#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ০৫)
#Humayra_Khan
.
.
.
আহান ওর ফোনটা স্পিকারে দিয়ে-
আহানঃ হ্যা ভাবি আবার বলো কি জানি বলছিলে তুমি?
দিশাঃ কি বলছিলাম(কনফিউজড হয়ে)??
আহানঃ আরে লাস্ট এর কথাটা আবার রিপিট করো!
দিশাঃ ও হ্যা মনে পরছে।কাল চারুকেও নিয়ে এসো তুমার সাথে করে।
আহানঃ আচ্ছা ভাবি কাল আমি আর চারু সময় মতো পৌছে যাবো। কথাটি বলে ফোন কেটে দেয় আহান।
ফোন কেটে আহান খেয়াল করল চারুর আইস্ক্রিম এখনো খাওয়া হয়নি।
আহানঃ মা যদি দেখে চারুর হাতে আইস্ক্রিম তাহলে তো তুমুল কান্ড হয়ে যাবে। মনে মনে
মা তোমার পিছনে তেলাপোকা।
কথাটি শুনার সাথে সাথে মিসেস সাবিনা পিছনে ঘুরে তাকায়।এই সুযোগে আহান চারুর হাত থেকে আইস্ক্রিম টা নিয়ে নিজের মুখে দিয়ে দেয়
সাবিনাঃ কই তেলাপোকা।
মিরাজ ঃ তুমি তেলাপোকা চাইতে কম নাকি।
তুমিই তো একটা জ্যান্ত তেলাপোকা।
সাবিনা ঃ বেশি বলছো কিন্তু চোখ মুখ গরম করে।
কিরে আহান একটু আগে তোর হাতে তো কোনো আইস্ক্রিম ছিলো না।এখন দেখি তুই আইস্ক্রিম খাচ্ছিস।?
মিরাজ সাহেব তার বউ এর কথা শুনে এই বার আহানের দিক এ তাকায়।
মিরাজ ঃঠিকই তো.।আইস্ক্রিম তো আহান চারুকে দিয়ে দিলো। ও আবার কোথা থেকে পেলেো।আর চারুর হাতের আইস্ক্রিম টা কই। (মাথা চুলকিয়ে)
আর আহান এমন ভাবে ওর থেকে আইস্ক্রিম নেওয়ায় বেশ রেগে মেগে আছে চারু ।পুরো এনগ্রি রোবট এর মতো দাঁড়িয়ে আছে
ও।
আহানঃ আরে মা।আমার হাতেই ছিলো তুমি হয়ত খেয়াল করো নি। এই সব কথা বাদ দাও। শুনলে ভাবি কি বললো ফোনে।আমাকে আর চারুকে তাদের বাসায় যেতে বলেছে। দুই তিন দিন থেকে চলে আসবো।
সাবিনা ঃ যা মন চায় কর।কথাটি বলে চলে যায় তিনি
মিরাজ ঃ এই কোথায় যাচ্ছো আমার রিনা খান।
মিসেস সাবিনা তার হাসবেন্ড এর কথা শুনে তার দিক এ রাগি দৃশটিতে তাকায়।
মিরাজ ঃওও সরি সরি।আই মিন মাই বিউটিফুল ওয়াইফ সাবিনা খান(জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
মিসেস সাবিনা তার হাসবেন্ড এর কথা শুনে আরও রেগে চলে যায় নিজের রুমে।
আর মিরাজ সাহেব ও তার বউ এর পিছু পিছু চলে যায়।
আহানঃ শুনলে তো চারু ভাবি কি বললো?
তাড়াতাাড়ি করে নিজের ব্যাগ প্যাক করে নিও।
চারু ঃ চুপ থাকেন।আপনি আইস্ক্রিম দিয়ে আবার আমার মুখে থেকে কেড়ে নিলেন!
এতোই যদি খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো৷ তো আমাকে দিলেনই বা কেন??
