#স্পর্শ
#পর্ব_৩+৪
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
প্রতিদিনকার মত আজও ইরা কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে আর নিহান চাকরি খোঁজে বেরিয়ে গেলো।
আরদে বসে আছে নিহান।সাথে বন্ধুরা ও দলবল।বিষাদ বলে উঠল_নিহান কতদিন এভাবে চাকরির জন্য ঘুরবি যেখানে তোর নিজেরই এতকিছুর বিশাল ব্যবসা আছে।মাছের আরদ,চালের ব্যবসা,বুটিকসের কম্পানি।
নিহান ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে বলল_যতদিন খালামণি চায় ততদিন।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন??জুবায়ের প্রায় ধমকে বলল।
নিহান আর কিছু না বলে পকেট থেকে ১০০০ টাকার নোট বের করে চন্দুকে দিয়ে বলল_চন্দু যাহ তোরা সাতজন দুপুরে বিরিয়ানি খেয়ে নে।১০০০ টাকায় হবে তো??
কালো রোগাপাতলা গড়নের ছেলে চন্দু। নিহানের আরদে কাজ করে।সবকটি দাঁত বের করে হেসে বলল খুব চলবে ওস্তাদ।বলেই বেরিয়ে গেলো।
নিহান ম্লান হেসে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইল।শান্ত সিগারেট ধরিয়ে দুটান দিয়ে নিহানের দিকে এগিয়ে দিলো।নিহান সিগারেটটা হাতে নিতেই ইরার মুখটা ভেসে উঠল।
নিহান ভাই তুমি যদি সিগারেট খাও তাহলে আমি কক্ষনো তোমার ঠোঁটে চুমু খাবো না। ছাদে দাঁড়িয়ে গলা জড়িয়ে ধরে কথাটা বলেছিলো ইরা।মনে হতেই হেসে ফেললো নিহান।আর খেতে পারলো না।সিগারেটটা শান্তর হাতে দিয়ে ফাইলটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।উপস্থিত সবাই বোকা বনে চেয়ে রইলো নিহানের যাওয়ার দিকে।
বই-খাতা হাতে করে নিয়ে কোচিং সেন্টারের এক ক্লাস হতে আরেক ক্লাসে যাচ্ছে ইরা।বিস্তর মাঠের একপাশ থেকে অপরপাশে যেতেই মাঠের মধ্যে কারো সাথে ধাক্কা খেলো। ছেলেটার চশমা পরে গেছে।ইরার বই খাতা না পরলেও খুব জোর লেগেছে হাতে।ডান হাত দিয়ে বা হাতের কনুই ডলতে ডলতে রাগী চোখে তাকালো ছেলেটার দিকে।ছেলেটা চশমাটা তুলে পড়ে নিলো।আর বলল আমি খুব দুঃখিত। আসলে দেখতে পাই নি।
খুব চেনা চেনা লাগছে ছেলেটাকে।অনেকটা বখাটে আশিকের মতন।কিন্তু আশিককে তো নিহান ভাই শহর ছাড়া করেছিলো আর একপা ও ভেঙে দিয়েছিলো তাহলে??আবার ছেলেটার বেশ-ভূষাও তা বলছে না।কিন্তু দুজনের চেহারার খুব মিল।
ছেলেটার কথায় ধ্যান ভাঙল ইরার।হ্যালো আমি আসিফ।ইরা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল দেখে চলতে পারেন না।
বলেই আর এক মিনিট ও দাঁড়ালো না ইরা।দ্রুত হেঁটে স্থান ত্যাগ করলো।একবার ও পিছু ফিরে তাকালো না।
চলে যাওয়া ইরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল আসিফ।খেলা তো সবে শুরু ইরামনি।আমার ভাইয়ের প্রতিশোধ নিতেই ফিরেছি আমি।একহাত শক্ত করে মুঠ করে আরেক হাতে ফোন বের করে কাউকে কল করলো আসিফ।
ইরার ক্লাস শেষ হলো তিনটায়।আজ একটু দেরীতেই শেষ হলো।অন্যদিন একটায় বাড়ি থাকে।সেন্টার থেকে ইরাদের বাসা বেশি দূরে না।হেঁটে ও যাওয়া যায়। ১০ টাকা টাকা রিকশা ভাড়ায় ও।
মাথায় ওড়না টেনে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে মেইন গেইট থেকে বেরিয়ে গেলো ইরা।বের হতেই আড়চোখে দেখতে পেলো নিহানকে।আর ভালো ভাবে তাকালো না সোজা হাঁটা ধরল।নিহান ইরাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত এগিয়ে ইরার পাশাপাশি এলো।
~কি হলো এরকম উদ্ভ্রান্তের মত হেঁটে যাচ্ছিস কেন?আমাকে কি চোখে পড়ে নি।দাঁড়াবি তো নাকি…ইরার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল নিহান।
~তোমাকে না বলেছি এলাকার এসব নেতাখেতাদের সাথে মিশবে না।গাল ফুলিয়ে বলল ইরা।
~প্রথমত আমি এসব নেতাদের সাথে মিশি না।ওরা আমার সাথে কথা বলতে আসলে কথা তো বলতেই হয়।আর দ্বিতীয়ত খেতাদের সাথে কি মিশা যায় বল?ওটা তো গায়ে দিয়ে শুতে হয়।
~নিহান ভাই প্লিজ….একটু জোরেই বলল ইরা।
~ওকে সরি।আর ঠাট্টা করবো না এবার চল রিকশায় ওঠ।
নিহান রিকশায় উঠে হাত বাড়িয়ে দিতেই নিহানের হাত হাত রেখে রিকশায় উঠে বসল ইরা।রিকশা তার আপন গতিতে চলতে লাগলো।
ইরা চোখ বন্ধ করে নিহানের কাঁধে মাথা রাখল।
শক্ত করে হাতটা ধরে বলল…
নিহান ভাই…
হু..
