অপ্রত্যাশিত ভালোবাসা পর্ব -০৩

গল্প:#অপ্রত্যাশিত_ভালোবাসা
লেখক:#কাব্য_মেহেরাব

পর্ব:০৩

তাদের চাহনি দেখে আমার জানটা একটুস খানি হয়ে গেল। আমাকে দেখে তারা হো হো করে হাসা শুরু করে দিল। যেন এভাবে আমাকে দেখে তারা খুব মজা পাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন আমার এক হাত ধরে বলল… কিগো ফুলটুসি কি ভাবছো…? আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠল। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম আমি। আর বললাম, দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। হাতে ব্যথা করছে ,আপনারা চলে যান প্লিজ ।আপনাদের পায়ে পড়ি। আমাকে একা থাকতে দিন এখানে। আমার কথায় তারা আরো জোরে জোরে হেসে ফেললো। আমি এখন বুঝে উঠতে পারছি না, এখন আমি কি করব? চারিপাশে চোখ ঘুরিয়ে কাব্য কে খুঁজছি। এই হয়তো কাব্য এসে এদের হাত থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নেবে। মুখ থেকে কয়েকবার কাব্য কাব্য কাব্য বলেই যাচ্ছি। রাস্তাটি এখন একেবারেই সুনসান। দু-একটা বাস যাচ্ছে ।কিন্তু এত স্পিডে গাড়ি চালালে দানবের মত কয়েকজন লোক আমাকে ঘিরে ধরেছে তাদের কাছে আমি একটা মশা মাত্র।আমার মত মশাকে কোন গাড়ির চোখে পড়বে না। মোটা করে যে লোকটি ছিল সে আমার অন্য হাত ধরে টানতে টানতে কোথায় এক জায়গা নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করছে। আমি আমার সাধ্যমত জোর খাটাচ্ছি। আমি কিছুতেই তাদের সাথে পেরে উঠছি না। আমি তো কোন মতেই তাদের সাথে যাবো না। কাব্য এখানে এসে আমাকে না দেখলে প্রচুর অভিমান করবে, আমি সেটা চাইনা। কিন্তু এদের মতন বলিষ্ঠ শরীরের সাথে আমি কিছুতেই পেরে উঠছি না। এখনও বেশ অসুস্থ। হসপিটাল থেকে এসেছি দুপুরের পর।
*
*
*
*
*
পারলাম না নিজেকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে। ব্রিজের নিচে আমাকে নিয়ে যেয়ে খুবলে খেয়েছে তারা। আমার চোখের জল তাদের মন গলাতে পারেনি। চিৎকার করতে গিয়েছি কতবার, কিন্তু আমার মুখ চেপে ধরাই সেটাও করতে পারেনি। বহুবার তাদের পায়ে পরেছি, আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আমার এই ছটফট করা টা তাদেরকে আরো আনন্দ দিয়েছে। বাবা বলে ডেকেছি বহুবার তাদের, কিন্তু আমার এই আর্তনাদ তাদের কানে পৌঁছায় নি। পৈশাচিক আনন্দ তে তারা মেতে উঠেছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত অজস্র কামড়ের দাগ। আমি চিৎকার করেছি কেউ শুনেনি আমার কথা। আমি যেন একটা কাঁচা মাংস পিন্ড তাদের কাছে। একজনের পর একজন আমার দেহ টা কে একটা যন্ত্র মনে করে ব্যবহার করেই গেছে। নীরবে অশ্রু বিসর্জন দেওয়া ছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারেনি।আমার সতীত্বকে আমি রক্ষা করতে পারিনি। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী আমি কাব্যর বিবাহিত স্ত্রী। যেখানে আমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে একমাত্র আমার ভালোবাসা মানুষের। সেখানে আমি বিয়ের পর নিজের সতীত্ব কে কয়েকজন পশুর হাতে বলিদান দিচ্ছি।

নারী জাত এত অসহায় কেন হয়? যেখানে ইসলামে সব কিছুর অধিকার প্রথমে নারী জাতকে দেওয়া হয়েছে?সেখানেই সমাজের মানুষের কাছে নারীরা শুধুমাত্র খেলার পুতুল। আমার মতন হাজার হাজার মেয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেনা । এই সমাজের কিছু হায়েনা রূপের মানুষদের কাছে।

