#Love_Treatment
Part- 29
Writer- Tanzin Islam Ishika
।
রাতে,,
তান্নাজ বেলকনিতে এসে দাড়িয়ে আছে,,, হাল্কা বাতাস বইছে চারদিকে,,, এক ভাল লাগা কাজ করছে,,, হয়তো অনেক দিন পর নিজের বন্ধুদের ফিরে পাওয়ার খুশিটা ভালো লাগাতে পরিনত হয়েছে,,, তার মধ্যে কিছুটা ক্রেডিট নিশমেরও আছে,,,
আজকে তান্নাজকে একটা কথা খুব ভাবাচ্ছে,, যে নিশম আদো তাকে সত্যি ভালবাসে কি না,,, যদি নাই বাসে তাহলে এত কিছু কেনই বা করবে,, আর যদি ভালবাসে তাহলে সেই ছবি আর ভিডিও টা কি মিথ্যা ছিল,, না ছবি আর ভিডিওটি মিথ্যা হতে পারে না,,, কিন্তু নিশমের চোখে সে তার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা দেখেছে,, সে আর যাই হোক মিথ্যা হতে পারে না,, আবার হতেও পারে,, একবার তহ এই চোখের মধ্যে তার জন্য ভালবাসা দেখেছিল কিন্তু তাও তহ মিথ্যা প্রমাণিত হলো,, তাহলে কি এইবারও সে ভুল প্রমানিত হবে,, আচ্ছা আমি কি সত্যি ভুল করছি,,,, নিশম কি তাহলে সত্যি আমায় ভালবাসে,,,আমি ওর ভালবাসা পেয়েও দুরে সরিয়ে দিচ্ছি,,,
তান্নাজ এক দোটানায় পড়ে গিয়েছে,, সে বুঝতে পারছে না কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা,, কিন্তু সে বুঝতে পারছে নিশম তাকে সত্যি অনেক বেশি ভালবাসে,, নিজের থেকেও বেশি,, কিন্তু কিছু একটা তাকে তা মানতে বার বার বাধা দিচ্ছে,,, তান্নাজ এইসব ভাবছিল তখন নিশম এসে তান্নাজকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে,, আর চুলে মুখ গুজে,,, আর নেশা ভরা কন্ঠে বলে,,
।
নিশমঃ জান কি করছো এইখানে,,,
।
তান্নাজঃ কিছু না,,
।
নিশমঃ আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন ছিল,,
।
তান্নাজঃ কি বলো
।
নিশমঃ ইয়ে মানে,,এইটা কি সেই হৃদয়,,মানে তোমার সেই বেস্টফ্রেন্ড যার জন্য আমি তোমার সাথে,,,, ইয়ে মানে
।
তান্নাজঃ আর বলতে হবে না,,বুঝেছি কি বলতে চাচ্ছো,,, হা ওই আমার সেই বেস্টফ্রেন্ড যার জন্য তুমি আমার সাথে মিসবিহেভ করেছিলে,,
।
নিশমঃ তাহলে তহ ওকে একটা থেংক্স দেওয়া দরকার,,
।
তান্নাজ ভ্রু কুচকিয়ে নিশমের দিকে ঘুরে দারিয়ে বলে,,
তান্নাজঃ কেন
।
নিশম তান্নাজের কোমর জরিয়ে তাকে কাছে টেনে এনে বলে,,
।
নিশমঃ ওর জন্যই আমি সেইদিন উপলব্ধি করতে পারি যে আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি,, এই জন্যই তহ আমি তোমাকে ওর সাথে সহ্য করতে পারছিলাম না,,
।
তান্নাজঃ সেটা কি আদো ভালবাসা ছিল নাকি ক্ষোভ ছিল যে যার পিছে তুমি গত কয়েক মাস ধরে পরেছিলে অথচ সে আমাকে ইম্পোরটেস না দিয়ে অন্য ছেলের সাথে ঘুরে বেরাচ্ছে,,, এমন কি আছে তার মধ্যে যে তোমার মধ্যে নেই,, ইগো তেও তহ লাগতে পারে যার জন্য এমন হয়েছিল,,,
।
