#মেঘের_আড়ালে_বৃষ্টি
#প্রজ্ঞা_জামান_দৃঢ়তা
তিনদিন পর..
আজ বন্ধুমহলে বিয়ের ধুম পড়েছে।
সনির সাথে রহিম, সুচির সাথে রাহাত, আর রোদের সাথে প্রয়াসের।
এই তিনটি দিন প্রয়াস বা রোদ কেউ কাউকে কল দেয়নি। দেখা ও করেনি। একেবারে বিয়ের পর বলা হবে, আর দেখা হবে বলে।
বরেরা অপেক্ষা করছে বউদের জন্য। কিন্তু বউরা যে পার্লারে সাজতে গেছে আসার নামই নাই! এদিকে বর বেচেরাদের সময় যেন কাটতেই চায়না।
অপেক্ষামান সময় মৃত্যুর চেয়ে কষ্টকর।
প্রয়াসের খুব অস্থির লাগছে। এই চার বছরের চেয়ে বেশী দীর্ঘ মনে হচ্ছে এই কয়েকটা ঘন্টাকে। তিন বান্ধবীর একই কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হচ্ছে বলে আত্মীয় স্বজন অনেক বেশী।
রোদের সেদিন আফসোস করে বলেছিলো ইশ দোস্ত তোদের সাথে যদি আমার বিয়েটা ও হতো। তাই সেদিন রহিম,রাহাত রোদের বাবাকে বলে, বিয়েটা তিনদিন পর যাতে হয়। তাদের বিয়ের সাথে। সবাই মত দেয়। আর শুরু হয়ে যায় বিয়ের আয়োজন।
প্রয়াস বারবার গেইটের দিকে তাকাচ্ছে যদি রোদ চলে আসে। কিন্তু না এই মেয়ের আসার নামই নেই। কি দরকার এতো সাজার এমনিতেই কত সুন্দর!
রহিম রাহাত প্রয়াসের দিকে তাকিয়ে সবটা বুঝতে পারে।
তারা দুষ্টুমির ছলে বলে, “প্রয়াস ভাইয়া কি কাউকে খুজছেন? বলেই ঠোঁট টিপে হাসে দুই বন্ধু!
প্রয়াস অপ্রস্তুত হয়ে বলে, “কই নাতো। কাকে খুজবো?”
রাহাত বলে, “না মানে আমরা ভাবছিলাম আপনি বুঝি আমাদের বন্ধবীকে খুঁজছেন! যদি এমন হতো তাহলে একটা কল দিয়ে কথা বলিয়ে দিতাম।”
ঢংয়ের সুরে রাহাত বলে, “থাক দিলাম কেটে কল। আপনি তো তারে খুঁজছেন না।”
প্রয়াস কিছুটা লজ্জিতভাবে বলে, “কল দাও রাহাত তবে আমি কথা বলবো না।শুধু শুনবো আমার রোদের কন্ঠস্বর!”
রাহাত, রহিম হাসতে থাকে।
তখন রিমি এসে দুষ্টুমি করে বলে, “ভাইয়েরা মনে হয় বিয়ে করতে এসে খুব খুশী! যেভাবে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে!”
রহিম বলে, “তা ঠিক বলেছেন এই মেয়েগুলো আমাদের নাচিয়ে মারলো! চার বছর আগে বিয়ে করলে এখন বাচ্চা স্কুলে দিতাম তা না এরা এখন আসছে বিয়ে করতে। বলেন তো রিমি আপু। চারটি বছর পিছিয়ে দিলো না!”
রিমি এবার দুষ্টুমি করে থুতনিতে আঙুল দিয়ে মারতে মারতে বলে, “হ্যাঁ তা ঠিক তখন বিয়ে করাই যেতো। কিন্তু এই যে আজ দাঁড়িগুলোতে যতটা পরিপূর্ণ লাগছে তখন দাড়ি ছাড়া অপূর্ণ লাগতো না? কি বলো প্রয়াস ভাইয়া!”
রিমির কথার শুরুর দিকে রহিম,রাহাতের হাসি মুখ থাকলেও। এখন একদম চুপসে গেছে। রিমির ঠাট্টা বুঝতে পেরে।
“ওরেব্বাস কিভাবে বাঁশটা দিলে রিমি আপু! তুমি ঠিক মেয়েদের সাইড নিলে!”
প্রয়াস হাসছে রিমির রহিমের কথায় মন নেই। চারবছর পর প্রয়াসের মুখে এতোটা চওড়া হাসি সে দেখছে। কতটা স্নিগ্ধ সেই হাসি। যে হাসিতে সুখ আছে!যে হাসিতে ভালবাসা আছে! যে হাসিতে জীবনে বেঁচে থাকার মানে আছে!
