা ইমার কাছে এসে বললো-

ইসমা- আম্মু আমার ঘুম পেয়েছে।।

ইমা – চলো তোমাকে ঘুম পারিয়ে দিয় মামুনি।।

ইমা ইসমাকে নিয়ে রুমে আসে এবং ইসমাকে ঘুম পারাতে লাগে এমন সময় ইমার ফোন কল আসে। ইমা ফোন হাতে নিয়ে দেখে ইসান কল করেছে।। ইমা তারাতারি ফোন রিসিভ করে কানে ধরে।।

ইমা- হ্যালো ইসান??

ইসান একটু মাতাল কন্ঠে বললো- কথায় আছো??

ইমা- বাসায় আছি।। তুমি কোথায়?.

ইসান ইমার কথার জবাব না দিয়ে বললো- ২ ঘন্টা পর আমি আসছি।।।( বলে কল কেটে দিলো)

ইমা চিন্তিত সুরে বললো- কি হলো?? ইসান এমন ভাবে কথা বললো কেন??

এমন সময় আকাশ গর্জন দিয়ে উঠে৷ ইমা ভয়ে ইসমাকে জোরিয়ে ধরে।। বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাই।।।।

,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।
,,,,,,,,,continue,,,,,,,,

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here