তুমি শুধু আমার পর্ব -১৬

#তুমি_শুধু_আমার
#written_by_ayrin
#part 16

নিহানের সেটা দেখে মনে হলো কেউ ওর কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিয়েছে। নিহান জোরে বললো স্টপ,,,

নিহানের কথা শুনে মেহের হাসি থামিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকলো। আর ঠোট কামড়ে নিজের হাসি আটকানোর বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছে। রিহান মেহেরকে ধমক দিয়ে বললো।তোমাকে কখন থেকে জিজ্ঞেস করছি এভাবে হাসছো কেন? উত্তর না দিয়ে এভাবে দাত বের করে হাসছো কেন?

মেহের হাসি থামিয়ে রিহানকে (নিহান আর ঐ মহিলার কথা বললো। রিহান সবটা শুনে নিহানের দিকে কিছুক্ষণ গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে থেকে ঘর কাঁপিয়ে হেসে দিলো)।

নিহান রিহানকে হাসতে দেখে মেহের আর রিহানকে মারার জন্য ওদের পিছু পিছু পুরো বাড়ি দৌড়াচ্ছে।
রিহানের মা সেটা দেখে বললো তোরা এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন? বাচ্চা হয়ে গেলি নাকি।রিহানের বাবা হাসতে হাসতে বললো এতদিনে মনে হচ্ছে এই বাড়িটায় কোন মানুষ থাকে। রিহানের মাও আজকে অনেক খুশি।

প্রায় এক মাস পর,,
এই কয়দিনে রিহান আর মেহেরের সম্পর্ক প্রায় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মেহেরের আজ সকাল থেকেই মাথা ঘুরছে আর বমি হচ্ছে৷ রিহান কিছুই জানেনা। নিহান ভার্সিটির জন্য মেহেরকে ডাকতে এসে যখন দেখলো মেহের বমি করছে। তখন সে তাড়াতাড়ি মেহেরের কাছে গিয়ে জিঙ্গেস কি হয়েছে?

মেহের যখন বললো মাথা ঘুরছে বমি পাচ্ছে তখন নিহান চিল্লাতে চিল্লাতে দৌড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ওর বাবা মা’কে গিয়ে বললো বাবা মা তোমরা দাদা দাদি হতে চলেছো৷ রিহানের বাবা কিছু বুঝতে না পেরে নিহান কে বললো কি বলছিস এসব? তুই আমাদেরকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিস?
নিহান- আরে আমি না। ভাইয়া বাবা হবে, আর মেহের মা। তখন রিহানের বাবা মা দুজনেই খুশি হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠলো৷ রিহানের মা’ও মেহেরকে মেনে নিয়েছে৷
নিহানের বাবা নিহানকে বললো রিহানকে এই খবর জানিয়েছিস?আর তুই কিভাবে জানলি মেহের মা হবে।

নিহান বললো আমি সিউর মেহের মা হবে। আমি ভাইয়াকে বাড়িতে আসতে বলছি দাঁড়াও। নিহানের বাবা বললেন সাথে মিষ্টিও নিয়ে আসতে বলিস। আর রিহানকে বাড়ি আসার পর ওর বাবা হওয়ার খবর দিস।

নিহান রিহানকে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বললো আরও মিষ্টিও নিয়ে আসতে বললো। রিহান বুঝতে পারছেনা কিসের জন্য এত তাড়াতাড়ি বাড়িতে যেতে বলছে৷ ও আর কিছু না ভেবেই মিষ্টি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো। রিহান বাড়িতে ঢুকা মাত্রই নিহান এসে তার কাছ থেকে মিষ্টির পেকেট ছিনিয়ে নিলো।

রিহান মনে মনে বললো এভাবে ছিনিয়ে নেয়ার কি আছে আজব। আমাকে বললে কি আমি দিতাম না?
নিহান একটা মিষ্টি নিয়ে রিহানের মুখে দিয়ে বললো দিয়ে বললো congratulations bro,
রিহান কিছুই বুঝতে পারছেনা৷ তার মধ্যে ওর বাবা এসে ওকে জরিয়ে ধরে অভিনন্দন জানাচ্ছে। রিহান তার মাকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে মা? সবাই এমন বিহেভিয়ার কেন করছে? রিহানের মা বললো তুই বাবা হতে চলেছিস। আমরা অনেক খুশি হয়েছি আজ,,