নিশমঃ না,, সেইটা কোন ইগো ছিল না,,, সেইটা ছিল জেলাসনেস,, ইন্সিকিউরনেস,, তোমাকে নিয়ে আমার পায়োরেটি ও পজিসিভনেস,, তোমাকে হারাবার ভয়,, তোমাকে অন্যের সাথে সহ্য করতে না পারার যন্ত্রণা ,, এইটা পিউর ভালবাসা ছিল,, যার মধ্যে বিন্দু মাত্র কোন ইগো বা রিভেঞ্জ ছিল না,, শুধু ছিল তোমাকে আপন করে পাওয়ার আকাংখা,,, তোমাতে হারিয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা,, নিজের মধ্যে বন্ধি করে রাখার ইচ্ছা,, তোমার হাত ধরে শত পথ পারানোর আবেশ,,,
।
তান্নাজঃ সত্যি ভালবাসতে,,,
।
নিশমঃ উহুম,, ভালবাসতাম না,, ভালোবাসি,, আর ভালবাসবো,,,
এই বলে নিশম তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,, আজ তান্নাজের বড্ড ইচ্ছে করছে নিশমের কথা গুলো বিশ্বাস করতে,,, তার মধ্যে নিজেকে বিলীন করে দিতে,,, তাকেও ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিতে,,, কিন্তু পারছে না কোন এক জরতার জন্য,,,যা তান্নাজকে তিলে তিলে কুড়ে খাচ্ছে,, নিশম তান্নাজকে ছেড়ে তাকে কোলে তুলে নেয়,,, তারপর বেডরুমে নিয়ে যায়,,, তান্নাজকে শুয়ে তার কপালে একটা কিস করে,, তারপর গালে,, আর অবশেষে ঠোঁটে,, তারপর হারিয়ে যায় তান্নাজের মাঝে,,,
।
আজ প্রায় মাস খানিক হতে আসলো,, নিশম, তান্নাজ, মিতু, হৃদয় এখন অনেক ভাল ফ্রেন্ডে পরিনত হয়,,,কিন্তু মিতু আর হৃদয় যেন ফ্রেন্ডস থেকেও কিছুটা ক্লোস ছিল,, তাদের দুইজনের মধেই এক ভাল লাগা কাজ করতো,, কিন্তু কেউ কাউকে বলে নি,,, হৃদয় ফাস্টে নিশম আর তান্নাজের পাস্ট লাইফ সম্পর্কে কিছু জানতো না,, কিন্তু একদিন তান্নাজ আর নিশমের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বুঝে তাদের মধ্যে আগের থেকেই কোন একটা সম্পর্ক ছিল,, পরে মিতুকে জিজ্ঞাসা করলে সব বলে,,, এইসব শুনার পর প্রথমে হৃদয়ের অনেক রাগ উঠে নিশমের উপর,, কিন্তু পরে মিতু বুঝায় তাতে তার কোন দোষ ছিল না,, সব পরিস্থিতির খেল ছিল,,, আর তান্নাজের প্রতি নিশমের অবিরাম ভালবাসা দেখে সেও নিশনের দলে চলে যায়,,, আর এইদিকে লিজা অফিসে তান্নাজের নামে বাজে বাজে কথা ছড়াতে ব্যস্ত,, সবাইকে সে বলে বেরাছে তার চরিত্র খারাপ,, বসের সাথে নাকি তার অবৈধ সম্পর্ক আছে,, প্রথমে কেউ বিশ্বাস না করলেও আস্তে আস্তে তাদের চোখেও নিশম আর তান্নাজের ঘনিষ্ঠতা চোখে পরে,, আবার যেদিন তান্নাজ অফিস আসে ওইদিন নিশমও আসে,, আর যেদিন আসে না সেইদিন দুইজনেই আসে না,,
মিতু নতুন তার উপর বসের সাথে ভাল সম্পর্ক,, তাই কেউ তার সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলে না,,
বেশির ভাগ সবাই তান্নাজ আর নিশমের সম্পর্ক অন্য দৃষ্টিতে দেখে,, অনেকে তহ তান্নাজের দিকেও বাজে দৃষ্টিতে তাকায়,,, কিন্তু তান্নাজ তা কোন সময় গুরুত্ব দেয় নি,, আর এমনেও সে বেশির ভাগ নিশমের কেবিনেই থাকে তাই এত প্রবলেম হয় না,,
।
এই কয়েক মাসে তান্নাজও যেন নিশমকে আপন করে নিতে শুরু করেছে,,, নিশম এখন তার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে,,, তাকে প্রতিদিন কিস করে উঠানো,, তার হাতে শাড়ি পরা,, তাকে কোলে বসিয়ে কফি আর নাস্তা খাওয়ানো,, টাই পরানো,,নিশম না খেলে নিজে না খাওয়া সব এখন তান্নাজের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে,,