একসময় নিজেদের কার্যসিদ্ধির পর তারা সবাই চলে গেল, আমার নিস্তেজ দেহটাকে এখানেই ফেলে। উঠে বসার বিন্দুমাত্র শক্তিটুকু আমার শরীরের অবশিষ্ট নেই। পাথরের মতো আমার দেহ টি পড়ে রয়েছে বালুর উপরে। অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছি।

চোখটা বন্ধ করে নিলাম। কাব্যর ওই হাসি হাসি মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। সেদিন ফার্মেসী তে দেখে কাব্য আমাকে বলেছিল, তোমাকে বলেছি না ?রাতের অন্ধকারে তুমি কখনো বাসা থেকে বের হবেনা ? তুমি জানো? রাতে হয়েনা জাতীয় কিছু মানুষ রুপী পশু ঘুরে বেড়ায় রাস্তাঘাটে ।সুযোগ পেলেই খুবলে খায় নারীদের দেহ। কেন বেরিয়েছো রাতে? আমি মাথা নিচু করে বলেছিলাম- আমার ওটা শেষ হয়ে গেছে, রাতে প্রয়োজন ।ভাবি কে বলেছি, ভাবী বলল দোকান থেকে কিনে নে,আমার কাছে নাই ।তাই বাধ্য হয়ে রাতে আসতে হয়েছে। তখন কাব্য বলেছিল- আমাকে একবার বলতে পারতে? আমি কি মরে গেছি?

চোখ মেলে তাকালাম। কাব্য বলে চিত্কার করে কেঁদে উঠলাম। কাব্য তুমি কি এখন মরে গেছো? বকবে না আমাকে? দেখনা………?(শুকনো কয়েকটা ভোট গিলে কান্না থামিয়ে বলল) আজ মানুষরূপে হায়েনারা আমার শরীরটা খুবলে খুবলে খেয়েছে ………? জানোয়ারের মতন আমাকে কামড়িয়েছে……(কান্না করছে আর বলছে) আমি কি করবো এখন ……..?কোথায় যাবো ……?তোমাকে কোথায় খুজে পাব বলে দাও…….? আমার কষ্ট হচ্ছে……! শুনতে পাচ্ছ তুমি…..? শুনতে পাচ্ছ না…..?(একটু থেমে আবার বল) সারাটা জীবন এই হাত ছাড়বে না বলেছিলে,তাহলে এখন কোথায় তুমি…….? কাব্য………….?(জোরে চিল্লিয়ে)

অনেকক্ষণ পর অনেক কষ্টে আস্তে আস্তে আবার ব্রিজের মাঝখানে যেখান থেকে ওই পশুরা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল আবার সেখানে এসে বসে থাকলাম। আর কান্না করতে পারছিনা। চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। কাব্য আমার উপর অনেক অভিমান করে আছে। এখন যদি এসে দেখতে পায় আমার চোখের জল। নির্ঘাত এই ব্রিজ থেকে আমাকে তুলে এক আছাড় মেরে নদীতে ফেলে দেবে। তারপর নিজেও ঝাঁপ দিবে। আর আমি এটা কিছুতেই চাইবো না। আমিতো কথা দিয়েছিলাম কাব্যকে। আমি আমার কথা রাখবো।

ভোরের আলো একটু একটু করে ফুটে উঠছে। মাঝে মাঝে দু একটা গাড়ির শো শো আওয়াজ করে চলে যাচ্ছে। আর আমি গুটি মেরে বসে আছি। কিচ্ছু করার নেই। খুব খিদে পেয়েছে… ছোটবেলা থেকেই আমি ক্ষিদে একদম সহ্য করতে পারি না। তাইতো প্রিয় খাবার হয়েছে কলা রুটি। পানির তৃষ্ণায় গলাটা চৌচির হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে গলা চিরে রক্ত বের হবে। কয়েকটা ঢোক গিলে নিলাম। কিন্তু আমার গলায় এক বিন্দু তরল পদার্থ অবশিষ্ট নেই গলাটা ভেজানোর জন্য। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু তাতেও আমি ব্যর্থ হলাম।

হাঁটু ভাঁজ করে বসে আছি। হঠাৎ করে একটা হাত আমার মাথার উপর পরলো। কাব্য এসেছে? মাথা নিচু করেই মুখে হাসি ফুটে উঠল আমার। এখন এই বিধ্বস্ত অবস্থায় আমাকে দেখলে কি করবে সেটাই ভাবছি। আচ্ছা আমাকে আগে বকা দিবে, নাকি একটা চড় দেবে। মনে মনে বলেছি, আল্লাহ এবারের মতো আমাকে বাঁচাও। নয়তো এই কাব্য আমাকে চোখ দিয়েই জ্বালিয়ে দিবে।

