ছায়া হয়ে থাকবো পাশে পর্ব -০৭+৮

#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ০৭)
#Humayra_Khan
.
.
.
ফোন রিসিভ হলে…..
আহানঃ হ্যালো সোহেল।
সোহেলঃ হ্যা বল।( কান্নার কন্ঠে)
আহানঃ কি রে এই ভাবে কান্না করে কথা বলছিস কেন তুই
সোহেলঃ দোস্ত মেহজাবিন এর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে দোস্ত।
মেহজাবিন আমাকে রেখে বিয়ে করে ফেলছে।(কান্না করে)।
আহানঃ বিয়ে হচ্ছে তো কি হচ্ছে? বিয়ে তো সবাই করে।
সোহেলঃ তুই ভুলে গেলি আহান।মেহজাবিন যে থাকে আমার বুকের বা পাশে। ওকে ছাড়া আমি কিভাবে বাঁঁচব??? এ্যাাাাা…..
আহানঃ হায়রে কারে ফোন দিলাম। মনে মনে।
আচ্ছা দোস্ত তুই মন ভরে কান্না কর। আমি রাখি।
কথাটি বলে ফোনটা কেটে দেয় আহান..
আহানঃমার্কেট এ তো ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়।তাহলে শ্যামলা হওয়ার ক্রিম ও নিশ্চয়ই পাওয়া যায়।আমি কালই যাব মার্কেট।
এখন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরি। কিন্তু ঘুম আসবে কিভাবে ভাইয়া যে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
কিন্তু এখন না ঘুমালে তো কাল তাড়াতাড়ি উঠতে পারব না আমি।
কথাটি বলে আহান বিছানায় গিয়ে কানের উপর একটা বালিশ রেখে ঘুমিয়ে পরে।

সকাল হলে আহান মার্কেট যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হতে নিলে….
দিশাঃ ভাইয়া কোথায় যাচ্ছ এই সাজ সকালে??
আহানঃ এই তো ভাবি একটু কাজ আছে।চারু কোথায় ভাবি??
দিশাঃ ওর কাল রাতে অনেক মাথা ব্যাথা করছিলো।তাই ঘুমাতে পারেনি। একটু আগেই ঘুম দিল।
আহানঃ কি বল ভাবি??? আমি তাহলে দেখে আসি ওকে।
দিশাঃ হায়রে ভাইয়া এখন ও ঘুমাচ্ছে।তুমি রুমে গেলে ওর ঘুম ভেঙে যেতে পারে।অনেক কষ্টে ঘুম আসছে বেচারির। এখন তুমি যেই কাজে জন্য বাইরে যাচ্ছিলে সেই কাজে যাও।ফিরে আসলে ওর সাথে দেখা করে নিও।
আহানঃ আচ্ছা।।।
তারপর আহান চলে যায় মার্কেট এর উদ্দেশ্য এ।।।।
মার্কেট এ পৌছালে এক দোকানে গিয়ে……
দোকানদারঃ জ্বী ভাইয়া কি লাগবে বলেন আমাদের দোকানে সব পাওয়া যায়।( হাসি মুখে)
আহানঃ ভাই শ্যামলা হওয়ার কোনো ক্রিম আছে আপনার দোকানে???
দোকানদারঃ কি বলল শ্যামলা হওয়ার ক্রিম। নিশ্চয়ই আমি ভুল কিছু শুনেছি ।মানুষ তো ফর্সা হওয়ার ক্রিম চায় শ্যামলা হওয়ার নয়।মনে মনে
একটু আবার বলবেন কি বললেন???
আহানঃ আরে শ্যামলা হওয়ার ক্রিম আছে আপনার দোকানে???
দোকানদারঃ ভাই আপনি কি নেশা করে আসছেন সকাল সকাল????
আহানঃ ওয়াট ননসেনস।মাথা ঠিক আছে আপনার কি বলছেন এই সব??
দোকানদারঃ মাথা তো আপার গেসে।তাই তো এতো সুন্দর হয়েও শ্যামলা হওয়ার ক্রিম চাচ্ছেন।
আহানঃ চারু শ্যামলা ছেলে পছন্দ করে তাই তো ফর্সা থেকে শ্যামলা হতে চাচ্ছি( আনমনে)
হায়রে জিলাপির মতো কথা না পেচিয়ে বলেই তো দিতে পারেন আছে নাকি নেই??