সে নিশমকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারে না,,, কিন্তু তাও নিশমকে পুরো পুরি আপন করতে পারে নি,, কি যেন এক জরতা বার বার তাকে বাধা দিচ্ছিল নিশমকে আপন করে নেওয়ার সময়,, হয়তো সেই ছবি আর ভিডিওটা,, সে চেয়েও ভুলতে পারছে না,,, কিন্তু নিশম দমে রয়নি,, সে তার সর্ব চেষ্টা করেই চলেছে,,, কিন্তু কিছুতেই তান্নাজকে মানাতে পারছে না ,,, এইভাবেই যাচ্ছে তাদের দিন,,,
।
সেইদিন,,
নিশম ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিল,, আর তান্নাজ কিছু ফাইল দেখছিল,, ঠিক তখন কেউ দরজায় নোক করে,,, নিশম সেই দিকে খেয়াল না করে বলে,,,
।
নিশমঃ কাম ইন,,,ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে,,
।
একটি মেয়ে কেবিনে ঢুকেই সোজা গিয়ে নিশমকে জরিয়ে ধরে,,, এমন হওয়ার নিশম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মেয়েটির দিকে,,, তারপর সেও তাকে জরিয়ে ধরে বলে,,
।
নিশমঃ সামিরা,,
।
।#Love_Treatment
Part- 30
Writer- Tanzin Islam Ishika
।
একটি মেয়ে কেবিনে ঢুকেই সোজা গিয়ে নিশমকে জরিয়ে ধরে,,, এমন হওয়ার নিশম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মেয়েটির দিকে,,, তারপর সেও তাকে জরিয়ে ধরে বলে,,
।
নিশমঃ সামিরা,,
।
সামিরাঃ ইয়া বেবি,,, কেমন আছো তুমি,,
( এ হচ্ছে সামিরা,,, নিশম আর তার বাকি বন্ধুদের একমাত্র মেয়ে ফ্রেন্ড,, অবশ্য নিশম আর সামিরা একটু বেশি ভাল ফ্রেন্ড,, দেখতে খারাপ না,, যে কেউ প্রথম নজরেই তার উপর ক্রাশ খাবে,, বাট একটু মডার্ন,, ভারসিটিতে উঠার পর সামিরা তার ফ্যামিলির সাথে কানাডা সিফট হয়ে যায়,,, আজ অনেক বছর পর সে বাংলাদেশে এসেছে,, তাই বাংলাদেশের এসে সে নিশমের সাথে দেখা করতে আসে,,,সে জানে না যে নিশম বিয়ে করেছে,,,)
।
নিশমঃ হা ভাল,,, তুই কেমন আছিস,,,
।
সামিরাঃ অনেক ভাল,,,
।
নিশমঃ তা তুই দেশে কবে ফিরলি,,
।
সামিরাঃ এইত এক সপ্তাহ আগে,, রুহানের সাথে দেখা হয়েছিল,, সে বললো তুমি নাকি ঢাকায়৷ তাই এসে পরলাম তোমাকে সাপ্রাইস দিতে,
।
নিশমঃ ভাল করেছিস,,, এখন বস,,
।
সামিরা তান্নাজের দিকে তাকিয়ে বলে,,
।
সামিরাঃ হু ইস সি,,,
।
তান্নাজ এতখুন অবাক চোখে সামিরাকে দেখছিল,, সামিরাকে দেখে তার মনে যেন ঝড় বইতে শুরু করেছে,, তার মনে এক অজানা ভয় বাসা বাধতে শুরু করেছে,,, তান্নাজকে এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিশম বলে,,
।
নিশমঃ সি ইস মাই পিএ,, তান্নাজ,, আর তান্নাজ সি ইস মাই ক্লোস ফ্রেন্ড সামিরা,
।
এইবার তান্নাজ অবাক চোখে নিশমের দিকে তাকায়,,, কেন জানি আজ এই পিএ শব্দটা বেমানান লাগছে তার কাছে,, সে যেন আজ চাইছে নিশম তাকে তার বউ হিসাবে পরিচয় দিক,,, কিন্তু সে তা মুখ ফুটে বলতে পারছে না,,, সামিরা একবার তান্নাজের দিকে ক্ষ্বীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে পর্যবেক্ষন করে বলে,,