রিহান কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো অসম্ভব এটা হতেই পারেনা।
নিহান- হয়েই গেছে। আমি চাচ্চু হতে চলেছি আর তুই বাবা।
রুহান- তোকে কে বললো আমি বাবা হবো?
নিহান- আমি নিজে আজকে মেহের কে দেখেছি ও বমি করেছে আর ওর মাথাও ঘুরছে।
রিহান- আর এটা দেখেই তুই ভেবে ফেলেছিস মেহের প্রেগন্যান্ট?
নিহান- হুম, এর থেকেই বুঝা যায় মেহু প্রেগন্যান্ট।
রিহান নিহানের কানে কানে বললো আমি এখনো বেবি নেওয়ার মতো কিছুই করেনি। তো বেবি কি আকাশ থেকে পরবে গাধা,,তুই বাবা মা কে বল মেহের প্রেগন্যান্ট না।
আমি মেহেরের কাছে গেলাম নিশ্চয়ই সকাল থেকে বমি করতে করতে দুর্বল হয়ে গেছে। গাধার মতো আমাকে না জানিয়ে নিজেই ডক্টর সেজে মানুষকে মিথ্যা প্রেগন্যান্সির খবর দিচ্ছে৷ রুহান নিহানের মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে রুমে চলে গেলো। এদিকে সবাইকে জানানো হয়ে গেছে মেহের মাঝে হবে।
__________________________

সিমি রিহানদের বাড়ি থেকে চলে এসেছিলো আর দশ বারো দিন আগে৷ যতদিন রিহানদের বাড়িতে ছিলো ততদিন চেষ্টা করে গেছে রিহানকে মেহেরের থেকে ধুরে রাখতে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। পরবর্তীতে রিহানের মা’কে যখন মেহেরের ফেইক ছবি গুলো দেখিয়েছিলো তখন তিনি বলেছিলেন, মেহের কে আমি খারাপ বললেও বাস্তবে কিন্তু মেহেরের কোন দোষ নেই৷ আর মেহেরও এমন করতেই পারেনা। তখন হঠাৎ দেখে রেগে গিয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম এই ছবি গুলো ভুল হতেই পারে৷ আর সিমিকেই বললো তুই এ-ই ছবি কই পেয়েছিস৷

সিমি তখন বলেছিলো আমাকে কে যেন পাঠিয়েছে। রিহানের মা তখন বলেছিলো তোকে কে এসব ছবি পাঠাতে যাবে?
সিমি আমতা আমতা করে বলেছিলো আমি কিভাবে জানবো?

তখন রিহানের মা সিমিকে বললো, দেখ সিমি তুই রিহানকে ভুলে নতুন করে জীবন শুরু কর। রিহান মেহেরকে নিয়ে খুশি আছে। দোয়া করি তোর জীবনে খুব ভালো একজন কেউ আসুক।
সিমি সেদিন আর কিছু বলেনি, এতক্ষণ এসব কিছুই ভাবছিলো সিমি। কিছুক্ষণ আগেই খবর পেয়েছে রিহান বাবা হবে৷ সে কিছুতেই এসব মানতে পারছেনা। তাই ও ডিসিশন নিয়েছে ও মেহেরকেও খুশি থাকতে দিবেনা৷
সে অনুযায়ী প্লেনও সাজিয়ে ফেলেছে।
___________________________

রিহান রুমে গিয়ে দেখলো মেহের শুয়ে আছে মাথায় হাত দিয়ে৷ ও তাড়াতাড়ি মেহেরের পাশে গিয়ে বললো তোমার যে শরীর খারাপ আমাকে একবার জানিয়েছো।

মেহের- এতোটা সিরিয়াস কিছুও হয়নি যে আপনাকে জানাতে হবে।
রিহান-এতকিছু শুনতে চাইনা। তাড়াতাড়ি রেডি হও ডক্টরের কাছে যাবো।

মেহের অনেক বার বারণ করা সত্বেও রিহান জোর করে মেহেরকে নিয়ে হসপিটালের আসলো। ফুড পয়জনিংয়ের কারণে মেহের অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। হসপিটাল থেকে বাড়িতে আসার পরই রুহান মেহেরের উপর রিতীমত খাবারের টর্চার শুরু করেছে৷

দুইদিন পর,
আজকে মেহেরের জন্মদিন। তাই রিহান মেহেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য প্লেন করছে।তাই অফিস শেষ করে বাড়িতে ফিরে আর মেহেরের সামনে যায়নি। মেহের বাদে বাকি সবাই সারপ্রাইজ এর কথা জানে।