এই মেয়ে….??? সেই কখন থেকে ডাকছি… এই মেয়ে উঠো…..! আমার কল্পনাতে আসা কাব্য নিমিষেই মিলিয়ে গেল। চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি দুইজন মহিলা। কি সুন্দর পরিপাটি করে সেজেগুজে আছেন। সুন্দর সালোয়ার-কামিজ পড়েছে। অন্যজন শাড়ি পরেছে, কিন্তু ব্লাউজের হাতা নাই, লম্বা চুল বেনী করে সামনে ঝুলিয়ে রেখেছে। ঠোটে লাল রং এর লিপিষ্টিক দেওয়া। কপালে বড় একটা লাল টিপ। মোটা করে কাজল দেওয়া। হাত ভর্তি চুরি। অন্যজন এর গায়ের ওড়না নাই সেও পরিপাটি অপর জনের মতই সেজেগুজে আছে। কপাল কুঁচকে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছি। এইভাবে এই ভোরবেলা সেজে গুজে রাস্তায় বের হওয়ার মানেটা কি বুঝতে পারছি না।

সেলোয়ার কামিজ পরা ওই মহিলা আমার সামনে বসল। আমাকে বলছে, নাম কি তোমার বোন…..? আর এখানে এভাবে বসে আছো কেন….? তার আদর মাখা দুইটা কথাতে আমার শুকিয়ে যাওয়া চোখ থেকে আপনা আপনি অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আমার চোখে পানি দেখি শাড়ি পরা মহিলা টি আমার পাশে বসলো। চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল, তোমার কি খিদে পেয়েছে….? আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোধক জবাব দিলাম। কামিজ পরা মহিলা তার ব্যাগ থেকে রুটি এবং কলা আমার সামনে দিয়ে বলল আমার কাছে খাওয়ার মত আর কিছু নেই এই মুহূর্তে, তুমি এটা খেয়ে নাও। রুটি কলা দেখে আমি হাউমাউ করে কেঁদে দিয়েছিলাম তাকে জড়িয়ে ধরে। পরম আপন মনে হলো তাকে আমার। আমার গায়ে যত টুকু শক্তি অবশিষ্ট ছিল তা সম্পূর্ণ প্রয়োগ করলাম তাকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নেওয়ার জন্য।আমার এ হেন কাজে সে অবাক হয়েছিল। আমার পিঠে হাত বুলিয়ে অপর মহিলার দিকে আড়চোখে তাকালো।

পাশে শাড়ি পরা মহিলাটি আমার পিঠের উপর হাত রাখল। সে হয়তো ভাবছেন খিদের তারনায় আমি আবেগে তার সাথী কে জড়িয়ে ধরেছি। তাদের কাছে এটা সামান্য কিছুই মনে হয়েছে। কিন্তু এই সামান্য রুটি আর কলা আমার জীবনে অনেক কিছু পাওয়া।

কামিজ পরা মহিলা টি আমাকে শান্ত হতে বলেন। আর বলল-পাগল মেয়ে ক্ষুধা লেগেছে খেয়ে নাও তারপর কান্না করো….! আমি তাকে ছাড়ছি না। এই মুহূর্তে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য কাউকে প্রয়োজন ছিল। আমি যেন এই জায়গাটার অপেক্ষায় করছিলাম। আমাকে হাসানোর জন্য তিনি বললেন, দেখতো ডালিমের মতন টসটসে চেহারা নিয়ে এই রাস্তায় এইভাবে বসে আছো, কেউ যদি এই ডালিমের স্বাদ গ্রহণ করতে চাই তখন কি করবে…..? আমার কান্নার বেগ টা আরো বেড়ে গেল। পাশে শাড়ি পরা মহিলা কিছু একটা আচ করতে পেরেছিল। তিনি বললো যাবে আমাদের সাথে…..? আমি কামিজ পরা মহিলাকে ছেড়ে দিয়ে তার দিকে তাকালাম। তিনি হেসে বললেন আমরা কিন্তু অন্ধকার রাতের বড় বড় সাহেব দের রাতে বিছানার সঙ্গী হ ই। আর দিনের বেলায় নিজেদের বস্তিতে মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকি। যাবে তুমি আমাদের সাথে…? সেখানে গিয়ে না হয় তোমার সুখ দুঃখের কাহিনী শুনবো….! এ দুধে-আলতা গায়ের রং শুভশ্রী মুখটা এমন মলিন কেন হয়ে আছে….? সেটা নয় হয় শুনবো….? পাশে কামিজ পরা মহিলাটি বলল-এই মুখটা দেখে তো মনে হচ্ছে যাওয়ার কোন জায়গা নাই। চলো বোইন আমাদের সাথে চলো। ভয় নেই তোমাকে বেচে দেবো না আমরা। এত টুকু বিশ্বাস করতে পারো।

