জোয়ার ভাটা পর্ব -২৬

#জোয়ার_ভাটা
#সুরাইয়া_সাত্তার_ঊর্মি
পর্ব-২৬
রূপালী চাঁদ আজ নেই, ঘন কালো অন্ধকার তিমির। তাল মিলিয়ে ঝুপ করে নেমেছে বর্ষণ। ঠিক যেন মার্জানের চোখের মতো। কিছুক্ষণ আগের হুট করে হয়ে যাওয়া ঘটনাটি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না মার্জান। কতই না খুশি ছিলো ওঁ! বরাবরের মতো এবারো গ্রীষ্ম তাকে ছেড়ে চলে গেলো???
মার্জানের গাওয়া গানটুকু দূরে কোথা থেকে ভেসে আসছে। রাস্তার নিয়ন আলোয় বৃষ্টির ফোঁটা গুলো হলদে দেখাচ্ছে। মার্জান মাঝ রাস্তায় ঝুপ করে বসে পড়লো। চোখের কোন বয়ে নোনা জল ঘোলা করে দিচ্ছে সামনের দৃষ্টি। মার্জান এক পলক হারিয়ে যেতে দেখলো গ্রীষ্মে চকচকে গাড়িটি হারিয়ে গেলো রাস্তার বাঁকে।

তখন হুট করে একটি মেয়ে গাড়ির সামনে চলে আসায় হকচকিয়ে উঠে দু’জন। কিন্তু পরমুহূর্তেই ঝাপসা ভেসে উঠা মুখটি দেখে থমকে যায় দু’জন। কিন্তু গ্রীষ্মের মুখে ‘ তুলতুল’ নাম শুনে থমকায় সে। গাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে নেমে পড়ে। কিন্তু মেয়েটি ততক্ষণে অন্য দিকে ছুটে গেলো। ওঁর পিছনে ছুটছে কিছু রাস্তার ভিখারিরা….। মার্জান গাড়ির ভিতর সেভাবেই বসে রইলো মুর্তির ন্যায়। জীবনের এই মোড়টায় এসে মার্জানের মনে হচ্ছে ওঁর হাতে নেই কিছু… সব কিছু যেন হাড়িয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে…. নিজের অজান্তেই চোখের জল জমে গেলো ওঁর চোখের কোনে।আচ্ছা ওঁর এখন কি করা উচিত? ওঁ কি তাঁদের মাঝে চলে এলো? মার্জানের কি চলে যাওয়া উচিত? ঘন্টা হয়ে যাচ্ছে, গ্রীষ্মের খবর নেই। তাহলে কি গ্রীষ্ম আর ফিরবে না? কি করবে মার্জান? ওঁর অন্তরাত্মা যেন বলছে,

” বরং শেষটুকু দেখে যা…….”

গ্রীষ্ম দৌঁড়াচ্ছে। ঝুম বৃষ্টির মাঝে অফুরন্ত পথ যেন সামনে। ওঁ পিছন পিছন ‘তুলতুল, তুলতুল ‘ বলে চিল্লাচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি দাপট বাড়ায় কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না যেন। এদিকে তুলতুল অতি ক্ষুদায় কাতর হয়ে একটি খাবার ডাস্টবিন থেকে তুলে, যেই মুখে দিতে লাগলো, তখনি কিছুু ভিক্ষারী হামলে পড়লো ওঁর উপর। ওঁ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে রাতে বের হতো। কিন্তু এদের খপ্পরে এভাবে পড়ে যাবে কে জানতো? ওঁ দৌড়াতে দৌড়াতে একদম শেষ মাথায় চলে আসে রাস্তার। গুটিসুটি মেরে বসে যায় ওখানে। হাত জোড় করে বলে উঠে,

” আমাকে জেতে দাও…. প্লিজ যেতে দাও।”

কিন্তু কাজ হয় না। ওঁর সকলেই তুলতুলকে মারার জন্য উদ্ধৃত হতে গ্রীষ্ম একধমক দিলো।তুলতুলকে দেখার পর থেকেই ওঁর শরীর কেমন যেন ভাড় হয়ে উঠলো। কেউ বুঝি ঘাড়ে উঠে বসেছে? সারা শরীর আগুনের মতো গরম হয়ে গেলো। সকলেই পালিয়ে গেলো। গ্রীষ্মকে দেখে তুলতুল নিজেও চমকালো। বিড়বিড় করে নাম আওড়ালো,

” গ্রীষ্ম!”