তুমি ছাড়তে চাইলেও আমি কক্ষনো তোমায় ছেড়ে যাবো না।খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখবো।
আমি জানি তো বলেই ইরার হাতটা শক্ত করে ধরল নিহান।কিছু সময়ের মধ্যেই বাসায় চলে এলো নিহান-ইরা।
রাতে বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে আছে নিহান।আকাশ থেমে থেমে চমকাচ্ছে। কোনো গর্জনের শব্দ নেই।বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে নিহান।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা চাকরি পেতে হবে তাকে হোক সেটা ঘুষ দিয়ে।আজকাল ইরাকে বউ বেশে বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে।সত্যিকারের বউ রুপে।আবার বেশ কাছে পেতেও ইচ্ছে করে।এ ব্যাপারটা মাথায় চেপে বসলে তো বিপদ।খালামণিকে বললে হয়ত বিয়ে দিতে দ্বিমত করবে না কিন্তু কিছুতেই বলতে পারবে না।আবার বিশাল ব্যবসা আছে এটাও বলতে পারছে না।যা দিয়ে খুব ভালোভাবেই চলবে ইরা-নিহানের।খালামনির চাওয়াটাকে খুব সম্মাণ করে নিহান।
আকাশ চমকাতে দেখে খুশি হয়ে যায় ইরা।বিছানায় পড়তে বসেছিলো।বই খাতা বন্ধ করে একলাফে বিছানা থেকে নেমে যায়।তারপর গুটিগুটি পায়ে নিহানের ঘরে যায়।ঘরে না পেয়ে বারান্দায় উঁকি দিতেই দেখে আনমনা হয়ে বসে আছে নিহান।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দাঁত দিয়ে ডান হাতের তর্জনীর নখ কাটল।কিছু একটা ভেবেই নিজের ঘরে চলে আসে ইরা।
চলবে_
#স্পর্শ
#পর্ব_৪
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
কিছু একটা ভেবেই নিজের ঘরে চলে আসে ইরা।তিন পাট্টার আলমিরাটা খুব শব্দ করে খোলে।গত ১লা ফাল্গুনে নিহানের দেয়া লাল শাড়িটার সাথে ম্যাচ করে ব্লাউজ বের করে। শব্দ করে আলমিরার দরজাটা আটকে একটা কাজল আর লাল লিপ্সটিক নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।
কোনো একটা কিছুর শব্দ পেয়ে ধ্যান ভাঙল নিহানের।উঠে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে বাহিরে এলো।বের হতেই বিদ্যুৎ চলে গেলো।পকেট থেকে ফোন বের করে টর্চ জ্বালাইতেই পাশ থেকে কেউ কর্কশ কন্ঠে চিৎকার করে উঠল।
নিহান হকচকিয়ে বলল কে কে_??
সালমা বেগম থুথু করে গলার নিচে থুথু দিলো।তারপর বলল আমি তোমার খালামণি..
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নিহান বলল ওহ_!খালামণি তুমি?ভয় পেয়ে গেছো বুঝি?
হু!বের হলাম তোর খালু আসার সময় হয়ে এসেছে।গেইট খুলতে যাচ্ছি তারউপর যে হারে বৃষ্টি আসবে মনে হচ্ছে..!
ওওহ
ইরা কি করে রে??