দোকানদারঃ নাই নাই।অন্য কোথাও পাবেন না এইটাও সিউর।
দোকানদার এর কথার কোন উত্তর না দিয়ে চলে আসে আহান।
অনেক দোকানে গিয়ে শ্যামলা হওয়ার ক্রিম খুজে আহান
কিন্তু পায় শুধু নিরাশা
খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে আহান একটা পার্কে এসে বসে।
আহান যে বেঞ্জ এ বসে ছিলো সে বেঞ্চ এ একটা লোক এসে বসে। আহানকে চিন্তিত দেখে-
লোকটিঃ ভাই কোনো সম্যসা?।আপনাকে অনেক চিন্তিত মনে হচ্ছে???
আহানঃ লোকটাকে কি বলব আমার প্রব্লেম এর কথা যদি সেও আমার উপর হাসা হাসি করে অন্যান্য মানুষ দের মতো। কিন্তু আমাকে তো শ্যামলা হতেই হবে চারুর জন্য। থাক তাকে আস্ক করে দেখি যদি সে জানে কোনো ক্রিমের নাম।আনমনে
লোকটির দিক এ মুখ করে –
আহানঃ ভাই শ্যামলা হওয়ার কোন ক্রিম এর নাম জানেন??
লোকটিঃ কি ছ্যামরা হওয়ার ক্রিম??
আহানঃ এই মিয়া আমার ফেস দেখে কি আমাকে মেয়ে মানুষ মনে হচ্ছে যে আমি আপনার কাছ থেকে ছ্যামরা হওয়ার আই মিন ছেলে হওয়ার ক্রিম চাইব??
কথাটা আহান একটু জোরেই বলে যার কারনে লোকটি রেগে মেগে যায়।
লোকটিঃ ওই মিয়া এতো চেচিয়ে কথা বলছেন কেন।?(কান থেকে হেড ফোনটা খুলে)
আপনার কি মনে হয় আমি কানে কম শুনি যে এতো চেচিয়ে চেচিয়ে কথা বলছেন আমার সাথে???
আর কি বলছিলেন শ্যামলা হওয়ার ক্রিম? ক্রিম ট্রিম না খুজে পাগলা মাথা টা ঠিক হওয়ার ঔষধ খুজুন গিয়ে।আপনার ওইটাই বেশি জরুরি।।।।
আহানঃআরও কিছু??
লোকটি আহানের কথা শুনে অবাক হলে-
আহানঃ অবাক হওয়ার মতোই কিছুই নেই
আরও কিছু বলতে মন চাইলে বলে ফেলুন একবারেই।
আর এইখান থেকে যান।
লোকটি ঃ ওই মিয়া বেঞ্জ টা কি আপনার? নাকি এই পার্ক টা আপনার যে আপনি বললেন আমি চলে যাব?
আহানঃ ভাই অনেক বড় ভুল হয়েছে আমার।আপনার যাওয়া লাগবেনা।।আপনি এইখানে আরামসে বসুন আর আমিই চলে যাচ্ছি।
কথাটি বলে আহান চলে যেতে নিলে
লোকটিঃ কোথা থেকে যে আসে এই সব পাগল টাগল.
লোকটির কথা শুনে আহানের বেশ মাথা গরম হয়।
কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়ও
আহানঃ না কিছু বলার দরকার নেই।কিছু বলতে গেলে আরও কথা শুনিয়ে দিবে আমাকে।আমি বরং কেটে পরি এই খান থেকে।
আহান চলে যেতে নিলে লোকটি ওকে ডাক দিয়ে-
এই যে মিস্টার??