মেহের রিহানের জন্য অপেক্ষা করছে সেই কখন থেকে। কারণ সে আজকে সিমির এডিট করা ঐ ছবি গুলো পেয়েছে রিহানের ড্রয়ারে। তাই রিহানের থেকে এই বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু রাত প্রায় বারোটা বাজতে চললো রিহান এখনো বাড়িতে ফেরেনি। মেহেরের এখন টেনশন হচ্ছে।

তখনই মেহেরের ফোনে কল আসলো৷ রিহানের নাম্বার দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করে জিঙ্গেস করলো কোথায় আপনি, এখনো বাড়িতে আসেন নি কেন?
রিহান- কেন আমাকে মিস করছো বুঝি?

মেহের আমতা আমতা করে বললো আপনাকে আমি কেন মিস করতে যাবো। প্রতিদিন তো সন্ধায় বাড়িতে ফিরে আসেন। আজ বারোটা বাজতে চললো এখনো আসেননি তাই জিজ্ঞেস করেছি৷

রিহান- আমার জন্য টেনশন করছিলে আমি জানি৷ এতো মিথ্যা কথা বলার দরকার নেই। আমি বাড়িতেই আছি। তুমি ছাদে চলে আসো। আজকে তারা বিলাস করবো। আর আমার আলমারিতে তোমার জন্য একটা শাড়ি রাখা আছে ঐটা পরে আসবে। আমার কথা অমান্য করলে কিন্তু তারা বিলাসের সাথে বাসর বিলাস ও করে ফেলবো৷

মেহের রিহানকে বকতে বকতে শাড়ি পরে নিজেকে গুছিয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। ছাদে গিয়ে দেখলো চারদিকে অন্ধকার। মেহের রিহানকে ডাকতে শুরু করলো। কেউ উত্তর না দেওয়ায় বললো রিহাইন্নার বাচ্চা শুধু শুধু আমাকে কষ্ট করে শাড়ি পরিয়ে ছাদে নিয়ে এসে নিজেই হাওয়া হয়ে গেছে। বলতে বলতে ছাদ থেকে নামতে যাবে তখনই চারদিকে আলো জলে উঠলো। আর রিহান নিহান ওদের বাবা, মা সবাই একসাথে বললো হ্যাপি বার্থডে মেহের।

মেহের চারদিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কারণ ওর বাবা মা মারা যাবার পর ওর জন্মদিনের কথা ও ভুলেই গিয়েছিলো৷ তাই আজকে যে ওর জন্মদিন সেটাও ভুলে গেছে৷এখন তার বাবা মাকেও অনেক মিস করছে। রিহানের মা এসে বললো কিরে এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন? বাবা মায়ের কথা মনে পরছে? আমরা আছিতো তোর সাথে মন খারাপ করছিস কেন? জানি তোর সাথে অনেক অন্যায় করেছি, তারজন্য তোর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি মা। পারলে এই মা টাকে মাফ করে দিস। মেহের উনাকে জরিয়ে ধরে বললো এভাবে বলছো কেন। তুমিই তো আমার মা। মা কখনো সন্তানের কাছে ক্ষমা চায়না৷ রিহানের মা মেহেরের কপালে চুমু খেয়ে বললো আমার লক্ষি মেয়ে।
রিহানের বাবা বললো মাকে পেয়ে মেয়ে আমার আমাকেই ভুলে গেছে। আমি মনে বুড়ো হয়ে গেছি তাই আমাকে আর ভালোলাগে না।
মেহের উনাকেও বললো আপনাকেও অনেক ভালোবাসি আঙ্কেল।
রিহানের বাবা বললো ভালোবাসলে আঙ্কেল না বলে বাবা ডাকতে৷
মেহের বললো আপনাকেও ভালোবাসি বাবা।

নিহান বললো আহা কি ভালুপাশা। বলি কি তোমাদের ভালুপাশা দেখানো শেষ হলে মেহের একটু চারপাশে তাকিয়ে দেখ,তোর জন্য আমার ভাইয়া কত কষ্ট ডেকোরেশন করেছে।
মেহের চারপাশে তাকিয়ে দেখলো সত্যিই অনেক সুন্দর করে সাজানো। আর রিহানও তার সাথে মেচিং করে একটা শার্ট পরে আছে।

রিহান বললো তাহলে কেক কাটা যাক। কেককাটা শেষে রিহানের বাবা মা নিহান মেহের আর রিহানকে আলাদা সময় কাটাতে দিয়ে তারা নিচে চলে গেলো৷
——————————–
ওরা চলে যাওয়ার পর মেহের রিহানকে বললো আপনি কি এখানেই থাকবেন? রুমে যাবেন না।
রিহান বললো তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো যদি শুনতে। মেহের বললো কি কথা?

