–১মাস এই বিয়েটার বয়স হবে মাত্র ১ মাস। ১মাস পর তোমায় আমি মুক্তি দিয়ে দিবো কিন্তু এই ১মাস আমার কথার নড়চড় হবে না আমি যা যা বলবো তাই তাই করতে হবে।
আমার বলা প্রতিটি কথা অক্ষর অক্ষর পালন করতে হবে।
তোমার এই ১মাসের বিনিময়ে তোমার বাবকে সুস্থ করার দায়িত্ব আমার।
তোমার ছোট বোনের স্কুল খরচ টাও আমার৷
বলো রাজি?
–১মাসের জন্য বিয়ে!
–হ্যাঁ পৃথু ১ মাসের জন্য আমার কন্ট্রাক্ট পেপার রেডি শুধু সাইন করার পালা।
–১মাস পর?
–১মাস পর তোমায় ছেড়ে দিবো আমার বন্দি খাঁচা থেকে মুক্তি দিবো কিন্তু তোমার বাবা আর বোনকে আমি যা দিবো তাতে তেমাদের সারা জীবন কেটে যাবে।
প্রেয়ন ভাইয়ের কথা শুনে চুপচাপ বসে রইলাম৷
আমি ‘পৃথুলা রাইম’। মাত্র ইন্টার পরিক্ষা শেষ করেছি।
বাবা স্টোকোর রুগি ওনার সারা জীবনের সঞ্চয় সব একটা ফ্লাটের পেছনে ইনভেস্ট করে আজ সেটা উঠে গেছে। ফ্রট ছিলো ওরা। যার কারনে বাবার কাছে একটা পয়সা নেই।যেটা ভাবতে ভাবতে বাবা কাল রাতে স্টোক করেছে। আমাদের বাড়িটা ছাড়া কিছু নেই৷
‘প্রেয়ন খান’ আমার এক মাত্র ফুপির ছেলে ফুপাতো ভাই অনেক প্রভাব শালি লোক আমার ফুপা।
এই বিপদে কাউকে পাচ্ছিলাম না পাশে তাই ফুপার কাছে আসছিলাম৷
মায়ের দিক দিয়ে সব বন্ধ কারন আমার মা নেই তাই মামা খালারা আমাদের পরিচয় দেয় না৷
কিন্তু এখানে এসে আমাকে এগুলা করতে হবে শুনে পৃথিবী যেন থমকে যাচ্ছে।
ওদিকে বাবার চিকিৎসা অফ রেখেছে আমি কি করবো।
–পৃথু কি ব্যাপার?
–আমি রাজি প্রেয়ন ভাই।
–গুড।
এখানে সাইন কর।
আমি ওনার দেখানো সব যায়গায় সাইন করে দিলাম।
বিয়ে নামক এক বৈধ এবং পবিত্র সম্পর্কে জড়ালাম এক মাসের জন্য।
–আপনার কথা তো শুনলাম আমার বাবা।
–সব হবে পৃথু চল আমি তোকে নিয়ে যাচ্ছি।
প্রেয়ন ভাই আমাকে নিয়ে হসপিটালে এলো। আমার ছোট বোনটা অগোছালো হয়ে বসে আছে হসপিটালের এক কোনে।
–রাইমা বাবা কই৷
–আপু তুই এসেছিস বাবাকে বের করে দিছে ওই যে বাবা৷
আমি বাবার দিকে তাকাতে আমার কলিজায় টান খায়।
সামান্য কিছু টাকার জন্য এই মানুষ গুলো ববাকে বাইরে রেখে দিয়েছে।
–ডক্টর নার্স।
প্রেয়ন ভাইয়ের চিৎকারে সবাই জড়ো হয়৷
–ওনাকে বাসায় ট্রিটমেন্ট এর ব্যাবস্থা করুন৷
ফুল ট্রিটমেন্ট বাসায় হবে যতো টাকা লাগে আমি দিবো।
–জি স্যার অবশ্যই।
প্রেয়ন ভাইয়ের একটা কথায় হসপিটালের সবাই বাবার পেছনে লেগে লেগ তাকে এম্বুলেন্স এ বসানো হলো সমস্ত কিছু নিয়ে তারা আমাদের বাসার দিকে রওনা দিবে।
–আপু তুই যাবি না৷
