#Love_With_Dragon
#Episode_15(২য়_খন্ড)
[✖️গল্পটি কাল্পনিক দয়া করে কেউ বাস্তব এর সাথে তুলনা করবেন না✖️]
অধরা মা আমায় দোকানে যেতে হবে তোর কি রান্না শেষ হলো।
— হ্যাঁ বাবা হয়ে গেছে।আমি খাবার নিয়ে আসছি তুমি বসো।(অধরা)
অধরা তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।
— মা আজকে অনেক কাজ আছে দোকানে রাত হয়ে যাবে আসতে আসতে তুই সাবধানে থাকিস।(আকবর মিয়া)
— বলছিলাম কি বাবা আজকে আমিও তোমার সাথে যাব দোকানে। তুমি অসুস্থ একা একা সামলাতে পারবে না সবকিছু। (অধরা)
— না মা এটা হয় নাকি মানুষ কি বলবে।(আকবর মিয়া)
— মানুষ যা বলার বলবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না বাবা।আমি যাব মানে যাবই।(অধরা)
— তুই যখন এত করে বলছিস তাহলে ঠিক আছে। (আকবর মিয়া)
বাবা – মেয়ে খাবার শেষ করে দোকানের উদ্দেশ্যে চললো।
— মা তুই কলেজে না গেলে পরীক্ষায় খারাপ করবি।(আকবর মিয়া)
— দূর বাবা আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। আমার তো সারাক্ষণ মুক্ত পাখির মতো উড়তে মন চায়।(অধরা)
কথা বলতে বলতে বাবা মেয়ে দোকানে চলে আসল।
— আরে আকবর ভাইজান আজকে আপনার মেয়েরে সাথে কইরা নিয়া আইলেন যে…..(পাশের দোকানের মালিক)
— মেয়েটা অনেক জেদি ভাই।আমি অসুস্থ তাই আমায় একা একা দোকানে আসতে দিবে না।(আকবর মিয়া)
— যাক ভালো তবে মেয়েকে না নিয়ে ও আসলে পারতেন।
আকবর কিছু না বলে দোকান খুলে চেয়ারে বসল।
— বাবা তুমি চুপ করে বসে থাক আমি কাজ করছি। (অধরা)
আকবর মেয়ের কথায় হালকা হাসলেন।অধরাই তার সবকিছু।মেয়েটা জন্মের পরই তার মাকে হারিয়েছে।অনেক কষ্ট করে মেয়েটাকে এই পর্যায়ে এনেছি।
— আপনি কি এই দোকানে কাজ করেন।(কাস্টমার)
— কেন….(অধরা)
— আগে তো একজন বৃদ্ধ লোক ছিল।(কাস্টমার)
— ওনি আমার বাবা।বাবা ভিতরে বসে আছেন।বাবা অনেক অসুস্থ তাই আজকে আমি……. (অধরা)
— ওহ্ আচ্ছা বুঝতে পেরেছি।পিংক কালার ডলটা দেন তো।(কাস্টমার)
— এই যে নিন….(অধরা)
— আব্বু আমার পিংক কালার ডল চাই না আমার ব্লাক কালারেরটা চাই।
— ওকে মামনি তুৃমি যেটা বলবে।
অধরা ব্লাক কালার ডলটি ছোট্ট মেয়েটার হাতে দিল।
— ধন্যবাদ মিষ্টি।
অধরা অবাক হলো ছোট্ট মেয়েটির কথায়।
— কিছু মনে করো না আমার মেয়ের তোমাকে ভালো লেগেছে তাই তোমাকে মিষ্টি বলেছে।(কাস্টমার)
— আব্বু মিষ্টিকে আমার সুপারহিরোর সাথে দারুন মানাবে।
— আচ্ছা টাকাটা নিন। আমার মেয়েটা অনেক দুষ্ট কিছু মনে করো না ওর কথায়।(কাস্টমার)
— ছোট্ট মেয়েটি সুপারহিরোর কথা বললো।কে এই সুপারহিরো……(অধরা)
________________________
— সুপারহিরো সুপারহিরো তোমার বউ খুঁজে পেয়েছি আমি…
— তাই আমার পিচ্চি….
— একদম মিষ্টি পরী 😇……
ছোট্ট ইরার কথা শুনে রোহিত হু হা করে হেসে দিলো।
— হাসলে কেন সুপারহিরো…(ইরা)
— আমার পিচ্চির কথা শুনে।(রোহিত)
— আজ না তুমি কলেজে প্রথম যাবে… (ইরা)
— যাব তো ইরাসোনা।(রোহিত)
— আমাকেও নিয়ে যাবে প্লিজ প্লিজ প্লিজ মাই সুপারহিরো। বলে রোহিতের দুই গালে চুমু খেলো ইরা।
________________________
— বাবা সন্ধ্যা হয়ে গেছে আর দোকানে থাকতে হবে না দোকান বন্ধ করে দেই। (অধরা)
— চল মা শরীরটা খারাপ লাগছে আমার। (আকবর মিয়া)
বাবা- মেয়ে দুজন নির্জন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
— বাবা আমার অনেক ভয় লাগছে।এই রাস্তাটা অনেক ভয়ানক লাগছে এখন আমার। দিনে এমনটা মনে হয় না।(অধরা)
— ভয় পাবি না বাবা আছি তোর সাথে কিছু হবে না।(আকবর মিয়া)
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ কিছুর আওয়াজ কানে আসলো অধরার। পিছন থেকে ভয়ানক কিছুর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে বাবা – মেয়ে দুজন।অধরা ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকায়।পিছনে তাকাতেই ভয়ে অধরার শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়।
— ন..…..নেকড়ে………..(অধরা)
অধরার বাবা ও ভয় পেয়ে যায়।
নেকড়েটা হিংস্র চোখে তাকিয়ে আছে অধরা আর আকবরের দিকে।
অধরা বাবার হাত ধরে সামনে পা বাড়াতে যাবে তার আগেই নেকড়েটা আকবরের ওপর ঝাঁপিয়ে পরে।
বাবার অবস্থা দেখে ভয়ে অধরা কান্না শুরু করে দেয়।অধরা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,,,
— কেউ আছো সাহায্য করো আমাদের।(অধরা)
নেকড়েটা অধরার বাবার পুরো শরীর ছিঁড়ে পেললো।এইসব দেখে অধরার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।বাবাই একমাত্র সম্বল ছিল এখন বাবাকেও সে হারিয়ে পেললো।নেকড়েটা আকবরকে মেরে অধরার সামনে আসতে লাগল।অধরা পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে নড়বার শক্তি পাচ্ছে না।নেকড়ে অধরার ওপর ঝাঁপিয়ে পরার আগেই কেউ তার সামনে এসে দাঁড়ায়।
লোকটার মুখে হোয়াইট মাস্ক লাগানো। লোকটি নেকড়েটির গলা টিপে ধরে।তারপর লোকটি হোয়াইট ড্রাগনে পরিনত হয়।হোয়াইট ড্রাগনটির মুখ থেকে আগুন বের হতে লাগল। নেকড়টি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।এইসব দেখে অধরা মাথা ঘুরে পরে গেল।
চলবে……
#লেখনীতে__ফিহা
[❌কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌]
____________________
[