লোকটির ডাক শুনে আহান থেমে যায়।
আহানঃ নিশ্চয়ই আরও কিছু শুনানোর জন্য ডাকছে আমাকে। মনে মনে
আহানঃ জ্বী বলুন আরও কিছু শুনানোর বাকি আছে(শুকনো একটা হাসি দিয়ে)
লোকটিঃ হুম।আমার কাছে শ্যামলা হওয়ার একটা আইডিয়া আছে।
লোকটির কথা শুনে আহান খুশি হয়ে তার পাশে বসে–
আহানঃ জ্বি ভাইয়া বলুন আমাকে প্লিজ আইডিয়া টা।আমার যে শ্যামলা হওয়া অনেক বেশি দরকার।
লোকটিঃ আপনি চাইলে বাচ্চাদের কপালে দেওয়ার কাজল উইস করতে পারেন মুখে।ওই টা উইস করলে আমি ডেম সিউর আপনি কয়েক দিন এর মধ্যেই ফর্সা থেকে শ্যামলা হয়ে যাবেন
লোকটির কথা শেষ না হতেই আহান লোকটির গালে চুমু দিয়ে বসে।
লোকটিঃ এইটা কি ছিলো? ( অবাক হয়ে)
আহানঃ থ্যাংকস ভাই আপনি জানেন না আপনি আমার কতো বড় উপকার টা করলেন।
লোকটিঃ বলদ একটা আমার কথা বিশ্বাস করে ফেল্ল
(আনমনে)
তারপর আহান লোকটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মার্কেট থেকে বাচ্চাদের দেওয়া কাজলের কৌটা কিনে বাসায় ফিরে আসে।।
বাসায় এসে দরজায় নক দিলে দিশা এসে দরজা খুলে দেয়।
আহান ভিতরে ডুকলে-
দিশাঃ ভাইয়া কোথায় ছিলে এতক্ষন ধরে???সেই কোন সময় বের হয়েছো আর এখন আসলে বাসায় ;
আবির দিশার কথা মাঝ খান দিয়ে বলে উঠে-
আবিরঃ আরে বাবা। ভাইটাকে তো একটু বসতে দিবা শান্তি তে বাইরে থেকে আসছে বেচারা।তা নয় টিচার এর মতো করে প্রশ্ন করেই যাচ্ছ আমার ভাই টাকে।
দিশাঃ কি বললে আমি টিচার এর মতো প্রশ্ন করি(কোমড়ে হাত রেখে)
আবির দিশা কে কিছু বলতে যাবে-
আহানঃ উফফ দুই জন চুপ করো তো। কি শুরু করেছ আবার।।।
দিশাঃ আমি শুরু করলাম নাকি তোমার ভাই শুরু করল???
আবিরঃ ইসস নিজে মনে হয় দুধের দোয়া তুলসি পাতা( ভেংচি কেটে)।
আহানঃ আল্লাহর দোহায় লাগে দুই জন চুপ কর।
আমার মাথা ধরে গেছে তোমাদের বক বক শুনতে শুনতে।আর নিতে পারছিনা আমি।।।
আচ্ছা ভাবি চারু কোথায় ওকে দেখছিনা যে??
দিশাঃ ভাইয়া ও তো রুমে।
আহানঃ আচ্ছা আমি ওকে দেখে আসছি।কথাটি বলে আহান চলে আসে সেখান থেকে।আর দিশা আর আবির চুহা বিল্লির মতো ওই খানে দাড়িয়েই ঝগড়া করতে থাকে
আহান রুমে আসলে দেখে দরজা খোলা। নক দিতে নিলে খেয়াল করে চারু গোসল করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ওর ভিজা চুল গুলে হেয়ার ড্রায় দিয়ে শুকাচ্ছে আর বিড় বিড় করে গান গাইছে।
আহান চারুকে এইভাবে দেখে–
আহানঃ হায়….. মার হি ডালা( বুকের বা পাশে হাত রেখে)।।।
চারু আয়নায় আহানকে দেখতে পেলে পিছনে ঘুরে তাকায়।
চারুঃ ভাইয়া আপনি????…….
আহানঃ…………….#ছায়া_হয়ে_থাকবো_পাশে (পর্ব ০৮)
#Humayra_Khan
.
.
.
আহান চারুকে এইভাবে দেখে-
আহানঃ হায়…মার হি ডালা(বুকের বা পাশে হাত রেখে)
আহান বেশ কিছু সময় ধরে দরজার সাথে হেলান দিয়ে চারুকে এইভাবে দেখে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ চারু আয়নায় আহানকে দেখতে পেলে-
চারু ঃ ভাইয়া আপনি??
আহান চারুর কথা শুনে থতমত খেয়ে যায়।
আহানঃ হ্যা আমি।
চারু ঃ বাইরে কি করছেন ভিতরে আসুন।
আহান চারুর অনুমতি পেয়ে রুমে প্রবেশ করে।
চারুঃ ভাইয়া কি জন্য আসছিলেন???
আহানঃ আসলে….(মাথা চুলকিয়ে)
চারু ঃ হ্যা বলুন।
আহানঃ আসলে ভাবি তোমাকে ডাকছিল তাই তোমাকে বলতে আসলাম।
চারু ঃ আচ্ছা চলেন তাহলে।
চারু আর আহান ড্রয়িং রুমে আসলে দেখে আবির আর দিশা এখনো ঝগড়া করছে।
আহানঃ আল্লাহ তোমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। (হেসে)
দিশাঃ দেখেননা ভাইয়া আপনার ভাই আমাকে কখন থেকে ঝালিয়ে মারছে।
আবিরঃ হ।নিজে তো সাধু ।কিছুই জানেনা।
নিজেই আমার সাথে অকারণে ঝগড়া করছে এখন আমার ভাই এর কাছে নালিশ করছে আমায় নিয়ে।
আহান হঠাৎ দাড়া থেকে বসে পরে ফ্লোরে।
আহান এই ভাবে ফ্লোরে বসায় চারু দিশা আবির বেশ অবাক হয়।
দিশাঃ ভাইয়া আপনি এই ভাবে বসে পরলেন কেন??