–না আপু যাবে না রাইমা৷
–কেন প্রেয়ন ভাই
–আপুকে দিয়ে ছোট্ট একটা কাজ আছে ওটা করেই দিয়ে আসবো।
–আচ্ছা আপু আমি যাই।
–হুম৷
আস্তে আস্তে আমার বাব আর রাইমা আমার দৃষ্টির বাইরে চলে গেল।
হটাৎ হাতে টান অনুভব হতে আমি পেছনে তাকায়। দেখি প্রেয়ন ভাই আমাকে টানছেন৷
আমি ওনার সাথে হাঁটা শুরু করি।
গাড়ি করে ওনার বাসার সামনে আসি।
–শোন এখন মা বাবার কাছে তোকে আমার স্ত্রী বলে পরিচয় করাতে চলেছি মা তোকে কিছু বললে তুই সহ্য করবি শুধু। খবরদার আমার মাকে কোন কথার উত্তর দিবি না।
–জি
আমাকে নিয়ে প্রেয়ন ভাই ঘরে এলো।
আমরা ভেতরে আসতে ফুপি ছুটে এলো।
–কিরে পৃথুলা তুই এখানে কি মনে করে ভাই জান ভালো আছে তো।
–আম্মু আমি পৃথুকে বিয়ে করেছি।
–কি বিয়ে করেছিস মানে?
–আজ বিয়ে করেছি ওকে।
–প্রেয়ন তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
–না মা সত্যি আমি ওকে ভালোবাসি তাই বিয়ে করে এনেছি।
কি পৃথু বল।
–জ জি ফুপি৷
হটাৎ আমার গালে চড় পরতে উল্টো দিকে ঘুরে পরতে গেলাম কিন্তু প্রেয়ন ভাইয়া আমাকে ধরে বসলেন।
–পৃথুলা তুই আমার মেয়ে মতো। হয়ে এটা কি করে করলি।
ফুপি শুধু আমার ভুল টাই দেখলো।
আসলে আপন আর পর কখনো এক না আমি তো নেহাত গরিব ও।
–প্রেয়ন আমি এই বিয়ে মানি না।
–মানো আর না মানো ও আমার স্ত্রী।
কথাটা বলেই প্রেয়ন আমার হাত ধরে টানতে টানতে তার রুমে এনে ফেললো।
আমি ভয়ে এক কোনে দাঁড়িয়ে আছি৷
–পৃথু এদিকে আয়।
আমি ওনার দিকে এগোলাম।
–এই গালে চড় মেরেছে তাই না খুব জ্বালা করছে তোর (আমার বাম গালে হাত দিয়ে)
–ন না উনি ফুপি চড় দিতেই পারে (ভয়ে)
–না পৃথু তোকে আমি নিয়ে এসেছি তোকে চড় মারার অধিকার ভালোবাসার অধিকার শুধুই আমার অন্য কারোর না।
আমি অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম৷।
–ঠাসসসস।
গালে হাত দিয়ে ছল ছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি প্রেয়ন ভাইয়ের দিকে।
–চড় টা জোরে মারলাম কারন ওই চড় টা ডাকার ছিলো।
শাড়ি আর গয়না পরে রেডি থাক।
কথাটা বলেই প্রেয়ন ভাই রুম ত্যাগ করলো।
এটাই কি নিয়তি আমার সাথে করবে? #প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_০২
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
–চড়টা জোরেই মারলাম কারন আগের চড়টা ঢাকার ছিলো।
আমি ছল ছল নয়নে প্রেয়ন ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি।
–ওই যে কাপড় আর গয়না পরে রেডি হয়ে নিচে আয়।