গ্রীষ্ম তুলতুলের সামনে বসে পড়লো নয়ন জোড়া ভেজা। জিজ্ঞেস করলো,

” কোথায় হারিয়ে গেছিলে তুমি? কত খুঁজেছি তোমায়? ”

তুলতুল গ্রীষ্মের গালে হাত রাখে। অবাক, বিষ্ময়ে বুঁদ হয়ে হাসে। শান্তি শ্বাস ফেলে বলে উঠে,
” তোমাকে আমি পেয়েছি গ্রীষ্ম। পেয়েছি।”
বলেই ফুপিয়ে উঠ। গ্রীষ্ম ওঁকে সামলিয়ে প্রশ্ন করে,
” এত দিন কই ছিলে? ”
তুলতুল হেচকি তুলে বলে উঠে,

, “সব বলবো, আমাকে বাসায় নিয়ে যাও?”
গ্রীষ্ম তুলতুলকে কোলে তুলে নিলো। এই মুহুর্তে যেন গ্রীষ্মের ব্যক্তিত্ব হুট করেই পালটে গেলো। যেন আষাঢ়ের অস্তিত্ব জেগে উঠলো। গ্রীষ্ম ধীরে ধীরে গাড়ির কাছে এসে দাঁড়ালো। গ্রীষ্মের কোলে সেই মেয়েটিকে দেখে মার্জানের বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো। গ্রীষ্ম মার্জানের সাইডের দরজা খুলে ভ্রু কুচকে ফেললো। তুলতুলকে কোলে নিয়ে কোঠর গলায় বলল,

” তুমি এখনো এখানে কি করছো? বের হও, ওঁটা আমার তুলতুলের জায়গা।”

মার্জান আকাশ থেকে পড়লো,

” গ্রীষ্ম এসব কি বলছো?”

গ্রীষ্ম যেন শুন্তে পেলো না কিছু। এক ঝটকায় মার্জানকে টেনে বের করে দিলো। যেন গ্রীষ্ম মার্জানকে চেনেই না। মার্জান হতভম্ব হয়ে গেলো গ্রীষ্মের কান্ডে। তুলতুলকে বসিয়ে উল্টো সিটে নিজে বসে পড়লো। তুলতুল মার্জানের টলমলে চোখ দেখে গ্রীষ্মের হাত ধরে বলে উঠলো,

” কি করছো গ্রীষ্ম, এত রাতে ওঁকে এখানে ফেলে যেও না। ওঁ একটা মেয়ে মানুষ। আর আমার থেকে বেশি কেউ জানে না, এঁকা রাতে বের হওয়া কত টাফ।”

গ্রীষ্ম তাচ্ছিল্য হাসলো। তুলতুলের গাল স্পর্শ করে বলে উঠলো,

” মেরি জান… তুমি চিন্তা করো না। ওঁর জন্য মানুষের অভাব হবে না। ঠিকি কোনো না কোনো আশিক ওঁর চলে আসবে। তুমি শুধু আমার কথা ভাবো।”

মার্জানের এসব শোনে কান যেন গরম হয়ে গেলো। দু’কদম পিছিয়ে গেলো ওঁ সত্যি? সত্যি কি এই গ্রীষ্ম কিছুক্ষণ আগে গ্রীষ্ম? যে ওঁকে ভালোবাসে বলে দুনিয়া জানিয়েচে? মার্জানের বুকে ভেতরটা ভার মনে হলো। মার্জান কিছু বলবে এঁর আগেই গ্রীষ্ম গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেলো। ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো মার্জান।

কিছু মুহূর্ত পর মার্জানের মাথার উপর কেউ ছাতা ধরতেই মার্জান হুশে ফিরলো। সামনে তাকিয়ে রাফানকে দেখে জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে তাকালো। রাফান ওঁকে এক্সপ্লেইন করলো,

” আমি সামনেই মিটিং এ এসেছিলাম। তুমি এখানে কি করছো মার্জান?”

মার্জান নিজের ভাগ্যের উপর হাসলো উপহাস করে বলল,
” বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছিলো তাই ভিজতেছি।”