তোমার সাথে যখন আমার বিয়ে হয় তখন আমি বিয়েতে রাজি ছিলাম না। বাবা আর দাদির কথা রাখতেই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করেছিলাম।
বিয়েটা না মানতে পেরে এক প্রকার বাড়ির সবার উপরে রাগ করেই কানাডা চলে গিয়েছিলাম।
কিন্তু আমি জানতাম না আমি চলে যাওয়াতে তোমাকে এত অত্যাচার সহ্য করতে হবে।
তার কিছু বছর পর আমার পড়াশোনা শেষ হলে আমি ওখানেই সেটেল্ড হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মা আমাকে বলেছিলো তুমি এবাড়িতে থাকো না। মায়ের সাথে খারাপ বিহেভিয়ার করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছো। তখন মায়ের কান্না দেখে বিডিতে ফিরে আসি। কিন্তু এখানে এসে তোমার মায়ায় পরে গিয়েছিলাম। সে মায়া কাটাতেই আবার কানাডা বেক করেছিলাম৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে তোমাকে ভুলতে যেয়ে প্রতিটা মুহুর্ত তোমার কথাই মনে পরেছে। বুঝতে পেরেছিলাম ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়, কিন্তু নিজের ইগোর কারণে তোমার কাছে ফিরতে চাইনি৷ কিন্তু,
তোমার আর আকাশের কাপল পিক দেখে নিজেকে কিছুতেই বুঝাতে পারিনি যে তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো৷বার বার মনে হয়েছে তুমি শুধু আমার।

নিজের জেদের কাছে হার মেনে বিডিতে তোমার কাছে ফিরে এসেছিলাম। এবং এসে বুঝতেও পেরেছি তোমার আর আকাশের কোন সম্পর্ক ও নেই। আর তোমার প্রতি বিশ্বাস টাও আরো বেড়ে গিয়েছিলো। কিছুদিন আগেও তোমার সাথে একটা ছেলের ছবি কেউ আমাকে পাঠিয়েছিলো।প্রমিস আমি একটুও ঐ ছবিটাকে বিশ্বাস করেনি। তোমাকেও দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝবে ভেবে দেখায়নি। তবে এসব কিছুর মধ্যে একটা কথাই বলতে চাই ভালোবাসি তোমায় খুব ভালোবাসি । শুধু আমার পাশে থেকো প্রমিজ আর কোনদিন জেনেশুনে তোমাকে কষ্ট পেতে দিবো না।
তুমি আমাকে না মানলেও তুমি শুধু আমার।

রিহান এতগুলো কথা বলে একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে বললো আমিও জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো৷
মেহের- এতক্ষন উনার সব কথায় চুপ থেকে শুনছিলাম।তারপর বললাম, আমি আপনাকে ভালোবাসি তা আপনাকে কে বললো৷ আমি আপনাকে একটুও ভালোবাসি না।

রিহান বললো তাই তাহলে আমি অন্য কারো হয়ে যাই। তুমি শুধু আমারই থাকবে আর আমি অন্য কারো হবো।
মেহের রিহানকে মারতে মারতে বললো একদম খুন করে ফেলবো৷ তুইও শুধু আমার বুজেছিস?

রিহান মেহেরকে জরিয়ে ধরে বললো হুম বুঝতে পেরেছি৷ বউ আমার সোজা আপনি থেকে তুমিতে চলে গিয়েছে।
মেহের-হুম,তুই শুধু আমার।

রিহান মেহেরকে ভালোভাবে দেখে বললো শুধু শাড়ি পরেই এভাবে পেত্নীর মতো চলে এসেছো। একটু সেজে গুজে আসতে পারলে না।
মেহের বললো জানিতো আমি সুন্দর না। আমাকে আপনার ভালোও লাগেনা।
রিহান মেহেরকে কোন কিছু না বলে মেহেরের ওষ্ঠে ডুবিয়ে দিলো নিজের ওষ্ঠদ্বয়।
কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে বললো মাই ওয়াইফ ইস মোস্ট বিউটিফুল। মেহের লজ্জা পেয়ে কোন কথা না বলে রিহানের বুকেই মুখ লোকালো,

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here