#হয়ত
পর্ব:- ৩৪
.
আজ তিনমাস ধরে তাপৌষি সীমার বলা সেই পাশের হোস্টেলের আপুটার সাথে থাকছে। আপুর নাম “রেশমি”। তাপৌষি রেশমি আপু বলে ডাকে।
তিনমাস আগেই ফরিদ সাহেব মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। তাপৌষি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, “ওই নরকে মরতে আমি যাব না।” এরপর ফরিদ সাহেবের আর কী কথা থাকে। তিনি নিজেও জানেন তার বসবাস যোগ্য ঘর এখন মেয়ের জন্য নরক। তবে তাপৌষির ভার্সিটি ভর্তি, দুই মাসের হোস্টেল বিল তিনি দিয়ে গেছেন।
গত কয়েকদিন দিন যাবত তাপৌষি ফরিদ সাহেবের কোন খবর পাচ্ছে না। চার- পাঁচবার বাবার অফিসে গেছিল কিন্তু সেখানে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে এসেছে। ফ্ল্যাটে যাবে যাবে করেও যেতে পারেনি। সাহসে কুলোয়নি। তবে সীমাকে যেতে অনুরোধ করেছিল। সীমা তাপৌষির বাবার উপর এমনিতেই ক্ষেপে ছিল। রাগের বশেই বলেছিল,
-‘ দেখ গা, হয়ত ইচ্ছা করে যোগাযোগ রাখছে না। আমার মা’ই পর হয়ে গেল নতুন বিয়ে করে আর এতো তোর বাপ। মাস শেষে কিছু টাকা হাতে দেয় বলে গলে পড়েছিস? আমার মতো স্ট্রং হলে দেখবি আর কষ্ট হবে না।’
তাপৌষি সেদিন সীমার হাত ধরে হাউমাউ করে কেঁদে অনুরোধ করেছিল,
-‘ বোন, যা না একটু। বাবা এমন হুট করে হারাতে পারেনা। আমার মা নেই, বাবা আছে। মানুষটা সুস্থ স্বাভাবিক আছে জানলেই আমি খুশি। আর কিছু লাগবে না।’
-‘ এতো কিছুর পরও এতো দরদ?’
তাপৌষি চোখ মুছে উত্তর দিয়েছিল,
-‘ আমার বাবা এক দারুণ খেলায় আটকা পড়েছিল। যেখানে দুটো দল ছিল। মা’র দল এবং শুভ্রা খন্দকারের দল। বাবা ছিল সেই খেলার বিচারক। এই খেলায় রূপের সাথে সাথে বুদ্ধি দেখা হয়েছে। মা’র রূপ থাকলেও বুদ্ধিতে শুভ্রা খন্দকার ছিল একশো তে একশো।
বাবা মা’কে সময় দিতে পারত না। মা তখন মৌন ছিল।
বিবাহবার্ষিকীর দিন বাবা বাইরের এক অপরিচিত মহিলাকে বাসায় নিয়ে এসে পাত পেতে খাইয়েছিল। মা সেদিনও মৌন ছিল।
বাবার দূরে সরে যাওয়া মা মানতে পারছিল না। গুটিয়ে নিয়েছিল নিজেকে সব কিছু থেকে…বাবার থেকেও।
তবে যেদিন থেকে সংসার ভাঙার আভাস পেলো নিজেকে সামলিয়ে বাবাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। ততদিনে বুদ্ধিমতী মহিলা নিজের কাজের সমাপ্তি ঘটিয়ে ফেলেছে। বাবা শুভ্রা খন্দকার বলতে পাগল তখন। রূপ ও বুদ্ধির খেলায় শুভ্রা খন্দকার বুদ্ধি দিয়ে বিচারককে হাত করে নিয়েছিল।’
সব শোনার পর সীমা অবশ্য তাপৌষিদের উপশহরের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল। তাপৌষি বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত সে সময়। কিন্তু সীমা ফিরে এসে জানায় ফ্ল্যাটের দরজায় নেমপ্লেট নেই। ফ্ল্যাট নাকি ফাঁকা। পাশের ফ্ল্যাটের এক ভদ্রলোক জানায়, বি-৩ ফ্ল্যাটের মালিক ও তার পরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে সিংগাপুর চলে গেছেন। উনার জানামতে এই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাপৌষি ও সীমা দারোয়ানের সাথে কথা বলে। দারোয়ান জানান বি-৩ ফ্ল্যাটের মালিক পনেরো বিশদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এম্বুলেন্স এসেছিল। এরপর নাকি উনার বউ এসে জিনিসপত্র বের করে নেয়। এরবেশি দারোয়ান আর কিছুই জানে না।
খবরটা শুনে তাপৌষি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। একটাবার কেউ এই কথা ওকে জানালোও না? এতোটাই পর তাপৌষি?