আমি কিছু বললাম না প্রেয়ন ভাই নিচে চলে গেল।
আমি দরজা লাগিয়ে শাড়ি পরে নিলাম।
গয়না গুলো পরতে আয়নার সামনে তাকিয়ে নিজের গালে হাত দিলাম।
দুইটা চড়ের কারনে গালটা বেশ খানিকটা ফুলে আছে।
আমার তিব্র ব্যাথা অনুভব হচ্ছে।
খারাপও লাগছে নিজের জীবন টাকে কেথায় ঠেলে দিলাম আল্লাহই জানেন৷
আচ্ছা প্রেয়ন ভাই তো চাইলে আমাকে এমনি সাহায্য করতে পারতো তাহলে এভাবে বিয়ে কেন করলো।
ছোট থেকেই আমার ফুপি আর আমাদের মধ্যে ধনি গরিবের একটা ফারাক ছিলো।
আমি তেমন কখনো এ বাসায় আসি নি৷
কারন প্রেয়ন ভাইয়ের কথা গুলো আমার বেশ ভালো লাগতো না।
তবে ফুপি আমাকে মায়ের মতো স্নেহ করতেন।
আমার বোনটাকেও খুব ভালোবাসতেন।
এখন কি আর আগের মতো ভালোবাসবে আমাকে হয় তো আর বাসবেন না ভালো।
আমি এগুলা ভাবছিলাম হটাৎ মনে হলো কেউ আমার পিঠে হাত দিছে৷
হতভাগ হয়ে আয়নায় তাকাতে দেখি প্রেয়ন ভাই।
–ক কি করছেন৷
–চেইন লাগাচ্ছি।
–আমি পারবো।
–চুপচাপ দাড়িয়ে থাকো।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম সে চেইন লাগিয়ে আমাকে তার দিকে ঘুরালো।
আমার বাম গালে হাত দিলো।
–খুব জ্বলছে নাকি তোর।
আমি ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছি কি বলে কি।
–সরি রে,
আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি৷
প্রেয়ন ভাই নিজে একটু নিচু হয়ে আমার গালে কিস করলো।
আমার চোখ রসগোল্লা হয়ে গেছে।
–এবার সেরে যাবে।
বাহ কিস করছে তাই সেরে যাবে কি আইন রে মা গো।
–নিচে যাবেন নাকি?
–হ্যাঁ অবশ্যই।
প্রেয়ন ভাই আমার হাত ধরে নিচে নিয়ে এলো।
ফুপি বেশ গোমড়া মুখ করেই দাঁড়িয়ে ছিলো৷
আমি মাথা নিচু করে ছিলাম।
–বিয়ে যখন হইছে মেনে না নিয়ে তো আর উপায় নেই৷
আমি চাইবো তুই আমার ঘরের বৌ এর মতো না আমার মেয়ের মতো থাকবি।
ফুপির কথায় চোখের জমে থাকা পানি গুলো গড়িয়ে পরলো।
–কাঁদছিস কেন এটা শুখের খবর৷।
ফুপি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন৷
সত্যি আমি ভুল ভেবেছিলাম ফুপিকে ফুপি সত্যি এক জন ভালো মানুষ আমাকে আগের মতোই ভালোবাসে।
–প্রেয়ন৷
–আম্মু৷
–পৃথুলা কে এবার ছেড়ে দেও ও এখন একটা মিষ্টি বানাবে৷
–এমন ভাবে বলছো যেন তোমার বৌ কে আমি একাই ছাড়ছি না।
–হ্যাঁ ছাড়ছিস না তো আমি তো দেখছি না এখনে হাত ধরে আছিস।
ফুপির কাথায় প্রেয়ন ভাই আমার হাত ছেড়ে দিলেন।
–চল আয়৷
ফুপি আমাকে নিয়ে কিচেন রুমে এলেন।
–সোন মা তোকে কিছু রান্না করতে হবে না এই যে দুধ আর……….