আহানঃ মায় যদি তোমার হাতে আইস্ক্রিম টা দেখে ফেলতো তখন তো বড্ড জামেলা পেকে যেত(আনমনে)
আসলে কি… ( নিজের মাথা চুলকিয়ে)
চারু ঃ হইসে আপনার আসল নকল আমি শুনতে চাইনা।কথাটি বলে রেগে মেগে চলে যায় ও।
আহানঃ হায়!!! এই মেয়ের রাগলেও কতো কিউট লাগে। কথাটি বলে আইস্ক্রিম খেতে খেতে চলে যায় নিজের রুমে।
দুপুরে লাঞ্চ করার সময় খাবারের মাঝখানে আহান বলে উঠে –
চারু খেয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিস। দেরি করে গেলে পৌছাতে পৌছাতে রাত হয়ে যাবে।
চারু ঃ জ্বী ভাইয়া।
আহান রেডি হয়ে চারুর রুমে সামনে এসে দেখে দরজা লক করা। দরজায় নক করে-
আহানঃ কি রে চারু এখনো হয়নি তোর??
চারুঃ ভাইয়া আরেকটু বাকি।তুমি বাইরে আমার জন্য অপেক্ষা করো আমি এই দুই মিনিটে আসছি।
আহানঃ আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয়।কথাটি বলে চলে যায় আহান।
আহান ব্লু জিন্স ব্লাক টি শার্ট আর চোখে একটা সান গ্লাস পরে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে চারুর জন্য বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে। কিছু ক্ষন সময় পর চারু একটা ওয়াইট ড্রেস পরে আসলে –
আহান চারুর দিক এ অপলক দৃশটিতে চেয়ে থাকে।
চারু ঃ ভাইয়া এই ভাবে কি দেখছেন।??
চারু কথায় ধ্যান ভাঙে আহানের আর শরম পেয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি ভিতর উঠে পরে ও।
আহানঃ তাড়াতাড়ি গাড়ি তে উঠ।
চারু আহানের কথা শুনে পিছনে সিট এ উঠতে নিবে-
আহানঃ ওই সামনে এসে বস।তুই পিছনে বসলে লোকে তো আমাকে ড্রাইভার ভাব্বে।
চারু আহানের কথা মতো সামনের সিট এ গিয়ে বসে পরে।
আর আহান আপন মনে গাড়ি চালাতে থাকে।
আহানঃ আজকের ওয়েদার সুন্দর না??
চারু ঃ নিশ্চুপ।
আহানঃ কি হলো৷। কথা বলছিস না?
চারু ঃ নিশ্চুপ।
আহানঃ ওও.বুঝেছি।কাল তোর আইস্ক্রিম নিয়েছিলাম তাই এতো রাগ?? পিছনে সিট এ দেখ আইস্ক্রিম এর একটা বক্স আছে।কথাটি আহানের বলতে দেরি হলেও চারুর বক্সটা নিতে দেরি হলো না।
আহানের কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে পিছন থেকে আইস্ক্রিম এর বক্স নিয়ে আইস্ক্রিম খেতে শুরু করলো
বাচ্চা দের মতো করে।
আর আহান গাড়ি চালার ফাকে ফাকে চারুকে আড় চোখে দেখে যাচ্ছিলো।
পৌছাতে পৌছাতে ওদের সন্ধা হয়ে যায়।বাসায় সামনে এসে আহান কলিং বেল বাজালে আহানের ভাবি দিশা তাড়াতাড়ি করে এসে দরজা খুলে দেয়।
দিশা দরজা খুললে আহান আর চারু একসাথে বলে উঠে – আসসালামু আলাকুম ভাবি।
দিশাঃওয়ালাইকুম আসসালাম। আসো ভিতরে আসো তোমরা। চারু আর আহান ভিতরে ডুকলে-
দিশাঃ ওগো …… দেখে যাও কারা এসেছে!
আবিরঃ উফফ দিশা এইভাবে চিল্লিয়ে ডাকছো কেন আমাকে। কে এসেছে??(মোবাইল টিপতে টিপতে)
দিশাঃ হায়রে মোবাইল থেকে চোখটা সরিয়ে দেখ কে এসেছে।
আবির দিশা কথা শুনে সামনে তাকিয়ে আহান আর চারুকে দেখতে পেয়ে-
আবিরঃ ওরে ডাক্তার সাহেব দেখি সাথে আমাদের চারু সুন্দরী ও।
আবির ঃ কেমন আছিস আহান।?? আর তুমি কেমন আছো চারু??