বাবা..বাবা এখন কেমন আছে?
———-
অথৈ বসে আছে গুলশানের এক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয়। দিশা ওকে ফোন করে আসতে বলেছে। কী একটা জরুরি দরকার। অথৈর ধারণা, হয়ত দিশা শপিং এ যেতে চাচ্ছে। একমাস হলো বর্ষণ বিয়েতে রাজি হয়েছে। আর চারমাস পর বিয়ে। বর্ষণের রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও চাংগা হয়ে উঠেছে। তনয়া বেগম বলেছেন একেবারে ঘরের বউকে ধুমধামের সাথে উঠিয়ে নিয়ে আসবেন। বর্ষণের বাবাও ততদিনে ছুটিতে দেশে চলে আসবেন। উনার ছুটি হিসাব করেই বিয়ের ডেট দেওয়া হয়েছে।
অথৈ একগ্লাস পানি খেয়ে মাথা নিচু করে মুচকি হাসল। এতো দিনে ওর চাওয়া পাওয়া সব পূরণ হবে।
দিশা এসে চেয়ার টেনে বসেই জিজ্ঞেস করলো,
-‘ খুব দেরি করে ফেললাম?’
-‘ আরে না। আমিও বেশিক্ষণ আগে আসিনি।’
-‘ওহ। তোর জন্য কিছু আছে।’
বলেই দিশা নিজের ব্যাগ থেকে একটা ডায়রি বের করে টেবিলে রাখলো। বেশ বড় ডায়রি। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে তো সাতাইশ আটাইশ ইঞ্চি হবেই।
-‘ এটা কী?’
-‘ বর্ষণ ভাইয়ার ডায়রি।’
অথৈ অধিক কৌতুহল নিয়ে ডায়রি খুলল। প্রথম পেজে কয়েকটা লাইন লিখা।
.
” শরতের কাশবনে
নীল আকাশের সাদা তুলোর মেঘে
নদীর বাঁকে
কিংবা শেষ রাতে ফুটপাতের সেই নিয়নবাতিতে
আমি খুঁজি তোমায় ক্ষণে ক্ষণে।
অপেক্ষমাণ প্রেমিকের তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটাতে
প্রেয়সী কবে তুমি নামবে ধরণীর বুকে
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে?”…..
.
অথৈ তারিখটা দেখলো। ওর সাথে বিয়ে ঠিক হবার আগে লিখা এই কবিতা। তারপরের পৃষ্টাতে কিছু হিসাব।
-‘ এটা কেন এনেছিস?’
-‘ বুকমার্ক দেওয়া পেজ থেকে পড়।’
অথৈ বুকমার্ক সরিয়ে পড়া শুরু করল।
.
” ক্লান্ত দুপুরে
কোন এক আসমানি পরী হয়ত বসেছিল আমার সম্মুখে।
যার কারুকার্য মুখ
বন্ধ চোখের পাতা
সুরেলা কণ্ঠের জাদু
কাঁপণ ধরিয়ে ছিল এই বুকে।
আমার তৃষ্ণার্ত বুকে।
সে এসেছে
তবে……বড্ড দেরিতে।”
.
লেখাগুলোর নিচে তাপৌষির ছবি পেন দিয়ে স্কেচ করা হয়েছে।
অথৈর বিশ্বাস হচ্ছে না এসব কিছু। মনে হচ্ছে এই লিখাগুলো বর্ষণের না। তবে বিশ্বাস না হলেও ও বিশ্বাস করতে বাধ্য। হাতের লিখাগুলো যে ওর খুব চেনা। অল্প বয়সে ও বর্ষণের বাসায় লিখার খাতা লুকিয়ে নিয়ে চলে আসতো। সারারাত সেই লেখার উপর হাত বুলাত।
অথৈ আবার পৃষ্ঠা উল্টায়। পরপর সব পৃষ্ঠাতেই তাপৌষিকে নিয়ে কবিতা লেখা, তাপৌষির ছবি আঁকা। শেষ কবিতার তারিখ দশ দিন আগের।
.
‘ আজ তিনটে মাস, সাত দিন, আটচল্লিশ ঘণ্টা
সতেরো মিনিট, বারো সেকেন্ড
এই বিস্তর পথে একলা চলছি,
তুমি হীনা এই একলা পথ যে বড় কষ্টের।
রোজ নিয়ম করে সূর্য উঠে
নিয়ম করে অস্ত যায়।
রাতের আকাশে চাঁদ উঠে,
তোমার মুখশ্রী চাঁদে দৃশ্যমান হয়।
প্রতিবেলায় সকল কাজে মন তোমায় স্মরণ করে।
মন জানে,
মনের অন্তরালে শুধু তোমার বাস।
কিন্তু মন চাইলেও স্বচক্ষে দেখতে পায়না তোমায়
চাইলেও ছু্ঁতে পারিনা তোমার কারুকার্যখচিত মুখ,
প্রিয়তমা তুমি যে যজন যজন মাইল দূরে রয়েছ
অনেক দূরে…
তবে দূরে থেকেও একই ধাধায় বাধা রয়েছে এই মন
তোমার মনের সঙ্গে..”