এই মুহূর্তে এই দুজন মহিলাকে খুব বিশ্বাস করতে মন চাচ্ছে। কেন তা জানি না।” দুধে আলতা গায়ের রং”আমার মা বলতো। আমার ভালোবাসার মানুষ বলতো আমার মায়াভরা মুখটা তাকে দুর্বল করে দেয়। আমার কাজল কালো চোখ তাকে চোখের ক্ষুধা মিটাই। তার চোখে আমি শুভশ্রী। আর আজ এই মহিলা দুটো আমার আপন মানুষের মতন কথা বলছে। খুব বিশ্বাস করতে মন চাচ্ছে। শাড়ি পরা মহিলা বললো, যাবে আমাদের সাথে ….?জোর করব না তোমায়। তবে তুমি যে নরপশুদের শিকার হয়েছো, সেটা তোমাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় থাকলে তুমি আবারও অন্য হায়নার মুখে পড়বে।

আমি চোখ তুলে তাকালাম তার দিকে। সত্যি তো! না মিথ্যা বলছো না। কিন্তু কাব্য যদি এখানে এসে আমাকে খুঁজে না পাই…? তবে আমাকে এই বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকা চলবে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম তাদের বাসায় আমি যাবো। হ্যা বোধক সম্মতি জানালাম তাদের। তারা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিল। যেন তারা খুব খুশি হয়েছেন।

ওদের বাসায় যাই। ছোট দুইটা রুম সাথে বাথরুম , পাশেই রান্নাঘর। কাঠ খড়ি দিয়ে রান্না করতে হয়। মূলত এটা একটা বস্তি। তাই তেমন গোজ গাজ করা জায়গা না। সারারাত পুরুষদের বিছানা সজ্জা করে এসে দিনের বেলায় তেমন কিছুই করা হয় না হয়তো তাদের। হয়তোবা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে রাতের ঘুম টুকুই পূরণ করে। ভিতরে যেয়ে তারা আমাকে বসতে দিল। কামিজ পরা মহিলাটা আমাকে একটা কাপড় দিল এবং বলল ফ্রেশ হয়ে নিতে। গোসল করে ফ্রেশ হয়ে একটা শাড়ি পরে নেয়। শাড়িটা অবশ্য তাদের ই দেওয়া।

দোকান থেকে কিনে আনা পরোটা আর ডাউল ভাজি আমার সামনে বাটিতে করে দিলো। আমিও কোন সংকোচ ছাড়াই সেটা খেয়ে নিলাম। ব্যথার ওষুধ এবং মলম এনে আমার গায়ে লাগিয়ে দিলো এবং ওষুধ খাইয়ে দিল তারা। আমিও না করলাম না। খুব যন্ত্রণা হচ্ছে তলপেটে। সমস্ত শরীরে অসুরের মতো কামড়িয়ে খুবলে খেয়েছে আমাকে। কোন কোন জায়গার দাগ বসে গেছে কোথাও কেটে রক্ত বের হচ্ছে।

দুই মহিলার নাম জানতে চাইলাম আমি। কামিজ পরা মহিলাটির নাম আমিনা আর শাড়ি পরা মহিলাটির নাম মোমিনা। তারা নাকি দুই খালাতো বোন। ভাগ্যের পরিহাসে আজ তারা এই পথ বেছে নিয়েছে। আমি আমার নামটা বলিনি। তারা অলরেডি আমাকে শুভশ্রী ডালিয়া এমন জাতীয় কিছু নাম দিয়েছে। আমিও হেসে তা সমর্থক করলাম।
গোসল করার পর আমার গায়ে প্রচন্ড জ্বর এসেছে। ওষুধ খেয়ে আমাকে ঘুমের জন্য বলল তারা। আমারও ঘুমিয়ে প্রয়োজন। তাই তাদের দেখানো ছোট খাটে গুটি মেরে শুয়ে পড়লাম। ……

#চলবে ………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here