চারু ঃ জ্বী ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ। আপনি
আবিরঃ আমি তো অলওয়েসট ফাস্ট ক্লাস থাকি(হেসে)।।।।
কি রে আহান ভাই এর সাথে রাগ করেছিস বুঝি??
কথা বলছিস না আমার সাথে???
আহানঃ তুমি চুপ থাকো। আমি আসলাম এক বারও আমাকে দেখতে আসলেনা বাসায়।
দিশা ঃ যাবে কিভাবে সারা দিন ফোন নিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে তো মনে হয় আমি তার বউ না মোবাইলই তার বউ লাগে। আমার থেকে মোবাইল টাকেই বেশি সময় দেয়( কান্নার মুখ করে)
আবিরঃ ইয়েস নো ডাউট… আয় লাভ মাই মোবাইল।
দিশা ঃ কি আমার থেকে তুমি তোমার মোবাইলকে বেশি ভালোবাসো।তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন?
ওই মোবাইলের সাথে বিয়ে করে নিতে।(রেগে)
আবির দিশার কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠে যা দিশার রাগ আরও বাড়িয়ে দেয়।রেগে মেগে চলে যায় ও।
চারু ও দিশা পিছে পিছে ওর সাথে চলে যায়।
দিশা রেগে গিয়ে রুমে এসে বসলে-
চারু ঃ উফফ ভাবি এই ভাবে রেগে ও খান থেকে চলে আসলে কেন??
দিশাঃ দেখলে না তোমার ভাই এর কান্ড কারখানা।আমি রেগে আছি।আর উনি হেসেই যাচ্ছিলেন।
চারু ঃ ভাইয়ার কথা বাদ দাও।লেটস হেভ সাম ফান?
দিশাঃ মানে( অবাক হয়ে)
চারু ঃআরে ভুলে গেলে আন্টি বাসায় না থাকলে আমরা রুমে দরজা লাগিয়ে কি করতাম?
দিশাঃ লুঈি ডান্স ??( খুশি হয়ে)
চারু ঃ হুম।।
তুমি এক বছর ধরে বাসা থেকে চলে আসার পর আর
করা হয়নি। (মন খারাপ করে)
দিশাঃ চলো তাহলে। ( খুশি হয়ে)আজ করা যাক।
তারপর দিশা আর চারু আবিরের শার্ট আর লুঈি জামার উপর দিয়ে পরে চোখে কালো চশমা লাগিয়ে জোরে লুঙ্গী ডান্স গান ছেরে দুই জন এ ঘাটের
উপর উঠে উরাধুরা নাচতে শুরু করে। ভুলবশত তারা রুমের দরজা লাগাতে ভুলে যায়।
বাইরে বসে আবির আর আহান দুই ভাই মিলে গল্প করছিলো।
হঠাৎ ওদের কানে লুঙ্গী ডান্স এর সং ভেসে উঠে।
আবিরঃ কিরে তুই কি কোনো গান শুনতে পাচ্ছিস??
আহানঃ হুম।তোমার রুম থেকে আসছে মনে হচ্ছে।চলো তো দেখি গিয়ে।
আবিরঃ হুম চল।
আর ও দিকে দিশা আর চারু পাগলের মতো নেচেই যাচ্ছে।
হঠাৎ চারুর দরজার সামনে চোখ পরলে চারু জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে।
দিশাঃ কি রে চারু এ-ই ভাবে চিৎকার দিলি কেন?