.
অথৈ জোরে শব্দ করেই ডায়রি বন্ধ করে দিল।
দিশা খানিকক্ষণ অথৈ কে দেখে বলল,
-‘ এর পরও তুই যদি বিয়ে করতে রাজি থাকিস তাহলে বলবো ভুল করছিস। সিদ্ধান্ত বদলা অথৈ। এখনো দেরি হয়নি।’
-‘ আমাদের বিয়ের পর বর্ষণ এই দুই পয়সার মেয়েকে মনে রাখবে না। কয়েকদিনের পরিচয়ে ভালোবাসা গাঢ় হয়না। এসব বর্ষণের আবেগ।’
-‘ তোর মনে হয় ভাইয়া আবেগে ভেসে থাকার মানুষ?’
অথৈর মুখে কালো মেঘের ছায়া নেমেছে। চোখে অশ্রু টলমল করছে। দিশার খারাপ লাগছে। এটা সত্যি অথৈ বর্ষণকে খুব ভালোবাসে। তবে বর্ষণকে ভালোবাসলেও বর্ষণের মনে নিজের জায়গা করে নিতে পারেনি; যা তাপৌষি প্রথম দর্শণে করে নিয়েছে।
অথৈ কেঁদে ফেলেছে। দিশার এক হাত ও নিজের দুইহাতের মুঠোয় নিয়ে বলে উঠে,
-‘ আমি বর্ষণকে খুব ভালোবাসি দিশা।’
-‘ আমি জানি অথৈ। তবে ভাইয়া? একবারও নিজের মন কে প্রশ্ন করেছিস ভাইয়া তোকে ভালোবাসে কীনা? এই বিয়েতে সুখ নেই অথৈ। তুই সারাজীবন ভাইয়ার দিক দিয়ে কম্প্রোমাইজ পাবি, ভালোবাসা না।’
-‘ আমি তাতেও রাজি।’
কথাটা বলেই অথৈ নিজের হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে উঠে পড়ল।
-‘ আসি আমি।’
দিশা গভীর নিশ্বাস ফেলল। ওর নিজেরই এখন দম বন্ধ লাগছে।
ব্যাগ থেকে ফোন বের করে রৌদকে ফোন দিল,
-‘ ভাইয়া অথৈ কোন কথাই শুনল না।’
-‘ আমারও মনে হয়েছে শুনবে না।’
-‘ কী করব এখন?’
-‘ বুঝছি না রে। জানিস নিজের উপর খুব রাগ লাগছে। সেদিন কেন অথৈ কে বলতে গেছিলাম কে জানে।’
-‘ এতে তোমার কোন দোষ নেই ভাইয়া। তুমি তো ওর ভালোর জন্য বলেছিলা। কিন্তু এখন ও নিজের ভালো বুঝছে না।’
-‘ তুই কি বাড়ি আসছিস?’
-‘ না রেস্তরাঁতেই আছি। বের হচ্ছি।’
-‘ আমি আসবো নিতে?’
-‘ না দরকার নেই। চলে আসতে পারবো।’
————
-‘ চাকরি চলে গেছে?’
-‘ তুমি কী করে বুঝলে?’