।
সামিরাঃ হোয়াটে বেহেনজি,,নামটাও কি ফালতু,,বেবি তোমার চয়েজ এত খারাপ কিভাবে হলো,,, এমন মেয়েকে তুমি তোমার পিএ হিসাবে রেখেছো,, আমি হলে তহ তাকে আমার কাজের লোক হিসাবে রাখতাম নাকি সন্দেহ,,,
।
নিশমঃ তোর মত কি আর এত সুন্দর মডার্ন মেয়ে বাংলাদেশে আছে,,, যা আছে তাই দিয়ে কাম চাল্লাচ্ছি,,,
।
তান্নাজ সামিরার কথায় এতটা অবাক হয় নি যতটা না নিশমের,,, সে হা হয়ে নিশমের দিকে তাকিয়ে আছে,,
।
সামিরাঃ এখন তহ আমি এসে গেছি তাই না,,, এখন থেকে তোমার এই রকম ডাউন মার্কেট মেয়েদের সাথে চলা ফেরার কোন দরকার নেই বুঝলা,,,
।
নিশমঃ এস ইউ সে,,, তান্নাজ যাও আমাদের জন্য দুই কাপ কফি নিয়ে আসো,,,
।
তান্নাজ এখনও হা হয়ে নিশমের দিকে তাকিয়ে আছে,,, তা দেখে নিশম টেবিলে একটা বাড়িয়ে দিয়ে বলে,,
।
নিশমঃ মিস তান্নাজ,, আপনাকে কি বলেছি শুনেছেন,,
।
তান্নাজ হচকিয়ে উঠে,, তারপর বলে,,
।
তান্নাজঃ জ্বী স্যার,,
।
নিশমঃ যান আমাদের জন্য দুই কাপ কফি নিয়ে আসুন৷
।
তান্নাজঃ জ্বী,,
।
এই বলে তান্নাজ বেরিয়ে যায়,,, আর কফি বানাতে চলে যায়,,, আর আনমনে কিছু ভাবতে থাকে সে,, সে যে কি ভাবছে তা সেই ভাল করে জানে,,, তারপর কফি নিয়ে তাদের সামনে যায় তান্নাজ,, দিয়ে দেখে সামিরা আর নিশম হাসাহাসি করে কথা বলছে,, তান্নাজ সামনে গিয়ে বলে,,
।
তান্নাজঃ স্যার আপনার কফি,,
।
নিশমঃ এই মেয়ে তোমার সাহস কিভাবে হয় উইদাউট মাই পারমিশন আমার রুমে ঢুকার,,,
।
তান্নাজ অবাক চোখে নিশমের দিকে তাকিয়ে আছে,,, তারপর নিজেকে সামলিয়ে বলে,,
।
তান্নাজঃ সরি স্যার,, আর এমন হবে না,,
।
নিশমঃ মাইন্ড ইট,,
।
তান্নাজঃ ইয়েস স্যার,,,
।
নিশমঃ এখন কি এইখানে থেকে আমার মুখ দেখবে নাকি,,, যাও নিজের কেবিনে যাও,,,
।
তান্নাজ আবার অবাক চোখে নিশমের দিকে তাকিয়ে থাকে,,, তান্নাজ এতদিন নিজের কেবিন বলতে নিশমের কেবিনকেই বুঝেছে,, কেন না তাকে যে নিশম নিজের কেবিনে যেতেই দিত না,, আর আজ তাকে এই কেবিন থেকে বের করে দিচ্ছে,, তান্নাজ কিছু না বলে তার কেবিনে চলে যায়,, তান্নাজ শুধু অবাক,, তার মধ্যে অন্য কোন প্রতিক্রিয়া নেই,,
।
তান্নাজঃ সামিরা আসতে না আসতেই তোমার রুপ চেঞ্জ,, বাহ,,
কিন্তু তাও কেন জানি তান্নাজের মন খারাপ হলো,,
সে নিজের কেবিনে যেতেই মিতু আসে,,,
।
মিতুঃ কিরে মেয়েটা কে,,,
।
তান্নাজঃ বসের ক্লোস ফ্রেন্ড,, নাম সামিরা,,
।
মিতুঃ কিরে তুই ভাইয়াকে বস বলছিস কেন,,
।
তান্নাজঃ আমি তার আন্ডারে কাজ করি,, তার পিএ আমি,, তহ সেই হিসাবে তহ তিনি আমার বস এই তাই না,,
।
মিতুঃ হা তাও ঠিক বাট
।
তান্নাজঃ দেখ মিতু আমার কথা বলার একদম মুড নেই,, দয়া করে একা ছেড়ে দে তহ,,,
।
মিতুঃ আচ্ছা
।