চারু ঃ ভাবি দরজার সামনে তাকাও
দিশা চারুর কথা শুনে দরজার সামনে তাকিয়ে আবির আর আ্হানকে দেখতে পেয়ে ওই ও জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে।
আর আবির আর আহান ওদের এই অবস্থায় দেখে হেসেই যাচ্ছে।যেমন তেমন হাসি নয় মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো হাসি।
দিশাঃ এই আপনারা এই রুমে কি করছেন?(রেগে)
বেচারি চারু তো শরমে কিছু বলতেই পারচ্ছেনা।
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
আবিরঃ তোমাদের পাগলা ডান্স আই মিন লুঙ্গি ডান্স দেখতে আসছি( হেসে)
আহান তো কিছু না বলে চারুকেই দেখেই যাচ্ছে
আহানঃ ওরে আমার সপ্নের পরীটা এতো সুন্দর নাচতে পারে লুঙ্গি পরে জানতাম না তো।আনমনে।
দিশাঃ মোটেও ফাজলামি করবেন না।বের হন রুম থেকে( চিল্লান দিয়ে)।
আবির আর আহান দিশার চিল্লানি খেয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় রুম থেকে।
দিশা আর চারু তাড়াতাড়ি করে জামা চেঞ্জ করে নেয়।
কিছুক্ষ পর..
দিশা আর চারু আবির আহানের সামনে আসলে-
আবিরঃ তাড়াতাড়ি রান্না করে খেতে দাও আমাদের বড্ড খিদে পেয়েছে।।
রান্না করার এনার্জি আছে তো??যে ডান্স দিয়েছো বাবা।
আহানঃ হ্যা ভাইয়া ঠিক বলেছো।( হেসে হেসে)
আহানের হাসি দেখে চারুর মেজাজ গরম হয়ে যায়।
চারু ঃ হ্যা ভাবি আজ তোমার রান্না করতে হবেনা।আমিই আজ এই দুই ভাই এর জন্য স্পেশাল কিছু রান্না করবো।
আহানঃ সত্যি??? কি রান্না করবে???
চারু ঃ এই তো। তেলাপোকার ফ্রাই; টিকটিকর ভুনা;
মশার চপ ; মাছির বিরিয়ানি( হেসে)
আহান খাবারের আইটেমগুলোর নাম শুনে দৌড়ে ওয়াসরুমে…………….#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ০৬)
#Humayra_Khan
.
.
.
আহানঃ সত্যি?? কি রান্না করবে শুনি(উওেজিত হয়ে)
চারুঃ এই তো। তেলাপোকা ফ্রাই ;টিকটিকির ভুনা;মশার চপ; মাছির বিরিয়ানি( হেসে)
আহান চারুর মুখে খাবারে আইটেম গুলার নাম শুনে দৌড়ে ওয়াসরুমে গিয়ে বমি করতে থাকে।
আহানের এই ভাবে যাওয়া দেখে চারু দিশা আর আবির তিন জন মিলে জোরে জোরে হাসতে থাকে।
কিছুক্ষ পর আহান ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে আসলে আহানকে দেখে তিনজন হাসতে থাকে।
আহান বেশ লজ্জা পায় তাদের হাসি দেখে।
চারু রান্না করে আহান আর আবিরকে খেতে ডাকলে আহান চিল্লিয়ে বলে উঠে –
না না আমি খাবো না।আমার খিদে নেই।
দিশাঃ আরে ভাইয়া চারু তেলাপোকা ফ্রাই মাছির বিরিয়ানি….. এই সব কোনো কিছু রান্না করেনি। ও তো জাস্ট মজা করছিল ( হেসে)
আবিরঃ উফফ আহান ঢং করিস না তো।চল খেতে চল।খিদের জ্বালায় আমার পেটের চুহা গুলা ডিসকো ডান্স দিচ্ছে।
আহান তার ভাই এর কথা শুনে আর কিছু বলেনা।
পরে সবাই মিলে ডিনার করে নেয়।
ডিনার শেষ করার পর……
দিশা চল সবাই মিলে ছাদে গিয়ে কোনো গেমস খেলি।
আহানঃ গুড আইডিয়া ভাবি।
তারপর সবাই মিলে ছাদে গিয়ে ফ্লোরে একটা মাদুর বিছিয়ে বসে পরে।
দিশাঃ কি খেলবো??
আবিরঃ গানের কলি??
দিশাঃ না। ইন্টারেস্টিং কিছু।
আহানঃ ট্রুথ এন্ড ডেয়ার গেমস টা খেলি।অনেক মজা হবে।
দিশা ঃইয়েস এইটা খেলা যায়।
তারপর মাঝখানে একটা বোতল রেখে বোতল টা ঘুরালে ফাস্ট এ দিশা সাইড এ এসে থেমে যায়।
আহানঃ ভাবি truth নাকি dare?