কোথায় কি আছে সব বুঝিয়ে দিলেন ফুপি।
–বুঝতে পারছিস৷
–হুম।
–এবার একটু মিষ্টি বানা তাতেই হবে।
–আচ্ছা।
ফুপি চলে গেলেন।
শাড়ির আচল টা কোমড় এ গুজে কাজে লেগে গেলাম।
সব অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেই চলেছে আমার সাথে।
এই বিয়ে এই মিষ্টি বানানো।
আল্লাহ কি জানি বাবা কেমন আছেন।
এসব ভাবতে ভাবতে হটাৎ প্রেয়ন ভাই এর আগোমন।
–পৃথু।
–জি।
–একটু পানি দে তো।
–জি দিচ্ছি।
আমি প্রেয়ন ভাইকে পানি এগিয়ে দিলাম।
— তোকে না গিন্নি গিন্নি লাগছে পৃথু।
–১ মাসের জন্য হলেও গিন্নি তো হয়ে গেছি তাই না ভাই।
–আচ্ছা তুই গিন্নি কার জন্য হইলি।
–আপনার জন্য।
–তাহলে আমি তোর কি?
–বর।
–তুই আমার?
–বৌ।
–হ্যাঁ তাহলে এখানে ভাই টা কে (রেগে)
–ভাই টা কে? তুমি! (দাঁত বের করে)
–তবে রে৷
–আমার মিষ্টি পুড়ে যাবে প্লিজ৷
–আচ্ছা যা ছেড়ে দিলাম।
–হ দয়া করলেন (বির বির করে)
–কি বললি,
–বললাম রন্না টা শেষ করি.
–হুম কর,
–মাগো রে কি মানুষ এটা চড় মেরে চুমু খাই ভাই বললে রাগ হয় অথচো ১ মাসের জন্য বিয়ে করে।
আমার মাথা ঘুরাচ্ছে 🥴#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_০৩
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
মিষ্টি বানিয়ে টেবিলে এনে রাখলাম।
বাবার জন্য সত্যি মন খারাপ করছে আমার।
হটাৎ ফুপি এসে পেছন থেকে ডাক দিলেন,
–পৃথুলা।
–জি।
–ভাইজানের এই অবস্থা বলিস নি কেন?
আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
তখনি প্রেয়ন ভাই এসে আমার কাঁধে হাত দিয়ে বললেন,
–মা ওকে নিয়ে কি কিছু দিন ও বাড়িতে আমি থাকতে পারি৷
–অবশ্যই থাকবি কিন্তু ভাইজানের এই অবস্থায় তোরা এভাবে বিয়ে করে নিলি কি করে পৃথুলা?
আমার মুখে এবার ও কোন উত্তর নেই এবারো মাথাটা নিচু করেই দাঁড়িয়ে রইলাম৷
তখনি ফুপা এলেন,
–যা হবার হইছে তনু তুমি ওদের যেতে দেও ভাইজানের কাছে।
ফুপা, ফুপি সত্যি অনেক ভালো ছেলে এমন একটা কাজ করেছে তাদের মধ্যে কোন খারাপ আচরণ ই দেখলাম না।
সবার মতে আমি আর প্রেয়ন ভাই গেলাম আমাদের বাসায় ।
আমি বাসায় পৌছাতে রাইমাকে ডাক দিলাম৷
কিন্তু কোথাও দেখলাম না৷
ভেতরে গিয়ে দেখি রাইমা আটা ডাল চাল এক করে নিছে।
–রাইমা৷
–আপু।
–কি করছিস এগুলা।
–বাবাইকে খেতে দিতে হবে। কি খেতে দিবো বল তুই তো আমাকে কখনো রান্না করতে দিস নি আমি পারছি না।
রাইমার কথায় চোখ দুটো ভিজে এলো৷
আমার পিচ্চি বোনটা কতোটা কষ্ট করছে,
–তুই যা আমি করছি৷
–তুই ছিলি কই আপু।
–আমার কাছে। (প্রেয়ন)
–প্রেয়ন ভাই তুমি?