রাফান সন্দিহান চোখে তাকায়। মুলত মার্জানের অনুষ্ঠানেই গেছিলো রাফান। গ্রীষ্মের সাথে বের হওয়া এবং এখানে পর্যন্ত আসা নিয়েও ওঁদের পিছন পিছন ছিলো। গ্রীষ্মের করা কান্ড সব কিছু দেখেছে রাফান। কিন্তু কিছু বলেনি। রাফান বরাবরই চায় মার্জান সুখে থাকুক। তাইতো নিজের ভালোবাসার কথাটুকু এখনো মুখ ফুটে বলতে পারেনি। রাফান নিজের হাত টুকু বাড়িয়ে দিলো। মার্জান ধরলো না। নিজের হাতে ভর দিয়ে উঠে পড়লো। এবং এগিয়ে চলে যেতে লাগলো। কিন্তু হিলের গোরা কোথাও বেজে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো কাদামাটি উপর। এবং কোনো উঠার চেষ্টা না করেই হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলো মার্জান। হয়তো এটাই বুঝি ওঁর আসল জায়গা? মার্জানতো কখনো চায় নি তৃতীয় ব্যক্তি হতে। তৃতীয় ব্যক্তি হবে না বলেই তো ভাদ্রের কথা জানার পর নাকোচ করেছে। তাহলে বুঝি এই তৃতীয় ব্যক্তির খেতাব টা পেতে চলেছে? ওঁর দাদিজান ঠিক বলেছিলো,
” গ্রীষ্ম তোমাকে কখনো ভালোবাসানে, বাসেনি, বাসবেও না। কারন ওঁর মনে অন্য কারো বসবাস”

গ্রীষ্মের সাথে রিলেশনে যাওয়া নিয়ে মার্জান অনেক কথায় শুনেছে। তবুও কোনো এক অজানা টান অনুভব করে সব সময়। মার্জানকে এভাবে পড়ে কাঁদতে দেখে রাফান সময় অবিলম্ব না করে মার্জানকে টেনে কোলে তুলে নিলো।এবং জোড় করেই গাড়িতে বসালো। এবং গাড়ি স্টার্ট দিলো। ওঁদের গাড়ি চলে যেতেই গ্রীষ্ম তাচ্ছিল্য ভরা কন্ঠে বলে উঠলো,

” আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম তুলতুল, ওঁর জন্য কেউ না কেউ ঠিকি চলে আসে….।”

————————

রাতের আকাশে একফালি চাঁদ খিল খিল করে হেসে উঠলো। কিছুক্ষণ আগে বৃৃষ্টির দমকা কোথাও যেন নেই… তুলতুলকে গাড়ি থেকে নামি ভিতরে নিয়ে এলো গ্রীষ্ম। খবর পেয়ে চুটে এলেন দাদিজান। এসেই জড়িয়ে ধরলেন নাতনিকে। অনিতা নিজেও খুশি কিন্তু হঠাৎ আসা কোনো তুফানের গন্ধ পাচ্ছে সে। ওঁ গ্রীষ্মের দিতে তাকালো, জিগ্যেস করলো,

” গ্রীষ্ম মার্জান কোথায়? তুই না আজ ওকে প্রপোজ করতে গেলি?”

গ্রীষ্ম কথাটা তেমন গুরুত্ব না দিয়ে বলে উঠলো,

” তুলতুল এসেছে আম্মিজান ওঁর কথা চিন্তা করো আপাদত।”

অনিতার কেমন একটা লাগলো গ্রীষ্মের কথায়। ওঁ তো আম্মি*জান ডাকে না। আম্মিজান ডাকতো আষাঢ়। আচ্ছা এমনতো নয়? গ্রীষ্মের আবার এ্যাটাক এসেছে?? ভাবতেই অনিতার। ঘাম ঝড়তে লাগলো কঁপাল বেয়ে। কিন্তু মা-পুত্রের কথার মাঝেই দাদিজান চেঁচালেন,

” তোমার মতো অলক্ষি ঘরে… থাকলে যা হয়! আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, তুলতুল হবে গ্রীষ্মের অর্ধাঙ্গীনি।”

অনিতা মনে মনে খুব কষ্ট পেলেও কথা পাল্টে কাছে গেলো তুলতুলের। মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

” তুলতুল, ছ’বছর আগে ঠিক কি হয়েছিলো? আর আষাঢ়…. ওঁ কোথায় বেচে আছে না…”

বলেই আবার ফোপাঁতে লাগলো অনিতা। তুলতুল নিজেও কেঁদে দিলো। অনিতাকে সে খুব ভালোবাসে। নিজের মায়ের মতো করে। সবসময় স্বপ্ন দেখতো তুলতুল অনিতার পুত্র বধূ হবার। তাইতো ছোট থেকে মনে প্রাণে চাইতো গ্রীষ্মকে।। তুলতুলে অনিতার হাত দু’টো ধরে বলল,

” আন্টি মা। আমি সব বলবো। আমাকে একটু পানি দাও।”