সকাল আর সাবা এসেছে প্রয়াসের বিয়েতে। সাবার কোলে একটা কিউট বাচ্চা। সাজ দেখে মনে হচ্ছে মেয়ে বাচ্চা।
সেদিন সাবার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে শুনে সকাল বুঝতে পারে সাবাকে ছাড়া তার চলবে না। তাই সকাল তার পরিবারকে পাঠায় সাবাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। এর কয়েকদিন পর বিয়ে হয়ে যায় তাদের। খুব সুখে আছে তারা।
সকাল বলে, “কিরে প্রয়াস শেষ পর্যন্ত পিচ্চিকেই বিয়েটা করলি?”
প্রয়াস বলে, যএই চুপ কর শালা আমার বউকে এখন দেখলে তুই হুমড়ি খেয়ে পড়বি। পিচ্চি নাই আর বুঝলা?”
সাবা বলে, “এই সকাল্লে তুই আমার বন্ধুর বউরে নিয়ে এসব বলবি না।”
সকাল বলে, “ছিঃ তোর গুনাহ হবে। এভাবে জামাইকে তুও বললে। তুই বলছিস আবার সকাইল্লে বলছিস। দেখছিস প্রয়াস ক্লাসমেট বা বন্ধু বিয়ে করার কি জ্বালা।”
উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হাসে
মেইন গেইট দিয়ে বউরা আগমন করেছে। সবাই নতুন বউ দেখার জন্য দৌড়ে আসছে। মানুষের ভিড়ের জন্য রোদকে দেখা যাচ্ছে না।
প্রয়াসের বিরক্ত লাগছে, “এই মানুষগুলো ও কেমন যেন! বুঝতে পারে না।বউটা আমার তাকে দেখার অধিকার ও আমার! কি পাবলিকরে ভাই!”
প্রয়াসের বিরবির করে বলা কথা শোনার জন্য রহিম,রাহাত, কান পেতে আছে।
তারা ও প্রয়াসের সাথে সুর মিলিয়ে বলে, “কারেক্ট আছেন ভাইয়া,আমাদের বউ আগে আমরা দেখবো! তারপর অন্যরা।”
“চলুন ভাইয়া মাঠে নেমে পড়ি মিছিল করি বিদ্রোহ করি! আমাদের বউ আমাদের বউ আমরা দেখবো আমরা দেখবো!”
প্রয়াস হাসতে থাকে রহিমের কথা শুনে এমন সময় রোদ স্টেইজের সামনে আসে। তিন বউকে সবাই বলে হাত বাড়িয়ে দিতে বরেরা তাদের হাত ধরে উপরে তুলবে।
রোদ হাত বাড়িয়ে দাড়িয়ে আছে, প্রয়াস সেই মেহেদী রাঙা হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে কয়েক মুহুর্ত।
তারপর রহিম বলে, “ভাই আমাদের বউ আমাদের পাশে আর আপনি সবার সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বউয়ের হাত দেখছেন কি একটা অবস্থা ভাই! বলি কি ভাইয়া আজকে রাতে নাহয় বাকিটা দেখলেন। এখন আর বন্ধুটা লজ্জা পাচ্ছে দেখেন।”
প্রয়াস নিজেও লজ্জা পেয়ে যায় নিজের এমন কাজের জন্য। কি হয়েছে তার কেনো এমন ভুল করছে সে! এটাকেই কি ভালবাসার পাগলামো বলে! এটাই কি সত্যিকারের সুখ! এটাই কি প্রাপ্তি!
কাজি সাহেব আসেন বিয়ে পড়াতে। সবার শেষে প্রয়াসকে বলে কবুল বলতে,প্রয়াস পরপর তিনবার বিনা নিঃশ্বাসে কবুল বলে দেয়। রোদ পায়ের পাতা দিয়ে প্রয়াসের পায়ে গুতো দেয়। উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে দেয়।
আল মাহমুদ রহমান, আর আরিফুর রহমান, দুজনে মুখ টিপে হাসেন।
রিফাত বলে, “প্রয়াস আমার বোন কোথাও চলে যাচ্ছে না। তাই এতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। তুমি কি পানি খাবে?”
উপস্থিত সবাই আবার হাসে উচ্চস্বরে।
★★★
বিয়েটা হয়ে গেছে
রাত ১২টা
আরিফুর রহমান বসে আছে উনার রুমের বারান্দায়। রাহেলা বেগম এসে উনার পাশে বসেন।
তারপর আরিফুর রহমানকে বলেন, “তুমি কি মনে করো আমি তোমাকে ঠকিয়েছি? আমি তোমাকে ভালবাসি না?”