আহানঃ কি করব ভাবি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপনাদের ঝগড়া দেখতে দেখতে আমার পা টা ব্যথাই হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম বসে বসে আপনাদের ঝগড়া দেখি কি বলো চারু ঠিক বলছিনা আমি??
চারু ঃ হ্যা ভাইয়া একবারে ঠিক কথা বলেছেন আপনি।
কথাটি বলে চারুও আহানের মত ফ্লোরে বসে পরে আহানের পাশে।
আহান আর চারু এ-ই ভাবে বসে পরায় বেশ শরম পায় দিশা আর আবির।
দিশাঃ সরি ভাইয়া(কানে হাত রেখে)
আর হবেনা এমন।
আহান আর চারু দিশার কথা শুনে ফ্লোর থেকে উঠে পরে তাড়াতাড়ি করে।
আবিরঃ আহানের সাথে সাথে আমাকেও সরি বলা উচিত ছিল তোমার।(মুখ বাকা করে)
দিশাঃ তোকে তো আমি পরে দেখে নিব।আজ তর বারো টা না গুনে গুনে তেরো টা বাজিয়ে দিব আমি দেখে নিশ তুই।আনমনে (আবির এর দিক এ রাগি দৃশটিতে তাকিয়ে)
আহানঃ ভাইয়া সরি বলার কি দরকার আবার।ভাবি তোমাকে কোনো সরি টরি বলতে হবেনা।
দিশাঃ না ভাইয়া থাক আমারই দোষ ছিল।
আবির আই এম সরি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।
আবিরঃ ইটস ওকে( হাসি দিয়ে)
দিশাঃ অনেক হাসি পাচ্ছে না।হাসো হাসো বেবি বেশি করে হেসে নাও। একটু পর তোমাকে কান্না করতে হবে।
আনমনে।
দিশা ঃ ভাইয়া আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন আমি খাবার বারছি।
আহানঃ জ্বি ভাবি।
চারু ঃ ভাবি চলো আমিও তোমাকে হেল্প করি।
দিশাঃ আচ্ছা আসো আমার সাথে।
তারপর দুই জন মিলে ডায়নিক টেবিল খাবার বেরে আহান আর আবিরকে ডাক দেয়।
আহান আর আবির খাবার টেবিল এসে বসলে
খাবার মুখে দিয়ে –
আহানঃ খাবার খেয়ে তো মনে হচ্ছে খাবারটা চারু রান্না করেছে।আনমনে
ভাবি খাবার টা যে কি মজা হয়েছে না। বলে বোঝাতে পারব না তোমাকে। তোমার হাতে চুমু দিতে ইচ্ছে করছে।
দিশাঃ ভাইয়া তাহলে তুমি চারুর হাতেই দিয়ে দাও।(হেসে) কারন আজ আমি রান্না করিনি চারু রান্না করেছে।
চারু দিশার কথা শুনে আহানের দিক এ তাকিয়ে বেশ লজ্জা পায়।
চারু ঃ ভাবি আমার একটু কাজ আছে আমি রুমে যাচ্ছি।
দিশাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেই খান থেকে তাড়াতাড়ি করে চলে আসে চারু।
আহানঃ উফফ কেন যে বলতে গেলাম কথাটা।শরম পেয়ে এখন না খেয়েই চলে গেল। (মন খারাপ করে) আনমনে।
ভাবি তুমি ওর খাবার এর প্লেট টা আমাকে দাও আমি গিয়ে দিয়ে আসি ওকে
দিশাঃ আগে তুমি তো খেয়ে নাও।
আমি খাবার টা খেয়ে ওকে রুমে গিয়ে দিয়ে আসব নে।
আহানঃ ভাবি আমার খাওয়া হয়ে গেছে।
দিশাঃ সে কি কথা তুমি তো কিছুই খেলে না।আর বলছো খাওয়া হয়ে গেছে।
আহানঃ আমার খিদে নেই ভাবি।তাই খেতে পারছিনা। তুমি চারুর খাবার এর প্লেট টা আমাকে দাও আমি গিয়ে ওকে দিয়ে আসি।আর তুমি আর ভাইয়া আস্তে ধিরে খাও।
আবিরঃ আরে দিশা ও যেহেতু এতো বার বলছে তাহলে দিয়েই দাও না ওকে। আহান গিয়েই দিয়ে আসুক।
দিশা আবির এর কথায় আর কিছু না বলে খাবার এর প্লেট টা আহানকে দিয়ে-
দিশাঃ নাও ভাইয়া তুমি তাহলে দিয়ে আসো খাবারটা চারু কে গিয়ে।
খাবার এর প্লেট টা নিয়ে আহান চলে যায় চারুকে দিতে।
দরজার সামনে এসে নক দিয়ে-
আহানঃ চারু আসবো ভিতরে?