–হ্যাঁ রে তোর বোনকে বিয়ে করেছি
–আপু!
–হ্যাঁ উনি সত্যি বলছেন
–আপু কি বলছিস৷
–রাইমা ভাইয়া কে আমার ঘরে নিয়ে যা তুই বাবার ঘরে বস আমি আসছি খাবার নিয়ে।
–কিন্তু আপু
–রাইমা (একটু রেগে)
–আচ্ছা।
রাইমা প্রেয়ন ভাইকে নিয়ে চলে গেলো।
আমি সব গুছিয়ে রান্না সেরে ফেল্লাম।
অনেক কাজ করলাম গরম লাগছে।
আমি খাবার নিয়ে বাবার রুমে গেলাম।
–ম্যাম খাবার টা আমাদের দিন (নার্স)
–আপনি এখানে আছেন দেখতে পেয়েছেন আমার বোন রান্না পারে না তবুও ওকে কেন পাঠালেন?
–ম্যাম আমাদের কাজ পেসেন্ট কে দেখা তার খাবার তৈরি করাও আমাদের কাজ কিন্তু আপনার বাবকে রেখে এক মিনিট ও নড়া সম্ভব না ক্ষমা করবেন।
–ঠিক আছে,
আমি বাবার কাছে এগিয়ে গেলাম।
চোখ বন্ধ এখনো বাবার কিছু সময় থাকার পর,
–ম্যাম পেসেন্ট এর কাছে আর থাকা যাবে না।
–হুম৷
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে এলাম।
নিজের রুমে এসে দেখি,
প্রেয়ন ভাই পায়ে পা তুলে বসে আছে।
আমি কিছু না বলেই বাথরুমের দিকে অগ্রসর হতে আমার হাত ধরে টান দিলেন,
আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম,
–গিন্নি এতো সময় লাগে রান্না করতে।
–একটু তো লাগে আমাকে ছাড়ুন আমি ঘেমে গেছি গোসল করবো।
–হু করবে তো একটা কথা বলো তো।
–এসে বলি আমার কষ্ট লাগছে।
–আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি কাপড় নিয়ে গোসল করে বের হলাম।
আমি বেরিয়ে আসতে প্রেয়ন ভাইয়া আমাকে ধরে তার সাথে মিশিয়ে নিলেন,
–তুই দুরে দুরে থাকিস কেন?
–১মাসের স্ত্রী আপনার বেশি কাছে গেলে সমস্যা মায়া পরে যেতে পারে।
আমার কথা শুনে আমার গালে তার হাত রাখলেন।
–আমার শ্বশুর বাবা যে ফ্লাটের পেছনে টাকা ইনভেস্ট করেছিলো তার ডকুমেন্ট দিতে পারবে?
–হুম আছে পারবো কিন্তু আপনি এগুলা দিয়ে কি করবেন?
আমার প্রশ্ন শুনে উনি আমার ঘাড়ে থুঁতনি ঠেকালেন,
–সমস্যা কি তোর এতে প্রশ্ন কেন করিস৷
তোর চুলের গন্ধ টা অসাধারণ পৃথু।
ওনার কথা এবার আমাকে সির সির করতে লাগলো।
প্রতিটি কথা কেমন নেশা যুক্ত।
–পৃথু৷
–হু৷
–গিন্নি তুই।
–হু৷
–কিন্তু এগুলা শুধু ১ মাসের জন্য
হটাৎ আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে কথাটা বললেন।
পরে গিয়ে ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে।
–কি ভাবছিস গিন্নি তোকে কাছে টনার অধিকার ও আমার দুরে ঠেলার অধিকার ও আমার বুঝলি।
আমি মাথা নিচু করে উঠে আসলাম।
আর কিছু বললাম না ওনাকে।
সত্যি একটা মানুষ এমন কি করে হয়।
সব সময় কষ্ট দেয় আমাকে।
ভালো কিছু আসা করা যায় না৷
চলবে,
(বড়ো হইছে এবার🥰?)
চলবে,
(