আরিফুর রহমান বলেন, “আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাসো। হয়তো তুমি চাও নি আমাকে ভালবাসতে তারপর ও ভালবেসে ফেলেছো। কেউ যখন কাউকে ভালবাসে তা যতটা না বুঝা যায়। কেউ ভালো না বাসলে আরও বেশী বুঝা যায়। আমি তোমার স্পর্শে বুঝি তুমি আমায় ভালবাসো। তোমার সব কিছুতে বুঝি তুমি আমায় ভালবাসো। তাহলে ঠকানোর কথা আসে কোথায় থেকে?”
রাহেলা বেগম স্বামীর কাধে মাথা রাখেন। আরিফুর রহমান রাহেলা বেগমের দুহাত নিজের মুঠোয় বন্দী করেন। আজ উনারা দুজন খুব খুশী অবশেষে ছেলে তার ভালবাসা পেলো।সুখ পেলো।
আজ রিমি ও খুশী। পৃথিবীতে ভালবাসার মানুষ ভালো আছে এই একটি কথা শুনতে যে কি শান্তি লাগে তা বলে বুঝানো যাবে না।
প্রয়াস সুখে থাকুক সবসময় এটাই চায় রিমি। সে ঠিক করেছে কাল সকালে বাবার বাড়ি চলে যাবে সে। এখানে আর থাকার কোন মানে হয় না। আর এটা ভালো দেখায় না। জীবনের এই নির্নয় মন থেকে স্বীকার করে নিয়েছে রিমি। আজ রিমি মন থেকে শান্তি অনুভব করছে। এতোদিন প্রয়াসের খারাপ থাকার জন্য নিজেকে দায়ী করতো সে। আজ সব দায় থেকে মুক্ত রিমি।
রোদ বসে আছে প্রয়াসের রুমে একদম বউয়ের সাজে। আজ এই ঘর সাজানো। খাট সাজানো, সাজানো রোদ! সবকিছু মিলিয়ে সব যেন অপুর্ব সুন্দর লাগছে।
রোদ দেখতে পেলো এই রুমের সব কিছু নীল। যেমনটা তার রুমটা সাজানো ছিলো বাবার বাড়িতে। ঠিক তেমনই। কোন লাইট জ্বালানো নেই। চারপাশে ক্যান্ডেল জ্বালানো। একেকটা ক্যান্ডেল এক এক রঙের মনে হচ্ছে এটা ঘর নয় স্বর্গ! রোদের মন অদ্ভুত ভালো লাগায় চেয়ে গেলো। প্রয়াসের সব মনে আছে!কিছু ভুলেনি সে। ঠিক যেমনটা রোদ পছন্দ করে সব ঠিক তেমনই! এতো ভালবাসে কেনো প্রয়াস আমায়!
রোদ কারো পায়ের শব্দে সতর্ক হয়ে গেলো। চুপচাপ খাটে গিয়ে বসে।তার খুব লজ্জা করছে। এতো লজ্জা কখনো করে নি। হয়তো চার বছর পর প্রয়াসের সাথে এভাবে একা বলা হবে তাই।
প্রয়াস যত ঘরের দিকে এগিয়ে আসে রোদের হৃদ কম্পন তত বেড়ে যাচ্ছে।
প্রয়াস আসলে রোদ প্রয়াসকে সালাম করে।
প্রয়াস বলে, “আমেরিকা থেকে কি বরদের সালাম করার নিয়ম শিখে এসেছো নাকি?”
রোদ একটু থমকায়। বলে, “না ভাবী বলে দিয়েছেয
“ও আচ্ছা ভাবী বলেছে বলে তাই করতেছো।”
রোদের এবার রাগ হয় কোথায় এতোদিন পর এসেছি সুন্দর করে কথা বলবে।তা না কি ছাতার মাথা বলতেছে!
রোদ বলে, “আমি ঘুমাবো। আপনি ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়বেন।”
প্রয়াস বলে, “বাসর ঘরে কেউ ঘুমায় নাকি?য
রোদ কথাটা শুনে বুকের ভেতর ধুকপুকানি বেড়ে যায়। লজ্জায় মাথা নত করে থাকে।প্রয়াস রোদের মুখ তুলে বলে তুমি আগের মতই সুন্দর আছো।সেরকম সুন্দর। আশ্চর্য সুন্দর!