রেশমি চেহারায় জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব এনে বলল,
-‘ আমি অন্তর পড়তে জানি।’
তাপৌষি হেসে দিল। কিন্তু নিমিষে চোখের কোণে জল দেখা গেল।
-‘ রেশমি আপু কী করবো কিছুই বুঝছি না। বাবার কোন খবর পাচ্ছিনা। একমাসের হোস্টেল বিল বাকী পড়ে যাচ্ছে। কোন রকমে চলছি। এই নিয়ে দুইটা চাকরি গেল।’
রেশমি নিজেও চিন্তায় পড়েছে। ও অবশ্য এই মাসের হোস্টেল খরচ তাপৌষিকে দিতে চেয়েছিল, সীমাও জোরাজুরি করেছিল। তবে তাপৌষি ওদের থেকে এক পয়সাও ধার নেয়নি। ওর কাছে জমানো যা টাকা ছিল তা বই কিনতেই চলে গেছে। এখন বলতে গেলে হাত খালি। ব্যাগের চিপায় হয়ত চল্লিশ পঞ্চাশ টাকা পাওয়া যেতে পারে।
কাজের চেষ্টা তো কম করছে না। কিন্তু কাজ তো আর মা’য়ের হাতের মোয়া নয়। প্রথম যখন তাপৌষি টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে বের হয় সেদিন ওর বাড়াবাড়ি রকমের হাত পা কাঁপছিল। একটা ক্লাস সেভেনের বাচ্চাকে প্রাইভেট পড়াতে হবে। সীমা ওর এক বন্ধুর মাধ্যমে তাপৌষিকে প্রাইভেটটা জোগাড় করে দিয়েছিল। কিন্তু দুই দিন না যেতেই বাচ্চার মা তাপৌষির হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে প্রাইভেট পড়াতে আসতে মানা করে দেয়। উনার বাচ্চা তাপৌষির পড়ানোর ধরণ পছন্দ করছে না। এরপর এশার এক চাচার কোচিং সেন্টারে ট্রায়াল ক্লাস নিতে যায়। তবে এতো মানুষের মাঝে তাপৌষি আগে কখনো কথা বলেনি। ও ঘাবড়ে যেয়ে তোতলায়ে কথা বলা শুরু করে। ওর কথা বলার ধরণে সবাই হেসে দেয়, ওকে নকল করে তোতলিয়ে কথা বলা আরম্ভ করে। ফল হেতু তাপৌষি চাকরি জয়েনের আগেই বাতিলের খাতায় পড়ে।
কয়েকদিন আগে রাজশাহীর এক নাম করা খাবারের রেস্তোরাঁয় ও ওয়েটারের জব নেয়। রেস্তোরাঁ চালায় মেয়েরা। ওয়েটারও সব মেয়ে। তাপৌষি এদের সাথে ভালোই গুলিয়ে মিলিয়ে গেছিল। তবে ও অর্ডার নিতে পারত না ঠিকঠাক। যেমন, কোন গ্রাহক যদি জিজ্ঞেস করত ” আপনাদের এখানে জনপ্রিয় খাবার কী?’
তখন তাপৌষি উত্তর দিত, ” সব খাবারই জনপ্রিয়।”
যদি গ্রাহক মেনুতে তাপৌষির পছন্দের খাবার কোনটা জিজ্ঞেস করত।
তাপৌষি উত্তরে বলত,” আমি এখানের একটা খাবারও চেখে দেখিনি।”
তাপৌষির উত্তরে অসন্তুষ্ট গ্রাহক তখন বিভিন্ন ফুড গ্রুপে যেয়ে রেস্তোরাঁর সার্ভিস সম্পর্কে নিজের অসন্তুষ্টির কথা লিখে দিত।
অনেক আগেই ওকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছিল। তাপৌষি কাজ ঠিকভাবে করার চেষ্টাও করেছে। তবে আজকে ওর দ্বারা মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। ও গ্রাহকের গায়ের উপর খাবারের ট্রে ফেলে দেয়। এই কারণে তাপৌষিকে জরিমানা দিতে হয়েছে। ওর এক মাসের সম্পূর্ণ বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে আগের সব ক্ষতি হিসাব করে। সেইসাথে চাকরিটাও হারিয়েছে।
-‘ আপু কীভাবে চলবো আমি?’
-‘ তুই আমার থেকে ধার নে এবার প্লিজ।’
-‘ এই মাসে নাহয় ধার নিলাম। এর পরের মাসে?’
তাপৌষি কিছুক্ষণ চিন্তা করে হঠাৎ বলে উঠে,
-‘ আচ্ছা হোস্টেলের দুই তলায় একটা মেয়ে থাকে না? কী যেন নাম? ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে..” সামিরা”। ও কী একটা কাজের কথা বলেছিল আমাকে। ওর অফিসে নাকি পোষ্ট খালি আছে। কথা বলে দেখবো? ‘
-‘ দরকার নেই। সাজগোজ দেখেছিস ওই মেয়ের? কেমন উগ্র। ওর সাথে কথা বলবি না।’
-‘ আচ্ছা।’
তাপৌষি আচ্ছা বললেও মনে মনে ও সামিরার সাথে কথা বলবে ভেবে নিয়েছে। চাকরির যে খুব দরকার ওর। প্রচণ্ড মানসিক টেনশনে আছে ও। বাবার খবর নেই। রৌদও একমাস যাবত ওকে ফোন দেয়না। ওদিকে কী হলো সেটাও জানা যাচ্ছে না।
“বর্ষণ”। কেমন আছে সে?
তাপৌষি যে তাকে এখনো সারাটা সময় স্মরণ করে, তা কী সে জানে?
.
.
চলবে…