ইরার কথা শুনতেই নিহান ব্যস্ত হয়ে বলল আমি তো বিকেলের পর আর একবার ও ওর রুমে যাই নি।হয়ত পড়তে বসেছে।ও তো অন্ধকারে ভয় পায় তুমি বরং ফোনটা নিয়ে জলদি যাও খালামণি দেখো এসো কি করে..!হয়ত ভয়ে কুঁকড়ে আছে।
সালমা বেগম মুচকি হাসলো।ইরাকে নিয়ে কত চিন্তা ওর..!হাসা থামিয়ে বললেন তুই কি ভুলে গেছিস ইরার ঘরে অটোমেটিক জেনারেটর আছে আর ওয়াশরুম-বারান্দায় ও।
নিহান অন্ধকারে খালামণির হাসি দেখতে পেলো না তবে ঠিকই বুঝতে পারলো তিনি হাসছেন।
নিহান অপ্রস্তুত হয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল ওওহ।
যাই মোম জ্বালিয়ে আনি বলেই নিজের ঘরে চলে যান সালমা বেগম।নিহান সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
মোম এনে নিহানের হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলল যাই দেখে আসি কি করে। ইরার ঘরের সামনে এসে বলল ইরা ইরা কি করিস পড়তে বসেছিস নাকি?ডাকতে ডাকতে ঘরের দিকে এগুচ্ছেন তিনি।
ইরা শাড়ি ঠিক করতে করতে ওয়াশরুম থেকে বের হতে নিলেই মায়ের ডাক পায়।আর বের হয় না চুপ করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
সালমা বেগম ঘরে ডুকে দেখে ইরা ঘরে নেই। বইগুলো বিছানার উপর।
ইরা তুই কি ওয়াশরুমে??ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিয়ে বললেন সালমা বেগম।
ইরা আস্তে করে বলল “হু”
এতক্ষণ কি করিস?
বাথরুমে মানুষ কি করে মা?তুমি কি লাইভ দেখতে চাও মানে সরাসরি দেখতে চাও?ইরা জোরে জোরে বলে।
সালমা বেগম কিছু বলতে নিলেই দেখে দরজায় নিহান দাঁড়িয়ে।বেশ লজ্জা পান তিনি।মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
মনে মনে হো হো করে হেসে ঘরে ডুকে বিছনায় বসে নিহান।বইখাতা গুলো গুছিয়ে টেবিলের উপর রাখে।
তারপর বারান্দায় চলে যায়।
ইরা মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে বেরিয়ে আসে।এ ঘরের বাহিরে তো আলো নেই তাই মোম জ্বালিয়ে লাইট অফ করে।বারান্দার দিক থেকে আসা কারো ছায়া দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠে ইরা।
নিহান দ্রুত পায় এসে ইরার মুখ চেপে ধরে। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে।তাই হয়ত ইরার চিৎকার খালামনির কান পর্যন্ত যায় নি।নয়ত এখন একটা ব্যাপক কান্ড হতো।ভেবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়।
ইরার হাত থেকে মোমটা পরে মৃদু আলো দিচ্ছে।নিহান ইরার দিকে রাগী চোখে তাকালো। মুহুর্তেই যেন সব রাগ গলে পানি হয়ে গেলো।অবাক দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো ইরাকে।মুখ থেকে হাতটা,সরিয়ে নিলো আস্তে আস্তে।
ইরা ঢোক গিলে মুচকি হাসার চেষ্টা করে বললো আমায় কেমন লাগছে নিহান ভাই??
কি হলো বলো..