পানি আনা হলো। তুলতুলকে ঘিরে বসে আছে সবাই। তুলতুল বলতে শুরু করলো,

“সেদিন ছিলো পূর্ণিমার রাত। আমাকে ঘিরে ছিলো সবাই। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের তীরেই চলছিলো আমাদের পার্টি। আষাঢ় ভাইয়া বসেছিলো চেয়ারে। বরাবরই ওঁর ছিল মাথা গরম। গ্রীষ্ম পাশেই বসে গেইম খেলছিলো। গুরুগম্ভীর আষাঢ় তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে। ছোট থেকেই আষাঢ় ভাইয়া আমাকে নিয়ে সেনসিটিভ এবং এগ্রেসিভ ছিলো। এটা করবি না ওটা করবি না। শাসনে রাখতো। সব থেকে বেশি যাতে বাঁধা দিতেন, তা ছিলো ছেলেদের থেকে দূরে থাকা। ওই দিন রাতে পার্টিতে আমার ফ্রেন্ড আহিল গেছিলো। সেদিন সবাই একটু-আধটু ড্রিংস করে। ওঁ একটু বেশি করে ফেলে। আমার সবাই ডান্স করছিলাম। ঠিক তখনি আহিল আমাকে প্রপোজ করে বসে। আর তা আষাঢ় ভাইয়া সইতে পাড়লো না। সকলের সামনে মেরে বসলো ওঁকে। মারতে মারতে ছেলেটিকে আধ মরা করে ফেলে। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। ওদিকে গ্রীষ্মও কোথায় জানি চলে যায়। আমি কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে যাই,

” আষাঢ় ভাইয়া, কি করছো? ছাড়ো…”

ভয়ে ভয়ে বললাম আমি। আমি ছোট থেকেই ভয় পেতাম আষাঢ় ভাইয়ার রাগকে। দেখতে দু’ভাই এক রকম হলেও গ্রীষ্ম ছিলো ঠান্ডা মস্তিষ্কের। কিন্তু তার উল্টো ছিলো আষাঢ় ভাইয়া। কুব জলদি উনার রাগ উঠে যেতে। এবং কন্ট্রোল করতে পারতেন না উনি। আর ওই দিন তার এই রাগ আমার জীবনের ছ’টা বছর নষ্ট করে দেয়। আমি ভাইয়াকে না করায়, ভাইয়া আরো ক্ষেপে যায়,

” কষ্ট হচ্ছে বুঝি নাগড়ের জন্য? বলে ছিলাম না দূরে থাকতে ছেলেদের থেকে? ”

হিসহিসিয়ে বলে উঠলো আষাঢ় ভাইয়া।

” আমি কেন শুনবো আপনার কথা? আপনি শুধু আমার কাজিন ব্রাদার এর বেশি কিছু না। বার বার নিজেকে আমার গার্জিয়ান দেখাতে আসবেন না। আমি নিজের ভারো বুঝি।কার থেকে দূরে থাকবো? কার কাছে বা কার কোলে চড়ে বসবো সবটাই আমার ইচ্ছে। আপনি বলার কে?”

আমি রাগের মাথায় যাতা বলে বসি। কিন্তু পরমুহূর্তেই আমাকে হেঁচকা টান দিয়ে কাছে এনে আষাঢ়। আমি ভয়ে আধমরা। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো, উনার এভাবে আমার হাত টেনে ধরায়। কিন্তু উনার মাথায় রাগ জেনো চেপেই বসেছিলো। সকলের সামনে থেকে টেনে নিয়ে আমাকে হোটেল রুমে নিয়ে আসে। এবং খাটের উপর ফেলে দেয়। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই উনি আমার উপর চড়ে বসে, এবং গলা টিপে বলে…

এ পর্যায় কেঁদে উঠলো তুলতুল।

বলে, এতো তেজ তোর? আমি কে হই তাই না? অন্য সবার কোলে পর্যন্ত উঠবি? আমি কিছু বলবো না??

বলেই আষাঢ় ভাইয়া আমার সারা শরীরে কামোড় বসাতে লাগলো।আর পাগলের মতো বলতে লাগলো,

” আজকের পর যতবার আয়না দেখবি, ততবার মনে হবে আমি তোর কে!”

আমি নিজেকে ছাড়াবার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। সে রাতে আষাঢ় ভাইয়া আমাকে…..

বলেই আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অনিতার মুখে হাত চলে যায়। কিন্তু দাদিজান বিশ্বাস করতেই পাড়ছেন না যেন। উনি নির্ঘাত ভুল শুনছেন? উনি তোতলানো সুরে বলেন,

” আষাড়… তোমার… সাথে…”

কথাটুকু তুলতুল শেষ করলো,

” হি রেই*পড মি….”

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here