চারুঃ ভাইয়া আসেন।
আহান রুমে ভিতরে ডুকে খাবার এর প্লেট টা নিয়ে চারুর সামনে দাঁড়িয়ে
আহানঃ এই ভাবে না খেয়ে চলে আসলে কেন ওই খান থেকে।নাও খাবারটা খেয়ে নাও লক্ষী মেয়ের মতো।
চারু ঃ ভাইয়া আসলে আমার খিদে নেই। যখন খিদে লাগবে তখন খেয়ে নিব নে।।
আহানঃ আমি তোমাকে আস্ক করছি না আমি তোমাকে অর্ডার দিচ্ছি।বেশি কথা না বলে জলদি করে খেয়ে নাও খাবারটা।আর একটা কথা বার বার রিপিট করা আমি মোটেও লাইক করিনা কিন্তু।
চারু আহানের কথা শুনে বেশ ভয় পেয়ে যায়।আহানের হাত থেকে প্লেট টা নিয়ে সোফায় বসে তাড়াতাড়ি করে খেতে শুরু করে বাচ্চাদের মতো।
আহানঃ ইসস আমার যে কি খিদা লেগেছে।
চারু আহানের কথা শুনে খাওয়া বন্ধ করে ওর দিক এ অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে।
চারু ঃভাইয়া আপনি খাননি?
আহানঃ না।
চারু ঃকিন্ত আপনি তো ডায়নিক টেবিল এ বসে খাচ্ছিলেন ?
আহানঃ হ্যা কিন্তু হঠাৎ করে আমার ডান হাত টা প্রচুর ব্যথা করছে তাই হাত দিয়ে খেতে পারছিনা
চারু ঃ তাহলে খাবারের প্লেট টা নিয়ে আসলেন কিভাবে ব্যথার হাত দিয়ে।
আহানঃ ওই টা তো আমি আমার বাম হাত দিয়ে নিয়ে আসছি।তুমি হয়ত খেয়াল কর নি।ব্যথার কারনে খাবারই খেতে পারলাম না।প্লেট ধরব কিভাবে বল?
তুমি ও সব কথা বাদ দাও তুমি খেয়ে নাও।
চারু আহানের কথা শুনে কি জানি ভাবল। তারপর
চারু ঃভাইয়া আপনি কিছু মনে না করলে আমি খাইয়ে দিতে পারি আপনাকে।
আহানঃ না না তোমার কষ্ট করার কি দরকার?ব্যথা কমে গেলে আমিই আমার হাত দিয়ে খেয়ে নিব নে।
চারু ঃআরে ভাইয়া আমার কোন কষ্ট হবেনা আপনাকে খাইয়ে দিতে।। তাই আপনি এইখানে বসুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি আপনাকে।
আহান চারুর কথা খুশি হয়ে সোফায় বসে পরে।
আহান চারুর পাশে বসলে চারু আহানকে খাইয়ে দিতে থাকে নিজ হাত দিয়ে সাথে নিজেও খেয়ে নেয়।
আহানঃ ভালোবাসার মানুষ এর হাত দিয়ে খাবার খেতে মজাই আলদা।, আনমনে
সন্ধা বেলা……
আবিরঃ দিশা আজ আমার জন্য ক্ষির বানিয়ে দিয়ে তো।
দিশাঃ ইসস আসছে ক্ষির খেতে আমি তো পারলে আপনাকে তেলাপোকা মারার ওষুধ খাইয়ে দেই(ভেংচি কেটে)
আবিরঃ কি তুমি আমাকে তেলাপোকা ওষুধ খাইয়ে মেরে ফেলতে চাও।
চারু ঃ ভাইয়া আমি বানিয়ে দিব নে আপনার জন্য ক্ষির আজ।
আবিরঃ সত্যি চারু তুমি বানিয়ে দিবে।
দিশাঃ কোন দরকার নেই চারু এ-ই শয়তানটার জন্য ক্ষির বানানোর।
আবিরঃ এই তুমি বানাবে না মানলাম।চারু বানাতে চাচ্ছে ওকেও মানা করছো কেন। তুমার সম্যসা টা কি
আহান ঃ……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here