রোদ কিছুই বলতে পারেনা।প্রয়াস রোদের হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে যায়।বারান্দাটা খুব সুন্দর করে সাজানো। একটা দোলনা রাখা হয়েছে সাজিয়ে।প্রয়াস রোদকে নিয়ে দোলনায় বসায়। নিজেও রোদের পাশে বসে। দুজনের বুকের ভেতরকার শব্দ বেড়ে যায়। দুজনে দুজনের শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনে।
প্রয়াস বলে, “আজ থেকে আমি ঘুমাতে পারবো রোদ। এই চারটি বছরে একটি রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। সবসময় তোমাকে মনে করেছি। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে আজ ও সতেজ। আজও একই রকম আছে। তোমার শরীরের ঘ্রাণ পেতাম আমি। মনে হতো তুমি বুঝি আমার কাছে আছো পাশে আছো।
তোমাকে ছাড়া আর কোনকিছুই মনে আসতো না। আমি কত রকম নেশা করে তোমায় ভুলার চেষ্টা করতাম কিন্তু পারতাম না। তুমি ছিলে আমার বড় নেশা।
রোদ বলে, “ওহ আমি তাহলে ছিলাম! এখন আর নাই?”
প্রয়াস রোদকে জড়িয়ে ধরে বলে, “এখন তো আরও বড় নেশা তুমি আমার!”
প্রয়াস রোদের খুব কাছাকাছি এসে রোদের চুলে নিজের মুখ গুজে দেয়।
এমন সময় রোদ বলে, “বড় আম্মুর কাছে ক্ষমা চেয়েছো ওইদিন তুমি কিন্তু খারাপ ব্যাবহার করেছো।
ক্ষমা না নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চাই না আমি।”
প্রয়াস বলে, “চলো আম্মুর কাছে যাই।”
রোদ উঠে দাঁড়ায় প্রয়াস বলে, “আমি তোমাকে পেয়ে গর্বিত রোদ।আম্মুর জন্য আমাদের আলাদা হতে হলো আর তুমি আম্মুর কথা ভাবছো!”
রোদ উত্তরে শুধু হাসে।
প্রয়াস রোদ দাড়িয়ে আছে মা বাবার সামনে। উনারা অবাক হন। বাসর ঘর রেখে তারা এখানে কি করে।
প্রয়াস বলে, “আম্মু আমাকে ক্ষমা করে দাও। সেদিন খুব খারাপ ব্যাবহার করছি আমি। প্লিজ আম্মু ক্ষমা করে দাও?”
রাহেলা বেগমের চোখে পানি। তিনি প্রয়াস আর রোদকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
তারপর বলেন, “এখন আমরা ঘুমাবো ডিস্টার্ব করিস না তো।”
প্রয়াস বলে, “সেটাই বাসর আমাদের না তোমাদের বুঝা যাচ্ছে না।”
আল মাহমুদ রহমান ছেলের কান ধরে বলেন, “ওরে দুষ্টু হইছে এবার যাবি নাকি মাইর খাবি?”
প্রয়াস বলে, “আব্বু আমি যদি রোদকে কোলে করে নিয়ে যাই তুমি কি রাগ করবে?”
আল মাহমুদ রহমান বলেন, “একশো বার করবো….না!”
উনার দুষ্টুমি দেখে রোদ প্রয়াস হেসে দেয়। প্রয়াস রোদকে কোলে তুলে নেয়।
আল মাহমুদ রহমান পেছন থেকে প্রয়াসকে বলে, “হেভ আ নাইস ড্রিম।”
বাবার মুখে এমন কথা শুনে হাসে রোদ, প্রয়াস।
এমন সময় কল দেয় রহিম, রাহাত। তারা কনফারেন্সে কল দেয়।
রহিম বলে, “প্রয়াস ভাইয়া কি করেন আপনি?”
প্রয়াস বলে, “যেদিন কারো বাসর চলে সেদিন কাউকে এই প্রশ্ন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ আপনি জানেন না?”
সবাই উচ্ছস্বরে হাসে।
আজ দুটি মানুষের ভালবাসার জয় হলো। ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করলে তার ফল অধিক পাওয়া যায়।
আজ থেকে শুরু হলো এক নতুন দিনের সূচনা। যেদিনের প্রতিটি সেকেন্ড লিখা থাকবে ভালবাসার সাক্ষী হয়ে। ভালবাসার জয় হয়ে। এভাবেই ভালবাসায় কেটে যাবে যুগ যুগ। লিখা হবে নতুন কোন স্বপ্ন। নতুন কোন আশা। ভালবাসার রঙে রাঙানো হোক প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা। পূর্ণতা পাক প্রতিটি ভালবাসা। বেঁচে থাকুক ভালবাসা!
যদি সেদিন রোদ প্রয়াসের উপর রাগ করে বিয়ে করে ফেলতো তাহলে এতো সুন্দর দিন তারা দেখতে পেতো না।
সমাপ্ত