দিশাঃ dare.
আহানঃ আচ্ছা তুমি আমাদের সামনে একটা ডান্স করে দেখাও
আহানের কথা শুনে দিশা রাগি দৃশটিতে ওর দিক এ তাকিয়ে থাকে।
আহানঃ আরে ভাবি রাগ করছো কেন??আমি তো লুঙ্গি ডান্স গানে নাচতে বলছিনা।আমি এখনকার ফেমাস গানে নাচতে বলছি।আই মিন বড় লোকের বেটি গানে।
দিশাঃ ওও। ওই টা তো আমার ফেভারিট গান
আহানঃ দাড়াও আমি গানটা প্লে করছি।
আহান গানটা প্লে করলে দিশা নাচতে শুরু করে।
সেই গানের তালে তালে। দিশার নাচ শেষ সবাই জোরে জোরে তালি দিতে থাকে।দিশা নাচ শেষ করে
বোতল ঘুরালে এই বার আহানে সামনে এসে বোতল টা থেমে যায়।
আবিরঃ তো আহান বল Truth নাকি dare??
আহানঃ dare….(ভাব নিয়ে)
আবিরঃ ওকে তাহলে একটা গান গেয়ে শুনা।
আহানঃ না না। অন্য কিছু বলো।গান গাইতে পারবনা
দিশাঃ উফ ভাইয়া।গাও তো। আমরা জানি তুমি অনেক সুন্দর গান পারো।
দিশার কথা শুনে আহান বাধ্য হয়ে গান গাওয়া শুরু করলো………
dil ka dariya beh gaya…
…….isq ibadat ban hi gaya…
……..kudko muje tu sop de…..
……..meri zarorat tu ban gaya….
……..bat e dil ki nazro ne ki….
…….sach keh ra ha teri kasam..
……teri bin Ab na lange ik bi dam…
…tuje kitna chahne lage hum…….
পুরোটো গান গাওয়ার সময় চোখ বন্ধ করে আহান চারুর কথাই ভেবে যাচ্ছিলো। সবাই তালি দিলে আহানের
ধ্যান ভাঙে আর ও কল্পনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসে।
দিশা বোতল ঘুরালে এই বার বোতলটা চারুর সামনে এসে থেমে যায়।
দিশাঃ তো বলো চারু। truth নাকি dare??
চারু ঃ truth..
দিশাঃ আচ্ছা বলো ডু উ লাভ সামওয়ান??
আহানঃ আল্লাহ উত্তর যদি না হয়। চোখ বন্ধ করে।আনমনে….
চারুঃ না।
আহান চারুর উত্তর শুনে চোখ খুলে
আহানঃ থেনক গড।
দিশাঃ আচ্ছা তুমি যাকে ভালোবাসবে ওই মানুষ টার মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।?
চারু ঃ ভালো চরিএ ;অনেস্ট ; ভালো মনের মানুষ
আহান চারুর কথা শুনে বেশ খুশি হয়ে যায়।
আহানঃ এই গুলা কোয়ালিটি তো আমার মাঝে আছে।খুশি হয়ে।( আনমনে)
দিশাঃ আর কিছুনা??
চারু ঃ হুম শ্যামলা হতে হবে।আমার শ্যামলা ছেলে অনেক বেশি ভালো লাগে।
চারুর বলা শেষ কথাটা শুনে আহানের মন কাচের মতো ভেঙে যায়।
আহানঃ আমি তো শ্যামলা না।এর মানে চারু আমাকে কখনো ভালোবাসবে না??আনমনে
বোতল আবার ঘুরানো হলে আবির এর সামনে আসলে-
চারু ঃ ভাইয়া বলেন truth নাকি dare??
আবিরঃ truth।আমি সত্য বলতে ভয় পাইনা( ভাব নিয়ে)
চারুঃ তাই নাকি ভাইয়া?? আচ্ছা বলুন ভাবির আগে কারও প্রেমে পরেছিলেন আপনি?