এই বলে মিতু চলে যায়,,, আর তান্নাজ নিশমের কেবিনের দিকে তাকিয়ে থাকে,,, দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে আসে,, কিন্তু আজ নিশম একবারের জন্যও তান্নাজকে ডাকি নি,, আর না তান্নাজ গিয়েছে,, পিওন এসে খাবার তান্নাজের কাছে খাবার দিতে যায়,, এইবার কেন জানি তান্নাজ একটু হ্যাপি হয়,,তান্নাজ তা নিয়ে নিশমের রুমে যায়,, ঢুকতেই নিবে তখন নিশমের সেই কথা মনে পরে যায়,, তাই সে এইবার রুমে নোক করে,,,
নিশমঃ কাম ইন,,,
।
তান্নাজ ভিতরে ঢুকে বলে,,
তান্নাজঃ স্যার আপনার লাঞ্চ
।
নিশমঃ নিয়ে যাও,, আমি আর সামিরা আজ বাইরে এক সাথে লাঞ্চ করবো,,
।
তান্নাজের কেন জানি মন খারাপ হয়ে যায়,,,
তান্নাজঃ ওকে স্যার
।
এই বলে তান্নাজ চলে যায়,, আর নিজের কেবিনে গিয়ে বসে থাকে,, সে বাইরে তাকিয়ে দেখে নিশম আর সামিরা বাইরে যাচ্ছে,, তান্নাজ চুপচাপ টেবিলে দুই হাত ভাজ করে তার উপর মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে রাখে,, তার চোখ দিয়ে হয়তো পানি পরতে চাইছে কিন্তু পরছে না,,, তান্নাজ না খেয়েই সেইভাবে কিছুখুন হেড ডাউন করে থাকে,,, তারপর মাথা উঠিয়ে নিজের কাজে মন দেয়,, কাজ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়,, কিন্তু নিশম আর ফিরে নি,,তান্নাজ বাইরে এসে খেয়াল করে বেশির ভাগ সবাই চলে গিয়েছে,, সেও বাইরে চলে আসে,,,মিতুর জরুরি কাজ থাকায় সে আগেই চলে যায়,, গেটের সামনে আসতেই রিয়াজ বলে উঠে,,
।
রিয়াজঃ তান্নাজ
তান্নাজ পিছে ঘুরে দেখে রিয়াজ,, রিয়াজ নিশমের অফিসেই কাজ করে,,, একাউনটেন্ট মেনাজার হিসাবে কাজ করে,,, রিয়াজ কাছে আসতেই তান্নাজ বলে,,
।
তান্নাজঃ জ্বী বলেন,,,
।
রিয়াজঃ কোথায় যাচ্ছো,,
।
তান্নাজঃ বাসায়,,
।
রিয়াজঃ আমি ড্রপ করে দেই,,
।
তান্নাজঃ নো থেংক্স,,
।
রিয়াজঃ আরেহ শরমাও কেনো,, আমি দিয়ে আসি না,,
।
তান্নাজঃ বললাম তহ লাগবে না,,,
।
রিয়াজঃ স্যারের সাথে যেতে পারলে আমার সাথে কেন যেতে পারবে না,,
।
তান্নাজঃ তার কৈফিয়ত কি আমার আপনাকে দিতে হবে,,,
।
রিয়াজঃ তা না,,
।
তান্নাজঃ বাস,, আপনি এখন আসতে পারেন,,
এই বলে তান্নাজ হাটা শুরু করে দেয়,, রিয়াজ বার বার ডাকলেও শুনে না,, তান্নাজ বাসায় এসে শাওয়ার ছেড়ে তার নিচে বসে পরে,,,
।
তান্নাজঃ আজ আমি আবার ভুল প্রমানিত হলাম,, আবার,, আজ আবার ও প্রমান পেলাম যে তুমি আমাকে ভালবাস না,, তখনও এইসব ছিল আর এখনও,, সেই ছবি আর ভিডিও সত্য ছিল,,সেই ব্যক্তির বলা প্রতিটা কথা সত্য ছিল,,, যখনই তোমাকে বিশ্বাস করতে শুরু করি তখন এই তুমি আমার বিশ্বাসটা ভাংগো,, কেন,, কেন নিশম,, ভালবাসাটা তোমার কাছে এতই ঠুকনো,,, এখন আমিও দেখবো,, তুমি এই ভালবাসার নাটক আর কতদিন করো আমার সাথে,, আমি তোমার লাইফে কখন ছিলাম কি না যানি না,,, আদো কি আমায় ভালবাসো কি না,, আচ্ছা তুমি কি আমাকে দেখানোর জন্য এইসব করছো,, নাকি সত্যি আমাকে তোমার প্রয়োজন নেই,,,এইবার আমিও দেখতে চাই তুমি কত দূর যেতে পারো,, আমি এইবার এর শেষটা দেখে ছাড়বো,,,, শেষ না দেখে আমি কোথাও যাব না,,,
।
।
চলবে,,,