#শুধু_তুৃমি
পর্ব-৬
#Nirzana(Tanima_Anam)
-এভাবে পেট বের করে কাকে দেখাচ্ছো?এ ঘরে তো আমি ছাড়া আর কেউ নেই??ওওও ওয়েট ওয়েট তার মানে তুমি আমাকেই…!!এতোয় যদি দেখানোর ইচ্ছে থাকে তাহলে এভাবে আর্ধেক দেখানোর কি দরকার পুরোটাই না হয় দেখা…..
সরবকে কথা বলতে না দিয়ে নূহী শাড়ির আচলটা ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে মুখ বাকিয়ে উওর দেয়
-আমার বয়েই গেছে আপনাকে দেখাতে…..!!
আর আপনার কোনো কাজ নেই সারা দিন শুধু আমার খুত ধরে বেরান….
-বাবাহ্ একেই তো নিজে থেকে আমাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছো তার উপর বললেই দোষ!!
নূহী আর সরবের সাথে কথা বরায় না সে নিজেও জানে সরবের সাথে মুখ লাগিয়ে সে পারবে না।তাই মুখ বাকিয়ে গুটি গুটি পায়ে হাটা ধরে উল্টো পথে।
অতীতের হাতরিয়ে বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত চোখের সামনে ভেসে উঠে নূহীর।কি ভালোই না ছিলো সেই দিনগুলো।
আনমোনে নিজে নিজেই হেসে দেয় নূহী।হটাৎই পেছন থেকে কেউ একজন এসে নূহীকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঠাটিয়ে একটা চড় মারে।
ঘটনাটা হুট করে ঘটাই নূহী টাল সমলাতে না পেরে নিচে পরতে নিলে সরব আবার নূহীর হাত ধরে নেয়।নূহীকে টেনে আবার দাড় করিয়ে দেয়।।
নূহী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সরবের দিকে….
সরব যেন চোখ দিয়েই তাকে ভস্ম করে দিচ্ছে।
-আমাকে মার…ররলেন কেন?
-কোই মারলাম আমি তো তোমাকে আদর করলাম তুমি অনেক মহান কাজ করছো তাই এই আদর।
-কি করছি আমি??
– ঐ যে বললাম মহান কাজ করছো….!! বেঈমান কোথাকার তোমার জন্য কি করি নাই আমি বাসার সবার বিরুদ্ধে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করলাম তোমাকে আশ্রই দিলাম আর তুমি মায়ের হাত ধরে চলে আসলা আমাকে একবার বলার প্রয়োজন বোধ করলা না!!এতোটা অকৃতজ্ঞ তুমি?অবশ্য কাকে কি বলছি তোমার অকৃতজ্ঞতার নমুনা আমি তো আগেও পেয়েছি!!
-আসলে…..
-আসলেই তুমি একটা বেঈমান। তোমার কাছে ভালোবাসা অনুভূতী কোনো কিছুরই দাম নাই।।
-ভালোবাসা??কিসের ভালোবাসা কে কাকে ভালোবাসে সরব ভাই।আপনি আর নিসু আপু দুজন দুজনকে ভালোবাসেন।আপনাদের গায়ে হলুদের দিন আমার সাথে আপনার বিয়ে হয়।আমাদের বিয়েটা ভালোবাসাবসির বিয়ে ছিলো না।আমরা শুধু পরিস্থিতির স্বীকার মাত্র।
কথাগুলো বলেই নূহী মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
সরব কি বলবে বুঝতে পারছে না।
-নুসরাত আপু অনেক গুলো ঘুমের ঔষুধ খেয়ে নিয়েছিলো।
-(….)
-আপু আপনাকে ভালোবাসে।আমি আপনাদের মধ্যে থাকতে চাই না।তালাকনামা তৈরী করে রাখবেন আমি সই করে দিবো।।।
এখন আপনি আপুর কাছে যান আপু সেই থেকেই কেঁদেই…..
সরব আর কথা বারাই না গটগট করে সিড়ি বেয়ে নেমে যায়।
এদিকে নূহীর মা এসে চিল্লা পাল্লা শুরু করে দেয়।
সরব এ বাড়িতে এলো অথচ কারো সাথে দেখা না করেই চলে গেলো।এমন কি নুসরাত যে তার জন্যই মরতে গিয়েছিলো তাও কি সে জানে না।তাহলে কেন সে নুসরাতের কাছে গেলো না!!
রাগে যেন তিনি ফেটে পরছেন।আর তার সব রাগ গিয়ে পরছে নূহীর উপর।
নূহীকে তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন
“সরবের সাথে যদি সে সংসার করার স্বপ্ন দেখে তাহলে তার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না”
এদিকে সরবের মাও নূহীকে বিদায় করতে পেরে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন।
একেই তো বাচ্চা মেয়ে পেটে তেমন বিদ্যা নেই তার উপর একবার বিয়ে হয়ে ছাড়া ছাড়ি হয়েছে যাকে বলে ডিভোর্সি।এমন মেয়েকে সরবের জন্য কি করে মানবেন তিনি।
অসম্ভব!!!
সুযোগ বুঝে যতো তাড়া তাড়ি সম্ভব সরবের সাথে নুসরাতের বিয়েটা দিয়ে দিতে হবে না হলে ছেলে যে কখন বেঁকে বসে কে জানে!!!
এই মেয়েকে নিয়ে কম পাগলামি তো করে নি সরব……
চলবে……