নিহান ঘোর থেকে বেরিয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে মুখটা কালো করে বলল একদম পেঁচার মতন।
আমি জানতাম বলেই মন খারাপ করে ফেললো ইরা।সেই মন খারাপের রেশটা ফুটে উঠল পুরো মুখ জুড়ে।কালো হয়ে গেলো মুখটা।
নিহান মুচকি হেসে কোলে তুলে নিলো ইরাকে।ইরা খুব শক্ত করে নিহানের গলা জড়িয়ে ধরে বুকে মুখ লুকিয়ে নিঃশব্দে হাসতে লাগলো।
নিহান ছাদে এনে নামিয়ে দিলো ইরাকে। খুব দ্রুত নেমে আসা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো মুহুর্তেই ভিজিয়ে দিলো দুজনকে।বারবার বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তবে বাজ পড়ছে না শব্দ ও নেই।সেই হঠাৎ চমকানো আলোতে ইরাকে দেখে মুগ্ধ হচ্ছে নিহান।দূরের রাস্তার ল্যামপোস্টের আবছা আলো ও এসেছে কিছুটা।মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে জোছনা।
ইরার থেকে দু-তিন হাত দূরে দাঁড়িয়ে আছে নিহান।ইরা দুহাত মেলে ভিজচ্ছে।এহাতের কনুইয়ে আরেকহাত গুজে ফিসফিসিয়ে নিহান বলল এই পরিটাই আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
ইরা স্থির হয়ে দাঁড়াতেই নিহান একপা দুপা করে ইরার দিকে এগুতে লাগল।আস্তে আস্তে সামনে যেয়ে দাঁড়াল।দুগালে ল্যাপ্টে থাকা চুলগুলো সরিয়ে মুখটা একটু উঁচু করলো নিহান।চোখ মুখ ঠোঁট ছুঁয়ে যাওয়া পানির দিকে একটু ঝুঁকতেই সিঁড়ির নিচ থেকে ডাক এলো সালমা বেগমের।তিনি সিঁড়ি বেয়ে আসছেন আর ডাকছেন ইরা নিহান কই তোরা।নিহান ইরাকে ছেড়ে একহাত দূরে সরে দাঁড়ালো।ইরা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে।
সালমা বেগম শেষ সিঁড়িতে এসে দেখলেন দুজন দুদিকে দাঁড়িয়ে ভিজছে।হাতে তার টর্চ ও আছে।ইকবাল সাহেবের চব্বিশ ঘণ্টার সঙ্গী এই টর্চ লাইট..
ইরা মায়ের দৃষ্টিতে ঘাবড়ে গেলো।কিন্তু নিহান বেশ স্বাভাবিক গলায় বললো ডাকছিলে খালামনি?
সালমা বেগম মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল হ্যা।আয় খেতে যাবি।বৃষ্টি তো কমে এসেছে।ঠান্ডা লেগে যাবে জলদি কাপড় পাল্টে নে।রাত ও তো হলো অনেক…!
নিহান হনহন করে হেঁটে খালামনির পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো আর বলো না খালামনি তোমার ব্রিটিশ মেয়ে জোর করে আমায় নিয়ে এলো।বলে নিহান ভাই আমি ভয় পাই তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে আমি ভিজবো।কেমন নাছোড়বান্দা জানোই তো।ভিজতে চাইলাম না তবুও জোড় করে ঠেলেঠুলে টেনে পানিতে আনলো।
ইরা যেন আকাশ থেকে পড়লো।ভ্যবাচ্যাকা খেয়ে একবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার নিহানের দিকে।এত মিথ্যা ও কেউ বলতে পারে??এত ঘুছিয়ে..!
সালমা বেগম ইরাকে ধমকে বলল দিন দিন কি ছোটো হচ্ছিস নাকি হ্যা যে বায়না বাড়ছে।নিচে আয় কানের নিচে দুটো দেবো।তোর দষ্যিপনার জন্য তো আমার মানিকটারও অসুখ করবে।বলেই কাপড়ের আঁচল দিয়ে নিহানের মাথা মুছে দিলো।চল এবার
নিহান আর খালামনি আগে হাঁটতে লাগল।ইরা এক সিঁড়ি নামতেই নিহান পিছু ফিরে চোখ টিপ দিলো ইরাকে।
ইরা মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল যাব্বাবা আমি কখন??
একসাথে খেতে বসল সবাই।ইরা রাগী রাগী মুখ করে আছে।নিহান জানে তখনকার বলা কথা গুলোর জন্যই এরকম ফুলে আছে ইরা।কিন্তু ইরাকে রাগাতে যে বেশ ভালো লাগে তার।নিহান পা দিয়ে ইরার পায়ে চিমটি কাটাল।
ইরা রেগে নিহানের পা ভেবে সামনে থাকা কারো পায়ে চিমটি কাটল।
সালমা বেগম আস্তে করে ইকবাল সাহেবকে বললেন বুড়ো বয়সে ভীমরতিতে ধরেছে?চিমটি কাটলে কেনো?
আমি কখন চিমটি কাটলাম জোরে বলে উঠলেন ইকবাল সাহেব।চুপ করো বলে মাথা নিচু করে ফেললো সালমা বেগম।ইরার বুঝতে বাকি রইলো না সে তার মায়ের পায়ে চিমটি কেটেছে।মাথা নিচু করে একের পর এক ভাত মুখে দিতে থাকলো।নিহান ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হাসি আটকে বলল আমার হয়ে গেছে।উঠে কোনো রকম হাত ধুয়ে নিজের ঘরে এলো নিহান।হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার জোগাড় নিহানের।কান মাথা গরম হয়ে গেছে তার হাসতে হাসতে…!
চলবে_