আবির ঃ হ্যা। মেয়েটা যে কি সুন্দর ছিলো না।তুমাকে বলে বোঝাতে পারবোনা। চোখ বন্ধ করলে ওই মেয়েটার ফেস ভেসে উঠে।
দিশাঃ তাই নাকি?( রাগি কন্ঠে)
আবির ঃ খাইসেরে. আমি তো ভুলেই গেসি দিশা আছে এই খানে।
আসলে বেবি আমি তো জাস্ট ফান করছিলাম। তুমিই আমার প্রথম তুমিই আমার শেষ ভালোবাসা।
দিশা ঃ এই ছিলো তোর মনে।বিয়ের আগে কি বলেছিলি আমিই তোর প্রথম ভালোবাসা আর এখন বউ এর সামনে বসে বলছিস চোখ বন্ধ করলে অন্য মেয়েকে দেখতে পাস( রেগে)।
কথাটি বলে দিশা রেগে মেগে সেই খান থেকে চলে যায়।
আবির ঃ আল্লাহ কি যে হবে আমার।আল্লাহ রক্ষা কইরো আমাকে।কথাটি বলে আবির ও চলে যায় ছাদ থেকে।
আবির আর দিশা এমন কিউট ঝগড়া দেখে চারুর বেশ হাসি পায়।
কিন্তু আহান চারুর শ্যামলা ছেলে পছন্দ কথাটা শুনার পর থেকে সে কখন থেকে দেবদাশ এর মতো বসে ছিলো। আবির আর দিশা মধ্যে এতো কিছু হয়ে গেলো সেই দিক এ আহানের খেয়ালই নেই।
সে যেনো অন্য কোনো জগৎে আছে।
চারুঃ আজ ভাবি ভাইয়ার বারোটা বাজিয়ে ছারবে। (হেসে)
চারু খেয়াল করলো আহান ওর কথা না শুনে অন্য ধ্যানে আছে।
চারু ঃ এই যে মিস্টার! (জোরে).।
আহান চারুর ডাক শুনে চমকে উঠে।
আহানঃ হ্যা হ্যা বলো।
চারু ঃ আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন শুনি??
কখন থেকে ডেকেই যাচ্ছি।আর আপনার কোনো রিসপনস ই নেই।
আহানঃ না।আমি তো এই দুনিয়ায় ছিলাম।(জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
আচ্ছা বাদ দাও এই সব কথা চলো নিচে চলো অনেক রাত হয়ে গেছে।।।
চারু ঃ হুম চলেন।
তারপর দুই জন মিলে নিচে চলে যায়
রাতে বেচারার আহানের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে চারুর কথা শুনে আর ওর ভাই তো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
আহানঃ উফফ কি যে করি। এতো দিন শুনেছিলাম মেয়ে মানুষ রা ফর্সা ছেলে পছন্দ করে। আজ জানলাম মেয়েরা ফর্সা নয় শ্যামলা ছেলে পছন্দ করে।
উফফ আল্লাহ তুমি কেন আমাকে এতো ফর্সা বানাতে গেলে( উপরে তাকিয়ে)।একটু তো শ্যামলা বানাতে পারতেন আমাক( অসহায় মুখ করে)
আহানঃ যেই ভাবেই হোক আমাকে ফর্সা থেকে শ্যামলা হতেই হবে।বাট কিভাবে হবো?? ফর্সা হওয়ার তো অনেক টেকনিক জানি কিন্তু শ্যামলা হওয়ার টেকনিক তো আমার জানা নেই।।কারো থেকে জিজ্ঞেস করলে কেমন হবে? উফ বাট কাকে আস্ক করব আবির ভাইয়া তো নাক টেনে টেনে ঘুমাচ্ছে।
আইডিয়া!!!
আমি সোহেলকে ফোন দেই ওই নিশ্চয়ই কোনো আইডিয়া দিতে পারবে আমায়।
কথাটি বলে তাড়াতাড়ি করে ফোন দিয়ে বসলো আহান।।
ফোন রিসিভ হলে…..
আহানঃ হ্যালো সোহেল।
সোহেলঃহ্যা বল দোস্ত(কান্নার কন্ঠে)
আহানঃ কি রে এই ভাবে কান্না করে কথা বলছিস কেন?
সোহেলঃ দোস্ত মেহেজাবিন এর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে……………