ভালোবাসার_নীল_জোছনা পর্ব ৯
#আরিয়ান_অরণ্য
যখন ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারলো তখন নিজেদের চুল ছেড়া ছাড়া আর কিছু করার নেই। এরপর ওদের ঝগড়াতো আপনারা পড়েছেনই ১ম পর্বে।
যাই হোক, এরপর হলো কি,দিয়ার কথা শুনে রাহুলের মনে হচ্ছিলো এখনই ওকে রুম থেকে বের করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ ওর মনে পরল এখন ওদের বাড়িতে গেস্ট রয়েছেন অনেক, এখন এমন কিছু করলে তার বাবা মা অপমানিত হবেন। এ কথা চিন্তা করে রাহুল অনেক কষ্টে নিজের রাগ কমিয়ে আনলো। এদিকে দিয়া তখনও চিৎকার করছে।
রাহুল- প্লিজ একটু আস্তে বলো, বাইরে গেস্ট আছে।
দিয়া- তাহলে তো ভালোই, গেস্টরাও জানুক তুমি কতো বড় লম্পট।
রাহুল- শুনো, তোমার সাথে সংসার করার ইচ্ছা আমারও নাই। আজকে রাতটা কাটতে দাও, কাল সকালে আমি নিজে তোমাকে তোমাদের বাড়িতে রেখে আসবো।
দিয়া- এখনই দিয়ে আসতে কি সমস্যা তোমার। সারারাত নিজের খারাপ ইচ্ছা চরিতার্থ করবা এই তো।
রাহুল- একদম চুপ। তোমার মুখ দেখলেও ঘেন্না হয় আমার। বাসায় গেস্ট আছেন, এখন তোমাকে বের করে দিলে বাবা মার অপমান হবে। নাইলে এখনই তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতাম।
দিয়া- কিহ। আচ্ছা আমি নিজেই চলে যাচ্ছি।
দিয়া গেটের দিকে এগোতেই রাহুল ওর হাত চেপে ধরলো।
দিয়া- হাত ছাড়ো বলছি।
রাহুল- প্লিজ আমার কথা শুনো। আমি স্যরি, ওকে? তোমার হাত ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু প্লিজ তুমি বাইরে যেও না, আমার বাবা মা কষ্ট পাবেন অনেক। তাদের জন্য এটুকু করো অন্তত।
দিয়া সরে এসে বিছানায় বসলো। এরপর বললো- আচ্ছা কেবল আপনার বাবা মার জন্যই আপনার কথা রাখলাম। কিন্তু আপনি যদি আমার কাছে আসার চেষ্টা করেন তবে চিৎকার করবো আমি। আর আমি সারারাত জেগে থাকব।
রাহুল কিছু না বলে বিছানা থেকে নিজের বালিশ নিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরল। এরপর অনেকক্ষণ কেটে গেল, দিয়ার চোখে ঘুম নেই। সে কেবল ভাবছে, যে রাহুলকে হারিয়ে ফেলেছিলো জীবন থেকে , ভাগ্যের পরিহাসে তার সাথেই আবার দেখা হয়ে গেছে, হয়তোবা কেবল এক রাতের জন্যই। এমন অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে মানুষের জীবনে। হয়তো কালকে আবার হারিয়ে ফেলবে রাতুলকে সে চিরদিনের জন্য, আজকের রাতটা শুধু তার জীবন খাতায় পরে থাকবে নষ্ট একটা স্মৃতি হয়ে। রাহুল কি করছে দেখার জন্য মাথা ওঠালো একটু, দেখল রাহুল একমনে মোবাইল গেম খেলছে। তখনই তার মনে পড়ে গেল সেই বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যার কথা। রাহুলের জন্য কেমন এক মায়ায় ভরে উঠল তার মন। আর নিজেকে সামলাতে পারলো না ও, কাঁদতে লাগল। রাহুল তাকালো দিয়ার দিকে।
(চলবে)